সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়কে ৩০টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধারসাতক্ষীরাতে ৩৬ শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উপহার বিতরণসাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক ৩ এমপিসহ ২৯ জনের নামে মামলা: গ্রেপ্তার ৩সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যপদ পেল ৪৫ জন : ১৪ জনকে সহযোগী সদস্য ঘোষণাকাটিয়ায় নারীসহ ৫ সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম: মামলা করায় হুমকির অভিযোগকুশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অন্যের সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগসাতক্ষীরা জেলা রোভারের সহকারি কমিশনার হলেন স্বপ্নসিঁড়ির নাজমুল – মামুনসাতক্ষীরায় সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচিসাতক্ষীরায় রেলপথ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধনদেবহাটায় জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের নেতা পরিচয়ে মারপিট ও হুমকির অভিযোগ

সাতক্ষীরা শহরের রহমতপুর ক‌লোনী‌তে বারসিকের স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা শহরের গ‌ড়েরকান্দার রহমতপুর ক‌লোনী‌তে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২২ মে) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করে।
ক্যাম্পে রহমতপুর ক‌লোনী‌র শতাধিক দুস্থ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেন জেনারেল প্রাকটিশনার মাসুদ রানা। এসময় তাদের মাঝে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হয়।

দিনব্যাপী এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারসিক’র প্রোগ্রাম অফিসার গাজী মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপ‌তি আব্দুর রহমান নিরব, সদস্য ফরিদ, মোনাইমু, সিফাত হো‌সেন, রা‌ফিদ রাহী প্রমুখ।

স্থানীয় সালমা বেগম জানান, আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তারা ঠিকমত ডাক্তার দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে মহিলারা রোগাক্রান্ত হলেও অর্থাভাবে ডাক্তার দেখান না। তাই এ ধরনের ক্যাম্প আমাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

প্রসঙ্গত, এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে ৫শ পিস গ্যাসের ট্যাবলেট প্রদান করেছে সাতক্ষীরা শহরের ঐতিহ্যবাহী মর্ডান ফার্মেসি। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মানব পাচার প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে রেফারেন্স পাথওয়ে নেটওয়ার্ক সক্রিয়করণ সভা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা ও কার্যকর সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরায় উপজেলা পর্যায়ে রেফারেল পাথ‌ওয়ে নেটওয়ার্ক সক্রিয়করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে রুপান্তরের আয়োজনে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

আশ্বাস-মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের জন্য” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ও উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল হক, বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোঃ মোস্তফা কামাল, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন,

আশ্বাস প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী সুবল কুমার ঘোষ, আশ্বাস প্রকল্পের ফিন্যান্স অফিসার সুমন চন্দ্র, আশ্বাস প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার দিপ্তি রায়, মাহবুবুর রহমান সহ আরো অনেকে।

সভায় প্রকল্পের পরিচিতি, কার্যক্রম, প্রত্যাশিত ফলাফল ও ‘প্রেরণার আলোক শিখা’ শীর্ষক ভিডিও উপস্থাপনের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা উপস্থাপন করা হয় এবং মানব পাচার প্রতিরোধে রেফারেল পাথওয়ে নেটওয়ার্ককে শক্তিশালীকরণ, পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং নারী-পুরুষ উভয়ের পুনর্বাসনে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরা সদর দলিল লেখক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সদর দলিল লেখক সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ১০১ জন ভোটারের মধ্যে ১০০ সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম দীপু। নির্বাচনে সভাপতি পদে শেখ মাহাবুব উল্লাহ ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ রুহুল কুদ্দুস পেয়েছেন ২৮ ভোট।
সহ সভাপতি পদে মাও: মো. মিজানুর রহমান ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম মো. রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নাসির উদ্দীন ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শেখ আজাদ হোসেন পেয়েছেন ৪২ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মহিদুল ইসলাম ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. নাহিদ সুলতান শাহিন পেয়েছেন ৪৪ ভোট।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আবু হাসান ৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মুন্না পেয়েছেন ১৮ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে যথাক্রমে মো. হাফিজুর রহমান ৫৭ ভোট, মো. সামছুর রহমান ৬১ ভোট, মোবাশ্বেরুজ্জামান (টুটুল) ৭৪ ভোট, আব্দুল্লাহ আল মামুন (সাচ্চু) ৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রচার সম্পাদক পদে মো. মোহায়মেনুল আলম (মারকোচ), দপ্তর সম্পাদক পদে আল আমিনুর রশিদ, অডিটর পদে মো. আল মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ পদে শাহাজান আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খলিষাখালী ভ‚মিহীন জনপদে অগ্নিসংযোগ ও বোমা  নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করার প্রতিবাদে সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি : দেবহাটার খলিষাখালী ভ‚মিহীন জনপদে অগ্নিসংযোগ ও বোমা নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করার প্রতিবাদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো: আবু বকর গাজী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিষাখালী এলাকার ভ‚মিহীন জনপদের অসহায় নিরীহ ভ‚মিহীন মানুষ। আমাদের বসবাসের মত কোন জমিজায়গা নাই। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ সি এস ১৮১২ খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক চন্ডিচরন ঘোষের পরিত্যাক্ত ৪৩৯.২০ একর জমি, যা লাওয়ারেশ হিসেবে সরকারী ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে ৬৩৫টি পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিল। এরপর কথিত জমির মালিকরা আমাদের নামে বিভিন্ন সময়ে থানায় ফৌজদারী মামলা দায়ের করে আসছে। উক্ত জমিতে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ে সাবেক জেলা প্রশাসক কে উক্ত জমি দেখভাল করার নির্দেশ দিলেও তিনি তা নেননি বরং তিনি ২৯/১১/২১ তারিখে ভূয়া জাল জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে জমির মালিকানা দাবিদার ব্যক্তিদ্বয়ের পক্ষে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি সম্পত্তি নিজ দখলে না নিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ৬৩৫টি ভ‚মিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করার আদেশ দেন সাবেক জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির। উক্ত আদেশের ভিত্তিতে ভ‚মিহীন ৬৩৫টি পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার ইতিহাসে নজির বিহীন ঘটনা ঘটিয়ে দেন সাবেক জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির।

এই সুযোগে উক্ত সম্পত্তি জবর দখল করে ভোগদখল করেন চিহ্নিত জালিয়াতী কাজী গোলাম ওয়ারেশ দিংসহ একাধিক ব্যক্তিরা। কথিত জমির মালিক ডা: নজরুল ইসলাম, ইকবাল মাসুদ ও আ: আজিজের মত ভ‚মিদস্যুরা।

তারা টাইটেল লুট নং-১৮/২০১০ ও আপিল মামলা নং ২১৬/১২ জমির মালিক দাবি করে এই চক্রটি বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের করে সরকারি সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিল। উক্ত ঘটনাটি সাতক্ষীরা জজ কোর্টের বিজ্ঞ জিপি গাজী লুৎফর রহমানের দৃস্টিগোচর হওয়ার পর থেকে সরকার পক্ষ নড়ে চড়ে বসে এবং উক্ত সম্পত্তি রিসিভার নিয়োগের জন্য উক্ত আদালতের স্বরণাপন্ন হন এবং বিজ্ঞ আদালত উক্ত সম্পত্তি রিসিভার নিয়োগ করেন। ভ‚মিদস্যু ও ভ‚মি জবর দখলকারী জাল জালিয়াতি কাগজপত্র সৃজনকারীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কোন পদক্ষেপ নেননি। উক্ত জমিতে ৬৩৫টি পরিবার বর্তমান বাড়ি ঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছে। ভ‚মিহীনদের পক্ষে আনারুল ইসলাম (সহ ২৮জন) রিট পিটিশন ১৫০০/২০২২ দায়ের করেন এবং হাইকোর্ট থেকে অদ্যবধি স্টাট্যাস্কো বহাল আছে। কিন্তু উক্ত ভ‚মিদস্যু ও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক হত্যা গুম ও ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আকরাম ডাকাত, আয়ুব আলী গাজীর ছেলে কালু ডাকাত ওরফে শরিফুল, জব্বারের ছেলে মোকরম শেখ, সাইফুল, রিয়াজ মৌলভী, শওকাত, কালু গাজীর ছেলে আ: আলিম, বাকু ছিদ্দিক সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত এলাকায় বোমা ফাটিয়ে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। গত ২০মে সকাল ১০টার দিকে ভ‚মিহীন মমতাজ ওরফে ভাদ্রæী,নার্গিস, তুলি, খাদিজা ও মজিদের বাড়িতে যেয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। মমতাজ ওরফে ভাদ্রæীর দুই পা ভেঙে ও হাতে কোপ দিয়েছে উক্ত সন্ত্রাসীরা। পরবর্তিতে ভ‚মিহীন জনপদের লোকজন একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসীদেরকে ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলি করতে করতে চলে যায়। কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয় সদস্য একাধিক হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামী দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামের আ: গফুর ও আতিয়ার ওরফে আকাশ ঘটনাস্থলে জনতার হাতে আটক হয়।

এঘটনায় ওখানকার বসবাসরত ভূমিহীনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এজন্য বসবাসরত ভূমিহীনরা ওইসব ভূমিদস্যু ও তাদের সন্ত্রাসীদের তদন্ত পূর্বক গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার কুমিরার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ শুরু

সাতক্ষীরার কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট কোর্স শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ স্কাউটস, সমাজ উন্নয়ন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ১৯-২৩ মে ২০২৫ অনুষ্ঠিত কোর্সে কোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ স্কাউটস, ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক উপকমিশনার (প্রোগ্রাম ও আন্তর্জাতিক) মোঃ সায়েদ বাসিত। কোর্স সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ স্কাউটস, খুলনা অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান।

প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন এএলটি খানজাহান আলী, এস এম আব্দুর রশিদ, মাগুরা জেলার রওশন আরা পারভীন, বাংলাদেশ স্কাউটস, দিনাজপুর অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, স্বপ্নসিড়ি মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপ এর সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস এর কমিশনার আব্দুল মাজেদ, সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন। প্রশিক্ষণে রোভার স্কাউট ও স্কাউট লিডাররা দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে নিরাপদে বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ চলছে

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলা সাদাসোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ী চাষে সফল উপজেলা। এখানের অধিকাংশ চাষী চিংড়ী চাষের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করে ওজন বাড়ানোর কারবার চলে আসছে। প্রশাসন প্রতারোধে উদ্যোগ নিয়ে থাকলেও বিগত ৭/৮ মাসে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। বরং প্রশাসনের অসাধু দু’ একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে পুশ কারবারের সাথে জড়িতদের সাথে যোগসাজস ও সখ্যকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশের অপতৎপরতা ব্যাপক আকার ধারন করেছে।

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন, কুল্যা ইউনিয়ন, কাদাকাটি ইউনিয়ন, শোভনালী ইউনিয়ন, আশাশুনি সদর, বড়দল, দরগাহপুর, খাজরা, আনুলিয়া, শ্রীউলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের সকল মাছের সেট ও বাজারে কমবেশী পুশকৃত চিংড়ী পাওয়া যায়। সেট বা বাজারের নির্ধারিত স্থানে, আশপাশের কিছু স্পটে ও ব্যবসায়ীদের বাড়িতে প্রতিদিন ঘর বা ছাবড়ার মধ্যে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকরা সিরিঞ্জের মাধ্যমে জেলি বা বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্য পুশ করে থাকে। চিংড়িতে জেলি/অপদ্রব্য পুশ বেড়ড়েই চলেছে, এটা অশনিসংকেত। ওজন বাড়ানোর জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা সিরিঞ্জ দিয়ে চিংড়িতে জেলিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ করেন। জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছে ক্রেতারা তিনভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। প্রথমত: ওজন প্রতারণা; দ্বিতীয়ত: দাম বেশি ও তৃতীয়ত: মাছের গুণগত মান নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া ভেজাল চিংড়ি রপ্তানি হলে দেশের সুনাম নষ্ট হওয়ার সঙ্গে ঝুঁকিতে পড়বে প্রতিযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার সুযোগ।

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ থেকে জানা যায়, চিংড়ি মাছের ভেতরে জেলিসহ অন্যান্য অপদ্রব্য মিশ্রিত চিংড়ি খেলে কিডনি, লিভার ও পাকস্থলীর নানাবিধ জটিলতা তৈরি হতে পারে। জেলির যে রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, সেটা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাছাড়া খাবারের সঙ্গে যেকোনো অপ্রত্যাশিত বস্তু, যা খাবার নয়, সেটা থাকাটাই ক্ষতিকর।

বুধহাটার চিংড়ী চাষী আঃ রাজ্জাক জানান, আমরা লাভের আশায় চিংড়ী মাছ চাষ করে থাকে। নানা প্রতিকুলতা মোকাবলা করে অভিজ্ঞদের পরামর্শ মেনে প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করে চাষ করে থাকি। এক পর্যায়ে মাছ ধরে বিক্রয় করি। আমরা কোন প্রকার পুশ করা, মাছ ভেজান বা অপরাধের সাথে জড়িত হইনা। ফড়িয়া বা ব্যবসায়ীরা এসব অপরাধ করে থাকে। মৎস্য অফিস, প্রশাসন ও থানা পুলিশকে যখন সুযোগ পাই অপরাধ রোধের দাবী জানিয়ে থাকি। কিন্তু কেন জানিনা থামছেনা। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মৎস্য অফিস তথা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুশকারীরা এক প্রকার প্রকাশ্যে অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।

আশাশুনির মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, আমরা পুশকৃত মাছ কিনতে চাইনা, বলতে গেলে ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখার সার্থে বাধ্য হয়েই পুশকরা চিংড়ী কিনতে হয়।

মাছ ব্যবসায়ী ও কাটা ব্যবসায়ী আমিন উদ্দীন জানান, অপদ্রব্য পুশের কারনে মাছ রপ্তানীতে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। মাছের মূল্য নিয়েও অনেক ঝামেলি সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশ থেকে মাছ ফেরৎ পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে। চিংড়ী শিল্প এখন সংকটময় পরিস্থিতিতে রয়েছে। তারপরও কেন জানিনা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে গড়িমশি করছে। মৎস্য অফিস মাঠে নামছেনা। মাঠে নামা পড়ে থাক, তাদের বিরুদ্ধে উৎকোচ লেনদেনের মত অনৈতিক অপরাধের অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে। আর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমান মিলছে, বিগত অর্ধ বছরে অপরাধ রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া।

এব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগর উপজেলা মিডিয়া সেন্টারের উদ্যোগে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ মে) দুপুর ২টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

মিডিয়া সেন্টারের পরিচালক প্রভাষক আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান। তিনি সাংবাদিকতার গুরুত্ব এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম চর্চার ওপর আলোকপাত করে বলেন, “সাংবাদিকতা হলো জাতির দর্পণ। সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে সংবাদ পরিবেশন করাই প্রকৃত সাংবাদিকের দায়িত্ব।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান এবং দেবহাটা নিউজের সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। বক্তারা সাংবাদিকতার নৈতিকতা, তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব এবং গঠনমূলক সমালোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্যামনগর মিডিয়া সেন্টারের সভাপতি হুসাইন বিন আফতাব।

কর্মশালায় শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অর্ধ শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা কর্মশালার বিভিন্ন পর্বে সংবাদ লেখার কৌশল, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নৈতিক সাংবাদিকতা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার উন্নয়নের দাবিতে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা কালেক্টরেট অফিস এর সামনে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সামাজিক ব্যক্তিত্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা,বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম ফারুক,ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু,অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ পাঁড়,অধ্যাপক মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইনটি দ্রুত বাস্তবায়ন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্কারসহ প্রাণসায়ের খালের দুইপার্শ্বে সৌন্দর্যবর্ধন এবং পানি প্রবাহ নিন্ডিত করতে হবে।

এছাড়া সাতক্ষীরা জেলাকে ‘এ’ গ্রেড করার নিমিয়ে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাকে উপজেলা হিসাবে বাস্তবায়ন ও সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসকে দ্রুত চালু করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest