সর্বশেষ সংবাদ-
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সাতক্ষীরা জেলা কমিটি পুর্নগঠনশিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্তআশাশুনিতে পরিচর্চাকারীদের পজেটিভ প্যারেনটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা মুক্তির একমাত্র পথ টিআরএম: আলোচনায় বক্তারাসাতক্ষীরায় তরুণ নেতৃত্বে নির্বাচনী সংলাপ: জনগণকেন্দ্রিক ইশতেহারে স্থানীয় উন্নয়নের চাহিদা উপস্থাপনদেবহাটার টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও আয়াকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে সিভিল সার্জনের মতবিনিময়জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও ক্ষতি হ্রাসে করণীয় বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভায় গাছ লাগানোর আহ্বানতালায় সুপারি বাগানে মিললো বৈদ্য নাথের ম*র*দে*হপবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ

দুর্গাপূজার ছুটিতে মনের ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ থেকে
কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পিকনিক স্পট রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র সেজেছে নতুন রুপে। দর্শণার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তুতিতে নতুন রুপে সাজানো হয়েছে দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার অন্যতম নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর পিকনিক স্পট রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। ইছামতি নদীর কোল ঘেঁষে এ পর্যটন কেন্দ্রটি দুর্গাপূজার উপলক্ষে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদী ইছামতির কোল ঘেঁষে মিনি সুন্দরবন নামে পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রটি দর্শণার্থীদের কাছে বেশ পূর্ব থেকেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ম্যানগ্রোভের মধ্যে কেওড়া, গোল, বাইন, কাঁকড়া, নিম, সুন্দরী, হরকচাসহ নানা প্রজাতির গাছ-গাছালীর মধ্যে হরেক রকমের হাঁস, মুরগী, খরগোশ, বানর, পাখি এনে দিয়েছে এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। নদী ভ্রমণের জন্য আছে নৌকা। স্থলে বেড়ানোর জন্য আছে ঘোড়া।
বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ট্রেন, দেখার জন্য আছে বিভিন্ন কাটুন বা ফেস্টুন আর তার সাথে আছে বাগান ভর্তি ফুল। এবারের দুর্গাপূজায় একটু লম্বা ছুটি থাকার কারনে
মিনি সুন্দরবন দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন বিনোদনপ্রেমী আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। কেউ আসছেন পরিবার পরিচনসহ আবার কেউ আসছেন বন্ধু বা প্রিয় কোন মানুষকে সাথে নিয়ে। এখানে আছে গেস্ট হাউস, নামাজের জায়গা। মহিলাদের নামাজের জন্য আলাদা স্থান আছে। দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে লোকজনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। দুর্গাপূজার শুরু থেকেই  বিনোদন কেন্দ্রে শতশত মানুষের ভিড় পড়ে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন জাতের কবুতর, লাভ বার্ড, কোকাটেল, পাজেরিকা, টিয়া, কালিম পাখি, তোতামুখি, ইমু পাখিসহ বহু পাখির আবাসস্থল হয়ে উঠেছে এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। উপজেলার সদর ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় তিন নদীর মোহনায় ১৫০ বিঘা জমিতে অবস্থিত এই বনের বুক চিরে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অনামিকা লেক, পিকনিক স্পট, শিশুপার্ক, কনফারেন্স রুম, পাকা ট্রেইল, সেলফি পয়েন্ট, প্যাডেল চালিত বোড, ইছামতির পাড়ে বসে সূর্যাস্ত উপভোগের দারুণ সুযোগও এখানে পাচ্ছেন আগত মানুষেরা। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ছাড়াও নতুন ভাবে যোগ হচ্ছে রাত্রিযাপনের জন্য কটেজ। নানামূখি বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা বনটিতে বর্তমানে এই এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
জেলার সদর হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে ইছামতি নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় অবস্থিত এ বনটি। এটি উপজেলার “রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র” নামে পরিচিত। ইছামতি নদীর তীরে ২০১২ পরবর্তী তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডঃ গোলাম মোস্তফা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনম তরিকুল ইসলামের উদ্যোগে সরকারী খাস জমিতে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয় এই রুপসী ম্যানগ্রোভকে। ১৮৬৭ সালে টাউনশ্রীপুর গ্রামটিই এক সময় পৌরসভা ছিল। এখানে বাস ছিল প্রায় ১৮জন জমিদার ও বিখ্যাত ব্যক্তির। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর টাউনশ্রীপুর পৌরসভা বিলুপ্ত হয়। জমিদারীত্বের অবসানের পর বিখ্যাত ব্যক্তিরা কোলকাতা বা অন্যান্য বড় শহরগুলিতে চলে যান। ফলে টাউনশ্রীপুরের সেই শ্রী আর ধরে রাখা যায়নি। তবে সেই সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের বাসস্থান ও অন্যান্য স্থাপনাগুলি এখনো এই এলাকার প্রত্নতত্ব নিদর্শণ হিসেবে থেকে গিয়েছে। এসব কারনে শুধু ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নয় টাউনশ্রীপুর এলাকা ঘিরে রয়েছে পর্যটনের ব্যাপক সুযোগ।
ঘুরতে আসা দর্শণার্থীরা জানান, বনটি ইছামতি নদীর পাড়ে হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এপাশে বাংলাদেশ অপরপাশে ভারত আর মাঝখানে নদী। জায়গাটি অত্যন্ত নিরিবিলি হওয়ায় সব বয়সী মানুষের কাছে প্রিয়। তাছাড়া বিভিন্ন দিবস বা ছুটির দিনে বেশি দুরে না যেয়ে দেবহাটায় এসে সুন্দরবন ভ্রমনেরও স্বাদ পান তারা। নারী ও শিশুদের জন্য স্থানটি খুবই নিরাপদ বলেও দাবি দর্শণার্থীদের। এই স্পটটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ছুটি ও বিভিন্ন উৎসব ঘিরে দিনে ৩/৪ হাজার দর্শণার্থীদের পদাচারনা ঘটে এই বিনোদন কেন্দ্রে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলন সাহা জেলার মধ্যে এই রুপসী ম্যানগ্রোভটি সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে আকর্ষনীয় ও অন্যরকম অনুভূতির জায়গা উল্লেখ করে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এই বিনোদন কেন্দ্রটির নানারকম রুপ দেয়া হচ্ছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে ।
তিনি বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় প্রশাসনের বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এখানে এসে যেমন বিমোহিত হন ঠিক তেমনি সাধারন মানুষও এখানে এসে প্রশান্তি পান। সবদিক বিবেচনা করেই ভ্রমন পিপাসুদের কাছে এই বিনোদন কেন্দ্রটির আকর্ষন অন্যরকম বলে ইউএনও মিলন সাহা জানান। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার সোহেল বলেন, বিনোদন কেন্দ্রে এসে যাতে কেউ কোন প্রকার হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে তাদের স্টাফরা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। দর্শণার্থীদের বিনোদনের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য তরুণদের উদ্ভাবনী সাতটি নিরাপদ পানির উদ্যোগ
 প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরায় বাস্তবায়িত হয়েছে তরুণদের নেতৃত্বে সাতটি উদ্ভাবনী প্রকল্প। এসব প্রকল্প স্থানীয় তরুণদের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে নির্বাচন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন, উন্নয়ন সংগঠন উত্তরণ এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের স্বাধীন জুরি বোর্ড।
ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রকল্পগুলো সাতক্ষীরা পৌরসভা, সদর ও আশাশুনি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিরাপদ পানির নতুন সমাধান পাচ্ছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘যুব অ্যাডভোকেসি কর্মশালায়’এই তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বদরুদ্দোজা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম আজিজুল হক, পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. করিমুল হক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রজেক্ট ম্যানেজার নাসরীন আক্তার, প্রজেক্ট অফিসার এম এম মামশাদ ও আবু বক্কার সিদ্দিকী, উত্তরণের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী, ইয়ুথ এডাপটেশন ফোরামের সহসভাপতি মো. হোসেন আলী, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নির্বাচিত সাতটি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণদের হাতে সনদপত্র তুলে দেয় অতিথিরা।
এসময় উত্তরণের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে যে পানি সংকট তৈরি হয়েছে, তার স্থায়ী সমাধানে তরুণদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের উদ্ভাবনী ধারণা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় ভূমিকা রাখবে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রজেক্ট ম্যানেজার নাসরীন আক্তার বলেন, যুব নেতৃত্বে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পগুলো দেখিয়েছে, তরুণরা চাইলে স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করে টেকসই সমাধান দিতে পারে। নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় তাদের উদ্যোগ ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আয়োজকরা জানান, তরুণদের নেতৃত্বে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠলে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবারগুলো স্থায়ী সমাধান পাবে। তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা ভবিষ্যতে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরের সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে সিরাতুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা আল-আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মেহেদী হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন।

শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা জেলার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস সেক্রেটারী মাওঃ রুহুল আমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহর সাহিত্য সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ আনিসুর রহমান, এইচ ই আর ডি সম্পাদক হাফেজ শারাফাত হুসাইন লিটিলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন বলেন,‘বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাসুল (সা.)-এর আদর্শকে সমাজ ও রাষ্ট্রজীবনে বাস্তবায়ন করা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণের মাধ্যমে আমরা দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ একটি জাতি গঠন করতে পারি। রাসুল (সা.) তার জীবন দিয়ে মানবতার জন্য যে বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছেন, তা ইতিহাসের প্রতিটি স্তরে প্রাসঙ্গিক। তার শিক্ষা শুধু ধর্মীয় নয়, বরং মানবতার কল্যাণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ দিশা।

অনুষ্ঠানে তিনটি গ্রুপ ক এবং খ এর বিজয়ী ৩০ জনকে সনদ ও ক্রেস্ট এবং বই প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন আরও সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় জমিজমা বিরোধে প্রতিপক্ষের আঘাতে এক ব্যক্তি নিহত, স্বামী-স্ত্রী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভাদিয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মান্নান (৭৫) ভাদিয়ালি গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের পুত্র।

আর আটককৃতরা হলেন, একই গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (৫৩) ও তার স্ত্রী মানসুরা খাতুন (৪৮)।

নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল জলিল জানান, হাফিজুলের বিরুদ্ধে একস্থানের জমি বোনদের কাছ থেকে কিনে ভিন্ন স্থানের জমি রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বোনেদের সাথে তাঁর বিরোধ ছিল। প্রতিবেশি হিসেবে আব্দুল মান্নান বোনেদের পক্ষ নেয়। বুধবার সকালে সেই জমিতে হাফিজুলের বোনদের পক্ষ নিয়ে খুঁটি পুততে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় হাফিজুল ও তাঁর সহযোগীদের লাঠির আঘাতে আব্দুল মান্নান ও তার ভাগ্নে আকরামুল ইসলাম ‍গুরুতর আহত হন।পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আব্দুল মান্নান মারা যান।

কলারোয়া থানার এসআই নাসিরউদ্দীন জানান, জমিজমা বিরোধের ঘটনায় মারামারিতে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার বাপ্পি কুমার দাস জানান, মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। পোস্টমার্টেম ও ফরেনসিক রিপোর্টে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
করোনার টিকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ টাইফয়েড এর টিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
শিশু, কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনামূলক প্রচার কার্যক্রম এর আওতায় জেলা পর্যায়ের মিডিয়া কর্মীদের অংশগ্রহণে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক দিনব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে এ দিনব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইজুল হক।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম।
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালায় মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: ইসমত জাহান সুমনা।
বক্তারা বলেন, গুজবের কারনে অনেকেই টিকা শিশুদের টাইফয়েড টিকাদিনে বিরত থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আসলে করোনার টিকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ টাইফয়েড এর টিকা। কারন টাইফয়ের টিকার কার্ড না থাকলে ভবিষ্যতের সমস্যায় পড়তে হতে পারবে। সুতরাং অবশ্যই যার বাড়িতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু কিশোর রয়েছে অবশ্যই তাদের এই টিকার আওতায় আসতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করাটাও খুবই জরুরী।

বাংলাদেশে ২০২১ সালে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার জন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৮ হাজার জন মৃত্যু বারণ করেন। টাইফয়েড রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার ইপিআই এর ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে টিকা প্রদান উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরায় টাইফয়েড টিকাদান করা হবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়স (নবম শ্রেণী) পর্যন্ত। জেলায় ৫ লক্ষ ৭ হাজার শিশুকে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।

এ্যাডভোকেসি সভায় জেলা পর্যায়ের প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনা

দেবহাটা প্রতিনিধি : শিশু শ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে দেবহাটায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের আয়োজনে উপজেলার দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষনা করা হয়েছে। সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ঘলঘলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনা করেন দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল।

সুশীলনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, সুশীলনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মামুন হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার লাভলু খাঁন, দেবহাটা দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর.কে.বাপ্পা, সাবেক প্রধান শিক্ষক আফছার আলী, টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম, সুশীলনের শিশু ফোরামের সভাপতি অনামিকা পাড়, আমাদের টিমের পরিচালক মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ। সভায় ইউনিয়নের প্রতিটি শিশুকে তার অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। সাথে সাথে প্রতিটি শিশু যেন তার ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে পারে সেলক্ষ্যে সকলকে কাজ করার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপি
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) কার্যক্রমের ক্ষতিপূরণের বকেয়া অর্থ দ্রুত প্রদানের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা স্মারকলিপি দিয়েছেন।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয় বছর পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম চালু ছিল। এ সময়ে ১ হাজার ৫৬২ একর জমিতে জোয়ার-ভাটা চলার কারণে কৃষিজমিতে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ সময়ের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও জমির মালিকেরা মাত্র দুই বছরের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকি চার বছরের বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়ে গেছে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, টিআরএম বাস্তবায়নের ফলে কপোতাক্ষ অববাহিকার অন্তত ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। নদী তার নাব্যতা ফিরে পেয়েছে, জীববৈচিত্র্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর কৃষি উৎপাদন বন্ধ থাকায় পাখিমারা বিলের মানুষ সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। কর্মসংস্থানের অভাব, ঋণগ্রস্ততা, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়া এবং চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা বলেন, বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও বকেয়া ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে টিআরএম বন্ধ হয়ে গেছে। কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হয়ে নতুন করে জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পড়ছে বিশাল এলাকা। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের অনিশ্চয়তার কারণে স্থানীয়রা নতুন করে টিআরএম বাস্তবায়নেও অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন।
এ অবস্থায় দ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সময়মতো ক্ষতিপূরণ না দিলে কপোতাক্ষ অববাহিকায় জলাবদ্ধতার তীব্রতা আরও বাড়বে এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চল আবারও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
স্মারকলিপিতে বিল অধিবাসীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পাখিমারা বিল কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আলীম, সহসভাপতি গোলদার আশরাফুল হক, সদস্য শেখ রজব আলী, মো. রাশেদ সানা, মো. ছফেদ আলী সরদার, মো. রেজাউল করিম গাজী, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মো. মফিজুর রহমান।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা’র কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক সমাজ সেবা অফিসার ও বর্তমান বাগেরহাট জেলা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার শেখ শহিদুর রহমান কর্তৃক এক প্রতিবন্ধীর নামে ভিক্ষুক পূর্ণবাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের চরদাহ গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র ওই ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার বরাদ্দকৃত টাকা ফেরতসহ সমাজসেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমানের অনিয়ম দূর্নীতির বিচারের দাবীতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন। তবে, সমাজ সেবা প্রবেশন অফিসার শেখ শহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করে জানান, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা তার মায়ের হাতে দেয়া হয়েছে।

প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে, কালিগঞ্জ উপজেলা ভিক্ষুক পূর্নবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে গত ২০-১০-২০২৪ তারিখে সমাজসেবা অফিস হতে ট্রাই সাইকেল ক্রয় বাবদ আমার নামে ৩০ হাজার টাকা পাশ করা হয়। এছাড়া এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান আমার কাছ থেকে একটি দরখাস্ত নিয়ে তার অফিসের হুমায়ন কবিরকে দিয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, সাতক্ষীরা থেকে আমার নামে একটি ট্রাই সাইকেল গ্রহন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে আমাকে ২৮-১১-২০২৪ তারিখে মাত্র একটি ট্রাই সাইকেল প্রদান করেন। তবে, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন প্রকল্প হতে পাশকৃত ৩০ হাজার টাকা আমাকে প্রদান না করে সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান সেটি আত্মসাৎ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, আমি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অথচ প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে গ্রহনকৃত ট্রাই সাইেকেলটি আমাকে প্রদান করলেও উপজেলা ভিক্ষুক পূর্ণবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কমিটির মাধ্যমে পাশকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা সমাজ সেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমান ময়না আত্মসাৎ করেছেন। তিনি উক্ত আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত ও তার অনিয়ম দূর্নীতির বিচারের দাবী জানিয়েছেন তার আবেদনে।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে অনিয়ম দূর্নিতীর মাধ্যমে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ রোডে গড়ে তুলেছেন আলীশান বাড়ি। গত ৫ আগস্টের পর তাকে শ্যামনগর উপজেলায় বদলী করা হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে সাতক্ষীরা সদর আসনের তৎকালীন এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির খুব আস্থাভাজন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সেখানকার স্থানীয় জনগণ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি সেখানে যোগদান করতে পারেননি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে তাকে বাগেরহাট সমাজসেবা অফিসের প্রবশন অফিসার হিসেবে বদলী করা হয়।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমান জানান, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা তার মায়ের হাতে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত ট্রাই সাইেকেলটি তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest