সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী ও মতবিনিময়আমতলা উদিয়মান ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনসাতক্ষীরায় কায়পুত্র স¤প্রদায়ের ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সভাসাতক্ষীরা শহিদ আব: রাজ্জাক পার্ককে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালাদেবহাটায় তারুণ্যের উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রি বিতরণ ইউএনওরস্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিবিডি সাতক্ষীরার নেতৃত্বে ইব্রাহিম খলিলশ্রীউলায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভাসাতক্ষীরা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ ৪ টি আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত আইনজীবী সমিতিরসাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ: স্বামী আটক

টঙ্গী ইজতেমায় হত্যা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আশাশুনি মানববন্ধন

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আশাশুনিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা উলামা পরিষদ আশাশুনি থানা শাখা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আশাশুনি উলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওঃ মুনছুর আহমেদ।

হাফেজ জায়েদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওঃ মুফতি জায়েদ আব্দুল্লাহ, আঃ আজীজ, ক্বারী মোঃ কাইকাউস, মানছুরুল হক, মুফতি শাহ জালাল, মাওঃ মারুফ বিল্লাহ, মাওঃ মাহদী হাসান, নাজমুল আহসান প্রমুখ। আশাশুনি থানা জিম্মাদার সাজ্জাদুল হক লাভলুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, টুঙ্গী ইজতেমা মাঠে আমাদের সামান্য সংখ্যক কর্মীরা যখন ঘুমের মধ্যে ছিল, তখন নোয়াখালী, সিলেটসহ কিছু এলাকার টোকাই সন্ত্রাসী নিয়ে হাজাররহাজার উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করা হয়।

বহুজনকে আহত করা হয়। জঘন্যভাবে হামলাকারী ও হত্যাকারীরা ইসলামে দাঈ হতে পারেনা। আমাদের এক দফা এক দাবী সাদ গ্রুপ দাওয়াতী তাবলীগের নাম নিয়ে দেশের কোন মসজিদে করতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সকল তৌহিদী জনতার সহযোগিতা ও সজাগ থাকার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শান্তি সম্প্রীতি ও আমরা বিষয়ক আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শান্তি, সম্প্রীতি ও আমরা” শিরোনামে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ ডিসেম্বর বিকালে আস্থা প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য ও স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।

জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের আহবায়ক শেখ সিদ্দিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ আকতার উজ্জামান, এটিএন বাংলার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, রাজনীতিবিদ কামরুল ইসলাম ফারুক, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক শেখ আজাদ হোসেন বেলাল,

সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীল, সময় টিভি স্টাফ রিপোর্টার মমতাজ আহমেদ বাপী, সহকারী অধ্যাপক ভারতেশ্বরী বিশ্বাস, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি, আর টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দুদক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, কবি শাহিদুর রহমান, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, সদর উপজেলা যুব ফোরামের যুগ্ম-আহবায়ক কর্ণ বিশ্বাস। বক্তারা সাতক্ষীরাকে শান্তি, সম্প্রীতির মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এজন্য নাগরিক ঐক্যের প্রতি গুরুত্ব দেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলীপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সদরের আলীপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর রিইব হোপ প্রকল্পের আয়োজনে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও রিইব হোপ প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ কুমার দাসের সঞ্চালনায় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে সামাজিক সমস্যা সমুহ তুলে ধরেন বক্তারা। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, মাদকদ্রব্যের দৌরাত্ম, উচ্ছেদ ঝুকি, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, কমিউনিটি ক্লিনিকে অপর্যাপ্ত ঔষধ প্রভৃতি সমস্যাসমূহ তুলে ধরেন।

উল্লেখিত চিহ্নিত সমস্যা নিরসন কল্পে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন সুজন দাস, অধীর দাস প্রমূখ। চিহ্নিত এ সকল সামাজিক সমস্যা নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, সমস্যাসমূহ তুলে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ কতিপয় উদ্যোগ উল্লেখপূর্বক সিএসও ও ইউনিয়ন পরিষদ এর যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রউফ। মানব সেবায় সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান চান্দু, ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান টুটুল, এবাইদুল্লাহ আল ফারুক, মোছা; মনোয়ারা খাতুন প্রমূখ। সভায় আলীপুর ইউনিয়ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ও সিএসও প্রতিনিধিবৃন্দসহ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, শিক্ষা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটি ও অন্যান্য স্টান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৌরসভা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
নেটজ্ বাংলাদেশ ও বিএমজেড এর সহযোগীতায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর আয়োজনে পৌরসভা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
১৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপ-পরিচালক ডিডিএলজি, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ লিয়াকাত আলী পিএনও সুন্দরবন পলিটেকনিক কলেজের কনফারন্স রুমে গণতান্ত্রিক সংলাপে রিইব হোপ প্রকল্পের এরিয়া সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এবং যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণে সকলকে আহবান জানান।

সাতক্ষীরা জেলায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহবান রেখে উপজেলা গণতান্ত্রিক সংলাপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক ডিডিএলজি,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ লিয়াকাত আলী পিএনও,পৌরসভা, সাতক্ষীরা ।

ফিল্ড ফেসিলেটর সোনিয়া পারভীন এর সঞ্চালনায় পৌরসভার কমিটির অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিহ্নিত সামাজিক সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করেন উপস্থিত সদস্যরা সমস্যা ও ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতাসমুহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সিএসও সদস্যরা আলোচনার ভিত্তিতে পৌরসভার প্রান্তিক গজনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের সামাজিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গণতান্ত্রিক সংলাপে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মানবধিকার সুরক্ষা কমিটির যৌথ পরিকল্পনা গৃহীত হয়। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রতিরোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচীতে অনগ্রসর জনগোষ্টীর প্রবেশদম্যতা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা নিরসনপুর্বক চলতি মৌসুমে চাষ নিশ্চিত করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে স্কুল ক্যাম্পেইন, কম্যুনিটির পুন:বাসন প্রভৃতি বিষয়ে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রতিনিধি অনিমা রানী মন্ডল, নূরজাহান বেগম,রাবেয়া পারভীন, ইয়াসিন আরাফাত,নাজমুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর করুন মৃত্যু

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :

মৃগী রোগী পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফসানা পারভিন (১০) ছোট বোনকে সাথে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যেয়ে ছোট বোন গোসল করে ফিরে আসলেও শিক্ষার্থী আফসানাকে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের রানিতলা গ্রামে। নিহত আফসানা পারভিন রানিতলা গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের মেয়ে।

গোসল করে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুরে জেলে এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যদের জালে ধরা পড়ে আফসানার লাশ।

মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোড়ল জানান, আফসানা প্রতিদিনের ন্যায় ছোট বোনকে সাথে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যায়। শীতের কারণে ছোট বোন গোসল করে দ্রুত ফিরে আসলেও আফসানা একা একা পুকুরে নেমে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে ডুবে করুন মৃত্যু হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্য ও জেলেদের খবর দেওয়া হয়। জেলেদের জাল টানায় আফসানার লাশ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থী আফসানার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন মেয়েটি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। এ বিষয়ে তার পরিবারের কোন সন্দেহ না থাকায় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরায় ট্রাস্টফোর্স অভিযান : ৩ টন রসুন উদ্ধার ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার ভোমরায় ট্রাস্টফোর্স অভিযানে স্থলবন্দরের মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ হতে ৩ টন রসুন উদ্ধার ও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধীনস্থ ভোমরা বিওপির ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজে এ টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে স্থলবন্দরের মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠান দেশীয় রসুন ভারতে পাচার এবং বাজারে মূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরীর জন্য গুদামজাত করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে বিজিডিও-২৫৩ সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস, ১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং সাতক্ষীরা সদর থানার ৮ জন পুলিশ সদস্যের একটি দল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা স্থলবন্দরের মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে। টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনাকালে টাস্কফোর্স দল কর্তৃক মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে ৩ টন রসুন উদ্ধার করে, যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ।

বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, টাস্কফোর্স দল মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের মালিক পংকজ দত্ত’কে দেশের রসুন ভারতে পাচার এবং দেশীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরীর জন্য গুদামজাত করার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।

তিনি আরো জানান, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির কৃত্রিম সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধকল্পে মহতি উদ্যেগে বিজিবির এমন দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জানিয়ে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও কুল্যা ইউনিয়নবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আল ইমরান, সাধারণ সম্পাদক শারাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখার আহবায়ক মো: আল-শাহারিরয়ার, যুগ্ন সিনিয়র সদস্য সচিব নূর আলোম সোহাগ ও জাহাঙ্গীর আলম, নিহতের পিতা রবিউল ইসলাম, মাতা সাবিনা খাতুন, এলাকাবাসীর পক্ষে সুজন হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে আসামিকে ফাঁসির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত শনিবার শিশু রাহিকে বাড়ির পাশে হলুদ ক্ষেতে ডেকে নিয়ে স্বর্নের দুল খুলে দিতে বলে মাদকাসক্ত রেজোয়ান আহমেদ জনি (২২)। এতে সে অস্বীকার করে বিষয়টি বাড়িতে বলে দেওয়ার কথা জানালে রাহিকে হত্যা করে হাত পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরে দুল দুটি বুধহাটা বাজারে বিক্রি করে দেয় ঘাতক জনি। হত্যার শিকার রাহি খাতুন (৯) আশাশুনি উপজেলার ৩নং কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ী গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রি। ঘাতক জনির বাড়ি একই গ্রামে। সে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ঘাতক রেজোয়ান আহমেদ জনি মাদকাশক্ত। নেশার টাকা জোগার করার জন্য এমন নৃংশ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট বিষয়ক গবেষণা: জলাধার খনন-সংরক্ষণ- রক্ষণাবেক্ষণের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় উপকূলে সুপেয় পানি সংকট বিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও সমাধানে করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও গবেষক তানজির কচি এবং সুলতান শাহাজান।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হওয়ার কারণে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বরাবরই সুপেয় পানির সংকট বিদ্যমান। সুন্দরবনের কোলে এ অঞ্চলে জনবসতির শুরু থেকেই মানুষ সুপেয় পানি সংগ্রহের সংগ্রামে লিপ্ত। তৎকালীন সময়ের রাজা, পরবর্তীতে জমিদার ও ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা পুকুর, দিঘি বা কুয়া খনন করে সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণ বা জীবন বাঁচানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। জনবসতি শুরুর পর থেকে অদ্যাবধি শ্যামনগর অঞ্চলের মানুষের জীবনধারণের প্রধান উৎস পুকুর বা দিঘির পানি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এ অঞ্চলে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা, লবণাক্ততার আওতা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে লোনা পানির চিংড়ি চাষের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, পুকুর ও দিঘিগুলো সংস্কার না করা, প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন পুকুর ও দিঘি খনন না করাসহ নানা কারণে শ্যামনগর অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট প্রকট হয়েছে। এই সংকট দূরীকরণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গৃহীত ও বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণের টেকসই কোনো সমাধান হয়নি। বরং এসব উদ্যোগ ঘিরে নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

পুকুর বা দিঘি সুপেয় পানির মূল উৎস হলেও তা রক্ষণাবেক্ষণ বা জনসাধারণের ব্যবহারে যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সরকারি জলমহালগুলো প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে।

সুপেয় পানি সংকট নিরসনে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পিএসএফ স্থাপন বা সংস্কার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণ, রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট স্থাপন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু নানা কারণে আধুনিক প্রযুক্তি সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সফলভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না।

একই সাথে স্বাদু বা মিষ্টি পানির উৎস কমে যাওয়ায় শ্যামনগর অঞ্চলের কৃষিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। স্বাদু বা মিষ্টি পানির উৎস কমে যাওয়ায় লবণাক্তার প্রভাবে কৃষি জমি কমে লোনা পানির ঘেরে রূপান্তর হচ্ছে। ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কৃষকের খরচ বাড়ছে। দিন দিন কৃষি বিমুখ হয়ে পড়ছে মানুষ। হারাচ্ছে পেশা। বর্ষা মৌসুম ব্যতীত অন্যান্য মৌসুমে চাষাবাদ হচ্ছে না। এতে আর্থিক ক্ষতি বাড়ছে। উদ্ভিদ-প্রাণবৈচিত্র্য বিলুপ্ত হচ্ছে। বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলজ বৃক্ষ হ্রাস পাচ্ছে। গবাদি পশু কমে যাচ্ছে। প্রকৃতি থেকে শামুক, কেচো, জোক, ব্যাঙ হারিয়েছে যাচ্ছে। পশু-পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। গাছপালা জন্মাতে অসুবিধা হচ্ছে। স্বাদু পানির কচ্ছপ পাওয়া যাচ্ছে না। জ¦ালানি সংকট বাড়ছে। প্রচুর গরম অনুভূত হচ্ছে। এক কথা নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।

উদ্ভিদ-খাদ্য বৈচিত্র্য কমে যাওয়ায় শ্যামনগর অঞ্চলে অপুষ্টি বেড়েছে। কর্মসংস্থান কমে গেছে। মানুষ পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। বেড়েছে পানিবাহিত চর্মরোগ, রাতকানা, অন্ধত্ব, ডায়ারিয়া, আমাশয়। নারীদের ঋতুকালীন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক কথায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে চিকিৎসা খরচও।

সুপেয় পানির সংকট নিরসনে শ্যামনগরের মানুষের শেষ ভরসা পুকুর। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙন ছাড়াও অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ও মৎস্য ঘেরগুলোর আউট ড্রেন না থাকায় ঘেরের লোনা পানি চুইয়ে চুইয়ে মিষ্টি পানির পুকুরগুলো লবণাক্ত করে তুলছে। অনেক পুকুর দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয় না, আছে অযতœ অবহেলায়। অনেকগুলো ভরাট হওয়ার উপক্রম, কিছু কিছু মজে গেছে। অনেকগুলোর পানি এখন আর খাওয়া যায় না। অনেকগুলোই প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করছেন। এসব পিএসএফ বা পুকুরগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কমিটিগুলো সক্রিয় থাকায় তদারকির অভাব রয়েছে।

সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভব এই বিশ^ায়নের যুগে মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করলেও শ্যামনগর অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে তা অনেকটা অকার্যকর। কারণ শ্যামনগর উপকূলে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্লান্টও অকেজো হয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপর বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে। বা এর পরিচালন ব্যয় ও কারিগরি সক্ষমতাও উপকূলবাসীর জন্য সহায়ক নয়। এছাড়া রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম পরিবেশসম্মত প্রযুক্তি হলেও তা সারাবছরের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কার্যকর। এছাড়া অনেকেই অ্যাসবেস্টস এর ছাউনি (চাল) থেকে বৃষ্টির পানি ধরে খায়, যা মানবজীবনের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। এর বাইরে পন্ড স্যান্ড ফিল্টার ও বায়ো স্যান্ড ফিল্টার মূলত পুকুর নির্ভর।

গবেষণায় শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যবহার্য পানির সংকট মোকাবেলায় নি¤œলিখিত সুপারিশ করা হয়, প্রতিটি গ্রামে বড় বড় পুকুর বা জলাধার খনন, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। পুকুর বা জলাধারগুলো অবশ্যই দুর্যোগ সহনশীল হতে হবে। পুকুর বা জলাধারগুলোতে যেন বন্যা বা প্লাবনের পানি প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অবশ্যই পাড় প্রয়োজনীয় উচ্চতা ও প্রস্থ বিশিষ্ট এবং মজবুত হতে হবে। বিদ্যমান ও নতুন করে খননকৃত পুকুর বা জলাধারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য স্থানীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। পুকুর ভরাট নয়, আরও পুকুর খননে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে লবণ পানির চিংড়ি চাষ বন্ধ করে নীতিমালা অনুযায়ী চিংড়ি চাষে বাধ্য করতে হবে এবং লবণ পানির মাছ চাষের জন্য জোনিং সিস্টেম প্রবর্তন করতে হবে। চিংড়ি ঘেরগুলোতে অবশ্যই কার্যকর আউট ড্রেন রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে ঘেরের পানি পাশর্^বর্তী পুকুর বা কৃষি জমিতে চুইয়ে যেতে না পারে। বিদ্যমান পুকুর বা জলাধারগুলো প্রকৃত রূপে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। উপজেলার জলমহাল ঘোষিত খালগুলোর ইজারা বাতিল করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এসব খালে লবণ পানি উত্তোলন করা যাবে না। খালগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে কৃষিসহ নানামুখি ব্যবহারে উন্মুক্ত করতে হবে। উপকূল রক্ষা বাঁধ টেকসই ও মজবুত করতে হবে। সুপেয় পানির সংকট নিসরনে বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ পুকুর বা জলাধার খনন, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করতে হবে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ।

অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম ফারুক, সাংবাদিক ও গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সনাক-সাতক্ষীরার সভাপতি হেনরী সরদার, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, এম কামরুজ্জামান, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, গোলাম সরোয়ার, আহসান রাজীব, গাজী আল ইমরান, মো: কামরুজ্জামান, শেফালী বেগম প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, শ্যামনগর অঞ্চলের পানির সংকট নিরসনে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest