সর্বশেষ সংবাদ-
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সাতক্ষীরা জেলা কমিটি পুর্নগঠনশিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্তআশাশুনিতে পরিচর্চাকারীদের পজেটিভ প্যারেনটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা মুক্তির একমাত্র পথ টিআরএম: আলোচনায় বক্তারাসাতক্ষীরায় তরুণ নেতৃত্বে নির্বাচনী সংলাপ: জনগণকেন্দ্রিক ইশতেহারে স্থানীয় উন্নয়নের চাহিদা উপস্থাপনদেবহাটার টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও আয়াকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে সিভিল সার্জনের মতবিনিময়জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও ক্ষতি হ্রাসে করণীয় বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভায় গাছ লাগানোর আহ্বানতালায় সুপারি বাগানে মিললো বৈদ্য নাথের ম*র*দে*হপবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ

প্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল আজ দখল, দূষণ ও অব্যবস্থাপনায় মৃতপ্রায়। অথচ একসময় এই খালই ছিল জেলার কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ ও জনজীবনের প্রধান ভরসা। খাল রক্ষায় কসাইখানা স্থানান্তর, দূষণকারী প্রতিষ্ঠান অপসারণ, দখলমুক্তকরণ ও স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের পাকা পুলের উপর মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ‘প্রাণসায়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ’।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এক সময় প্রাণসায়ের খাল ছিল সাতক্ষীরার প্রাণ। এই খাল দিয়েই যোগাযোগ, কৃষি, মৎস্য ও জনজীবন সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু দখলদারদের কবলে পড়ে আজ খালটি প্রায় মৃত। খালের দুই তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। কসাইখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছড়াচ্ছে ভয়াবহ দূষণ। ফলে খালের পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে খাল দখলমুক্ত, কসাইখানা স্থানান্তর ও খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি পল্টু বাসার। বক্তব্য রাখেন প্রাণসায়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি প্রফেসর মোজাম্মেল হক, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রাণসায়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের ও দেশ টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, চ্যানেল ২৪-এর আমেনা বিলকিস ময়না, পরিবেশ সংগঠন বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, প্রভার নির্বাহী পরিচালক শাম্মী আক্তার কুমকুম, প্রাণের বাংলাদেশের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি নাজমুল আলম মুন্না, প্রাণসায়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের বায়েজিদ, প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মাহবুব, আশিষ ও গিটারিস্ট পিনাক প্রমুখ।

প্রফেসর মোজাম্মেল হক বলেন, “প্রাণসায়ের খাল শুধু একটি খাল নয়, এটি সাতক্ষীরার অস্তিত্ব। খালের বুক চিরে কসাইখানা চালু করার সিদ্ধান্ত জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, “প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নীরব ভূমিকার কারণেই দখলদাররা খাল গিলে খাচ্ছে। জনগণ এবার জেগে উঠেছে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন বলেন, “খালই যদি না থাকে, সাতক্ষীরার পরিবেশ টিকবে কীভাবে? আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।”

শাম্মী আক্তার কুমকুম বলেন, “খাল দখল ও দূষণে প্রতিদিন মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। শিশুদের খেলাধুলা, মাছের আবাস, কৃষির সেচ সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এটি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।”

বক্তারা প্রাণসায়ের খালকে “সাতক্ষীরার লাইফলাইন” আখ্যায়িত করে বলেন, এই খাল রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকবে প্রশাসন। প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তারা।

‘প্রাণসায়ের ও পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ’ এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে এই বিষয়ে বেলা হাইকোর্টে রিট করেছেন। রিটকে তোয়াক্কা না করে সাতক্ষীরাবাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রাণসায়ের খালের ধারে কসাইখানার জন্য দরপত্র আহবান করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এটি হুমকি স্বরূপ দেখছেন সাতক্ষীরার সচেতন নাগরিক মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস 

তালা  প্রতিনিধি :
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, “আমরা জোর করে নয়, জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এবার আর দিনে ভোট, রাতে গণনা হবে না। আমার ভোট আমি নিজেই দেব। ২০১৮ সালে প্রার্থী থাকাকালে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেছিলাম আমার ভোট আগে থেকেই দেওয়া হয়ে গেছে। সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।”

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ফুটবল মাঠে উপজেলা মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, “আজকের বিপুল মহিলা সমাবেশ প্রমাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারী ভোটাররা বিএনপির পক্ষেই রায় দেবেন। নারীর অধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব। প্রধান বক্তা ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও খুলনা বিভাগীয় টিম লিডার নেওয়াজ হালিমা আর্লি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক কাজী আলাউদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মো. মনিরুজ্জামান, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রেহানা খানম, অধ্যক্ষ রইছ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ গোলাম মোস্তফা, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেকা হক কেয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মীর্জা আতিয়ার রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক মেহেরুন নেছা মিনি এবং পরিচালনা করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান।
সমাবেশে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নেতাদের মতে, এই বিপুল জনসমাগম প্রমাণ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটের সমীকরণ ধানের শীষের পক্ষেই যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিব

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খলিশখালী বাজারে এ সম্মেলন হয়।

সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ নুর আহম্মাদকে সভাপতি, শেখ আব্দুল হান্নানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নুর আহম্মাদ। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মেহেদী হাসান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। বক্তব্যে তিনি বলেন,
“আমি কখনো অন্যায় কাজ করি না, নির্বাচিত হলেও কোনো অন্যায় কাজে জড়াবো না এবং কাউকে অন্যায় কাজে প্ররোচিত করবো না। আমি এলাকায় উন্নয়ন করেছি—পাটকেলঘাটাকে থানা করেছি, এবার এটিকে উপজেলা করার লক্ষ্য নিয়েছি। আমি যা বলি তা-ই করি; যদি না করতে পারি, তবে আপনাদের কাছে ভোট চাইবার নৈতিক অধিকার থাকবে না। এক দিনে আমি ৩৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি, কিন্তু কারো কাছ থেকে এক টাকাও নিইনি। তাই আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন—এটাই আপনাদের ও আমার শক্তি।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হাসান হাদী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মস্তফা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মীর্জা আতিয়ার রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান প্রমুখ।

আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে খলিশখালী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলন শেষে নতুন নেতৃত্বকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন এবং তাদের নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধন

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার শোভনালীতে ইউনিয়ন নারী পাচার প্রতিরোধ কমিটির দ্বিমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‎রূপান্তরের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। প্রধান অতিথি ইউনিয়ন পরিষদে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক তথ্য কর্ণার ও প্রবাসী কল্যাণ হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন। পরে জেলা সিটি আইপি সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মাসুদ করিমের পরিচালনায় সভায় বিগত সভার রেজুলেশন পাঠ করেন, কমিটির সদস্য সচিব ও ইউপি সচিব মোঃ মতিউর রহমান। সভায় বক্তারা বলেন, মানব পাচারের ফলে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে যখন কেউ দেশে ফিরে আসেন, তখন তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নানা সেবা প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করতে সার্বিক নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

এছাড়া আগামী দুই মাসের করনীয় কার্যক্রম, মানব পাচারের ধরণ, পাচারের কৌশল, ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটিতে করনীয় এবং জনসচেতনতা মূলক সভা সেমিনারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধ খাতে বরাদ্ধকৃত বাজেট ব্যাবহার করার জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়। সভায় রূপান্তরের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার দিপ্তী রায় ও সার্বিক ব‍্যবস্থাপনায় ছিলেন কমিউনিটি ফ‍্যাসিলিটেটর কুমারেশ মন্ডল। ‎উল্লেখ্য, আশ্বাস প্রকল্পটি সুইজারল্যান্ড আ্যম্বাসিডরের সহযোগীতায় ও উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে রূপান্তর সাতক্ষীরা জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ১৫২নং গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে দুর্নীতি, দায়িত্ব অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যেগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অত্র স্কুলের পাশের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ আহসান হাবিব, মোঃ আজহারুল সরদার, মাওঃ রফিকুল ইসলাম, বাদশা ইমরান, মোঃ আলিম সরদার, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন আনারুল ইসলাম বিদ্যালয় চলাকালীন বেশিরভাগ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তিনি বিদ্যালয়ের টিন, ল্যাপটপ, কাঠ, পানির ট্যাংকি ইত্যাদি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন, যা এখনো ফেরত আনেননি। পরীক্ষার ফিস বাবদ এমনকি কাপ স্কাউটের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেন। প্রতিবছর বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, খাতা, কাগজ, লোহার দরজা, টিন ইত্যাদি বিক্রি করে সে টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডের টাকা দৃশ্যমান কোন কাজ না করে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। বৃষ্টি হলে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে এমনকি কিছুদিন আগে টানা বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষে মেঝেতে পানি ওঠার কারণে পাঠদান বন্ধ থাকে। বিকল্প কোন পাঠদানের ব্যবস্থা না করে শিক্ষকরা অফিসে অলস সময় পার করেন।

বক্তারা আরো বলেন এই শিক্ষককে দ্রুত বদলি করে একজন সৎ, কর্মঠ, যোগ্য ও দক্ষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি মানবাধিকার সংগঠন স্বদেশ ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর আয়োজনে ‘‘জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষ এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্টীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ’’ প্রকল্পটি দাতা সংস্থা এম্বাসি অব সুইজারল্যান্ড ও গেøাবাল এফেয়ার্স কানাডা এর অর্থায়নে মানবাধিকার , নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী পুরুষ ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ক্ষমতায়িত করার লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ডিজিটাল কর্ণার রুমে স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে এক গোলটেবিল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল হক। গোল টেবিল সভায় সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহনে এক কদমের সেবা নিশ্চিত করা, নাগরিকদের সাথে সৌহার্দ সুষ্টি করে সেবা প্রদান করা, বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দুর করতে বিভিন্ন কমিটিতে যোগ্য নাগরিকদের অর্ন্তভুক্তি, মৌলিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নীতিমালার সঠিক প্রয়োগ, সুবর্ন নাগরিক সহ অক্ষম ব্যক্তিদের অগ্রধিকার প্রদান, সরকারি বেসরকারি অফিসের সিটিজেন চার্টার ও ওয়েবসাইট নবায়ন, যুব ও তরুনদের জন্য অভিগম্যতা সৃষ্টি, বিভিন্ন স্থানে সাতক্ষীরাতে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্কৃতির উন্নয়ন ও আত্মচর্চা বৃদ্ধির জন্য ব্যপক প্রচারনা এবং নাগরিকদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারী সেবাপ্রদানকারী সংস্থার বিভিন্ন হয়রানি হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীর সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই তুফান দুলাল মÐল, সদর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আবুল হোসেন, পি আই ও মো: শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যণ ব্যানাজী, এ্যাড: নাজমুন নাহার, সাকিবুর রহমান বাবলা, স্কুল শিক্ষক মো: মোমিনুল ইসলাম ও আশরাফুর রহমান, ক্রিসেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিক,জেলা কাজী সমিতির সভাপতি শেখ মাহবুবর রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্র সুফাসেক প্রকল্পের প্রোজেক্ট ম্যানেজার শিল্পী শর্মা, নাগরিক কমিটির সদস্য আলী নূর খান বাবলু, ইূয়ুথ গার্লস গ্রæপের আহবায়ক শাহানাজ পারভীন।্ সভাটি পরিচালনা করেন স্বদেশ প্রোগ্রাম অফিসার মো: আজাহারুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

তালা প্রতিনিধি :
কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত জোয়ার-ভাটা তথা টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় পাখিমারা টিআরএম বিল কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আঃ সালাম গণগ্রন্থাগার হল রুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রীমন্তকাটি গ্রামের গোলদার আশরাফুল হক।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম তথা জোয়ারাধার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকাকে জলাবদ্ধ মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে পাখিমারা বিল অধিবাসীদের। ২০১১-১২ অর্থবছরে টিআরএম কার্যক্রমের আওতায় পাখিমারা বিলের চারিধারে পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ এবং বিলের সাথে জোয়ার-ভাটা যুক্ত করার জন্য সংযোগ খাল খনন করা হয়। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৬বছর এ বিলের ১৫৬২ একর জমিতে জোয়ার-ভাটা কার্যক্রম চালু রাখা হয়। বিলে জোয়ার-ভাটা চালু রাখার মেয়াদ পর্যন্ত জমির মালিকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। বিলে ৬ বছর টিআরএম বাস্তবায়িত হয়েছে কিন্তু জমির মালিকদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে মাত্র ২ বৎসরের। অনুমোদিত অর্থ এবং ৪ বৎসর বরাদ্দ না পাওয়া টাকা সব মিলিয়ে সরকারের কাছে জনগণের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ৪৮ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকার অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘদিন যাবত ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত ছিল। প্লাবিত হতো ফসলী জমি, মৎস্য ঘের, বসতি এলাকা, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন সেক্টর। এলাকা থেকে ভুক্তভোগী মানুষ স্থায়ী অস্থায়ী ভাবে চলে যেতো অন্য জায়গায়। মানুষের সীমাহীন এই দুঃখ কষ্টের কথা বিবেচনা করে আমরা পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়নে আমরা সম্মত হয়েছিলাম। টিআরএম বাস্তবায়ন দ্বারা কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ১৫ লক্ষ অধিবাসী প্রত্যক্ষভাবে এবং প্রায় ৪০ লক্ষ অধিবাসী পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। এলাকার নদী তার জীবন ফিরে পেয়েছে এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা পাখিমারা বিল অধিবাসীরা সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে পড়েছি। ৬ বৎসর যাবৎ এলাকার জনগণ ফসল উৎপাদন করতে পারিনি, এলাকায় কর্মসংস্থানের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। অর্থাভাবে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষ ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এবং অভাব অনটনের মধ্যে অর্ধাহার অনাহারে মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। যদি সরকারের নিকট থেকে বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় তাহলে এলাকার মানুষ এ সমস্যা থেকে কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সক্ষম হবে।

ভুক্তভোগিরা আরো বলেন, বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবীতে ইতিপূর্বে পাখিমারা বিল অধিবাসীরা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয় এখনো কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এ সময় তারা সরকারের নিকট থেকে যাতে বকেয়া ক্ষতিপুরণের অর্থ দ্রæত পেতে পেতে পারে এবং নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য বিভিন্ন এলাকায় টিআরএম ব্যবস্থা আবার চালু হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, পানি কমিটির নেতা জি এম শহিদুল্লাহ, উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবে সভাপতি এম এ হাকিম, উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তালা প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক ফারুক হোনেস, উত্তরণ কর্মকর্তা দিলীপ সানা, টিআরএম বিল কমিটির আব্দুল আলীম, রাশেদ সানা,ছফেদ আলী সরদার প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা এগারটায় পুলিশ ‍সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এসময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মুকিত হোসেন খানসহ অন্যন্য কর্মকর্তা ও জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু কেউ যদি অপপ্রচার, গুজব বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায় কিংবা পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, জঙ্গিবাদ দমন, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অপরিহার্য। সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে পুলিশি সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest