সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

বিডিএফ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চলমান গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিডিএফ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিডিএফ প্রেস ক্লাব হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার ধুলিহর প্রতিনিধি ও বিডিএফ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন বাবু।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে মাস্টার হাবিবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক সহিদুর রহমান, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা জাকির হোসাইন, ও ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুস সালাম, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ওসমান গনি, ধুলিহর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি আ: করিম,জামায়াত নেতা মনিরুল ইসলাম ফারুকী,রফিকুল ইসলাম, হাফেজ নজরুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ।

সভায় বক্তারা চলমান কর্মসূচির গুরুত্ব, উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বপ্ন সিঁড়ি’র ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার প্রাক্তন রোভার স্কাউটদের সংগঠন স্বপ্নসিড়ি’র ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের জনপ্রিয় মিলনস্থল ‘কফিভিলা’-তে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বপ্নসিড়ির সভাপতি নাজমুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আজিজুর রহমান পলাশ। তিনি রোভার স্কাউট আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “রোভার স্কাউটিং শুধু একটি আন্দোলন নয়, এটি মানুষের জীবনে নেতৃত্ব, সমাজসেবা ও মূল্যবোধের শিক্ষার একটি পথ।”

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা রোভার স্কাউটসের প্রাক্তন সম্পাদক এ এস এম আব্দুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ কাজী আব্দুস সবুর, স্বপ্নসিড়ি মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপের সভাপতি প্রভাষক আশরাফ হোসেন, উপদেষ্টা জামাল উদ্দিন আ ন ম মুরাদুজ্জামান ও সংগঠনের অন্যান্য সিনিয়র সদস্যবৃন্দ।

আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সভাপতি মুহা. আলতাফ হোসেন, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ, এস এম বিপ্লব হোসেন, সালাউদ্দিন রানা, আবু সাইদ, জাহারুল হুদা, মাসুদুর আলম, ওহেদুজ্জামান সোহাগ, আল শাহরিয়ার অনিক, বেগম নিশাত আনম, করিমন নেছা শান্তা, বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারেক ইসলাম, আল ইমরান সুমন প্রমুখ।

আলোচনা সভা ও বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “স্বপ্নসিড়ি শুধু প্রাক্তন রোভারদের একটি সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবার। এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।”
পাঁচ বছরে পথচলার অভিজ্ঞতা এবং আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে আয়োজকরা জানান, সমাজসেবা, স্কাউটিং কার্যক্রম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাড়া দেওয়ার মতো কার্যক্রম আরও সংগঠিতভাবে চালিয়ে যাবে স্বপ্নসিড়ি।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয় এবং আগত অতিথিদের নিয়ে এক হৃদ্যতাপূর্ণ আড্ডার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় শুভ সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উপজেলা পরিষদের কর্মচারী সাবের মিস্ত্রির পুকুর থেকে ৩৪ পিচ হাসুয়া উদ্ধার

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানা পুলিশ গত ২০ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময নকিপুর গ্রামের ছাবের মিস্তির বাড়ির পুকুর থেকে বস্তার মধ্যে রাখা ৩৪পিচ কাঠের বাট সহ মরিচা ধরা ২ ফুট লম্বা হাসুয়া উদ্ধার করেছে।

সাবের মিস্ত্রি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মচারী। সাবেক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এর সময় সাবের মিস্ত্রি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে।

তার শশুর বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তহারা আলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি গাজী মোরছেদ আলী ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রহমত আলী তার শালা, তাদের সংঘবদ্ধ দল নিয়ে রাতের আঁধারে ও প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র পরিদর্শন করে শ্যামনগর সদরে ডাক্তার আনিসুর রহমানের উপরে হামলা, ও নগর প্রাইভেট হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর , শ্যামনগর সদর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

থানা মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম মাওলানা জোবায়ের হোসেন জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরী, একই এলায় গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর করে সুজা মাহমুদ জায়গা দখল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক জায়গাও দখল সহ শ্যামনগর সদর ও পদ্মপুকুরে হিন্দুদের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে। এই পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ছাবের মিস্তি ও তার শালক তৎকালিন শেখ রাছেল শিশু কিশোর পরিষদ এর সভাপতি রহমত উক্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গা দখল করছিল। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া উদ্ধার হয়েছে, এ বিষয তথ্য অনুসন্ধান চলছে পাইলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক গাজী জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সময় আমার জায়গা দখল করে, এ ঘটনায় আমি একটি মামলা করি, সেই মামলায় রহমত আলী সাজাপ্রাপ্ত আসাম।

শ্যামনগরে এক ক্লিনিক কর্মকর্তা জানান, আমাদের হাসপাতালে হামলার ও ভাঙচুরের মামলায় তারা এজাহার ও অরেন্ট ভুক্ত আসামি।

সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত একজন জানান আমার ডিউটি চলাকালীন সময় এই সকল লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা নিতে আস রোগীদের উপরে হামলা চালায়। যার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

স্থানীয় কয়েকজন শ্যামনগর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুধু পুকুর নয় সাবের মিস্ত্রির বাড়ির ভিতর রহমতের ঘর ও মোকছেদের পরিত্যক্ত ঘরে অভিযান চালালে এ ধরনের আরো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা যেত। এই সকল অস্ত্রের ঝন ঝানানি দেখিয়ে শ্যামনগরের বিভিন্ন অঞ্চলে জগলু হায়দারের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমিহীন এর প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে হিন্দু মুসলিম অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে জায়গা দখল ও অর্থ আদায় করেছে।

এই পরিবারের সদস্যরা এমনকি মসজিদের জায়গাও ছাড় দেয়নি, যার কারণে স্থানীয় একটি গজী পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হামলা, মামলা, জায়গা দখ অব্যাহত রেখেছিল।

গত ৪ এপ্রিল ডেভিল হান্ডে আটক সাবের মিস্ত্রির ছেলে
মোঃ সামিউল ইসলাম মুন্না কে আটক করে শ্যামনগর থানা পুলিশ। বিগত কয়েক বছর আগে এই মুন্নাকে সেরে রেখে সারচ্ছু গাজী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অপহরণের মিথ্যা মামলা করেন বলেন এলাকাবাসী এবং তাদের আইনের আওতায়নে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ২৭ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ভারতীয় রূপা জব্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে ২৭ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের প্রায় ১৩ কেজি ভারতীয় রুপা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার সকালে কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়ালী সীমান্ত থেকে উক্ত রুপা গুলো জব্দ করা হয়। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।

সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে রুপার একটি বড় চালান পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের হাবিলদার আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল কলারোয়া উপজেলার উত্তর ভাদিয়ালী সীমান্তে অভিযান চালায়।

এ সময় সেখানে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা ব্যাগটি তল্লাশি করে ১২ কেজি ৯৭৫ গ্রাম রুপা জব্দ করে। জব্দকৃত রূপার বাজার মূল্য ২৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৫০ টাকা। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ জব্দকৃত রুপা সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরা ও কলারোয়া উপজেলার ভোমরা, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা ও মাদরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ি, বোরকা, ঔষধ ও সাবানসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদ ও নববর্ষ পূর্নমিলনীর আড্ডায় সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের ঈদ ও নববর্ষ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের ম্যানগ্রাভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনীতে সাংবাদিকরা তুমুল আড্ডায় মেতে ওঠেন। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর গুরুত্বারোপ করে তারা এসময় ঐক্য ও সংহতি কামনা করেন।

তারা বলেন, সাংবাদিকতা মহান পেশা এবং সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির উন্নয়নের সারথি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করাই সাংবাদিকদের প্রধান উদ্দেশ্য। দেশের জনগণ তথা সর্বোপরি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সাংবাদিকরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে।

বক্তারা আরও বলেন, ভ্রাতৃৃত্ববোধ, পেশাগত সহযোগিতা ও একতাবদ্ধ হয়ে জাতীয় ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কলম চলবেই।

অনুষ্ঠানে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম, প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, সময় টিভির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, এটিএন বাংলার এম কামরুজ্জামান, সাপ্তাহিক সূর্যের আলোর সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, দৈনিক জনতার কালিদাস রায়, সাংবাদিক ড. দিলীপ দেব, বৈশাখী টিভির শামীম পারভেজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি ও বাংলাদেশ বেতারের আবুল কাশেম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাভিশন টিভির আসাদুজ্জামান আসাদ, কালের কণ্ঠের মোশাররফ হোসেন, সংবাদ সংস্থা এফএনএস ও ডেইলি কান্ট্রি টুডে’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এবং দৈনিক পত্রদূতের বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, দৈনিক কাফেলার চিফ রিপোর্টার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, দৈনিক খবর সংযোগ ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, একাত্তর টিভির বরুণ ব্যানার্জী, খোলাকাগজের ইব্রাহিম খলিল, ডেইলি বাংলাদেশ এক্সপ্রেস’র ফারুক রহমান, দৈনিক প্রবর্তনের কাজী জালালউদ্দিন মামুন, বাংলানিউজের শেখ তানজির আহমেদ, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজের আব্দুস সামাদ, সাপ্তাহিক মুক্ত-স্বাধীন সম্পাদক আবুল কালাম, মাইটিভির ফয়জুল হক বাবু, ডিবিসির এম বেলাল হোসাইন, দৈনিক খুলনা টাইমস্ ও দৈনিক মানবকণ্ঠের মেহেদী আলী সুজয়, ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলাট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, কালেরচিত্রের আশরাফুল ইসলাম খোকন প্রমুখ। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মাছরাঙা টিভি ও আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার জেলা সংবাদদাতা আবু সাইদ বিশ্বাস, ডিবিসি টিভির জেলা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মীর আবু বকর, আনন্দ টিভির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মোঃ হাসানুর রহমান হাসান, দিন প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, গ্লোবাল টিভির প্রতিনিধি রাহাত রেজা, গণজাগরণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আনিছুর রহমান, দৈনিক লাখ কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ হোসেন, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহজান মিঠু, দৈনিক সোনালি কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার খুলনার বিভাগীয় প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ খবর প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ হাফিজ,

প্রতিনিধি দেশ বুলেটিন পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টর সাইদুল বাশার, দৈনিক পরিবর্তন পত্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পাদক জাহিদুল বাশার,পাটকেলঘাটা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল হক খান, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আঃ আলিম, দৈনিক রানার পত্রিকার দেবহাটা উপজেলার প্রতিনিধি মোঃ সিদ্দিক, জবাবদিহি পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি আঃ রাজ্জাক, চ্যানেল এ ওয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মোকাররাম বিল্লাহ, বিশ্ব বাংলা চ্যানেলের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর,এখন টিভির ক্যামেরা পারসন মনা,কালের চিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার গাজী হাবিব, ক্রাইম বার্তার স্টাফ রিপোর্টার সাইদুল হোসেন ও মিজানুর রহমান নন্দিত টিভির বার্তা সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কর্মসূচিতে কয়েকশ সাংবাদিক অংশ নেয়।

মানবন্ধনে বক্তরা বলেন, আশাশুনি থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই শ্যামাপ্রসাদ রায়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার আরিফুল ইসলামকে দফায় দফায় কৈফিয়েত তলব, মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন স্থানীয় যুবনেতা আবু জাহিদ সোহাগ ও সাবেক যুবনেতা সাদিক আনোয়ার ছোট্টু ।

প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক আরিফুল আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ৪১৯, তাং ১১/৩/২৫) করেন। এঘটনার জের ধরে মাজেদা খাতুন নামে কথিত এক নারী সাতক্ষীরা কোটে সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানাকে এফ আই আর’র গ্রহণের নির্দেশ দেন। সাংবাদিক নেতারা বলেন, আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি মূলক মামলার বাদী মাজেদা এবং মদদ দাতা কথিত আবু জাহিদ সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে বদলে যাচ্ছে মানচিত্র- হুমকির মুখে রুপসী ম্যানগ্রোভ

দেবহাটা প্রতিরিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটা ইছামতি নদীর বিরামহীন ভাঙনে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের ভূ-খন্ড। একসময়ের ঐতিহ্য আর ইতিহাসের স্বাক্ষী দেবহাটা তথা দেশের ভূখন্ড হারানোর সাথে সাথে পরিবর্তন, পরিবর্ধন আর সংকুচিত হচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র। এক সময়ের ইতিহাস ঐতিহ্য আর সমৃদ্ধির প্রতিমুখ সোনালী অতীতের মুখছায়া ইছামতি ছিল ব্যবসা নির্ভর নৌপথ।

যার কারনে এখানে গড়ে উঠেছিল বানিজ্যিক কেন্দ্র, স্থাপিত হয়েছিল টাউনশ্রীপুর পৌরসভা। যেটি ছিল তৎকালীন সময়ে দেশের মধ্যে চতুর্থ পৌরসভা। ইছামতি নদীর কল্যাণে অর্থনীতিতেও বইছিল সুবাতাস। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের নদী শাসন, নদী ভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আর অন্যদিকে ইছামতি নদীর ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কালক্ষেপন, অদুরদর্শিতা, অনিয়ম, দূর্নীতি সর্বোপরি কোন কোন অংশে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিবেশী দেশের বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন কারণে বিগত দিনগুলোতে ভেঙেছে ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধ। ফসলি জমি, জনপথ স্থাপনা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইছামতির করাল গ্রাসে শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ ভারত বিভক্তিকরণ ইছামতি নদী বর্তমান সময়ে হাজারো সীমান্ত পারের গ্রামবাসির উদ্বেগ, আতঙ্ক আর হুমকির কারণে পরিণত হয়েছে। আর বিগত সময়ে এই প্রবল ভাঙনের করাল গ্রামে ইছামতির গর্ভে তলিয়ে দেবহাটার রাজনগর নামে একটি মৌজার সমস্ত জমি। এই ভাঙ্গনের ফলে দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার একটি মনোমুগ্ধকর নান্দনিক পিকনিট স্পট রুপসী ম্যানগ্রোভ, থানা ভবনটিও বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে।

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ, দেবহাটার কোমরপুর, ভাতশালা, টাউনশ্রীপুর, চরশ্রীপুর, সুশীলগাতি, উপজেলা সদর, বসন্তপুর, নাংলা এলাকার অধিকাংশ ভেড়িবাধ প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের কবলে আছে। এছাড়া উপজেলা সদরে সদ্য নির্মিত বহুতল থানা ভবন হুমকির মুখে রয়েছে। ইছামতির ভাঙন থানা ভবন হতে মাত্র কয়েক মিটার দূরবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। যে কোন সময়ে থানা ভবন ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন সীমান্তপারের নদী ভাঙ্গনে অভিজ্ঞ ও ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী। ইতিমধ্যে কোমরপুরের সরকারি খাদ্য গুদাম, জাহাজঘাট ইছামতি ভক্ষণ করেছে। ঐতিহাসিক পীরের মাজার ভাঙন ছুঁই ছুঁই করছে। সর্বাপেক্ষা বেদনার বিষয় দেবহাটার রাজনগর নামক মৌজা বর্তমানে অস্তিত্বহীন। শতশত বিঘা জমি সমৃদ্ধ রাজনগর মৌজা ইছামতির করাল গ্রাসে হারিয়ে গেছে। বৃটিশ শাসনামলে এবং পাকিস্তান শাসনামলে রাজনগরের অস্তিত্ব সরকারি রেকর্ডপত্রে দৃশ্যমান। সীমান্ত এলাকার বয়োবৃদ্ধরা জানান, রাজনগর মৌজা নদীর বিপরীত অংশে জেগে উঠেছে। দেশের ভূখন্ড হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহের সাথে তুলনা করছেন সীমান্ত পারের জনসমাজ। ইতিহাস খ্যাত এই নদীর গতিপথ বিপরীত দিক দিয়ে বন্ধ করে ইছামতির ভাঙন ত্বরান্বীত করেছে বলে অনেকের আশঙ্কা। তাই এখনই সময় সীমান্ত নদীর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতির প্রতিফলন ঘটিয়ে ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্র নিশ্চিতকরণ।

প্রতিবেশী দেশ যেমন কংক্রীটের এবং অপরাপর উপাদানের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করে বাংলাদেশকে ভাঙনের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন মেগা প্রকল্প গ্রহণ। আর এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে না করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত ভাঙন রোধ ব্যবস্থা সম্ভব বলে মনে করেন ভূক্তভোগী সীমান্তপারের জনসাধারণ।

সীমান্তপারের মানুষের অভিযোগ মতে, প্রতিবছর ভাঙন রোধে কাজ হয় কিন্তু তা হরিলুট আর লুটপাটেরই চিত্র প্রকাশ পায়। বর্তমান সময়ে কোমরপুর রক্ষা বাঁধসহ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্লক তৈরীর কাজেও চরম অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে কোমরপুরের একাধিক লোকজন জানিয়েছেন। ব্লক তৈরীতে অনিয়ম হওয়ার অন্যতম কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়কদের যোগসাজশ এবং গাফিরতি বলে জানান তারা। এবিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, রুপসী ম্যানগ্রোভ ও থানা এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী বাধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক এবিষয়ে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের মন্ত্রনালয়ে পত্র পাঠিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ১/২ দিনের মধ্যে সরেজমিনে এসে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। ইউএনও আরো জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ভাতশালা থেকে কোমরপুর পর্যন্ত স্থায়ী বাধ নির্মানে একনেকে পাশ হয়েছে বলে ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিনিধি : “আদর্শ গ্রাম বাংলাদেশর প্রাণ,আদর্শ গ্রাম উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা’র উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্র প্রধান ও সহকারী কেন্দ্র প্রধানদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল ) বিকাল সাড়ে ৪টা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ইসলামী ব্যাংক পিএল সি সাতক্ষীরা শাখার উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাঃ সাদেক আলীর সভাপতিত্বে ও প্রিন্সিপাল অফিসার মেখ বেলাল হোসেনের এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা জোন প্রধান মুহাম্মদ কামরুল বারী ইমামী। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, কৃষিবিদ মোঃ নাজমুস সাকিব, সদর থানার এসআই মোঃ শামিমুর রহমান, এসপিও বিনিয়োগ ইনর্চাজ এসএম মাহবুবুল আলম আল মোতাসিম বিল্লাহর স্বাগত বক্তব্যে মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে মোঃ অলতাফ হোসেন, মোঃ আতিকুর রহমান,মোঃ জিহাদুজ্জামান, মোছাঃ রওশনারা খাতুন, মোছা, অলিমা খাতুন, ফাল্গুনি মুখার্জি। এ সময় উপজেলার কয়েকশ পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্র প্রধান ও সহকারী কেন্দ্র প্রধানগন প্রশিক্ষণ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কেন্দ্রের প্রধানদের মধ্যে থেকে ৯ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তরা বলেন, সুষম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে, গ্রামীণ—শহুরে বৈষম্য হ্রাস এবং আয়ের ন্যায়সংগত বণ্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক ১৯৯৫ সালে ৩১ জুলাই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করতে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চালু করে।

জামানতবিহীন অল্প পুঁজি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীরা হচ্ছে এর প্রধান গ্রহীতা। এ প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের কৃষি ও অকৃষি খাত সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক খাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনিয়োগ প্রদান, বিনিয়োগ কার্যক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মহিলাদের সরাসরি উৎপাদনে সম্পৃক্তকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার বিস্তার, দৈনন্দিন জীবনমান, প্রান্তিক চাষী, ভূমিহীন, দরিদ্র ও শ্রমজীবী নারী ও পুরুষকে ধীরে ধীরে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য অব্যাহত বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান এবং মহাজনি ও চড়া সুদে টাকা লগ্নি ইত্যাদি শোষণমূলক ব্যবস্থার অবসান ঘটানো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest