সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাসাতক্ষীরায় ৫৮৭টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব ; ঝুঁকি পূর্ণ ৫৫টিনির্মল বায়ু সবার অধিকার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতাআইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের আহবায়ক কমিটির ৪র্থ সাংগঠনিক সভাবিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরে বিজয় র‌্যালিস্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর অভিযোগ গণধিকার পরিষদের নেতা বিরুদ্ধেসাতক্ষীরা পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে কর্মী সমাবেশআবারও ভাগাড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা, সংকটে প্রাণসায়রের খালরাসূল (সাঃ) এর আদর্শে উজ্জীবিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা শিবিরের র‌্যালিহুন্ডি ব্যবসায়ী অমিতের ভয়ানক প্রতারণা: চাঁদা না পেয়ে স্বাক্ষর জাল করে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধ : সাতক্ষীরার কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা গ্রামের বিধবা মোছা: মর্জিনা খাতুনের বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।

গত ১৮ আগস্ট সোমবার বিকেল ৫ টায় পূর্ব জমি জায়গার বিরোধ থেকে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সুজন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই ঘরবাড়ি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে মোছাঃ মর্জিনা খাতুনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক গাজী, তিন শরিকের ৩০ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, ও বাকি ৯ শতাংশ জমির বায়না পত্র করেন। সেই সূত্রে ওই জমি মর্জিনা খাতুন ভোগ দখল করেন । বিপত্তিবাদে আব্দুল ওহাবের মৃত্যুর পরে, তার তার ছেলে মাহমুদুল হাসান সুজন ওই ৯ শতাংশ জমির বাইনা পাত্র অস্বীকার করেন। মাহমুদুল হাসান সুজন, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহেল রানা, কলারোয়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি মোতাহার রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন টুটুল, ডাক্তার বাবু সহ কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মর্জিনা খাতুনের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তার সাইট থেকে দখল করার অভিযোগ উঠে।

মর্জিনা খাতুন জানায়, গত ১৮ই আগস্ট বিকালে হঠাৎ করে মাহমুদুল হাসান সুজনের নেতৃত্বে যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, আমি একজন বিধবা মহিলা, বাড়িতে আমি একা থাকি, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি, এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান সুজন জানায়, আপনারা যে অভিযোগ সম্পর্কে শুনেছেন এটা কোন দলীয় বিষয় না, এটা আমার দাদার সম্পত্তি, দুইশত বছর পুরাতন সম্পত্তি, ওদের কাছে ৪ শতক জমির চৌহদ্দি করে বিক্রি করা, ওদের কাছে ৯ শতক জমি ভাড়া দেওয়া এবং চুক্তি পত্র আছে। ২০০৯ সাল পরবর্তীতে তারা আর ভাড়া আমাদেরকে দেয়নি, দীর্ঘদিন যাবত তারা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এই ভাড়া গুলো দেয় না। ৫ই আগস্ট পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পরে তাদেরকে ৬ মাস ধরে তাগিদ দিচ্ছি, এক জায়গায় বসার জন্য, গ্রাম্য সালি সে প্রাথমিকভাবে তারা মেনে নিলেও পরবর্তীতে তারা আর মানে নাই, তার সকল ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে,বর্তমানে শুনলাম কোর্ট থেকে ১৪৫ ধারা জারি করেছে এই খবর আমি পেয়েছি সেই সূত্রে আমার এরিয়া ধনী লোক থেকেই চালটা সরিয়ে দিয়েছে বর্তমান সেই অবস্থায় আছে।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শেখ সাইফুল ইসলাম জানান,গত ১৮ তারিখে মর্জিনা খাতুন নামে একজন মহিলা এসেছিলেন কুশোডাঙ্গা থেকে উনার বাড়ি ভাঙচুর করে, তিনি জমি ক্রয় করেছিল যাদের কাছ থেকে তারাই তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে, আমরা একটা অভিযোগ নেই, মামলা নেয়ার মত হলে মামলা নিয়ে নিব অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই পারভেজকে পাঠানো হয়, মামলা রেকর্ড করার সময় বাদী এবং বিবাদী আমার এখানে আসেন তারা কয়েকদিন সময় চান তারা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে পারে, না পারলে মামলা রেকর্ড করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গৃহবধুকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গৃহবধুকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু রাজনগর গ্রামের তবিবুর রহমানের স্ত্রী হোসনেয়ারা।

এঘটনায় গুরুতর আহত গৃহবধুর স্বামী তবিবুর রহমান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, তবিবুর রহমানের রাজনগরে রেকর্ডীয় ও ভোগদখলীকার থাকা অবস্থায় ৭ কাঠা জমিতে গাছ-গাছালি ও ঘেরা আছে। বুধবার সকালে একই এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর সরদারের পুত্র আকবর আলী সবুজ,আদম আলীর কন্যা রেশমা, আদমর আলীর পুত্র মিজানুর রহমান, আকবরের স্ত্রী খাদিজা খাতুনসহ কয়েকজন ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তবিবুর রহমানের স্ত্রীর উপর তারা অতর্কিত হামলা করে এবং লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে। এতে তবিবুর রহমানের স্ত্রী হোসনেয়ারা খাতুন গুরুতর আহত হন।

তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় উল্লেখিত ব্যক্তিরা হোসনেয়ার কাছে থাকা ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেনই ও কানে দুল ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে সাতক্ষীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে র‌্যালী

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি :
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আশাশুনিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার বিকালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে ব্যান্ড পার্টি সহ বিশাল একটি র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালী শেষে পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুর ই আলম সরোয়ার লিটন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান খোকা।

সিনিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ হাবিল ও সদস্য সচিব আশিকুজ্জামান আশিকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা খালিদ হোসেন সুমন, রেজাউল ইসলাম রেজা, এ্যাড. জিয়াউর রহমান জিয়া, মাসুম বিল্লাহ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ, সাজিনুর রহমান সাজু, নাজমুল শাহাদাৎ ও সদস্য আবুল কালাম।

বক্তারা বলেন, ১৭ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছি। সরকার পতনের পর যখন দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তখন একটি পক্ষ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। তাই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের কাছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ধানের শীষের সালাম পৌঁছে দিতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে ও মিষ্টি বিতরণ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী কলারোয়া উপজেলার বলিয়ানপুর গ্রামের আবু সিদ্দিক দফাদারের পুত্র কামরুজ্জামান বাবলু।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কাজের সন্ধানে মালেশিয়ায় আসা নারী ইয়ানতির সাথে সম্পর্কের জেরে ২০০৭ সালে বিবাহ হয়। আমাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ওই নারীর সহিত আমার বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বেজিৎ তালাক প্রদান করি। তালাকের ১বছর ১০ মাস ১২ দিন পরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক অভিযোগে কলারোয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। (মামলা নং ৬৭৪/২৩)। উক্ত মামলায় আমি ১ মাস ১৫ দিন জেল হাজত খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে মাহামান্য হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ৩০ জুলাই ২০২৩ মালেশিয়া চলে যাই। সেখান থেকে গত ১৫ জুলাই ২০২৫ দেশে ফিরে আসি এবং বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সাতক্ষীরাতে হাজির হয়ে জামিন লাভ করি। এরপর কলারোয়ায় নিজ বাড়ীতে অবস্থান করিতে থাকি।

আমার বাড়ি আসার খবর পেয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আবারো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং কলারোয়া থানায় আমি তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি মর্মে লিখিত অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে কলারোয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ২৬ জুলাই২০২৫ আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়া বলেন তুই তোর বাড়ীতে থাকতে পারবিনা, ওই মহিলা থাকবে। তুই যদি বাড়ীতে যাস, তোর নামে ধর্ষন মামলা হবে। এরপর ও.সি সাহেব আমার এলাকায় কিছু বখাটে ছেলেদের ম্যানেজ করে আমার ৫ বছর আগের তালাকী স্ত্রীকে আমার বাড়ীতে তুলে দিয়ে আমাকে বাড়ী ছাড়া করে দিয়েছেন। আমি আমার নিজ নামীয় জমি এবং বাড়ী ফেলে আজ পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ইয়ানতি আমার স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই তারিখে আমাকে মৃত সাজিয়ে এবং নিজেকে বিধবা দেখিয়ে জনৈক রঞ্জু ইসলাম নামের এক যুবকের সাথে রেজিঃ বিবাহ করেন (নিকাহ নামা আছে)। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারী রঞ্জুর সাথে তার তালাক হয় (তালাক নামা আছে)।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তিনি ওই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর দেওয়া মিথ্যা মামলা অব্যাহতি এবং নিজের বাড়িতে ফিরতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কাউকে তুলে দেয়নি। এটা ভূয়া কথা। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে র‌্যালি

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্নাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

র‌্যালিটি পারুলিয়া ও সখিপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সখিপুর মোড়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির পল্টু।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুর মোর্শেদ মিলন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তানভির মজিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শামিউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহম্মদ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান মিন্টু, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর কবির, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মহাসিন আলী, সদস্য সচিব হাবিবুল্লাহসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিবসহ সকল নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীর সফলতা কামনা করে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেটা বুকে ধারন করে আগামীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমানে সকল নেতাকর্মীদেরকে একসাথে কাজ করতে হবে। আগামীর সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী যেন বিজয়ী হতে পারে সেলক্ষ্যে তৃনমূল পর্যায় থেকে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জলবায়ু দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা সংক্রান্ত পরামর্শ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : অ্যাওসেড ও কেয়ার বাংলাদেশে যৌথভাবে বিএমজেড অর্থায়িত ম্যাপ-সিডিআরএফআই প্রকল্পের অধীনে সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ের “জলবায়ু দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা সংক্রান্ত পরামর্শ ও মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেণ সাতক্ষীরা জেলা ম্যাপের যুগ্ম আহবায়ক মাধব চন্দ্র দত্ত।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এডিশনাল ডেপুটি ডাইরেক্টর মোঃ জামাল উদ্দিন । সভা সঞ্চালনায় করেন জেলা ম্যাপের সদস্য সচিব শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।

অ্যাওসেডের লার্নিং ও অ্যাডভোকেসি অফিসার বাহলুল আলম উপকূলীয় বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বহুমাত্রিক সংকট, প্রভাব ও প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ বিষয়ক পেপার উপস্থাপন করেন। এতে উঠে আসে যে, Germanwatch-এর Global Climate Risk Index অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে ৭ম। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার বিস্তার, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত, নদীভাঙন ও ঘনঘন দুর্যোগে জীবন, জীবিকা ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। Centre for Climate Justice, CARE ও AOSED (২০২৪) অনুসারে উপকূলীয় জনগণের ৭০.২% ঘরবাড়ি, ফসল, গবাদিপশু ও পানির উৎসে ক্ষতি ভোগ করছে।

সাতক্ষীরায় ৪১,৭৮৮ হেক্টর জমি প্লাবিত, যার মধ্যে ১৮,৩৪০ হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৫০,০০০ মানুষ পানিবন্দি। বাগেরহাটে চিংড়ি ঘের, ধানক্ষেত ও শাকসবজি চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। বাঁধভাঙন ও ড্রেন অবরোধের কারণে পৌর ও গ্রামীণ এলাকা জলমগ্ন। IPCC ৬ষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় চরম বৃষ্টিপাত ও সামুদ্রিক ঝড় আগামী দশকে আরও বৃদ্ধি পাবে। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১.৫২ কোটি মানুষ ২০৫০ সালের মধ্যে বসতবাড়ি হারাতে পারে, যাদের একটি বড় অংশ শহরমুখী হয়ে দারিদ্র্য ও সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকিতে পড়বে।

সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেণ খুলনা বিভাগীয় MAP-এর যুগ্ম আহবায়ক শিরিনা বেগম, AOSED-এর হেড অব প্রোগ্রাম ও অপারেশন্স শংকর রঞ্জন সরকার, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান, সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান ,সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়না, অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার, আবুল কালাম আজাদ, ডা. দিলারা বেগম, ভারতীশ্বরী বিশ্বাস, শেখ হেদায়েত উল্লাহ, আফজাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মুনীর উদ্দিন, শেখ আবুল কালাম, দুলাল চন্দ্র দাস, আব্দুর সালাম, নাসরিন সুলতানা, এ কে এম আবু জাফর সিদ্দিকী, জান্নাতি মৌ, শম্পা গোস্বামী, আব্দুর সাবুর বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম, মির্জা সুলতানা, শরিফুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, শ্যামল কুমার বিশ্বাস, সুদীপ্ত বসু, মোঃ বাঘেদ, শাম্মি আক্তার কুমকুম, জয়ন্তী দাস, ইমরান সরদার, সুশান্ত মালিক, বিশ্বজিৎ মুন্ডা প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : পরিকল্পিত বনায়ন করি সবুজ বাংলাদেশ গড়ি এই প্রতিপাদকে সামনে রেখে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সকালে জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগ সাতক্ষীরার আয়োজনে সামাজিক বন বিভাগ সাতক্ষীরার সহকারী বন সংরক্ষক প্রিয়াঙ্কা হালদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এবং বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহিনুর চৌধুরী, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা উপপরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ আরাফাত হোসেন প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সঞ্জীত কুমার দাস, সামাজিক বন বিভাগ সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জি এম মারুক বিল্লাহ, কৃষিবিদ প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, সাতক্ষীরা জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম,কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হান্নান প্রমুখ।

মেলা উদ্বোধন পূর্বে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেলা প্রাঙ্গনে ফিতা কেটে এবং বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ নার্সারি মালিকরা অবস্থিত ছিলেন।

সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসের ইউডিএ মনিরুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন পরিকল্পনা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের টাইগার প্লাস কনফারেন্স রুমে “লোকাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাকশন (ল্যাপা) ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্টস” প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ । এতে আর্থিক সহায়তা করে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)।

উত্তরণের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ রাফাতের পরিচালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাস, সমাজসেবা অফিসার প্রবীর রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাহিনুর রহমান, জনস্বাস্থ্যের আলী হোসেন , জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, এম বেলাল হোসাইন, আসাদুজ্জামান সরদার, এস এম বিপ্লব হোসেন, আবু সাঈদ, জেলা বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার পানি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এর পাশাপাশি স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকর অভিযোজন পরিকল্পনা (ল্যাপা) গ্রহণ অপরিহার্য।

বক্তারা আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। কর্মশালার সুপারিশসমূহ স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”

তথ্য উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালে ন্যাপ অনুমোদন করেছে, যার বাস্তবায়নকাল ২০২৩ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতেই ল্যাপা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা খাবার পানির সংকট, কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তারা এসব সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের মাধ্যমে ধারাবাহিক আলোচনা, কর্মশালা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সম্পৃক্ততায় সাতক্ষীরার জন্য একটি চূড়ান্ত স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পরবর্তীতে তা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য উপস্থাপন করা হবে।

ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক আল আমিন মোল্লা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest