সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরনসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালন

প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা বসন্তের রুপকন্যা শিমুল বিলুপ্তপ্রায়

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলায় কালের বিবর্তনে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত বসন্তের রুপকন্যা শিমুল বিলুপ্তপ্রায়। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে অনেক ফুল ফুটলেও এখন আর তেমন চোখে পড়েনা রক্তলাল নয়নাভিরাম শিমুল ফুল। বিগত এক-দেড় যুগ আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে বা রেললাইনের পাশে অনেক শিমুল গাছ দেখা গেলেও এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। এক সময় প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্তের আগমন।

শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে লেগেছে তার ছোঁয়া। প্রতিটি গাছেই আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে দক্ষিণা বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ চারিদিক।

কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন।

শিমুল গাছের শাখাগুলো বসন্তের আগমনে লাল শাড়ির ঘোমটা পরা গ্রাম্য নববধূর সাজে সজ্জিত হতে দেখা যায়, যা দর্শনে হতাশ প্রেমিকের মনেও জাগিয়ে তোলে আশা। অন্যান্য গাছের তুলনায় শিমুল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বহু দূর থেকে এ মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে।

জোয়ার এনে দেয় কবির কল্পনার জগতে। কেবল সৌন্দর্যই বিলায় না শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব।

প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘বোমবাক্স সাইবা লিন’। এটি বোমবাকাসিয়াক পরিবারের উদ্ভিদ। বীজ ও কান্ডের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ৫-৬ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। ৯০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সেই তুলনায় বেশ মোটাও হয়।

নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়।

অন্যান্য গাছের মতো এ গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেওয়া হয় না কোন যত্ন। অযত্ন আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই।

অথচ বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে অকারণে কেটে ফেলছে। অতীতে ব্যাপকহারে নির্মাণ কাজ, টুথপিকসহ নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপরে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।

এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করত। এ গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাসস্থল হারিয়ে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। গাছ না থাকায় আবাসস্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার কোড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হোসেন আলি (৭০) বলেন, গ্রামে প্রচুর শিমুল গাছ ছিল। এই শিমুল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূল ব্যবহার করত।

একই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ওমর আলি (৬৫) বলেন, একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এর পরও এই গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এ বিষয়ে প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, শিমুল গাছ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় উপকারী গাছের তালিকা থেকে এ গাছটি হারিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না বাংলার মাটিতে শিমুল নামে কোনো গাছ ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের ব্যতিক্রমী নিবন্ধিত কমিউনিটি শিশুদের জন্মদিন পালন

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে নিবন্ধিত ও কমিউনিটির ৯৯০ জন শিশুর জন্মদিন পালিত হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী-২৫) দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রামের আয়োজনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অর্থায়নে ও সুশীলনের বাস্তবায়নে উপজেলার ঘলঘলিয়া ফুটবল মাঠে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।

এতে সুশীলনের দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রামের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান (রিপন) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর.কে.বাপ্পা। এসময় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি উত্তম রায়, জুলফিকার আলি, নাছিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে দেবহাটা ইউনিয়নে আরো ২টি স্থানে (দেবহাটা ফটবল মাঠ ও টাউনশ্রীপুর) মোট ৯৯০ জন শিশুর জন্মদিন পালন করা হয়।

এসময় শিশুদের সাথে নিয়ে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে কেক কাটা হয় এবং প্রত্যেক শিশুদের জন্য উপহার হিসাবে ১টি টিফিন বাটি ও ১টি মগ প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে মাদ্রাসা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলায় আটক দুই শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জামিয়া ইসলামিয়া রশিদীয়া হুসাইনাবাদ মাদ্রাসা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা এবং মাদ্রাসার দুই শিক্ষক মাওলানা মিজানুর রহমান ও মাওলানা আবু নাইম এর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এলাকাবাসীর আয়োজনে ২৪ ফেব্রæয়ারি সোমবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া রশিদীয়া হুসাইনাবাদ মাদ্রাসা’র সভাপতি এ্যাড: রফিকুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন জামিয়া ইসলামিয়া রশিদীয়া হুসাইনাবাদ মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মো: রোকনুজ্জামান, হাফেজ মাওলানা হাফেজ মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ মাহাদি হাসান, মোঃ আব্দুল্লাহ।
শিক্ষক মাওলানা রোকনুজ্জামান বলেন, ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান ২০০৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। ওই পরিচালনার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন যাবত তার পিছনে শত্রুতা বসত তার বড় ভাই মাওলানা আব্দুস সবুর, তার ভাতিজা আব্দুল কাইয়ুম অন্যান্য ভাতিজারা মিলে মাদ্রাসা দখল করার জন্য পায়তারা করছে। এর প্রেক্ষিতে তারা শরীয়তের মানদÐে ওলীগণের হালাত নামক একটি বই বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে তারা বিভিন্ন প্রগান্ডা ছড়াচ্ছে। মূলত এই কিতাবটি ছিল মাওলানা মিজানুর রহমানের বড় ভাই এর ১৬ টি প্রশ্ন। সে সময় তিনি বলেছিলেন তুমি যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারো বলেছিল তুমি সঠিক। আর যদি না পারো তাহলে তুমি গোমরা।

তিনি আরো বলেন গত কয়েকদিন পূর্বে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার খাদ্য লুট করে নিয়ে গেছে যার ফলে ছাত্ররা অনাহারে আছে। মাওলানা মিজানুর রহমান একজন ধর্মভীরু মুসলমান। উনি কারো কাছ থেকে কোন হাদিয়া নেন না। যদিও নেন সেটি হালাল হবে কিনা বিবেচনা করেই নেন। আমাদের হুজুরকে মিথ্যা মামলায় আটক করেছে। সম্পতি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই মাওলানা মিজানুর রহমানের অন্যান্যরা ভাইয়ের এধরনের চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। মিথ্যা মামলায় আটককৃত মাওলানা মিজানুর রহমান ও শিক্ষা সচিব আবু নাঈমকে দ্রæত মুক্তির দাবি জানান। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক

নিজস্ব প্রতিনিধি : আনন্দ ঘনো পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও শিক্ষক মিলনমেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা মোজাফ্ফর গার্ডেনে এ অভিষেক অনুষ্ঠান ও শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মোমিনুল ইসলাম (শামীম) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ আবুল খায়ের। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আমানুল্যাহ,সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল,
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক মোঃ আব্দুল মালেক গাজী,
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সদস্য সচিব মোঃ মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার নব নির্বাচিত কমিটির, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, মো. এমাদুল ইসলাম, মো.
লিয়াকত আলী, মো. আব্দুল মালেক,মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. তৈবুর রহমান,মো. শফিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ

মো. জহুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম আব্দুল করিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. শাহিনুর ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ, ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, মহিলা সম্পাদক অর্চনা বালা রায়সহ সকল নির্বাচিত সদস্যগন। দ্বিতীয় পর্বে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সকল পর্যায়ের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্যা ও জেলা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. নজিবুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেএসডি সাতক্ষীরার শ্রদ্ধা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতন্ত্রিক দল (জেএসডি) সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার প্রভাত ফেরিতে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু কাজী,আব্দুর জব্বার মাস্টার,মীর জিল্লুর,রওনক বাসার,আবু বক্কর সিদ্দীক,পল্লব সরকার,শিহান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা শহরের হাটের মোড়ে তাঁতীদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাতক্ষীরা পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে পৌর তাঁতীদলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লালটুর সভাপতিত্বে এবং নাজমুল হুদা ও মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সমন্বয়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে এবং কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

মাগরিবের নামাজের পরে মাওলানা শাহাজাহান কবিরের পরিচালনায় বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দোয়া করা হয়েছে।

এছাড়াও উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকোসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নির্যাতনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের সকল সদস্যসহ বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক হাসান শাহরিয়ার রিপন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মাহমুদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, সহ- সভাপতি মোঃ শেখ মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়ারাজ আলী, সদর উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক সাহেব আলী, সদস্য সচিব নাহিদ হাসান টিপু, সিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তুহিন, পৌর বিএনপি সদস্য নাছির উদ্দিন বাবু, জেলা তাঁতীদলের সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, পৌর তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম, গোরা, ইউনুছ, বড় খোকন, আসাদুজ্জামান বাবু, রুবেল, সিয়ারুল প্রমুখ।

এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকলেই তাদের স্ব স্ব এলাকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিনিধি। সবাইকে সকল বিতর্কের উর্দ্ধে থেকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করার দায়ে পুলিশ শান্তা (৩০) নামের এক নারীকে আটক করেছে। আটক শান্তা সদরের নুনগুলা গ্রামের মৃত খোদাবাক্স মেম্বরের মেয়ে। নিহতরা হলেন শান্তার মেয়ে আশরাফী (৩ মাস) এবং মাতা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে শান্তা তার মেয়েকে চুলার আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এসময় শান্তার মা বিষয়টি দেখে ফেলার কারণে শান্তা তার মাকেও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই শিললুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তাকে হেফাজতে নেন এবং মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছেন বলে জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী এলাকার জনৈক আজহারুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বুধবার স্বামীর সাথে মেয়ে আশরাফী নিয়ে নুনগোলা গ্রামের পিতার বাড়িতে বেড়াতে ছিলেন শান্তা। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে চলে যান আজহারুল ইসলাম। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, দুপুর ২টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন শান্তা তার ঘুমন্ত শিশু কন্যা কে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ফেলে দেয়। এসময় তার মা বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে শান্তা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক শান্তাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩

অনলাইন ডেস্ক : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় দিগন্ত পরিবহনের ১২জন যাত্রী ও এক হেলপার আহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোর চারটায় সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাহার আলী তরফদারের ছেলে আব্দুর রউফ, দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের তারক চন্দ্র ঘোষের ছেলে তপন ঘোষ, কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রুহুল আমিন, একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে শাহীনুর রহমান। এছাড়া চায়না ও আব্দুল্লাহ নামে দুইজনের ঠিকানা জানা যায়নি।

প্রথমাক্ত পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও শেষের দুইজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন কুমার ঘোষ জানান, তিনি বুধবার সকালে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য জন্য ঢাকার যমুনা পার্কে যান। সেখান থেকে কাজ মিটিয়ে রাতে ঢাকা থেকে নাভারণগামি একটি পরিবহনে যশোরের চাঁচড়ায় নামেন। সেখান থেকে সাতক্ষীরাগামি দিগন্ত পরিবহনে ওঠেন। ঘুম লাগার কারণে নাভারণ ছাড়ার পর চালক বার বার ব্রেক কষছিলেন।

পরিবহনটি বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে পৌঁছালে ঘুমের কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিবহনটিকে আশা সমিতির পাশে একটি সৃষ্টিফুল গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে ওই গাছটি পরিবহনের সামনে ঢুকে যায়। পরিবহনটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে তিনি ও হেলপারসহ কমপক্ষে ১৩ যাত্রী আহত হন। পরিবহনে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিলো বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল হক জানান, আশঙ্কাজনক হওয়ায় চায়না ও আলমগীরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গাছ কেটে যাত্রীদের কের করার সময় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল নায়েব আলী আহত হন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest