সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

কোহলির অসাধারণ ইনিংসে ম্যাচে থাকল ভারত

খেলার খবর: ৫ টেস্ট, ১৩৪ রান, গড় ১৩.৪০। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে বিরাট কোহলির পরিসংখ্যান। গত চার বছরে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। কিন্তু উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে একমাত্র দাগ হয়ে ছিল ওই সংখ্যাগুলো। এবার প্রথম ইনিংসেই যেন মাটিচাপা দিলেন সেবারের বিভীষিকা। ইংলিশ পেসারদের সুইং বোলিংয়ে যখন কাঁপছে দল, ব্যাটিং মাস্টারক্লাস দেখিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক খেললেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস।

পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে এজবাস্টন টেস্টে বড় লিড নেওয়ার পথে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি প্রথম ইনিংসে দু্‌ই দলকে রেখেছে প্রায় সমতায়। ইংলিশদের ২৮৭ রানের জবাবে ভারত করেছে ২৭৪।

মাত্র ১৩ রানে এগিয়ে থেকে শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড হারিয়েছে অ্যালেস্টার কুককে। বৃহস্পতিবার দিন শেষ করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৯ রান নিয়ে। দুই দিন শেষে এগিয়ে তারা ২২ রানে।

ভারতের ইনিংসের অর্ধেকের বেশি রান একাই করেছেন কোহলি। ১৪৯ রানের ইনিংসটির অর্ধেকর বেশি রানই আবার করেছেন শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে!

স্যাম কারান, জেমস অ্যান্ডারসনদের দারুণ বোলিংয়ে একসময় ভারত ছিল দুইশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। ১৮২ রানে যখন পড়ল অষ্টম উইকেট, কোহলির রান তখন ৬৭।

সেখান থেকে শেষ দুই উইকেটে ভারত যোগ করেছে ৯২ রান, কোহলি একাই করেছেন ৮২।

কোহলির অসাধারণ ব্যাটসম্যানশিপের পাশাপাশি ইংলিশরা নিজেদের দুর্দশার দায় দিতে পারে নিজেদেরই। ২১ ও ৫২ রানে স্লিপে কোহলির ক্যাচ ছেড়েছেন ডাভিদ মালান। প্রথম ক্যাচটি ছিল একদমই সহজ। জীবন পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।

দিনের শেষের মতো শুরুটাও ছিল ভারতের। ৯ উইকেটে ২৮৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ইনিংস শেষ হয় আর মাত্র ২ রান যোগ করেই।

ভারতের দুই ওপেনার দলকে এনে দেন ভালো শুরু। গতবারের ইংল্যান্ড সফরে ৫ টেস্টেও একটি অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি পায়নি ভারত। এবার মুরালি বিজয় ও শিখর ধাওয়ান প্রথম ইনিংসেই এনে দেন ফিফটি জুটি।

এরপরই স্যাম কারানের ছোবলে এলোমেলো ভারত। মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা তরুণ বাঁহাতি পেসার ফেরান দুই ওপেনারকেই। মাঝে ফিরিয়ে দেন তিনে নামা লোকেশ রাহুলকে। ৯ রানের মধ্যে ভারত হারায় ৩ উইকেট।

অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে কোহলি চেষ্টা করেছিলেন প্রতিরোধের। রাহানেকে ফিরিয়ে ৪১ রানের সেই জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। এই অলরাউন্ডার নিজের পরের ওভারে উপড়ে ফেলেন দিনেশ কার্তিকের মিডল স্টাম্প। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১০০।

আরেক পাশে খুব সাবলীল ছিলেন না কোহলিও। অসাধারণ এক স্পেলে ভারতীয় অধিনায়কের দারুণ পরীক্ষা নেন অ্যান্ডারসন। এই সময়টায়ই কোহলি জীবন পান প্রথমবার। তবে হাল না ছেড়ে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় এগিয়ে নেন দলকে। পরে খেলেছেন চোখধাঁধানো সব শট।

হার্দিক পান্ডিয়া ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা চেষ্টা করেছেন সঙ্গ দিতে। খুব বেশি সময় পারেননি টিকতে। ইংলিশরা তখন ছিল বড় লিডের আশায়। শেষ দুই জুটিতে সেই আশা গুঁড়িয়ে দেন কোহলি।
নবম উইকেট জুটিতে এসেছে ৩৫ রান, তাতে ইশান্ত শর্মার অবদান ৫। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৭ রানের জুটি শেষ উইকেটে, তাতে উমেশ যাদবের অবদান কেবল ১! দারুণ বুদ্ধিমত্তায় স্ট্রাইক ধরে রেখে খেলেছেন কোহলি। দুর্দান্ত সব শটে বাড়িয়েছেন রান।

১৭২ বলে স্পর্শ করেছিলেন ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ভারত অধিনায়কের কাছে এই সেঞ্চুরি কতটা, সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন নজরকাড়া উদযাপনেও।

শেষ পর্যন্ত তার বিদায়েই ইনিংসের সমাপ্তি। নামের পাশে তখন ২২৫ বলে ১৪৯ রান। এক ইনিংসেই গতবারের গোটা সিরিজের চেয়ে ১৫ রান বেশি!

ভারত অধিনায়কের হাসি আরও চওড়া শেষ বেলায়। ঠিক যেন প্রথম ইনিংসের রিপ্লে দেখিয়ে অ্যালেস্টার কুককে বোল্ড করে দিলেন অশ্বিন। সেখানেই সমাপ্তি দিনের খেলা। দুই দিন শেষে দুই দলই সমানে সমান!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৮৭

ভারত ১ম ইনিংস: ৭৬ ওভারে ২৭৪ (বিজয় ২০, ধাওয়ান ২৬, রাহুল ৪, কোহলি ১৪৯, রাহানে ১৫, কার্তিক ০, পান্ডিয়া ২২, অশ্বিন ১০, শামি ২, ইশান্ত ৫, উমেশ ১*; অ্যান্ডারসন ২/৪১, ব্রড ০/৪০, কারান ৪/৭৪, রশিদ ২/৩১, স্টোকস ২/৭৩)।

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩.৪ ওভারে ৯/১ (কুক ০, জেনিংস ৫*; শামি ০/০, অশ্বিন ১/৫)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাসি-কান্না ও বেফাঁস কথার নৌমন্ত্রী!

দেশের খবর: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘চওড়া হাসি’ দিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় এসেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবির চাপে পড়ে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌমন্ত্রী।

পরে সচিবালয়ে তিনি বলেন, সেই দিন ওই ঘটনার পরে আমার হাসিমুখের অভিব্যক্তির জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনারা যারা আমার এই আচরণে দুঃখ পেয়েছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে আমি মর্মাহত। ব্যথিত এবং শোকাহত। আর যেন কোনও মায়ের বুক খালি না হয় আমরা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমিও সন্তানের পিতা। আমি কথা দিচ্ছি, অভিযুক্ত চালকদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা আমার হাসির ছবি দেখিয়েছেন, সে কারণে আমার নিজেরও খারাপ লেগেছে। কারণ, শিক্ষার্থীদের প্রতি আমারও সহমর্মিতা আছে। সুতরাং এই ছবি দেখার পরে আমি নিজেও মর্মাহত হয়েছি। এটা সিচুয়েশনের সাথে যায় না।

তবে, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান যে বক্তব্য দিয়েছে এটা তার নিজস্ব বক্তব্য এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ একমত নয় বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দৌরাত্ম্যে বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর’।

এরপর নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে আরও সংযত হয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকার বিব্রত হয় এমন যে কোন মন্তব্য পরিহার করতে হবে। কথা বলার সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ না করে মহারাষ্ট্রের সড়ক দুর্ঘটনার রেফারেন্স দেওয়া ঠিক হয়নি।’

পরে বুধবার (১ আগস্ট) বিকেলে নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের (১৬) বাসায় গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নৌমন্ত্রী।

যদিও সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পরিবহন শ্রমিকনেতা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯টি দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে গত পাচঁদিন ধ‌রে আন্দোলন কর‌ছে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে নৌমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নিশ্চয়তা দেয় তিনি পদত্যাগ করলে দুর্ঘটনা কমবে, তাহলে তার পদত্যাগে আপত্তি নেই।

এই আন্দোলনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এর আগেও সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। তবে তা গত এক বছর ঝুলে থাকার পর আবার নতুন সড়ক পরিবহন আইনের অনুমোদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এটি তোলা হবে জাতীয় সংসদে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরের দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন শিক্ষার্থী।

সড়ক দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী হেসে বলেন- যারা যেটুকু অপরাধ, তার শাস্তি হবে ততটুকু। কিন্তু মন্ত্রীর মুখে ছিল চওড়া হাসি। এসময় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নৌমন্ত্রী ভারতের মহারাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হওয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে তুলনা করেন। এই বক্তব্যের কারণে উঠেছে তুমুল সমালোচনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসুস্থ রিকশাচালককে নিয়ে হাসপাতালে ছুটল শিক্ষার্থীরা

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: রাজধানীর ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীরা সমবেত আন্দোলন করছিল। এসময় এক রিকশাচালক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীরা রিকশাচালককে তার রিকশায় উঠিয়ে নেয় দুই ছাত্র। এরপর আরেক ছাত্র রিকশা চালাতে শুরু করে। আরও দুইজন ছাত্র রিকশাকে সাইড দেওয়ার জন্য চিল্লাতে থাকে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আহত রিকশাচালকের নাম জানা যায়নি।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার মিরপুর রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কাছে। তবে কীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে রিকশাচালক তা জানা যায়নি। কিশোর শিক্ষার্থীদের অসুস্থ রিকশাচালককে হাসপাতালের নেওয়ার তৎপরতা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পাচ্ছে।

বুধবারও শিক্ষার্থীদের এমন কর্ম তৎপরতা চোখে পড়ে। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও ধানমন্ডি এক নম্বর রোডে রিকশাকে সারবদ্ধ চলাচল করতে বাধ্য করে। পরে দেখা যায় শৃঙ্খল হয়ে রিকশা চলাচল করছে। ঢাকার বুকে এমন দৃশ্য বিরল। কোথাও কোথাও উল্টোপথের গাড়িকে আটকে দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। সোজা ও সঠিক পথে চলতে বাধ্য করা হয়। লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চলতে বাধা দেওয়া হয়। এমন নানা ঘটনা চোখে পড়ে বুধবার।

এর মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা চোখে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। যখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একের পর এক গাড়ি আটকে দিচ্ছিল, অবরোধ করছিল- তখন একদল শিক্ষার্থী দায়িত্ব নিয়ে অসুস্থ ও বয়স্ক নারী পুরুষের রিকশা এসকর্ট করে পার করে দিচ্ছিল। এমন বোধ কিংবা মানবিকতা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

অসুস্থ রিক্সাওয়ালা মামাকে ছাত্ররা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।আর কি দেখাবি তোরা ভাই? তোরাই এদেশের সম্পদ

Posted by Maruf Hossain on Thursday, 2 August 2018

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৬ লাখ অবৈধ চালক রাস্তায় : পুলিশ ব্যর্থ, ধরছে শিক্ষার্থীরা

দেশের খবর: মোটরযান অধাদেশ অনুসারে গাড়ি চালাতে গেলে লাইসেন্স থাকতেই হবে, চালক সে যেই হোন না কেন। ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত তদারকি চালিয়ে নিশ্চিত করবে, লাইসেন্সহীন কোনো চালক গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে নেই। কিন্তু রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের লাইসেন্স ধরার অভিযান নেতিয়ে পড়েছে। অবস্থা এমন—যে পুলিশ লাইসেন্স ধরবে, সেই পুলিশের গাড়িরও লাইসেন্স থাকে না। শৃঙ্খলাহীনতার এই চিত্রটি বুধবার কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামা শিক্ষার্থীরা মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গতকাল লাইসেন্সহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেয়। তারা যেন নেমেছে পুলিশের ভূমিকায়। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমণ্ডিতে হারুন আই হাসপাতালের সামনে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের একটি পিকআপ চালকের কাছে শিক্ষার্থীরা ‘লাইসেন্স’ পায়নি। গাড়িচালক পুলিশ কনস্টেবল অরবিন্দ সমাদ্দার অবশ্য জবাব দেন—‘কাজের সময় আমরা লাইসেন্স নিয়ে বের হই না। কাগজ অফিসে থাকে।’ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পিকআপটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

গতকাল ধানমণ্ডি, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, ফার্মগেট, বিমানবন্দর সড়কের খিলক্ষেত, মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা অভিযান চালায়। মিরপুর-২ নম্বর থেকে সকাল ১১টায় মোটরসাইকেলে রওনা দিয়ে বিকেল ৪টায় কুড়িল পর্যন্ত আসতে পারেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, পথে কমপক্ষে ২০টি স্থানে শিক্ষার্থীরা তাঁর লাইসেন্স চায়।

বিআরটিএর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে ১৬ লাখ ৩৬ হাজার যানবাহন চালানো হচ্ছে বৈধ চালক ছাড়া। একটি গাড়িতে একজন চালক থাকবে—এ হিসাব করে এ তথ্যটি বের করা হয়েছে।

বিআরটিএ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত জুন পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত গাড়ি দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭০টি। অথচ বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ। সে হিসাবে সাড়ে ১৬ লাখের কাছাকাছি গাড়ি চলছে বৈধ চালক ছাড়া। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চালকের সহকারী গাড়ি চালায়।

এ ছাড়া রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী, মিরপুর-১০, ফার্মগেট, জিগাতলাসহ বিভিন্ন স্থানে কিশোর চালকরা লেগুনা চালায়। আইন অনুসারে ১৮ বছর না হলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায় না। অথচ ১৮ বছরের নিচের শিশু-কিশোররা যাত্রী পরিবহন করছে। তাদের একজন জসিম উদ্দিন গতকাল মহাখালী মোড়ে আলাপকালে বলে, লাইসেন্স লাগে না, পুলিশ ধরলে ৩০০ টাকা দিলেই হয়।

২০০৯ সালে প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৭ শতাংশ চালক ওস্তাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করে গাড়ি চালানো শিখেছে। তাদের ১৩ শতাংশ নিরক্ষর, ৪৭ শতাংশের প্রাথমিক শিক্ষা ও ৪০ শতাংশের বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে। পরীক্ষা না দিয়েই ৬১ শতাংশ চালক লাইসেন্স নেয়। ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রেজাউল হক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক আমাদের বহুদিনের দাবি। এবার সাধারন শিক্ষার্থীরা জেগেছে।’

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য দিলেই তা লুকিয়ে রাখতে চায় সরকার। আসলে লুকিয়ে রেখে লাভ হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এরই মধ্যে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’

বিআরটিএর সচিব শওকত আলী বুধবার দুপুরে জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ১৯ লাখ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে নিবন্ধিত প্রায় ৩৫ লাখ গাড়ির বিপরীতে। অনেক লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। নবায়ন করা হলে চালক বৈধ হবে।

রাজধানীতে প্রায় আট হাজার বাস চলাচল করে। এসব গাড়ির চালকের বৈধ লাইসেন্স নেই প্রায় ৪০ শতাংশের। এসব বাসের ৮৮ শতাংশেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বহু বছর আগে। এসব বাসের বেশির ভাগ চালাচ্ছে ভুয়া চালকরা, কখনোবা অল্পবয়সী কিশোর। বাসগুলোর অর্ধেকের নেই উপযুক্ততার সনদ—কোনোটির সামনের আয়না নেই, ব্রেক নেই, ইঞ্জিন চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যায়। এসব বাসের চালকদের প্রশিক্ষণও নেই। মালিকের সঙ্গে দৈনিক চুক্তিতে বেশির ভাগ বাস চালানোয় মুনাফার জন্য যাত্রীর দিকেই চোখ থাকে চালকদের।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত জাবালে নূর পরিবহনের তিন বাসচালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের ও সোহাগের লাইসেন্স যথাযথ ছিল না। দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ক্ষেত্র তৈরি করে এ তিন চালক। মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিনটি বাসের তিন চালক এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

জাবালে নূরের তিন বাসের রেষারেষিতে গত রবিবার দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটে। তিন চালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের ও সোহাগকে বিআরটিএ অপেশাদার চালকের লাইসেন্স দিয়েছিল। কিন্তু তারা পেশাদার চালক হিসেবে ভারী যান চালিয়ে আসছিল। তাদের লাইসেন্সগুলো যাচাই করতে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাস তিনটি হলো—ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭, ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ ও ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০।

বাসচালকদের রেষারেষিতে চলতি বছর যেন হত্যার মৌসুম শুরু হয় রাজধানীতে। গত এপ্রিলে প্রতিযোগিতা করে চলা দুই বাসের চাপায় হাত হারান সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন, পরে তাঁর প্রাণটিও যায়। বাসচাপায় মেরুদণ্ড ভেঙে চিরতরে পঙ্গু হন গৃহিণী আয়েশা খাতুন। ফার্মগেটে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা রুনি আক্তারের ওপরও বাস তুলে দেওয়া হয়েছিল। গত রবিবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনা দেশের সব মানুষকে নাড়া দিয়েছে। সেই থেকে রাজধানী অচল হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের অবরোধে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হবে বলে আশা করছি। সন্তানরা যেন রাজপথে না নামে সেজন্য অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিরাপত্তা বাহিনী ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। অন্তর্ঘাতমূলক কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিতে পারবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন কোন গাড়ি রাস্তায় নামবে না, শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবি পর্যায়ক্রমে মেনে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে গেলে তাদের টিসি দেয়া হবে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। শিক্ষার্থীদের কোনো ভয় নেই, তাদের কোনো দুর্ভোগে পড়তে হবে না। ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে অনেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে রাজনৈতিক ইন্ধন দেখা যাচ্ছে। আমরা দেখেছি, এই আন্দোলনের মধ্যে শিবির ও ছাত্রদল সম্পৃক্ত হয়েছে। আমাদের কাছে ছাত্রদল ও শিবিরের কথোপকথনের অডিও রয়েছে। সেখানে ছাত্রদলকে স্কুল ও কলেজের ড্রেস পরে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশ দিতে শোনা গেছে।

শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, এই আন্দোলন সহিংসতার দিকে টার্ন করতে পারে। কারণ, আমরা দেখিছি কাফরুল থানায় আক্রমণ করা হয়েছে। রাজারবাগ ও মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজম্যান্ট-এ ঢিল ছোড়া হয়েছে।

গত পাঁচ দিনের আন্দোলনে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কয়দিনে ৩১৭টা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আটটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তাই আমরা এই আন্দোলন কনটিনিউ না করার আহ্বান জানাচ্ছি।

অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহায়তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, তারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা দেশবাসী জেনে গেছে। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে একটা সাবোটাজ ঘটতে পারে। তাই অভিভাবক, শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্য ও প্রতিবেশীকে অনুরোধ করব, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে মাঠে না নামে, তাদের বোঝাতে।

যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন, সেখানে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে নতুন আইন শিগগিরই সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি গাড়ি চালকদের মূল কাগজ সঙ্গে রাখার নির্দেশ

দেশের খবর: সরকারি গাড়ি চালকদের যাবতীয় মূল কাগজপত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার পর এই নির্দেশ দেওয়া হলো।

সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চালকদের লিখিত ও মৌখিকভাবে বলে দেওয়া হয়েছে গাড়ির মূল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে।’

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর গত ২৯ জুলাই থেকে রাজধানীতে বিক্ষোভ চালিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা গত দুদিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালক ও যানবাহনের লাইসেন্স দেখতে চাইছে। কাগজ দেখাতে না পারলে আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি।

পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বেশ কয়েকটি গাড়ির চালক বৃহস্পতিবার লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি গাড়ি এবং একজন বিচারপতির গাড়িও ওই পরীক্ষায় উৎপাতে পারেনি।

শিক্ষার্থীরা এসব চালককে পুলিশে সোপর্দ করার পর লাইসেন্স না থাকার মামলা দেওয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে। এমনকি এক পুলিশকে আরেক পুলিশের মাধ্যমে মামলা দেওয়ার ঘটনাও রাজধানীতে ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট সরকারি গাড়ির চালকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বলেছেন, তাদের লাইসেন্স থাকলেও সরকারি গাড়ি চালান বলে তা সঙ্গে নিয়ে বের হন না। গাড়ির কাগজপত্র অফিসেই থাকে।

মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। ওদেরকে (গাড়ি চালকদের) বলে দিয়েছি এখন থেকে মূল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে, মূল কাগজই তারা সঙ্গে রাখবে।’

গাড়ি চালানোর সময় লাইসেন্স সঙ্গে রাখার নিয়ম লাইসেন্সের পেছনেই স্পষ্ট করে লেখা থাকে। পাশাপাশি বীমার কাগজ ও ব্লুবুকও সঙ্গে রাখার কথা চালকদের। ট্রাফিক সার্জেন্ট চাইলে তা দেখাতে হবে।

তাহলে সরকারি লোক কেন নিয়ম মানে না- এই প্রশ্নের ব্যাখ্যায় পরিবহন কমিশনার মুনশী শাহাবুদ্দীন বলেন,‘মূল কাগজ কেউ সঙ্গে না রাখলে তা পরিবহন পুল ভবনে রাখা হয়। ওইসব কাগজের ফটোকপি সঙ্গে রাখার একটা রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। তবে কখনো কখনো কেউ মূল কাগজও সঙ্গে রাখেন।’

সরকারি ড্রাইভারদের গাড়ির মূল কাগজের বদলে ফটোকপি দেওয়া হলেও তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই সঙ্গে রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে দাবি করেন পরিবহন কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘মূল কাগজপত্র একটু সেনসেটিভ হওয়ায় তা অনেক সময় অফিসে সংরক্ষণ করা হয়। তবে ওইসব কাগজের ফটোকপি তারা সঙ্গে রাখে।’

সরকারি চাকরিতে গাড়ি চালকদের পরিচয়পত্রের বাইরে পরিবহন পুলের গাড়ি চালক হিসেবে আরেকটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয় বলে জানান শাহাবুদ্দিন।

‘যাতে বোঝা যায় তারা সরকারি ড্রাইভার। তাদের নির্দিষ্ট পোশাকও আছে, তবে সবাই হয়ত সব সময় সেই ড্রেস পড়েন না।’

সব সরকারি গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ আছে দাবি করে পরিবহন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের তো আর্থিক সমস্যা নেই, এই খাতে নিয়মিত বরাদ্দও থাকে।’

তিনি বলেন, সরকারি পরিবহন পুলের গাড়ি যারা চালান, তাদের সবারই ভারী গাড়ি চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে। এই লাইসেন্স পেতে হলে অভিজ্ঞতাও বেশি লাগে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপসচিব থেকে শুরু করে জ্যেষ্ঠ সচিব এবং মন্ত্রীদের গাড়ি পরিবহন পুল থেকে সরবরাহ করা হয়।

শাহাবুদ্দিন জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যবহৃত সরকারি গাড়ির কাগজপত্র জেলা-উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে ঢাকায় যেসব গাড়ি চলে রাতে সেগুলো পরিবহন পুলে রাখা হয়। পরিবহন পুলের অধীনে ঢাকায় তিন শতাধিক গাড়ি প্রতিদিন ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ড্রাইভার) সব সময়ই বলি- তোমরা হবে মডেল, তোমরা সিট বেল্ট ব্যবহার করবে, আইন ভঙ্গ করবে না।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকায় মতবিনিময়

দেবহাটা প্রতিনিধি ॥ দেবহাটায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের গুরুত্ব ও ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নাংলা ফাতেমা রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে অনুুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, শিক্ষকদের মধ্যে আব্দুল আজিজ, আব্দুস সবুর, সিরাজুল ইসলাম, এসিভিআই ভোকা/ফুড দ্যা ইমপ্রুভড নিউট্রিশন প্রজেক্টের ইউএসএআইভি এলপিআইএল এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল রায়, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর তরিৎ রায়, সিএ/এলএসপি মমতাজ পারভিন, সাংবাদিক আকতার হোসেন ডাবলু, স্বেচ্ছাসেবক মামুন হোসেন প্রমুখ। এসময় মসজিদের ইমাম ও কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের গুরুত্ব ও ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা বিষয়ে সবাই একমত পোষন করেন। উল্লেখ্য, এসিভিআই ভোকা দেবহাটা উপজেরার ৫টি ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে লাইভস্টক প্রোডাবশন ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন বিষয়ে সেবা প্রদান করে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় স্কুলের ভ্যানে বেধে শিশুদের অনিরাপদ চলাচল, ইউএনওর ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটায় প্রিক্যাডেট স্কুলের ভ্যানে কোমলমতি শিশুদের ভ্যানের সামনে বেধে অনিরাপদভাবে যাওয়া আসা করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন। এমনভাবে কোমলমতি শিশুদের স্কুলের ভ্যানে করে দীর্ঘদিন অনিরাপদজনক যাওয়া আসা করানো হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিশুদের অভিভাবকদের নেই কোন মাথাব্যথা। বুধবার দুপুর ১ টার দিকে দেখা যায়, দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গরুরহাট এলাকায় দেখা যায় মডার্ন প্রিক্যাডেট স্কুল ভ্যানে করে একসাথে অনেকগুলো শিশুদেরকে ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভ্যানের মধ্যে তিল পরিমানের কোন জায়গা ফাকা ছিলনা, এমনকি ইঞ্জিনভ্যানের সামনে চালকের দুই পাশে ডানপাশে ২ জন শিশু ও বাম পাশে ২ জন শিশুকে বেধে বাড়ি পৌছানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চালকের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, অভিভাবকরা স্কুলে রেখে এসেছে তা কি করবো। তাদেরকেতো বাড়ি পৌছানো লাগবে। তবে এ ব্যাপারে মডার্ন প্রিক্যাডেট স্কুলের পরিচালক অধ্যক্ষ জামশেদ আলম জানিয়েছিলেন তিনি শিশুদের এভাবে নিয়ে যাওয়া হয় এ বিষয়ে কিছু জানেননা। তবে এ ব্যাপারে তিনি আগামী শনিবারের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদেরকে জানান। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক জানান, তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে সূত্র মতে জানা গেছে, উক্ত স্কুলটি প্রায় ১০/১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্টাকালে স্কুলটির নাম ছিল ক্যাপ্টেন শাহজাহান প্রিক্যাডেট স্কুল। সম্প্রতি স্কুলটির নাম পরিবর্তন করে মডার্ন প্রিক্যাডেট স্কুল রাখা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest