সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

সিলেট সিটি নির্বাচনে জামাত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

রাজনীতির খবর: সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে এখানে জামায়াতের পাওয়া ভোট নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ভোটের আগে জামায়াতের দাবি ছিল, সিলেটে তাদের ভোটের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। কিন্তু ভোটের ফলে তাদের দাবি অনেকটাই শুভংকরের ফাঁকি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে—এমনটাই বলছেন সিলেটের রাজনৈতিক মহল। এত ‘কম’ ভোট পাওয়ায় বিস্মিত ও হতাশ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।

ভোটের আগে ২০–দলীয় জোটের কাছে জামায়াত সিলেটে তাদের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার জোরালো দাবি তুলেছিল। জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা জামায়াতকে কয়েক দফা বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। উল্টো জামায়াত বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে তাদের সমর্থনে সরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করেন।

কিন্তু ভোটের প্রাথমিক ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনে জামানত হারাতে যাচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৫৪ ভোট। এখানকার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৭ জন।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জামানত হলো ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ। জামানত বাতিল হওয়াকে প্রার্থী বা সেই দলের জন্য ‘অমর্যাদাকর’ হিসেবে দেখা হয়।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০–এর ৪৪ বিধির ৩ উপবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণ বা ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর যদি দেখা যায় কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের এক–অষ্টমাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাহলে তাঁর জামানত সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।

জামানত রক্ষার জন্য জামায়াতে ইসলামীর ২৪ হাজার ৮৩৩ ভোট পাওয়ার দরকার ছিল।

স্থগিত দুটি কেন্দ্রের মোট ভোট ৪ হাজার ৭৮৭। এ ভোটের পুরোটা পেলেও জামায়াত প্রার্থী জামানত টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামী সিলেটের নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা নানাভাবে তাঁদের বিশ্লেষণ তুলে ধরেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপি প্রার্থীর নেতা–কর্মীরা নানা হয়রানি, হামলা মামলার শিকার হলেও জামায়াত নির্বিঘ্নে তাদের প্রচার চালাতে পেরেছে। ভোটের দিনও জামায়াতের প্রার্থীকে মাঠে সক্রিয় দেখা গেছে।

ভোটের হিসাব–নিকাশ নিয়ে জামায়াত শুরু থেকেও বেশ উচ্চাভিলাষী তথ্য দিয়েছে সবাইকে। নির্বাচনী প্রচারে তাদের শোডাউনও ছিল দেখার মতো। প্রচুর নেতা–কর্মী ভোটের মাঠে ছিলেন। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল বলছে, আশপাশের জেলা ও বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীদের এনে সিলেটে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে জামায়াত।

ভোটের আগে প্রথম আলোর কাছে জামায়াতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, সিলেটে জামায়াতের রুকন (সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মী ) প্রায় ৬০০ ও সক্রিয় কর্মী ৩ হাজার ৪০০। কর্মী প্রায় ৬ হাজার। তাঁদের পরিবারসহ ভোটার দাঁড়ায় প্রায় ২৫ হাজার। অন্যদিকে নানা বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামায়াত তাদের ভোটার ৫০ হাজারের বেশি বলে দাবি করেছে। সেটা স্থানীয় ২০–দলীয় জোট ও কেন্দ্রীয় ২০ দলের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে।

তবে এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিল ভিন্ন চিন্তা। তাদের মূল্যায়ন ছিল জামায়াত সাড়ে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজারের মতো ভোট পেতে পারে। তাই জামায়াতকে সঙ্গে নিতে তাদের একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। তাদের মূল্যায়ন ছিল, জামায়াতকে সঙ্গে নিলে সিলেটের বিশাল সংখ্যালঘু ভোট তাদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজ যা ভাবছে-

সিলেটের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজ মনে করছে, জামায়াত তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে সিলেটের ভোটে অংশ নিয়েছে। তাদের মতে, জামায়াত এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। কোণঠাসা কর্মীরা প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন। কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়েছেন। তবে ভোটের হিসাবে তাদের অবস্থান শুভংকরের ফাঁকি হিসেবে প্রমাণ হয়ে গেছে। তাদের সাংগঠনিক অবস্থার কথাও জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে। যেটা জোটের রাজনীতিতে তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাসদের মেয়র প্রার্থী আবু জাফর মনে করেন, বিএনপির ভোটের রাজনীতিতে জামায়াত আদৌ কোনো ফ্যাক্টর কি না, সেটা বিএনপিকে ভাবতে হবে। সিলেটের ভোটের ফল বিএনপির কাছে প্রমাণ করেছে জামায়াত তাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়।

সরকার দলের প্রশ্রয়ে এখানে জামায়াত নির্বাচন করেছে বলে অভিযোগ করেন সিলেটের অন্যতম এ বাম নেতা। তিনি বলেন, অথচ এখানকার তরুণ ও প্রগতিশীল মানুষের চাপে জামায়াত কোণঠাসা ছিল। ভোটের দিন সব দলের এজেন্ট ও কর্মীরা কোণঠাসা থাকলেও জামায়াত ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ‘শান্তিপূর্ণ’ সহাবস্থান ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভোটের ফল নিয়ে জামায়াতও হতবাক। মহানগর জামায়াতের আমীর ও সিলেটে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে। এমন ফল আমরা চিন্তাই করতে পারি না।’ নির্বাচনী ফল সম্পর্কে মূল্যায়ন দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বসে আগামীকাল নাগাদ সবাইকে জানানো হবে বলে জানালেন এ জামায়াত নেতা।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ বলেন, সিলেটে জামায়াত যে বাড়াবাড়ি করেছে তার ফল পেয়েছে। এবারের ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেল তারা গুটিকয়েক কর্মীর দল। তিনি আরও বলেন, এখানকার নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে তারা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে ভোটের মাঠে ছিল। আলী আহমেদ বলেন, এ দেশের মানুষ এখনো একাত্তরের কথা ভুলে যায়নি। তাদের অপকর্মের কথা ভুলে যায়নি। তাই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে সিলেটের মানুষ।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেটের সম্পাদক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফাঁকা বুলি তুলে তারা ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে। জাতীয় রাজনীতিতে দর-কষাকষির সুযোগ তৈরির জন্য মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাই শহরের বাইরে থেকে হাজার হাজার মানুষ এনে শোডাউন করেছে, মিছিল করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।

অন্য চার প্রার্থীর জামানতও বাজেয়াপ্ত হচ্ছে:

নির্বাচনের ১৩২ কেন্দ্রের প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, প্রধান দুই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট এবং বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ৬২৬ ভোট। এ দুজন ছাড়া মেয়র পদে অন্য চার প্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোটের মোয়াজ্জেম হোসেন, বাসদের আবু জাফর, বিএনপি নেতা ও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া বদরুজ্জামান সেলিম ও স্বতন্ত্র মো. এহছানুল হক তাহেরের জামানতও বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।

এঁদের মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন হাত পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৫ ভোট; সিপিবি-বাসদ মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর মই প্রতীকে পেয়েছেন ৯০০ ভোট; নাগরিক কমিটির প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বাস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮২ ভোট; এবং সচেতন নাগরিক সমাজের প্রার্থী মো. এহছানুল হক তাহের হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯২ ভোট।

সূত্র: প্রথমআলো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত

দেশের খবর: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক, আমরা মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীও দুঃখ পেয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন। সে কারণে তিনি আমাকে পরিবারটির খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত। তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তিনি খুবই কঠোর।’

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার মহাখালীতে বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মীমের বাসায় গিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানাতে।

তিনি বলেন, ‘গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা বা পাল্লাপাল্লি করা, যে কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটুক তা খুঁজে বের করা হবো। যে কারণে বা যার কারণে ঘটনা ঘটেছে তাদের শাস্তি পেতে হবে। এই নৈরাজ্যের প্রতিকার হওয়া উচিত।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম যে এলাকায় থাকেন এটি আমার নির্বাচনি এলাকা। তাই সেখানে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীও আমাকে যেতে বলেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ির চালক হেলপারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যার গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটলো, তাকে শাস্তি পেতে হবে। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, এটি অদক্ষ ড্রাইভারের কাজ। তাই আমি আবারও বলছি, অদক্ষ চালক হোক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি হোক অথবা ট্রাফিক আইন অমান্য করে হোক, যে কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। এজন্য দায়ীদের শাস্তি পেতেই হবে।’

রাস্তায় ছাত্রদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে, এটি তারা করতেই পারে। কারণ, তারা তাদের সহপাঠীকে হারিয়েছে, বন্ধুকে হারিয়েছে। তাদের আবেগ আছে তাই তারা বিক্ষোভ করছে। আমি ছাত্রদের এই বিক্ষোভকে সমর্থন করি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যেন ত্বরিতগতিতে এই দুর্ঘটনার বিচার হয়। তাই ছাত্রদের অনুরোধ করবো যেন তারা বাসায় ফিরে যায়।’

দুর্ঘটনার মামলা ৩০২ ধারায় করা হয় না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আইন বিষয়ে ভালো জানি না। তবে ইচ্ছা করে হত্যা করলে তো ৩০২ ধারায় মামলা হয়।’

বাসের প্রতিযোগিতা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্বীকার করতে বাধা নেই এটি রাস্তায় হয়। ক্যানসার ও কিডনি রোগে বছরে যত মানুষ মারা যায়, দুর্ঘটনায় তারচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। ঢাকা শহরের এই দুর্ঘটনা বন্ধ করতে সেইফ ঢাকা নামে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। ঢাকা শহরের সড়ক ব্যবস্থাপনায় নতুন নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে যানজট কমে যাবে। যানজট কমে গেলে সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে কমে যাবে।’

চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তারা আন্দোলন করে। এক্ষেত্রে এমন হলে কী করবেন—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

আসামে বাঙালি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি মানুষ মাইগ্রেন্ট হয়নি বলেই আমি জানি। কাজেই চিন্তার কিছু নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি অত বেশি ক্লিয়ার নই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি দেখছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বঙ্গবন্ধু মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোথায় মুক্তি!’

দেশের খবর: রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কের কুর্মিটোলা এলাকায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেছে। এতে পুরো রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল।

রাজধানীর সিটি কলেজ এবং ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাজধানীর অন্যতম প্রধান সড়ক মিরপুর রোডের সাইন্সল্যাব ওভারব্রীজের নিচে অবস্থান করে। কলেজপড়ুয়া ছাত্ররা গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত পরিবহন উভয়েরই চলাচল বন্ধ করে দেন। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বাধা দেয়া হয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ীদের ফাঁসি ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তবে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানটিই ঘুরেফিরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিলো এই পথজুড়ে। আন্দোলন এবং স্লোগানের এক সময় পুলিশের একটি টহল গাড়িকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মুখে উলটোপথে ফিরে যেতে হয়।

এসময় একজন ছাত্র সাংবাদিকদের বলতে থাকেন, দোষ আমাদের না, দোষ সালাম জব্বার রফিকের, তারা আমাদের শিখিয়েছেন ছাত্রদের প্রতিবাদ করতে হবে। শেখ মুজিবর রহমান আমাদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোথায় মুক্তি!

আরেকজন বিক্ষুব্ধ ছাত্র বলেন, সরকার শাজাহান খানকে কিছু বলে না আর ছাত্রদেরকে পিটায়।

তারা আরো বলেন, দোষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনিই আমাদের শিখিয়েছেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। কিন্তু আমাদের মুক্তি নাই।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিটি কলেজ ও ইম্পেরিয়াল কলেজসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব ওভারব্রিজের নিচের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের এই অবরোধ রোগী, বয়স্ক নাগরিক এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য নয়।

শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো জানায় সেগুলো হলো নৌ পরিবহনমন্ত্রীর সকল সংসদীয় কমিটি, মালিক-শ্রমিক ফেডারেশন ও মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করা, ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের ন্যায্য দাবি পূরণ, পেশাদার লাইসেন্স প্রদানে স্বচ্ছতা, সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি, বিগত দিনের সকল দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় ওভারব্রিজ, সকল প্রকার দলীয় আচরণ ত্যাগ করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা, পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ আইন প্রণয়ন, ক্ষতিগ্রস্তদের বাস্তবসম্মত ক্ষতিপূরণ, গাড়ির ফিটনেস ও শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্শিনা প্রিয়ায় বিয়ে, অনামিকায় ১৫ লাখ টাকার আংটি

বিনোদন সংবাদ: সম্প্রতি হয়ে গেল কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি মডেল, কোরিওগ্রাফার ও কণ্ঠশিল্পী আর্শিনা প্রিয়ার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। টরেন্টোর বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ফখরুল তালুকদারের সাথে আর্শিনার বিয়ে সম্পন্ন হয়। ফখরুলের বাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায়।

আকদ পূর্বে হলেও ২৮ জুলাই কানাডার স্থানীয় লায়ন হেড গলফ ক্লাব ও কনফারেন্স সেন্টারে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে বর-কনে বিয়ের ভেন্যুতে উপস্থিত হন ১৯৪৭ সালের রোলস রয়েস গাড়িতে। বিয়েতে আর্শিনা প্রিয়া অনামিকায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যমানের হিরের আঙটি পরেন।

নানা আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান মুখর করে তোলেন সঙ্গীতশিল্পীরা। ইংলিশ গায়ক মাইজ ব্রাউন, জাজ মিউজিশিয়ান কন্নর, পাকিস্তানি গায়ক ফাইয়াজ আলম, বাংলাদেশের স্বপ্নীল সজীব।

বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়ার ট্রাস্টি ড. এম এ মুহিত, ডা. হুমায়ুন কবির, ডা. নাহিদ শাফি, ডা. শাহরিয়ার মোর্শেদ, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী আরিফুর রহমানসহ আর্শিনা প্রিয়া ও ফখরুলের আত্মীয় স্বজনেরা।

নায়ক বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’ সিনেমায় ‘পিচকারি’ শিরোনামের আইটেম গানে পারফর্ম করে দারুণ আলোচিত হন তিনি। একই ছবিতে ইমন সাহার সুরে কিশোরের সঙ্গে প্রথম প্লে-ব্যাকও করেন আর্শিনা। নিজের একটি সলো অ্যালবামও প্রকাশ করেন প্রিয়া। বর্তমানে স্বপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে ৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

দেশের খবর: সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন কিশোরসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরো একজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন কাদাই গ্রামের সজীব (১৩), রাজু (১৪), হাবিব (২৪), রফিকুল (৩০), আবদুস সাত্তার (৫০), তাঁর ভাতিজা ছানোয়ার হোসেন (২৫), আবদুল্লাহ (১৩) ও মমিন (৩০)। তাদের মধ্যে তিনজন ছাত্র, চারজন তাঁত শ্রমিক ও একজন ব্যবসায়ী।

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাদাই গ্রামে বর্ষার পানিতে একটি টং দোকান ডুবে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ১০-১২ জন মিলে দোকানটি অন্য স্থানে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। এ সময় পল্লী বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তার ওই দোকানের টিনের চালার ওপর পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সবাই পানিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তারটি কেটে দিয়ে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একে একে আটজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন।

এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজধানীতে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে, বাসে আগুন

দেশের খবর: বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীকে পিষে মারার ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নিয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে করে পুরো ঢাকা শহরের যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

রাজধানীর উত্তরায় সড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এসময় শিক্ষার্থীরা একটি গাড়িতে আগুন দেয়।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় আরও ক’জন। দুপুর ১টার দিকে উত্তরাগামী জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস মিরপুর ফ্লাইওভার থেকে নেমে অন্য আরেকটি বাসের সাথে পাল্লা দিলে কুর্মিটোলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ রাতে খালি চোখে দেখা যাবে মঙ্গল গ্রহকে

ভিন্ন স্বাদের খবর: প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গল ১৫ বছরের মধ্যে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। আজ রাতে পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যেতে পারে লাল রঙের এই গ্রহটিকে। আজ রাতে মঙ্গল গ্রহ ও পৃথিবীর দূরত্ব হবে মাত্র ৩৫.৮ মিলিয়ন মাইল (৫৭.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার)।

শেষ ২০০৩ সালে পৃথিবীর এতটা কাছাকাছি এসেছিল মঙ্গলগ্রহ। পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের স্বাভাবিক দূরত্ব ৫০.২ মিলিয়ন মাইল।

সবাইকে ঘর থেকে বেরিয়ে মঙ্গলগ্রহ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আজ না দেখলে, ২০৫০ সালের আগে আর মঙ্গলগ্রহকে এতটা কাছ থেকে দেখার সুযোগ মিলবে না। সূত্র: নিউজ অস্ট্রেলিয়া

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের উদ্যোগে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে ত্রিশ হাজার বৃক্ষ রোপন কর্মসুচির আওতায় এক হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ লাইন্স স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে এ চারা বিতরণ করেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মঈন উদ্দীন, জেলা বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পুলিশ সুপার এ সময় বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ৩০ লক্ষ শহীদের স্মরনে ত্রিশ লক্ষ বৃক্ষ রোপন অভিযানের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে ৩০ হাজার বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest