সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

সাতক্ষীরায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে আটক ৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৮ মাদক ব্যবসায়ী ও তিন জামাত-শিবির কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ২২ বোতল ফেন্সিডিল ও ৭৬ পিচ ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ২ জন, কালিগঞ্জ থানা ৬ জন, শ্যামনগর থানা ১১ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন,দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জনকে আটক করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

শিক্ষা সংবাদ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে ১ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৩০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনকারীর শিক্ষাজীবনে সব পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা বিভাগ বা সমমানের জিপিএ থাকতে হবে। তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়।

সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮-৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর। পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ব্যতীত বাংলাদেশি নাগরিকরা পদগুলোতে আবেদন করতে পারবে। প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য https://dpe.teletalk.com.bd অথবা http://www.dpe.gov.bd/ লগইন করলে একটি লিংক পাওয়া যাবে। ওই লিংকে প্রবেশ করে নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

জানা যায়, বর্তমানে সারা দেশে ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর ২৩ হাজারের মতো সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নতুন এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরো ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হজমশক্তি বাড়াতে ও ওজন কমাতে খান আনারস

স্বাস্থ্য কণিকা: ওজন নিয়ে সকলের একটা সমস্যা থেকে যায়। কারণ বেশি ওজনের ফলে যেমন শারীরিক সমস্যা আসে, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যেও ব্যাঘাত ঘটে। তবে আপনার এই ওজন কমতে পারে শুধুমাত্র একটা ফলের সাহায্যে। সেই ফলের নাম আনারস।

মৌসুমি ফল আনারসে রয়েছে অসংখ্য গুণ। এই ফল যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটায়, তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ জোগায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ওজন কমাতে আনারস কিভাবে সাহায্য করে-

১। আনারস আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করে। হজম জনিত যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খুবই উপকারী।

২। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী, ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যদি আপনি আনারস রাখেন তাহলে আপনার হাড়ের সমস্যাও দূরে থাকবে।

৩। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। যা আমাদের শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৪। একথা শুনলে অবশ্যই অবাক হবেন, আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট। আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

৫। দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) সমস্ত শরীরে সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে। তাই রক্ত পরিষ্কার রাখতে আনারসের বিকল্প কিছু হয়না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিলিস্তিনি শিশুদের মাথায় বোমা ফেলা উচিত: ইসরাইলি শিক্ষামন্ত্রী

বিদেশের খবর: ইসরাইলে ঘুড়ি পাঠানো ফিলিস্তিনি শিশুদের মাথায় বোমা ফেলা উচিত ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের। সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট। ইনেট নেট নিউজের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
খবরে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে রবিবার ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদ এক বৈঠক করেছে। তাতে ইসরাইলে গাজা উপত্যকা থেকে ছোড়া জ্বলন্ত ঘুড়ি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরাইলি সীমান্তে জ্বলন্ত ঘুড়ি পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছে গাজার বাসিন্দারা। এসব ঘুড়ির বেশিরভাগই ছুড়েছে শিশুরা।
বৈঠকে বেনেট বলেন, আমাদের দিকে আকাশপথে হামলা চালায় এমন যে কাউকে আমরা গুলি কেন করে দেই না?
বেনেট আরো বলেন, এই বিষয়ে কোন আইনী বাঁধা নেই। তাদের আশপাশে কেন গুলি ছুড়বো? সরাসরি তাদের উদ্দেশ্য করে কেন নয়? এরা সকল দিক দিয়ে সন্ত্রাসী।
বেনেটের মন্তব্যের জবাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ গাডি আইজেনকত বলেন, আমি বেলুন ও ঘুড়ি ছোড়া কিছু কিশোর ও শিশুদের ওপর গুলি ছোড়া ঠিক মনে করি না।
তিনি বেনেটকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি হিংসাত্মক বেলুন ও ঘুড়ি তৈরির জায়গাগুলোয় বিমান থেকে বোমা ফেলার প্রস্তাব রাখছেন?
আইজনকতের প্রশ্নের জবাবে বেনেট বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এটা করা উচিত। সেনাপ্রধান তখন বলেন, আমি আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। এটা আমার নৈতিক ও আভিযানিক অবস্থানের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ইসরাইল উদ্দেশ্য করে ছোড়া বেশিরভাগ জ্বলন্ত ঘুড়িই ছোড়া হয়েছে কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া ‘গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন’ আন্দোলনের সময়। এসব ঘুড়ির বেশিরভাগই ছুড়েছে শিশুরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রামে গেইল

খেলার খবর: বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যাশিং ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে। অপরদিকে ১৩ সদস্যের দলে ফিরেছেন কারডউইক ওয়ালটন ও শেলডন কটরেল।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২ রান করেন গেইল। যার মধ্যে শেষ ম্যাচে ৬৬ বলে ৭৩ রানের দারুণ একটা ইনিংস রয়েছে। যদিও মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে ওই সিরিজ জিতে নিয়েছে।
এদিকে ওয়ানডে সিরিজে কটরেল খেলেছেন। যেখানে তৃতীয় ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৫৯ রানের খরুচে বোলিং করে একটি উইকেট পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে তিনি সবশেষ এপ্রিলে খেলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ক্যারিবীয় দল থেকে বাদ পড়েন।
ওয়ালটন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন। যেখানে তিনি করেছেন ১৮৩ রান। এই দুজন ছাড়াও টি-টোয়েন্টিতে আছেন এভিন লুইস ও আন্দ্রে রাসেলও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: কার্লস ব্রাথওয়েট (অধিনায়ক), সামুয়েল বাদরি, শেলডন কটরেল, আন্দ্রে ফ্লেচার, এভিন লুইস, অ্যাশলে নার্স, কিমো পল, রোভম্যান পাওয়েল, দিনেশ রামদিন (উইকেটরক্ষক), আন্দ্রে রাসেল, মারলন সামুয়েলস, চাদউইক ওয়ালটন ও কেসরিক উইলিয়ামস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাঁচা সবজি খাওয়া কি উচিত?

স্বাস্থ্য কণিকা: বিশ্বে প্রায় ৮০ মিলিয়ন প্রাণী রয়েছে। তাদের মাঝে প্রায় সাত লাখ পশু শ্রেণীভুক্ত। আর এসব প্রাণীদের প্রায় সবাই কাঁচা খাবার খেয়েই বাঁচে। এদের মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে একমাত্র মানবকূল। মানুষ নিজেই আগুন আবিস্কার করে তা দিয়ে পুড়িয়ে বা রান্না করে খাবার খেতে শুরু করে। খাবার সুস্বাদু এবং ভোজনের যোগ্য করার জন্যই মানুষ মূলত তা রান্না করে বা আগুনে পোড়ায়। তবে রান্না করে খাবার খাওয়ার ফলে মানুষের আয়ু যে বেড়েছে এরকম কোনো প্রমাণ নেই।

মানুষকে বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভুগতে হয় অনেক বেশি। মানুষের বিভিন্ন মারাত্মক রোগের মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার, আথ্রাইটিস ও অন্যান্য জীবাণুবাহিত রোগ। এসব রোগের অনেকগুলোর কারণই খাবার। মানুষের আয়ু হতে পারত ১২০ থেকে ১৪০ বছর পর্যন্ত। কিন্তু তা হচ্ছে না নানা কারণে।

গবেষকদের মত, আগুনের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত তাপ দিয়ে রান্না করে খাওয়ার প্রবণতা মোটেও ভালো নয়। এ বিষয়ে ড. বেটেল পিএস বলেন, ‘পোড়া পুষ্টি হলো নিরব ঘাতক। ধীরে ধীরে এসব পদার্থ আমাদের দেহে তাদের ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে।’

খাবার গরম করলে তা থেকে যেসব প্রতিক্রিয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে প্রোটিনে পরিবর্তন, কার্বহাইড্রেটের স্বাভাবিকতা হারানো, ফ্যাট পরিবর্তিত হয়ে হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোসামাইনস, অ্যাক্রোলিন ও বেনজোপাইরেনে (ক্যান্সারের অন্যতম কারণ) পরিণত হয়। এছাড়া এর ফলে ৫০ শতাংশ ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি শতভাগ এনজাইমও এতে নষ্ট হয়ে যায়। রান্না করার ফলে খাবারের ফাইবার নষ্ট হয়। এতে সেলুলোজগুলো দেহের অভ্যন্তরভাগ পরিষ্কার করার ক্ষমতা হারায়।

এসব সমস্যা এড়াতে বেশি করে কাঁচা ফলমূল ও অন্যান্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। এজন্য তাদের দৃষ্টিতে কিছু পরামর্শ রয়েছে যেমন :
১. রান্না না করেই খাবার খেতে হবে। তবে এক্ষেত্রে যে কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। যেসব খাবার পেটে সহ্য হয় শুধু সেসব খাবারই খেতে হবে।

২. যথাসম্ভব রান্না করা খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং কাঁচা ও রান্নাবিহীন খাবার, সবজি ও সালাদ বাড়াতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ লাইন ও সংযোগ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার ১নং কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গা, সুবর্ণাবাদ,দক্ষিণ কুলিয়া মোড়লপাড়া, বহেরা শাহাজীপাড়া, টিকেট, রাজরাম, ভেন্নাপোতা, নুনিখোলা ,বেলেডাঙ্গা, পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর,সেকেন্দ্রা, নাজিরের ঘের, শান্তা, পুটিমারি, উত্তর পারুলিয়া, নোড়ারচক, পারুলিয়া খাসপাড়া। সখিপুর ইউনিয়নের কোড়া, কাজি মহল্ল্যা, পশ্চিম কোড়া, পাঁচপোতা। নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর, আতাপুর, রামনাথপুর, কামটা, গরাণবাড়িয়া, জগন্নাথপুর, ঢেপুখালী, কালাবাড়ীয়া, আট’শ বিঘা, পাইকপাড়া, কামকাটিয়া, হাদিপুর, বেজোর আটী, ঘোনাপাড়া, নাংলা, ছুটিপুর,দক্ষিণ নাংলা, নাংলা মাঝ পাড়া, নওয়াপাড়া, দেবহাটা ইউনিয়নের ভাতশালা, ঘলঘলিয়া, চরশ্রীপুর, বসন্তপুর, দাসপাড়া, দক্ষিণ দেবহাটা অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে ৪ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার পর্যন্ত তোলা হয়েছে নতুন বিদ্যুৎ লাইন ও সংযোগ দেওয়ার নাম করে ঘর প্রতি মিটার বাবদ এই টাকা তোলা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে এই অর্থ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলার গরীব, দিনমজুর থেকে শুরু করে বিত্তবানদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে। নতুন সংযোগ ও মিটার পাওয়ার আশায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা বাড়ির গবাদি পশু, সমিতি থেকে লোন নিয়ে টাকা দিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে।
অভিযোগে,আতাপুর এলাকার সুধান চন্দ্র বর, আরশাদ আলী, কামটার আবু জাফর, ফরিদ হোসেন, শিমুলিয়া এলাকার হাফিজুল ইসলাম, জগন্নাথপুর এলাকার মনিরুল ইসলাম,আকবার আলী, হাদিপুরের জামাত আলী, মুজাহিদ হোসেন, নাংলার লাভলু, দক্ষিণ বাংলা এলাকার ফুলচাঁদ দাস, শরিফুল ইসলাম, ঘোনাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম, আবুল গাজীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২’শ মানুষের স্বাক্ষরিত ঐ অভিযোগে বলা হয়েছে দেবহাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও ৪নং নওয়াপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানের নির্দেশে পারুলিয়ার শাহাবুদ্দিন, কুলিয়ার আজহারুল ইসলাম, নওয়াপাড়ার নাজমুস শাহাদাত,আকবার আলী, মোনতেজ আলী, মান্নান সরদার, ভাতশালার রবিউল ইসলামসহ ১০/১৫ জন ব্যক্তি দেবহাটার বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকা তুলেছে।
এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও ৪নং নওয়াপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান জানান, বিদ্যুৎ লাইন ও সংযোগ দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। এটি অপপ্রচার মাত্র।
এব্যাপারে ভূক্তভোগীরা প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফেসবুকে ঢাবি শিক্ষককে ‘টাক’ বলায় ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

শিক্ষা সংবাদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. একেএম রেজাউল করিমকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘টাক’ বলাসহ অশোভন মন্তব্য করায় ওই বিভাগের সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক নোটিসে এ বহিষ্কারের কথা জানা যায়। গত ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলো ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের খাইরুন নিসা ও উম্মে হাবিবা তানজিলা; ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজুল আবেদিন, ফাতিমা ও সামিরা মাহজাবিন; ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ-হীল-বাকী ও অদিতি সরকার। এরমধ্যে খাইরুন নিসা ও মিনহাজুল আবেদীনকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে অধ্যাপক ড. একেএম রেজাউল করিম কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। অন্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে নিজেদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে মন্তব্য করে। একজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে ‘টাক’ বলেও মন্তব্য করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিভাগের একাডেমিক কমিটি তদন্ত করে দেখে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে গত ১০ জুলাই সিন্ডিকেটের সভায় ওই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করে ২০ দিন পর বিভাগের নোটিস বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নামসহ বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মাহফুজা খানম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বহিষ্কার করা হয়েছে গত ১০ জুলাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একজন শিক্ষককে নিয়ে অশোভন মন্তব্য করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest