সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে আটক ৭৬

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯ জন মাদক মামলার আসামী ও জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতাকর্মীসহ ৭৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিলসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৩১ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ১৩ জন, শ্যামনগর থানা ৯ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পারিশ্রমিকেও এগিয়ে এমবাপ্পে

খেলার খবর: সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে বিস্ময় বালক হিসেবেই উদ্ভাসিত হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাইলিয়ান এমবাপ্পে। মোনাকোর জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অভিষেকেই ইউরোপীয় কাব ফুটবলে ঝড় তোলেন উদিয়মান ফরাসি টিনএজার। ধারে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে তার সময় কেটেছে এডিনসন কাভানি ও নেইমারের ছায়ায় থেকে। কিন্তু ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ঠিকই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ফ্রান্সের নাম্বার টেন। রাতারাতিই বনে গেছেন সুপারস্টার।

তাকে দলভুক্ত করতে বিত্তশালী কাবগুলোর মধ্যে একপ্রকার স্নায়ুযুদ্ধও শুরু হয়ে গেছে। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ফ্রান্সের জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই। বিশ্বকাপের সেনসেশনের তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে পারিশ্রমিকের শীর্ষস্থান দখলে মুখ্য অবদান রেখেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নেরা। ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী তরুণ তারকাদের মধ্যে আয়ে শীর্ষ ৩-এ থাকা ফুটবলারদের নিয়েই এ প্রতিবেদন :

গ্যাব্রিয়েল জেসুস
ম্যানসিটি (৮৮ মিলিয়ন ইউরো)
বিশ্বকাপে হতাশ করেছেন ব্রাজিলীয় সেনসেশন জেসুস। এর পরও তার মাঠের ফুটবলের বিপরীতে প্রাপ্তি পারিশ্রমিক দ্বিগুণ হয়েছে গত ১২ মাসে। কারণটাও স্বচ্ছ। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঘরোয়া ফুটবলের আসর প্রিমিয়ার লিগে তার গোল করার সক্ষমতা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে ম্যানসিটির জার্সিতে। বর্তমান ইংলিশ চ্যাম্পিয়নের আসছে মওসুমের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পেপ গার্ডিওলার অন্যতম নির্ভরতা জেসুস।

মার্কোস রাশফোর্ড
ম্যানইউ (৮৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরো)
জেসুসের কার্বন-কপি হিসেবেই রাশান বিশ্বকাপ পাড়ি দিয়েছেন ম্যানইউর বিস্ময় বালক খ্যাত রাশফোর্ড। মূলত সাউথগেটের ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশে সুযোগ কমই জুটেছে ইংলিশ তরুণের। এ ক্ষেত্রে তার রাশান টুর্নামেন্ট মন্দ কাটেনি। বদলি হিসেবে মাঠে রাশফোর্ডের বল পায়ের ম্যাজিক অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বকাপের নৈপুণ্যে তাকে এগিয়ে দিয়েছে আসছে প্রিমিয়ার লিগ মওসুমে মরিনহোর ম্যানইউর প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ রেসে।

কাইলিয়ান এমবাপ্পে
প্যারিস সেন্ট জার্মেই (১৯৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ইউরো)
ফিফার ২১তম বিশ্বকাপে বল পায়ের ম্যাজিক এমবাপ্পেকে তুলে এনেছে তরুণ্যে উজ্জীবিত ফুটবলারদের আয়ের শীর্ষস্থানে। ২০১৮ সালের মেগা আসরের শ্রেষ্ঠ উদীয়মান ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড জয়ী ফরাসি টিনএজার দুই নম্বর থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন। যদিও বর্তমান আয়ের ফিগারেই সীমাবদ্ধ না-ও থাকতে পারে ১৯ বছর বয়সী ফ্রান্সের নম্বর টেন সুপারস্টারের আসন্ন ইউরোপীয় কাব মওসুম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সমুদ্রে সুস্পষ্ট লঘুচাপ: ৩ নম্বর সংকেত

দেশের খবর: উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপের রূপ নিয়েছে।

ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার রাতে আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

“শনিবার বিকালে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত বাড়বে রোববার থেকে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই।”

আবহাওয়াবিদ হাফিজ বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়ার শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইমরান এইচ সরকারকে আমেরিকা যেতে দেওয়া হয়নি

বিদেশের খবর: গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইমরান এইচ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শুক্রবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে এমিরেটাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উঠার পর সেখান থেকে তাকে নামিয়ে আনা হয়। পরে আর তাকে বিমান উঠতে দেওয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি আমেরিকায় যাত্রা করছিলেন। শুক্রবার রাতে ইমরান এইচ সরকার এসব তথ্য জানান।

ইমরান এইচ সরকার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ইয়থ ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রাম ও মানবাধিকার সংক্রান্ত আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি আমেরিকা যাচ্ছিলেন। এমিরেটাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য তিনি বিকেল ৪টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বোর্ডিং পাশ নিয়ে তিনি ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি বিমানের ভেতরে নিজ আসনে বসলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে সেখান থেকে ডেকে বের করে নিয়ে আসেন। পরে তার সঙ্গে দীর্ঘ সময় নিয়ে আমেরিকা যাওয়ার কারণ নিয়ে কথা বলেন। এরমধ্যে বিমান ছেড়ে যায়। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উপরের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলে জানায়।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‌তারা সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ জানাতে পারেনি। পরবর্তীতে আমাকে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ইমিগ্রেশন বাতিল করার একটি আবেদনে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। এতে রাজি না হলে পাসপোর্টে ডিপারচার অংশে কলম দিয়ে কেটে দিয়ে তাকে ছাড়া হয়।

ইমরান বলেন, ‘আজ আমার সঙ্গে যা করা হলো তা একটি অগণতান্ত্রিক আচরণ, নিপীড়নমূলক। আমি একটি ভালো কাজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু নজীরবিহীনভাবে আমাকে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর আবার ফিরিয়ে আনা হয়। আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও নেই। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে ইমিগ্রেশনের সময় তারা আটকাতো। এরকম নজিরবিহীন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

এর আগে ইমরান এইচ সরকার তার ফেসবুক পেইজে এই ঘটনা নিয়ে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন যে, ‘আমেরিকান সরকারের U.S. Department of State এর আমন্ত্রণে অহিংস আন্দোলন, লিডারশিপ, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আজ ৪ সপ্তাহের জন্য আমার আমেরিকা যাবার কথা ছিল। আমি বোর্ডিংসহ ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে উঠার সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে বাধা দিয়েছে। যদিও আমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কিংবা মামলা নেই। ইমিগ্রেশন শেষ করার পর এ ধরনের বাধার ঘটনা নজিরবিহীন।’

এদিকে যোগাযোগ করা হলে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুলিশের বিশেষ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ইমরানকে আটকানোর নির্দেশনা ছিল। তার বিরুদ্ধে আমেরিকা গিয়ে দেশবিরোধী বক্তব্য প্রচারের শঙ্কা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেখানে গোসল করলেই দাঁড়িয়ে যায় মাথার চুল!

ভিন্ন স্বাদের খবর: পানির তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাতে ডুব দিলেই মাথার চুল দাঁড়িয়ে যাবে। আর গোটা মাথায় বিছিয়ে থাকবে সাদা তুলার মতো বরফ। এমন ‘পুলে’ গোসল করার ইচ্ছা থাকলে চলে আসুন কানাডার ইওকনে।

ইওকনে একশোর বেশি এমন উষ্ণপ্রস্রবণ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন তাপমাত্রার পানিতে গোসল করতে পারেন। ‘তাকহিনি’ তেমনই একটি প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণ।

জানা যায়, এই উষ্ণ প্রস্রবণে একসময় কানাডার ‘ফার্স্ট নেশন’-এর অধিবাসীরা স্নান করতেন। পরবর্তীকালে এই পুল ব্যবসায়িক হয়ে ওঠে।

১৯৪০ সালে এই পুলটিকে কাঠ এবং ক্যানভাস দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হয়। আলাস্কা হাইওয়ে তৈরির সময় এখানে গোসল করতেন মার্কিন সেনা কর্মীরা।

১৯৫০ সাল থেকে এই পুলটির বিপুল বাণিজ্যকরণ হয়। এখন ইওকন শহরে তাকহিনি উষ্ণ প্রস্রবণ-সহ আরও অনেক পুল রয়েছে যেখানে প্রতি বছর গোসল করতে আসেন বহু পর্যটক।

শীতকালে এই পুলে নামলেই মাত্র ৬০ সেকেন্ডে মাথার চুল বরফে ঢেকে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। এই সময় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতের মৌসুমে এই উষ্ণ প্রস্রবণে গোসল করার জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতা চলে। এই প্রতিযোগিতায় জয়ীকে ১৫০ ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়।

তবে, গ্রীষ্ম এবং শরতের সময় ‘তাকহিনি’ পুলের পানির তাপমাত্রা বাড়ে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপামাত্রা থাকে এই প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণে। অর্থাৎ সারা বছরই গোসলের নেশায় ভিড় দেখা যায় পর্যটকদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ

বিদেশের খবর: ভারতীয় লোকসভায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া ৪৫১ জন সাংসদের মধ্যে মোদি সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩২৫ জন এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৬ জন।

জি নিউজের খবর, বিরোধীদের হাতে যে সাংসদ সংখ্যা ছিল তা দিয়ে শাসক দলকে কোনোভাবেই পরাস্ত করা সম্ভব হত না। সেই ফলই প্রতিফলিত হল ভোটাভুটিতে। শেষ হাসি হাসলেন নরেন্দ্র মোদিই।

এখন প্রশ্ন উঠছে প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও কেন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা? নিজের ভাষণে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালের আগে মহাজোটের শক্তি যাচাই করে নিতেই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস।

নরেন্দ্র মোদি বলেন,”আমিই প্রধানমন্ত্রী হব বলে বলে বেড়াচ্ছেন একজন (রাহুল গান্ধী), অন্য দলগুলি যাতে তাতে স্বীকৃতি দেন, সেই চেষ্টা চলছে। এই প্রস্তাব আসলে নিজেদের শক্তি যাচাইয়ের অজুহাত। মোদিকে হঠাতে এমন সঙ্গীদের একজোট করা হচ্ছে। কংগ্রেসের বন্ধুদের পরামর্শ, আপনাদের সম্ভাব্য সঙ্গীদের পরীক্ষা নিন। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনা উচিত হয়নি। সম্ভাব্য সঙ্গীদের উপরে ভরসা রাখুন। ১২৫ কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে”।
এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল ক্ষমতাসীন দল এনডিএ-এর সাবেক শরীক টিডিপি। তাতে সঙ্গ দিয়েছিল কংগ্রেসও। সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে সংখ্যা রয়েছে। তার পাল্টা জবাবে, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীকে অঙ্কে কাঁচা বলে খোঁচা দিয়েছিল বিজেপি। এদিন ভোটাভুটির আগে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে শিবসেনা, এআইডিএমকে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপির শরীক উদ্ধব ঠাকুরের দল শিবসেনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে একটি অনলাইন পত্রিকায় ভূয়া ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ঈদগাহ বাজার প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে বাজার প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এনামুল হোসেন সবুজ, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জীবন, উপ-প্রচার সম্পাদক সবুজ হোসেন, সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন, দেবহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অমিত হাসান সবুজ, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহারম হোসেন,দেবহাটা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আহছানউল্লাহ কল্লোল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম হোসেন, আকরাম হোসেন, হাবিবুর রহমান, রায়হান হোসেন ও নয়ন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আধুনিক দাসের জীবনে ছয় লাখ বাংলাদেশি: স্লেভারি ইনডেক্স

দেশের খবর: বাংলাদেশের প্রায় ছয় লাখ মানুষ আজও দাসের মতো জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন বলে উঠে এসেছে এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়।

রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া কারণে অথবা কোনো না কোনোভাবে এই মানুষগুলো নামমাত্র মজুরিতে দাসের মতো শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছেন, দালালের খপ্পরে পড়ে বাধ্য হচ্ছেন যৌনকর্মীর জীবন যাপনে, অথবা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে কাটাচ্ছেন কৃতদাসীর জীবন।

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংস্থা ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন তাদের এই দুর্দশাকে বর্ণনা করেছে ‘আধুনিক দাসত্ব’ হিসেবে। বিশ্বের চার কোটির বেশি মানুষ এই দাসত্বের শিকার।

বৃহস্পতিবার ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স-২০১৮ বলছে, বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৩.৬৭ জন মানুষ কোনো না কোনোভাবে ‘আধুনিক দাসত্ব’ শিকার হচ্ছেন। ষোল কোটি মানুষের এই দেশে এ ধরনের দুর্দশায় পড়া মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ৯২ হাজার।

জনসংখ্যার আনুপাতিক হিসাবে বিশ্বের ১৬৭টি দেশের এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ৯২তম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যারা ‘আধুনিক দাসের’ জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে, তাদের অধিকাংশের বসবাস এশিয়ায়। আর মোট সংখ্যার হিসাবে সবচেয়ে বেশি আধুনিক দাসের বসবাস চীন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ায়; এই সংখ্যা বিশ্বে আধুনিক দাসের মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশ।

প্রতি হাজারে এ ধরনের দুর্দশায় শিকার মানুষের হার বিবেচনা করলে এবারের সূচকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে প্রতি হাজারে ১০৪. ৬ জন আধুনিক দাসত্বের শিকার।
ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশনের গবেষকরা উত্তর কোরিয়ার ৫০ জন নাগরিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যারা বর্ণনা করেছেন, কীভাবে রাষ্ট্রের নির্দেশে তারা বিনা মজুরিতে কৃষি খামার, নির্মাণ অথবা অবকাঠামো খাতে শ্রম দিতে বাধ্য হয়েছেন।

ইয়ন-মি পার্ক এরকমই একজন কিশোরী, যিনি উত্তর কোরিয়া থেকে পাচারের শিকার হয়ে চীনে যেতে বাধ্য হন। সেখানে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় বিয়ের কনে হিসেবে।

সম্প্রতি জাতিসংঘে এক অনুষ্ঠানে ইয়ন-মি পার্ক বলেন, “হয়ত ভুল জায়গায় আমাদের জন্ম হয়েছে, এ কারণেই এই শাস্তি।”

এই তালিকার শীর্ষ দশে উত্তর কোরিয়ার পরে ধারাবাহিকভাবে এসেছে ইরিত্রিয়া, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আফগানিস্তান, মৌরিতানিয়া, সাউথ সুদান, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও ইরান।

আধুনিক দাসত্বের এই প্রচ্ছন্ন অপরাধ থেকে মুক্ত নয় উন্নত বিশ্বও। যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ, যুক্তরাজ্যের ১ লাখ ৩৬ হাজার, জার্মানির ১ লাখ ৬৭ হাজার, ফ্রান্সের ১ লাখ ২৯ হাজার মানুষ দাসের মত জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে বলে উঠে এসেছে এবারের প্রতিবেদনে।
ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এন্ড্রু ফরেস্ট বলেন, “আধুনিক দাসত্ব আধুনিক বিশ্বের তৈরি একটি সমস্যা। আধুনিক দেশগুলোই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা, তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।”

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানে প্রতি হাজারে ২২.২ জন, পাকিস্তানে হাজারে ১৬.৮ জন, মিয়ানমারে ১১ জন, ভারতে ৬.১ জন, নেপালে ৬ জন এবং শ্রীলঙ্কায় ২.১ জন আধুনিক দাসত্বের শিকার।

এই দাসত্বের অবসানে সরকারের পদক্ষেপ ও তাতে সাফল্যের বিবেচনায় সূচকে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে ‘বি’ রেটিং।

এর অর্থ হলো, বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যায় সাড়া দিতে উদ্যোগী হয়েছে এবং কিছু মানুষকে সহায়তাও দিতে পারছে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এমন কাঠামো যুক্ত করতে পেরেছে, যাতে কাউকে দাসের জীবনে বাধ্য করা হলে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা যায়। পাশাপাশি এ ধরনের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা দিতে একটি নীতি কাঠামোও তৈরি করতে পেরেছে।

এই বিচারে বাংলাদেশের স্কোর একশর মধ্যে ৪৪.৪। আর তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকা নেদারল্যান্ডসই কেবল ‘এ’ রেটিং পেয়েছে। দেশটির স্কোর ৭৫.২।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest