সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিকী নির্বাচনসাতক্ষীরায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক চোরাচালানের হোতাসহ তিনজন গ্রেফতারনাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়

আমি হাল ছাড়ি না, আমি ব্রাজিলিয়ান: নেইমার

সামারা অ্যারেনায় সোমবার রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেইমারের নৈপুণ্যে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। ৫১তম মিনিটে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফরোয়ার্ড। ৮৮তম মিনিটে রর্বেত ফিরমিনোকে দিয়ে গোল করিয়ে নিশ্চিত করেন জয়।

ম্যাচ শেষে মেক্সিকোর গোলরক্ষক গিলের্মো ওচোয়ার প্রশংসা করেন নেইমার।

“ওচোয়া দারুণ একজন গোলরক্ষক। তার মান সম্পর্কে সবাই জানে। দারুণ একটা ম্যাচের জন্য তাকে অভিনন্দন। আমি হাল ছাড়ি না। আমি ব্রাজিলিয়ান। ”

রাশিয়ার আসরে গ্রুপ পর্বে পুরাপুরি ফিট না থাকায় প্রত্যাশিত খেলা খেলতে না পারা নেইমার নকআউট পর্বের শুরুতেই দিয়েছেন সেরা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। তারকা এই ফরোয়ার্ড জানালেন জয়ের জন্যই রাশিয়াতে এসেছেন তিনি।

“আমি জিততেই এখানে এসেছি। আমি আশা করি, আমি সবসময় উন্নতি করতে পারি। আমি জানতাম আমার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পেতে হলে আমার কিছু গতির দরকার হবে। আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছি।”

“দলকে নিয়ে আমি খুশি এবং দলের সবাইকে অভিনন্দন। আমরা সবসময় উন্নতি করছি।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়ানদের যাওয়ার কোনো পথ নেই

বিদেশের খবর: দক্ষিণ সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর অবিরত বোমা হামলা থেকে বাঁচতে অনেক পথ দৌড়ানোর পর আয়মান আল হোমসি ও তার গর্ভবতী স্ত্রী দেখলেন, তাদের যাওয়ার আর কোনো পথ নেই।

জর্ডান সীমান্তের কাছে এক টুকরো জমিতে এসে তাদের থেমে যেতে হয়েছে। তাদের দৌড়ানোর পথ শেষ হয়ে গেছে।

দারাপ্রদেশের প্রান্তে শুকনা ঘাসে ঢাকা একটি মাঠে আয়মানসহ কয়েকটি পরিবার তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়েছে।

২৫ বছর বয়সী যুবক আয়মান বলেন, যদি একজন নারীকে এখন সন্তান জন্ম দিতে হয়, তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাব? এখানে তাকে সাহায্য করার কিছুই নেই।

তিনি বলেন, এখানে মৌলিক চাহিদা পূরণের মতো কিছুই নেই। এখানে কোনো পানি ও খাদ্য নেই। সূর্যের আলো থেকে বাঁচাতেও তাদের কোনো উপায় নেই।

জাতিসংঘ বলছে, জর্ডান সীমান্তের দারাপ্রদেশে গত দুই সপ্তাহ ধরে সরকারি বাহিনীর হামলায় দুই লাখ ৭০ হাজার উদ্বাস্তু হয়েছেন।

আয়মান বলেন, আমরা কেবল নারী ও শিশুদের ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু আর কিছু করার উপায় নেই।

এর আগে দেশটির মধ্যপ্রদেশ হৌমস থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল তাকে। প্রতিবেশী দেশ জর্ডানে আশ্রয় নিতে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিতে এখানে এসে থেমেছেন।

জর্ডান ইতিমধ্যে সাড়ে ছয় লাখ নিবন্ধিত শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে দ্বিগুণ হতে পারে।

২০১১ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ধরপাকড় থেকে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সাড়ে তিন লাখের বেশি সিরীয় অধিবাসী নিহত হন।

জর্ডানে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র মোহাম্মদ হাওয়ারি বলেন, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২ লাখে পৌঁছতে পারে বলে আমরা ধারণা করছিলাম। কিন্তু এ সংখ্যা এরই মধ্যে দুই লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের অপকারিতা

স্বাস্থ্য কণিকা: খাবারে স্বাদ আনতে লবণের বিকল্প নেই। পরিমিত পরিমাণ লবণ গ্রহণে খাবারের স্বাদ অক্ষুণ্ণ থাকে এবং শরীরের কোনো ক্ষতি হওয়ার সুযোগ থাকে না। মাত্রারিক্ত লবণের উপস্থিতি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আমাদের শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড খুব কম পরিমাণে দরকার। তাই পুষ্টিবিদগণ মনে করেন যতো কম পরিমাণে লবণ গ্রহণ করা যায় ততই শরীরের জন্য ভালো। আমাদের দেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের কাঁচা লবণ কম খেতে উপদেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেই ভুল ভেবে রান্নায় লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন কিংবা লবণ ভেজে তারপর খান। কিন্তু লবণ ভাজলে পানি শুকিয়ে গেলেও এর সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ ঠিকই থাকে। তাই যতটা সম্ভব রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করাই অধিকতর উত্তম।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলে। যেমন-

১. উচ্চ রক্তচাপ: লবণের অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি ফেইলিউরের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে অতিরিক্ত লবণ খেতে নিষেধ করা হয়।

২. পিপাসা বেড়ে যাওয়া: বেশি লবণ খেলে পিপাসা বেড়ে যায়। কারণ এটি দেহের কোষে পানির ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধা হয়। শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে যা কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

৩. পা ফোলাভাব: চিকিত্সকদের মতে, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ায় কখনো কখনো হাত ও পায়ে পানি জমে। এতে হাত ও পা ফোলা ফোলা ভাব হয়। এটি কিডনি রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুব ঝুঁকির কারণ।

৪. অস্টিওপোরোসিস: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে শরীরের পানির পিপাসা তৈরি হয়। এতে করে অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করতে হয় এবং প্রসবের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীর থেকে প্রসবের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়। এতে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়।

৫. কিডনিতে পাথর হওয়া: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে। তাই পরিমিত পরিমাণ লবণ গ্রহণ সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোমল পানীয় পানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

স্বাস্থ্য কণিকা: গরমে কোমল পানীয় পানে খানিকটা শান্তি মেলে শরীরে ঠিকই। বিশেষ করে এই গরমের দিনে বাড়ির বাইরে বেরোলেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া কিছুটা গুরুপাক খাবার কিংবা ফাস্টফুডের সাথে কোমল পানীয় খাওয়া আজকাল নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই কোমল পানীয়র মানব দেহের উপর রয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরিসমৃদ্ধ হওয়ায় কোমল পানীয় হজমে বাধা সৃষ্টি করে এবং শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস করে। বিপদ জনক কথা হচ্ছে, এই সব কোমল পানীয় পানের কারণে দিন দিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।

যুক্তরাষ্টের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. ফ্রান্সিসকে জানান, ক্যান্সার এক বৃক্ষের মতো এবং অক্সিজেনবিহীন টিস্যু হলো এর পৃষ্ঠপোষক। অত্যধিক কোমল পানীয় সেবনের ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসে, যা মানব দেহের জন্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

তিনি আরো জানান, এছাড়া ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, কিডনিতে পাথর, অতিরিক্ত ওজন, বন্ধ্যাত্বের মতো জটিল রোগব্যাধির ঝুঁকি ও বেড়ে যাচ্ছে এই কোমল পানীয় পানের অভ্যাস থেকে। তাই সুস্থতার জন্য কোমল পানীয় পানের অভ্যাস ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইরাকে আইএসের গণকবরের সন্ধান

বিদেশের খবর: ইরাকি উত্তরাঞ্চলীয় নেইনাভাপ্রদেশে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে। এলাকাটি আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় এখানে লোকজনদের ধরে এনে হত্যা করে গণকবর দেয়া হতো।

ইরাকি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী বাগদাদ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত প্রাদেশিক রাজধানী মসুল শহরকে আল আয়াজিয়া শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা একটি সড়কের পাশে ওই গণকবর থেকে অন্তত ৬০টি দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ছিল। খবর প্রেস টিভির।

নিরাপত্তা বাহিনী নিহতদের লাশ শনাক্তকরণের জন্য মসুলের ফরেনসিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর পর তাদের নিজেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মসুলের ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে হাম্মাম আল আলিল শহরে গত ১১ এপ্রিল প্রথমে গণকবরটির তথ্য পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গারা সবচেয়ে নির্যাতিত তারা বিচার চায় : জাতিসংঘ মহাসচিব

দেশের খবর: জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, ঘর-বাড়ি, স্বজন ও দেশহারা রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত গোষ্ঠী। তারা বিচার চায়। নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখার পর জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে তাদের ওপর বর্বর নির্যাতন ও পালিয়ে আসার কাহিনী শোনেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরের সময় তার সাথে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও।

জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের দুঃখ-কষ্ট দেখে হৃদয় ভেঙে গেছে। এসব ক্যাম্পের অবস্থা এক ট্র্যাজিক ঘটনা। ছোট ছোট রোহিঙ্গা শিশুদের দেখে আমার নাতি নাতনিদের কথা মনে পড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও যদি এমন হতো তাহলে কি রকম হতো! তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে হুমকিতে থাকা দুই লাখ রোহিঙ্গাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া জরুরি।

জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, রোহিঙ্গারা যাতে দেশে ফিরে যেতে পারেন সেজন্য তারা কাজ করছেন। তবে তিনি বলেন, তাদের ফিরে যাওয়া শুধু সেখানে অবকাঠামো তৈরির বিষয় নয়। তারা যাতে সম্মানের সাথে ফিরে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই অবস্থা এভাবে চলতে পারে না। এর একটা সমাধান হতে হবে। এছাড়া এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হত্যা আর ধর্ষণের যে বিবরণ আমি শুনেছি তা অকল্পনীয়। এই দুর্দশার কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে।

সোমবার বিকেলে কুতুপালং ডি-৫ ব্লকে এই প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা নিঃস্ব। তাদেরকে বিশ্ব ব্যাংক থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এখানে যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক সাহায্য করবে। তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থেকে রোহিঙ্গারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে তার জন্য কাজ করছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, আন্তর্জাতিক রেডক্রসের প্রেসিডেন্ট পিটার মোরার, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি ঘুমধুমের টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট পরিচালিত এক্সটেনশন ৪ নিবন্ধিত সি ব্লকে পৌঁছেন। সেখানে তারা ২০ জন নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও ২০ জন নির্যাতিত পুরুষের সাথে কথা বলেন। পরে প্রতিনিধি দল ট্রানজিট ক্যাম্প ৪, কুতুপালং ক্যাম্প ১ এর আইওএম পরিচালিত নারী বান্ধব কেন্দ্র ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে সেবার মান ও যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে গত আগস্টের পর থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে এর আগে জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে। বিশ্বব্যাংকও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখাশোনা করার জন্যে গত সপ্তাহে ৪৮ কোটি ডলারের একটি অনুদানের কথা ঘোষণা করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক ৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের তিন কর্মীসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদকদ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৬ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার শুরু মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন

দেশের খবর: ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান নিয়ে গত মে মাসের শুরুতে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ যুদ্ধের পাশাপাশি সরকার মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনও শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থা।

মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবিসহ প্রায় ২২ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।

পুলিশ ও র‌্যাব সদর দফতর সূত্র অনুযায়ী, গত ৪ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এ অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩৫ জন, পুলিশের সঙ্গে ৮৪ জন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের দু’পক্ষের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে ৩৫ জন। তবে সংবাকর্মীদের পাঠানো সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ১৭৮ জন মারা গেছেন।

সূত্র জানায়, গত ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এরপরই মাদক পাচার ও বেচাকেনা বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থা বেশকিছু উদ্যোগ আর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সীমান্ত পথে সব ধরনের মাদকের অবৈধ প্রবেশ ও পাচার এবং দেশের ভেতরে মাদকের অবৈধ উৎপাদন, সরবরাহ ও সহজলভ্যতার বিলোপ সাধন করতে হবে। মাদক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, তাদের মদদদাতা, সাহায্যকারী ও অর্থলগ্নিকারীদের গ্রেফতার এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থাসহ মাদক বিক্রি থেকে উপার্জন করা অর্থ-সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত এবং এ সংক্রান্তে মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ (২০১৫ সালে সংশোধিত)-এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওষুধ উৎপাদন, চিকিৎসা, শিল্প কারখানা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল ও মাদক জাতীয় কাঁচামাল যাতে বৈধ ক্ষেত্র থেকে কালোবাজারে পাচার হয়ে অবৈধ মাদক উৎপাদনে বা মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হতে না পারে সেই পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা বিধানেরও উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সমাজের সবস্তরে ও পেশায় মাদকবিরোধী সচেতনতা ও সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ নিশ্চিত করা এবং মাদকদ্রব্যের চোরাচালান ও অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে সহায়তা দেবে মন্ত্রণালয়।

এছাড়া মাদকদ্রব্যের চাহিদা, সরবরাহ ও ক্ষতি কমানো সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাজের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি হিসেবে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে দেশের প্রতিটি বিভাগের একটি উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে সব বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। চিকিৎসা শেষে মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে সমাজকল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা থাকবে। এটিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে।’

ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক দায়িত্ব পাবেন। তিনি জেলার উদ্যমী ও পরিশ্রমী উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শক নিয়োগ করবেন। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একজন কর্মকর্তাকে সমন্বয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই পাইলট কর্মসূচির মেয়াদ ছয় মাস হতে পারে। তারপর অন্যান্য উপজেলায় এটি রেপ্লিকেট করা হতে পারে।’

জানা গেছে— যেকোনও সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য গঠিত মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষায় মাদকাসক্তির টেস্ট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও পর্যায়ক্রমে এ পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে— মাদক অপরাধ দমন সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক কাজ। মাদকের অবাধ বিস্তাররোধ ও অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি পারিবারিক, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।

মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেসব কমিটি আছে সেগুলোকে আমরা সক্রিয় করছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার কমিটি গঠন করেছি। সেগুলোকেও সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। যাতে তাদের মাধ্যমে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন শুরু করতে পারি।’

অধিদফতরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও শক্তিশালী করার জন্য লোকবল বাড়ানো হচ্ছে। নতুন আইন করা হচ্ছে। আমরা নতুন নতুন যন্ত্রপাতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে ৫০টি গাড়ি কেনার অনুমতি পেয়েছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest