সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভায় ; সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন ও সুপেয় পানি সরবারহের দ্রত ব্যবস্থা দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার জরুরি সভায় সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন ও পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবারহে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবনে শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলী নূর খান বাবুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, সনাক সাতক্ষীরার সভাপতি কিশোরী মোহন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ইঞ্জি: আবিদুর রহমান, স্বপন কুমার শীল, ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, মাধব চন্দ্র দত্ত, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, আশরাফ কামাল, মশিউর রহমান পলাশ, এড. মুনির উদ্দীন, উদীচী সাতক্ষীরার সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, রওনক বাশার, নির্মল সরকার, শ্যামল ঘোষ, মফিজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, অল্প কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা পৌরসভার পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এই সব এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে ভরা বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন নতুন নতুন এলাকা বর্ষার পানিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বর্ষা মৌসুমের আগের থেকেই জনপ্রতিনিধি ও স্থাণীয় প্রশাসনের নিকট জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন জানালেও তার কোন সুরাহা হয়নি। সাতক্ষীরা পৌরসভা সহ জেলার বিভিন্ন নতুন নতুন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল রাস্তাঘাট, খানা খন্দকে ভরে উঠেছে। একটু বর্ষা হলেই স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রী, অফিস গামী ও সাধারণ জনগণ কাদাপানিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে সাতক্ষীরা শহরে বিভিন্ন এলাকায় ব্যপক জানজট। মেইন রাস্তার পাশে যত্রতত্রভাবে ভারি জানবহন দাড় করিয়ে রাখার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সাতক্ষীরা শহরে সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা নেই। এব্যাপারে পৌরসভাকে বার বার জানানোর সত্ত্বেও তারা কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই সকল বিষয়গুলি দ্রত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সাতক্ষীরায় দ্রুত রেল লাইন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সুন্দর বনকে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন এলাকা ঘোষণা, ভোমরা স্থল বন্দরের সকল প্রকার মালামাল আমদানি ও রপ্তানীর সুযোগ সুবিধাসহ আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করা, প্রাণসায়র, মরিচ্চাপ, বেতনাসহ সকল নদী, খাল ও সংযোগ খাল খনন করার দাবি জানানো হয় সভায়।
সভা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার পৌর সেবা-পরিসেবা সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের দাবিতে নাগরিক আন্দোলন শুরু করা হবে। এছাড়াও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক বিশ্বাস এর স্মরণে আগামী ২০ জুলাই সাতক্ষীরায় নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৩ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল জিতলে বিশ্বকাপেই ‘এল ক্ল্যাসিকো’

এল ক্ল্যাসিকো। স্প্যানিশ ফুটবল লিগে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের লড়াইটিকে এল ক্ল্যাসিকো বলা হয়।

তবে চলতি বিশ্বকাপেই এল ক্ল্যাসিকো দেখতে পারে ফুটবল বিশ্ব। কিভাবে? না, বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ খেলছে না বিশ্বকাপে। শেষ ষোলোতে নিজ নিজ খেলায় আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল জিতলেই বিশ্বকাপে এল ক্ল্যাসিকো দেখতে পারবে ফুটবল বিশ্ব।

চলতি বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয় স্বাগতিক রাশিয়া। আর ‘বি’ গ্রুপ থেকে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা স্পেন। ৫ পয়েন্ট ছিল পর্তুগালেরও। কিন্তু ফেয়ার প্লে’র নিয়মে পড়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হতে হয় পর্তুগালকে।

ফলে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে লড়বে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ পর্তুগালের।

এ ম্যাচে পর্তুগাল জিতলে টিকিট পাবে কোয়ার্টারফাইনালের।

আবার, চলতি বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে থেকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয় ডেনমার্ক।

আর ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সেখানে সেরা হয় ক্রোয়েশিয়া। ৪ পয়েন্ট গ্রুপ রানার্স-আপ হয় আর্জেন্টিনা।

তাই ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স লড়বে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্স-আপ আর্জেন্টিনার। ফরাসিদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জিতলেই নাম লেখাবে কোয়ার্টারফাইনালে। তখন শেষ আটে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল।

স্প্যানিশ লিগে মেসির বার্সেলোনা ও রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ এল ক্ল্যাসিকো খেলে থাকে। তাহলে তো বিশ্বকাপে মেসির ও রোনালদোর দলের দেখা হলে সেটিই তো হবে বিশ্বকাপের এল ক্ল্যাসিকো। এজন্য শেষ ষোলোতে জিততে হবে আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালকে।

আজ কাজানে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ফ্রান্সের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে লড়বে আর্জেন্টিনা। একই দিন সোচিতে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় উরুগুয়ের বিপক্ষে লড়বে পর্তুগাল। আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল নিজ নিজ খেলায় জিতে গেলে, কোয়ার্টার ফাইনালে দু’দলের লড়াই হবে ৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় ৮টায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বাগতিক রাশিয়াকে নিয়ে সতর্ক স্পেন
আগামী রবিবার নক আউট পর্বের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার মুখোমুখি হবে ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। আন্ডারডগ হিসেবে নিজেদের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ শুরু করা রাশিয়াকে নিয়ে টুর্নামেন্টের আগে থেকেই যে সমালোচনা চলছিল তাকে আমলে না নিয়ে ঠিকই গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরিয়ে নক আউট নিশ্চিত করেছে স্তানিসলাভ চেরচেসভের শিষ্যরা। অনেকটাই দাপটের সাথে গ্রুপ পর্ব পার করেছে স্বাগতিকরা। আর সে কারণেই তারকা নির্ভর স্পেন রাশিয়াকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে একটু বেশী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
নক আউট পর্বে যেতে চেরচেসভের দলের মূল ভরসাই ছিলেন ফরোয়ার্ড আরটেম ডিজুবা। সৌদি আরব ও মিশরের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচে গোল করেছেন ডিজুবা। যদিও শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ করেছিল রাশিয়া। কিন্তু ডিজুবা মনে করেন মস্কোতে তারকা সমৃদ্ধ স্পেনকে মোকাবেলা করার ম্যাচটি হবে আরো কঠিন।
তিনি বলেন, ‘গত ৩২ বছরে প্রথমবারের মতো আমরা নক আউট পর্বে খেলতে যাচ্ছি। দেখা যাক সেখানে কি করতে পারি। মনে হচ্ছে বক্সিংয়ের হেভিওয়েট কোনো বিশ্ব লড়াই হতে যাচ্ছে। যেখানে অভিজ্ঞ একজন ফাইটার তরুন কিন্তু সাহসী এক যোদ্ধার সাথে রিংয়ে নামছে। দেখা যাক সেই লড়াইয়ে কে সেরা হয়। একটি ভাল দিনে যেকোন দল যেকাউকেই পরাজিত করতে পারে।’
স্প্যানিশ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে, সার্জিও রামোসদের কঠিন রক্ষণব্যুহ ভেঙে ডিজুবাকে সামনে এগুতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেও বেশ উচ্ছসিত। ডিজুবা বলেন, সেরাদের বিপক্ষে খেলতে গেলে নিজে কতটা ভাল সেটা প্রমান করা যায়। রামোস ও পিকের বিপক্ষে খেলাটা আমি বেশ উপভোগ করছি। এই ধরনের সুযোগ জীবনে একবারই আসে। দেখা যাক এই লড়াইয়ে কে বিজয়ী হয়।
গ্রুপ পর্বে স্পেনের পারফরমেন্স ততটা নজড় কাড়তে পারেনি। ডিজুবা তাই মনে করেন নক আউট পর্বেও স্পেন তাদের জন্য ততটা ভয়ঙ্কর কিছু করতে পারবেনা। তারা অবশ্যই বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। গ্রুপ পর্বের ভুলগুলো হয়ত তারা এখানে করবে না। আমরা জানি স্পেনের বিপক্ষে আমাদের কি করতে হবে। অবশ্যই তারা সুস্পষ্ট ফেবারিট। আমরা জানি ম্যাচটা মোটেই সহজ হবে না। উরুগুয়ে আমদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি আরবকে পাঁচ গোলের লজ্জায় ডুবিয়েছিল রাশিয়া। সেই ম্যাচটির পরে আবারো মস্কোর লুজিনকি স্টেডিয়ামে ফিরে এসেছে স্বাগতিকরা। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মার্কো আসেনসিও মনে করেন রাশিয়ান রাজধানীতে কাল আয়োজিত ম্যাচটি বেশ উত্তেজনাকর হবে। তবে এক্ষেত্রে তিনি কোচ ফার্নান্দো হিয়েরোর পক্ষে কথা বলেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা বলেন, ‘রাশিয়া তাদের সমর্থকদের উচ্ছাসকে সঙ্গী করে মাঠে নামবে। ফাইনালের আদলেই আমাদের এই ম্যাচটিতে মুখোমুখি হতে হবে। জয়ী না হলে বাড়ির পথ ধরতে হবে। আমাদের কোচ হিয়েরো একজন জাত নেতা। সবাই এটা ইতোমধ্যেই উপলব্ধি করেছে। সে সবসময়ই আমাদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছে।
শুক্রবার পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই রাশিয়া অনুশীলন করেছে। এর মধ্যে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এ্যালান ডিজাগোয়েভও ছিলেন। সৌদি আরবের বিপক্ষে মাত্র ২৪ মিনিট আগে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে ডিজাগোয়েভ খেলতে পারেননি।
স্পেনের অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তা ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টে তিন গোল করে নিজেকে প্রমান করেছেন। স্বাগতিক সমর্থকদের চুপ করে দেবার জন্য তিনি একাই যথেষ্ঠ। তবে রাশিয়ান গোলরক্ষক ইগর আকিনফিভ টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সবকটি ম্যাচে স্বস্তিতে না থাকলেও স্পেনের আক্রমনকে রুখে দেবার জন্য তার ফর্মের দিকেই তাকিয়ে থাকবে পুরো দল।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পরে রাশিয়ান এ পর্যন্ত কখনই স্পেনকে পরাজিত করতে পারেনি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রীতি ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। স্পেন শেষ ২৩টি ম্যাচে অপারাজিত আছে। ২০১৮ বিশ্বকাপের ৩২টি দেশের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। দুই বছর আগে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে ইতালির বিপক্ষে সর্বশেষ তারা পরাজিত হয়েছিল (২-০)। ২০০৬ সালের পরে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে স্পেন তাদের ৩২টি ম্যাচের মধ্যে ৩৩টিতেই আধিপত্য দেখিয়েছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা দল
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সাথে ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হার। এরপর আর্জেন্টিনার বিদায় দেখে ফেলেছিল অনেকেই। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। মেসি নিজে খানিকটা হলেও ফিরে পেয়েছেন নিজেকে, আর্জেন্টিনাও ছন্দ খুঁজে পেয়েছে। নাইজেরিয়াকে হারিয়ে কোনোক্রমে দ্বিতীয় পর্বে পা রেখেছে তারা।
এই দ্বিতীয় পর্বে আসার পথের জয়টাই এখন আত্মবিশ্বাসী করছে আর্জেন্টিনাকে। এখনও পর্যন্ত মাঠে নামতে না পারা আর্জেন্টিনার দুই তারকা ফাজিও ও লো সেলসো বলছিলেন, এই জয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। ফ্রান্সকে নিয়ে তারা খুবই সতর্ক। তবে তারা আত্মবিশ্বাসী যে, আর্জেন্টিনা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারবে।
ডিফেন্ডার ফাজিও বলছিলেন, জয়ের এই যে ধারায় তারা প্রবেশ করেছেন, এখন এটা ধরে রাখাই তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারা পরষ্পরের সাথে আরো একতাবদ্ধ হয়ে জয়ের জন্য লড়তে চান, ‘জয়ের মানসিকতাটা সব অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যেটা করতে হবে, এই মানসিকতাটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের জয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। আর ভাবতে হবে, প্রতিটা ম্যাচই আমাদের শেষ ম্যাচ। আমরা মাঠে ও মাঠের বাইরে খুব একতাবদ্ধ আছি। আমরা জানি, আমরা একসাথে কাজ করলেই কেবল জয়টা পেতে পারি।’
এখনও পর্যন্ত খেলার সুযোগ না পাওয়া লো সেলসো বলছিলেন, তিনি সুযোগ পেলেই দলের জন্য ভালো কিছু করতে চান। আর এখন দল যেহেতু বড় চ্যালেঞ্জের সামনে, তারা প্রস্তুত হচ্ছেন, সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে, ‘আমি যখনই সুযোগ পাবো, চেষ্টা করবো, দলের জন্য কিছু অবদান রাখার। অবশ্যই আমি খেলতে চাই। প্রতিটা খেলোয়াড়ের মতো আমিও খেলতে চাই। তবে আমাদের দলে সুযোগ পেতে প্রতিদিন কষ্ট করে যেতে হবে। আমরা জানি, আমরা খুব শক্ত প্রতিপক্ষের মোকবেলা করতে যাচ্ছি। তাদের অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। তারা গ্রুপপর্বে অপরাজিত ছিল। তবে আমাদেরও ভালো খেলোয়াড় আছে। এটুকু বলতে পারি যে, এটা একটা বড় ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’
লো সেলসো বলছিলেন, ফ্রান্সকে নিয়ে তারা সতর্কই আছেন। তারা নিজেদের প্রতিটা ম্যাচকে এখন ফাইনাল মনে করছেন, ‘গ্রুপপর্বে আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল নিয়ে চেষ্টা করেছি। ফ্রান্স অনেক বেশি স্পেস তৈরি করে এবং খুব গতি দিয়ে খেলার চেষ্টা করবে। ওরা ভালো ফল বের করার চেষ্টা করবে। তবে আমরাও একটা বড় দল। আমাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের যেসব খেলোয়াড় আছে, তার পুরো সুবিধা নিতে হবে। এখন প্রতিটা ম্যাচই ফাইনাল।’
এদিকে ফাজিও বলছিলেন, মেসিসহ পুরো দল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জ্বলে ওঠায় দলের মানসিকতাই বদলে গেছে, ‘আমি মনে করি শেষ ম্যাচে আমরা একটা ভিন্ন মনোভাব দেখিয়েছি। শুধু তার (মেসি) কাছ থেকে নয় বরং পুরো দলের কাছ থেকেই, সব খেলোয়াড়ের থেকে। আমি মনে করি সব কিছুর পরও আমরা ক্রোয়েশিয়ার (৩-০ গোলে হার) বিপক্ষে ভালোই খেলেছিলাম। কিন্তু এই তৃতীয় ম্যাচে, আমার মনে হয় তাদের প্রথম গোল আমাদের আঘাত করতেই পারত। কিন্তু আমরা ঝুঁকিতে আছি তা সবাই শুরু থেকে জানতাম। আর যদি হারি তবে কি ঘটবে তাও জানতাম।’
ফাজিও বলছিলেন, তার মতেও এখন প্রতিটা ম্যাচ আসলে শেষ ম্যাচ। ফলে তারা এখনই ট্রফি বা অন্য কিছু নিয়ে না ভেবে কেবল সামনের ম্যাচটা নিয়ে ভাবছেন, ‘আমরা এখনই ট্রফির ফেভারিট দল নিয়ে ভাবছি না। আমরা এখন সামনের ম্যাচটা নিয়েই যতদূর সম্ভব ভাবার চেষ্টা করছি। আমাদেরকে পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে, কী করলে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারি। আমরা এখন পরস্পরের আরো কাছে আসার চেষ্টা করছি। এতে আমরা দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারছি।’
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘরে ঘরে গিয়ে উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

রাজনীতির খবর: নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য গ্রামে-গঞ্জে, ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ সুখে থাকলে দুঃখের কথা ভুলে যায়। তাই উন্নয়নের কথা তাদের কাছে গিয়ে বলতে হবে। দেশের উন্নয়নে ও জনগণের কল্যাণে আমরা যেসব কর্মসূচি নিয়েছি, সেগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরবেন।’ শনিবার (৩০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ভেতরে সবুজ মাঠে বিশেষ বর্ধিত সভা ২০১৮ দ্বিতীয় পর্যায়ে এই নির্দেশনা দেন তিনি। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মহানগরের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

শেখ হাসিনার ভাষ্য, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হবে। জনসমর্থনও বাড়ানো দরকার। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কোনোরকম দলীয় কোন্দল যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেখানে যেখানে সমস্যা আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালে নিঃস্ব রিক্ত হয়ে দেশে ফিরে এসে বিশাল পরিবার পেয়েছি। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ, এই দলের সহযোগী সংগঠন, বাংলার জনগণ। আমাদের শক্তি আমার সংগঠন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা, বাংলাদেশের গণমানুষ। এজন্য কোনও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হই না।’

সারাদেশে গৃহহীনদের জন্য সরকার ঘর করে দেওয়ার যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ও যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, তা যেন তাদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায়, তা খেয়াল রাখতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। একইসঙ্গে বিধবা ও বয়স্কসহ যেসব ভাতা দেওয়া হয় সেগুলোতে যেন অনিয়ম না হয় সেদিকে সজাগ থাকতেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যানদের অনুরোধ করেন তিনি।

মাদকবিরোধী অভিযানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক শুধু একটি জীবন নয়, পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানে সবার সহযোগিতা চাই। গ্রামে-গঞ্জে সবার কাছে মাদকের কুফল তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী, দুর্নীতিবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। দল ভারী করতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষকে দলে না ভিড়িয়ে নতুন নতুন কর্মী সৃষ্টি করতে হবে। আমি বিভিন্ন রিপোর্ট সংগ্রহ করছি। আপনারা আগেও মতামত দিয়েছেন, এগুলো আমি পড়ি। আপনাদের মতামত নিয়েই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

গ্রামীণ উন্নয়নে বাজেটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বাজেট দিচ্ছি, টাকা-পয়সা ছাড় দিচ্ছি। সেখানে যেন কোনও দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি টাকা যথাযথভাবে ব্যয়ের মাধ্যমে আপনারা নিজেদের এলাকার উন্নয়ন করবেন, আমি এটাই চাই।’

তৃণমূলের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শেখ হাসিনা। তার কথায়, ‘সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে গ্রেফতারের পর আওয়ামী লীগসহ শিক্ষক সমাজ ও ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ করেছিল। তবুও একটার পর একটা মামলা দিয়েছিল ওই সরকার। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন বলে সেনাসমর্থিত সরকার আমাকে মুক্তি ও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। নির্বাচনে বিরাট বিজয়ের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছি বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।’

শনিবারের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবতহন ও সেতমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোক প্রস্তাব পাঠ করেছেন দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জেলা, থানা ও উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং মেয়র ও পৌর মেয়রদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সবার প্রথম পর্যায় অনুষ্ঠিত হয়। বাকি চার বিভাগের (ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মহানগরের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে পরবর্তী বিশেষ বর্ধিত সভা হবে আগামী ৭ জুলাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার নিকের সঙ্গে ব্রাজিল যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা

বিনোদন ডেস্ক: প্রেমকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জুটি। ভারতে এক সপ্তাহ ছুটি কাটানোর পর এবার ব্রাজিল যাচ্ছেন তারা। পিপল সাময়িকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইনস্টাগ্রামে সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর শুক্রবার প্রকাশ্যেই বিমাবন্দরে হাজির হন প্রি-নিক। নিকের হাত ধরেই ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে মুম্বাই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রিয়াঙ্কা।

ব্রাজিলে ভিলামিক্স ফেস্টিভালে এই সপ্তাহে পারফর্ম্যান্স করবেন হলিউডের গায়ক-অভিনেতা নিক জোনাস। সূত্র: হারপার বাজার সাময়িকী

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চালের দানার থেকেও ‘ক্ষুদ্রতম’ কম্পিউটার তৈরি

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কম্পিউটার তৈরি করলেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। চালের দানার থেকেও ছোট, আকারে ০.‌৩ মিলিমিটারের এই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে মিশনগান মাইক্রো মোট।

এর মধ্যে আছে র‌্যাম, প্রসেসর, বেতার ট্রান্সমিটার, রিসিভার, ফোটোভলটাইক্‌সের মতো যন্ত্রপাতি। তবে এই যন্ত্রটিকে কম্পিউটার বলতে এখনই রাজি নয় আবিষ্কারক বিজ্ঞানী দল।

সেই দলের নেতা, অধ্যাপক ডেভিড ব্লাও বলছেন, এই যন্ত্র নিয়ে আরও বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরই তাঁরা বুঝতে পারবেন এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা। গত বৃহস্পতিবার এই গবেষণাপত্রটি জনসমক্ষে আনেন গবেষকরা।

ডেস্কটপ যেমন পাওয়ার ব্যাকআপ ছাড়াই প্রোগ্রাম ডেটা ফের খুঁজে নিতে পারে, এই ছোট্ট কম্পিউটারে তা সম্ভব নয়। এর সুইচ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব প্রোগ্রাম ডেটা হারিয়ে যাবে। এত ছোট যন্ত্রে কনভেশনাল রেডিও অ্যান্টেনা বসানো সম্ভব হয়নি। তাই আলোর মাধ্যমেই এতে তথ্য আদানপ্রদান হয়। এতে আছে প্রিসিশন টেম্পারেচার সেন্সর।

রেডিওলজি এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়রিং’র অধ্যাপক গ্যারি লুকার বলছেন, ওই যন্ত্রটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় দারুনভাবে কাজে দিতে পারে। কারণ, ওই তাপমাত্রা অনুধাবনকারী যন্ত্রটি মানুষের শরীরে টিউমার এবং সাধারণ টিস্যুর তাপমাত্রার তারতম্য ধরতে পারবে, যা ক্যান্সারের চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা; অবরোধ ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

দেশের খবর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামীকাল রোববার থেকে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

তিনি শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং সারা দেশে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূরসহ সাতজন আহত হন।

আহত অন্যরা হলেন- আরশ (২৬), আব্দুল্লাহ (২৩), আতাউল্লাহ (২৫), সাদ্দাম হোসেন (২৫), সাহেদ (২৫) এবং হায়দার।

আহতরা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হন।

এ সময় ছাত্রলীগ ও সরকারি দলের লোকেরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে উপস্থিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ সময় মুখোমুখি অবস্থান নেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় আন্দোলনকারীদের পাঁচ–ছয়জনকে মারধর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

হামলার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কাউকে দেখা যায়নি। তবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর পিস্তল ও রামদা নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের অগণিত কর্মী আহত হয়েছে। আমরা তাদের কাছে এটা প্রত্যাশা করিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. হাবিব বলেন, হামলার বিষয়ে বলতে পারব না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিলে সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন না করায় শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এ সংবাদ সম্মেলন থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে ফাইনাল আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।

শুক্রবার দুপুরে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান শনিবারের সংবাদ সম্মেলন ডাকার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলন প্রতিহত করতে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে এতে শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জানা গেছে, কোটাপ্রথা বাতিলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সর্বশেষ কর্মসূচি ছিল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি।

গত ১৪-২০ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে রমজান মাসের কারণে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

ওই সময় বলা হয়েছিল, কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ঈদের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর জন্য ঈদের পর থেকে ফেসবুকসহ সামাজিকমাধ্যমে প্রচারেও চলছিল।

এর মধ্যে গত বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির জন্য কোটা থাকবে বলে ইঙ্গিত দেন।

কোটাপ্রথা বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সব দিক বিবেচনা করে চাকরিতে কোটাব্যবস্থা চালু করি। কিন্তু যারা এই কোটার সুবিধাভোগী, তারাই তা চাইল না। এমনকি মেয়েরা বলছেন, তারাও কোটা চায় না। আমি বলেছি- তারা যখন চায় না, তখন কোটার দরকার নেই। এ বিষয়ে কেবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। বলেছি- কোটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা তিনি ঠিক করবেন। এর পর যদি মফস্বলের কেউ চাকরি না পায়, তা হলে আমাদের দায়ী করতে পারবে না। তবে এখানে বিরোধী দলের নেত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সাপোর্ট করে বললেন- আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য রয়েছে। তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। সে জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির জন্য কোটা থাকবে বলেও ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে চার দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।

পর দিন সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি- আগামী ৭ মের মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।

এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

এ ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল রাতে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। তবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক বক্তব্য কেন্দ্র করে ১০ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার দাবি জানান।

পরে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটাপদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেন।

এর দুই সপ্তাহ পর গত ২৬ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।

পর দিন ২৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

গত ২ মে সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের ক্ষোভ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ছাত্ররা কোটাব্যবস্থা বাতিল চেয়েছে, বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

এর পর গত ৭ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।

তার এ বক্তব্যের পর গত ৯ মে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

এ সময় তারা ঘোষণা দেন ১০ মের মধ্যে কোটা সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে সারা দেশে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।

এর পর প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ১৪ মে সারা দেশে ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়।

সর্বশেষ ২০ মে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest