সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

এবার ডোবায় ৩ ভাই-বোনের লাশ!

দেশের খবর: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার একটি ডোবা থেকে তিন ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৪ জুন) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের উত্তর আশতকা গ্রামের পরশ আলীর বাড়ির ডোবা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃতরা হলেন, জোনাকী (৯), চাঁদনী (৭) ও সাফায়েত উল্লাহ (৪)। তারা করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া টেকপাড়ার হেলাল উদ্দিনের সন্তান।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই দিন আগে বড় খালার বাড়িতে বেড়ানোর জন্য তিন ভাই-বোন জোনাকী, চাঁদনী ও সাফায়েত উল্লাহ মায়ের সঙ্গে উত্তর আশতকা গ্রামের খালু পরশ আলীর বাড়িতে যায়। বাড়ির পাশে খেলা করতে যাওয়ার পর শনিবার (২৩ জুন) দুপুর থেকে তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আশপাশের পুকুর-বর্ষার পানিতে জাল ফেলে তাদের সন্ধানে তৎপরতা চালানো হলেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরদিন রোববার (২৪ জুন) ভোর ৬টার দিকে বাড়ির পাশের ডোবায় তিন ভাই-বোনের লাশ ভেসে ওঠে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একরে পর এক খুন; উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় মানুষ

দেশের খবর: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। সরকারি-বেসরকারিভাবে সব ধরণের সহযোগিতা পেলেও তারা সামাজিকভাবে সুখে নেই। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে অস্থিরতা। কারণ আধিপত্য বিস্তার, পূর্বশত্রুতার জের ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ প্রত্যাবাসনের পক্ষে-বিপক্ষে অবলম্বনকে কেন্দ্র করে চলছে খুন, মারামারি ও ছুরিকাঘাতের মতো লোমহর্ষক ঘটনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ মাসে উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় ডজন খানেক রোহিঙ্গা নেতা খুন হয়েছেন নিজেদের হাতে। সর্বশেষ গত সোমবার রাত ৮টার দিকে শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা (হেড মাঝি) আরিফ উল্লাহকে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনাকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে অরাজক পরিস্থিতি। যার কারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে রাত যাপন করছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গারা হিংস্বার্থক মনোভাব নিয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে খুন-খারাবি করতে কোনরূপ বিলম্ব করে না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সরকারিভাবে প্রশাসনের লোকজন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এনজিও নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সুযোগ পাওয়ার কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।

ময়নারঘোনা ক্যাম্পের আবু তাহের মাঝি জানান, রোহিঙ্গারা অন্যের নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও এনজিওরা থামাতে পারছে না। যে কোন সময়ে লোমহর্ষক ঘটনা ঘটছে।

তিনি জানান, গত ১৮ জুন রাত ৮টার দিকে রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা (হেড মাঝি) আরিফ উল্লাহ নিজ বাসায় ফেরার পথে বালুখালী রাস্তার উপরে দুর্বৃত্তরা তাকে গলাকেটে হত্যা করে। এ সময় সে প্রাণে বাঁচার জন্য চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, আরিফ উল্লাহকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে পারিবারিকভাবে এখনো কেউ অভিযোগ না করায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকে বাসিন্দা মমতাজ আহমদ (৩৫) দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৫ থেকে ৬ জন দুর্বৃত্ত তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী মধুরছড়া জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হাত-পা বেধে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন উখিয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ির এক পর্যায়ে স্বামীর হতে খুন হয় স্ত্রী রেনুয়ারা বেগম (৩২) পুলিশ ঘাতক স্বামী মোঃ হোছনকে গ্রেফতার করেছে।

২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাখাইনে সাতগরিয়া পাড়ার হুকাট্টা (চেয়ারম্যান) মোহাম্মদ ইউছূপ (৪৬) থাইংখালী তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের নিজ বাড়িতে বসে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আলাপচারিতা কালে কে বা কারা গুলি করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

তার পরিবার জানান, সে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার।

২৩ জানুয়ারি ভোর রাতে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মসজিদের ইমাম ইউছূপ জালাল (৬০) আযান দেওয়ার জন্য মসজিদে আসার সময় ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত পেছন থেকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

২ মার্চ রাত ৮টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পের ই ব্লকের বাসিন্দা আবু তাহের (৩০) কুতুপালং বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ সময় সে চিৎকার করলেও আশে-পাশের কোন রোহিঙ্গা এগিয়ে আসেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন খুনের ঘটনায় গেলে সাক্ষী হতে হয়, যে কারণে রোহিঙ্গারা তাকে বাঁচাতে যায়নি।

১৬ মার্চ থাইংখালী তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের জঙ্গল থেকে পুলিশ অজ্ঞাতনামা এক রোহিঙ্গা মৌলভীর লাশ উদ্ধার করেন।

এছাড়া ১৭ মার্চ কুতুপালং ক্যাম্পে প্রতিপক্ষরা হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে নুর হাকিম (৩৫) নামে এক সাধারণ রোহিঙ্গাকে প্রকাশ্য হত্যা করে। তার দোষ, সে নাকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন খবরাখবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরবরাহ করতো। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

গত বছরের জুন মাসে কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নামের এক রোহিঙ্গা সোর্সকে প্রতিপক্ষরা প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, নুরুল ইসলাম রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মের খবরাখবর স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সরবরাহ করতেন। যে কারণে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

একইভাবে গত বছরের জুন মাসে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আল ইয়াকিনের সদস্যরা কুতুপালং ক্যাম্পে হানা দিয়ে ক্যাম্পের মাঝি মোঃ আইয়ুব (৩৩) ও তার পাশের বাড়ির মোঃ ছলিম (২৫) কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুই দিন পর পুলিশ বালুখালী খাল থেকে অপহৃত মাঝিসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে।

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ডাঃ জাফর আলম প্রকাশ ডিপো জাফর বলেন, এখানে যে সমস্ত রোহিঙ্গা যুবকেরা রয়েছে তাদের অধিকাংশই আল ইয়াকিন, আরসাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, ক্যাম্পের ত্রাণ ভাগাভাগি, অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে একে অপরকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে। যে কারণে ক্যাম্পে অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ৭টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হলেও লোকবল সংকটের কারণ বা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে দূরত্বের কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। যদিও আগের তুলনায় খুন-খারাবি কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমের পাতা খেলেও আছে অনেক উপকার

স্বাস্থ্য সংবাদ: আম পাতায় ভিটামিন এ, সি, কপার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম নানাভাবে মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয়, এতে একাধিক উপকারী এনজাইম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবয়েল, শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয়, এটি আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

হেঁচকি ওঠার মতো সমস্যা কমে : খেতে বসলেই কি হেঁচকি উঠতে থাকে? তাহলে নিয়মিত কয়েকটি আম পাতা পুড়িয়ে তার ধোঁয়া ইনহেল করুন। এমনটা করলে যে শুধু হেঁচকি ওঠার হেঁচকি কমবে, তেমন নয়, সেই সঙ্গে গলা সম্পর্কিত যে কোনও ধরনের রোগের প্রকোপ কমতেও দেখবেন সময় লাগবে না।

অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমায় : নিয়মিত এক বালতি পানিতে পরিমাণ মতো আমের পাতা চুবিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে যদি গোসল করা যায়, তাহলে অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এমনটা করলে শরীর এবং মস্তিষ্কের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ভয় এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রমে চলে আসে।

কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে আসে : আম পাতা শুকিয়ে নিয়ে সেগুলিকে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেই গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। তাহলেই প্রস্রাবের সঙ্গে স্টোন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।

রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে : রক্তনালীকে প্রসারিত করার পাশপাশি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আম পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রেসারের রোগীদের প্রতিদিন এক কাপ করে আম পাতার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে : আম পাতায় রয়েছে টেনিনস এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামে দুটি উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন আম পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে হবে, তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।

বার্ন ইনজুরির চিকিৎসায় কাজে আসে : রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে গেছে? চিন্তা নেই কয়েকটি আম পাতা নিয়ে সেগুলিকে পুড়িয়ে ফেলুন। তারপর সেই ছাই ক্ষত স্থানে ধীরে ধীরে ঘযে দিলেই দেখবেন পুড়ে যাওয়ার জ্বালা একেবারে কমে গেছে।

দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : মুখ থেকে বদ গন্ধ বের হচ্ছে? সেই সঙ্গে ক্যাভিটির সমস্যাও রয়েছে? তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আম পাতাকে কাজে লাগান। এতে নানাবিধ উপাদান এই ধরনের রোগকে কমিয়ে ফেলতে দারুন কাজে আসে।

শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমায় : প্রতিদিন আম পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে প্রায় সব ধরনের রেসপিরেটরি প্রবলেম দূর হয়। বিশেষ করে যারা ব্রঙ্কাইটিস এবং অ্যাস্থেমার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে তো এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি দারুন কাজে আসে। তাই এবার থেকে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে পরিমাণ মতো পানিতে অল্প করে আম পাতা দিয়ে সেই জলটা ফুটিয়ে নিয়ে খাবেন। তাহলেই দেখবেন কষ্ট কমতে শুরু করে দিয়েছে।

ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখে : কয়েকটি কচি আম পাতা নিয়ে পানিতে ফোটান। যতক্ষণ না পাতাগুলি একেবারে হলুদ হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পানিটা ফোটাতে থাকুন। তারপর সেই পানিটা পান করুন। এই ভাবে প্রতিদিন আম পাতার পানি পান করলে ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কিত কষ্ট একেবারে কমে যায়।

স্ট্রেসের মাত্রা কমায় : নিয়ম করে দিনের শেষে ২-৩ কাপ আম পাতা দিয়ে তৈরি চা পান করলে কোনও দিন মানসিক চাপ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারবে না। আসলে আম পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা নার্ভকে শান্ত করে, ফলে মানসিক ক্লান্তি দূর হয়।

গলা ব্যথা কমায় : যে কোনো ধরনের গলার সমস্যা কমাতে আম পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে কয়েকটি আম পাতা পুড়িয়ে সেই ধোঁয়া নিতে থাকুন। তাহলেই দেখবেন গলার ব্যথা একেবারে কমে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উগ্রপন্থা প্রতিরোধে কলারোয়া আলিয়া মাদরাসায় ‘মা’ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়া আলিয়া মাদরাসায় ‘মা সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ২৪জুন সকালে মাদরাসার হলরুমে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে উগ্রপন্থা প্রতিরোধ সক্ষম জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্তকরণে সচেতনতা ও সন্তানদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মায়েদের ভূমিকা বেশি- শীর্ষক বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে একই সাথে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকদের ষান্মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ‘রুপান্তর’ আয়োজিত ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আইয়ুব আলী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- রুপান্তর’র সাতক্ষীরা জেলা কর্মকর্তা মোরশেদা খাতুন দিলারা, মাদরাসার শিক্ষক মাও. ওমর আলী, আব্দুল গফফার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাও. আজিজুল ইসলাম, বজলুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, আয়নুদ্দীন, আহসান হাবীব, কামাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল বারী, শিরিনা পারভীন, ময়না খাতুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচের একাদশ ফাঁস!

খেলার খবর: আগামী মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে জয়ব্যতীত যেকোন ফলাফলেই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাবে লিওনেল মেসির দল। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা একাদশে একাধিক পরিবর্তন আসবে, এমনটা আগেই জানা ছিল।

শনিবার আর্জেন্টিনার অনুশীলনে ম্যাচের তিন দিন আগে ফাঁসও হয়ে গেল সেই ম্যাচের একাদশ। ব্রোনেৎসিতে আর্জেন্টিনার অনুশীলন ক্যাম্প থেকে ফটোগ্রাফার গুস্তাভো অরতিজের তোলা এক ছবিতে দেখা যায় আর্জেন্টিনার কোচিং স্টাফের এক সদস্যের হাতে সাজানো রয়েছে ম্যাচের খুঁটিনাটি পরিকল্পনা ও শুরুর একাদশের খেলোয়াড়দের নাম।

এই একাদশটিই মাঠে নামলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি থেকে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ৫টি। ৩-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে খেলা লিওনেল মেসি, এডুয়ার্ডো সালভিও, এনজো পেরেজ, নিকোলাস ওতামেন্দি, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও হাভিয়ের মাচেরানোই কেবল টিকে যাচ্ছেন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে।

গোলরক্ষন উইলি কাবায়েরোর বদলে আসছেন ফ্রাংকো আরমানি, তা জানা গিয়েছিল আগেই। এছাড়া গ্যাব্রিয়েল মার্কাদো, মার্কোস আকুনা, সার্জিও আগুয়েরো ও ম্যাক্সি মেজা বাদ পড়তে যাচ্ছেন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশ থেকে। তাদের বদলে আসবেন মার্কস রোহো, এভার বানেগা, এঞ্জেল ডি মারিয়া ও গঞ্জালো হিগুয়েইন। তবু সুযোগ হচ্ছে না আরেক তারকা খেলোয়াড় পাওলো দিবালার।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ফাঁস হওয়া একাদশ:
ফ্রাংকো আরমানি, এডুয়ার্ডো সালভিও, নিকোলাস ওতামেন্দি, মার্কস রোহো, নিকোলাস তালিয়াফিকো, এনজো পেরেজ, হাভিয়ের মাচেরানো, এভার বানেগা, এঞ্জেল ডি মারিয়া, গঞ্জাল হিগুয়েইন ও লিওনেল মেসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিকেলে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

রাজনীতির খবর: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রবিবার বিকেল ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের কাছে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনে তিনি আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরবেন। সেখান স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি নারীদের ঐতিহাসিক মুহূর্ত

বিদেশের খবর: আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবের নারীরা চালকের আসনে বসেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বহাল থাকা গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। আজ রোববার থেকে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে, যাতে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। আর চলতি মাসের শুরু থেকেই নারীদের লাইসেন্স দেওয়া আরম্ভ হয়।

সৌদি আরবই একমাত্র দেশ ছিল, যেখানে নারীরা গাড়ি চালাতে পারতেন না।

সম্প্রতি গাড়ি চালানোর অধিকারের পক্ষে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকার। অন্তত আট নারীকে কারাবন্দি করা হয়েছে, যাঁদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচারের মুখোমুখি বিচার করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সৌদি আরবে বিস্তৃত পরিসরে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে পুরুষ অভিভাবকের কাছে নারীদের অধীন করে রাখার ক্ষেত্রে।

ধারণা করা হচ্ছে, হাজার হাজার নারী রাস্তায় গাড়ি চালাতে নামবেন।

সৌদি টিভি উপস্থাপক সাবিকা আল-দোসারি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘প্রত্যেক সৌদি নারীর জন্য এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’ মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তিনি কয়েক মিনিট গাড়ি চালান বলে জানান।

এখন সৌদি নারীরা গাড়ি চালাতে পারবেন। তবে এখনো তাঁরা ভ্রমণ, বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ ইত্যাদি পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া করতে পারেন না।

সৌদি আরবের মানবাধিকারকর্মী বলেন, গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও নারীদের আটকে রাখার বিষয়টি লজ্জাজনক ও হৃদয়বিদারক।

এদিকে, এরই মধ্যে কিছু পুরুষ নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরবি ভাষায় তাঁরা ‘তুমি গাড়ি চালাবে না’ হ্যাশট্যাগ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

সৌদি সমাজকে আধুনিকতার দিকে নিয়ে যেতে এটা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগ বলে জানা গেছে। তাঁর মস্তিষ্ক থেকেই ‘ভিশন-২০৩০’ কর্মসূচি এসেছে, যাতে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ ষোলোয় ব্রাজিল-জার্মানি মুখোমুখি!

খেলার খবর: ‘ই’ ও ‘এফ’ গ্রুপের লড়াই যে পথে এগোচ্ছে তাতে শেষ ষোলোয় দেখা হয়ে যেতে পারে জার্মানি ও ব্রাজিলের।এখনো কিছুই নিশ্চিত নয়। কিন্তু ব্রাজিল ও জার্মানির পথ ও সমীকরণ বলছে শেষ ষোলোয় তাঁরা মিলবে একই বিন্দুতে।

তবে সেই বিন্দুটা মোটেও মিল-মহব্বতের নয়। বরং ভীষণ কঠিন এক লড়াইয়ের মঞ্চ। যেখানে ব্রাজিল পাবে গত বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ‘সেভেন আপে’র দুঃসহ স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ। আর জার্মানি? ব্রাজিলিয়ানদের ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ দেওয়ার চেষ্টাই থাকবে জোয়াকিম লোর শিষ্যদের। যদিও এখনো কোনো কিছু ঠিক নয়। কিন্তু বিশ্বকাপ-পথের ইঙ্গিতটা সেরকমই—শেষ ষোলোতেই দেখা যেতে পারে সেই চিরায়ত লড়াই। ব্রাজিলের মুখোমুখি জার্মানি!

কীভাবে? সেই অঙ্ক কষার আগে এটা বলে নেওয়া ভালো শেষ ষোলোয় ব্রাজিল-জার্মানি লড়াইয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছে এই সমীকরণ—‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের মুখোমুখি হবে ‘এফ’ গ্রুপের রানার্সআপ দল।

২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে জার্মানি এখন ‘এফ’ গ্রুপে দ্বিতীয়। তাঁদের সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মেক্সিকো। শেষ ম্যাচে জার্মানির প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া এবং ধরেই নেওয়া যায় এই ম্যাচটা জিতবে লোর শিষ্যরাই। অন্তত দুই দলের শক্তির বিচারে ধারণাটুকু করাই যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জার্মানদের জয় আর মেক্সিকো তাঁদের শেষ ম্যাচে যদি সুইডেনকে হারাতে পারে, তাহলেই ‘এফ’গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে মেক্সিকো আর রানার্স আপ জার্মানি। সে ক্ষেত্রে সুইডিশদের সঙ্গে মেক্সিকোর ড্র করলেও চলবে। কারণ তখন মেক্সিকোর পয়েন্ট হবে ৭ আর জার্মানির ৬ (দ.কোরিয়ার বিপক্ষে জয় ধরে নিয়ে)।

এবার আসা যাক ‘ই’ গ্রুপের সমীকরণে। যেখানে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। সুইজারল্যান্ডের সংগ্রহও তাঁদের সমান ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। সুইসদের (‍+১) সঙ্গে ব্রাজিল (‍+২) এগিয়ে গোল ব্যবধানে। এই গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে সার্বিয়া ও কোস্টারিকা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ব্রাজিলকে তাঁদের শেষ ম্যাচটা জিততে হবে। ঝামেলা হলো, সুইসরাও তাঁদের শেষ ম্যাচটা জিতলে ব্রাজিল ও তাঁদের পয়েন্ট সমান হবে। সে ক্ষেত্রে ব্রাজিল গোলব্যবধানে সুইসদের চেয়ে এগিয়ে থাকলে তাঁরাই হবে ‘ই’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড তাঁদের শেষ ম্যাচে ড্র করলেও সমীকরণটা মিলবে। সে ক্ষেত্রে গোলব্যবধানে সুইসদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে তিতের শিষ্যদের। তখন কিন্তু ব্রাজিলিয়ানদের মনে জেগে উঠবে সেই ক্ষত—‘মিনেইরাজো’ বিপর্যয়। অবশ্য জেগে ওঠা কেন? ব্রাজিলিয়ানদের মনে ক্ষতটা তো জীবন্ত। জার্মানির কাছে সেমিতে ৭-১ গোলের হার তো ভুলে যাওয়ার স্কোরলাইন নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিতের ব্রাজিল এতসব সমীকরণ মিলিয়ে কি শেষ ষোলোয় প্রতিশোধের মঞ্চ বানাতে পারবে?
সার্বিয়ার কিন্তু কোস্টারিকা নয়। সুইজারল্যান্ডের মতো কিংবা তাঁদের চেয়েও শক্ত দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest