সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

প্রধানমন্ত্রী সেমাই খেলেন, অতিথিদেরও খাওয়ালেন

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মী, ১৪ দলীয় জোটের নেতা, কূটনীতিক, বিচারপতি, ব্যবসায়ী, নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্য, কর্মকর্তা, তাদের পারিবারের সদস্য ও সামরিক কর্মকাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। ঈদের দিন সেমাই খেয়ে মিষ্টি মুখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেমাই, ফিরনিসহ নানা রকম খাবার খাইয়েছেন গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসা অতিথিদেরও। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই অন্যদিনের মতো ফজরের নামাজ আদায় করে চা খেতে খেতে পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও আজকের পত্রিকা বের হয়নি। আগের দিনের পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নিলেন তিনি। এরপর সকালে ৮টার মধ্যে নাস্তা সেরে রেডি হয়ে পৌনে ১০টায় গণভবনের মাঠে নেমে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষ করেন। বেলা ১টার দিকে শুভেচ্ছা পর্ব শেষ করেন তিনি। এরপর ভেতরে গিয়ে গণভবনের নিচ তলায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় সামরিক বিভিন্ন কর্মকর্তারাও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে কিছু সময় ছবি তোলার পর্বও ছিল। এসএসএফ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা, বিচারপতি, কূটনীতিক ও দলীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলেছেন।

গণভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রধানমন্ত্রীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানান। এর আগে তিনি বিদেশে থাকা বোন শেখ রেহানাসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন মোবাইল ফোনে।

সন্ধ্যায় গণভবনে আসবেন প্রধনমন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয়-স্বজন গোপালগঞ্জের কিছু মানুষও। তারাও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

জানা গেছে, পরিবার স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের খেলা তা দেখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি যদিও ব্রাজিলের সমর্থক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভয়াবহ পানি সংকটের মুখে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পানি সংকেটর মুখে পড়তে যাচ্ছে। প্রায় ৬০ কোটি মানুষ তীব্র পানি সংকটে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ভারত সরকারের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

ভারতের ২৪টি রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংকট সামনের দিনগুলোতে বরং আরও তীব্র হবে।

ভারতের ২১টি নগরীতে আগামী দু বছরের মধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাবে বলে এতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

এই পানি সংকটের কারণে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ ভারতের ৮০ শতাংশ পানিই ব্যবহৃত হয় কৃষিতে।

ভারতের নগরী এবং শহরগুলোতে গ্রীস্মকালে প্রতি বছরই পানির সংকট তৈরি হয়। কারণ বেশিরভাগ নগরী এবং শহরেই বাড়ি বাড়ি পাইপে পানি সরবরাহ করার মতো অবকাঠামো নেই।

পল্লী অঞ্চলেও পরিস্কার পানির সংকট আছে। সেখানে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করা যায় না। কারণ অনাবৃষ্টির সময় লোকে এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে।

নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ ভারতীয় মারা যায় পানীয় জলের সংকটের কারণে।

ভারতের নগরী এবং শহরগুলো যেভাবে দ্রুত বাড়ছে, তাতে নগরাঞ্চলে পানির চাহিদা আরও বাড়বে।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ পানির চাহিদা হবে তখনকার সরবরাহ ক্ষমতার দ্বিগুণ।

পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কিছু কিছু ভারতীয় রাজ্য অন্য রাজ্যের তুলনায় ভালো করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। যেমন গুজরাট, মধ্য প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ।

কিন্তু কিছু রাজ্যের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেমন উতর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার এবং ঝাড়খন্ড। ভারতের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এসব রাজ্যেই থাকে। ভারতের কৃষি উৎপাদনের বেশিরভাগটাই আসে এসব রাজ্য থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপের চোখ ধাঁধানো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যগুলো

খেলার খবর: এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। করেছেন হ্যাটট্রিক। শিরোপার অন্যতম দাবিদার স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রোনালদোর পর্তুগাল। ম্যাচ শেষে অবশ্য ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামাতে যাননি অনেকেই। মুগ্ধ হয়ে ছিলেন রোনালদোর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে।

বিবিসির এক অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা গ্যারি লিনেকার বলেছেন, ‘এটা আমার দেখা বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ। বিশেষত গ্রুপ পর্বে।’ রোনালদোর পারফরম্যান্সেরও ভূয়সী প্রশংসা আসছে ফুটবল দুনিয়া থেকে। তবে বিশ্বকাপে এমন একক নৈপুণ্যে নজর কাড়ার ঘটনা কিন্তু নতুন কিছু না। এর আগেও অনেকে ছড়িয়েছেন এমন মুগ্ধতা। এমনই কিছু চোখধাঁধানো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের কথা থাকছে এই প্রতিবেদনে।

ওলেগ সালেঙ্কো – রাশিয়া ৬-১ ক্যামেরুন (১৯৯৪ বিশ্বকাপ)
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের এক ম্যাচে পাঁচ গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো। রাশিয়া ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে বিদায় নিয়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই। তারপরও যৌথভাবে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন সালেঙ্কো।

সানডোর কোসিস- হাঙ্গেরি ৮-৩ পশ্চিম জার্মানি (১৯৫৪ বিশ্বকাপ)
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সানডোর কোসিস। এরপর পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে একাই করেছিলেন চার গোল। ৮-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবিয়েছিলেন জার্মানিকে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সেই হাঙ্গেরি দল বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাবে- এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফাইনালে গিয়ে তাদের হারের স্বাদ দিয়েছিল জার্মানি।

জিনেদিন জিদান- ফ্রান্স ৩-০ ব্রাজিল (১৯৯৮ বিশ্বকাপ)
১৯৯৮ সালের পুরো বিশ্বকাপেই জাদু দেখিয়েছেন ফ্রান্সের অধিনায়ক জিনেদিন জিদান। তাঁর অসাধারণ দৃঢ়তাপূর্ণ নৈপুণ্যে ভর করে ফ্রান্স চলে এসেছিল ফাইনাল পর্যন্ত। ব্রাজিলের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের সেই অন্তিম লড়াইয়ে জিদান দেখিয়েছিলেন জাদু। নিজে করেছিলেন দুটি গোল। সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছিলেন আরো একটি। শেষমেশ ৩-০ গোলের জয় দিয়ে ফ্রান্স পেয়েছিল শিরোপা জয়ের স্বাদ।

ইউসেবিও- পর্তুগাল ৫-৩ উত্তর কোরিয়া (১৯৬৬ বিশ্বকাপ)
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পূর্বসুরী ইউসেবিও-ও বিশ্বকাপে দেখিয়েছিলেন নজরকাড়া এক ব্যক্তিগত নৈপুণ্য। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর হারের আশঙ্কাই চেপে বসেছিল পর্তুগাল সমর্থকদের মনে। সেসময় অসাধারণ চারটি গোল করে দলকে খেলায় ফেরান ইউসেবিও। পর্তুগালও শেষপর্যন্ত জয় পায় ৫-৩ গোলে।

জিওফ হার্স্ট- ইংল্যান্ড ৪-২ পশ্চিম জার্মানি (১৯৬৬ বিশ্বকাপ)
১৯৬৬ সালের আরেকটি নজরকাড়া ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ছিল জিওফ হার্স্টের। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন এই তারকা। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার সেই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি আর কোনো ফুটবলারই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেল না বিএনপি

দেশের খবর: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পাননি দলটির নেতাকর্মীরা। ফলে শনিবার কারাফটকের সামনে থেকেই ফিরে গেছেন তারা।
এদিকে সাক্ষাতের অনুমতি না দেয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি না দেয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ইচ্ছার কারণেই খালেদা জিয়াকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। দলীয় চেয়ারপারসনকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন।
দলীয় চেয়ারপারসন কারাগারে থাকায় ঈদে দলটির কোনো কর্মসূচি নেই। দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগারের সামনে অবস্থান করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। এটাই বিএনপির কর্মসূচি বলে জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টায় কারাগারে সামনে আসেন বিএনপির অঙ্গ–সংগঠন মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। এরপর সেখানে মূল দল ও অঙ্গ–সংগঠনের আরও কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হয়। তবে পুলিশ তাদের কাউকেই কারা ফটকের কাছে যেতে দেয়নি।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাফটকের সামনে আসেন মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাঁরা কারাফটকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এরপর তারা সেখানে কিছু সময় অপেক্ষার পর চলে যান। তখনো অনেক নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রল পুলিশের পরিদর্শক আল মামুন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত পরশু বিএনপির পক্ষ থেকে আজ খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে কারা অধিদফতরের কোনো অনুমতিপত্র তাদের কাছে আসেনি। এ জন্য বিএনপির নেতাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাসপাতালে কাটছে পরীমনির ঈদ

বিনোদন ডেস্ক: ঈদটা হাসপাতালেই কাটছে পরীমনির। ঢালিউডের এই জনপ্রিয় নায়িকা চিকিৎসা নিতে বর্তমানে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গতকাল রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অভিনেত্রীর সহকারী মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মেহেদী হাসান জানান, গতকাল রাতে হঠাৎ করেই পরীমনির বুকে ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিরিয়াস কিছু হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিকিৎসকরা তাকে আরো সময় পর্যবেক্ষণে রাখতে চান। পুরোপুরি সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরবেন তিনি।

পরীর হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়ায় মেলে সোশাল মিডিয়া থেকে। তার ঘনিষ্ঠ একজন অসুস্থ পরীর ছবি আপলোড করেন ফেসবুকে। তাতে দেখা যায়, হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন পরীমনি।

ব্যাপক জনপ্রিয় এই নায়িকার ভক্তরা তার সুস্থতা কামনা করেছেন। বিশেষ করে ঈদের দিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মন ভেঙে দেয়ার মতোই খবর বটে। নতুন ছবি মুক্তির ব্যস্ততা এবার নেই পরীর। যদিও ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ ছবিটি মুক্তির পাওয়ার কথা ছিল। এ ছবিতে তার বিপরীতে রয়েছেন কায়েস আরজু। ছবিটির মুক্তির দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা প্রধানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা প্রধান পল ম্যানফোর্টকে জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এছাড়া তার জামিন আবেদনও বাতিল করা হয়েছে।রয়টার্সসহ বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ আইন উপদেষ্টা রবার্ট মুলার অভিযুক্ত ম্যানফোর্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন। ম্যানফোর্টের বিরুদ্ধে আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, সাক্ষীকে প্রভাবিত করা, মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছিলেন মুলার। পল ম্যানফোর্ট এর আগে মানি লন্ডারিংসহ বেশ কিছু মামলায় ভার্জিনিয়াতে গৃহ-কারাবাসে ছিলেন।

গত সপ্তাহে ম্যানফোর্টের বিরুদ্ধে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের মামলায় সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছিলেন মুলার। শুক্রবার (১৫ জুন) এই মামলার শুনানিতে এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করেন ম্যানফোর্ট। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ অ্যামি বারম্যান জ্যাকসন তার জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী স্কুল অব আর্টে দাউ দাউ আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো স্কুল অব আর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এ ঘটনার শিকার হলো স্কুলটি। শনিবার সকালে স্কুলের ম্যাকিনটোশ ভবনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেই আগুন দেখতে দেখতে লাগোয়া ভবনসহ একটি নাইটক্লাবেও ছড়িয়ে যায়।

১২০ জনের বেশি অগ্নিনির্বাপককর্মী আগুন নেভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আগুন ধরার পর স্বয়ংক্রিয় সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে স্থানীয় সময় ১১টা ২০ মিনিটের দিকে। এসব তথ্য জানায় স্কটিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস।

স্কটিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের ডেপুটি চিফ অফিসার আইয়ান বুশেল বলেন, এটা দারুণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল পরিস্থিতি ছিল। চার ঘণ্টা আগেও তিনি জানিয়েছেন যে, আগুন নেভাতে দারুণ বেগ পেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আহত বা নিহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।

ম্যাকিনটোশ ভবনটির ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত স্থপতি চার্লস রেনি ম্যাকিনটোশ। ২০১৪ সালে আরেক অগ্নিকাণ্ডে ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই এই ভবনের সম্প্রসারণসহ মেরামতের কিছু কাজ চলছিল। আগামী বছর খুলে দেয়া হতো এটি।

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন তার টুইটবার্তায় বলেন, সবাই নিরাপদে আছেন। কিন্তু গ্লাসগোর স্কুল অব আর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রেললাইনের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েন সুমন জাহিদ-প্রত্যক্ষদর্শী শিশুর বর্ণনা

অনলাইন ডেস্ক: ট্রেন আসার শব্দ শুনে রেললাইনের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েছিলেন সুমন জাহিদ। ঘ টনাস্থলে থাকা এক শিশু ও এক নারী তাঁকে সরতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি সরেননি। একপর্যায়ে শিশুটি তাঁর পা ধরে টানলে তিনি লাথি মেরে শিশুটিকে সরিয়ে দেন। এরপরই দ্রুত গতির ট্রেনটি তাঁকে দ্বিখণ্ডিত করে চলে যায়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীনের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন জাহিদের দ্বিখণ্ডিত লাশ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাগিচা-সংলগ্ন রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার এমনটাই বর্ণনা দিচ্ছে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিশু। নাদিয়া আক্তার নামের শিশুটি খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছোট। তার মা নুরুন্নাহার বেগমের চায়ের দোকানটি ঠিক ঘটনাস্থলেই।

লাশ উদ্ধারের পর সুমনের স্বজনেরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পলাতক দুই যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানান স্বজনেরা। পুলিশও বিষয়টি জানত। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করার পরামর্শও দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ঘটনার সময় নাদিয়াদের চায়ের দোকান বন্ধ ছিল। সে আরও তিনটি শিশুর সঙ্গে সেখানে খেলছিল। তাদের বাসাটিও ঘটনাস্থল থেকে ১৫-২০ কদম দূরে। আজ শুক্রবার দুপুরে সেখানে গেলে সুমন জাহিদের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেয় নাদিয়া। এ প্রতিবেদক যখন ঘটনাস্থলে যান, তখন বাজার থেকে চাল-ডাল, সেমাই কিনে মায়ের সঙ্গে ফিরছিল সে।

নাদিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করে দোকানের সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল সে। তখন একটি লোককে (সুমন জাহিদ) সেখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। কিছুক্ষণ পর তিনি এসে দোকানে তার পাশে বসেন। নাদিয়া বলছিল, ‘আমি কেমন আছি তা জানতে চান লোকটা। বলি, ভালো আছি।’

সুমন জাহিদেসুমন জাহিদকিছুক্ষণ পর আরেক নারী এসে সেখানে বসেন। তিনিও নাদিয়াকে নানা প্রশ্ন করেন। একটু পরেই ট্রেন আসার শব্দ শোনা যায়। নাদিয়া বলে, ট্রেনের শব্দ শুনে সুমন চায়ের দোকানের পাটাতনের ওপর থেকে মাটিতে বসে পড়েন। নাদিয়া তখন তাঁকে সেখান থেকে উঠতে বলে। ঘটনাস্থলে থাকা নারীও সুমনকে উঠতে বলে রেললাইন পার হয়ে চলে যান।

নাদিয়া বলে, নারীটি যাওয়ার পরপর সুমন তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘সত্যি ট্রেন আসতেছে?’ নাদিয়া তাঁকে উত্তর দেয়, ‘হ্যাঁ সত্যি ট্রেন আসতেছে।’ নাদিয়ার মুখে পরবর্তী ঘটনার বর্ণনা, ‘তখন উনি (সুমন) ওখানে শুয়ে পড়েন। আমি বলি শুয়ে পড়ছেন কেন, ওঠেন। আমি পা ধরে টান দিই। তিনি তখন আমারে লাথি মেরে ফেলে দেন সেখান থেকে। ততক্ষণে ট্রেন আইসা গেছে। আমি উইঠা দাঁড়ায় চোখ বন্ধ কইরা ফেলি। চোখ খুইলা দেখি তাঁর মাথাটা রেললাইনের মাঝে পইড়া আছে। আমি দৌড়ায়া আম্মুর কাছে গিয়ে বলি। আম্মু আইসা কাপড় দিয়ে লাশ ঢাইকা দেয়।’

নাদিয়ার মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ১৫-২০ দিন ধরে তিনি ওই ব্যক্তিকে (সুমন) এই জায়গা দিয়ে চলাফেরা করতে দেখেছেন। যেই ফতুয়া ওনার গায়ে ছিল, সেই ফতুয়া গায়ে দিয়েই তিনি চলাফেরা করতেন। আরও মানুষও তাঁকে দেখেছে। যেই জায়গা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান দিয়ে তিনি রেললাইনের এপার থেকে ওপারে যেতেন, আবার ওপার থেকে এপারে আসতেন।

নুরুন্নাহার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাজার থেকে মাছ কিনে ফেরার সময় তিনি সুমনকে তাঁর দোকানে বসে থাকতে দেখেন। তখন তিনি সুমনের কাছে জানতে চান, ‘বসে আছেন কেন?’ তাঁর জবাব ছিল, ‘ভালো লাগছে না তো, এ জন্য বসে আছি।’ এরপর নুরুন্নাহার বাসার দিকে চলে যান। হাত থেকে মাছের ব্যাগটি রাখতে না রাখতেই নাদিয়া কাঁদতে কাঁদতে এসে তাকে বলে, ‘আম্মাগো আম্মাগো, আমার পাশে যে লোকটা বইসা ছিল, সে আত্মহত্যা করছে।’ তারা তখন দৌড়ে ঘটনাস্থলের দিকে যান।

সুমন জাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। থানা-পুলিশ ছাড়াও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং গোয়েন্দা বিভাগও ঘটনার তদন্ত করছে। কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বলেন, নাদিয়া, তার মা এবং আশপাশের আরও লোকজনের জবানবন্দি তাঁরা নিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান না। ঘটনার সবদিক তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াসিন বলেন, সুমন জাহিদ ছিলেন ফারমার্স ব্যাংকের শান্তিনগর ব্রাঞ্চের সেকেন্ড অফিসার। সেখানে নিজের আত্মীয়স্বজনের কিছু টাকা তিনি বিনিয়োগ করছিলেন। পাঁচ মাস আগে ব্রাঞ্চটি বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর চাকরিও নেই। এ বিষয়গুলোর কোনো প্রভাব আছে কি না, তা–ও তারা খতিয়ে দেখছেন।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest