সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

রাত পোহালেই বিশ্বকাপ

খেলার খবর: ক্ষণ গণনার পর্ব প্রায় শেষ। এবার উন্মাদনায় ভাসার পালা। আর বাকি একদিন। রাত পোহালেই বিশ্বকাপ। প্রস্তুত মস্কো, প্রস্তুত রাশিয়া। বিশ্বকাপের মাতাল হাওয়ায় গোটা বিশ্বই এখন ফুটবলে বুঁদ। সবার মুখে মেসি, নেইমার, রোনাল্ডো।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে ঝড় উঠছে চায়ের কাপে। ঢাকা-মস্কো- সবখানেই একই ছবি। আগামীকাল যেখানে পর্দা উঠবে ২০১৮ বিশ্বকাপের, মস্কোর সেই লুঝনিকি স্টেডিয়াম সেজে উঠেছে নতুন সাজে। গোটা রাশিয়াতেই অবশ্য সাজ সাজ রব। তবে এই মুহূর্তে ফুটবলের তীর্থভূমি লুঝনিকিই। ৮০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার বিশালাকার এই স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার মুখোমুখি হবে সৌদি আরব।

ম্যাচের আগে ৩০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে গোটা বিশ্বের সামনে মেলে ধরবে রাশিয়া। উদ্বোধনী মঞ্চে বিশ্বখ্যাত দুই শিল্পী রবি উইলিয়ামস ও আইদা গারিয়ুফুলিনার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ব্রাজিলীয় ফুটবল গ্রেট রোনালদোও। যারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচের টিকিট পাননি, তাদের জন্যও স্টেডিয়ামের বাইরে লাগানো হয়েছে বড় পর্দা। এ ছাড়া মস্কোর সব ফ্যান জোনেই বড় পর্দায় বিশ্বকাপ উপভোগের সুযোগ থাকছে।

মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোরা রাশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘাঁটি গাড়লেও বিদেশি সমর্থক ও পর্যটকদের ভিড়ে সবচেয়ে বেশি গমগম করছে মস্কো। বিশ্বকাপে ৩২টি দেশ অংশ নিলেও এই মুহূর্তে রাশিয়ার রাজধানীতে অবস্থান করছে অন্তত ১২০টি দেশের মানুষ। যাদের কাছে বিশ্বকাপের টিকিট আছে তাদের গলায় ঝুলছে ফ্যান আইডি কার্ড। তাতে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হলেও আবাসন সংকট ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে।

হোটেলগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে চার-পাঁচ গুণ পর্যন্ত। তারপরও হোটেলে রুম না পেয়ে অনেকে রাত কাটাচ্ছেন মস্কোর মেট্রো স্টেশনে। তাতে অবশ্য বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ভাটা পড়ছে না কারও। রাস্তায় দলবেঁধে গলাখুলে গাইছে হরেক দেশের হরেক সমর্থক। ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মস্কোর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যস্ততা। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী আক্রমণ ও দাঙ্গাবাজ সমর্থকদের সামলাতে মস্কোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। সবমিলিয়ে অবিস্মরণীয় একটি বিশ্বকাপ আয়োজনে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না রাশিয়া।

আয়োজক রাশিয়া হয়তো সফল হবে, তবে স্বাগতিক দলের বিশ্বকাপযাত্রা থেমে যেতে পারে গ্রুপপর্বেই। আন্তর্জাতিক ফুটবলে গত আট মাসে জয়ের মুখ দেখেনি রাশিয়া। নিজেদের দলের বিশ্বকাপ জয়ের বাস্তবসম্মত কোনো আশা না থাকায় প্রায় সব রুশ সমর্থকই দ্বিতীয় পছন্দের দলের জন্য গলা ফাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন! সেই দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের নাম।

মস্কোর পাশের একটি শহরে আর্জেন্টিনার বেস ক্যাম্পে মেসিদের অনুশীলন দেখতে প্রতিদিনই সমর্থকদের ঢল নামছে। টিকিট না থাকায় যারা অনুশীলন দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না, তাদের হাহাকার দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাশিয়ায় কতটা জনপ্রিয় আর্জেন্টিনা দল। সোচিতে মঙ্গলবার ব্রাজিল দলের প্রথমদিনের অনুশীলনেও দেখা গেছে একই ছবি। সেখানে নেইমারকে ঘিরে উন্মাদনা মেসির চেয়ে এতটুকু কম নয়।

একইভাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও মোহামেদ সালাহর কারণে পর্তুগাল ও মিসরের অনুশীলন দেখতে ছুটছেন অনেকে। বড় দলগুলোর মধ্যে কাল সবার শেষে রাশিয়ায় পা রেখেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও ইংল্যান্ড। এবার ফেভারিটের কাতারে জার্মানি ও ব্রাজিল রয়েছে শীর্ষে। এদিকে মস্কোয় আজ ফিফার কংগ্রেসে ২০৭টি সদস্য দেশের ভোটে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক চূড়ান্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা যৌথভাবে আয়োজন করতে চায় ২০২৬ বিশ্বকাপ। তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আফ্রিকার দেশ মরক্কো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক বছরে সাড়ে তিন গুণ সম্পদ বেড়েছে ট্রাম্প মেয়ে-জামাতার!

আন্তর্জাতিক সংবাদ: এক বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের সম্পদ সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে। সম্প্রতি তাদের সম্পদের নতুন এক বিবরণে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর সিএনএন’র।

খবরে বলা হয় ২০১৭ সালে কুশনারের মোট সম্পত্তি ছিল ১৭৪ মিলিয়ন ডলার। তা বেড়ে এই বছর হয়েছে ৭১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সম্পদের দীর্ঘ তালিকায় ২০১৭ সালে ইভানকার ট্রাম্পের ৫৫ মিলিয়ন ডলার এক লাফে দাঁড়িয়েছে ৭৫ মিলিয়ন ডলারে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে রিয়েল স্টেট, ফ্যাশন এবং বিনোয়োগ প্রতিষ্ঠান বাদেও ইভানকারের আয়ের উৎস অনেক।

তবে ইভানকা ও জামাতা জ্যারোড কুশনারের সম্পদের সঠিক অংকটা কোথাও সুনির্দিষ্ট করে দেয়া নাই। অনেক জায়গায় আছে ১ লাখ ডলার থেকে ১০ লাখ ডলারের মধ্যে। এই সম্পদের দীর্ঘ হিসেব ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মরতে শুরু করেছে অফ্রিকার হাজার বছর বয়সী গাছগুলো!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকা গাছগুলো হঠাৎ মরে যেতে শুরু করেছে। পৃথিবীর এই প্রাচীন প্রাণেরা যেন গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে সকল মায়া বন্ধন। নাকি দূষিত করে তোলা এই পৃথিবীর পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণেই আফ্রিকার এই হাজার বছরের বাওব্যাব গাছগুলো মরতে শুরু করেছে?

সেই রহস্য এখনো জানা যায়নি। তবে যেটুকু জানাগেলো আফ্রিকায় টিকে থাকা হাজার বছর বয়স্ক গাছগুলো মারা যেতে শুরু করেছে একে একে। গত কয়েক বছর ধরে এই মৃত্যুর বিষয়টি টের পাওয়া যাচ্ছে।

আন্তজার্তিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে হঠাৎ করেই মারা যেতে শুরু করেছে আফ্রিকার হাজার বছর বয়স্ক গাছগুলো। এই গাছগুলোর বয়স সাধারণত এক হাজার থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত হয়। অর্থ্যাৎ এক একটি গাছ স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

বাওব্যাব গাছের মূল বৈশিষ্ট্য হলো গাছটি একহারা গড়নের। মাটি থেকে বিশাল আকারের কাণ্ড লম্বা হয়ে সোজা উপরের দিকে উঠে গেছে। শাখাগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। প্রাণ বৈচিত্রের ভূমি আফ্রিকায় বাওব্যাব গাছ আরেক অদ্ভুত মহাপ্রাণ। এই গাছের উচ্চতা সাধারনত ৭৫ ফিটের মতো হয়। কোনো কোনো গাছ ১১৫ ফিট পর্যন্ত হয়েছে। আবার এর ভিন্ন কয়েকটি প্রজাতিও দেখা গেছে যারা গড়নে আলাদা কিন্তু বয়স প্রায় একই রকম।

রোমানিয়ার বাবেস-বোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান প্যাটরুট বলেন, আমরা ধারণা করছি যে, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ুর কারণে যেসব পরিবর্তন হয়েছে, এসব গাছের মরে যাওয়ার সঙ্গে হয়তো তার সম্পর্ক আছে। এটা একটা অদ্ভুত দুঃখজনক অনুভূতি। যে গাছগুলো হাজার হাজার বছর বাঁচে সেই গাছগুলো আমাদের চোখের সামনে মারা যাচ্ছে!

দক্ষিণ আফ্রিকা, রোমানিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলছেন, এসব গাছ হারানো মানে হচ্ছে যেন হঠাৎ করে বিশাল কিছু হারানোর মতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাম্প-কিমের যৌথ ঘোষণায় যা আছে

আন্তর্জাতিক সংবাদ: প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের কাপেলা হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর কিছু বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দেন এই দুই দেশের নেতারা। ঘোষণাটির বিষয়বস্তু নিম্নে তুলে ধরা হলো :

১. দুই দেশের মানুষের শান্তি এবং সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করবে।

২. কোরিয়া উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।

৩. গত ২৭ এপ্রিলে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজ সম্পন্ন করতে কাজ করে যাবে।

৪. যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়া।

একই সঙ্গে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করা হবে।

এই ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে দুই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে চলে আসা উত্তর কোরিয়ার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প ও কিম দুজনই তাদের এই যৌথ ঘোষণায় উল্লিখিত বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

এই বৈঠকের ফল নিয়ে খুব দ্রুতই দুই দেশের সরকার আবারও আলোচনায় বসবে বলেও তাঁরা জানান। বৈঠকে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া সম্পর্কের উন্নয়ন ও কোরীয় উপদ্বীপসহ সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তায় কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা সিঙ্গাপুর হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রতিনিধিদল কাঠের একটি টেবিলে মুখোমুখি বসে। উভয় পাশেই উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়ছিল।

সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কিম বলেন, তাঁর বিশ্বাস এই বৈঠক শান্তির পথে বিশাল উন্নতি। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই পথ অনেক কঠিন হবে। তবে আজ থেকে একটা ভালো দিন শুরু হলো।’

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই কাপেলা হোটেলের লাইব্রেরিতে একান্তে ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন। তাঁদের সঙ্গে কেবল দোভাষী ছিলেন। এরপর তাঁরা বেরিয়ে এসে বারান্দা থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাসিমুখে হাত নাড়েন।

মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, চিফ অব স্টাফস জন কেলি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন বল্টন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স, ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুং কিম ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ম্যাট পটিংগার প্রতিনিধিদলে ছিলেন।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলে ছিলেন ক্ষমতাসীন দল কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কিম ইয়ং চল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক রি সু ইয়ং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রক্তকে বিষমুক্ত করতে খেতে হবে এই ৮টি খাবার

স্বাস্থ্য সংবাদ: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পরিবেশ এবং খাবারে উপস্থিত নানাবিধ বিষাক্ত উপাদান সারা দিন ধরে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। আর যখন রক্তে এইসব বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন একের পর এক রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষত নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই তো রক্তকে সব সময় পরিষ্কার রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।

এখন প্রশ্ন হল রক্তে ক্ষতিকর উপদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কীভাবে বোঝা সম্ভব? এক্ষেত্রে প্রথমেই ব্রণর প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সোরিয়াসিসের মতো রোগও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তবে এখানেই শেষ নয়, রক্ত যেহেতু শরীরের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায়, তাই রক্ত যদি বিশুদ্ধ না থাকে, তাহলে কিন্তু একে একে শরীরের বাকি অংশের উপরও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। ফলে আয়ু কমতে শুরু করে। তাই তো প্রতি মুহূর্তে সাবধান থাকাটা জরুরি!

কিন্তু প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও যদি রক্তে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তাহলে কী করণীয়? সেক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগাতে হবে। ফলে রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই থাকবে না। আর রক্ত বিশুদ্ধ থাকলে দেখবেন ত্বকের রোগ তো দূরে থাকবেই, সেই সঙ্গে শরীরও একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তকে বিশুদ্ধ রাখার ঘরোয়া উপায়গুলি সম্পর্কে।

প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত যে যে খাবারগুলি খেতে হবে, সেগুলি হল…

১. বাদাম
একাধিক গবেষণা অনুসারে নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন ই-এর ঘাটতিও দূর হয়, যার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের অন্দরে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে কমে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পরার সম্ভাবনাও।

২. ব্রকলি
এতে প্রচুর মাত্রায় ডিটক্স এজেন্ট বা ময়লা বের করে দেওয়ার উপাদান রয়েছে। তাই তো প্রতিদিন এই সবজিটি খেলে রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, রক্তের কোণায় কোণায় লুকিয়ে থাকা ময়লাকে টেনে বার করতে ব্রকলি দারুন কার্যকরী, তাই তো রক্ত বিশুদ্ধ করতে ব্যবহৃত ঘরোয়া চিকিৎসাগুলির মধ্য়ে এটি এত জনপ্রিয়।

৩. বিটরুট
এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ, যা শরীরকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, লিভারের কর্মক্ষমতা বারাতেও বিটরুট দারুন কাজে আসে। আর একবার লিভার চাঙ্গা হয়ে গেলে শরীর থেকে বিনা বাঁধায় ক্ষতিকর সব বিষাক্ত উপাদানগুলিও খুব সহজে বেরিয়ে যায়।

৪. লেবু
শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। লেবু নানাভাবে শরীর থেকে এইসব বিষগুলিকে বের করে দেয়। ফলে রক্ত খারাপ হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। এখানেই শেষ নয়, লেবুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে উপস্থিত বিশেষ কিছু এনজাইমের কর্মক্ষতা বৃদ্ধি করে। এই এনজাইমগুলি শরীরে উপস্থিত টক্সিনগুলিকে দ্রবণীয় উপাদানে পরিবর্তিত করে দেয়। ফলে সেগুলি সহজে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আর যেমনটা আগেই বলেছি, শরীরে টক্সিনের মাত্রা যত কমবে, তত রক্ত বিশুদ্ধ থাকবে।

৫. আদা
এই মশলাটি সেই আদি কাল থেকে নানা রোগের চিকিৎসায় ব্য়বহৃত হয়ে আসছে। এতে কার্কিউমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর মাত্রায় রয়েছে, যা রক্তকে শুদ্ধ করার পাশাপাশি একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি অল্প করে হলুদ খাওয়া যায়, তাহলে কিডনি এবং হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেশি মাত্রায় বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।

৬. করলা
আমার মতই আপনারা নিশ্চয় ছোট বেলা থেকে শুনে আসছেন তেঁতো খেলে শরীর ভাল থাকে! একথাটি বাস্তবিকই সত্যি যে করলা জাতীয় তেঁতো খাবার খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, ফলে নানা রোগের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর বেঁচে থাকে। প্রসঙ্গত, করলায় প্রচুর মাত্রায় ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে, যা রক্ত থেকে ক্ষতিকর উপাদানকে টেনে টেনে শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে সোরিয়ায়িস এবং ব্রণর মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ যেমন কমে, তেমনি নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

৭. আমলকি
রক্ত শুদ্ধ করতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতেও এই ফলটি দারুন কাজে আসে। ফলে সার্বিকভাবে যদি শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন খেতেই হবে এই ফল।

৮. গাজর
রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কারণে সরিয়াসিস সহ যেসব ত্বকের রোগ হয়, সেগুলির প্রকোপ কমাতে গাজরের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। প্রসঙ্গত, গাজরে রয়েছে গ্লুটেথিয়ান নামে একটি উপাদান, যা একপ্রকার ক্লিনসিং এজেন্ট, অর্থাৎ রক্তকে পরিষ্কার করতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া এই সবজিটিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন- এ, বি, সি এবং কে এবং পটাশিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে দারুন কাজে আসে। তাই যখনই বুঝবেন রক্ত ময়লা হতে শুরু শুরু করেছে, গাজর খাওয়া শুরু করবেন, দেখবেন দারুন ফল পাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টিভি চ্যানেলে নিজের মৃত্যুর খবর শুনে ক্ষুব্ধ এটিএম শামসুজ্জামান

বিনোদন সংবাদ : মধ্যরাতে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর খবর। এরপর দুটি টেলিভিশনও চ্যানেলেও প্রচার করা হয় জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর। সেই সূত্র ধরে চিত্রতারকারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে দেরি করেননি যে তিনি মারা গেছেন।

খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে এ খবর। অনুসারীরাও ছড়িয়ে দিতে থাকে সে খবর। ঠিক যখন খবরটিকে মিথ্যে ভাবার আর সুযোগ নেই তখনই সংবাদকর্মীরা ও টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেন যে মৃত্যুর খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী মিসেস রুনি জামান বলেন,’ফেসবুকে প্রায়ই গুজব ছড়ানো হয়। কিন্তু টেলিভিশন চ্যানেলে এই প্রথম উনার মৃত্যুর খবর দেওয়া হলো- এটা খুবই দুঃখজনক। টেলিভিশন চ্যানেল যদি ভুল খবর দেয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?’

তিনি জানান এটিএম শামসুজ্জামান সুস্থ আছেন। বাসাতেই আছেন। ঈদে নাটক-চলচ্চিত্রে কাজ করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রুনি জামান বলেন, ‘উনি রমজান মাসে বাসাতেই থাকেন। এসময় কোন শুটিং করেন না।’

এটিএম শামসুজ্জামান নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি ভিডিও বার্তায় জানালেন টেলিভিশন চ্যানেলে কীভাবে দেয় না জেনে এমন খবর দিইয়েছে? তিনি ভিডিও বার্তায় বাসার নম্বর দিয়ে বলেন, ‘এর আগেও আমাকে ৮-১০ বার মেরেছে, তারা ইতর প্রকৃতির। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি দেখছি টেলিভিশন চ্যানেলে আমার মৃত্যুর খবর। এটা কী ধরনের পেশাদারিত্ব? তারা তো অন্তত একবার আমাকে ফোন দিতে পারে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবারের গুজবটি ছড়ানো হয় একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে। যেখানে বলা হয়, ‘এটিএম শামসুজ্জামান বাথরুমে পরে গিয়ে মারা গেছেন, পুরো বাংলাদেশে শোকে ভাসছে।’ এরপর তা দ্রুত ছড়াতে থাকে।

চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন,’ইউটিউবের কিছু হারামি আমাদের গুরু সমতুল্য এটিএম শামসুজ্জামান ভাইকে মেরে ফেলার কথা বলে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। আমাকেও এভাবে মেরে ফেলেছিলে। এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিরোধ করা হোক। পুলিশি আইন প্রয়োগ করা হোক। এটিএম ভাই আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছেন।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ফেসবুক ব্যবহারে সকলের সতর্ক হতে হবে। চিলে কান নিয়েছে আর চিলের পেছনে ছুটলাম এমনটা অন্তত শোবিজ সংশ্লিষ্টদের পরিহার করতে হবে। এভাবে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাঁদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় সিনেমা মানেই বক্ষ আর নিতম্ব! বিস্ফোরক প্রিয়াঙ্কা!

বিনোদন সংবাদ: ভারতীয় সিনেমায় নাচ করতে গেলে নিতম্ব এবং স্তনটাই সব। ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতি নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বলিডিভা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। যদিও এই বিষয়টি বছরখানেক আগে বলেছিলেন পিগি চপস। কিন্তু সম্প্রতি ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় সকলের নজরে আসে। এরপরেই শুরু হয় সমালোচনার।

নায়িকা বর্তমানে যে ইন্টারন্যাশনাল স্টার তা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আন্তর্জাতিক মঞ্চেও অভিনেত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেই ভীষনভাবে জনপ্রিয় তিনি। বছর দুয়েক আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে অভিনেত্রী এমি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানে রেড কার্পেটে হেঁটে সকলের নজরে এসেছিলেন। রেড কার্পেটে কিছুটা হাঁটার পরেই সাংবাদিকরা তাঁকে ছেঁকে ধরেন একাধিক প্রশ্ন নিয়ে। এই সময় একজন তাঁকে বলিউড নিয়ে প্রশ্ন করেন। অভিনেত্রী আপ্লুত হয়ে জবাব দিতে থাকেন। সেখানে তাঁকে বলিউডের নাচের স্টেপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়।

উত্তরে অভিনেত্রী জানান “ভারতীয় ফিল্ম মানেই শুধু স্তন এবং নিতম্ব! এখানে নাচতে গেলে সব কিছুই নিতম্ব আর স্তনের মুভমেন্ট হওয়া সবথেকে বেশি জরুরি।” পাশাপাশি ক্যামেরার সামনে নিজেও নেচে দেখান অভিনেত্রী।

ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নায়িকার বিরুদ্ধে কুৎসিত মন্তব্যে ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে এরকম মন্তব্য করায় নায়িকার ফ্যানেরাও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলে। অনেকের মতেই নায়িকা হলিউড স্টার হয়ে গিয়েছে বলে নিজেকে অনেকে বিশাল কিছু ভেবে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন যে তিনি নেচেই বিখ্যাত হয়েছেন। যদিও এসব নিয়ে এখনই অভিনেত্রী পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি।

পাশাপাশি অভিনেত্রী এমনিতেই বেশ কোণঠাসা নিজ দেশের মাটিতে। সম্প্রতি ‘কোয়ান্টিকো’র লেটেস্ট সিরিজ ‘দ্য ব্লাড অফ রোমিও’ তে এক হিন্দু জাতীয়তাবাদীকে জঙ্গি তকমা দিয়ে দেখানো হয়েছে। আর তাঁকে এই তকমা দেওয়ার সংলাপটি বলেছেন খোদ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অর্থাৎ এফবিআই এজেন্ট ‘অ্যালেক্স প্যারিস’। সম্প্রতি এই এপিসোড ঘিরে দেশের মাটিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলের প্রতিক্রিয়ায় আপাতত কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন পিগি চপস। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীকে সমর্থনে এগিয়ে আসে নির্মাতা সংস্থা এবিসি। প্রকাশ্যে তাঁরা ক্ষমা চাইলেও কিন্তু মন গলেনি কারোর।

ওই এপিসোডের জন্য এবিসি ক্ষমা চেয়ে বলেছে, “প্রিয়াঙ্কা না পরিচালক, না গল্পের লেখক। ওই এপিসোডে যা দেখানো হয়েছে তাতে অভিনেত্রীর কোনও হাত নেই। কোয়ান্টিকো একটি ফিকশন সিরিজ, মানুষের আবেগকে আহত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।”

প্রিয়াঙ্কা নিজেও দু:খ প্রকাশ করে টুইট করেন। তিনি বলেন, কোনো উদ্দেশ্য থেকে ভারতীয়দের ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়নি। তিনি এ-ও বলেন যে, তিনি একজন গর্বিত ভারতীয়।

তিনি লেখেন, আমি অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ন এবং দুঃখিত যে কিছু মানুষ কোয়ান্টিকোর একটি এডিসোড দেখে মনে আঘাত পেয়েছেন। এটা কোনোভাবেই আমার বা আমাদের উদ্দেশ্যমূলক কাজ ছিল না। আমি মন থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি একজন গর্বিত ভারতীয় এবং আমার অবস্থান কোনোদিনই পরিবর্তনযোগ্য নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইফতারে স্বাস্থ্যকর ফল নাশপাতি ও পেয়ারা

স্বাস্থ্য সংবাদ: ইফতারে ভাজাপোড়া কম খেয়ে বিভিন্ন ফল খাওয়া উত্তম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আপনার ইফতারে থাকতে পারে স্বাস্থ্যকর ফল নাশপাতি ও পেয়ারা। অতি পরিচিত ফল নাশপাতির পুষ্টিগুণ জেনে নিন-

নাশপাতিতে সর্বনিম্ন ক্যালোরি
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের বড় এক ভয় ক্যালোরি। কিন্তু ফলের ক্যালোরি প্রাকৃতিক চিনি থেকেই আসে। তবু ভয় কাটে না মানুষের। এদিক থেকে পুরোপুরি নিরাপদ নাশপাতি। এটা সর্বনিম্ন ক্যালোরির ফল। রসাল একটি নাশপাতি থেকে গড়ে ১০০ ক্যালোরি মিলতে পারে, এর বেশি নয়।

শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখে
চীনে ফুসফুসের চিকিৎসায় নাশপাতি ব্যবহৃত হয়। নাশপাতির জুস গলা পিচ্ছিল করে, কফ এবং ভাইরাল সংক্রমণ কমায়। অনেকেই মনে করেন, গ্রীষ্মে প্রচ- গরমে ফুসফুসে কফ জমে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। নাশপাতিতে এ্যান্টিঅক্সিজেন গ্লোটাথায়ন থাকার কারণে এটি গলাকে পিচ্ছিল করে এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

রোগ প্রতিরোধী
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ‘সি’-এর কারসাজিতে কিন্তু দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বেড়ে যায়। এরা রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা ও কার্যক্রম বাড়ায়। এমনিতেই ঠাণ্ডা-সর্দি, ফ্লু ছাড়াও সাধারণ কিছু রোগ নাশপাতিই সামলে নিতে পারে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যক্রম
অন্যান্য ফলের মতো নাশপাতিও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এই উপাদানের উপকারিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। বিভিন্ন রোগের আক্রমণ ঠেকাতে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে।

প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি মিটাতে
যাদের দেহে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি রয়েছে তারা নাশপাতির শরণাপন্ন হতে পারেন। কপার ও আয়রনের জন্য এই ফল আপনার দেহের জন্য দারুণ উপকারী।

হাড়ের স্বাস্থ্য
উচ্চমাত্রার খনিজের তালিকায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম আর কপার। এসব উপাদান হাড়ের খনিজ হারানো রোধ করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।

স্বাস্থ্যকর ফল পেয়ারা
ইফতারে থাকতে পারে অতি পরিচিত ফল পেয়ারা। প্রতিদিন মাত্র ১টি পেয়ারা আপনার নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে- এমনটিই বলছে একাধিক গবেষণা। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের ইফতারে পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন—যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। জেনে নিন তুলনামূলক সস্তার ফল পেয়ারার পুষ্টিগুণ-

* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারার পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ। দিনে ১টি পেয়ারা খেলেও দৃষ্টিশক্তির উন্নতি সম্ভব।

* ওজন কমায়
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এতে হজমের সমস্যার সমাধান হয়। পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা কমাতেও বিশেষভাবে কার্যকরী।

* চুল পড়া রোধ করে
পেয়ারার ভিটামিন সি চুল পড়া রোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও প্রতিদিন মাত্র ১টি পেয়ারা খেলে নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে।

* নার্ভ ও মাংসপেশি শিথিল রাখতে
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক কঠিন পরিশ্রমের পরেও মাংসপেশি শিথিল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও নার্ভ রিলাক্স করে।

* ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে
পেয়ারার প্রায় ৮১% পানি। সুতরাং পেয়ারা খেলে দেহ পানি শূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পায়, ত্বক সুস্থ থাকে। পেয়ারার ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষাতেও কাজ করে।

* মস্তিস্কের সুরক্ষা করে
পেয়ারা আমাদের মস্তিষ্ক সুরক্ষায় কাজ করে। পেয়ারার ভিটামিন মস্তিস্কের নার্ভ রিলাক্স করতে সহায়তা করে। এতে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest