সর্বশেষ সংবাদ-
জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনাসাতক্ষীরায় আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা : চলছে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস মৎস্য ঘেরে : আহত ১৪তালায় জুলাই আহত ও নিহতদের স্মরণে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টসাতক্ষীরার বারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণশ্যামনগরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণসাতক্ষীরায় পানিবন্ধী পরিবারের মাঝে বিএনপি নেতা চিশতীর খাদ্য বিতরণশ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে আটকে এক নারীর মৃত্যুসাতক্ষীরায় জাতীয় ঐক্যমত গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশীজনের মতামত শীর্ষক মতবিনিময়

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৈরি জ্যাকেট পড়বে যে দলগুলো

ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাগতিক রাশিয়াসহ মোট ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে। আগামী ১৪ জুন মাঠে গড়াচ্ছে জমকালো এই আসর। ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ শুরু হতে আর মাত্র বাকি ১৭ দিন। অন্যান্য দেশের মতো বাঙালিও মেতে উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনায়। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে হয়তো খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে না বাংলাদেশের কিন্তু লাল-সবুজের দল বাংলাদেশ না থেকেও থাকবে লিওনেল মেসি, মেসুত ওজিল, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের সঙ্গে। বিশ্বের এই সেরা ফুটবলাররা পরবেন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা জ্যাকেট।

রাশিয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশে তৈরি জ্যাকেট পরবেন বিশ্বের নামী ফুটবলাররা। এই জ্যাকেট তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের কেইপিজেডের ইয়াংওয়ানের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শু ইন্ডাস্ট্রিজের একটি কারখানায়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতেই তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া দলের অফিশিয়াল জ্যাকেট। এই দেশগুলোর জ্যাকেট, জার্সিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরবারহ করেছে খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। তবে বাংলাদেশ শুধুমাত্র জ্যাকেট তৈরি করে দিয়েছে অ্যাডিডাসকে।

এ ব্যাপারে দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে অ্যাডিডাস বাংলাদেশের মার্চেন্ডাইজার ব্যবস্থাপক এ এস এম রিফাত হক বলেন, অ্যাডিডাস আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া দলের অফিশিয়াল স্পনসর। সে সুবাদে বাংলাদেশে এই দলগুলোর কিছু জ্যাকেট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া জার্সি, মোজাসহ অন্যান্য সামগ্রী অন্যান্য দেশে তৈরি হয়েছে। অফিশিয়াল এই জ্যাকেট পরেই খেলার সময় সাইড বেঞ্চে থাকবেন ফুটবলার ও কর্মকর্তারা।

এসব জ্যাকেটের কলারের নিচে যে ট্যাগ লাগানো রয়েছে তার মধ্যে লিখা আছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। গত বছরের আগস্ট থেকে এই পোশাক তৈরি শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব পোশাকের জাহাজীকরণ শেষ হয়। অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে এসব কাজ করা হয়।

এই জ্যাকেটগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মান দলের জ্যাকেটের বাঁ পাশে চারটি তারকাচিহ্ন ও দুবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের জ্যাকেটের বাঁ পাশে দুটি তারকাচিহ্ন রয়েছে। একটি তারকাচিহ্ন রয়েছে স্পেনের জ্যাকেটেও।

দলগুলোর কাছে পৌঁছানোর আগে যেন এসব জ্যাকেট বাজারে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রমিক থেকে শুরু করে কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে বিশ্বকাপের দলগুলোর পোশাক তৈরি করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটি খুব উচ্ছ্বাসিত।

কর্ণফুলী শু ইন্ডাস্ট্রিজের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নেই। তবে বিশ্বকাপের অনেক ফুটবল দল এখানকার তৈরি পোশাক পরবে, সেটা অনেক গর্বের। ওই পোশাক আমাদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। আমাদের শ্রমিকেরাও যখন সেটা দেখবেন, তখন তাঁদেরও ভালো লাগবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার দুপুরে এ আপিল আবেদন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

এর আগে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ দিয়েছিলেন। তবে একই বেঞ্চ নড়াইলের মানহানির একটি মামলায় তার আবেদন খারিজ করেন।

এ আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমি আজকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পিটিশন রেডি হয়ে গেছে। অন্য ফরমালিটিজ শেষ হলে আজকেই চেম্বারে যাব।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হয়ে যায়। তবে গত ১৭ মে জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের ফলে কারাবন্দি খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন আদালতে নাশকতা ও মানহানির মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। ফলে মুক্তি পেতে হলে তাকে এসব মামলায় জামিন পেতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কাউন্সিলর একরাম বদির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, মামলাও ছিল না

ন্যাশনাল ডেস্ক: টেকনাফ সীমান্তে শনিবার রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক (৪৬) ইয়াবার কারবারি ছিলেন না, বলছে এলাকার মানুষ। বরং তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও শীর্ষস্থানীয় ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে এলাকার সাবেক একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন। টেকনাফ থানার পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্সিলর একরামুলের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তিনি ইয়াবা কারবারি ছিলেন বলে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের নেতারাই বলছেন, একরামুল ইয়াবা কারবারি ছিলেন না, সেটা হলে তাঁরা জানতেন। তিনি অর্থনৈতিকভাবেও তেমন সচ্ছল ছিলেন না।

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার পর তিনবার নির্বাচিত এই কাউন্সিলরের নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে। কোথাও ভুল হলো কি না সে সন্দেহ করছে অনেকে।

র‌্যাব একরামুলের নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি এবং ইয়াবার শীর্ষ গডফাদার। র‌্যাবের কক্সবাজারের কম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মিঠাপানির ছড়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে একরামুল নিহত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, পাঁচটি গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

জানতে চাওয়া হলে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘নিহত পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তবে একটি মদের মামলা ছিল, সেটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ ওসি বলেন, ‘একরামুল ইয়াবা কারবারি ছিলেন মর্মে পুলিশের কাছে তেমন কোনো রেকর্ড নেই।’

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহম্মদ আলী বলেন, ‘টেকনাফের রাজনীতির মাঠে এমপি বদির পরিবার ও সাবেক এমপি গণির পরিবারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘকালের। নিহত একরামুল হক ছিলেন বরাবরই এমপি বদিসহ স্থানীয় ইয়াবা ডনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ কারণেই একরামুলের মৃত্যুকে সীমান্তের লোকজন সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না।’

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল বশর বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলর একরাম অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে জীবন যাপন করতেন। দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিল অত্যন্ত চমৎকার। তাঁর ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার কথা কোনো দিনই শুনিনি। তদুপরি অর্থনৈতিকভাবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল।’ টেকনাফ পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মেম্বার বলেন, ‘একরামুল ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকলে আমরা অবশ্যই জানতাম। কিন্তু কোনো দিন শুনিনি তিনি ইয়াবা কারবারে জড়িত ছিলেন।’

শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল নিহত হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, ক্রসফায়ারের নামে ত্যাগী রাজনীতিকদের হত্যা করা হচ্ছে। এসব ত্যাগী রাজনীতিকরা সারা জীবন ইয়াবার বিরুদ্ধে এবং আবদুর রহমান বদির পরিবারের ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন। অথচ এক দিন আগে এমপি আবদুর রহমান বদির বেয়াই আকতার কামাল মেম্বারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় ফেসবুকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে অনেকে মন্তব্য করেছিলেন।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্যে কাউন্সিলর একরামুলের বাবার নাম ও ঠিকানা না মেলায় অনেকে সন্দেহ করছে, নিরীহ লোক বন্দুকযুদ্ধের শিকার হলেন কি না! র‌্যাব নিহত কাউন্সিলরের বাবার নাম-মোজাহার মিয়া ওরফে আব্দুস সাত্তার এবং তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিহত কাউন্সিলরের বাবার নাম আব্দুস সাত্তার এবং তিনি টেকনাফ পৌরসভার কাইয়ুকখালী (৩ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকার বাসিন্দা। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকের তালিকায় টেকনাফের মৌলভীপাড়া এলাকার একজন একরামুল হকের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। তাঁর বাবার নাম ফজল আহমদ। র‌্যাব সম্ভবত সেই একরামুলের নামের মিল থাকায় একজন নিরীহ ব্যক্তিকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছে।’ শফিক মিয়া বলেন, তিনি একটানা ২১ বছর ধরে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে একরামুল ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। আজ এমন একজন রাজনৈতিক কর্মী ইয়াবার নামে খুনের শিকার হলেন। অথচ রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া অগণিত ইয়াবা কারবারি বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিহত একরামুলের জ্যেঠাতো ভাই, স্থানীয় সাবেক এমপি আবদুল গনির ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই একরামুল হক বাস্তবে ইয়াবার বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিলেন সব সময়। আমাদের পরিবারের সঙ্গে এমপি বদির পরিবারের সম্পর্কও মোটেই ভালো নেই। এ কারণেই আমার ভাই বলি হলেন কি না আমাদের সন্দেহ।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইচিপ’র কার্যক্রম স্থগিত

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ণ চিকিৎক পরিষদ(ইচিপ) এর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ২৪ মে’২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস জেড আতীক স্বাক্ষরিত এক পত্রে অনিবার্য কারণ বশত গত ২২মে১৮ তারিখে গঠিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইফতারে ফ্রুটস ফিরনি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ইফতারে বিভিন্ন আইটেমের সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় কোনো রেসিপি যদি থাকে তবে তা মন্দ নয়।বিশেষ করে শিশুরা মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। আর এই মিষ্টি জাতীয় রেসিপি যদি হয় ফিরনি তবে তো কথাই নেই।

ফিরনি তৈরি করুন সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল দিন। খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন পুষ্টিকর সুস্বাদু ফ্রুটস ফিরনি।

আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন ফ্রুটস ফিরনি।

উপকরণ:

দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ ১কাপ, পোলাও-এর চাল আধা ভাঙ্গা ১/৪কাপ, সাগুদানা(১ঘণ্টা ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে) ১/৪ কাপ,কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া ১চিমটি, কনডেন্স মিল্ক ১কাপ, ক্রিম ১কাপ,

পাকা আম কিউব করে কাটা ১কাপ, আপেল কিউব করে কাটা ১কাপ, কলা কিউব ১কাপ, লাল-সবুজ আঙ্গুর কিউব ১কাপ, জাফরান ১চিমটি,

মাওয়া ১/২কাপ, পেস্তা বাদাম বাটা ১টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ১টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম কুচি ১টেবিল চমচ।

প্রস্তুত প্রণালী:

তরল দুধের সাথে গুঁড়া দুধ, কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা জাফরান, পোলাও-এর চাল ও সাগু দিয়ে নাড়তে হবে।

চাল সেদ্ধ হলে ক্রিম দিয়ে মিশ্রণটাকে অল্প ঠাণ্ডা করে কাটা ফল মিশিয়ে নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

পছন্দমতো মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরি করতে পারেন দারুণ মজার-স্বাস্থ্যকর ফ্রুটস ফিরনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২৫ লাখ টাকায় এক জোড়া তরমুজ

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: সম্প্রতি জাপানে উন্নত জাতের একজোড়া তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৩২ লাখ ইয়েন মূল্যে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকারও বেশি! কিন্তু এত ফল থাকতে তরমুজই কেন দামের হবে?

জাপানের সংস্কৃতিতে তরমুজ মানুষের খানদান প্রকাশ করে। ফলের মৌসুমে এ ধরনের দামি ফলের কেনা-বেচা শুরু হয় জাপানে। তখন উচ্চবিত্ত ক্রেতারাও সামাজিক অবস্থান ও সম্মানের জানান দিতে দামি ফল খুঁজে থাকেন। বিক্রেতারাও এই ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে দোকান সাজাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফল সংগ্রহ করেন।

উত্তর হক্কাইদোর সাপ্পোরো সেন্ট্রাল পাইকারি বাজারে মৌসুমের প্রথম ‘ইউবারি তরমুজ’ ওঠে। সেখানেই দামি তরজুম নিলামে ওঠে। স্থানীয় আরেকটি ফ্রুট প্যাকিং ফার্ম সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে কিনে নেয় এই বহুমূল্যের দুটো তরমুজ।

সেরা মানের ইউবারি তরমুজ সবচেয়ে ভালো স্মুথি বানানোর জন্যে। এই তরমুজের বৃন্তের আকৃতি থাকে ইংরেজি ‘টি’ অক্ষরটির মতো। এই তরমুজ সাধারণত অলংকৃত বাক্সে বিক্রি করা হয়। জাপানে অন্যান্য সাধারণ ফলের দামও তুলনামূলক অনেক বেশি। সেখানে একটি আপেল কিনতেই গড়ে ৩ ডলার গুনতে হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘হুইল চেয়ারে আমিই প্রথম মহাকাশে যেতে চাই’

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি নামক জটিল স্নায়বিক রোগে ভূগছে এমন এক তরুণ সম্পর্কে জন্মের সময় বলা হয়েছিল, সে পাঁচ বছরের বেশি বাঁচবে না, সম্প্রতি তিনি ডিজঅ্যাবিলিটি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম কোনো আফ্রিকান গ্রাজুয়েট হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন।

ওই তরুণের লক্ষ্য এখন শুধু পৃথিবী নয় মহাকাশ জয় করার। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, এমন কি করতে পারি যার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধিত্বের বিষয়টিকে সমাজ যে দৃষ্টিতে দেখে কিংবা যেভাবে তাকে বদলে দিতে পারি? তখনই আমার মনে হল আমি মহাকাশে যেতে পারি।’ তার পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য অধ্যাপক স্টিফেন হকিংকে শ্রদ্ধা জানানো। যিনি নিজেও মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

এডওয়ার্ডের জন্ম হয়েছিল স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামক স্নায়বিক সমস্যা নিয়ে। তিনি বড় জোর পাঁচ বছর বেঁচে থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এখন তার বয়স ২৭। এডওয়ার্ড বলেন, ‘এই বছরের শেষে আমার বয়স হবে ২৮ বছর। সুতরাং দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অতিরিক্ত সময় বেঁচে আছি।’

এডওয়ার্ডের অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। পেশিগুলো দিন দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিদিনকার উপলব্ধি হচ্ছে এই যে, সবকিছুতেই আমার সাহায্য দরকার, খাওয়া দাওয়া, সকালে উঠে কাপড় পরা, প্রকৃতপক্ষে সপ্তাহের সাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা প্রতি মুহূর্তই আমাকে লোকজনের সাহায্য নিয়ে চলতে হয়।’

কিন্তু শুধু এডওয়ার্ডের একার সংগ্রামে বিষয়টি হয়তো সম্ভব হতো না। তার মায়ের নিরলস চেষ্টা তাকে এই সুযোগ করে দিয়েছে যা হয়তো অন্য অনেক প্রতিবন্ধী মানুষের নাগালের বাইরে। তাদের জন্য কিছু একটা করতে চেষ্টা করছেন তিনি।

এডওয়ার্ড বলেন, ‘আমার মা একজন রকস্টার। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা যেন আমি পাই সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। প্রচলিত শিক্ষায় আমি যেন শিক্ষিত হতে পারি সেজন্য তিনি সব চেষ্টাই করেছেন আমাকে মেইনস্ট্রিমের স্কুলে ভর্তির জন্য।’

যে ধরনের ডিজঅ্যাবিলিটির ফলে ধীরে ধীরে এডওয়ার্ডের কোন কোন অঙ্গ বা কোষের কর্মক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। কিন্তু তিনি প্রথম কোনো আফ্রিকান যিনি ডিজেনারেটিভ ডিজ্যাবিলিটি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েট করেছেন।

এডওয়ার্ড বলেন, ‘এমন এক মহাদেশে বাস করছি যেখানে ডিজঅ্যাবিলিটি রয়েছে এমন অধিকাংশ শিশুই স্কুলের ক্লাসরুম কেমন তা কখনো জানে না। আমি আমার গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করতে পারি। সেসব শিশুদের কথা ভেবেই আমি সেটি করেছি। বিশ্বের সকল প্রতিবন্ধী মানুষই আমার অনুপ্রেরণার উৎস। যারা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে নতুন একটি দিনের সঙ্গে লড়াই শুরু করে। আমি তাদের জন্য এমন একটি বিশ্ব চাই যা থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত।’

এডওয়ার্ড এখন এমন এক বিশ্ব তৈরি করতে চান যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সকল সুযোগ সুবিধার অধিকারী হবে। তাদের স্বপ্নগুলো হয়ে উঠবে বাস্তব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গভীর সমুদ্রে ১৭ বিলিয়ন ডলারের গুপ্তধন পেল রোবট!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: ১৭০৮ সালের ৮ জুন। স্পেনের সান জোস নামের একটি জাহাজ ৬০০জন নাবিকসহ ক্যারিবীয় সাগরে ডুবে যায়। সম্প্রতি ডুবে যাওয়া সেই জাহাজ থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছে একটি রোবট। ফলে গভীর সমুদ্রের তলা থেকে ৩১০ বছরের পুরনো গুপ্তধন উদ্ধার করল এক রোবট। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা।

ক্যারিবিয়ান সি-র গভীরে একটি স্পেনদেশীয় জাহাজ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ উদ্ধার করে এই রোবট। পানির নীচে কাজ করতে সক্ষম এই রোবটের নাম রেমাস ৬০০০। উচ্চ-প্রযুক্তি সম্পন্ন সেন্সর ও ক্যামেরা বসানো এই রোবট চার মাইল পর্যন্ত ডুব দিতে পারে।

জানা যায়, স্পেনের যুদ্ধজাহাজ স্যান জোস ১৬’শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে প্রচণ্ড গুলি বিনিময়ের পর সমুদ্রে ডুবে যায়। সেই জাহাজে থাকা কোটি কোটি টাকার সোনা, রূপা ও পান্নাও হারিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে। ২০১৫-র নভেম্বরে ফের সেই জাহাজটির সন্ধান পাওয়া যায়। এবার রোবটের সাহায্যে হারানো ধনরত্ন উদ্ধার করা সম্ভব হল।

ক্যারিবিয়ান সি-র ২০০০ ফুট গভীরে ছিল জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। এই রোবট এর আগেও সমুদ্রের তলা থেকে জাহাজ ও প্লেনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest