সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

সাতক্ষীরা ন্যাশনাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা ন্যাশনাল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরের ইটাগাছা রাধানগরস্থ ন্যাশনাল হাসপাতালে শনিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ জিম্মি করে তাদের পাওনা টাকা আদায় করে জোর করে মৃত লাশটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে খুলনায় স্থানান্তর করেন বলে নিহতের স্বজনরা জানান।
নিহতের নাম জাকিয়া সুলতানা রাখি (১৯)। সে শহরের সুলতানপুরের আরিফ হোসেনের স্ত্রী। এদিকে, এ ঘটনা জানাজানির একপর্যায়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের খালাতো ভাই কামরুজ্জামান জানান, চিকিৎসকের পরিবর্তে ন্যাশনাল হাসপাতালের অদক্ষ নার্স দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অ্যানাসথেশিয়া প্রয়োগ করায় রাখির আর জ্ঞান ফেরেনি।
তিনি জানান, শনিবার ইফতারের পরে রাখির প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বামীসহ স্বজনরা দ্রুত সাতক্ষীরার রাধানগরস্থ ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে কতব্যরত চিকিৎসক আবু বকর রোগীকে দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনদের আপত্তি না থাকায় রুগীকে ওটিতে নিয়ে যান। রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অ্যানাসথেশিয়া চিকিৎসকের পরিবর্তে নার্সদের দিয়ে ইনজেকশান পুশ করে তাকে অজ্ঞান করা হয়।
তিনি আরো জানান, অপারেশন শুরু করা আগেই প্রেসার লো হয়ে রাখির মৃত্যু হয়। অপারেশন টেবিলে তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই রুগীকে দ্রুত খুলনা আড়াই’শ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে তার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনা টকা আদায় করে নেন। খুলনায় নেওয়া হলে সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা জানান প্রায় আড়াই ঘন্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে রাখির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় হাসপাতাল ঘেরাও করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় পুলিশ চিকিৎসক আবু বকর সহকয়েক জনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি এক রুগী জানান, ক্লিনিকে কোন ডাক্তার থাকে না। অল্প কয়েকজন ডাক্তার এখানে এসে রুগী দেখেন। তবে তারা ফোন করার ১/২ ঘন্টা পরে আসেন। তবে, হাসপাতালের সামনে ডাক্তারদের সাইন বোডের বাহার ঠিকই রয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু বকর এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায় নি। তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, ন্যাশনাল হাসপাতালের পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, রাখির কোন অপারেশন করা হয়নি। হাসপাতালে নেওয়ার পরে প্রেশার লো হয়ে সে মারা যায়।

1 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৯ মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক ৫৪

আব্দুল জলিল: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ ৫৪ জনকে আটক হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে আজ রোববার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
আটককৃতদের মধ্যে-সাতক্ষীরা থানা থেকে ৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ১০ জন, কালিগঞ্জ থানা ৮ জন,শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন, পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে গাজা রাখার দায়ে এক যুবককে তিনমাস ও দু’নারীকে একমাস করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, শনিবার বিকেলে শহরের পশ্চিমে মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ির পাশের বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪শ’ গ্রাম গাজাসহ নাজমা, জাহানরা ও মেহেদি হাসানকে আটক করে পুলিশ। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ আদনান এ সাঁজা দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ফুল ব্যাবসায়ী রিপনের আত্মহত্যা

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় রিপন খান (৪৫) নামে এক ফুল ব্যাবসায়ী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার গভীর রাতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের একটি ভাড়া বাসায় তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রিপন খান বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ এলাকার সাঈদ আলী খানের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, রিপন খানের বাড়ি বাগেরহাট জেলায় হলেও সে দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরা শহরে ফুলের ব্যাবসা করতো। তার একাধিক বিয়ে রয়েছে। একাধিক বিয়ে করার কারনে স্ত্রীদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারনে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তার লাশ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আদালতের মালখানা থেকে ইয়াবা পাচার, কনস্টেবল ও সোর্স আটক

ন্যাশনাল ডেস্ক: ময়মনসিংহের আদালতের মালখানা থেকে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিনকে (৩০) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা থেকে তাকে আটক করে ডিবি। পরে এ ঘটনায় কোর্ট ইন্সপেক্টর, মালখানা অফিসার ও জিআরওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোর্ট ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান, মালখানা অফিসার সাইফুল ইসলাম ও জিআরও মনিরুল ইসলামকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

ডিবির ওসি আশিকুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার বেড়িবাঁধ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের সোর্স আব্দুল মোতালেবকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার বিকেলে আদালতে জবানবন্দীতে কনেস্টবল আল-আমিন মালখানা থেকে ইয়াবা পাচার করেছে বলে জানায় সে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করা হয়। সে জেলা জজ কোর্টে কর্মরত ছিল। বর্তমানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আল-আমিন।

পুলিশ কনস্টেবল এবং ওই সোর্সের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান ডিবির ওসি আশিকুর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকায় প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় তোলপাড় (ভিডিও)

দেশের খবর: শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক তরুণীকে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ধর্ষণকালে রনি হক নামে এক ধনীর দুলালকে আটক করেছে স্থানীয় জনগণ। অভিযুক্ত রনি ও তার গাড়ি চালককে প্রাইভেটকার থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে বেদম প্রহার করে জনতা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক পালিয়ে গেলেও রনিকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ইতোমধ্যে রাতের সেই ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সকাল থেকেই তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

অভিযুক্ত সেই রনিকে আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ। এ বিষয়ে আজ দুপুরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত রনি হক দুই সন্তানের জনক। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক ছাত্র পেশায় ব্যবসায়ী।

স্থানীয় জনগণের মন্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ অবলোকন করে জানা গেছে, রাজধানীর কলেজগেট সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকারের ভেতরে এক তরুণীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন রনি।

ওই সময় আরেকটি গাড়িতে ছিলেন রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি মনে করছিলেন গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা চলছে।এর পর রাফিসহ সেখানে থাকা আরও কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে রনির প্রাইভেটকারটি আটকে ফেলেন। তখন তারা দেখতে পান গাড়ির পেছনের আসনে রনি এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে।পরে জনতা গাড়ির ভেতর থেকে আক্রান্ত তরুণী, অভিযুক্ত মদ্যপ তরুণ ও গাড়িচালককে বের করে আনেন।

ইতোমধ্যে এ ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর শেয়ার ও মন্তব্যের সংখ্যা।

https://www.youtube.com/watch?v=j07Y94vZA7E

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছেলেদের আগে মেয়েরাই দেশকে দিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব

এই কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে সবকটি ম্যাচ হেরে এসেছিল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। তবে শেষের ম্যাচগুলোয় লড়াকু মনোভাবটা খুব ভালোভাবেই বোঝা গিয়েছিল রুমানা-সালমাদের। সেই লড়াকু মনোভাবের পরিণতি হলো এশিয়া কাপে। শক্তিশালী ভারতকে ৩ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল টিম টাইগ্রেস।

বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট দলে যেমন বিশ্বমানের তারকা আছে, প্রচুর টাকা আর স্পনসরের ছড়াছড়ি আছে; মেয়েদের সেসব কিছুই নেই! তারপরেও দেশকে কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব এনে দিল টাইগ্রেসরা। তিন বা ততোধিক দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত টুর্নামেন্টে ছেলেরা বারবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা হাতছাড়া করেছে। কিন্তু মেয়েরা সেই ভুল আর করল না। প্রথম সুযোগি বাজিমাত!

হ্যাঁ, এবারই প্রথম এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলল সালমা খাতুনের দল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জিতল শেষ বলের ম্যাজিকে। আর ছেলেরা এর আগে ২০০৯ সালে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হার, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনালে হার, গত জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আরেকটি হার এবং সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে এই ভারতের কাছেই পরাজিত হয় বাংলাদেশ।

মেয়েরা এবার ছেলেদের হয়ে কি প্রতিশোধ নিয়ে নিল? ম্যান অব দ্য ম্যাচ রুমানা আহমেদ কিন্তু এমন কিছু বলেননি, বলেছেন মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য আরও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে। তাহলে দেশকে আরও বড় বড় সম্মান এনে দিতে পারবে বাংলার বাঘিনীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলার বাঘিনীরা

খেলার খবর: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সম্মান এনে দিল জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলার বাঘিনীরা।

দেশের পুরুষ ক্রিকেট দলও এর আগে কখনই তিন বা তার অধিক দেশের অংশগ্রহণে কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা এনে দিতে পারেনি। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বাঘিনীরাই আজ দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দেশকে এশিয়ার সেরার মর্যাদা এনে দিল।

টসে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রান তুলে ভারত। ভয়ংকর ব্যাটিং লাইনআপের দলটি এদিন খাদিজা-রুমানাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। অধিনায়ক হারমনপ্রীত কাউর ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। মিথালি রাজ এবং কৃষ্ণমুর্তি ১১ রান করে করেন। যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। রুমানা এবং খাদিজা ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে নেন অধিনায়ক সালমা এবং জাহানারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর মিয়ানমারের, হতাশ রোহিঙ্গারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার। এই চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি। এ কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশে শরনার্থী রোহিঙ্গারা। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

মিয়ানমারের সেনা শাসিত সরকার ১৯৮০’ র দশকে এক আইনের বলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করছেন রোহিঙ্গারা। তবুও তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে চিহ্নিত করে চালানো হয় সেনা প্রচারণা। সুপরিকল্পিতভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিদ্বেষী মনোভাব গড়ে তোলা হয়। সর্বশেষ গত বছর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে সহিংসতা জোরালো করে। এর ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

আন্তর্জাতিক চাপে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর গত বুধবার জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে মিয়ানমার। তবে, ওই চুক্তিতে নাগরিকত্বের প্রশ্নের মীমাংসা না হওয়ায় বহু বছর ধরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের মিথ্যা আশ্বাস পেয়ে আসা রোহিঙ্গারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের তৈয়ব আলী বলেছেন, প্রথমে রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে পারে ইয়াঙ্গুন সরকার। যখন আমরা দেখে শুনে নিশ্চিত হবো, তারা নাগরিক অধিকার অধিকার উপভোগ করছে তখন আমরা ফিরে যাবো।

শরণার্থী শিবিরের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা সত্যিকার অর্থে কোনো চুক্তিতেই খুশি হতে পারছেন না যতক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে, জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জটিল আলোচনার ক্ষেত্রে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম পদক্ষেপ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest