সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও নেই মোস্তাফিজ

খেলার খবর: আইপিএল থেকে চোট নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। তাই খেলা হয়নি সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফেরা আরো দীর্ঘ হচ্ছে মোস্তাফিজের। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্ট থেকে বাদ দেয়া হলো টাইগার সেনসেশনকে।
জাতীয় দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছেন, পায়ের ইনজুরির কারণে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট মিস করতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। তবে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফেরার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে তার বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
মোস্তাফিজের ইনজুরির মধ্যেই আফগানিস্তানের কাছে হেরে ভারত থেকে নাকানি-চুবানি খেয়ে এসেছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল। যদিও সে সব ভুলে বাংলাদেশ দলের সামনে এখন শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২টি টেস্ট, ৩টি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য ২২ জুন দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। আজ সোমবার টেস্ট দল ঘোষণা করবে বিসিবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেলের শরবতের জুড়ি মেলা ভার

স্বাস্থ্য ডেস্ক: গাছে বেল পাকিলে কাকের কী? সত্যিই তো তাই। কাক যতই ঠোকর মারুক, বেলের শক্ত খোসা তার পক্ষে ভাঙা সম্ভব নয়। বাগধারাটি নানা অর্থে ব্যবহৃত হয়। বেল পাকলে কাকের কিছু যায় আসে না, কিন্তু মানুষ পাকা বেল খেতে পছন্দ করে। পুষ্টিগুণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই ফল। অনেকে তাই বলে ‘শ্রীফল’। ফলটি দেখতে ততটা সুশ্রী নয়, কিন্তু নানা উপকারের গুণেই তার দারুণ কদর। পবিত্র রমজান মাসে চলছে নিদারুণ খরতাপ। এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ইফতারে এক গ্লাস বেলের শরবতের জুড়ি মেলা ভার। গরমে তৃষ্ণা মেটানোই নয়, অনেকে বেলের পুষ্টিগুণের জন্যই পান করে বেলের শরবত।

পুষ্টিবিদদের মতে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শরীরে পানিশূন্যতা পূরণে পান করা যেতে পারে বেলের শরবত। নিমিষেই তা শক্তি দেবে। শরীরকে করবে তরতাজা। তাই ইফতারে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ও শরীরের পুষ্টি জোগাতে বেলের শরবত পান করার পরামর্শ দেন তাঁরা। বেলের শরবত নিমেষেই প্রাণ জুড়ায়। পাশাপাশি বেলের গুণও রয়েছে অনেক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম। মোটামুটি সারা দেশেই জন্মে বেলগাছ। তেমন যত্ন-আত্তি ছাড়াই বেড়ে ওঠে বেলগাছ। গ্রামে-মফস্বলে বসতবাড়ির ধারে দেখা মেলে এ গাছের। বেল এ অঞ্চলেরই ফল। ভারতবর্ষ ছাড়াও থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশে বেলগাছ দেখা যায়। বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ইত্যাদি জেলায় ভালো জাতের বেল জন্ম হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বেলগাছ ও ফল অত্যন্ত পবিত্র। বেলের পাতা পূর্জা-অর্চনায় ব্যবহৃত হয়। এ জন্য তারা বেলগাছের কাঠও লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না।

কাঁচা বেলের রং সবুজ, পাকলে হলদে হয়। বেলের শক্ত আবরণের ভেতরে শাঁসের রং কমলা বা হলুদ। বেল পাকলে শক্ত আবরণ ভেদ করেও ছড়িয়ে পড়ে সুগন্ধ। পাকা ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু। সাধারণত ফাগুন-চৈত্র মাসে বেলগাছের পাতা ঝরে যায়। বৈশাখ মাসে গাছে আসে নতুন পাতা ও ফুল। এ সময়ই পাকে বেল। পাকা ফলের ভেতর থাকে বীজ। সেগুলো জড়িয়ে থাকে আঠার সঙ্গে। কিন্তু তা সহজেই ছড়ানো যায়।

রন্ধনশিল্পী ফাতেমা আবেদীন নাজলা বলেন, ‘ঝটপট বানানো যায় পাকা বেলের শরবত। মাঝারি আকারের একটি পাকা বেল দিয়ে চার গ্লাস শরবত বানানো যায়। পাকা বেল ভেঙে, বিচি ছাড়িয়ে আঁশ সংগ্রহ করতে হবে। পাকা বেলের বীজ বেছে ফেলতে হবে। বীজসহ ব্লেন্ড করলে শরবত তিতা হয়ে যেতে পারে। সামান্য চিনি ও ঠাণ্ডা পানি অথবা বরফকুচি দিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করলেই বেলের শরবত হয়ে যাবে। বাসায় ব্লেন্ডার মেশিন না থাকলেও সমস্যা নেই। কেননা পাকা বেলের আঁশ বেশ নরম ও মোলায়েম। সহজেই তা পানির সঙ্গে মিশে যায়। বেলের শরবতের সঙ্গে বাড়তি স্বাদের জন্য মেশানো যেতে পারে দই কিংবা চিনি।’

একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আনোয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘বেলের শরবত পেটের নানা অসুখ সারাতে বেশ কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়া থাকলে কাঁচা বেল উপকারী। পাকা বেলও খাওয়া যেতে পারে। বেলের শাঁস পিচ্ছিল, তাই পাকস্থলীর জন্য তা উপকারী। বেলের শরবত যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, তেমনই হজমে সহযোগিতা করে।’ তিনি আরো বলেন, বেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি গ্রীষ্মকালীন বহু রোগবালাই দূর করে। এ ছাড়া বেলের শরবত পান করলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া বেলের ভিটামিন এ চোখের নানা সমস্যা দূর করে।

বাজারে খুঁজলেই পাকা ফল পাওয়া যায়। তবে এখন দাম বেশ চড়া। কারওয়ান বাজারের মসজিদ মার্কেটে খুচরা ও পাইকারি বেল বিক্রেতা আবদুল মিয়া জানান, আকারভেদে বেলের দামে তারতম্য রয়েছে। মাঝারি আকারের প্রতিটি পাকা বেলের দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা। একটু ছোট আকারের প্রতিটি পাকা বেলের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। আর বড় আকারে পাকা বেলের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি জুসবারে বিক্রি হয় পাকা বেলের শরবত। মগবাজারের আলিম জুসবারের কর্ণধার আজিম উদ্দিন বলেন, বেলের শরবতের বেশ চাহিদা রয়েছে। ইফতারের আগে অনেকেই বেলের শরবত কেনেন। পাকা বেলও কেনেন। প্রতি গ্লাস বেলের শরবতের দাম ৪০ টাকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১২ লাখ পেরিয়ে শাকিব-বুবলীর ‘বুম বুম’ (ভিডিও)

বিনোদন ডেস্ক: ইউটিউবে গত ৮ জুন প্রকাশ পেয়েছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও বুবলী অভিনীত “সুপার হিরো” ছবির প্রথম গান “বুম বুম”।

গানটি প্রকাশের তিন দিনের মধ্যেই ১২ লক্ষ বার ইউটিউবে গানটি দেখেছেন দর্শকরা। অস্ট্রেলিয়ায় চিত্রায়িত গানটিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন শাকিব খান- বুবলী। দৃষ্টিনন্দন এই গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন চেন্নাইয়ের প্রফুল্ল পারিদা। সুদীপ কুমার দীপের লেখা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রতীক হাসান ও শওরীন।

বহুল প্রতীক্ষিত ছবিটি ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “হার্টবিট প্রোডাকশন হাউজ” প্রযোজিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা আশিকুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপ ফুটবল; প্রধান ৮ টি দলের শক্তি ও দুর্বলতা

খেলার খবর: বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে ফেভারিট হিসাবে যে কয়টি দলের নাম মিডিয়াতে ঘুরেফিরে উচ্চারিত হচ্ছে, সেগুলো হলো : ব্রাজিল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, স্পেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পর্তুগাল এবং ইংল্যান্ড।
বিবিসির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মিহির বোস সেই ফেভারিটের তালিকায় ডেনমার্কের নাম যোগ করতে চান। এমনকি ইংল্যান্ডেরও আগে ডেনমার্কের নাম রাখার পক্ষে তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ একেএম মারুফুল হক মনে করছেন, ইংল্যান্ড এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান দাবিদার। তিনি এমনকি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার চেয়েও ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন।
তবে এই দুই বিশ্লেষকেরই এক নম্বর ফেভারিট- বর্তমান শিরোপাধারী জার্মানি।

জার্মানি:
যে কোনো বড় টুর্নামেন্টে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সাম্প্রতিক সাফল্যের ইতিহাস অসামান্য। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জেতার আগের দুবার ইউরোতেই (২০১০ এবং ২০১২) তারা সেমিফাইনালিস্ট ছিল। ২০১৬ তেও তারা সেমিফাইনালে উঠেছে।

মারুফুল হক বলছেন, “জার্মানির বৈশিষ্ট্য হলো সবসময়ই তাদের দলে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার আদর্শ মিশ্রণ থাকে, এবারও তার ব্যতিক্রম নেই”।

তরুণ প্রতিভাবানদের মধ্যে জশুয়া কিমিচ (বায়ার্ন মিউনিখ) এ মুহূর্তে নিজের ক্লাবের শীর্ষ তারকা। সেই সাথে রয়েছেন গতবারের জয়ের নায়ক টনি ক্রুস (রেয়াল মাদ্রিদ), ম্যাট হামেল (বায়ার্ন) টমাস মুলার (বায়ার্ন) এবং মেসুত ওজিল (আর্সেনাল)। আর গোলে ম্যানুয়াল নয়া হলেন (বায়ার্ন) ভরসার অন্য নাম।

মিহির বোস মনে করেন, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের দলটি জার্মানি এবারও প্রায় অক্ষত রেখেছে। “আমি মনে করি এবারও জার্মানি ফাইনাল খেলবে।”

বিশ্বকাপ নিজের কাছে রেখে দেওয়া কঠিন কাজ। তবে বর্তমানের কোনো দল যদি সেই অসাধ্য সাধন করতে পারে, সেটি হবে জার্মানি।

ব্রাজিল:

ব্রাজিল একমাত্র দল যারা প্রতিটি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং পাঁচবার তারা এই কাপ জিতেছে- যে রেকর্ড এখনো কোনো দল ছুঁতে পারেনি। ।

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে নিজের মাঠে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের পরাজয়ের অপমান কাটানোর জন্য মরিয়া হবে ব্রাজিল।

দলে প্রতিভাবানের অভাব নেই। বিশেষ করে তাদের আক্রমণভাগ, অনেক বিশ্লেষকের মতে, সবচেয়ে ভয়াবহ। নেইমার (পিএসজি), ফিলিপে কুটিনিও (বার্সেলোনা), গ্যাব্রিয়েল যেজুজ (ম্যান সিটি) এবং রবার্তো ফার্মিনিও প্রায় অপ্রতিরোধ্য। মধ্যমাঠে রয়েছেন পলিনিও, কাসেমিরো এবং ফার্নান্দিনিও।

মারুফুল হক বলছেন – “ব্রাজিলের বর্তমান মধ্যমাঠে অসামান্য ক্রিয়েটিভিটি রয়েছে। বিরোধী পক্ষের শক্তি বুঝে তারা তাদের ফরমেশন যখন তখন বদলে ফেলতে পারে।”

মিহির বোস বলছেন, “ব্রাজিলের সমস্যা এখন মনস্তাত্ত্বিক…নিজের মাঠে সাত গোল খাওয়ার ধাক্কা তারা কাটিয়ে উঠছে কিনা , সেটা দেখতে হবে।”

ব্রাজিল শক্ত দল, কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খুবই ভালো খেলেছে, কিন্তু ব্রাজিল কাপ জিতবে কিনা তা নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দিহান।

আর্জেন্টিনা:

লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার মধ্যমনি, কিন্তু তিনি ছাড়াও দলে রয়েছে মার্কোস রোহো (ম্যান ইউ), গোনজালো হিগুইন (ইয়ুভেন্টাস), ডি মারিয়া (পিএসজি) এবং আগুয়েরোর (ম্যান সিটি) মত প্রতিভাবান তারকারা।

তারপরও কাপের দাবিদার হিসাবে মিহির বোস খুব একটা ভরসা করছেন না আর্জেন্টিনার ওপর। “এটা ঠিক যে আর্জেন্টিনা শুধু মেসি নয়, কিন্তু কেন যেন এই তারকারা ইউরোপে তাদের ক্লাবের হয়ে যেভাবে গোল করতে পারে, আর্জেন্টিনার জন্য তেমন করতে পারেনা।”

ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি তাদের প্রতিটি ম্যাচ দেখেছিলাম। মনে হতো মেসি না খলতে না পারলে অন্যরাও খেলতে পারেনা…অতিমাত্রায় মেসি নির্ভর হয়ে পড়েছে তারা, কিন্তু একজন মেসির পক্ষে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব নয়।”

বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাসে নাম লেখানোর শেষ সুযোগ এটা মেসির জন্য। সুতরাং জান-প্রাণ দিয়ে তিনি চেষ্টা করবেন, সন্দেহ নেই।

স্পেন:

২০১০ সালের বিশ্বকাপ এবং তার আগে পরে দু-দুটো ইউরো জিতে ফুটবল বিশ্বে ঝড় তুলেছিল স্পেন।

কিন্তু তারপর থেকে সাফল্যের খরা চলছে তাদের। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫-১ গোলে হেরে গ্রুপ পর্যায় থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল স্পেনকে।

তবে এবার স্পেন এমনই শক্ত দল যে ফ্যাব্রেগাজের মত ফুটবলারেরও দলে জায়গা হয়নি।

মিহির বোস বলছেন, “স্পেন আমার ফেভারিট দল, তাদের গোলকিপার ডেভিড দ্য হায়া বিশ্বের এক নম্বর। দারুণ সব প্লেয়ার দলে।”

স্পেন দলে রেয়াল এবং বার্সেলোনার একগাদা তারকার ভিড় – জেরার্ড পিকে (বার্সা), জোডি আলভা (রেয়াল) ড্যানি কারভাল (রেয়াল) সের্জিও রামোস (রেয়াল) এবং এনিয়েস্তা (বার্সা)।

মারুফুল হক বলছেন – বার্সা যে টোটাল ফুটবল খেলে, স্পেনের জাতীয় দলের খেলাতেও সেই একইরকম খেলা চোখে পড়ে। “দুর্দান্ত দল, নি:সন্দেহে কাপের অন্যতম দাবিদার তারা।”

বেলজিয়াম:

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ছিল বেলজিয়াম, কিন্তু সমর্থকদের হতাশ করেছিলো তারা।

মারুফুল হক মনে করেন গত বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতার ঘাটতি কাটিয়ে উঠেছে বেলজিয়াম। “গত ইউরোতে তাদের ম্যাচগুলো দেখেছি, বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং ম্যাচগুলো দেখেছি, অনেক অভিজ্ঞ হয়ে গেছে বেলজিয়াম।”

বেলজিয়ামের থিবো কোরতোয়া (চেলসি) বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলকিপার। কেভিন দ্য ব্রুইন বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। ডিফেন্সে রয়েছেন অভিজ্ঞ ভিনসেন্ট কোম্পানি (ম্যান সিটি) এবং ভার্মেলেন (বার্সা)। সম্মুখভাগে এডিন আজার্ড (চেলসি) এবং রোমেরু লুকাকু (ম্যান ইউ)।

মিহির বোস বলছেন, “দারুণ দল বেলজিয়াম, একটাই সমস্যা যে তাদের বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা নেই।”

ফ্রান্স:

কোচ দিদিয়ের ডেসম্পের হাতে এবার একগুচ্ছ অসামান্য প্রতিভা রয়েছে।

গোলে হুগো লোরিস (টটেনহ্যাম), মাঝমাঠে এনগোলো কান্টে (চেলসি), পল পগবা (ম্যান ইউ) এবং আন্তোয়ান গ্রীজম্যান (এ্যাটলেটিকো)। সম্মুখভাগে ক্ষিপ্র গতির ডেমবেলে (বার্সা) এবং এমবাপে (পিএসজি)।

যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য চরম হুমকি তৈরি করবে ফ্রান্স। কিন্তু তারপরও কাপের দাবিদার হিসাবে মিহির বোস খুব একটা ভরসা করতে পারছেন না ফ্রান্সের ওপর।

“নিজের মাঠে তারা ইউরো জিততে পারেনি, জেতা উচিৎ ছিল। তাছাড়া দলের কয়েকজনের বয়স কিছুটা বেশি হয়ে গেছে, সেটা একটা সমস্যা।”

পতুর্গাল:

পর্তুগাল ক্রিস্টিয়ানো রোনান্ডোর দল, কিন্তু তিনি ছাড়াও দলে তুখোড় আরো বেশ কজন খেলোয়াড় রয়েছে – পেপে (বেসিকটাস), রাফায়েল (ডর্টমুন্ড), বার্নাডো সিলভা (সিটি), অন্দ্রে সিলভা (এসি মিলান)।

“পর্তুগালকে আপনি কখনই খাটো করে দেখবেন না। যেভাবে তারা ২০১৬ সালের ইউরো জিতলো, তা অবিশ্বাস্য,” বলছেন মিহির বোস।

“পর্তুগাল দলে টিম স্পিরিটের একটা অভাব ছিল। ২০০৪ সালের বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল নিয়েও তারা গ্রীসের কাছে হেরে গিয়েছিল। ইউরোতে তাদের মধ্যে বেশ টিম স্পিরিট দেখা গেছে।”

ইংল্যান্ড:

তরুণ বেশ কজন প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে ইংল্যান্ড দলে যারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে এবার প্রচুর গোল পেয়েছেন – হ্যারি কেইন (টটেনহ্যাম) ডেলি আলি (টটেনহ্যাম), রাহিম স্টার্লিং (সিটি), র‍্যাশফোর্ড (ম্যান ইউ), জেমি ভার্ডি (লেস্টার)।

মারুফুল হকের কাছে ইংল্যান্ড এবার অন্যতম ফেভারিট দল। “এত ভালো ফরোয়ার্ড নিয়ে ইংল্যান্ড বহুদিন বিশ্বকাপে যায়নি। ইংল্যান্ড সবসময়ই ভালো দল, তবে কেন যেন গোল পেতে তাদের অসুবিধে হয়, এবার মনে হয় তারা অনেক গোল পাবে।”

তবে মিহির বোস অতটা ভরসা করছেন না। “অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে দলে, বিশ্বকাপের জন্য সেটা বিরাট একটি বিষয়।”

তাছাড়া, তিনি মনে করেন, “গোলকিপার বড় সমস্যা হতে পারে। ইংল্যান্ড দলে সবসময় একজন ভালো অভিজ্ঞ গোলকিপার থাকতো, সেটা এবার নেই।”

মিহির বোস এবং মারুফুল হক দুজনেই মনে করেন, রাশিয়ায় ফাইনাল খেলবে দুই ইউরোপিয়ান দল।

মিহির বোসের মতে – ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের সেই যাদু এখন আর তেমন নেই। “ইউরোপ এখন তাদের শক্তির ফুটবলের সাথে ল্যাটিন যাদুর সংমিশ্রণ ঘটিয়ে অনেক ভালো ফুটবল খেলছে, সে কারণে আফ্রিকায় গিয়ে শিরোপা জিতেছে স্পেন, ব্রাজিলে গিয়ে জয়ী হয়ে এসেছে জার্মানি।”

মিহির বোসের ধারণা – ফাইনালে খেলবে স্পেন এবং জার্মানি। মারুফুল হক মনে করেন, ফাইনালে জার্মানির প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশের সুপারিশ

দেশের খবর: পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারির সুপারিশ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ৭ জুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী কমিশনে তার প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেন।

দুদক সূত্র বলছে, তার সুপারিশের আলোকে শিগগিরই ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়া হচ্ছে। ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে ৩ মে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই দাবি করলেও দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। তবে এ ব্যাপারে দুদকের ওই অনুসন্ধান কর্মকর্তা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

পরে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি ফেব্রুয়ারিতে তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে বহু কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে। সেসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এরই মধ্যে দুদক জানতে পারে, ডিআইজি মিজান তার এক ভাগ্নের নামে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুই হাজার বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনে ভাড়া দিয়েছেন। তার এক ভাইয়ের নামে বেইলি রোডে কিনেছেন আলিশান ফ্ল্যাট। উত্তরায় স্ত্রীর নামে আছে ফ্ল্যাট ও প্লট। হবিগঞ্জে রয়েছে তার বাগানবাড়ি।

এভাবে তার সম্পদের একটা লম্বা তালিকা পায় দুদক। তিনি তার দুই সন্তানের পেছনে কানাডায় লেখাপড়ার খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৪-৫ লাখ টাকা ব্যয় করেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে ৩ মে তাকে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জানা গেছে, তিনি দুদকের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। যদিও তিনি দুদক কর্মকর্তাদের বলেছেন, তার যা সম্পদ আছে, সবই তার আয়কর নথিতে দেখানো আছে।

ডিআইজি মিজান যে ভাগ্নে ও ভাইয়ের নামে রাজধানীর বেইলি রোড ও সেগুনবাগিচায় সম্পদ গড়েছেন, তাদের দু’জনকেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে মিজানের ভাগ্নে বলেছেন, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির দু’মাস আগে তিনি পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

নিয়োগ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে সেগুনবাগিচায় দুই হাজার বর্গফুটের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব কি না বা ফ্ল্যাট কেনার ২ কোটি টাকার উৎস কী? দুদকের এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। দুদক থেকে তাকে বলা হয়েছে, আপনাকে ২ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার টাকা কে দিয়েছে, তার জবাব দিতে। তিনি সময় নিয়েছেন।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, এনবিআর থেকে ডিআইজি মিজানের আয়কর নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া মিজান ও তার পরিবারের পোষ্যদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা-বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার, বিআরটিএ, রাজউক, রিহ্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অফিসে। তথ্য হাতে আসার পর ডিআইজি মিজান যে হিসাব দাখিল করবেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে তিনি কোনো তথ্য গোপন করেছেন কিনা।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্তও চলমান রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিলিপাইনে দেড় মাস আটক ১১ বাংলাদেশি নাবিক

দেশের খবর: ভিয়েতনাম থেকে চাল সংগ্রহ করে তা মিন্দানাও দ্বীপে খালাসের সময় বাংলাদেশের ১১ জন নাবিক এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ফিলিপাইনে আটক রয়েছেন। ফিলিপাইনে চাল আমদানি নিষিদ্ধ বলে চীনের মালিকানাধীন জাহাজে কর্মরত বাংলাদেশের নাবিকদের আটক করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রোববার জানান, গত ১৫ এপ্রিল ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে চাল খালাসের সময় সে দেশের নৌবাহিনী জাহাজটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জাহাজটিকে ওই দ্বীপের জামবোয়াঙ্গা বন্দরে আটক রাখা হয়।

ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের নাবিকেরা এখন ওই জাহাজে রয়েছেন। তাঁদের মুক্তির জন্য চেষ্টা চলছে। বিষয়টি এখন শুল্ক ও অভিবাসনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। কারণ বাংলাদেশের ১১ নাবিকের কাছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তাঁরা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। নাবিকেরা বলছেন, তাঁদের কাগজপত্র জাহাজের ক্যাপ্টেনের কাছে ছিল। নাবিকেরা এটাও বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করা ছাড়া, তাদের কোনো দায় নেই।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে।

দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দূতাবাস তাঁদের জন্য খাবার, পানিসহ ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ করছে।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্যাংক খাতে লুটপাট; সংসদে তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী

দেশের খবর: ব্যাংকিং খাতে অব্যবস্থাপনা ও লুটপাট নিয়ে রোববার সংসদে তোপের মুখে পড়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ব্যাংক লুটকারী ও অর্থ পাচারকারীদের ধরতে না পারায় এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে না পারায় সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা তার কঠোর সমালোচনা করেন।

জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি অধ্যাপক আলী আশরাফ।

এরপর আলোচনায় তাল মেলান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ, স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজীসহ বেশ কয়েকজন এমপি।

অধ্যাপক আলী আশরাফ শুরুতে সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের আবাদি জমি কমেছে, কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা অভূতপূর্ব সাফল্য। তা ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে।’ তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিরাট বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছি। সাধারণ মানুষ আজ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩২ রকমের ওষুধ ফ্রি পাচ্ছেন। এখন আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু শৈথিল্য আছে। সেগুলো দূর করতে হবে।’

এর পরই তিনি ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা দরকার। এ খাতে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কিছু মানুষ ব্যাংকিং খাতে লুটপাট করবে, বিদেশে অর্থ পাচার করবে, এটা হতে পারে না। ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের আপনি ধরেন।

কুমিল্লার সংসদ সদস্য সাবেক এই ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘ব্যাংকের লুটপাট থেকে বেরিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে না।’

এ ছাড়া তিনি বলেন, করের আওতা বাড়াতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কর অফিস করেন। বিমান চলছে না, বিদেশিরা এসে বিমানে উঠলে মনে করে যে কোনো সময় ভেঙে পড়বে। সর্বত্র ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা চলছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে যে লুটপাট হয়েছে তা ভারতের সমনাথ মন্দিরের লুটপাটের সঙ্গে তুলনা করা যায়। তখন সমনাথ মন্দির আক্রমণ করে ২০ বিলিয়ন ডলার লুটপাট করা হয়েছিল। বাংলাদেশে ব্যাংক লুটপাটের আগ পর্যন্ত এত বড় লুটপাটের ঘটনা আর ঘটেনি। সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে এই ব্যাংক মালিক লুটপাটকারীরা দেশে থাকবে না, তাদের খুঁজেও পাবেন না। তারা বিদেশে পালিয়ে যাবে, এরই মধ্যে ভিসা লাগিয়ে ফেলেছে।’

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খেলাপি কারা? এটা কি আপনি জানেন না? কেন তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন না। এরা ২৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এসব ভুয়া বাজেট দিয়ে কাজ হবে না। এই বাজেটের মধ্যে কিছু নেই। ধনীকে খুশি, গরিবকে নিঃস্ব আর ব্যাংক ডাকাতদের উৎসাহিত করেছেন এই বাজেটে।’

ব্যাংকে আমানত রাখতে মানুষ এখন ভয় পায় মন্তব্য করে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা রাখে মানুষ নিরাপত্তার জন্য। মানুষ ভীত হয়ে গেছে। টাকা পাচার হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপিরা টাকা দেশেও রাখে না, বিদেশে পাচার করে। এরা ব্যাংকের কিছু আর রাখবে না। যারা ব্যাংকে লুটপাট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লুটপাটকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য কী করা যেতে পারে, সেটা অর্থমন্ত্রীকে ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে এই টাকা আদায়ে কী করা যায় করেন, তাহলে জনগণ আস্থা ফিরে পাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনে চলছে অনিয়ম। বেতন বাড়ানো হল, তারপরও কর্মকর্তারা ঘুষ খায়। তারা বেতন নিলে ঘুষ বন্ধ করতে হবে। আর ঘুষ নিলে বেতন বন্ধ করতে হবে। একসঙ্গে দুটো চলবে না।’

সোহরাব উদ্দিন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সৃষ্টির দাবি করে বলেন, ‘এ টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। যদি এটি সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়বে।’

এরপর একে একে জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর, পীর ফজলুর রহমানসহ অন্য এমপিরা তাদের বক্তব্যে ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লুটপাটকারীদের ধরে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এক প্রকার না খেয়ে আছে। বেসরকারি খাত থেকে পাওয়া সামান্য অর্থ দিয়ে তাদের দিন চলে। শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে এ বিষয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

বিদ্যুৎ খাতের অভ‚তপূর্ব উন্নয়নে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে সরকার ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর সেটা হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার লক্ষ্যে দ্রুতই পৌঁছা যাবে।

নূরুল ইসলাম ওমর বলেন, প্রত্যেকটি ভালো কাজের সঙ্গে একটি খারাপ বিষয় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণে তেমনটি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারি সংস্থাগুলো নিয়ম মানছে না। অনেকেই বরাদ্দের টাকা খরচ করতে পারেন না। কিন্তু টাকা ধরে রাখেন। খরচ না করতে পারলে টাকা ফেরত দিন।

নূরুল ইসলাম আরও বলেন, ব্যাপক পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যাদের কোনো কাজ নেই। আবার আমার বগুড়া জেলা পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে সচিব নেই। তাহলে এ প্রতিষ্ঠানটি চলবে কীভাবে? যেসব মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হচ্ছে, তাদের সম্পূরক বাজেট অনুমোদন না দেয়ার দাবি জানান তিনি।

বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পীর ফজলুর রহমান বলেন, বড় বাজেট নিয়ে আত্মতুষ্টির কিছু নেই। কারণ গড় মাথাপিছু আয় ৭০০ ডলার থেকে বেড়ে এক হাজার ৭০০ ডলার হলেও সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষের আয় কত? তাদের আয় কমেছে। মানুষে মানুষে বৈষম্য বেড়েছে। অনেকেই সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ধনী ও বিত্তশালীরা ফুলেফেঁপে বড় হচ্ছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি তদন্তে ব্যাংক লুটপাটকারীদের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বাজেট বরাদ্দের সুবিধা প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌঁছাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তিতে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান সরকারি দলের সদস্য সোহরাব উদ্দিন। তিনি ব্যাংক খাতের লুটপাটকারীদের শাস্তির পাশাপাশি মানি লন্ডারিং বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পর্ন মুভির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সিউলের রাস্তায় হাজারো নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পর্ন মুভির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের রাস্তায় নেমেছে প্রায় ৩০ হাজার নারী।

দেশটিতে পর্ন ব্যবসায়ীদের দাপটে বিষিয়ে উঠেছে নারীদের জীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। কেউ জানে না কোথায় বসানো হয়েছে গোপন ক্যামেরা। টয়লেট থেকে শুরু করে পাবলিক যানবাহন সর্বত্রই পর্ন ব্যবসায়ীরা গোপনে ক্যামেরা পেতে রেখেছেন। এরই প্রতিবাদে ১০ জুন রোববার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানায় নারীরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির ইতিহাসে নারীদের এত বিশাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ আর কখনও হয় নি।

বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তারা রাস্তাঘাটে কোথাও নিরাপদ অনুভব করতে পারেন না। সর্বত্রই গোপন ক্যামেরার ভয়ে থাকতে হয়। কিন্তু পুলিশ এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। পর্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ক্যামেরায় ছবি ও ভিডিও ধারণের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি যারা তা ডাউনলোড করেন এবং দেখেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন নারী বিক্ষোভকারীরা।

তারা বলছেন, অনেক নারীই টয়লেটে যাওয়ার সময় নানা উপায়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন সেখানে ক্যামেরা বসানো আছে কিনা। কিন্তু এরপরও ক্যামেরা বিষাক্ত ছোবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারছেন না। গোপনে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিপুল অংকের অর্থ আয় করছে।

হাউন জুং নামের একজন প্রতিবাদী মহিলা বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন গোপন ক্যামেরা বসানো সিগারেটের প্যাকেট, চাবির রিং, পানির বোতল ও চশমা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest