সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল তিন ভাই-বোনের

দেশের খবর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের কাঠালবাড়িয়া গ্রামে পানিতে ডুবে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত মিম (৪), জিমি (৭) ও সাজ্জাদ (৫) চাচাতো ভাইবোন। মিম কাঠালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীতে ও জিমি ও সাজ্জাদ সদরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বাশার মাতুব্বর এর মেয়ে মিম (৪) ও বাশার মাতুব্বরের ছোট ভাই জামের আলী মাতুব্বরের মেয়ে জিমি (৭) ও ছেলে সাজ্জাদ (৫) বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে মিম পানিতে তলিয়ে গেলে জিমি ও সাজ্জাদ তাকে তুলতে গেলে তিন জনই পানিতে ডুবে যায়। পরে বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে সদরপুরর আটরশি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণ করেন। নিহত তিন জনই আপন চাচাতো ভাই বোন।

নিহত মিম এর চাচা এনামুল মাতুব্বর জানান, দুপুর ১টার দিকে মিম, জিমি ও সাজ্জাদ বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামলে পানিতে ডুবে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি জানান, জিমি ও সাজ্জাদকে নিয়ে তার পিতা জামের আলী সদরপুরে বসবাস করেন। আজ রবিবার কাঠালবাড়িয়া মসজিদে পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন জামের আলী মাতুব্বর ও তার ভাই বাশার মাতুব্বর। ইফতার মাহফিলের কারণে শনিবার সদরপুর থেকে কাঠালবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে আসেন জামের আলী। বাশার মাতুব্বর কাঠালবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোল ২০ লক্ষ টাকার ইমিটেশন জুয়েলারি আটক

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: শার্শা সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইমিটেশন জুয়েলারী জব্দ করেছে ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানাযায়, ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুল হক, পিবিজিএম জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১০ জুন ২০১৮ তারিখ বিকালে আমড়াখালী চেকপোষ্টে কর্মরত নায়েব সুবেদার মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বেনাপোল হতে যশোর গামী লোকাল বাস তল্লাশী করে সীটের নিচে হতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ০২ টি বস্তার মধ্যে থাকা বিপুল পরিমাণ ইমিটেশন জুয়েলারী আটক করা হয় যার আনুমানিক সিজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।
আটককৃত ইমিটেশন জুয়েলারী গুলো বেনাপোল কাস্টমস এ জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রস্তুতি সারলো ব্রাজিল

খেলার খবর: জার্মানিকে গত ২ জুন প্রস্তুতি ম্যাচে ২-১ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। আর সেই অস্ট্রিয়া এবার ব্রাজিলের কাছে কোনও পাত্তাই পেল না। নেইমার, জেসুস ও কৌতিনহোর নৈপুণ্যে অস্ট্রিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এদিন শুরু থেকেই একাদশে ছিলেন ব্রাজিলের প্রাণ ভোমরা নেইমার। পুরো ম্যাচে ব্রাজিল আধিপত্য রাখলেও শুরুতে ম্যাচে অস্ট্রিয়া ছিল চমৎকার। কিন্তু ৩৬ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের দেওয়া প্রথম গোলের পরই খেই হারাতে থাকে অস্ট্রিয়া।

৬৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। দুর্দান্ত এই গোলে নেইমার জানান দিলেন বিশ্বকাপের জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। এই গোলের সুবাদে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রোমারিওর সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। দেশের হয়ে দুই জনেরই গোল ৫৫টি।

বদলি নামার দুই মিনিটের মধ্যে কৌতিনহোর গোলে অবদান রাখেন ফিরমিনো। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড কৌতিনিয়ো। ৬৯তম মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।

আগামী ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করবে ব্রাজিল। ‘ই’ গ্রুপে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।

https://www.youtube.com/watch?v=4MXH9EiTIs8

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ভেলকিবাজি; জ্বলে না-জ্বলে না, রাস্তার সোলার বাতি জ্বলে না রে!

নিজস্ব প্রতিনিধি : জ্বলে না, জ্বলে না, জ্বলে না রে, রাস্তার সোলার বাতি জ্বলে না রে…। গানের সুরে অনেকেই এমন কথা বলছেন। কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রদত্ত সোলারের সড়ক বাতি এতটাই নিন্মমানের যে সেগুলো স্থাপনের কিছুদিনের মধ্যে বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বর্তমান সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ ও জনসেবা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে কতিপয় অর্থলোভি ব্যক্তিদের ব্যক্তিস্বার্থের কারণে।
অনেকে অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন- কলারোয়ায় ‘স্যোলার সড়ক বাতি’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রায় সব ক’টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩টি করে সোলার বাতি দেয়া হয়েছে জনগণের সুবিধার্থে। রাতের অন্ধকারে আলো জ্বালাতে আর সর্বসাধারণের জনকল্যাণে বর্তমান সরকার এ ব্যবস্থাটি করেন। কিন্তু বিধিবাম, সেগুলো স্থাপনের কিছু দিনের মধ্যেই বেশির ভাগ সড়কের সোলার বাতি গুলোতে আর জ্বলে না। কিছু বাতি ধিকধিক করে জ্বলে আর নিভে যায়। ফলে রাতের আধারটি আরো বিরক্তিকর করে তুলেছে স্থানীয়দের।
অথচ বর্তমান সরকারের জনকল্যানমূলক মহতি এ কাজটি সুনাম বয়ে না এনে বরং দুর্নাম হচ্ছে কতিপয় স্বার্থনেষি ব্যক্তিদের কারণে। অথচ যেনো দেখার কেউ নেই।
এটা নতুন নয়, এর আগেও পাঠকপ্রিয় ‘কলারোয়া নিউজে’ স্ট্রিটলাইটের ভেলকিবাজী নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।
জানা গেছে- এ প্রকল্পে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলায় ১কোটি ৮৬লক্ষ ১৭হাজার ২শ ৪০টাকার বাজেট হয়, যা ২/১ মাসের মধ্যেই অচাল হয়ে পড়ে। এই প্রকল্পটির কাজ করেন ম্যাক্স কোম্পানী নামে একটি প্রতিষ্ঠান। নিন্মমানের ব্যাটারী ও স্যোলার সিস্টেমে নিন্মমানের পন্যসামগ্রি দেয়ায় সড়ক বাতি অচল হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভাতেও জানান। তবে তাতেও কোন কাজ হয়নি।
অথচ এবারও একই প্রকল্প ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এনজিও সংস্থা ব্রীজ বাংলাদেশ নামে নতুন করে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩শ ৫৭ টাকার সড়ক বাতি প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কার্যাদেশের মাধ্যমে ৫০% চুক্তি করে অগ্রীম বিল তুলতে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
সাধারণ মানুষেরা বলছেন- ‘এ কেমন প্রকল্প, যা কাজ না করে অগ্রীম বিল উঠানো যায়? যা সরকারের ভাব মুর্তি নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়।’
বিষয়টি সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।
এদিকে, রবিবার ১০জুন সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘আমি আজ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলারোয়াকে – আমার একই অভিযোগের বিষয় জানিয়েছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় যুবলীগের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০জুন, ২৪ রমযান রবিবার বিকেলে কলারোয়া সরকারী পাইলট হাইস্কুল অডিটোরিয়ামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম মোরশেদ আলী ও অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, পৌর আ.লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ কালাম, কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ভূট্টোলাল গাইন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, দেয়াড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল মান্নান, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি রুবেল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সম্রাট, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাঈদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জর্জ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেল প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎ অফিসের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (আর ই) হাবিবুর, সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও আলালের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ বিল না পাঠিয়ে ইচ্ছামত সংযোগ বিচ্ছিন্ন, মিটার সিল না করেও একটি পত্রে কৌশলে স্বাক্ষর নেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি শহরের কাটিয়া এলাকার গোলাম কুদ্দুস এর স্ত্রী সেলিনা কুদ্দুস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালিন আর ই এর মাধ্যমে তার স্বামীর নামে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়। সংযোগ নেয়ার দীর্ঘ ১০ মাস পর ২০১৩ সালে প্রথম বার একসাথে ৮০০ ইউনিটের বিল দেয়া হয়। বিলটি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে আর ই সাহেব সেটি ফেরত নিয়ে ৪০০ ইউনিটের বিল করে দেন। পর পর দেয়া ৪০০ ইউনিটের ২টি বিলের একটিতে ১৮১৮ টাকা এবং অপরটিতে ২০২৬ টাকা দেন। এভাবে আমার বিদ্যুৎ বিল গরমিল হতে থাকলে ২০১৭ সালের ১৬ আগষ্ট একটি আবেদন করলে ২৬ সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাহ ফারুকের নেতৃত্বে ৬/৭ জন তদন্তে আসেন। এর পর অতিরিক্ত বিল আদায়ের বিষয়ে তৎকালিন আর ই খালিদুর রহমানের কাছে গেলে তিনি কত টাকা পাবেন জানিয়ে একটি আবেদন করতে বলেন। সে অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারী আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমান আর,ই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬/৭ জন গত ৭ এপ্রিল আমার বাড়িতে যান। এসময় কোন সমস্যা নেই জানিয়ে শফি সাহেবকে সিল করতে বলে আমাকে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বললে আমি সরল বিশ্বাসে ওই কাগজে স্বাক্ষর করি। এরপর আমার মিটার ১১% স্লোা উল্লেখ করে মিটার বদলানোর জন্য গত ২২ মে আমাকে একটি চিঠি দেন আর,ই। তখন বাড়িতে থাকা কাগজটি বের করে দেখি তারা আমাকে মিথ্যে বলে ওই কাগজে সহি করে নিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়ে গত ৩ জুন আমার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ৪ জুন মিটার সিল করার জন্য পাওয়ার হাউজে একটি আবেদন জমা দিতে গেলে সহকারি আলাল আমার আবেদনটি গ্রহণে বাধা দেন। এসময় আর ই হাবিবুর রহমানে কাছে গেলে তিনি বলেন আপনার আবদেন নেয়া হবে না। লাইন কাটা হয়েছে। আগে টাকা পরিশোধ করেন। বিল না দিলে টাকা কিভাবে দিব জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিল দেয়া হবে এখন চলে যান। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কথামত ফের ৫ জুন অফিসে গেলে আর ই হাবিবুর রহমান আমার সাথে অশোভন আচারন করে তার নামে মামলা করতে বলেন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অকারনে আমাকে হয়রানি করছে। বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় রোজার সময়ে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। তিনি দ্রুত তার বাড়িতে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান এবং বিদ্যুৎ অফিসের ভোগান্তি হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যাতে আইনি সহায়তা পেতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নবগঠিত কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কলারোয়া উপজেলা শাখার নব গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ এবং অনলাইন নিউজে মাদক সেবনকারী অভিযোগ সত্যতা যাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে তিন সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা হলো- আসিফ শাহাবাজ খান, শাহিম আলম সাদ্দাম ও ফজলে রাব্বি শাওন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভাসুরের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বড় ভাই কর্তৃক ছোট ভাইয়ের চলাচলের রাস্তা আটকে ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উত্তরকাটিয়া এলাকার গৌতম কুমার চন্দ্রের স্ত্রী কৃষ্ণারাণী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বড় ভাসুর সন্তোষ কুমার একই দলিল মুলে জমি ক্রয় করে বাড়ী ঘর তৈরি করে বসবাস করি। বিগত প্রায় ৫ বছর পূর্বে তার বসবাসের জায়গা বিক্রয় করে অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় তিনি বলেন ১০লক্ষ টাকা দাও, বাকী টাকা হিসাব অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করার সময় দিলে হবে। আমার স্বামী তার বড় ভাই এর কথা বিশ্বাস করে ১০ লক্ষ টাকা গত ইং ২৯/১২/১৩ সালে প্রদান করে। টাকা গ্রহণের ৬ মাস পরে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিবে মর্মে কথা থাকলেও জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে এবং উল্টো আমাদের চলাচলের রাস্তাটুকু আটকে দিয়েছে এবং আমার স্বামীর নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আদালত এই মামলাগুলো তদন্ত পূর্বক মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খারিজ করে দেন। শুধু তাই না তারপুত্র একজন মাদক সেবনকারী এবং চরিত্রহীন ইতোপূর্বে বাগআচড়ায় তাকে নারী ঘটিত বিষয়ে সেখানকার লোকজন তাকে মারধর করে বেধে রাখে। এধরনের ‘কুকৃতি প্রায়ই ঘটিয়ে থাকে। সে সব সময় নেশা গ্রস্থ হয়ে থাকে। প্রায়ই সময় আমার ভাসুরের পুত্র আমাকে অশুভ ও অশালিন কথাবার্তা বলতে থাকে। আমি লোকজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পূর্বে বাড়ী ছিলো যশোর জেলার সোনকুড় গ্রামে। আমার স্বামী ১৯৮২ সালে এখানে চলে আসে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে আমার ভাসুর ঐখানে থেকে গ্রামবাসীর সাথে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা অবস্থায় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ১৯৮৮ সালে আমার স্বামী কাছে এসে আশ্রয় নেয়। এখনে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। গত ১/৬/১৮ তারিখে আমার স্বামী বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় আমার ভাসুর সন্তোষ ও তার ছেলে দিপংকর আমার স্বামীকে মারপিট করে এবং তাকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে বলে, তুই বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর কপালে কি আছে তখনি বুঝিয়ে দেবো। এছাড়া আমাকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা বর্তমানে তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তহীনতায় দিনাতিপাত করছি। এবিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest