সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ ৬০ হাজার টাকা

ন্যাশনাল ডেস্ক: আজ যে শিশু জন্ম নেবে, তার মাথায় ৬০ হাজার টাকা ঋণের দায় চাপবে। কারণ বর্তমানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু এ পরিমাণ ঋণ রয়েছে। গত এক বছরে যা বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। আগামী এক বছরে তা আরও সাড়ে ৭ হাজার টাকা বাড়বে। ফলে ওই সময়ে মাথাপিছু ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা। তাই আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখেছে সরকার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কর আদায় করতে না পারায় সরকারকে বেশি ঋণের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রতিবছর দেশীয় উৎস থেকে যে হারে ঋণ নিচ্ছে, তা অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার জন্য ইতিবাচক নয়। কারণ সুদের হার বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে। তিনি বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে কর আদায়ের হার অত্যন্ত কম। বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কর আদায় ১০ শতাংশের কম। অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে হলে জিডিপির তুলনায় কর আদায় অন্তত ১৫-১৬ শতাংশ থাকা উচিত। তিনি বলেন, করের হার বাড়াতে না পারলে ঋণ কমবে না। তিনি আরও বলেন, ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটানো ভালো পদক্ষেপ নয়। এতে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ৮৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ৮ লাখ ৬২ হাজার ২২৪ কোটি এবং সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত মিলিয়ে ৯৩ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া এ পরিমাণ ঋণ জিডিপির প্রায় ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৭ লাখ। এ হিসাবে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ ৬০ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫১ হাজার ৭৫৫ টাকা। এ হিসাবে এক বছরে বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। এরপর আগামী অর্থবছরে আরও ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে বিদেশি ঋণ ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে। ফলে ঋণের স্থিতি আরও ৭ হাজার ৫০০ টাকা বাড়বে। এ ঋণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কারণ সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে যে ঋণ নেয়া হয়, তার বিপরীতে সরকারকে বছরে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুনতে হচ্ছে। এ কারণে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধে ৫১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার। যা দুটি পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের সমান। এ ক্ষেত্রে ঋণ কমলে এ টাকা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যেত।

এ ব্যাপারে মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ ঋণ অনেক ব্যয়বহুল। সেই ঋণের একটা মোটা অংশ যদি হয় সঞ্চয়পত্র, তাহলে তা আরও ব্যয়বহুল। সরকার ব্যয়বহুল ঋণ বেশি নিচ্ছে, এর অর্থই হচ্ছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো অগ্রাধিকার খাতগুলোয় সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ রাখতে পারছে না।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার বর্তমানে যে ঋণ নিচ্ছে তার ৬০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ উৎসের। এতে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ঋণনির্ভরতা কমানোর জন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজস্ব খাতে বিভিন্ন সংস্কার জরুরি।

পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, সরকার ঠিকমতো ঋণ ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না বলেই এর দায় নিতে হচ্ছে জনগণকে। তুলনামূলকভাবে বিদেশি ঋণ অনেক সাশ্রয়ী। কিন্তু সরকার সহজ পথ হিসেবে বেছে নেয় বেশি সুদের অভ্যন্তরীণ উৎসকে। এতে আর্থিক খাতে চাপ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে মুদ্রা পরিস্থিতি ইতিবাচক অবস্থায় নেই। ব্যাংকের আমানতের চেয়ে জনগণের হাতে টাকা বেশি বাড়ছে। বর্তমানে দেশে ব্যাপক (এম২) মুদ্রার পরিমাণ ১০ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে মেয়াদি আমানত ৮ লাখ ২৫ হাজার কোটি, তলবি আমানত ৯৮ হাজার ২০৭ কোটি এবং ব্যাংকের বাইরে জনগণের হাতে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা।
সূত্র: যুগান্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪, আহত ৬ শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান বিক্ষোভ দমনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গ্রেট রিটার্ন মার্চ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর গতকাল শুক্রবারও (৮ জুন, ২০১৮) বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। এদিন ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সীমান্ত বেষ্টনীর কাছে বিক্ষোভ করতে গিয়ে এদিন আহত হয়েছে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকেই ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। এবারের ভূমি দিবসের বিক্ষোভে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে ১৪ মার্চ জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনকে কেন্দ্র করে গাজা উপত্যকায় নেমে আসে রক্তস্রোত। এই একদিনেই গুলি করে … ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্রেট রিটার্ন মার্চ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরও তাই অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শুক্রবার বিক্ষোভের সময় রক্তাক্ত হয় পূর্ব গাজা উপত্যকা।গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, সীমান্ত বেষ্টনীর কাছে বিক্ষোভের সময় তিনজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যাকার খান ইউনিসে হাইথাম আল-জামাল নামে এক ১৫ বছরের কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। খবরে আরও বলা হয়, দক্ষিণ গাজায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জিয়াদ জাদাল্লাহ বুরেইম নামে আরেকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া গাজার জাবালিয়া শহরের পূর্বদিকে বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ইমাদ নাবিল আবু দারাবি নামে আরেক যুবক নিহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, আহত ৬ শতাধিক মানুষের মধ্যে ৯২ জন মারণাস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৬ শিশু ও ১৪ নারী রয়েছে। মারণাস্ত্রের আঘাতে আহতদের বেশিরভাগেরই অবস্থা গুরুতর। বাকিরা আহত হয়েছেন টিয়ার সেলে।

গাজা উপত্যকা থেকে আল জাজিরা প্রতিবেদক ইমরান খান বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, তারা দুইভাবে এটা ব্যবহার করছে। প্রথমত তারা গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের আশ্রয় নেয়। ড্রোন ব্যবহার করে টিয়ারগ্যাস ছড়িয়ে দেওয়ার পর মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করে তারা।
বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনি ইমরান জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরাও এসব ড্রোন মোকাবিলার উপায় বের করে ফেলেছে। তারা ঘুড়ির ফাঁদে ড্রোনগুলোকে জড়িয়ে আটকে ফেলতে পারছে। ইতোমধ্যে তারা একটি ড্রোনকে নিচেও নামিয়ে ফেলেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি আরবকে ২-১ গোলে হারালো জার্মানি

খেলার খবর: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির ২-১ গোলে হেরেছে সৌদি আরব। শুক্রবার রাতে লেভারকুশনে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে হেরে যায় সৌদি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে ম্যাচ।

জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হোমেলস সৌদি আরবের মোহাম্মদ আল সাহলাউইসের জার্সিতে টেনে ধরে তাকে ফেলে দেয়। রেফারির চোখ ফাঁকি দেয়ায় ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে যায় জার্মানরা।

রাশিয়ায় যাওয়ার আগে বায়ার লেভারকুসেনের মাঠ বে অ্যারেনায় শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জার্মানির সমর্থকরা নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ তাহলে এত চিন্তার কী আছে? হেসেখেলেই জয় এসে যাবে। কারণ, ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ম্যাচে সৌদিকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল জার্মানরা। কিন্তু আজ আর সেই সৌদি নেই। অনেকটা বদলে গেছে। ফুটবলে নিজেদের যে শক্তিমত্তা বাড়িয়েছে তার প্রমাণ রেখেছে মাঠে।

এর আগে সৌদি আরব পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে। চিলির সাবেক কোচ হুয়ান অ্যান্তোনিও পিজ্জি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সেরা ছন্দে আছে ফুটবলাররা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়ায় বিমান হামলায় নিহত ৪৪, আহত ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইদলিব প্রদেশে দেশটির সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের বসবাস। সেখানে একটি গ্রামে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সিরিয়ায় একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ তথ্য জানায়।

এ ব্যাপারে ব্রিটেনভিত্তিক একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থার পরিচালক রামি আবদুলরহমানের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, যুদ্ধবিমানটি ইদলিব প্রদেশের একটি গ্রামকে লক্ষ্য করে সারারাত হামলা চালায়। আর এটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমানের মতো ছিল।

এদিকে আবদুলরহমান বলেন, এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই প্রদেশটি এখন সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ন্যাশনাল ডেস্ক: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌতুক মামলার বাদী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) চান মিয়ার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৮ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে রৌমারী উপজেলা শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত করার কথা বলে ডেকে নিয়ে স্থানীয় কলেজপাড়ার একটি বাসায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করলে গৃহবধূর চিৎকারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় গণধোলাইও দেওয়া হয় ওই কর্মকর্তাকে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আটককৃত পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম চান মিয়াকে উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যৌতুকের অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান মিয়া মামলা সংক্রান্ত কাজের কথা বলে বিভিন্ন সময় আমাকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিতে থাকে। শুক্রবার দুপুরে আমাকে বিয়ে করবে বলে একটি বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। কিন্তু বিয়ের আয়োজন না করে আমাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমি এর বিচার চাই।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম এসআই চান মিয়াকে কৌশলে সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি সকলের সামনে অভিযুক্ত এসআই চান মিয়ার সঙ্গে ওই নারীর বিয়ের প্রতিশ্রতি দিলেও পরে ওই নারীকে তার বাবা-মার কাছে তুলে দেন। এসআই চান মিয়া ওসি জাহাঙ্গীরের অনেক অপকর্মের হোতা বলে জানান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কলেজ পাড়ার একটি বাড়িতে এসআই চান মিয়াকে আটকের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তবে সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা আমি জানি না।’
অভিযুক্ত এসআই’র সঙ্গে নির্যাতিতার বিয়ের প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘চান মিয়া আমাকে বলেছে ওই নারী এবং চান মিয়া আগেই বিয়ে করেছে। তখন আমি তাকে বিয়ের প্রমাণপত্র আনতে বলেছি।কিন্তু সে থানায় আর ফিরেনি।’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত এসআই চান মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রজনীকান্তের ‘কালা’কে দুধ দিয়ে স্নান করালেন ভক্তরা

রজনীকান্তের ছবির মুক্তি মানেই যেন দক্ষিণ ভারতে উৎসবের আমেজ। ছবির মুক্তি উপলক্ষে দোকানপাট ও অফিস বন্ধ রাখার মতো ঘটনাও দেখা গেছে এর আগে। তবে রজনীকান্তের ভক্ত হিসেবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে মহারাষ্ট্র স্টেট রজনীকান্ত মাক্কাল অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল মুক্তি পেয়েছে রজনীকান্ত অভিনীত ‘কালা’। বক্স অফিসে ছবিটির ভাগ্য যাতে তাঁর সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ‘কাবালি’র মতো না হয়, তাই পুণ্যস্নান করিয়েছেন তাঁরা।

ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, শুভ সূচনার জন্য রজনীকান্তের ছবিতে নারকেল ভাঙা এবং ছবির পোস্টারে দুধ ঢেলেছেন মহারাষ্ট্র স্টেট রজনীকান্ত মাক্কাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। মহারাষ্ট্র স্টেট রজনীকান্ত মাক্কাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ক্রিস্টোফার মহিমাদাশ বলেন, ‘আমরা রজনীকান্ত স্যারের পোস্টার অভিষেক (পুণ্যস্নান) করিয়েছি দুধ দিয়ে। পাশাপাশি তাঁর ছবির ওপর নারকেল ভাঙা হয়েছে। এটা প্রতিবছরই করা হয়, যখন তাঁর ছবি মুক্তি পায়।’

তবে তাঁদের এবারের পূণ্যস্নান বেশ সফলই হয়েছে বলা যায়। গতকাল ভোর ৪টা থেকে ভারি বৃষ্টি উপেক্ষা করে অরুণা থিয়েটারে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ভক্তদের। অরুণা থিয়েটারের স্বত্বাধিকারী নামবি রাজন জানান, ‘সবগুলো শো-ই হাউসফুল। এটা প্রায়ই হয় যখন রজনী স্যারের ছবি মুক্তি পায়।’ এ ছাড়া ছবিটি দেখতে ১৫-২০ জনের বড় বড় দলে আসতে দেখা গেছে ভক্তদের। এ ছাড়া সিনেমা হলের ভেতরে ভক্তদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

‘কালা’ ছবিতে কারিকালান নামের বস্তিনিবাসী একজন ডনের চরিত্রে অভিনয় করছেন রজনীকান্ত। যেখানে রাজনৈতিক নেতার হাত থেকে নিজের বস্তি বাঁচানোর লড়াই করতে দেখা যাবে থালাইভা খ্যাত দক্ষিণের এই মহাতারকাকে। আর এই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে দেখা যাবে নানা পাটেকারকে। ছবির নেতিবাচক চরিত্রে রয়েছেন তিনি। ছবিটির কাহিনী লিখেছেন পিএ রণজিৎ। পরিচালনাও করেছেন তিনি। ছবিতে রজনীকান্ত ও নানা পাটেগার ছাড়াও আরো অভিনয় করছেন হুমা কোরেশি, এশওয়ারি রাও, অঞ্জলি পাতিলসহ আরো অনেকে। ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছেন রজনীকান্তের মেয়ের জামাই ধানুশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ চায় আমার হাতেই বিশ্বকাপ উঠুক’

দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি ফুটবল বিশ্বকাপ। বয়স এবং বাস্তবতা বিবেচনায় এটাই সম্ভবত আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয়ের শেষ সুযোগ। মেসিকে ঘিরেই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের যাবতীয় আশা-ভরসা। গত বিশ্বকাপে একটুর জন্য কাপটা হাতছাড়া হয়েছে। চার বছর পরেও আক্ষেপটা রয়ে গিয়েছে মেসির। তবে রাশিয়ায় নিজেদের ফেভারিট না মানলেও ভক্তদের আশা-আকাঙ্খা ঠিকই বুঝতে পারছেন এলএমটেন।

একটি স্প্যানিশ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মেসি বিশ্বকাপের ফেবারিট খেলোয়াড়দের সম্পর্কে বলেন, ‘ব্রাজিলের নেইমার আর কুতিনহো আছে। স্পেনের আছে আন্দ্রে ইনিয়েস্তা ও ডেভিড সিলভা। জার্মানির তেমন কোনো বড় তারকা হয়তো নেই, কিন্তু দল হিসেবে ওরা দারুণ। বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড এবং কেভিন ডি ব্রুইন খুব ভাল ফুটবলার। ফ্রান্সের আছে কিলিয়ান এমবাপে, গ্রিজম্যান। এই বিশ্বকাপে অনেক দলেই খুব ভাল ভালো ফুটবলার আছে।’

বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনা সম্পর্কে লিওনেল মেসি বলেন, ‘আমি একটা ব্যাপার নিয়ে খুব গর্ববোধ করছি। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই চায় বিশ্বকাপটা যেন আমার হাতেই ওঠে।’

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড। গ্রুপে আরও আছে নাইজেরিয়া। প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে মেসি জানান, ‘সবার আগে আমাদের গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডকে হারাতে হবে। আইসল্যান্ড লড়াকু দল। ওদের ডিফেন্সটাও বেশ ভাল। ওরা খুব সংগঠিত ফুটবল খেলে। নাইজেরিয়া তো খুব আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলে থাকে। আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপের বিরোধ চরমে উঠেছে’

ইউরোপ ইরানের সঙ্গে হওয়া ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরান নতুন করে পরমাণু কর্মসূচি শুরু করার প্রস্তুতি ঘোষণা দেওয়ার পর এ লক্ষ্যে ইউরোপের দেশগুলো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপের বিরোধ চরমে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল।

জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীরা তাদের মার্কিন সমকক্ষ মন্ত্রীদের কাছে লেখা চিঠিতে পরমাণু সমঝোতা থেকে ইরানের বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ও এর পরিণতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওই চিঠিতে ইউরোপের যেসব কম্পানি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায় তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না রাখার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

চিঠিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ইরান যদি পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে।

ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা গত সোমবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র প্রধানের কাছে লেখা চিঠিতে পরমাণু সমঝোতার আওতায় ব্যাপক মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রস্তাব দেয়ার পরই ইউরোপ কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি পরমাণু সমঝোতার কাঠামোর ভেতরে থেকেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা এক লাখ ৯০ হাজার এসডাব্লিউইউতে উন্নীত করার প্রস্তুতি নিতে জাতীয় আণবিক শক্তি সংস্থার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। ইরানের স্বার্থ সংরক্ষণ করা না হলে পরমাণু সমঝোতা থেকে তেহরানের বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি ইউরোপকে গভীর উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘ব্যাপক মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য ইরানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত আইনের লঙ্ঘন নয়। কিন্তু এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হলে সম্ভাব্য উত্তেজনা সৃষ্টির ব্যাপারে আমরা চিন্তিত।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপীয় কমিশন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলানোর জন্য ‘নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা আইন’ ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করছে। তাদের এ পদক্ষেপের ফলে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৯৬ সালে কিউবার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মেকাবেলায় ইউরোপ ওই আইন অনুমোদন করেছিল যদিও তা কখনো ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমানে ওই আইনের সংশোধন করা উচিত যাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় আইনটি ব্যবহার করা যায়। এই আইনটি বাস্তবায়িত হলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি থেকে ইউরোপের কম্পানিগুলোকে রক্ষা করা যাবে। আইনটি কার্যকর করা হলে ইউরোপের কম্পনিগুলো সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে।

এ ছাড়া, ইউরোপীয় কমিশন এমন একটি আইন অনুমোদন করেছে যাতে ইউরোপের ব্যাংকগুলো ইরানে বিনিয়োগে ইচ্ছুক ইউরোপীয় পুঁজিবিনিয়োগকারীদের সহায়তা করতে পারে। ইউরোপের এসব পদক্ষেপকে পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার জন্য নতুন করে তাদের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেছেন, পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপের বিরোধ চরমে উঠেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest