সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পানিবন্ধী পরিবারের মাঝে বিএনপি নেতা চিশতীর খাদ্য বিতরণশ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে আটকে এক নারীর মৃত্যুসাতক্ষীরায় জাতীয় ঐক্যমত গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশীজনের মতামত শীর্ষক মতবিনিময়আশাশুনিতে টানা বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতাআশাশুনিতে জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মারক স্থাপন স্থান পরিদর্শনে জেলা প্রশাসকসাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠনসাংবাদিক গাজী মোক্তার হোসেনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোকছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সাতক্ষীরায় সভাপণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তার

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘোড়া ও বেঁটে ঘোড়ার ফটোশুট !

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: ঘোড়া Equus ferus এর এখনও বিদ্যমান উপজাতির দুটির মধ্যে অন্যতম। এটি Equidae শ্রেণীকরণ সূত্র পরিবারের অন্তর্গত একটি অদ্ভুতদর্শন বক্রপদ খুড়ত্তয়ালা স্তন্যপায়ী প্রাণী। ঘোড়া বিগত ৪৫ থেকে ৫৫ লক্ষ বছর ধরে Hyracotherium ছোট বহু বক্রপদ জীব থেকে অভিব্যক্ত বর্তমানের বৃহৎ একক বক্রপদ প্রাণী। ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ মানুষ, ঘোড়াকে ঘরে পোষা শুরু করে এবং তাদের পোষ মানান ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে বহুলভাবে শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ঘোড়ার উপজাতির মধ্যে ক্যাবালাসকে পোষ মানান হয়, যদিও এদের কিছু পোষ্য দল বুনো ঘোড়ার মত খোলা জায়গায় বা জঙ্গলে বাস করে। ঘোড়া বা ঘোটক দ্রুতগামী চতুষ্পদ জন্তু যার পিঠে চড়া যায়। দ্রুতগামী বলে এর নাম তুরগ, তুরঙ্গম।

পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই ঘোড়া দেখা যায়। খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে মানুষ ঘোড়া পোষা শুরু করেন। ঘোড়ার পিঠে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়া ছাড়াও মালামাল পরিবহনেও ঘোড়ার ব্যবহার রয়েছে। এখনকার দিনে নেহায়েত দুর্গম এলাকা না হলে মালামাল টানার জন্য ঘোড়ার ব্যবহার দেখা যায় না বললেই চলে।

কিন্তু বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ঘোড় দৌড়। তাই ঘোড়ার কদর ঠিকই রয়ে গেছে। দ্রুত বেগে দৌড়ানোর কারণে অনেক ঘোড়া রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিতে পারে। তবে এবার গিনেস বুকে এক জোড়া ঘোড়া নাম উঠেছে ভিন্ন একটি বৈশিষ্ট্যের জন্য – সবচেয়ে বড় ঘোড়া এবং সবচেয়ে বেঁটে ঘোড়া!

২০১২ সালে সব থেকে বড় ঘোড়ার রেকর্ড গড়েছে ‘বিগ জেক’ নামের একটি ঘোড়া। সাধারণত ‘সিরে ঘোড়ারা’ আকারে বড় হলেও বিগ জেক সিরে প্রজাতির ঘোড়া না হয়েও সবচেয়ে বড় ঘোড়ার রেকর্ড গড়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেঁটে ঘোড়ার স্বীকৃতি লাভ করেছে ‘থুমবেলিনা’। বিগ জেকের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র এই থুমবেলিনা। বিগ জেকের উচ্চতা যেখানে ২১০ সেন্টিমিটার যেখানে থুমবেলিনার উচ্চতা মাত্র ১৭.৫ সেন্টিমিটার!

বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতার ঘোড়া বিগ জেক আর সবচেয়ে বেঁটে ঘোড়া থুমবেলিনাকে নিয়ে বিশেষ একটি ফটোশুটের আয়োজন করা হয়েছিল। তাদের পাশাপাশি রেখে যখন ছবি তোলা হয় তখন দারুণ এক দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছিল।

শক্তিশালী এবং ভারি প্রজাতির বেলজিয়ান ঘোড়ার একটি প্রজাতি বিগ জেক। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে জিলবার্ট পরিবারে বেড়ে উঠেছে বিগ জেক। বর্তমানে বিগ জেকের বয়স ১৭ বছর। জন্মের সময়ই বিগ জেক বেশ বড়সড় হয়েছিল। জন্মের সময়ই তার ওজন হয়েছিল ২৪০ পাউন্ড। তার বয়স যখন ৭/৮ বছর তখনই মনে হচ্ছিল এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘোড়ার রেকর্ড গড়বে।

বিগ জেকের মালিক গিলবার্ট জানান, ২০১০ সালে তারা গিনেস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর ২০১২ সালে গিনেস কর্তৃপক্ষ বিগ জেককে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জীবিত ঘোড়ার স্বীকৃতি দেয়। বেলজিয়ান ঘোড়ার উচ্চতা গড়ে ১৬ থেকে ১৭ হাত হলেও বিগ জেকের উচ্চতা ২০ হাত! বিগ জেকের উচ্চতা ২১০ সেন্টিমিটার বা ৮২.৫ সেন্টিমিটার।

গাড় বাদামী রঙের থুমবেলিনার জন্ম ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির একটি ঘোড়ার খামারে। জন্মের সময় এটি এতোটাই ছোট হয়েছিল যে অনেকেই একটি ছাগলের বাচ্চা মনে করে ভুল করে বসছিল। জন্মের সময় এটি মাত্র ৬ ইঞ্চি ছিল।

থুমবেলিনার মালিক মিচেল গোয়েসিলিং বলেন, বাচ্চা অবস্থায়ও মনে হয়নি যে এটি সবচেয়ে বেঁটে ঘোড়ার রেকর্ড গড়বে। এটির ছোটখাটো গড়নের কারণে স্বাস্থ্যগত দিক এবং পুষ্টির বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকতেন মনিব। কিন্তু তাদের সেই পুঁচকে ঘোড়ার সুবাদেই যে তারা রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছেন তাতেই তারা বেশ উচ্ছ্বসিত।

অস্বাভাবিক শারীরিক গঠনের কারণে অন্য ঘোড়াদের সাথে স্বাভাবিকভাবে মিশতে পারে না বিগ জেক কিংবা থুমবেলিনা। থুমবেলিনার তো এমনই অবস্থা যে তাকে থাকতে হয় ‘ডগ হাউজে’।-সিএনএন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিস্তা নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে আলোচনা করতে চাই না : মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন সুষ্ঠুভাবে সমাধান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিল, মমতার সঙ্গে হাসিনার বৈঠকের মূল কারণ ছিল সেটাই। কিন্তু বৈঠকের পর উভয়েই এ বিষয়ে চুপ। তিস্তা নিয়ে কেউই মুখ খুললেন না। স্রেফ জানালেন এটা একান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। উভয়ের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

শনিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মমতা বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ হবে। অরবিন্দ ভবনেই মূলত এটার একটা জায়গা নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই তৈরি হবে বঙ্গবন্ধু ভবন।

শেখ হাসিনাকে ডি. লিট ডিগ্রি দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন, তাকে ডি. লিট ডিগ্রি দিতে পেরে আমরা গর্বিত। আজকের মিটিং খুব ভালো হয়েছে। সবকিছু পজেটিভ এটাই বলতে চাই, এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।

ব্যবসায়িক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জন্য মিটিং হয়েছে। দুই দেশের অর্থাৎ দুই বাঙলার মানুষজন সুখে থাকতে পারে সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে।

তিস্তা নিয়ে মমতা বলেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু আলোচনা করতে চাই না প্রকাশ্যে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বৈঠকে তিস্তা জল বণ্টন নিয়ে আলোচনা হওয়ার যেমন সম্ভাবনা ছিল, তেমনই পদ্মার ইলিশের রপ্তানি বিষয়ক আলোচনাও হবে, মনে করা হয়েছিল। দুই বাংলার মধ্যে কোন পথে সমাধান সূত্র মিলতে পারে তা নিয়েও নানা জল্পনাও শুরু হয়েছিল, তবে বৈঠক শেষে কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুললেন না।

প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কলকাতার হোটেল তাজবেঙ্গলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার আগে মমতার আতিথেয়তায় প্রশসাংয় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তারপর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট সম্মানে ভূষিত করে। তারপর সকলেরই চোখ ছিল মমতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকে।

দু দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার (২৫ মে) কলকাতা গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অংশগ্রহণ করেন এবং শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ উপাধি তিনি দুই বাংলার বাঙালিদের উৎসর্গ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক: দুইদিনের সরকারি সফর শেষে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ মে) রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেছে।

এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে বিশেষ ফ্লাইটটি। শুক্রবার (২৫ মে) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।

পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন ছাড়াও সেখানকার সমাবর্তনে যোগ দেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর সেখান থেকে যান রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে; যেখানে জন্ম নিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সেখানে তার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে’র বিশেষ সমাবর্তনেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে তাকে সম্মানসূচক ‘ডি.লিট’ ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এরপর কলকাতায় ফিরে নগরীর ভবানীপুরে ‘নেতাজী ভবন’ পরিদর্শনে যান শেখ হাসিনা।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ভাগ হয়েছে। কিন্তু নজরুল-রবীন্দ্রনাথ ভাগ হননি, তারা আমাদের সবার। মানুষের কল্যাণের জন্য কবি নজরুল নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। লেখার কারণে জেল খেটেছেন। আমারও আমাদের অধিকার আদায় করতে অনেক সংগ্রাম করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি আমাদের চেতনায় ছিলেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছে। জীবনের অনেক সময় জেলে কাটিয়েছেন তিনি। কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যে চেতনার মিল ছিল।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরায় আসাদুজ্জামান বাবু’র ইজাজত চেয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে আসাদুজ্জামান বাবু’র ভোমরা ইউনিয়নে মুসুল্লিদের কাছে (ইজাজত)চেয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভোমরা ইউনিয়নের পদ্ম শাখরা দক্ষিন পাড়া ও বৈচনা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। স্বাধীণতার পরে আওয়ামীলীগ সরকার যে কয়বার ক্ষমতায় এসেছে, দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর ৫৭তম দেশ হিসাবে মহাআকাশে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১। যা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। আগামীতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে গরিব, দুখী অসহায় মানুষের প্রতীক নৌকায় ভরসা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তাঁতীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে ইফতার মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে ইফতার মাহফিল অুনষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরের কামালনগরস্থ তুফান কনভেনশন সেন্টারে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্রু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি(পিপি), দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদস্য মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক, জেলা তাঁতীলীগের যুগ্ম আহবায়ক তোহিদ হাসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজী মারুফ, যুবলীগ নেতা সাগর প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। যা ইতোমধ্যে আমরা উপভোগ করছি। এখন প্রত্যান্ত অঞ্চলেও বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। যার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষেই সম্ভব। বক্তারা আরো বলেন, তাঁতীলীগ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একটি অন্যতম সহযোগী সংগঠন। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে তাঁতীলীগের ভূমিকাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগামীতেও বাংলাদেশের এই উন্নয়নের স্রোতধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে বিজয়ী করতে তাঁতীলীগের সকল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ঢাকা যাচ্ছে সাতক্ষীরা দল

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণ মিল্ক জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৭-১৮ এর বিভাগীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় ঢাকায় যাওয়ার প্রাক্কালে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী দলের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছে। শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন। জয় ও সাফল্যের জন্য জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেন। আগামী ২৯ মে ঢাকা কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রাণ মিল্ক জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৭-১৮ এর বিভাগীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠিত হবে। সাতক্ষীরা জেলার পক্ষে জি-ফুল বাড়ি দরগা শরিফ আলিম মাদ্রাসা ৩০ মে অংশগ্রহণ করবে। সাতক্ষীরাতে ইন্টার স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন এ দলটি তাদের সেরা খেলাটি উপহার দিয়ে জেলার সুনাম ধরে রাখার প্রত্যয়ে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেছে।
প্রাণ মিল্ক জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৭-১৮ এর বিভাগীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২০ সদস্যের দল তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিরণ¥য় সরকার, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন আনু, স.ম সেলিম রেজা, জি-ফুল বাড়ি দরগা শরিফ আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল আসলাম হোসেন, সহকারি শিক্ষক রবিউল ইসলাম, ক্রীড়া শিক্ষক ও টিম ম্যানেজার মো. সাইদুল ইসলামসহ অংশগ্রহণকারী দলের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় প্রস্তুতি সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ মে) সকালে কলারোয়া বাজারে পূজা উদযাপন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রথযাত্রা সুষ্ঠু ও সাফল্যমন্ডিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়।
মাস্টার প্রদীপ পালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান পরিষদের কলারোয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায়, গোপাল ঘোষ, মিলন দত্ত, উজ্জল দাস (প্রান), আনন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অজুন পাল, গৌরাঙ্গ সোম, নিত্য রায়, রাম দাস, সন্তোষ পাল, সুনিল সাহা, স্বপন পাল, রামলাল দত্ত, রন্জন অধিকারি প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইউএনও ফরিদ তালার মানুষের কাছে এক আতংক- প্রত্যাহারের দাবিতে জনপ্রতিনিধিদের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ তোপ দাগলেন উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইসচেয়ারম্যানসহ ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের সাথে যোগ দিলেন তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও ফরিদ হোসেনকে তালার সাড়ে পাঁচ লাখ জনগোষ্ঠীর কাছে এক আতংক হিসেবে উল্লেখ করেন উপজেলার সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
তারা ঘুষ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ ও নানা অনিয়মের কারণে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যাহার দাবি করেছেন। এ ছাড়া তার স্বেচ্ছাচারের প্রতিবাদে ৩ জুন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। পরদিন ৪ জুন এক সমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, দুইজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ সময় তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপস্থিত থেকে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও চেয়ারম্যানগণ বলেন ২০১৬ সালের ৯ মে তারিখে যোগদানের পর থেকে নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন ঘুষ গ্রহণ ও নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদকে ভীতিকর জায়গায় পরিণত করেছেন। তাকে একজন ‘দুস্কৃতিকারী’ আখ্যায়িত করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত ২৪ জুন মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি কয়েকজন চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে উদ্যত হন। এমন কি তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন। অভিযোগ করে তারা আরও বলেন নির্বাহী অফিসার আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই নিজের খেয়াল খুশীমতো যাবতীয় সিদ্ধান্ত পরিষদের ওপর চাপিয়ে দেন। বিভিন্ন প্রকল্প এবং ইজারাসহ নানা খাতে তাকে নির্ধারিত ঘুষ দিতেই হয়। তিনি বিনা কারণে সম্মানিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে অসদাচরণ করেন। এমনকি কথায় কথায় তেড়ে আসেন। এ প্রসঙ্গে তারা তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, উপজেলা মৎস্য অফিসার, নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তার অসৌজন্যমূলক আচরণ এমনকি মারপিট করতে যাওয়ার বিষয়ও তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় ইউএনও ফরিদ হোসেন তালা উপজেলার সাড়ে পাঁচ লাখ জনগোষ্ঠীর কাছে এখন এক আতংক হিসাবে দেখা দিয়েছেন। তার সাথে বসে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার কোনো পরিবেশ নেই বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তালা উপজেলার ১২ টি ইউনয়নের চেয়ারম্যানগন ছাড়াও দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকতিয়ার হোসেন ও জেবুন্নেসা খানম এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের চার সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
তবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, প্রতি বছর জুন মাস আসতেই পরিষদের কয়েকজন সদস্য কিছু অনিয়মতান্ত্রিক কাজ আদায়ের জন্য এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। এবারও তারা একইভাবে তাদের তদবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসব কথা বলছেন। তিনি কোনো ধরনের ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest