সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ভূমি কর্মকর্তা তপন কর্তৃক না মেনে প্রাচীর নির্মান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসাংবাদিক জুলফিকারের পিতা রাহাতুল্লাহ সরদারের সুস্থতা কামনাপ্রতিপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদের সংবাদ সম্মেলনফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচিসাতক্ষীরায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগসাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

সন্দেহজনক লেনদেন, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ ৯ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দলটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলামখান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ও তার ছেলে তাবিথ আউয়াল, এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান, হাবিবুন্নবী খান সোহেল।

অনুসন্ধানের এই তালিকায় ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের নামও রয়েছে। বিএনপির এই নেতাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কমিশন থেকে সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. সামসুল আলমকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা আজকালের মধ্যেই দুদকের ওই কর্মকর্তা বিএনপি নেতাদের ব্যাংক হিসাবে গত এক বছরের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেবেন বলে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া ও সবকটি তফসিলি ব্যাংকেও চিঠি দেবেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য আসার পর অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির ওই নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।

সূত্র জানায়, বিএনপির ওই নেতাদের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন লেনদেন, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাওয়ার পর তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন রোববার বলেন, কার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তাদের নাম আমি বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি অন্যদের বিষয়ে অনুসন্ধান তদন্ত যেভাবে হয় তাদের (বিএনপি নেতা) বিষয়েও একইভাবে অনুসন্ধান কাজ চলবে। এতে অতিরিক্ত কোনো গুরুত্ব দেয়া বা কেউ নেতা কিনা সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে দুদক সরকারের বাইরে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। আমরা সেটাই করছি।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপির এই কয়েক নেতাসহ আরও কিছু উচ্চপর্যায়ের নেতা এইচএসবিসি ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিগত দশকে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। বিভিন্ন নাশকতার কাজে অর্থলেনদেন করেছেন।

এতে বলা হয়, বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার ব্যাংক হিসাব থেকে গত ৩০ দিনে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। নাশকতা সৃষ্টির জন্যই এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়।

দুদকের কাছে রক্ষিত গোয়েন্দা অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবদুল আউয়াল মিন্টুর এইচএসবিসি ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনটি চেকের মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তিনটিই ক্যাশ চেক। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার দুটি চেক ঢাকায় নগদায়ন করা হলেও তৃতীয় চেকের অর্থ উত্তোলন কর হয় চট্টগ্রাম থেকে।

১৫ ফেব্রুয়ারি আবদুল আউয়াল মিন্টুর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব থেকে দুটি চেকের মাধ্যমে নগদে উত্তোলন করা হয় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর একটি চেক নগদায়ন করা হয় কুমিল্লা থেকে। ২০ ফেব্রুয়ারি আবদুল আউয়াল মিন্টু ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের হিসাব থেকে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক নগদায়ন করা হয় খুলনা থেকে।

আবদুল আউয়াল মিন্টুর ২৫ ফেব্রুয়ারি এইচএসবিসি ব্যাংকের হিসাব থেকে আরও দুটি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি তার ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাব থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চারটি চেকের মাধ্যমে ১৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে চারটি চেকের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খানের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চারটি চেকের মাধ্যমে তোলা হয় ৯ কোটি টাকা।প্রতিবেদনে বলা হয়, ফয়সাল মোর্শেদ খান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকার পরও কীভাবে এত বিপুল টাকা নগদায়ন করা হলো সেটি একটি বড় প্রশ্ন। এছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ডাচ বাংলা ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ৩ মার্চ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে ১২টি চেকের মাধ্যমে ২১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি চেকের অর্থ উত্তোলন করা হয় ঢাকার বাইরে থেকে। মির্জা আব্বাসের ঢাকা ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৪ মার্চ আরও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদায়ন করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, মির্জা আব্বাসের সঙ্গে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুবর রহমানের আঁতাত রয়েছে। বিভিন্ন অবৈধ লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মির্জা আব্বাসের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিজেও শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম খান ও হাবিবুন্নবী খান সোহেলের বিষয়ে এতে বলা হয়, তারা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে গত ২ সপ্তাহে ৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে কোন ব্যাংক থেকে এই দুই নেতা অর্থ উত্তোলন করেন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তার উল্লেখ নেই বলে দুদক সূত্র জানায়।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৪-১৫ সালে দেশে নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির আগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক ও নগদ লেনদেনের ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ঠিকই বিএনপি নেতারা দেশে জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এতে বলা হয়, বিএনপি নেতাদের এসব অবৈধ লেনদেনে ও টাকা পাচারে সহায়তা করছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতারা অবৈধভাবে টাকা পাচার করে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ডহোমসহ বিদেশে অনেক ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট করেছেন। সরকারি ব্যাংকে লেনদেন করলে ধরা পড়ে যাবেন এই ভয়ে তারা অবৈধ লেনদেনের জন্য বেসরকারি ওই ব্যাংকগুলোকে বেছে নিয়েছেন। ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামেও দেশে বিদেশে একাধিক বাড়ি গাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসায় শেয়ার রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৪ শিক্ষক বহিস্কার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা ৪ জন শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকদের বহিস্কার করেন ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্যা।
বহিস্কৃত শিক্ষকরা হলেন- বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক সুফিয়া খাতুন, বেগম খালেদা জিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আমিনুজ্জামান, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও হাবিবুল ইসলাম হাবিব কলেজের প্রভাষক সাইদুর রহমান।
কেন্দ্র সচিব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান তাদের বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- ‘ওই চার জন শিক্ষক আগামি পরীক্ষাগুলোতে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’
কী কারণে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্টভাবে কিছ বলেন নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন জানান- ‘পরীক্ষার হলে ওই ৪ জন শিক্ষকের সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে তাদেরকে কেবলমাত্র কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৩ বছর পর তালার বিএনপি নেতা আলতাফ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার তালা উপজেলা বিএনিপির সভাপতি আলতাফ হোসেন হত্যা মামলায় প্রায় ১৩ বছর পর আদালতে বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকালে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অরোনভ চক্রবর্তী উক্ত মামলার বাদী শেখ আব্দুর রহমানের কাছ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কৃষক দলের তালা উপজেলা শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফা, তালা উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠণিক সম্পাদক বদরুজ্জামান মোড়ল, উপজেলা যুবদল সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা রাশিদুল হক রাজু, যুবদল নেতা আশরাফুল হক, বিএনপি কর্মী শহীদুল ইসলাম, তালা উপজেলার দোহার গ্রামের দাদা তুষার ওরফে তুষার পাল, মাদ্রা গ্রামের প্রকাশ সরকার, তেঁতুলিয়া গ্রামের দেবেন বিশ্বাস, গাছা গ্রামের শিবপদ সরকার, টিকেরামপুরের আহম্মদ আলী ওরফে নূর আহম্মদ, কাশীপুর গ্রামের ছাত্রদল নেতা মন্টু ইসলাম, আলম হোসেন ও ওয়ার্কার্স পার্টির বহিস্কৃত নেতা প্রণব ঘোষ বাবলু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৪ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা উপজেলার বাণিজ্যিক শহর পাটকেলঘাটা পাঁচ রাস্তা মোড়ে তৎকালিন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলতাফ হোসেনকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে মারা যান পথচারি কাঠ মিস্ত্রী হাবিবুর রহমান মোড়ল। এ ঘটনায় পুলিশ রক্তমাখা জামা কাপড় পরিহিত অবস্থায় মাদ্রা গ্রামের প্রকাশ সরকারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় পারকুমিরা গ্রামের দেবেন বিশ্বাসকে তার সেলুন থেকে। এ সময় তার সেলুনের মধ্যে রাখা বালতি থেকে কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি কর্মী আলতাফ হোসেনের ঘনিষ্ট সেনপুর গ্রামের আব্দুর রহমান বাদি হয়ে দেবেন বিশ্বাস ও প্রকাশ সরকারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা(৩নং) দায়ের করেন। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মশিউর রহমান পিপিএম এর নির্দেশে উপপরিদর্শক মনির হোসেন মামলার তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। সাতক্ষীরা সিআইডি’র পরিদর্শক দুর্গাপদ ঘোষ, পরিদর্শক শামীম মুছা, সহকারি পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, পরিদর্শক হরিপদ সরকার, পরিদর্শক আবু মোস্তফা কামাল পর্যায়ক্রমে তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারি আদালতে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত অভিযোগে জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ প্রথমাক্ত ১৪জনকে আসামী করা হয়। বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে প্রণব ঘোষ বাবলুকে অতিরিক্ত আসামী করা হয়। গ্রেফতারের কিছুদিন পর দেবেন বিশ্বাস ও প্রকাশ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকাস্ত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে যাওয়ার পথে বিশেষ তদবিরে আরিচা ফেরিঘাট থেকে সাতক্ষীরায় ফিরিয়ে আনা হয়। মামলার বাদিকে বার বার জীবননাশের চেষ্টা করায় নিহতের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা খানম তার ভার্সার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সম্ভাব্য আসামীদের নাম প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তালা উপজেলার বিএনপি’র সাংগঠণিক সম্পাদক বদরুজ্জমান মোড়ল নিজেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ অন্যান্য নেতা কর্মীদের নাম বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন। এরপর থেকে আসামী গোলাম মোস্তাফা, হাফিজুর রহমান, রাশেদুল হক রাজু ও সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত করার চেষ্টা করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বাদি নিজের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। এ ঘটনায় তৎকালিন সদর সহকারি পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্ত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি এবং সহযোগিতায় ছিলেন, অতিরিক্ত পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, অতিরিক্ত পিপি এড. তপন কুমার দাস ও অতিরিক্ত পিপি সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু।
মামলা পরিচালনাকারী এড. ওসমান গণি(পিপি) বলেন, দীর্ঘদিন পর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেকটা ভালো লাগছে। মামলা বাদী তার সাক্ষ্য সুনিপুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। উক্ত মামলায় জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, হোলাম মোস্তফা, দাদা তুষার ও প্রকাশ সরকার পলাতক রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরকারী শিক্ষক বরখাস্ত

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটায় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করার অপরাধে সেই দেবহাটা উপজেলার টিকেট ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রশান্ত কুমার মল্লিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন এই বরখাস্তের আদেশ দেন। সূত্র মতে, গত বুধবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার নিজে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙ্গে নিজের বিভিন্ন অপকর্মের দোষ চাপানোর অসৎ উদ্দ্যেশ্যে দেবহাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলমের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় উক্ত শিক্ষকের ঐ দূরভীসন্ধীমূলক কর্মকান্ড ফাস হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার মন্ডল ঐদিনই নিজে বাদী হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিকের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় সাধারন ডাইরী করেন। এছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার অফিসের ২৫২ নং স্মারকে ঐদিনই জেলা প্রাথমিক শিক্সা কর্মকর্তার নিকট লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দীনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। গত ৩১/০৩/১৮ ইং তারিখে তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে গত ০১/০৪/১৮ ইং তারিখে ৮৩০ নং স্মারকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেন। উক্ত প্রতিবেদন মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন গত ০১-০৪-২০১৮ ইং তারিখে তার অফিসের ৮৩১/৯ নং স্মারকে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি-৩ (বি) অনুযায়ী অসদাচরনের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ করায় গত ২৮-০৩-২০১৮ ইং তারিখ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার আদেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেবহাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক প্রশান্ত কুমার মল্লিককে বহিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে অনুপস্থিত ৫, বহিষ্কার নেই

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় সারাদেশের ন্যায় সোমবার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েচে। ১ম দিনের পরীক্ষা শান্তিপূর্ন পরিবেশে কোন বহিষ্কার ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আর আসাদ পরিদর্শনের পাশাপাশি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেন। এছাড়া ভিজিল্যান্স টিমগুলোও পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট জানান, উপজেলা মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭শত ৬১ জন। মোট ৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার মধ্যে দেবহাটা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩৮ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১৩৬ ও অনুপস্থিত ছিল ২ জন পরীক্ষার্থী। সখিপুর কেবিএ কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯১ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১৯০ ও অনুপস্থিত ছিল ১ জন পরীক্ষার্থী। সখিপুর হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪৩২ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৪৩০ ও অনুপস্থিত ছিল ২ জন পরীক্ষার্থী। এইচসি পরীক্ষার সোমবার ছিল বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ পরিদর্শন ও তদারকী করেন। কোন কেন্দ্রে কোন প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি বা কোন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়নি বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস ঘোষণা

এখন থেকে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালিত হবে। ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) এন এম জিয়াউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান।

তিনি জানান, দিবস হিসেবে এটি হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ শ্রেণি’র। গণতন্ত্র, নির্বাচন এবং ভোটার হতে তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করতে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন তারিখে জাতীয় ভোটার দিবস পালন করে।

মার্চ মাসকে কেন বেছে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইল এনএম জিয়াউল আলম বলেন, আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধসহ সমগ্র জনজীবনে মার্চ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে এই মাসে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে আইনজীবী সহকারী সমিতির শুভেচ্ছা বিনিময়

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সাথে নব-নির্বাচিত জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নব-নির্বাচিত জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সভাপতি বিমল কৃষ্ণ সরকারের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সব-সভাপতি ইমান আলী, আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস আলী, সহ-সম্পাদক তারক রায়, কোষাধ্যক্ষ রমজান আলী, সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল হাকিম, আব্দুল জলিল, মধুসুধন, মেহেদী হাসান শিমুল প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুনীল কুমার, আব্দুল মান্নান বাবলু, রুহুল আমিন, আব্দুর রহমান, মশিয়ার রহমান, সামছুদ্দিন, কামরুজ্জামান, খয়বার আলী, অলিউর রহমান, নুরুল হক, কুদ্দুস মৃধাসহ নব-নির্বাচিত জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দলিতদের বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, নিহত ৫

ভারতে দলিত বা তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আজ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মতো বিভিন্ন রাজ্যও দলিত বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে।

দেশে দলিত সুরক্ষার জন্য যে কঠোর আইন আছে, তা সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক নির্দেশে শিথিল হয়ে পড়েছে – এই অভিযোগেই আজ সোমবার ভারত বধের ডাক দিয়েছিল দলিতদের নানা সংগঠন।

বিরোধী রাজনীতিকরা অবশ্য মনে করছেন, ভারতে গত বেশ কিছুকাল ধরে দলিতদের ওপর অত্যাচারের যে একের পর এক ঘটনা ঘটছে, সেই পটভূমিতেই এদিনের বিক্ষোভ এরকম ব্যাপক সহিংসতার চেহারা নিয়েছে।

পাঞ্জাবের ভাতিন্ডায় তরোয়াল, লাঠিসোঁটা, বেসবল ব্যাট নিয়ে এদিন তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শত শত দলিত – যে প্রতিবাদে আজ দিনভর অচল হয়ে ছিল গোটা রাজ্যই।

ভারতে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষদের সুরক্ষার জন্য যে আইন আছে, গত ২০ মার্চ তাতে দুটো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করে সুপ্রিম কোর্ট।

যার ফলে দলিতদের নির্যাতনে অভিযুক্তদের আর সাথে সাথে গ্রেফতার করা যাবে না এবং তাদের জামিনেরও সুযোগ থাকবে। দলিত সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ ছিল এই রায়ের বিরুদ্ধেই।

দলিত সমাজের আন্দোলনকারী কুমার শ্যাম বলছিলেন, এই তো সেদিন ঘোড়ায় চড়ার অপরাধে এক দলিতকে মেরে ফেলা হল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেই হত্যাকারীদের গায়েও হাত দেওয়া যাবে না – যতক্ষণ না সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি লিখিয়ে আনা যাবে।

আরে, কোন আইনের না একটু-আধটু অপব্যবহার হয়? কিন্তু তাই বলে দলিত সুরক্ষার এই আইনটাকেই আপনি দুর্বল করে দেবেন? প্রশ্ন তুলছেন তিনি।

এই প্রতিবাদকে ঘিরেই মধ্যপ্রদেশে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এদিন একজন ছাত্রনেতাসহ অন্তত চারজন নিহত হন।

রাজস্থানের আলোয়াড়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান আরও একজন। ভিন্ডে পরিস্থিতি সামলাতে ডাকা হয় সেনাবাহিনীকে। বিহার, ওড়িশা, রাজস্থানের নানা জায়গায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল – চন্ডিগড়ের কাছে স্তব্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক।

শতকরা হিসেবে যে রাজ্যে দলিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেই পাঞ্জাবে স্কুল-কলেজ, দোকানপাট এমন কী মোবাইল ইন্টারনেট পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে হরিয়ানা, বিহারের পাটনা – এমন কী কলকাতাও।

এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে যে বামপন্থী দল সিপিআই (এম এল), তাদের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলছিলেন দলিতদের ক্ষোভের আগুন কিন্তু ধিকিধিকি জ্বলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।

তার কথায়, পটভূমিটা যদি আপনি দেখেন, তাহলে দেখবেন উনাতে দলিতদের নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনা দিয়েই এর শুরু। তারপর উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাহরানপুরে দলিতদের হত্যাকান্ড এবং দলিত সংগঠন ভীম আর্মির নেতাদের গ্রেফতার করা হল। এরপর মহারাষ্ট্রে ভীমা কোরেগাঁও কান্ড – দলিতদের ওপর অত্যাচারের একের পর এক ঘটনা তো ঘটেই যাচ্ছে।

একদিকে যেমন নির্যাতন বাড়ছে – তেমনি দলিতদের যেটুকু আইনি সুরক্ষা ছিল সেটাকেও এখন দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। ঠিক এই কারণেই আমার মনে হয় কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি না-হওয়া সত্ত্বেও এই প্রতিবাদ এত ব্যাপক আকার নিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে, বলছিলেন ভট্টাচার্য।

দেশ জুড়ে দলিতদের এই ব্যাপক বিক্ষোভ সামলাতে সরকার এদিন তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে – আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন তারা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন।

মূল মামলাটিতে ভারত সরকার কোনও পক্ষ ছিল না, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সামাজিক ন্যায় মন্ত্রণালয় এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে। এই রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট যে যুক্তি দিয়েছে সরকার তার সঙ্গে একমত নয় – এবং আদালতের এটা আবার ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।

বিজেপির বিভিন্ন শরিক দল অবশ্য অনেক আগেই সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।

রামবিলাস পাসোয়ান বা নীতিশ কুমারের মতো শরিক নেতারা এই ইস্যুতে প্রকাশ্যেই দলিতদের পক্ষ নিয়েছেন – বিরোধী কংগ্রেসও একই সুরে কথা বলছে।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের একটা দলিত-বিরোধী ভাবমূর্তি আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল, এদিনের ব্যাপক বিক্ষোভ তাদের অবশ্যই আরও চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest