সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

ঝুঁকিতে বিশ্বের ১২০ কোটি শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে শিশু অধিকার বিষয়ক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন। এর কারণ হিসেবে দারিদ্র্য, সংঘর্ষ ও মেয়েশিশুদের প্রতি বৈষম্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২০ কোটির বেশি শিশু এই তিন ধরনের হুমকির মুখে রয়েছে। এ ছাড়া ১৫ কোটি ৩০ লাখ শিশু একই সময় এসব হুমকির মুখোমুখি।

গত বছরের তুলনায় বৈশ্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তাতে যথেষ্ট গতি নেই। আগামী ১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সেভ দ্যা চিলড্রেনের সূচকে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যক্লিষ্ট দেশগুলোতে ১০০ কোটি শিশুর বসবাস, ২৪ কোটি শিশু সংঘর্ষপ্রবণ দেশগুলোতে রয়েছে এবং ৫৭ কোটি ৫০ লাখ এমন সব দেশে বাস করে যেসব জায়গায় নারীর প্রতি বৈষম্য সাধারণ ঘটনা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘শিশুদের পরিচয় ও বাসস্থানের কারণে তাদের শৈশব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

সেভ দ্যা চিলড্রেন শিশুদের পরিস্থিতি নিয়ে ১৭৫টি দেশে জরিপ পরিচালনা করে। এগুলোর মধ্যে ৯৫টি দেশে শিশুদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং ৪০টি দেশে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে।

শিশু, পুষ্টিহীনতা, শিক্ষার অভাব এবং বিয়ে, মাতৃত্ব ও কাজে বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা রেখে বিভিন্ন দেশকে র‍্যাংকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।

দেশগুলোর মধ্যে শিশুদের সবচেয়ে ভালো অবস্থা সিঙ্গাপুর ও স্লোভেনিয়ায়। যৌথভাবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে দেশ দুটি। শীর্ষ অবস্থানে আরো রয়েছে নরওয়ে, সু্‌ইডেন ও ফিনল্যান্ড।

র‍্যাংকিংয়ের নিচে রয়েছে নাইজার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। এ ছাড়া নিচের ১০টি দেশের আটটিই আফ্রিকার। এসব দেশে শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।

এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ৩৬তম, রাশিয়া ৩৭তম ও চীন ৪০তম অবস্থানে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষার্থী মৌ এর পাশে দাঁড়ালেন আসাদুজ্জামান বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা’র সাবেক দলনেতা ও সহ দলনেতা ও প্রথম আলো বন্ধু সভার সদস্য জাহিদা জাহান (মৌ) এর পাশে দাড়ালেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
বুধবার দুপুরে শহরের তালতলা এলাকার মৌ এর বাড়িতে যান এবং তার শরীরের খোঁজ খবর নেন। পরে নিজ তহবিল থেকে মৌ এর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
এসময় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক পত্রদূতের সাহিত্য সম্পাদক গাজী শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম, যুবলীগ নেতা এম.এ কাদির, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হোসেন অপু, আসিফ নেওয়াজ, মজার পাঠশালার পরিচালক আব্দুর রহিম, গাজী শাহরিয়ার সোহাগ, বড় বন্ধু নাহিদ হাসান, নুরুল হুদাসহ লাবসা ইউনিয়নের যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দৃ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মারাত্বক আঘাতজনিত কারণে কোমরের হাড় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হাটা-চলার শক্তিটুকু হারানোর পথে। চিকিৎসারত ডাক্তারগণ জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাকে অপারেশন করতে হবে। না হলে সে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে হবে এবং অপারেশন করতে প্রায় ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এতো টাকা যোগাড় করা তার পরিবারের পঙ্গু অসম্ভব। এছাড়া কিছু আগে তার পিতার মৃত্যুতে তার পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা চলে এসেছে। বর্তমানে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় নিজের বাড়িতে শুয়ে শুয়ে পঙ্গুত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মৌ এর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে সমাজের বিত্তবান মানুষকে এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাগুরায় মুসল্লিদের কুশল বিনিময় করলেন আসাদুজ্জামান বাবু

নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শহরের মাগুরা পূর্বপাড়া (দাই পাড়া) জামে মসজিদের মুসল্লিদের কাছে দোয়া চেয়েছেন ও কুশল বিনিময় করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
বুধবার জোহরের নামাজের পর মাগুরা পূর্বপাড়া (দাই পাড়া) জামে মসজিদের মুসল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করে এবং দোয়া প্রার্থনা করেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম, নেতা যুবলীগ নেতা এম.এ কাদির, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হোসেন অপু, আসিফ নেওয়াজসহ লাবসা ইউনিয়নের যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দৃ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইসরায়েল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন শাকিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের কারণে দেশটিতে কনসার্ট না করার জন্য বিশ্বখ্যাত পপ গায়িকা শাকিরাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি ও সংগঠন। অবশেষে তেলআবিবে কনসার্ট করার সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা জানালেন তিনি।

যদিও কনসার্ট থেকে সরে আসার পেছনে আরও দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গ্র্যামি-জয়ী কলম্বিয়ান শিল্পী শাকিরার পূর্ব-পুরুষ ছিলেন লেবানিজ। তেলআবিব থেকে কনসার্ট করার পর লেবাননেও কনসার্ট করার কথা ছিল শাকিরার। কিন্তু দেশটিতে অনেকেই দাবি তোলেন, ইসরায়েলে পারফর্ম করলে লেবাননের কনসার্ট যাতে বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে, শাকিরা জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত। ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতার অনেক কিছুই নথিবদ্ধ করা আছে ইউনিসেফের। ইসরায়েলকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকভাবে বয়কট করার আন্দোলন পিএসিবিআই বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বর্ণবিভেদ (অ্যাপার্থেইড) ধামাচাপায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার বিশেষ বাধ্যবাধকতা রয়েছে শিল্পী ও বিশেষ করে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূতদের। এটাও একটা বড় কারণ হতে পারে।

এদিকে, শাকিরার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। এ খবর দিয়েছে ইলেক্ট্রনিক ইন্তিফাদা। এক বিবৃতিতে বলেছে, শাকিরার নাম ব্যবহার করে গাজার সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞকে ধামাচাপা দেয়ার যে পরিকল্পনা করেছিল ইসরাইল, তা ব্যর্থ হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আইএসের হামলা, ১০ জঙ্গি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ভবনে সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়েছে আইএস জঙ্গিরা।

বুধবার ভারী নিরাপত্তাবেষ্টিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ভবনে হামলাকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর গোলাগুলি প্রায় কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এতে ১০ হামলাকারী নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

এ সময় জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে এক পুলিশ নিহত ও পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাজিব দানিশ বলেন, বিস্ফোরণ বিল্ডিংয়ের খুব কাছে ঘটানো হয়েছে এবং হামলাকারীরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। হামলার ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে।

তবে প্রাথমিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়।

ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল, আইএসআইএস নামেও পরিচিত) গ্রুপ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।

কাবুলের আল জাজিরার জেনিফার গ্লাসি জানায়, এটি একটি জটিল আক্রমণ ছিল, কারণ যোদ্ধারা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে শক্তিশালীভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।

২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী জানায়, মন্ত্রণালয়ের চারদিকে বিস্ফোরণ প্রতিরক্ষা দেয়াল রয়েছে।

তালেবান ও আইএসআইএল উভয়ই কাবুলে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি বেসামরিক লোকদের জন্য প্রাণঘাতী জায়গা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘লেডি ডন’ অস্মিতা, নাম শুনলেই কাঁপে এলাকা!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: অস্মিতা গোহিল (ডিকো)। ভারতের গুজরাটের সুরাট এলাকার বাসিন্দা এ তরুণী। বয়স বড় জোর উনিশ-কুড়ি হবে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কুলের একজন শিক্ষার্থী। এ অস্মিতাই এখন গুজরাটের ‘লেডি ডন’। সুরাটের সবাই তাকে এক নামে চেনেন। অবশ্য শুধু চেনেন বললে ভুল হবে, এলাকা কাঁপে তার নামে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন অস্মিতা। কিন্তু পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।

তবে সম্প্রতি এই ‘লেডি ডন’ ফের শিরোনামে এসেছেন। ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাতের একটি পানের দোকানে তলোয়ার নিয়ে ঢুকে ৫০০ টাকা ‘চাঁদা’ চাওয়ার অভিযোগে ফের গ্রেপ্তার হয়েছে অস্মিতা ও তার বন্ধু রাহুল। ভাইরাল হয়েছে গোটা ঘটনার ভিডিও।

গত মার্চে দোলের দিনও ধারালো অস্ত্র হাতে কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান অস্মিতা। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিওটিও।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই লেডি ডন। ফেসবুকে নিজেকে স্বনির্ভর বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের প্রচুর ছবিও রয়েছে। এমনকি সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বা তলোয়ার নিয়েও নিজের ছবি পোস্ট করেছেন অস্মিতা।

নামিদামি বাইক এবং গাড়ি চালানোর শখ রয়েছে তার। ফেসবুকে আড়াই হাজার বন্ধু ও ১২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে ডনের।

ফেসবুক-বায়োতে অস্মিতার স্বীকারোক্তি, ‘আমি জীবনটা অন্যভাবে বাঁচতে পছন্দ করি, আশায় ভরসা করে নয়, নিজের শর্তে বাঁচি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুরগি উল্টো করে ঝুলিয়ে নিলে ২০০ টাকা জরিমানা

আইন ও আদালত: দেশে পশুপাখির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ ঠেকাতে আইন আছে। এই আইনে হাঁস-মুরগি উল্টো করে ঝুলিয়ে নিলে ২০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ব্যবসা সহজ করার ক্ষেত্রে নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের হালনাগাদ পরিস্থিতি জানাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সভাটির আয়োজন করে।

আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করার মতো জনবল না থাকার কথা উল্লেখ করে বদরুল আলম বলেন, ‘ব্যবসা সহজ করতে আইন নয়, সমস্যা আইনের প্রয়োগ করার মতো লোক নেই। আইন সংস্কার নিয়ে যত কাজ হয়, প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কাজ হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ কোটি মানুষের জন্য বিচারকের সংখ্যা ৮৫ হাজার। বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জন। বিচারকেরা বসার জায়গা পান না। এজলাসের সংখ্যা কম। এসব সমস্যার সমাধান আগে দরকার।’

এর আগে আইন কমিশনের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা ফাওজুল আজিম বলেন, ১০-১২টি আইন সরাসরি ব্যবসায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এসব আইনের কয়েকটির বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। ফলে এখনকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে আইন খাপ খাওয়াতে পারছে না। এসব আইন হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, চারটি ক্ষেত্রে কিছু সংস্কারকাজ করে বিডা বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচক বা ডুয়িং বিজনেসে উন্নতির আশা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় চিংড়ির পরিবর্তে কাঁকড়ায় ঝুঁকছেন চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় চিংড়ির পরিবর্তে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস, রফতানি হ্রাস ও দাম কমে যাওয়ায় জেলায় চিংড়ি চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন। আন্তর্জাতিক বাজারের কাঁকড়ার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাঁকড়া শিল্প গড়ে তুলেছে। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সাতক্ষীরাতে এ শিল্পটি চাষিদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়াতে লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ শুরু করেছেন। এমনকি বেকার যুবকরা সরকারিভাবে কাঁকড়া চাষের উপর বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কাঁকড়া চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১১২টি সরকারি ও ৩৪০টি বেসরকারি কাকড়া মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। আরো কয়েকটি খামার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৬-১৭ মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় কাঁকড়া চাষ হয়েছে ৮৪.২ হেক্টর জমিতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬৩.৮৭ হেক্টর জমিতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫৩.৩৯ হেক্টর জমিতে কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২০১৩ সালে দুই হাজার তিনশ’ মেট্রিক টন, ২০১৪ সালে দুই হাজার চারশ’ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে দুই হাজার আটশ’ ১৪ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে তিন হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে তিন হাজার চারশ মেট্রিক টন কাকড়া উৎপাদন হয়। যার প্রায় সবটাই রপ্তানিযোগ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জে ও শ্যামনগর উপজেলায়।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলাতে মোট ৪৫২টি কাঁকড়ার ঘের রয়েছে। প্রতিবছর এসব ঘেরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪-১৫ সালে জেলায় কাঁকড়ার ঘের ছিল ৩৬৪টি, ২০১৫-১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮০টিতে এবং ২০১৬-১৭ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৪৫২টিতে। এভাবে অব্যাহত রয়েছে কাঁকড়া ঘেরের সংখ্যা বৃদ্ধি।

বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। রপ্তানি তালিকায় অপ্রচলিত এই পণ্যই বদলে দিচ্ছে লাখো মানুষের ভাগ্য। যে হারে চাহিদা বাড়ছে তাতে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত গলদা চিংড়িকে অদূর ভবিষ্যতে হার মানাতে পারে।

কাঁকড়া চাষিরা জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে যে পরিমাণ কাঁকড়া ধরা পড়ে তা প্রাকৃতিকভাবে রেণু থেকে বড় হয়। এ অঞ্চলের ১২ মাস লবণাক্ত পানি কাঁকড়া চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য প্রচুর জমি ও অর্থের প্রয়োজন হলেও কাঁকড়া চাষের জন্য জমি ও অর্থ দুটোই কম লাগে। যে কারণে চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

চাষিরা জানান, বাজার থেকে কাঁকড়া কিনে ছোট ছোট খাঁচায় রেখে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ২০ থেকে ২২ দিনেই একবার খোলস পরিবর্তন করে প্রতিটি কাঁকড়া। এতে প্রতিটি কাঁকড়ার ওজন বেড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়। পরে এই কাঁকড়া রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এতে লাভ বেশি ও রোগবালাই কম হওয়ায় সাতক্ষীরায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ পদ্ধতি।

জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কলবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন খাস জমিতে বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিসের আওতায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন গড়ে তুলেছে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার। দুই বিঘা জমির এই খামারে সাড়ে পাঁচ হাজার খাঁচায় কাঁকড়া মোটাতাজা করা হচ্ছে। যার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে স্থানীয় বাগদী সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা।

চাষিরা জানান, খাঁচায় চাষকৃত কাঁকড়ার খোলস নরম থাকে। এ কারণে বাজার চাহিদাও বেশি। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত এসব কাঁকড়া প্যাকেটজাত করে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। দামও পাওয়া যায় ভালো, কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আর তাই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন কাঁকড়া চাষে।

যার ফলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে জেলায় ৪৫২টি কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। আর এ খাত থেকে ক্রমেই বাড়ছে রপ্তানি আয়।

দেবহাটার বদরতলা এলাকার কাঁকড়া চাষি মানিক চন্দ্র জানান, তিনি এক’শ খাঁচা নিয়ে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ঘেরে ১৫’শ খাঁচায় কাঁকড়া চাষ হচ্ছে। ২২ শতক জমিতে সে কাঁকড়া চাষ করছে।

তিনি জানান, চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়া চাষে খরচ কম লাভ বেশি। তাই তিনি চিংড়ির পরিবর্তে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ করেন। এ বছর তিনি কাঁকড়া বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভও করেছেন। এল্লারচর মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কাঁকড়া চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এই কাঁকড়া চাষ করছেন বলে জানান।

সরকার কাঁকড়া চাষিদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও মূলধন দিচ্ছে বলে জানালেন মনিকা রানী। যিনি বর্তমানে একজন উদ্যোক্তা। দেবহাটার নোড়ারচক এলাকার কানাই লাল মন্ডলের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী। তার নেতৃত্বে ৫৫ জন নারী পুকুরে খাঁচা পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করেন। সরকার তাদেরকে ১৫০টি খাঁচা দিয়েছে। সরকারিভাবে এ উদ্যোক্তা কাঁকড়া চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীদের মাঝে কাঁকড়া চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এতে করে কাঁকড়া চাষে সুফল দেখছেন। যা দেখে তিনি খুব আনন্দিত। এবার নতুনভাবে কাঁকড়া চাষে সফলতা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।

এল্লারচর মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, কাঁকড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সরকারি খরচে প্রতিদিন কাঁকড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সরদার জানান, লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় কাঁকড়া চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের মোট রপ্তানির একটি বড় অংশ সাতক্ষীরা থেকে যায়। এছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়ে যাচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest