সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

মাদকবিরোধী অভিযানে প্রতিটি মৃত্যুর তদন্ত চায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন

ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলো।

সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সন্দেহভাজন অপরাধীদের ‍মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।

ঢাকায় ইইউ দেশগুলোর মিশনপ্রধানদের সম্মতিতে ইইউর স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৪ মে পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেইসঙ্গে তারা যাতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে না করে- তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় বিবৃতিতে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে অভিযান চালানোর সময় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে কিংবা মাদক বিক্রেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে।

তবে মানবাধিকারকর্মীরা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন। মাদকের উৎস বন্ধ না করে এভাবে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়ে অভিযানের সফলতা আসবে না বলেও দাবি তাদের।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি অনুযায়ী পরিচালনার কথা বলা হয়।  এছাড়াও বাহিনীর শক্তি প্রয়োগে যথাযথ সেফগার্ড রাখার কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে থেমে নেই বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ

আরাফাত আলী : কালিগঞ্জে অসাধু ব্যবসায়ীরা এখনও থেমে নেই বাগদা চিংড়িতে বিষাক্ত জেলী, সাবুর দানা, ভাতের মাড়সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ থেকে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে অসাধু ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা সহ প্রকাশ করার পরও অজ্ঞাত কারনে আজও কোন প্রতিকার হয়নি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অসাধু চিংড়ি পুশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহনের কথা সাংবাদিকদের জানালেও আজও পর্যন্ত এই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি তিনি। উল্লেখ্য যে,অসাধু ব্যবসায়ী,ডিপোমালিকদের বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার ফলে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ির মান হ্রাস পেতে বসেছে। যার ফলে যথার্থ মুল্য না পাওয়ায় বাগদা চিংড়ি চাষীরা অনীহা প্রকাশ করছে। সরেজমিনে যেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রাম সহ কয়েকটি বাগদা ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে গেলে ধরা পড়ে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার দৃশ্য। এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত বন্দকাটি গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে আক্তার আলী ও তার সহোদর মোক্তার আলী, গফ্ফার গাজীর ছেলে রাজু,কপিল গাজীর ছেলে মফিজুল,মান্নান গাজীর ছেলে মাছুম,আশরাফ মোড়লের ছেলে আলমগীর,বাঁশতলা বাজারের জহুর গাজী, নৌবাজপুর গ্রামের জয়নাল গাজীর ছেলে রবিউল,আব্দুর ছত্তার গাজীর ছেলে মোক্তার,একই এলাকার আয়তুল্ল্যাহ,মোবারক। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে মুনসুর,মনো মোড়লের ছেলে আনছার,আব্দুর রহিম,আহার গাজীর ছেলে রফি,আমিরুল,মুছা গাজী,সাঈদ গাজী,রবিউল সহ সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজার সহ বিভিন্ন এজেন্টদের নিকট পুশকৃত বাগদা চিংড়ি বিক্রয় করেন। এই অপদ্রব্য পুশ করার ফলে বাগদা চিংড়ি অল্প দিনের ভিতরে পোঁকা ধরে যায়। যার ফলে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির চাহিদা বিশ্ব বাজারে হ্রাস পেতে বসেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট পুশ করার কারন জানতে চাইলে বলেন অধিক মুনাফার জন্য তারা অপদ্রব্য পুশ করেন। তারা আরও বলেন মাছের ডিপো মালিকরা যদি পুশ মাছ নেওয়া বন্ধ করেন, তাহলে বাগদা চিংড়িতে পুশ করা বন্ধ করতে সব ব্যবসায়ীরা বাধ্য হবে। তাছাড়া থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে তাদের বাগদা পুশের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান বলেন উপজেলার সকল অবৈধ বাগদা পুশ ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে অতিদ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পাচার মামলার বাদিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহ বধূকে ভারতে পাচারের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করায় আসামিরা বাদি গৃহ বধূর স্বামীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দিঘলার আইট গ্রামের মৃত দাউদ আলী সানার ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কাজের সন্ধানে আমি বাইরে থাকার সুযোগে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী সুভদ্রকাটি গ্রামের আরশাদ সানার ছেলে মোঃ আছাদুল হক খোকন বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে ভারতে মোটা অংকের টাকার বেতনে চাকুরি প্রস্তাব দেয়। স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানলে আমি তাকে খোকনের কথায় ভারতে যেতে নিষেধ করি। আমার কথ শুনে স্ত্রী খোকনের সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু এর পরও খোকন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভনে আমার স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে তোলে। এক পর্যায় গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৯ টার দিকে আছাদুল হক খোকন ও তার সহযোগি দিঘলার আইট গ্রামের আয়ুব সানার ছেলে ওবায়দুল্লাহ, একই গ্রামের মৃত রজব ঢালীর ছেলে হযরত আলী, মৃত দরবার জোয়ার্দ্দারের ছেলে শাহ আলম, রুইয়ের বিল গ্রামের বাক্কার সানার ছেলে মহাসিন সানা ও সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শাহিন ইসলাম আমার বাড়িতে আসে। তারা ভারতে মোটা অংকের টাকার ভাল কাজ দেয়ার কথা বলে আমার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে একটি ইঞ্জিন ভ্যানে তুলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কাজ শেষে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজ খবর করতে থাকলে প্রতিবেশীরা জানায় উল্লেখিতরা তার স্ত্রীকে ভারতে খোকনের এক আত্মীয়ের বাড়িতে কাজের জন্য পাঠিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এঘটনার পর আমি খোকনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় রাবেয়াকে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে কাজের জন্য পাঠিয়েছে। আমি তাকে ফেরত আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় খোকন জানায় চাকুরি দেয়ার নাম করে তার স্ত্রীকে ভারতের এক মারোয়াড়ীর কাছে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় খোকন। এঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে উল্লেখিতদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আশাশুনি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মামলার কথা জানতে পেরে আসামিরা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। ফলে ভয়ে তিনি বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছন। এঘটনায় তিনি গতকাল ৪ জুন আসামিদের নামে আদালতে একটি ৭ ধারার মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তার স্ত্রীকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির বার্ষিক ইফতার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির বার্ষিক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌরসভা মাঠে উপজেলা জাপার উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা জাপার আহবায়ক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। উপজেলা জাপার সদস্য সচিব শামছুল হুদা খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা শফিকুল ইসলাম, পৌর জাপার আহবায়ক গাজী আব্দুস সামাদ, সদস্য সচিব গাজী রবিউল ইসলাম, কয়রা উপজেলা জাপার সদস্য সচিব গাজী আব্দুস সালাম, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, পোনা সমিতির সভাপতি সাজ্জাত আলী সরদার। বক্তব্য রাখেন, জাপানেতা সরদার ফরিদ আহম্মেদ, কৃষ্ণ রায়, শেখ আব্দুল আজিজ, আশিক মাহমুদ, মুজিবর রহমান, ঢালী কামরুল ইসলাম, এম রফিক সিরাজ, অবসর প্রাপ্ত আর্মি রেজাউল করিম, অব কয়রা উপজেলা যুব সংহতির আহবায়ক সরদার আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক এসএম লুৎফর রহমান, পাইকগাছার আহবায়ক শেখ মাসুদুর রহমান, দিবাশীষ সানা, আব্দুর রহিম, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আজিবর রহমান, ছাত্রনেতা তন্ময় রায়, গফুর হোসেন ডাবলু, জিএম বাবলা, খায়রুল ইসলাম, হাসানুর রহমান, বাবলু শেখ, এনামুল হক, জিয়াউর রহমান ও আব্দুল কাদের। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কয়রা উপজেলা উলামা পার্টির সভাপতি মাওঃ আব্দুর রহিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছার জিরোপয়েন্টে যত্রতত্র বাস পার্কিং ॥ তীব্র যানজট

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছার জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন এলাকার সড়কে যত্রতত্র বাস পার্কিং করায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। পৌর সদরে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে এ ধরণের যানজট ও দূর্ভোগ অন্যান্য সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিরোপয়েন্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়ন ও যত্রতত্র বাস পার্কিং বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। এলাকার প্রধান সড়কের তেল পাম্প হতে বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত বাস পার্কিং করে আসছিল শ্রমিক ও মালিক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে অসংখ্যবার উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃংখলা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়ার ফলে মালিক ও শ্রমিকরা বেশ কয়েক মাস তাদের বাস গুলো শিববাটী অভিমুখে কয়রা-পাইকগাছা সড়কে রাখে। এ সময় মূল সড়কে যানজট কমে আসলেও আবারও কতিপয় শ্রমিকরা প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাস পার্কিং শুরু করেছে। ফলে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে যানজট। বিশেষ করে সামনে ঈদ আগত হওয়ায় মানুষের চলা ফেরা বৃদ্ধি পাওয়ায় জিরোপয়েন্ট সহ আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে একই জায়গায়। ফলে পৌর সদরে যাতায়াত নিয়ে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর একটাই দাবী প্রধান সড়কের এমন দূর্ভোগ আর কত দিন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পি.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী পি.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পি.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কার্যকরি পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকালে বিদ্যালয়ের হল রুমে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভদ্রকান্ত সরকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফতাবুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহেদুর রহমান, সরকারি স্কুলের প্রতিনিধি হাবিবুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, প্রাক্তণ শিক্ষক শিহাব উদ্দীন, শেখ আলাউদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পি.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, পি.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যকারী পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন, আঃ আলিম, রেহেনা পারভীন, আমজাদ হোসেন, আশরাফ, মোস্তাফিজুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীর আলম। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষক হাফেজ সাইফুদ্দীন। অনুষ্ঠানে প্রাক্তণ ছাত্রদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। এসময় বক্তারা সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহি এ বিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও অবকাঠামো গত উন্নয়ন করতে ঐক্যতম পোষণ করে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যকে বিদ্যালয়টি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সাতক্ষীরা মুখ্য অঞ্চলের ইফতার

সোমবার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সাতক্ষীরা মুখ্য অঞ্চলের ইফতার মাহফিল কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে উপ মহাব্যবস্থাপক মোঃ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মোঃ আতাউর রহমান প্রধান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম, আবু হাশেম ও সাতক্ষীরা মূখ্য আঞ্চলিক নিরীক্ষা কার্যালয়ের সহকারি মহা ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান। এছাড়া সাতক্ষীরা অঞ্চলের ১৭টি শাখার ব্যবস্থাপক, সি আর এম অফিস ও নিরীক্ষা কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। ইফতার মাহফিলে স্বাধীনতা ব্যাংকাস পরিষদের সভাপতি সমীর কুমার বিশ্বাস ও সেক্রেটারী শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কাজী মাসুদুল হক, মোঃ আলতাফ হোসেন, শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৬ বছরেও সংস্কার করা হয়নি কলারোয়ার চন্দনপুর-চান্দুড়িয়া সড়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্ভোগের যেন শেষ নেই? আর কত কাল আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে?- এমনই মন্তব্য করলেন কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নবাসী। ভেঙ্গেচুড়ে, ধ্বসে গিয়ে, খানা খন্দকে পরিণত হয়ে চন্দনপুর কলেজ মোড় থেকে সীমান্তবর্তী চান্দুড়িয়া কার্পেটিং রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১৬বছরেও সংস্কার হয়নি ওই রাস্তাটি।
জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে হাজারো মানুষ। চান্দুড়িয়া বাজার, চান্দুড়িয়া হাইস্কুল, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দুুড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পসহ নানান গুরুত্বপূর্ন অবকাঠামো, কৃষি-বানিজ্য ও অন্যান্য কারণে কাদপুর, চান্দুড়িয়া ও গোয়ালপাড়া গ্রামের মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শুধুমাত্র ভাঙ্গাচুড়া রাস্তাটির কারণ।
স্থানীয়রা জানান- ২/৩ বছর আগে গয়ড়া ও চান্দুড়িয়া এলাকায় গরুর খাটাল থাকার কারণে রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি মাত্রাতিরিক্ত বেশি হয়েছে। ওই সময় প্রতিদিন গরু ভর্তি ৭০/৮০টি ট্রাক যাতায়াত করতো। সাথে যোগ হয়েছে ইটভাটার কাজে ব্যবহৃত ইট ও মাটি আনা নেয়ার জন্য ট্রলি, ট্রাক্টর-ট্রাক ইত্যাদির অনিয়ন্ত্রিত চলাচল। আর চরম দূর্ভোগ নেমে আসে বর্ষা মৌসুমে। সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমক্ত হয়ে ছোট-বড় দূর্ঘটনা যেমন হচ্ছে তেমনি যাতায়াতে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। যেন এসব দেখার যেন কেউ নেই।
চন্দনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কামাল হোসেন লাভলু, ২নং ওয়ার্ড সদস্য শাহাদাৎ হোসেনসহ স্থানীয় জনসাধারণ এমনটাই জানালেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে- চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ মোড় থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দুরত্ব চান্দুড়িয়া বাজারের রাস্তাটি কার্পেটিং ধস নেমে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ও মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানি নামতেই ভাঙ্গনের ফলে আরো নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে থাকলেও সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন কোনো নজর আসেনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান- এ রাস্তা মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাদের সৃদৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিরসনে এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest