সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

২৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত থাকছে খালেদার জামিন

ন্যাশনাল ডেস্ক: কুমিল্লার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত থাকছে। পাশাপাশি এই দুই মামলায় নিয়মিত লিভ টু আপিল দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এদিন আপিল বিভাগে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের ওপর শুনানি শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।

এর আগে গত ২০ মে কুমিল্লার দুটি ও নড়াইলের একটি মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ২১ মে ওই কোর্টের কার্যতালিকায় দুটি আবেদন ওঠে। এ দুই আবেদন শুনানির জন্য ডাকার পর অ্যাটর্নি জেনারেল প্রস্তুতির জন্য সময় চান। আদালত দুই আবেদনের শুনানির জন্য ২২ মে আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওইদিন এক মামলায় খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের শুনানি অসমাপ্ত থাকার পর তা ২৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। পরে আবারও শুনানি ২৪ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। ওইদিন ওই মামলাটির জামিন আবেদন শুনানি শেষ হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের সব নাগরিক পাবেন সমান পেনশন

ন্যাশনাল ডেস্ক: গত ২১ মে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সর্বজনীন পেনশনের রূপরেখা এবার ঘোষণা করব। তার বাস্তবায়ন হয়তো সামান্য শুরু হবে। সর্বজনীন পেনশনে পেনশন সবার জন্য সমান হবে। সর্বজনীন পেনশনে সব পেনশনার পেনশনের জন্য কন্ট্রিবিউট করবেন; শুধু যারা গরিব তারা ছাড়া সবাই। এক্ষেত্রে গরিবের সীমারেখা নির্ধারণ করতে হবে খাদ্যে নিম্নতম কেলোরিসীমা ঠিক করে।’

এরপর অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন রেখেছেন, ‘এ বিষয়ে কাজ কতদূর এগিয়েছে এবং আমরা কি ঘোষণা দিতে পারব?’

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় গেলে চালু করা হবে বেসরকারি কর্মজীবীদের জন্য পেনশন। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজও করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন দেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছিল দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকও। কথা ছিল গত অর্থবছর (২০১৭-১৮) থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে পাইলট প্রকল্প ভিত্তিতে সর্বজনীন পেনশন চালুর। প্রস্তুতির অভাবে সেটি হয়নি। বলা হয়েছিল পরের বাজেটের কথা। সেই বাজেটও আসন্ন। আর এ অবস্থায় সর্বজনীন পেনশন নিয়ে খোদ অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করছেন অর্থ সচিবকে। বিষয়টি জানতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আসছে বাজেট থেকে সর্বজনীন পেনশন চালুর যে কথা ছিল, যথাযথ প্রস্তুতির অভাবে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। তবে নতুন বাজেটে সর্বজনীন পেনশনের ধরনটি কী হবে, কারা পাবেন, কারা বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ে একটি রূপরেখা থাকতে পারে বলে জানান সচিব।

মুসলিম চৌধুরী জানান, সর্বজনীন পেনশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হচ্ছে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি না হওয়া। তিনি বলেন, বেসরকারি কর্মজীবীদের পেনশনের টাকা তো সরকার দেবে না। পেনশনার দেবেন, মালিকপক্ষ দেবেন। সেই অর্থ বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ হবে। তার মুনাফা যোগ করে একটি অঙ্ক পেনশন হিসেবে দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের সেই বন্ড মার্কেটই তো তৈরি হয়নি, যেখানে আমরা পেনশনের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারি। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন চালুর আগে সেই পেনশন দেওয়ার জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। তহবিল গঠন করতে হবে। এসব প্রস্তুতির অভাবেই এবার বাজেটে সর্বজনীন পেনশন চালুর ঘোষণাটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান অর্থসচিব।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল— বেসরকারি খাতে পেনশন দেওয়া। সরকারের এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ২০১৪ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগকে বেসরকারি খাতের জন্য পেনশন স্কিম চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বেসরকারি পেনশন বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প ব্যাংকিং বিভাগ হাতে নেয়। এ লক্ষ্যে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেয় বিশ্বব্যাংক। অর্থমন্ত্রী সেটি অনুমোদনও দেন। কথা ছিল, সংস্থাটির টাকায় ‘প্রাইভেট পেনশন রেকর্ড কোম্পানি’ ও ‘প্রাইভেট পেনশন ট্রাস্ট’ গঠন করে বেসরকারি খাতকে পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে।

তবে প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে যখন ডিপিপি চাওয়া হয়, তখনই আপত্তি করে বসে অর্থ বিভাগ। তারা জানায়, যেহেতু সরকারি পেনশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগ, তাই এটি তাদের (অর্থ বিভাগ) মাধ্যমেই হওয়া উচিত। এরপর থেকে অর্থ বিভাগই দেখছে সর্বজনীন পেনশন বাস্তবায়নের বিষয়টি।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমদিকে বিষয়টি শুধু বেসরকারি খাতের কর্মজীবীদের পেনশন দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল; তবে এখন এটি বৃহত্তর পরিসরে সব নাগরিকের জন্য পেনশন স্কিম চালুর সিদ্ধান্তে রূপ নিয়েছে। ফলে এটি বাস্তবায়ন করতে আরও সময় লাগবে। সর্বজনীন পেনশন চালুর জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হবে-সেটিই এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা নেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপ জয়ী কাফুর বিশ্লেষণে ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা একাদশ

খেলার খবর: কাফু ব্রাজিলের একজন কিংবদন্তি ডিফেন্ডার। তিনি এমনই একজন ফুটবলার, যিনি ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনবার বিশ্বকাপ খেলে দুইবার ফিফা বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলীয় দলের সদস্য হওয়ার গৌরব আর্জন করেছেন। আর চারবার কোপা আমেরিকায় অংশ নিয়ে দুইবার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার খ্যাতি পান। তিনি ব্রাজিলের ২০০৬ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৪ এর মার্চ মাসে পেলে কাফুকে সেরা ১২৫ জন জীবিত ফুটবল খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে তারই সাজানো সর্বকালের সেরা ব্রাজিলিয়ান একাদশে তিনি নিজেকে রাখেননি।

তিনি যে একাদশ দিয়েছেন সেখানে তার পজিশন সেই রাইট ব্যাকের জায়গায় নাম রয়েছে কার্লোস আলবার্তোর। ব্রাজিলের ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক কার্লোস আলবার্তোকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বলা হয়। একাদশে আরও রয়েছে পেলে, জিকো, রোনালদো, রিভালদো, রবার্তো কার্লোসের মতো নাম। যারা দুটি করে বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য ছিলেন। তবে নেই দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা রোনালদিনহো কিংবা ২০০৭ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার কাকার নাম।

সেরা একাদশ:
গোলকিপার: টাফফেয়ারেল
ডিফেন্ডার: রবার্তো কার্লোস, আলদেয়ার, লুসিও, কার্লোস আলবার্তো
মিডফিল্ডার: ফ্যালকাও, রিভেলিনো, রিভালদো, জিকো
ফরোয়ার্ড: পেলে ও রোনালদো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভক্তের স্ত্রীকে যৌন হয়রানি; ভণ্ড ‘পীর’ গ্রেফতার

ভিন্ন স্বাদের খবর: শিষ্যের স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবু তাহের(৬৫) নামে ওই কথিত পীরকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় ভুক্তভোগীরা। শুধু শিষ্যের স্ত্রীকেই নয় আরও অনেক নারীকে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় ওই কথিত পীর। এছাড়া গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের নানা ধোঁকায় ফেলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আবু তাহেরের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউর গ্রামে।

সাটুরিয়া উপজেলার চরতিল্লি গ্রামের এক শিষ্যের অভিযোগ, তার স্ত্রীকে আবু তাহের প্রথমে কুপ্রস্তাব দেয়। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চান ওই শিষ্য। বুধবার ছিল শালিসের নির্ধারিত দিন। দুপুরে দিঘী ইউনিয়ন পরিষদে শালিসে উপস্থিত হন ভণ্ডপীরের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৩০টি পরিবার।

শালিস শুরু হলেও শিষ্যের স্ত্রী সাক্ষ্য দেয়ার আগ মুহূর্তে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রচণ্ড খিচুনীসহ তার মুখে রক্ত আসে। এরপরই হৈ-চৈ পড়ে যায়। তাদের ধারণা, পীরের বিরুদ্ধে যেন সাক্ষ্য না দিতে পারে এ জন্যই তিনি কেরামতি করে কিছু করেছেন। এর আগেও ওই গৃহবধূ কয়েক দফায় একইভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন। পীরের চিকিৎসাতেই পরে সুস্থ হন।

অসুস্থ নারীর স্বামী জানান, আবু তাহের তার পীর। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার স্ত্রীকে জীন দিয়ে এমন কষ্ট দিচ্ছেন। পরে ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা কথিত পীর আবু তাহেরকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শালিসে উপস্থিত একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আবু তাহের গ্রামের অনেক মেয়েকে নানা ফাঁদে ফেলে যৌন হয়রানি করেছেন।তার প্রথম স্ত্রী মারা গেলে জোর করে এক শিষ্যর মেয়েকে বিয়ে করেন। এছাড়া বিদেশে ভালো চাকরি, পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়া, মামলায় জামিন করানো, জমির খারিজ করে দেয়াসহ নানাভাবে তিনি গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা সবাই ভণ্ডপীর আবু তাহেরের বিচার দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্লোগান দেন।

দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিন মোল্লা জানান, আবু তাহের একজন ভণ্ডপীর। তার বিরুদ্ধে নারীদের যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। যৌন হয়রানির অভিযোগের বিচার ইউনিয়ন পরিষদে করার এখতিয়ার না থাকায় তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান জানান, কথিত পীর আবু তাহেরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছেন তার শিষ্য লুৎফর রহমান। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাকা চৌধুরীর বাসভবন ‘গুডস হিলে’ হামলা ও ভাঙচুর

ন্যাশনাল ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম শহরের বাড়ি গুডস হিলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৩০ মে) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরীর গণি বেকারি মোড় সংলগ্ন গুডস হিল পাহাড়ের ওপর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীদের বাড়ি। সেখানে সালাউদ্দিন ছাড়াও তার ভাই বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ চার ভাইয়ের এখানে বসবাস।

ফটিকছড়িতে একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ এ হামলা-ভাঙচুর চালায়। এসময় স্তায় নেমেও ছাত্রলীগ যানবাহন ভাংচুর এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এর আগে বিকালে ছাত্রলীগ গিয়াস কাদের চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানান, রাত ৮টার দিকে ৫০-৬০ জন তরুণ এসে মূল ফটক টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে।এ সময় তারা গার্ডরুম ও তার পাশের অফিস কক্ষে ভাংচুর করে। এরপর উপরে উঠে গ্যারেজে থাকা মাইক্রোবাস, পাজরো জিপ ও প্রাইভেট কারসহ আটটি গাড়ি ভাংচুর করে। হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে আসা ওই তরুণরা ভাংচুর চালিয়ে চলে যায়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। বুধবার ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চেয়েও শেখ হাসিনার বিদায় বা পরিণতি খারাপ হবে।’ এ ঘটনাকে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি বলে অভিহিত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রেস ৩’-এ দ্বৈত চরিত্রে সালমান খান!

বিনোদন ডেস্ক: কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, আসন্ন ‘রেস ৩’-এর শেষ অংশ গোপন রাখতে একাধিক শেষ দৃশ্য চিত্রায়ণ করেছেন পরিচালক রেমো ডি সুজা। তাই ‘রেস ৩’-এর মূল টিম ছাড়া কেউ জানে না রেস ৩-এর আসল শেষ অংশ কোনটি। তবে সেই একাধিক অংশের একটিতে রয়েছে বিশেষ চমক। ডিএনএ ইন্ডিয়াকে এমনটিই জানিয়েছে ছবিটির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।

সূত্রটি জানায়, ‘রেস ৩’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যেতে পারে সালমানকে। রেস সিরিজের আগের দুই পর্বকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে ‘রেস ৩’, সে জন্য বিশেষ চমকের ঘোষণা দিয়েছিলেন অভিনেতা সালমান খান ও পরিচালক রেমো ডি সুজা। তবে চমকটি কী হবে, তা প্রকাশ করেননি কেউ। সূত্রের খবরে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিয়েছেন অনেকেই। ধুন্ধুমার মারকুটে দৃশ্য ও স্টান্টের সঙ্গে দ্বৈত অবতারে হাজির হতে পারেন সালমান। যদিও ছবিটির ট্রেইলার থেকে এমন কিছু আন্দাজ করা যায়নি।

ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করছেন সালমান ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। ছবিটির নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ‘দোবারা সি ইউ ইভিল’খ্যাত তারকা সাকিব সেলিম। পর্দায় সাকিব সেলিমকে সঙ্গ দেবেন ‘জয় হো’-খ্যাত অভিনেত্রী ডেইজি শাহ। এ ছাড়া অভিনয় করতে যাচ্ছেন ববি দেওল। প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডে অভিনয় করা অনিল কাপুরও থাকছেন তৃতীয় খণ্ডে। ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে সালমানের বাবার চরিত্রে।

‘রেস’ সিরিজের প্রথম সিক্যুয়ালটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। সেটাতে অভিনয় করেছিলেন সাইফ আলি খান, বিপাশা বসু, অক্ষয় খান্না, ক্যাটরিনা কাইফ, অনিল কাপুর ও সামিরা রেড্ডি। পাঁচ বছর পর জন আব্রাহাম ও দীপিকা পাডুকোনকে নিয়ে ‘রেস’-এর দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পায়। ‘রেস’ সিরিজের প্রথম দুটি ছবি আব্বাস মাস্তান পরিচালনা করলেও এবারের পর্বটি পরিচালনা করতে যাচ্ছেন রেমো ডি সুজা। ঈদকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৫ জুন ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাগদান সেরেছেন দেব-রুক্মিনী!

বিনোদন ডেস্ক: দেব-রুক্মিনী। টলিউড সিনেমায় আলোচিত জুটি। তাদের বাস্তব জীবনের প্রেম নিয়ে মুখরোচক সব গল্পের অন্ত নেই। এই জুটিকে নিয়ে কখনো কখনো শোনা যায়, তারা বিয়ে করে ফেলেছেন। আবার কখনো শোনা যায়, বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের খবর সূত্রে জানা যায়, গোপনে বাগদান সেরে ফেলেছেন দেব-রুক্মিনী। রুক্মিনী নাকি এমনটা নিজের মুখে স্বীকারও করেছেন।

ওই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় তার নতুন ছবির জন্য টলিউড সুপারস্টার দেবের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে মিটিং করছিলেন। ওখানে হুট করে হাজির হন রুক্মিনী।

ব্যস হয়ে গেল এরপর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় রুক্মিনীকে প্রশ্ন করেন, ছবিতে দেবের সঙ্গে না থাকার পরেও কেন এসেছেন স্ক্রিপ্ট মিটিংয়ে? পাল্টা জবাবে এই নায়িকা উত্তর দেন এভাবে, শাশ্বত কেন তার মুভি প্রিমিয়ারে বউকে নিয়ে যান! সঙ্গে রুক্মিনী আরো জানিয়ে দেন, তিনি দেবের বাগদত্তা!

সুতরাং তিনি যে দেবের সব কিছুর সমান অংশীদার তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তখনই রুক্মিনীর সঙ্গে দেব তার বন্ধুত্বের ট্যাগ খুলে ফেলেন।

এরপর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রুক্মিনী তার বাগদত্তা। এরমধ্য দিয়ে, রুক্মিনীর বাম হাতের অনামিকায় (আঙুল) -এ ‘এনগেজমেন্ট আংটি’ নিয়ে যে জল্পনা ছিল, সেই জট এবার খুলে গেল। জানা গেল, অনেক আগেই নাকি বাগদান সেরেছেন দেব-রুক্মিনী। এখন টলিউড সিনে পাড়ার সবখানে এটা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুস্তাফিজকে পাপনের হুঁশিয়ারি

খেলার খবর: দেশে কিংবা দেশের বাহিরে বাংলাদেশের সেরা একাদশ সাজাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকদের। কেউ ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরছে কেউবা ইনজুরিতে পরে মাঠের বাইরে যাচ্ছে। ঠিক এরই মাঝে আইপিএল খেলতে গিয়ে ইনজুরির শিকার হয়ে দেশে ফিরেছে কার্টার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।

চলতি আইপিএলে সময়টা ভালো যায়নি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। খুব ভালো করতে পারেননি। অবশ্য খুব খারাপও করেননি। তবে দলের কম্বিনেশনের জন্য বেশ কিছু ম্যাচে তাকে বসে থাকতে হয়েছে তাকে কিন্তু শেষ ম্যাচে পায়ের আঙ্গুলে চোট পেয়েছেন তিনি। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে যায় কাঁটার মাস্টার।

এদিকে তার ইনজুরি নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পপান। তিনি দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে বলেন,‘মোস্তাফিজের বিষয়ে আমাদের অনেক সাবধান হতে হবে। খুব বেশি ছাড় দেয়া যাবে না। পরপর দুই বারই সে আইপিএল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছে। এ কারণে সে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোতে খেলতে পারছে না। আবার ওর চিকিৎসা করাতে হচ্ছে আমাদেরই। এইভাবে আসলে হয় না। বিষয়টি নিয়ে আমরা বোর্ডে আলোচনা করবো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest