সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

বদু কাকা তখন কোথায় ছিলেন?- বি. চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী

ভিন্ন স্বাদের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মুশতাকের অামলে সেনাপ্রধানে দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় অস্ত্রের মুখে তখনকার রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হয়ে হ্যাঁ না ভোট দিয়েছিলেন। এধরনের ভোটের ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। আজকে বদু কাকা (বি.চৌধুরী) নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কথা বলছেন। তখন বদু কাকা কোথায় ছিলেন!

বুধবার বিকেলে নির্বাচনের আগে বি চৌধুরীর জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

বি. চৌধুরীকে ‘বদু কাকা’ সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর বদু কাকাকে সাথে নিয়ে ভোটের নামে প্রহসন করেছিলেন। তিনি কি জিয়ার আমলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ৭৯ সালের নির্বাচনের কথা ভুলে গেছেন? অবশ্য তাঁকেও বেশি দিন রাখেননি খালেদা জিয়া। বিদায় নিতে হয়েছে। এখন সব ভুলে গিয়ে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন। আসলে একটা কথা আছে না, ‘ওরে মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না।’

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া মুচলেকা লিখে দিলো গ্যাস বিক্রি করবে ক্ষমতা এলো। গ্যাস তুলতে চেয়েছিলেন আমেরিকান কোম্পানী, তা আবার ভারতের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিল, ভারত ও আমেরিকার এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম আমি, খালেদা জিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল।

তিনি বলেন, ভারত আমাকে ক্ষমতায় আনবে কী আনবে না সেটা জানি না। ২০০১ সালে আমেরিকান কোম্পানী এখানে গ্যাস উত্তোলন করেছিল এখানে, সেই গ্যাস বিক্রি করবে ভারতের কাছে। আমি কিন্তু রাজি হয়নি, খালেদা জিয়া লিখে দিয়ে এসেছিলে। আমি বলেছিলাম গ্যাসের মালিক এ দেশের জনগণ।
আমি শুধু বললাম আল্লাহ্ মন বুঝে ধন দেয়। আমি মুচলেকা দেওয়া দলের নই।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে দুই দিনের সরকারি সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে শান্তি নিকেতনে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ভবন’ উদ্বোধন করেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন এবং বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট (ডক্টর অফ লিটারেচার) ডিগ্রি গ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিখ্যাত ‘পাকিজা’ অভিনেত্রী গীতা কাপুরের করুণ মৃত্যু

বিনোদন ডেস্ক: ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা। করেছেন শতাধিক জনপ্রিয় ছবি। উপমহাদেশের বিখ্যাত ছবি ‘পাকিজা’র অভিনেত্রী তিনি। গত শনিবার মারা পাকিজা খ্যাত গীতা কাপুর। গীতা কাপুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেখতে আসেননি তার ছেলে। মৃত্যুর পর ৩০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ছেলে না আসায় মেয়েই করেন তার শেষকৃত্য।

৫৮ বছর বয়সে মারা যাওয়া এ অভিনেত্রী জীবনের শেষ দিনগুলো পরিবার ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়েছেন। ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত বৃদ্ধাশ্রমে গত এক বছর ধরে সন্তানদের একনজর দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অভিনেত্রী। অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ছেলে রাজা কাপুরের মুখটি একবারের জন্য দেখবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের জন্য তো নয়ই, তার শেষকৃত্যেও পৌঁছাল না পাষণ্ড এই ছেলে।

মায়ের প্রতি প্রায় একইরকম উদাসীন মেয়ে আরাধ্যাও। তবে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মানবিকতা দেখিয়ে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন গীতা কাপুরের মেয়ে।

গত বছরের মে মাসের এক দুপুরে গীতা কাপুরকে অসুস্থ অবস্থায় মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান তার ছেলে রাজা। এরপর এটিএম কার্ড থেকে টাকা তুলে আনার কথা বলে মাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় ছেলে।

পরে সেখান থেকে গীতাকে উদ্ধার করেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত। মৃত্যুর আগে সেই খ্যাতনামা অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ছেলে রাজা প্রায়ই তাকে মারতেন। দিনের পর দিন তাকে অনাহারে রাখতেন। চারদিন পর একবার তাকে খেতে দেওয়া হতো।

সত্তরের দশকে ভারতের নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন গীতা কাপুর। এক সময় বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ‘পাকিজা’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তোষিকে কাইফু: আজ বুধবার চায়না বাংলার চায়না কিচেনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক রুহুল হক এমপি।

তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ২৫০ বেড থেকে ৫০০ বেডে করে দিয়েছেন।নলতায় প্যারা মেডিকেল করে দিয়েছেন, সারা দেশ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে দিয়েছেন।
চিকিৎসকদের প্রতি তিনি বলেন,সাতক্ষীরার কোন মানুষ যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

এছাড়াও তিনি নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন,তোমরা একটি এলিট শ্রেণি। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার তোমরা।তোমাদের দায়িত্ব অনেক।
ডাক্তারদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনাদের বেশি বেশি প্রাকটিস করতে হবে।কোন অসহায় মানুষ যেন বঞ্চিত না হয় আপনাদের সেবা থেকে।
সাতক্ষীরা জেলা শাখা স্বাচিপের সভাপতি ডা: মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা: মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: কাজী হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা: তৌহিদুর রহমান, ডা:শাহাজান আলী প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে সাতক্ষীরা জেলা স্বাচিপের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাইকোর্ট বিভাগে ১৮ অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ

ন্যাশনাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৮ জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

বুধবার (৩০ মে) আইন ও বিচার বিভাগ সচিব এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে দুই বছরের জন্য ১৮ অতিরিক্ত বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হলো। শপথের দিন থেকে তাদের নিয়োগ কার্যকর হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গডফাদার-ডন, কেউ ছাড় পাবে না

ন্যাশনাল ডেস্ক: মাদক নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান সাঁড়াশি অভিযান চলবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদকের সঙ্গে যে-ই জড়িত থাক, গডফাদার-ডন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি।
সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে বুধবার (৩০ মে) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক সমাজে একটা ব্যাধির মতো। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাও মাদকের বিরুদ্ধে লিখেছেন, এখন যে-ই অভিযান শুরু করলাম, আবার এটা নিয়ে কথা উঠলো। এটা কেন? আর কে গডফাদার, ডন, কে কার ভাই -আত্মীয়, এসব আমি কখনো দেখিনি, দেখবো না। কেউ ছাড় পাবে না।

তিনি বলেন, এ অভিযানে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের ওপর গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু কোনো পত্রিকা কি লিখেছে তা? তা কিন্তু বলা হয় না।

‘আর যখন কোথাও পুলিশ- র‍্যাব অভিযানে যায়, সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, কোনো নিরীহ ব্যক্তি শিকার হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো। যদি বলেন, ভেজালবিরোধী-মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধ করে দিই। ছেলে মাকে, বাবাকে হত্যা করছে মাদকের কারণে। এ ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটে।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীকে এ সফরে ডি.লিট ডিগ্রিতে সম্মানিত করে।

এজন্য অভিনন্দন জানিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি পুরস্কার আরও পেয়েছেন, আরও পাবেন, কিন্তু যে পুরস্কারের প্রাপ্য আপনি, তা এখনও পাননি, সেটা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এজন্য এখন থেকেই প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানাই।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো পুরস্কারের প্রতি আমার প্রবৃত্তি নেই। আমি চাই আমার দেশের মানুষ যেন দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারে। আর কোনো পুরস্কারের জন্য লবিস্ট নিয়োগের আর্থিক সামর্থ্যও নেই আমার। সামর্থ্য থাকলেও এসব আমি সমর্থন করি না।

বরং টাকা থাকলে আমার গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই।

সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, এতে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কথা হয়েছে কি-না, প্রশ্ন করা হলে সরকারপ্রধান বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়েছি বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে, সেদিকেই আমাদের গুরুত্ব ছিল। আর তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আমাদের দু’দেশের যৌথ নদী কমিশন আছে, সেখানে আলোচনা চলছে।

এই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের সাজা মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি!

ন্যাশনাল ডেস্ক: শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা মওকুফ করে রাষ্ট্রপতি তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অত্যন্ত গোপনে কারামুক্ত হয়ে জোসেফ ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলেও খবর বেরিয়েছে।

তবে তার অবস্থান সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য জানাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার (৩০ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

জোসেফ এখন কোথায়? এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জোসেফের যে প্রসঙ্গটা.., তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি অলরেডি ২০ বছর কারাভোগ করেছেন। ২০ বছর কারাভোগের পরই তিনি ডিউ প্রসেসে, যেভাবে প্রসেস হয় সেভাবে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনটি রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত যাচ্ছে।

একজন সাংবাদিক বলেন, জোসেফ ভারতে চলে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ইন্ডিয়াতে চলে গেছে আপনি দেখেছেন নাকি? ওই সাংবাদিক তখন বলেন, আমি দেখিনি।

সাংবাদিকেরা আরও স্পষ্ট করে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (জোসেফ) আবেদন করেছিলেন ভয়ানক অসুস্থ, এক বছর না দেড় বছর বাকি ছিল (সাজা), এক বছর কয়েক মাস। সেটার জন্য তিনি মার্সি পিটিশন করেছিলেন, সেই মার্সি পিটিশন খুব সম্ভব রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন, এক বছর কয়েক দিন, তার কিছু অর্থদণ্ডও ছিল। সেগুলো আদায় সাপেক্ষে তাকে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা করার পারমিশন দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এটুকু আমি জানি, এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জোসেফ। সেখান থেকেই মুক্তি পান বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।

১৯৯৯ সালের একটি হত্যাকাণ্ডে জোসেফের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, হাইকোর্টও এ রায় বহাল রাখেন। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। এখনো সেই সাজা ভোগ করা বাকি আছে প্রায় ২০ বছর। তার সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ ছিল ২০৩৯ সালের ২৪ জানুয়ারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি’

ন্যাশনাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যখন যা ধরি, ভালো করেই ধরি।’

ভারত সফর নিয়ে বুধবার (৩০ মে) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময়ও অনেকে সমালোচনা করেছিল। সমালোচনার ভয়ে সে অভিযান বন্ধ হয়নি; মাদকবিরোধী অভিযানও বন্ধ হবে না।’

মাদক সমাজের জন্য একটা ব্যাধির মতো মন্তব্য করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে আপনারা পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। আপনারা কি চান, অভিযান চলুক নাকি বন্ধ হয়ে যাক? খুব স্বাভাবিক যে, এই ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটবেই। এ পর্যন্ত যে কয়টা ঘটনা হয়েছে, মনে হয় না একটাও নিরীহ ব্যক্তি শিকার হয়েছে।’

সমাজ থেকে মাদক দূর করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যখন পুলিশ-র‌্যাব একটা অভিযানে যায়, তখন তাদের একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আর সে ঘটনায় যদি কোনও কিছু ঘটেই থাকে, আর সেখানে যদি অন্যায়ভাবে কিছু ঘটে থাকে, তাহলে তাদের কিন্তু বিচার হয়। এসব অভিযানে কোনও নিরীহ ব্যক্তি শিকার হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু সমাজ থেকে মাদক দূর করতে হবে।’ বুধবার (৩০ মে) বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মাদক সমাজে একটি ব্যাধির মতো। আপনারাই পত্রপত্রিকায় লিখেছেন এই মাদকের বিরুদ্ধে। আবার আজকে যখন মাদকবিরোধী অভিযান চলছে, তখন আবার আপনারাই কোনটা কীভাবে হচ্ছে না হচ্ছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার শুরু করছেন। আপনারা কোনটা চান, অভিযান চলুক, না বন্ধ হয়ে যাক? আইনগতভাবে যেটা, সেটা প্রায় কয়েক হাজার মাদক পাচারকারী, সেবনকারী ও সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দশ হাজারের ওপরে কিন্তু ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অবাক হলাম, কত গ্রেফতার হলো, আপনারা কিন্তু সেটা উল্লেখ করেন না। বন্দুকের ব্যবহারের কথা যেটা বলছেন, সাধারণভাবে সেখানে যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, আপনারা বলবেন, আইনগতভাবে সেটা ঠিক না।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা অভিযান চালাতে গিয়ে যদি কোনও ঘটনা ঘটে, সেটাই বড় করে যদি দেখান, তাহলে বলেন, বন্ধ করে দেই? ভেজালবিরোধী-মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধ করে দেই? তাহলে কি সমাজ খুব ভালো থাকবে? সেই জবাবটা আপনারা আমাকে দিন।’

আজ মেয়ে বাবা-মাকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ছেলে মাকে হত্যা করছে। ভাই ভাইকে হত্যা করছে এই মাদকের কারণে। এই মাদক নিয়ে সমাজে একটা হাহাকার। তার বিরুদ্ধে কি অভিযান চালানো যাবে না? আপনারা দেখুন, কতজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কতজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে। আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। খুব স্বাভাবিক, এই ধরনের একটা অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটনা ঘটতেই পারে। কোনটা বড় করে দেখবেন? অভিযানটা? না মাদক বন্ধ করা?’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছি, তখনও কিন্তু একই প্রশ্ন এসেছে। এখন সন্ত্রাস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। অনেক দেশেই অনেক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই মাদকবিরোধী যে অভিযান চলছে, তাতে সারাদেশের মানুষ কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, দুই দিনের ভারত সফর শেষে গত শনিবার (২৬ মে) রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত শুক্রবার (২৫ মে) তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেন। সফরকালে তিনি বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন তারা। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

দেশে ফেরার আগে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন। তিস্তাচুক্তি বা অন্যান্য বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীউলা আ’লীগের নেতা বুলুর অসুস্থ পিতার শয্যা পাশে ডা: রুহুল হক এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্রীউলা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বুলু,আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের নেতা সাইফুল ইসলাম বাবলুর অসুস্থ পিতা কে দেখতে গেলেন ডা: আফম রুহুল হক এমপি। বুধবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ মোড়লকে দেখতে যান তিনি। এসময় তার সার্বিক বিষয় খোজ-খবর নেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সাতক্ষীরা -০৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: রুহুল হক এমপি।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব আব্দুস সালাম মোড়ল হঠাৎ হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁকে ডা: আরিফ আহম্মেদের দায়িত্বে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসময় ডা: রুহুল হক এমপি বলেন,তাকে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে এবং তিনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন বলে আশা করি। প্রয়োজন হলে ভাইকে আমি ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাব। সবাই ভাইয়ের প্রতি খেয়াল রাখবেন ও দোয়া করবেন।

৩০.০৫.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest