সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

যেসব কারণে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়লেন জিদান

খেলার খবর: রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে সফল কোচ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় জিনেদিন জিদানকে। বার্সেলোনার সঙ্গে লড়াই করার মতো রিয়ালে একটা দল তৈরি করেন জিদান। তার অধীনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে টানা তিনটি শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়ালকে একের পর এক সফলতা এনে দেয়া এই কোচ হঠাৎ করেই ঘোষণা দেন মাদ্রিদ ছাড়ার।

বৃহস্পতিবার জিনেদিন জিদানের অনুরোধে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিয়াল মাদ্রিদ। সংবাদ সম্মেলনে জিদান বলেন, আমার কাছে মনে হয় রিয়াল ছাড়ার এটাই সেরা সময়। জয়ের ধারায় থেকে বিদায় নেয়াটা উপযুক্ত মুহূর্ত।

মাত্র আড়াই বছরে ৯টি শিরোপা এনে দিয়েছেন জিদান। এমন সাফল্যও তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায়নি। বিস্মিত ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে পাশে নিয়ে ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জিদান।

ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন জিনেদিন জিদান-

তিনি বলেন, আগামী মৌসুমে আমি আর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকব না। এ দলের জয় অব্যাহত থাকা উচিত কিন্তু তিন বছর কাটানোর পর একটা পরিবর্তন দরকার। একটু ভিন্ন কিছু, ভিন্ন এক বার্তা। সব ব্যাপারে ভিন্নভাবে এগোনোর চিন্তা। আমি জানি, এটার সঙ্গে জড়িত সবার জন্য খুব অদ্ভুত এক সময় এটি। কিন্তু আমার মনে হয়, এটাই সঠিক সময়।

‘এ কারণেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্লাবকে আমি ভালোবাসি এবং সভাপতিকেও। তিনি আমাকে এত বিশাল এক ক্লাবে এনেছেন এবং আমি এ জন্য সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, একটা পরিবর্তন দরকার। তাই আগামী মৌসুমে থাকছি না।’

জিনেদিন জিদান বলেন, আমি যদিও আগামী মৌসুমে এখানে ম্যানেজার থাকতাম, তাহলে আমাদের জন্য খুব কঠিন হতো কোনো শিরোপা জেতা। এ মৌসুমে কোপাতেই দেখেছেন এটা। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের কথা ভুলে যেতে পারেন না আপনি। আপনাকে জানতে হবে কখন থামতে হয়। দলের জন্য এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আমি কোচিং করে ক্লান্ত না। আমি তিন বছর ধরে ম্যানেজারের দায়িত্বে আছি কিন্তু এ ক্লাব ছাড়ার এটাই সময়।

তিনি বলেন, অবশ্যই আমি ফিরতে পারি। আমি সব সময় এ ক্লাবের কাছেই থাকব, কারণ এটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের ক্লাব। অনেকেই বুঝতে চাইবে না কিন্তু এটাই সঠিক সময়। খেলোয়াড়দের জন্যও। আমি কীভাবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আরও বেশি চাই? বড় খেলোয়াড়দেরও পরিবর্তন দরকার।

‘আমরা অনেক কঠিন সময় কাটিয়েছি। মাঝে মাঝে অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু সমর্থকদের কাছ থেকে মাঝে মাঝে এটাও দরকার হয়। কখনো খেলোয়াড়দেরও এটা দেখা দরকার।’

‘আমরা স্কোয়াডের শক্তি বাড়ানো নিয়ে কথা বলেছি উল্লেখ করে জিদান বলেন, নতুন খেলোয়াড় আনা নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এ কারণে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু কোচিং করতে চাইলে, এটাও তো কাজের অংশ। পরিবর্তন দরকার। কিন্তু আমি এর মধ্যে জড়াব না। আমি এ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আসিনি।

তিনি বলেন, কিছুই না। দলের যে চাহিদা, সেটা অনেক চাপ ফেলে। সেদিন (চুক্তি নবায়ন করার কথা বলার দিন) হয়তো এমনটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে আমার ভিন্ন কিছু মনে হয়েছে, মত পরিবর্তন করেছি। আমি সব সময় বলেছি, এ ক্লাবে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে এবং আমার সময় শেষ হয়েছে।

জিদান বলেন, আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত হলো যখন আমি খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে যোগ দিলাম। খেলোয়াড় হিসেবে এখানে আমার শেষটা ভালো হয়েছে এবং কোচ হিসেবেও সেটাই হয়েছে। আমি সার্জিও রামোসের সঙ্গে খেলেছি এবং সে আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করে।

আমি কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি সৎ থাকার চেষ্টা করেছি জানিয়ে জিদান বলেন, ক্লাবকে গর্বিত করার চেষ্টা করেছি। আমি সব সময় আমার খেলোয়াড়ের সম্মান পেয়েছি এবং এটা ছাড়া কিছু অর্জন করা কঠিন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই কিন্তু তিন বছর ধরে এত উচ্চমান ধরে রাখা কঠিন। আমি জন্মগতভাবে বিজয়ী এবং আমি জিততে ভালোবাসি। আমি হারতে অপছন্দ করি। যখনই মনে হয়েছে আমি জিতব না, তখনই মনে হয়েছে পরিবর্তন দরকার। এই খেলোয়াড় কিংবা ওই খেলোয়াড়কে বদলানোর সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি নিজেই চলে যাব বলেছি।

রিয়ালের হয়ে কোচ জিদানের সাফল্য-

ম্যাচ:১৪৯

জয়: ১০৪

ড্র: ২৯

হার: ১৬

গোল: ৩৯৩

শিরোপা: ৯

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘টেকনাফে একরাম হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত’ -সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী আয়েশা

ন্যাশনাল ডেস্ক: টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেছেন, তার স্বামীর হত্যাকাণ্ড পূর্ব-পরিকল্পিত। তিনি গতকাল কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন এবং হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন একরামের স্কুলপড়ুয়া দুই মেয়ে তাহিয়া ও নাহিয়ান। তারা দুজনই ‘আব্বু আব্বু’ বলে আহাজারি করছিল। তাদের আহাজারিতে সাংবাদিকরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা ‘জমি কেনার বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা আছে’ বলে ২৬ মে রাত ৯টার দিকে তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন। ফোনে একরামকে হোটেল নেটিংয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। এই কর্মকর্তাটি দুই সপ্তাহ ধরে একরামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। আয়েশা বেগম দাবি করেন যে, পরবর্তী ঘটনাগুলো তার মোবাইল কল রেকর্ডে রয়েছে।

তিনি জানান, রাত ১১টা ৩২ মিনিটের পর একরামকে গুলি করা হত্যা করা হয়। রাত ১১টা ৩২ মিনিটে একরামের নম্বরে তার মেয়ে ফোন করলে তা কোনো এক ব্যক্তি রিসিভ করে। কিন্তু একরাম কথা বলতে পারেননি। অপর প্রান্ত থেকে অপরিচিত এক কণ্ঠ শোনা যায়, ‘তাহলে তুমি জড়িত নও’। আর একরামের কণ্ঠে শোনা যায় ‘না আমি জড়িত নই’। এরপরে গুলির আওয়াজ এবং একরামের আর্তচিৎকার শোনা যায়।

কিছুক্ষণ পর কয়েক ব্যক্তির কথাবার্তা শোনা যায়। তাদের একজন বলে ‘এখন গাড়িতে গুলি কর’। এর আগে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে একরামের মোবাইলে ফোন করলে তিনি মেয়েকে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, ‘মা আমি নীলা যাচ্ছি। আমি যাদের সঙ্গে এসেছিলাম সেই মেজর সাহেবের সঙ্গে নীলা যাচ্ছি।’

আয়েশা বেগম বলেন, মোবাইলের ভয়েস রেকর্ড যাচাই করলেই প্রমাণিত হবে, বন্দুকযুদ্ধ নয়। একরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার স্বামী কখনো ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না। তার কোনো অঢেল সম্পত্তি ছিল না। তার ব্যাংক ব্যালেন্স বা তার সম্পদ অস্বাভাবিক কিছু নেই। প্রতি মাসে মেয়েদের টিউশন ফি আর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে গিয়ে একরামকে হিমশিম খেতে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আয়েশা বেগম বলেন, তার স্বামী সারাটা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যয় করেছেন। নিজের এবং দলের সম্মান নষ্ট হয় এ রকম কোনো কাজ তিনি কখনো করেননি। এখন অকালে পিতৃহারা দুই কন্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। আয়েশা বেগম বলেন, আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। চাই সন্তানদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় ও সুরক্ষা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালী পাড়া এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ কায়ুকখালি পাড়ার আবদুস সাত্তারের পুত্র একরামুল হক (৪৬) নিহত হন। তিনি টেকনাফ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ৩ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ‘ইয়াবাসহ’ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ২০ পিচ ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের কথা জানিয়েছেপুলিশ। সে উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের চাঁদখালি গ্রামের শামছুর গাইন এর ছেলে বাবলু (২৮)।

থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের আমিয়ান সাইক্লোন শেল্টারের সামনে অভিযান চালায়। এসময় মাদক বিক্রয়রত অবস্থায় ২০ পিচ ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী বাবলুকে আটক করে। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রাজীব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মাদক দ্রব্য নিয়ত্রণ আইনে বাবলুর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর-২৫)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে দুই মাদকসেবীর জরিমানা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে মাদকসেবনের অপরাধে আটক দুই মাদকসেবীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা হলেন উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামের শাহাজান গাইন এর ছেলে রেদওয়ান রিগান (৩০) এবং উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের মো শোকর এর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩১)। থানা সূত্রে যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে থানার উপ-পরিদর্শক নেওয়াজ মোহাম্মদ খান এর নেতৃত্বে পুলিশ দেয়া ফুটবল মাঠে অভিযান পরিচালনা করে মাদকসেবনরত অবস্থায় রেদওয়ানকে আটক করে।পৃথক অভিযানে দুপুর ১টার দিকে উজিরপুর বাজার এলাকা থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় আশরাফুলকে আটক করে। পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুর আহম্মেদ মাছুম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদক সেবনের অপরাধে তাদের দুইজনকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে নকল প্রসাধনী তৈরির অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরীর অপরাধে মুরশিদ আলী (৪৫) নামের এক ব্যাক্তিকে ৬ কারাদন্ড প্রদান করেছে এবং বিভিন্ন প্রকার উপকরন সহ মালামাল বিনিষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে উপজেলার তারালী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মৃত সলেমান আলীর ছেলে। থানার উপ-পরিদর্শক নেওয়াজ মোহম্মদ খান জানান বৃহস্পতিবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্মেদ মাছুম ওই নকল প্রসাধনী তৈরিকারি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নকল ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরির গুড়া।ফাস্ট সুপার ষ্টেল তৈরির জেলি ও ৫ থেকে ৭ শত খালি প্যাকেট এবং ফেস ওয়াশ তৈরির জন্য কেম্যিকেল ও বিভিন্ন ধরনের ৮ থেকে ৯ হাজার খালি প্যাকেট।চক পাউডার ও পাঞ্চিৎ করার মেশিন সহ রুলিং মেশিন এবং বিভিন্ন ধরনের সিল উদ্ধার করেন।পরবর্তীতে নকল প্রসাধনী তৈরির মালামাল ও তৈরির বিভিন্ন সারঞ্জম রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৬ মাসের কারদন্ড ও উদ্ধারকৃত নকল সারঞ্জম সহ মালামাল বিনিষ্ট করার নির্দেশদেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাড়ি সুবিধা পাচ্ছেন ১২৮ অতিরিক্ত জেলা জজ

ন্যাশনাল ডেস্ক: দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন ১২৮ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ। তাদের গাড়ি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম স্বারিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৬৪টি জেলায় অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদায় কর্মরত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে আসলেও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজরা ওই সুবিধা পেতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ছিল হতাশা। এ হতাশা দূর করার জন্য বিচার বিভাগীয় একটি অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অতিরিক্ত জেলা জজদের সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে নির্দেশ দেন। এরপর চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালত/ মহানগর দায়রা জজ আদালতের টিওএন্ডই-তে ১২৮টি গাড়ি (কার) অন্তর্ভুক্তকরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনার সাথে থাকুন, আশাশুনিকে আরও উন্নত করা হবে- ডা. রুহুল হক এমপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : “আশাশুনির উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আশাশুনি এতিম ছেলে-মেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তন সভা কক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা: আ,ফ,ম রুহুল হক।
এসময় তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের অসংগতি ও নানাবিধ সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়। আশাশুনিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক উন্নয়ন কর্মকা- চলমান রয়েছে। অনেকগুলো প্রকল্প একনেকে পাশ হয়েছে। শেখ হাসিনার সাথে থাকুন, আশাশুনিকে আরও উন্নত করা হবে।” এসময় তিনি বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি তার বক্তব্যে, আশাশুনির নানাবিধ উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “নৌকার সাথে থাকা মানে উন্নয়নের সাথে থাকা। বিগত কয়েক বছরে আশাশুনি উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকা- সম্পন্ন হয়েছে। সাংবাদিকদেরকে লেখনির মাধ্যমে সেগুলো মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডেইলি সাতক্ষীরা সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান মাসুম, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাহবুবুল আলম খোকন, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, এলজিইডি প্রকৌশলী আক্তার হোসেন, আশাশুনি এতিম ছেলে মেয়েদের কারীগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিডি মোঃ আব্দুল লতিফ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এমদাদুল হক, আশাশুনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ হান্নান, সহকারী পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, আশাশুনি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, আশাশুনি প্রেস ক্লাব উপদেষ্টা এ কে এম এমদাদুল হক, আশাশুনি যুব মহিলালীগের সভানেত্রী সীমা সিদ্দীকি প্রমুখ। ইফতার পূর্ব দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক ও থানা জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মোঃ বাকী বিল্লাহ। আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম এর পরিচালনায় এসময় আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধানদিয়ায় দুর্যোগে বাজেট রবাদ্দ রাখার লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বৃহস্পতিবার ধানদিয়া ইউনিয়নে পরিষদ হলরুমে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ইউনিয়নের বার্ষিক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অ´ফ্যাম বাংলাদেশের সহযোগিতায় আশ্রয় ফাউন্ডেশনের এবং সিডো সাতক্ষীরা এলনা প্রকল্প বাস্তবায়নে সভায় সভাপতিত্ব করেন আরিফুল আমিন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ধানদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ইউপি সচিব মহাসিন কবির, ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার, সিডো প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ^াস।
প্রধান অতিথি বলেন, ধানদিয়া ইউনিয়ন তালা উপজেলার দুর্যোগ প্রবন ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এবং এলাকায় সম্পদের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সুতরাং দুর্যোগে মানবিক সহায়তার জন্য ধানদিয়া ইউনিয়নের বার্ষিক বাজেটে ৪লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখার ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। এখানে রিসোর্স পারসন হিসাবে দুর্যোগে মানবিক সহায়তা রাখার প্রয়োজনীতা সহ দুর্যোগের প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন বনশ্রী ভান্ডারী। অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতায় হিসাবে ছিলেন, হুমায়ুন কবির, প্রোগ্রাম অফিসার, আশ্রয় ফাউন্ডেশন, আবুল কাসেম, প্রোগ্রাম অফিসার, সিডো ও সুকান্ত মন্ডল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest