সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

পৃথিবীর সবচেয়ে জনবিচ্ছিন্ন আদিম উপজাতি!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: ইন্দোনেশিয়ার ‘দানি’ উপজাতি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবিচ্ছিন্ন আদিম উপজাতি। জনজীবনের সঙ্গে ওদের কোনও যোগ নেই। এই উপজাতির মধ্যে প্রচলন রয়েছে অদ্ভুত কিছু রীতি।

কোনও আত্মীয় মারা গেলে এই দানি উপজাতির নারীদের হাতের আঙুল কেটে দেওয়া হয়। পুরুষরা পরেন অদ্ভুত পোশাক। পুরুষদের সেই বিশেষ পোশাকের নাম কোটেকা।

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম নিউ গিনির প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস এই দানি উপজাতির। মার্কিন ফিলানথ্রপিস্ট রিচার্ড আর্চবোল্ড ১৯৩৮ সালে অভিযানের সময় এই উপজাতির খোঁজ পান।

এই উপজাতির মানুষরা বছরে একটি অদ্ভুত উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন। ওই অঞ্চলের অন্যান্য উপজাতির মানুষদের সঙ্গে তারা একটি ছদ্ম যুদ্ধ করে থাকে। যার নাম বালিয়েম ভ্যালি ফেস্টিভ্যাল। দানি, ইয়ালি ও লানি উপজাতির মানুষরা এই সময় পুরোদস্তুর যুদ্ধের সাজে নিজেদের সাজিয়ে তোলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহাভারতের সময় থেকেই সাংবাদিকতা শুরু : বিজেপি নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহাভারতের সময় থেকেই সাংবাদিকতা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। তিনি বলেছেন, মহাভারতের সময় থেকেই সরাসরি সম্প্রচার হতো। তাই সেই সময় থেকেই শুরু হয় সাংবাদিকতা।

গতকাল বুধবার উত্তরপ্রদেশের মথুরায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী।

দীনেশ শর্মা বলেন, মহাভারতে হস্তিনাপুরে বসে সঞ্জয় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের বিবরণ ধৃতরাষ্ট্রকে দিতেন। সেটা কী করে সম্ভব? এটা সরাসরি সম্প্রচার ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।

দীনেশ শর্মা আরো দাবি করেন, ওই আমলে আজকের দিনের গুগুল সার্চের মতো কাজ করতেন হিন্দু ধর্মের নারদ মুনি। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব খবরাখবর নারদ মুনির কাছেই পাওয়া যেত। মুখে নারায়ণ নারায়ণ বলে তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারতেন।

এর আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন, মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ছিল। এবারে তাঁর পথ ধরেই হাঁটলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গিনেস বুকে বিশ্বের দীর্ঘ আইসক্রিম

ভিন্ন স্বাদের খবর: গ্রীষ্মের তীব্র গরম থেকে শুরু করে কনকনে শীত- যেকোনো সময়েই আইসক্রিম খাবার লোভ সামলানো কঠিন। তাই বলে ১৩৮৬.৬২ মিটার দীর্ঘ আইসক্রিম! হ্যাঁ, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উৎসব উপলক্ষে বানানো হয়েছে এই বিশেষ মাপের ডেজার্ট।

জানা গেছে, কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবকের অবদান রয়েছে এই ডেজার্টটি তৈরির পেছনে। আইসক্রিমটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৩৮৬.৬২ মিটার। বিশালাকার এই আইসক্রিমটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০ গ্যালন ভ্যানিলা ও ক্যান্ডি ক্রাঞ্চ চকোলেট, ৩০০ গ্যালন চকোলেট ও স্ট্রবেরি সিরাপ। আর সুস্বাদু করতে ব্যবহার করা হয়েছে দুই হাজার ক্যান হুইপ্ট ক্রিম, ২৫ পাউন্ড স্প্রিংকলস ও ২০ হাজার চেরি ফল।

এদিকে, গিনেস বুক অব রেকর্ডের বিচারক ক্রিস্টিনা কোনলোন আইসক্রিমটি সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে কিনা ও সব উপাদান সমানভাবে আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

দেশটির টেক্সাস উৎসব উপলক্ষে বানানো হয়েছে এই বিশেষ মাপের ডেজার্ট। হাজার হাজার ভলান্টিয়ার একসঙ্গে কাজ করে তৈরি করেছেন ১৩৮৬ দশমিক ৬২ মিটার লম্বা আইসক্রিম। খবর ডেইলি হান্ট। তার পরীক্ষার পরেই সার্টিফিকেট দেয়া হয়।

এই বিশেষ এই সম্মাননার পরই উপস্থিত প্রায় চার হাজার মানুষ এর স্বাদ উপভোগ করেন এবং মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই আইসক্রিমটি শেষ হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেএসসি-জেডিসিতে কমলো ২০০ নম্বর

শিক্ষা সংবাদ: এ বছর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা থেকে নম্বর ও বিষয় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সুপারিশের আলোকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা থেকে সাতটি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করেছে। সেটি আমরা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এরমধ্যে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১৫০ নম্বরে এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৫০ নম্বরে পরীক্ষা হতো। সেখান থেকে বাংলায় ৫০ এবং ইংরেজিতে ৫০ কমিয়ে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর চতুর্থ বিষয় ১০০ নম্বরকে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়নে নেয়া হয়। ফলে এখন থেকে জেএসসিতে ২০০ নম্বর কমে ৬৫০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। আর জেডিসিতে আগে ১০৫০ নম্বরের পরীক্ষা হতো। এখন থেকে ৮৫০ নম্বর পরীক্ষা হবে। সর্বমোট ২০০ নম্বর কমানো হয়েছে জেএসসি ও জেডিসিতে।

শিক্ষাসচিব বলেন, জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এখন দুই পত্রের জন্য দুটি পরীক্ষা হয়, দুটি পত্র মিলিয়ে মোট নম্বর থাকে ১৫০। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতো আগের নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের উপর লেখাপড়ায় চাপ দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় বিষয় ও নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখানে শিখন ফলাফল অক্ষুণ্ন রেখে নম্বর এবং বিষয় কমানো হয়েছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী সঠিক শিক্ষাটা আয়ত্ব করতে পারে। শিক্ষার লক্ষ্য যেন ব্যাহত না হয়। বিভিন্ন বোর্ড চেয়ারম্যানদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিষয় এবং নম্বর কমানো হয়েছে। সে অনুযায়ী সিলেবাসও তৈরি করা হবে। যেহেতু বিষয় এবং নম্বর কমানো হয়েছে তাই শিক্ষার্থীদের উপর এর কোনো চাপ পড়বে না।

শিক্ষাসচিব বলেন, ২০১৯ সালে আমরা কারিকুলামে হাত দেবো। তখন আরও বড় আকারে বিষয় কমবে। কারণ তখন আমরা সবকিছু ভাবনা চিন্তায় রেখেই কারিকুলাম করবো। যাতে শিক্ষার্থীরা চাপে না পড়ে।

চলতি বছরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় এমসিকিউ থাকবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাসচিব বলেন, হঠাৎ করে এমসিকিউ বাদ দেয়া যাবে না। তবে আমরা সিস্টেমে পরিবর্তন আনবো। হয়তো শিক্ষার্থীদের একলাইন লেখা লাগতে পারে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পযায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ছেড়েছে কিন্তু মাদক ছাড়েনি !

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ছেড়েছে কিন্তু মাদক ছাড়েনি। মাদকপাচার কিংবা মাদক ব্যবহার কোনোটাই ছাড়েনি তারা। সরকারের মাদকবিরোধী কঠোর অবস্থানের মধ্যে গা-ঢাকা দিয়েছে সীমান্তের ওপারে। কেউ বৈধভাবে। আবার কেউ অবৈধপথে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। আর সেখানে বসেই তারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানের খোঁজ-খবর নিচ্ছে।

এদিকে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক কারবারিদের তালিকা অনুযায়ী তাদের বাড়িতে ও আড্ডাখানায় প্রায়ই হানা দিচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, মাদক কারবারিরা এখন গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়েছে। রাতদিন অভিযান চালিয়েও তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অভিযানের মুখে মাদক চোরাচালান দৃশ্যত হ্রাস পেয়েছে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মে মাসে সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে এক হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত আসামি আছে ১৫২ জন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১২৯টি। এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশের দাবি, মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাতক্ষীরায় এসব ঘটনায় পাঁচজন ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত আনিসুর রহমান, কলারোয়ার দক্ষিণ ভাদিয়ালি গ্রামের ইউনুস আলী, সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের আবদুল আজিজ, ভোমরার খলিলুর রহমান পুটে ও শহরের মধু মোল্লার ডাঙ্গির এমদাদুল হক কারিগর।

এদিকে সাতক্ষীরায় মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার এবং ক্রসফায়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তারা পাসপোর্টে অথবা বিনা পাসপোর্টে দেশ ছেড়েছে। সীমান্ত এলাকার অধিবাসী হওয়ায় চোরাইপথে ভারতে যাওয়া তাদের জন্য অনেকটাই সহজ।

সূত্র বলছে, মাদক পাচার মামলায় ১৪ বছর জেল ভোগের পর বাড়ি ফিরে ফের মাদকে জড়িয়ে পড়া সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মাদক চক্রের ১০০ সদস্যের ‘গডফাদার’ এখন শতবিঘা জমির মালিক। ১১৮ টুকরা স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার হওয়া সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের হাসান আলী, কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের মাদক পাচারকারী ডন ইয়ার আলী, তাঁর ছেলে বহু ঘটনার নায়ক জাহাঙ্গীর, একই উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের মাদক চক্রের প্রধান মোটরসাইকেলচালক থেকে ধনাঢ্য হয়ে ওঠা হাসান, ফেনসিডিল পাচারের বহু মামলার আসামি সদর উপজেলার নারানঝোল গ্রামের মুজিবর রহমান, সদর উপজেলার কুশখালির রিপন, বহুবার মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কুশখালির আশরাফ হোসেন, তালতলার ঘাঘু চোরাচালানি জাহাঙ্গীর, সোনা ও মাদক পাচারের গডফাদার অগাধ ধনসম্পদের মালিক মনি ও তলুইগাছা গ্রামের রবিউল ইসলাম গা ঢাকা দিয়েছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের আবদার রহমান বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

অপরদিকে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের চারাবাড়ির আবুল কালাম ও লাল্টু গোয়েন্দা পুলিশের তাড়া খেয়ে সীমান্তের সোনাই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। বাড়ি ও আড্ডা ছেড়ে পালিয়েছে কলারোয়ার গাড়াখালির শীর্ষ চোরাচালানি আজহারুল ইসলাম, কেড়াগাছির আলিম ও বোয়ালিয়া গ্রামের পন্টু। তারা ভারতে চলে গেছে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, আলোচিত এসব মাদক কারবারি এত দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নানাভাবে সমঝোতার মাধ্যমে বাড়িতে থেকে চোরাচালান চক্র পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান এবং বিশেষ করে ক্রসফায়ার এবং চোরাচালানিদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকেই ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়েছে। তারা ভারতীয় এলাকায় থেকে তাদের মাদকচক্র পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় হেসে খেলে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা কোনো না কোনোভাবে সমঝোতা করে রয়েছেন।

একইভাবে সদর উপজেলার ঘোনার আনিস এবং সীমান্তের অপর একটি ইউপির চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত টাকার জোরে নিজ বাড়িঘরে রয়েছেন।

এদিকে ক্রসফায়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় নিজ থেকে পুলিশের হাতে ধরা দিয়ে জেলে গেছেন কলারোয়ার কেড়াগাছির আনারুল ইসলাম, তলুইগাছার সাজ্জাদ হোসেন কালুসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে জামিন না নিয়ে জেলে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আটকের পর তাঁরা কোনো জামিনের আবেদন করেননি।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার হওয়ায় চোরাচালানিরা গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের এখন আর নিজ বাড়িঘর কিংবা চোরাচালানের ডেরায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

ওসি বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত থাকায় চোরাচালান পণ্য আটকের পরিমাণও কমে গেছে। বিশেষ করে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ব্যবধানে হারল তামিমের বিশ্ব একাদশ

খেলার খবর: ‘মোর দ্যান অ্যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ’ ব্যানারে খেলা প্রদর্শনীমূলক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি বিশ্ব একাদশ। ছন্নছাড়া বোলিংয়ের পর অগোছালো ব্যাটিংয়ে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তামিম ইকবালের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৯৯ রানের জবাবে মাত্র ১২৭ রানেই অলআউট হয়েছে বিশ্ব একাদশ।

২০০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যাচ্ছেতাই শুরু করে বিশ্ব একাদশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এভিন লুইসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৮ বল খেলে মাত্র ২ রান করেন তামিম। এরপর রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন লুক রঙ্কি এবং দীনেশ কার্তিক। স্যাম বিলিংসের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অকূল পাথারে তখন তামিমরা।

সেখান থেকে ইনিংসের হাল ধরেন লংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। মাত্র ৩৭ বলে ৭ চার এবং ৩ ছক্কার মারে ৬১ রান করেন পেরেরা। তার ইনিংসেই মূলত একশো পেরোয় বিশ্ব একাদশ। এছাড়া শোয়েব মালিক ১২ এবং শহিদ আফ্রিদি করেন ১১ রান। ইনজুরির কারণে টাইমাল মিলস ব্যাট করতে না নামলে ১৬.৪ ওভারে ১২৭ রানে নবম উইকেটের পতনেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।

৭২ রানের জয়ে ক্যারিবীয়দের পক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নেন কেসরিক উইলিয়ামস। তবে মাত্র ৩.৪ ওভার বল করেই ৪২ রান খরচ করেন তিনি। অন্যদিকে ৩ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন স্যামুয়েল বদ্রি। অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও নেন ২টি উইকেট।

এর আগে ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এভিন লুইস এক পাশে ঝড়ো শুরু করলেও ব্যাট হাতে চেনা ছন্দ খুঁজে পাননি ক্রিস গেইল। মাত্র ২৬ বলে ৫৮ রান করেন লুইস। ৫টি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। অন্যদিকে লুইসের চেয়ে ২ বল বেশি খেলেও মাত্র ১৮ রান করতে সক্ষম হন গেইল।

৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর মারলন স্যামুয়েলস, দীনেশ রামদিন এবং আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ২০০ ছোঁয়া সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২টি চার এবং ৪টি ছক্কার মারে ২২ বলে ৪৩ রান করে আউট হন স্যামুয়েলস। ৩টি করে চার এবং ছয়ের মারে ২৫ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রামদিন। রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস।

বিশ্ব একাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রশিদ খান। তবে ৪ ওভার থেকে ৪৮ রান খরচ করেন এই আফগান তরুণ। অন্য ২ উইকেট নেন দুই পাকিস্তানি শোয়েব মালিক এবং শহিদ আফ্রিদি।

৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এভিন লুইস জেতেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার। এই ম্যাচ থেকে অর্জিত সকল অর্থ ব্যয় করা হবে গত বছর ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সকল স্টেডিয়ামের পুনর্বাসনের কাজে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌরসভার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র মাহে-রমজানের ১৪ তম দিনে সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ রমজান বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা পৌরসভার আয়োজনে পৌর মিলনায়তনে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি’র সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহ্ আবদুল সাদী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^াস সুদেব কুমার, ডা. আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, সহকারি পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, এন.এস.আইয়ের সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনছান বাহার বুলবুল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলার আবু জাহেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদীর সম্পাদক মকসুমুল হাকিম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দিন, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি এড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা জাতীয় পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডিশনাল পিপি মিজানুর রহমান, শেখ আলমগীর হাসান আলম, ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, শেখ আব্দুস সেলিম, শাহিনুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শফিকুল আলম বাবু, শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, অনিমা রাণী মন্ডল, পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলাম বিশ^াস, প্রকৌশলী সেলিম সরোয়ার, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সহকারি প্রকৌশলী কামরুল আখতার, পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দ্র মহলী, এস.ও সাগর দেবনাথ, পৌরসভার সার্ভেয়ার মামুন, স্টোর কিপার নাসের প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা ইমাাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ। দোয়া ও মোনাজাতে দেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেসব কারণে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়লেন জিদান

খেলার খবর: রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে সফল কোচ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় জিনেদিন জিদানকে। বার্সেলোনার সঙ্গে লড়াই করার মতো রিয়ালে একটা দল তৈরি করেন জিদান। তার অধীনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে টানা তিনটি শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়ালকে একের পর এক সফলতা এনে দেয়া এই কোচ হঠাৎ করেই ঘোষণা দেন মাদ্রিদ ছাড়ার।

বৃহস্পতিবার জিনেদিন জিদানের অনুরোধে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিয়াল মাদ্রিদ। সংবাদ সম্মেলনে জিদান বলেন, আমার কাছে মনে হয় রিয়াল ছাড়ার এটাই সেরা সময়। জয়ের ধারায় থেকে বিদায় নেয়াটা উপযুক্ত মুহূর্ত।

মাত্র আড়াই বছরে ৯টি শিরোপা এনে দিয়েছেন জিদান। এমন সাফল্যও তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায়নি। বিস্মিত ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে পাশে নিয়ে ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জিদান।

ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন জিনেদিন জিদান-

তিনি বলেন, আগামী মৌসুমে আমি আর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকব না। এ দলের জয় অব্যাহত থাকা উচিত কিন্তু তিন বছর কাটানোর পর একটা পরিবর্তন দরকার। একটু ভিন্ন কিছু, ভিন্ন এক বার্তা। সব ব্যাপারে ভিন্নভাবে এগোনোর চিন্তা। আমি জানি, এটার সঙ্গে জড়িত সবার জন্য খুব অদ্ভুত এক সময় এটি। কিন্তু আমার মনে হয়, এটাই সঠিক সময়।

‘এ কারণেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্লাবকে আমি ভালোবাসি এবং সভাপতিকেও। তিনি আমাকে এত বিশাল এক ক্লাবে এনেছেন এবং আমি এ জন্য সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, একটা পরিবর্তন দরকার। তাই আগামী মৌসুমে থাকছি না।’

জিনেদিন জিদান বলেন, আমি যদিও আগামী মৌসুমে এখানে ম্যানেজার থাকতাম, তাহলে আমাদের জন্য খুব কঠিন হতো কোনো শিরোপা জেতা। এ মৌসুমে কোপাতেই দেখেছেন এটা। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের কথা ভুলে যেতে পারেন না আপনি। আপনাকে জানতে হবে কখন থামতে হয়। দলের জন্য এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আমি কোচিং করে ক্লান্ত না। আমি তিন বছর ধরে ম্যানেজারের দায়িত্বে আছি কিন্তু এ ক্লাব ছাড়ার এটাই সময়।

তিনি বলেন, অবশ্যই আমি ফিরতে পারি। আমি সব সময় এ ক্লাবের কাছেই থাকব, কারণ এটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের ক্লাব। অনেকেই বুঝতে চাইবে না কিন্তু এটাই সঠিক সময়। খেলোয়াড়দের জন্যও। আমি কীভাবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আরও বেশি চাই? বড় খেলোয়াড়দেরও পরিবর্তন দরকার।

‘আমরা অনেক কঠিন সময় কাটিয়েছি। মাঝে মাঝে অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু সমর্থকদের কাছ থেকে মাঝে মাঝে এটাও দরকার হয়। কখনো খেলোয়াড়দেরও এটা দেখা দরকার।’

‘আমরা স্কোয়াডের শক্তি বাড়ানো নিয়ে কথা বলেছি উল্লেখ করে জিদান বলেন, নতুন খেলোয়াড় আনা নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এ কারণে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু কোচিং করতে চাইলে, এটাও তো কাজের অংশ। পরিবর্তন দরকার। কিন্তু আমি এর মধ্যে জড়াব না। আমি এ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আসিনি।

তিনি বলেন, কিছুই না। দলের যে চাহিদা, সেটা অনেক চাপ ফেলে। সেদিন (চুক্তি নবায়ন করার কথা বলার দিন) হয়তো এমনটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে আমার ভিন্ন কিছু মনে হয়েছে, মত পরিবর্তন করেছি। আমি সব সময় বলেছি, এ ক্লাবে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে এবং আমার সময় শেষ হয়েছে।

জিদান বলেন, আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত হলো যখন আমি খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে যোগ দিলাম। খেলোয়াড় হিসেবে এখানে আমার শেষটা ভালো হয়েছে এবং কোচ হিসেবেও সেটাই হয়েছে। আমি সার্জিও রামোসের সঙ্গে খেলেছি এবং সে আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করে।

আমি কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি সৎ থাকার চেষ্টা করেছি জানিয়ে জিদান বলেন, ক্লাবকে গর্বিত করার চেষ্টা করেছি। আমি সব সময় আমার খেলোয়াড়ের সম্মান পেয়েছি এবং এটা ছাড়া কিছু অর্জন করা কঠিন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই কিন্তু তিন বছর ধরে এত উচ্চমান ধরে রাখা কঠিন। আমি জন্মগতভাবে বিজয়ী এবং আমি জিততে ভালোবাসি। আমি হারতে অপছন্দ করি। যখনই মনে হয়েছে আমি জিতব না, তখনই মনে হয়েছে পরিবর্তন দরকার। এই খেলোয়াড় কিংবা ওই খেলোয়াড়কে বদলানোর সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি নিজেই চলে যাব বলেছি।

রিয়ালের হয়ে কোচ জিদানের সাফল্য-

ম্যাচ:১৪৯

জয়: ১০৪

ড্র: ২৯

হার: ১৬

গোল: ৩৯৩

শিরোপা: ৯

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest