সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনতালায় সেতু আবুলসহ ৩ জন আটকসাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতি

আশাশুনিতে দরিদ্র দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে হত-দরিদ্র দুঃস্থ মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরন করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার বড়দল গ্রামে উক্ত শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরন করা হয়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেঃ কর্ণেল জামায়েত হোসেন নিজ উদ্যোগে এ গুলো বিতরন করেন। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইনার হুইল ক্লাব অব ঢাকার সেক্রেটারী মিসেস নার্গিস জামায়েত, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, আব্দুর রউফ, হারুন উর রশিদ প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠান থেকে বড়দল গ্রামের শতাধিক হত-দরিদ্র দুঃস্থ মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জনবল নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জনবল নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনিুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মারুফ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জনবল নিয়োগের জন্য প্রথম দরপত্র আহবান করা হয়। উক্ত দরপত্রে সাতক্ষীরার একজন ঠিকাদারসহ সারাদেশের ৮ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহন করেন। এতে পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেড সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় এবং সলুসন ফোর্স লিঃ ও একুশে সিকিউিরিটি সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড সর্বোনি¤œ দরদাতার হওয়ার কারনে হাসপাতার কর্তৃপক্ষ সেটি বাতিল করেন। পরবর্তীতে পিমা এ্যাসোসিয়েট এর দেলোয়ার হোসেন দুলালের নির্দেশ মত শর্ত দিয়ে গত ০৭/০৩/২০১৮ তারিখে পূনরায় দরপত্র আহবান করা হয়। সর্বশেষ দরপত্র আহবানে এবং খোলার সকল গতানুগতিক ধারা উপেক্ষা করে গোপন চুক্তিতে পিমা এ্যাসোসিয়েট (লিঃ)এর মালিক বরিশালের মেহেদিগঞ্জ থানার জয়নগর ইউপি নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুলালকে দেয়ার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবেসের ছুটির দিনে শহীদদের অবমাননা ও প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে টেন্ডার মূল্যয়নের দিন নির্ধারন করা হয়।
তিনি বলেন, গত ৮ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক জনবল একুশে সিকিউিরিটি সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড কর্তৃক কর্মরত আছে। এত অভিজ্ঞতার শর্তেও এই প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ না দিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শাহাজান গংরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি নেতার প্রতিষ্ঠান পিমা এ্যাসোসিয়েটকে কার্যাদেশ প্রদান করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও মেডিকেল কলেজের ৪৬ জন জনবল সরবরাহের টেন্ডার দেয়া হয় পিমা এ্যাসোসিয়েটকে। যা চলছে গত ৪ বছর ধরে। অর্থ মন্ত্রানালয়ের অর্থ বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উক্ত জনবল নিয়োগে জনপ্রতি ১৪ হাজার ৪’শ ৫০ টাকা বেতন দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় মাত্র ৭ হাজার টাকা। তা আবার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে না দিয়ে তাদের সরাসরি হাতে দেয়া হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি নিজের ইচ্ছামত জনবল ছাটাই করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নতুন জনবল সরবরাহ করে থাকে। সে অর্থের সিংহভাগ যায় সাতক্ষীরা মডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে।
তিনি এ সময় স্বাধীনতা বিরোধী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শাহাজান গংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও পিমা এসোেিয়টের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও সলুশন ফোর্স (লিঃ) এর চেয়াম্যান কামরুজ্জামান সোহাগ ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সুকান্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গণফোরামের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা গণফোরামের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহাসীন মন্টু।
জেলা গণফোরামের সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলীনূর খান বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুব গণফোরামের আহবায়ক কাজী হাবিব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ও.ম শফিউল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পংকজ কান্তি সরকার (বাপ্পি), সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা গণফোরামের আহবায়ক ফেরদৌসী খান ময়না, সদস্য সচিব নাজমা খাতুন, যুব গণফোরামের আহবায়ক গাজী আক্তারুজ্জামান, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসীন মন্টু বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। পাঁচ হাজার টাকার জন্য কৃষকের মাজায় রশি বেধে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপিদের নাম বলতে সাহস পান না অর্থমন্ত্রী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। বাংলাদেশ এখন মহা সংকটে। এ সংকট কাটাতে হলে এখনই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। জাতীয় স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের সকল রাজনৈতিকদলের জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে। ঐক্য ছাড়া সংকট মোকাবেলা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার একটা যৌক্তিক দাবি। কিন্তু আমাদের কৃষিমন্ত্রী সংসদে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ঠেলে দিলেন। এটা নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব একটা সমাধান হওয়া উচিত। মন্টু বলেন, অন্যায়-দুর্নীতির প্রতিবাদে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় স্বাধীনতা অর্জনের মূল্য থাকবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক নজরে কোন দেশের কত স্যাটেলাইট

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে কক্ষপথে দু্ই হাজার দুইশোটির বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে। জানা যায়, ১৯৫৭ সালে প্রথম মহাকাশে স্পুটনিক-১ নামে স্যাটেলাইট প্রেরণ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। এরপর অনেক দেশ তাদের অনুসরণ করে মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও এর গতিবিধি নিয়ে কাজ করে এন২ওয়াইও.কম ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, সাবেক সোভিয়েত রাশিয়া ভূক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত স্যাটেলাইট সংখ্যা ১৫০৪টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬১৬টি, চীনের ২৯৮টি, জাপানের ১৭২টি, ভারতের ৮৮টি, ফ্রান্সের ৬৮টি, ব্রিটেনের ৪২টি, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৪টি, স্পেনের ২৩টি, তুরস্কের ১৪টি, সৌদি আরবের ১৩টি, পাকিস্তানের ৩টি।
এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অনেকগুলো স্যাটেলাইট বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইটটির কক্ষপথে যেতে সময় লাগবে ৮-১১ দিন। আর পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হবে ৩ মাসের মধ্যে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ পাঠিয়ে ফিরে এসেছে ফ্যালকন ৯ রকেট

কয়েক ঘণ্টা আগে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি কক্ষপথে পৌঁছাতে নির্ধারিত ৩৩ মিনিট সময় নেয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফল ভাবে সম্পূর্ণ করে এরপর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটি বহন করা ফ্যালকন-৯ রকেটটি। এর কিছুক্ষণ পর ভূ-পৃষ্টে ফিরে এসেছে সেই ফ্যালকন-৯।

স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের নতুন সংস্করণ ব্লক ফাইভ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হয় জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাত ২টা ৪৭ মিনিটে এ স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহটি নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছেছে।

মার্কিন বেসরকারি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানের নির্মিত ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। এটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ করে, ভূ-পৃষ্টে ফিরে এসেছে। ভবিষ্যতে অন্য কোনো স্যাটেলাইট পাঠাতে এটি ব্যবহার করা যাবে।

বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গাজীপুর নবনির্মিত গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে। স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগবে। এর পরেই ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন’ এর নিয়ন্ত্রণ নেবে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তেলীপাড়ায় টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় এ ধরনের আরেকটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। সেটি হচ্ছে গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প। মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হবে গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই। শিগগিরই প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে উড়ে যাবে এই স্যাটেলাইট। ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে। স্যাটেলাইট উন্মুক্ত হওয়ার পরপর এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনে চলে যাবে।

ওই তিন স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এর নিজস্ব কক্ষপথে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্পট) স্থাপন করা হবে। এরপর এর নিয়ন্ত্রণ গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্লে-অফের লড়াই জমিয়ে দিল রাজস্থান

ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লে-অফে লডা়ই জমিয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস৷ ঘরের মাঠে ১৭৭ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে এক বল বাকি থাকতে থ্রিলার ম্যাচ জিতল রাহানের দল৷

রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের নায়ক জস বাটলার। এদিন তিনি ৯৫ রানের (৬০ বলে) ধুঁয়াধার ইনিংস খেলেন৷ ম্যাচের উইনিং রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই৷ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রয়্যালসদের এই ব্রিটিশ ওপেনার৷ ১১টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে ইনিংস সাজান বাটলার৷

ধোনিদের বিরুদ্ধে এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে রয়েছে রাজস্থান৷ সমসংখ্যাক ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের বিচারে এগিয়ে থেকে চারে মুম্বাই আর পাঁচ নম্বরে রয়েছে কেকেআর৷ যার ফলে প্লে-অফের লড়াই জমে গেল বলা চলে৷ তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিই এখন একে অপরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে৷

ম্যাজিক ফিগার ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই শেষ তিন ম্যাচে জিততে হবে৷ এরপর আবার রয়েছে রান রেটের অঙ্ক৷ ১৩ মে ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার পর ১৫ মে ইডেনে নাইটদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে রাজস্থান৷ তিন ফ্রাঞ্চাইজির কাছে সব ম্যাচই এখন নির্ণায়ক বলা চলে৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রলীগের বৈধ সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনে বয়সসীমা ২৮ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এর বেশি বয়সী প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌঁড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে সংগঠনের ২৯তম সম্মেলনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন এ বাদ পড়াদের তালিকা প্রকাশ করে। পাশাপাশি বৈধ প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে সভাপতি প্রার্থী ৬৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৬৯ জন। এতে সাক্ষর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুর রহমান লিমন, নির্বাচন কমিশনার নওশাদ উদ্দিন সুজন ও সাকিব হাসান সুইম।

সভাপতি পদে বাদ যাওয়া প্রার্থীরা হলেন-দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অসীম কুমার বৈদ্য, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, রাজিব আহমেদ রাসেল, মাকসুদ রানা মিঠু, সায়েম খান, মেহেদী হাসান রনি, মো. রুহুল আমিন,মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী, হাবিবুর রহমান সুমন, সৈয়দ আশিক, মো. মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক পদে বাদ যাওয়া প্রার্থীরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, আদিত্য নন্দী, মো. রুহুল আমীন, মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে এক নোটিশে বাদ পড়া পদপ্রত্যাশীদের কারো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সকাল ১০টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মনোনয়ন ফরমের অনুলিপি নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বপ্ন হলো সত্যি; মহাবিশ্ব কাঁপিয়ে মহাকাশে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক: মহাকাশের অচেনা জগতে ঘুরে বেড়াবে বাংলাদেশের একটি স্যাটেলাইট। লাল-সবুজের বাংলাদেশ এই স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিল অনেক দিন থেকেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন হলো সত্যি। মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) বঙ্গবন্ধু-১। দেশীয় অর্জনের ক্যানভাসে পড়ল তুলির আরেকটি রঙিন আঁচড়।

মহাকাশে যাত্রার জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল আগেই। নানা কারণে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে যায় সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময়েই কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ঘোষণা করা হয়, শুক্রবার ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।

স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। আর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।

দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ ঋণ দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।

স্যাটেলাইট তৈরির এই পুরো কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে। তিনটি ধাপে এই কাজ হয়েছে। এগুলো হলো স্যাটেলাইটের মূল কাঠামো তৈরি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থা থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শেষে গত ৩০ মার্চ এটি উৎক্ষেপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাঠানো হয়। সেখানে আরেক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাত্রা শুরু করে।

পথ চলা শুরু যেভাবে
বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। সে সময় মহাকাশের ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে জাতিসংঘের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) আবেদন করে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ওই আবেদনের ওপর ২০টি দেশ আপত্তি জানায়। এই আপত্তির বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি। এরপর ২০১৩ সালে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের বর্তমান কক্ষপথটি কেনা হয়। বাংলাদেশ বারবার আইটিইউর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কক্ষপথ আনতে পারেনি।

জাতিসংঘের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্সের (ইউএনওওএসএ) হিসাবে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৫। প্রতিবছরই স্যাটেলাইটের এ সংখ্যা ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এসব স্যাটেলাইটের কাজের ধরনও একেক রকমের। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ ধরনের স্যাটেলাইটকে বলা হয় ‘জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট’। পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে এ স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরতে থাকে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। এসব চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এই স্যাটেলাইট ভাড়ার অর্থ দেশেই থেকে যাবে। আবার স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ থাকবে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।

https://www.youtube.com/watch?v=y3niFzo5VLI

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest