এই গরমেও মধু-দারুচিনি

ওজন হ্রাসে

সকালে নিয়মিত কুসম গরম পানিতে মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে খেলে মেদ কমতে শুরু করে। ফলে কম সময়ের মধ্যে ওজন হ্রাস পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

নিয়মিত দারুচিনি পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দূর হয় ক্লান্তি।

দাঁতের যত্নে

দারুচিনি ও মধুতে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান আছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন দাঁতকে শক্ত করে, তেমনই মুখগহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের সমস্যা সৃষ্টির শঙ্কা কমে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

পরিবারের কারো এই রোগ থাকলে অন্যরা দারুচিনি ও মধু খেয়ে উপকার পেতে পারে। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কমে আসে।

চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মধু ও দারুচিনি খেলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে শুরু করে। পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য বাড়ে।

হার্টের উন্নতিতে

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমানোর মধ্য দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যে উন্নতি ঘটনায় মধু ও দারুচিনি। মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টের ভেতরে প্রদাহ কমায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে ‘স্বপ্নজাল’

এবার কলকাতার প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে পরীমনি ও ইয়াশ রোহান অভিনীত ‘স্বপ্নজাল’। আগামী ৪ মে থেকে ছবিটি সেখানে দেখানো হবে। আজ শুক্রবার কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করবে ‘স্বপ্নজাল’ টিম। নায়ক-নায়িকা ছাড়াও সেখানে অংশ নেবেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের আবুল খায়ের লিটু ও লুভা নাহিদ চৌধুরী। টানা দু’ সপ্তাহ কলকাতায় প্রচারণা চালাবে ‘স্বপ্নজাল’ টিম।

এদিকে আজ থেকে দেশের ১০টি প্রেক্ষাগৃহে চলবে ‘স্বপ্নজাল’। প্রেক্ষাগৃহগুলো হল চট্টগ্রামের আলমাস, যশোরের মণিহার, চালার সাগরিকা, সিলেটের নন্দিতা, খুলনার লিবার্টি, সিরাজগঞ্জের সাগরিকা, ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার, শাহীন, শ্যামলী প্রেক্ষাগৃহ। আর আগামী ২৭ এপ্রিল কানাডার টরেন্টো, উইনিপেগ, ক্যালগারি এডমন্টন শহরেও প্রদর্শিত হবে ‘স্বপ্নজাল’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ২৬ এপ্রিল ঢাকায় আসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। একই সাথে এই দল বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে যাবে। ১৫ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল কুতুপালং রোহিঙ্গাও শিবির পরিদর্শন করবে। প্রতিনিধি দলটি দুই দেশের সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিনিধি দলে নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য দেশসহ ১৫ দেশের প্রতিনিধি থাকবেন।

কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন ছাড়াও এই প্রথমবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রাম সফর করবেন তারা।

রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এ নিয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখে। ঢাকা-নেপিদো চুক্তি হলেও প্রত্যাবাসনে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। সম্প্রতি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসহায় শিল্পীদের পাশে অপু বিশ্বাস

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। চলচ্চিত্রে নিয়মিত এখন না দেখা গেলেও চলচ্চিত্রের বাহিরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন এই নায়িকা। এবার তিনি চলচ্চিত্র শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে কনসার্টে অংশ নিবেন।

অসহায় শিল্পীদের সাহায্য করতে অর্থ সংগ্রহের জন্য এ কনসার্টের আয়োজন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আজ শুক্রবার (২০ এপ্রিল) নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কে বিকেল ৪টায় এই কনসার্টে অংশ নেবেন অপু বিশ্বাসসহ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকারা।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনী ইশতেহারেই মিশা-জায়েদ প্যানেল কথা দিয়েছিল পিছিয়ে থাকা, অসচ্ছল শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেই ইশতেহারের অংশ হিসেবেই এই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পী সমিতি। কনসার্টটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও শো ব্লিজ এন্টারটেইনমেন্ট। কনসার্টের অর্থ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা হবে।

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় সব গানের সঙ্গে নাচবেন রিয়াজ, ফেরদৌস, পপি, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাস, জায়েদ খান, আমিন খান, ডিপজল, বিপাশা কবিরসহ আরো অনেক তারকা। দর্শক টিকিট কেটে কনসার্টটি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ‘ফেরত এসেছে’ বলে বিতর্কে মোদি

অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ‘ফেরত এসেছে’ বলে মন্তব্য করে নতুন কূটনৈতিক বিতর্ক উসকে দিলেন যুক্তরাজ্যে সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিষয়টি ভারতকেও যে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না।

ঘটনাটি বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টারে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে ‘ভারত কী বাত সব কী সাথ’ নামে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছিলেন।

সেখানেই বিশ্বের কূটনীতিতে ভারতের অবস্থান কী রকম সমীহজনক জায়গায় পৌঁছেছে, সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন নিজে থেকেই।

শুধু তাই নয়, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি মিয়ানমারের পছন্দ নয় বলে ভারতও সচেতনভাবে এই শব্দটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি ওই সভায় নিজে থেকেই রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। আর সেটা একবার নয়, অন্তত তিন-তিনবার।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যখন সমস্যা তৈরি হলো— তখন বিশ্বের নানা দেশ সেই প্রশ্নটাকে কেউ মানবাধিকার, কেউ আরও অন্য কিছু ইত্যাদি নানা রকম, যার যা অবস্থান নেওয়ার নিয়ে নিলো। অথচ আমরা কিন্তু সেখানে আটকে থাকলাম না।’

‘যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ফেরত গেলো (‘ওয়াপাস গ্যায়ে থে’), আমরা তখন বললাম, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। কাজেই স্টিমার ভর্তি করে আমরা সেখানে চাল-ডাল, রসদ পাঠাতে লাগলাম। যে রোহিঙ্গারা ওখানে এসেছে, তাদের তো উপোস করে মরতে দেওয়া যায় না… এবং ভারতও মানবতার প্রশ্নে কিছুতেই পিছিয়ে থাকতে পারে না।’

‘আর মিয়ানমারের ভেতরে যে রাখাইন প্রদেশ আছে, যেখানে লোকের এই সব সমস্যা ছিল— কোনও উন্নয়ন হয়নি সেখানে। আমরা তখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করলাম যে…রাখাইন প্রদেশের বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য আমাদের পক্ষে যতটা অবদান রাখা সম্ভব, আমরা সেটা করব!’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ভারতের ঘোষিত অবস্থান থেকে অন্তত দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিচ্যুতি আছে। এক. প্রকাশ্যে রোহিঙ্গা শব্দের ব্যবহার আর দুই. রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ‘ফেরত গেছে’, এটা বলা।

বস্তুত রোহিঙ্গা সংকটের মূলেই আছে মিয়ানমারের এই তত্ত্ব যে, রোহিঙ্গারা আদতে বার্মার মূল বাসিন্দা নয়। তারা হলো বাঙালি মুসলিম—যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ‘ফেরত গেছে’, তাহলে প্রকারান্তরে মিয়ানমারের সেই বক্তব্যকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটা রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের এতদিনের অবস্থানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

আর এ কারণেই বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও ধন্দে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সারাদিন নানা অনুরোধেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিতে মোটেই রাজি হননি।

তবে মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শুধু বলেছেন, ‘‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে গেছেন’ বলতে গিয়ে কথার তোড়ে মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ফেরত গেছেন’। কিন্তু আমার পক্ষে না জেনে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়, এটা নেহাতই একটা অনুমান বলতে পারেন!’

প্রধানমন্ত্রী মোদির এই অভাবিত মন্তব্যে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহলও বেশ বিচলিত। এটাই এখন ভারতের পরিবর্তিত অবস্থান, নাকি প্রধানমন্ত্রী শুধু বেখেয়ালে ফেরত যাওয়ার কথা বলে ফেলেছেন, তারা সে বিষয়টি স্পষ্ট করে নিতে চান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাবি হল থেকে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিকালে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)ক্যাম্পাসে আজ শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ঢাবির সুফিয়া কামাল হল থেকে বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে তিন ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক ‍নুরু।

এর আগে কয়েক ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে হলটির সামনে বিক্ষোভ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। রাত ২টার দিকে অন্তত ২০-৩০ জন হলটির সামনে জড়ো হয়ে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন। এ দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ মিছিল করে ফিরে যান তারা।

এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনও তদন্ত ছাড়াই হলের ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসনের কাছে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন সেই ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। একইসঙ্গে আমরা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমানের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’ পরে আজ বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নুরুল হক নুরু।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অন্তত তিন ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার খবর ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে রাত দেড়টার কিছু পরে হলটির সামনে আসেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরু। এরপর একে একে ওই আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তারা ফেসবুকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে সবাইকে হলটির সামনে আসার আহ্বান জানান। ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা হলের সামনে মিছিল করেন। ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘রাতের আঁধারে আমার বোন বাইরে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

বাইরে এ মিছিলের সময় হলের বিভিন্ন ভবনের ছাত্রীরা জানলা দিয়ে হাত নেড়ে তাদের স্বাগত জানান।

এদিকে, একই সময়ে ঢাবির টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফেসবুক লাইভে আসেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান। তিনি কোনও গুজবে কান না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার আহ্বান জানান।

বৃহ্স্পতিবার রাত ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ছাত্রীকে থেকে বের করে দেয় হল প্রশাসন। সন্ধ্যার পর হলে গিয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান ছাত্রীদের ডেকে ১০ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এসময় ছাত্রীদের ভয়ভীতি দেখানো ও মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। পরে একে একে তিন ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই তিন ছাত্রী হলেন, শারমীন শুভ, কামরুন্নাহার লিজা ও পারভীন। রিমি নামের আরেক ছাত্রীর বাবাকে ডেকে মেয়েকে আর কোনও আন্দোলনে না জড়াতে সাবধান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়াবাসহ সরুলিয়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি আটক

সাতক্ষীরার তালায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিকে ইয়াবাসহ আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার বিকেলে তালা উপজেলার  পাটকেলঘাটা বাজার থেকে ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে।আটক দুই নেতা হলেন তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাহিদুজ্জামান হিরু ও ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু।সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ পাটকেলঘাটা বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় শেখ সাহিদুজ্জামান হিরু ও আসাদুজ্জামান মিন্টুকে চ্যালেঞ্জ করে ডিবি পুলিশ। তাদের দেহ তল্লাশি করে ৪৭টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রলীগ নেতার মারধরের ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের ইউনিএইড নামের ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়াকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভিডিওটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারির বিকেলের।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, সিগারেট হাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে কথা বলার এক পর্যায়ে রাশেদ মিয়ার ওপর চড়াও হন; একের পর এক চড় মারতে থাকেন, মাঝে মাঝে রাশেদের চুল ধরে মারেন।

মারধরের ঘটনাটি ওই কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তারপর ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হবার পর সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন রনি।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রাশেদ। অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগে রাশেদ বলেছেন, রনি এবং তার সহযোগীরা জিইসি মোড়ে তার কার্যালয়টি ব্যবহার করতেন। তাদের নিষেধ করায় রনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই কার্যালয়ে গিয়ে তাকে মারধর করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

১৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে একটি ‘অপ্রীতিকর ঘটনা’ বললেও চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করেছেন রনি। তার দাবি, ওই কোচিং সেন্টারে তার অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘটনা নিয়ে আলোচনার মধ্যে সন্ধ্যায় সংগঠন থেকে পদত্যাগ করার বিষয়টি নিজের ফেসবুক জানান নুরুল আজিম রনি। মহানগর ছাত্রলীগের প্যাডে লেখা অব্যাহতিপত্রটি রনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখেছেন।

অব্যাহতিপত্রে রনি উল্লেখ বলেছেন, পিতা মুজিবুরের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সজ্ঞানে অব্যাহতি নিলাম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

গত কয়েক বছরে এইচএসসি ও এসএসসিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলেন রনি।

তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের কারণে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ এএসসি ও এইচএসসিতে নেওয়া অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধেও তার নেতৃত্বে চট্টগ্রামে আন্দোলন করে ছাত্রলীগ।

সম্প্রতি এইচএসসিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয় রনির বিরুদ্ধে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest