সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় অপরিপক্ক ক্যামিক্যাল মিশানো ১১৫০ কেজি আম বিনষ্টজাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে সাতক্ষীরা জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হাওয়ায় আলআমিনকে সম্বর্ধনাসাতক্ষীরায় আম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনজাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভাকালিগঞ্জে আকস্মিক বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যুশ্যামনগরে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সাঈদ-উজ জামান. ভাইস চেয়ারম্যান রিপন. মহিলা ডলিকালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান সুমন, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ বাবলু – মহিলা আফি বিজয়ী“নানা রঙের রবীন্দ্রনাথ” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীত অনুষ্ঠিতসাতক্ষীরায় ভূমি কর্মকর্তা তপন কর্তৃক না মেনে প্রাচীর নির্মান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসাংবাদিক জুলফিকারের পিতা রাহাতুল্লাহ সরদারের সুস্থতা কামনা

সাতক্ষীরায় তিন বিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা ও জামাল নজরুল ইসলাম-এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শুক্রবার বিকাল ৪টায় শহীদ রীমু স্মরণিস্থ সকাল কম্পিউটার সেন্টারে আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি সকাল সরকারের সভাপতিত্তে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা জনার্দন দত্ত নান্টু। আরো আলোচনা করেন বাসদ সাতক্ষীরা জেলার সমন¦য়ক কমরেড নিত্যানন্দ সরকার, আবু তালেব মোল্লা, ইশারত আলী, তপতী মল্লিক, প্রমুখ। প্রধান আলোচক জনার্দন দত্ত নান্টু তার আলোচনায় তিন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর জীবনের নানা দিক ও তাঁদের বিজ্ঞান গবেষণার বিষয়বস্তু বর্ণনা করে আজকের দিনেও শিক্ষার্থীদের তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোল সীমান্তে ১০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ১

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল: ভারতে পাচারের সময় বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ট্যাংকীর মোড় থেকে ৫০ লাখ টাকার ১০ পিস (১ কেজি ১শ ৭০ গ্রাম) স্বর্নের বার সহ মনিরুল (২৫) নামে একজন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার দুপুর ১ টার সময় স্বর্নের বার সহ বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী উত্তর পাড়ার সাবের আলীর ছেলে মনিরুলকে আটক করা হয়।

২১ বিজিবি পুটখালী ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার ওমর ফারুক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্যাংকির মোড়ে অভিযান চালিয়ে বাইসাইকেল ও হাতে কাস্তে নিয়ে যাওয়ার সময় মনিরুলকে গতিরোধ করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশি করে ১০ পিস (১ কেজি ১শ ৭০ গ্রাম) স্বর্ন উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। তিনি বলেন স্বর্ন বহন কারি মাঠে যাওয়ার ছদ্মবেশে মাজায় গামছা ও গায়ে গেঞ্জি ও হাতে কাস্তে নিয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল।
আটককৃত স্বর্ন বহনকারী মনিরুলকে স্বর্ন পাচারের অভিযোগে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সপোর্দ করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার এস,আই সুজিত ঘটনাটি স্বীকার করে বলে আসামিকে শনিবার সকাল ১০ টার সময় যশোর আদালতে হাজির করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছুটির বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাকিবকন্যা

তিনি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ঘরে একজন শাশ্বত বাঙ্গালি নারী। যিনি সুযোগ পেলেই ঘরে সন্তানের জন্য নিজ হাতে খাবার রান্না করেন, নাতনীর চুলে বেণী করে দেন, খোলা মাঠে নাতির হাত ধরে খেলায় মেতে উঠেন। তিনি আর কেউ নন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীত্বর বাইরে যিনি তার মানবিক ও শিশুসুলভ হৃদয় দিয়ে জয় করেছেন সাধারণ জনগণের হৃদয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও তার নিদর্শন আবার পাওয়া গেল।

ছুটির বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সপরিবারে দেখা করতে এসেছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সাকিব উম্মে আল হাসান শিশির দম্পতি। সঙ্গে ছিল তাদের একমাত্র কন্যা আলাইনা। ফুটফুটে আলাইনাকে কাছে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী খুশিতে আটখানা। তাইতো পুরো সময়টা জুরে আলাইনাকে কোলে নিয়ে গল্প করেছেন, মেবাইলে গেমস খেলেছেন, অ্যাকুয়ারিয়ামের রঙ্গিন মাছ দেখিয়েছেন সে সঙ্গে আলাইনা কতটুকু কথা বলতে শিখেছে তারও পরীক্ষা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ও আলাইনার মধ্যকারএ ঘটনাগুলোর কথা জানা যায় শুক্রবার রাতে শিশিরের ফেসবুক পোস্ট থেকে। আলাইনা ও প্রধানমন্ত্রীর খুনসুটির ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আলাইনা আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুবই ভালো একটা সময় কাটালো। প্রধানমন্ত্রী একজন অসাধারণ মা ও বেশ যত্নশীল ব্যক্তিত্ব।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বড়দলে সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ !

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনির বড়দলে সরকারি রাস্তা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে বসত ঘর। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের তেঁতুলিয়া ব্রীজের নিচে থেকে গোলায়াডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত আদর্শ গ্রামের পিছনের রাস্তা দখল করে এ ঘর নির্মাণ করছেন একই গ্রামের সিদ্দিকের স্ত্রী আমেনা বেগম। রাস্তার এক তৃতীয় অংশ দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ঘরের ভীত। ঘরের বিপরিতে ব্রীজের তলা ভরাট করে রাস্তাটির দিক পরিবর্তন করা হচ্ছে। এব্যাপারে এলাকার একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, এই রাস্তা দিয়ে আগে ৩ চাকার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করত। কিন্তু রাস্তাটি বর্তমানে দখল করায় মহিলা বলে ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আমেনা বেগম জানান আমি রাস্তা দখল করলেও অন্য পাশে মাটি দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছি, তাহলে সমস্যা কোথায়? এব্যাপারে বড়দল ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার জানান আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করে রাস্তা উপর থেকে মাটি সরানো নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু শুক্রবার অফিস বন্ধ থাকায় তারা পুনরায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমি জানতে পেরেছি। পরবর্তীতে দফাদার পাঠিয়ে কাজ বন্দের নির্দেশ দিয়েছি। রবিবার অফিস খুললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাংগঠনিক ও নীতিমালা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শাখার আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আলমগীর মল্লিক, কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল, এম শরীফ উল আলম, কাজী শাহ-আলম, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক মো. ছফিউল্লাহ ভূঁইয়া সাগর, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাইয়ুম সরকার, সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আফসার উদ্দিন, মিহির কুমার বিশ^াস, মনজুর খান চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্যা, আবু ছালেক, শেখ আনজারুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, আজম, রজিবুল ইসলাম, মো. রোকন উদ্দিন বাবু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিলন আহম্মেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সভা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির পাঠ কক্ষে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি বই পড়–য়াদের মনের খোরাক জোগায়। বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে হিংসা বিদ্বেশ সমাজ থেকে দুর হবে। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সকল সাদা মনের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাইব্রেরির আজীবন সদস্য সাবেক মন্ত্রী ডা. আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লিয়াকত পারভেজ, উপভাষা গবেষক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ প্রমুখ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, গাজী আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৃপ্তি মোহন মল্লিক, নির্বাহী সদস্য মো. আমিনুল হক, প্রভাষক মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বরুণ ব্যাণার্জী ও শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের সম্মতিক্রমে আগামী তিন বছরের জন্য বর্তমান কমিটি বহাল রাখার সিদ্ধার্ন্ত গ্রহণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মহিউদ্দিন হাশেমী তপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজধানীতে ডিজিটাল প্রতারক ‘টেরট বাবা’গ্রেফতার

ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কোটি টাকা হাতিয়ে  নেয়ার অভিযোগে এম এম জাহাঙ্গীর রেজা ওরফে রাদবি রেজা ওরফে ‘টেরট বাবা’কে গ্রেফতার হয়েছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর যাত্রবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি আইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে জাদু দেখাতেন। জাদু দেখিয়ে বলতেন, তিনি হাত দিয়ে জিন ধরতে পারেন। জিনকে বোতলে ভরতে পারেন। শুধু তাই নয়, মাথায় বাতি জ্বালানো, খালি হাতে মোমবাতি জ্বালানো দেখিয়ে দাবি করতেন, অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী তিনি। এই ক্ষমতা দিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান করতেন তিনি। লটারি জেতাতে পারেন, খেলার আগাম ফলাফলও বলতে পারেন তিনি। তার পরিচিতি ছিল ‘টেরট বাবা’। এই টেরট বাবা সমস্যার সমাধানের কথা বলে ‘চিকিৎসা’করতেন। ক্যানসার, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের ভালো করার কথাও বলতেন তিনি। এসব চিকিৎসা করার নামে ‘টেরট বাবা’ হাতিয়ে নিতেন অর্থ।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম আরও জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এবিসি রেডিওতে প্যারানরমাল রিসার্চার হিসেবে যুক্ত হন রাদবি রেজা। রেডিও চ্যানেলটিতে ভৌতিক পর্ব নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ডর’প্রচারিত হতো। কিন্তু রাদবি রেজা যোগ দেয়ার পর অনুষ্ঠানটিতে মানুষের নানা সমস্যা সমাধান পর্ব ‘টেরট কার্ড সেগমেন্ট’প্রচার শুরু হয়। নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে সাধারণ মানুষকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হতো। এই নাম-পরিচয় অনুযায়ী ফেসবুকে সার্চ করে আগেই আগ্রহী শ্রোতার ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতেন রাদবি রেজা। পরে যখন তার সঙ্গে দেখা হতো তখন আগ্রহী মানুষ সম্পর্কে আগেভাগে অনেক তথ্য বলে ফেলতেন তিনি।
এবিসি রেডিওতে অনুষ্ঠান প্রচার হওয়ায় অনেক সরল মানুষ রাদবি রেজার ভক্ত হয়ে যান। অনেকে তাকে অতিমানবীয় ব্যক্তি ভাবতে লাগলেন। এভাবে এক নারী রাদবি রেজার ভক্ত হন। ওই নারীর সাংসারিক সমস্যা সমাধানের জন্য স্বপ্নে পাওয়া মুক্তাসহ আঁতর, আংটির প্রয়োজন হবে বলে জানান ‘টেরট বাবা’রেজা। এসব জিনিস দেয়া কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রাদবি রেজা। তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন এবিসি রেডিওর সাবেক আরজে কিবরিয়া সরকার।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সীমান্তে ভারী অস্ত্র নিয়ে মিয়ানমার বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা ভারী অস্ত্র হাতে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা বসিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সেনাসমাবেশ বাড়িয়ে চলেছে মিয়ানমার। এপারে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এপার-ওপারের মাঝখানে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে আতঙ্কে সময় পার করছে হাজারো রোহিঙ্গা। ওপার থেকে ক্ষণে ক্ষণে মাইকে ঘোষণা আসছিল, আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত সরে যেতে হবে।

আজ সকাল সাড়ে আটটায় শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের একেবারে কাছে (তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায়) গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাকে করে সীমান্তে সেনাসমাবেশ ঘটাচ্ছে মিয়ানমার। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্তে ১৪-১৫টি ট্রাকে আনা হয়েছে তিন শতাধিক সেনা। আগের দিন বৃহস্পতিবার সেখানে আনা হয়েছিল সাত-আটটি ট্রাকে করে আরও ২০০ সেনাসদস্য।

পাথরকাটা নামের ছোট একটি খালের ওপারে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরটি দাঁড়িয়ে আছে। শিবিরের পেছন লাগোয়া মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া। বেড়ার পাশে যানবাহন চলাচলের রাস্তা। তারপরে উঁচু-নিচু পাহাড়। কাঁটাতারের বাইরে ১০ গজ অন্তর দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছেন সে দেশের ভারী অস্ত্রধারী সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পাহাড়ে চূড়ায়, ঢালুতে এবং খেজুর ও আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সেখানকার শতাধিক সেনাসদস্যকে। তাঁদের অনেকে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে এপারের ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন।

পাথরকাটা খালের এপারে কথা হয়, তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্প প্লাটুন কমান্ডার বদিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ছয়টার পর থেকে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনাসমাবেশ ঘটাতে থাকে মিয়ানমার। বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৫টি ট্রাকে আনা হয়েছে তিন শতাধিক সেনা। সেনাদের পাশাপাশি সে দেশের সীমান্ত পুলিশ বিজিপিও টহল দিচ্ছেন। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সরে যেতে তাঁরা অনবরত মাইকিং করে চলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সেনারা একটি গুলি ছোড়ে। তারপর গভীর রাত পৌনে তিনটার দিকে আরেকটি গুলি ছোড়ে। উদ্দেশ্য শূন্যরেখায় আশ্রয়শিবিরে থাকা প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গার ফিরে যাওয়া থামিয়ে দেওয়া। গুলিবর্ষণের ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত বিজিবির কয়েকজন সদস্য বলেন, সেখানকার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কে কী করছেন, তা তাঁরা নিকটতম দূরত্বে দাঁড়িয়ে থেকে প্রত্যক্ষ করছেন। এপারে দাঁড়িয়ে সবকিছু খালি চোখে দেখা যায়।

মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা জি-থ্রি, একে-৪৭, চায়নিজ রাইফেল, মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়েছেন। ট্রাক থেকে আনা হয়েছে রকেটলঞ্চার, মর্টার। এসব মর্টার থেকে ৬০-৭০ মিটার দূরত্বে শেল নিক্ষেপ করা যাবে। পাহাড়ের চূড়ায় পলিথিনের বেড়া দিয়ে তৈরি হয় একাধিক ছাউনি। পাহাড় খনন করে তৈরি হচ্ছে করা অসংখ্য বাংকার। সেখানে ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়েছেন সেনাসদস্যরা। এসব পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত।

বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে গুলিটি ছুড়েছিল, সেটি এসে পড়ে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আমির হোসেনের ঘরে। তিনি বলেন, গুলিটি প্রথমে ঘরে রাখা দুই লিটার পরিমাণ সয়াবিন তেলের একটি প্লাস্টিক বোতল ভেদ করে একটি ব্রিফকেসে লাগে। তখন ব্রিফকেসে থাকা তিন জোড়া কাপড় পুড়ে যায়। এরপর বিজিবি সদস্যরা গুলিটি নিয়ে গেছে। তখন ঘরে কেউ ছিল না বলে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা।

আমির হোসেনের বাড়ির ৩০ গজ পেছনে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া। সেখানে দাঁড়িয়ে এদিকে অস্ত্র তাক করে আছেন সেখানকার ১০-১২ জন সেনাসদস্য। রোহিঙ্গাদের ছবি তোলা দৃশ্য দেখে সেনাসদস্যরা ওপারে হইচই শুরু করেন। সেনাসদস্যদের পাশের একটি তল্লাশিচৌকি থেকে তখন মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল, প্রথমে বার্মিজ ভাষায় এবং পরে রোহিঙ্গাদের আঞ্চলিক ভাষায়। ঘোষণায় বলা হচ্ছিল, ‘রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলাজুড়ে এখন ১৪৪ ধারা চলছে। শূন্যরেখার যে স্থানে ধাওয়া বাঙালিরা (পলাতক বাঙালি) অবস্থান করছ, সেটি মিয়ানমারের ভূখণ্ড। সুতরাং এই ভূখণ্ডে বাঙালিদের (রোহিঙ্গা) থাকা বেআইনি। তাই দ্রুত এই ভূখণ্ড ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কোনো কিছুর জন্য মিয়ানমার দায়ী থাকবে না।’

এখানে উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা বলেন, প্রতিদিন এ রকম ১৫-১৬ বার ঘোষণা দেয় তারা। কিন্তু রোহিঙ্গারা তা কানে নিচ্ছে না।

বেলা ১১টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে কথা হয়, বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, মিয়ানমার তাঁদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে পারে, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু তাঁরা গুলি করছে কেন? এ নিয়ে মিয়ানমারের কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি বিজিবিও সতর্ক রয়েছে। ওপারের ঘটনায় এপারের লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির থেকে গত দুই দিনে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ ঢোকেনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সরওয়ার কামাল বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তের শূন্যরেখায় সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে মিয়ানমার। উদ্দেশ্য—রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ ও সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা।

গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে ইতিমধ্যে ১০ লাখ ৭৬ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest