নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনোনীত ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের ১৪ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময়, বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, যজ্ঞানুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে ক্লিন ইমেজখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার আপামর জনগন স্বাদরে গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, জনগনের সুখ দুঃখের ভাগী হচ্ছেন। এমন কি তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কি ধরনের কাজ করবেন সবই এলাকাবাসীর সামনে তুলে ধরছেন।
সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের প্রায় সর্বত্র ব্যানার, বিলবোর্ড পোষ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পারকুমিরা গ্রামের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ সুলতান আহমেদ ও আনোয়ারা সুলতানার কোল আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু।
ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ডিপ্লোমা ইন স্টোরস ম্যানেজমেন্ট এন্ড স্টক কন্ট্রোল, ইংল্যান্ড থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৩ সালে মজিদখান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহন করে গ্রেফতার হন।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরী আইনে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাসের ডিটেনশনে সাতক্ষীরা,খুলনা ও ঢাকার কারাগারে কাটিয়ে মুক্ত হন।
১৯৮৩ – ১৯৮৫ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাজীপুর জেলা কমিটির সহ সম্পাদক, ১৯৮৮-১৯৯০ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি, ২০০৪-২০০৮ এবং ২০০৯-২০১১ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯-২০১১ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য, ২০১৬-জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির ২০১৯ সহ সম্পাদক, জেলা ১৪ দলের ষ্টিয়ারিং কমিটি সদস্য। পাটকেলঘাটা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না, মন্তব্য করে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন এবং তাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবেন।
মঙ্গলবার দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বেগম জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। তার জনপ্রিয়তার কারণে মিথ্যা মামলায় আজ তিনি জেলে। আজকের মতো শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেছে আদালত। আগামীকাল বুধবার আবার শুনানি শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়ার সামাজিক অবস্থান এবং বয়সের কথা বিবেচনা করে মাননীয় আদালত তাকে জামিন দিবেন বলে আমরা আশাবাদী।
শুনানি চলাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল বুক পেপারের বিষয়ে যে কথা বলেছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক। বুক পেপারের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি আছেন। তিনি দলের সঙ্গে থাকতে পারছেন না। জনগণের পাশে যেতে পারছেন না, রাজনীতি করতে পারছেন না, চিকিৎসা পাচ্ছেন না। জামিন পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। সুপ্রিমকোর্টের দায়িত্ব সেটি। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট সেটা করছে না। এই অবস্থায় আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। তাকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো।

