সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ৯৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা আড়াই লক্ষ করেছি বলেই মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পান না আলিপুরে জামায়াতের নির্বাচনী পথ সভা

সাতক্ষীরা-১ আসনে ১৪ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাসদ নেতা বাবলু প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনোনীত ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের ১৪ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময়, বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, যজ্ঞানুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে ক্লিন ইমেজখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার আপামর জনগন স্বাদরে গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, জনগনের সুখ দুঃখের ভাগী হচ্ছেন। এমন কি তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কি ধরনের কাজ করবেন সবই এলাকাবাসীর সামনে তুলে ধরছেন।
সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের প্রায় সর্বত্র ব্যানার, বিলবোর্ড পোষ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পারকুমিরা গ্রামের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ সুলতান আহমেদ ও আনোয়ারা সুলতানার কোল আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু।
ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ডিপ্লোমা ইন স্টোরস ম্যানেজমেন্ট এন্ড স্টক কন্ট্রোল, ইংল্যান্ড থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৩ সালে মজিদখান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহন করে গ্রেফতার হন।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরী আইনে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাসের ডিটেনশনে সাতক্ষীরা,খুলনা ও ঢাকার কারাগারে কাটিয়ে মুক্ত হন।
১৯৮৩ – ১৯৮৫ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাজীপুর জেলা কমিটির সহ সম্পাদক, ১৯৮৮-১৯৯০ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি, ২০০৪-২০০৮ এবং ২০০৯-২০১১ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯-২০১১ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য, ২০১৬-জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির ২০১৯ সহ সম্পাদক, জেলা ১৪ দলের ষ্টিয়ারিং কমিটি সদস্য। পাটকেলঘাটা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিশোর-কিশোরী সম্মেলন উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় প্রস্তুতি সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন- ২০১৮ উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে তাঁর অফিস কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আয়োজনে ‘মেধা মননে সুন্দর আগামি’ স্লোগানে দেশব্যাপী ১০হাজারের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ৭’শ জন সৎ, যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে ১জুলাই রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা জাতীয় পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী সম্মেলনে অংশ নেবে।
‘নৈতিকতা ও মূল্যবোধ, সৃজনশীল লেখা, বুদ্ধিমত্তা যাচাই এবং নেতৃত্বের গুনাবলী’ শীর্ষক বিষয়বস্তু ও কর্মশালায় স্কুল-কলেজের ৯ম, ১০ম, একাদশ ও দ্বাদশ বা সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীরা লিখিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন।
এনজিও সাস’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ মুহা. আইয়ুব আলী, প্রধান শিক্ষক হরি সাধন ঘোষ, প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, মাদরাসা সুপার মুনায়েম হোসেন, সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লাল্টু প্রমুখ।
সভার সিদ্ধান্ত মতে- আগামি ১৪ মে কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলে সকাল ১০টায় উপজেলার ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও ২টি মাদরাসা থেকে ১০জন করে সর্বমোট ১০০জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক ৩০ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক একটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। যার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ মিনিট।
এ ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় বিলুপ্তির পথে গাব গাছ ও ফল

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বিলুপ্তির পথে গাব গাছ ও গাব ফল। গাবের ফলের উপযোগিতা রয়েছে অনেক। মানুষের কল্যাণে এটি দারুণ কাজে আসলেও গাব ফলের কল্যাণে মানুষের কাজ যেনো থমকে গেছে।
জানা গেছে- গব ফল থেকে ট্যানি জাতীয় আঠা তৈরি করা হয়। টেকসই করতে এই আঠা মাছ ধরার জালে, পশুর চামড়ায় এবং নৌকায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিশেষ প্রক্রিয়া গাব ফলের রং দিয়ে জালের রংসহ অন্যান্য রং-এর প্রলেপ দেয়া যায়, যেটা খুবই দীর্ঘস্থায়ী।
দেশি গাবের ফল গোলাকার। খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। চলতি মৌসুমে এলাকার কিছু কিছু গাছে সল্প পরিমাণে গাব দেখা গেছে। সেগুলো পাঁকতেও শুরু করেছে। সবুজ ফল পাকলে হলুদবর্ণ ধারণ করে।
এছাড়া মানুষের বহুমূত্র, ক্যান্সার, এ্যাকজেমা, চর্মরোগ, আমাশয়, মূত্ররোগে গাব একটি কার্যকর ভেষজ বলে আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য চিরঞ্জীব বনৌষধিতে গাবের বিভিন্ন ভেষজ প্রয়োগের কথা উল্লেখ রয়েছে।
পরিপক্ক একটি গাব গাছ ৩০-৩৫ মিটার লম্বা আর ৬৫-৭০ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। কিন্তু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের ফলে, বসতবাড়ি তৈরির ফলে, মনুষ্যসৃষ্টির ফলে ও অন্যান্য কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই গাব গাছ।
অনেকে জানিয়েছেন- ‘কয়েক বছর আগেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাব গাছ দেখা যেতো। গাব গাছ নিয়ে মানুষের মাঝে রয়েছে ভীতিও। কিছু সহজসরল মানুষের ধারণা গাব গাছে নাকি ভূত-পিচাশ বাস করে। এর সত্যতা পাওয়া না গেলেও ঘন পল্লবের গাব গাছকে নিরাপদ মনে করে পেঁচার মতো প্রাণী বাস করতো। আর রাতে পেঁচাকে ভূত-পিচাশ ভেবে ভয় পেতো কেউ কেউ।’
তারা জানান- ‘কালের বিবর্তনে লোকালয়ের চাপে ঝোপ-ঝাড় ধ্বংস আর অবাধে বৃক্ষনিধনের ফলে গাব গাছ বিলীন হতে বসেছে।’
সচারচার দেখা না গেলেও উপজেলার মিরডাঙ্গা গ্রামের জনৈক আকমল হোসেনের বাড়ির পাশে দেশীয় গাব ফলের গাছ দেখা গেছে। গাব ফল দিয়ে ভেষজ ঔষধসহ নানান উপকার হয় মানুষের। কাজে লাগে তার কাঠও।
বন ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে প্রকৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ঔষধী ফলগাছ হিসেবে গাবকে গুরুত্ব দিতে সচেতন মহল দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশরাফুজ্জামান আশুর বিবৃতিতে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ৮ এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় জেলা পার্টির জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুজ্জামান (আশু)’র প্রেস বিজ্ঞপ্তির নিন্দা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। ৮এপ্রিল সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সরদার আব্দুল মুজিদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ইং ২৬ ফেব্রুয়ারী ১৮ তারিখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লী বন্ধু এরশাদ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র নিয়ম অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কমিটি গঠনের মাধ্যমে পার্টিকে উজ্জিবিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে পৌছানোর চেষ্টা করছি। আশু সাহেব এবং তাহার একজন নিকট আত্মীয় মিলে জাতীয় পার্টিকে ঘরের মধ্যে বন্ধী করে নিজদের সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করছে। এখন সেটা আর সম্ভব হবে না ভেবে উন্মাদের মত আচরণ করছেন। আশু সাহেব তার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জামাত শিবির ও নাশকতার অপরাধে অপরাধীরা জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করে নিজদের কে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। এমন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে কেবল ছোট করা নয়, নিজের হেয় মনমানসিকতার বহিপ্রকাশ ঘটাইয়াছে। তিনি দীর্ঘদিন কুক্ষিগত করে রেখে জাতীয় পার্টিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লী বন্ধু এরশাদের অনুমোদিত কমিটিকে অমান্য করিয়া নিজেকে শাস্তি যোগ্য ব্যক্তিতে পরণিত করে অন্যের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা উল্লেখ করে নিজেকে উপহাসের পাত্র ছাড়া আর কিছুই কি করলেন? প্রেস বিজ্ঞপ্তি দাতাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ থেকে সংযত হতে বলা হলো। জাতীয় পার্টির এরশাদ সৈনিকরা কাহারো হুমকি ধামকি ভয় পায় না বলে দাবি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করবে বিএনপি

নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না, মন্তব্য করে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন এবং তাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবেন।

মঙ্গলবার দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বেগম জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। তার জনপ্রিয়তার কারণে মিথ্যা মামলায় আজ তিনি জেলে। আজকের মতো শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেছে আদালত। আগামীকাল বুধবার আবার শুনানি শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়ার সামাজিক অবস্থান এবং বয়সের কথা বিবেচনা করে মাননীয় আদালত তাকে জামিন দিবেন বলে আমরা আশাবাদী।

শুনানি চলাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল বুক পেপারের বিষয়ে যে কথা বলেছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক। বুক পেপারের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি আছেন। তিনি দলের সঙ্গে থাকতে পারছেন না। জনগণের পাশে যেতে পারছেন না, রাজনীতি করতে পারছেন না, চিকিৎসা পাচ্ছেন না। জামিন পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। সুপ্রিমকোর্টের দায়িত্ব সেটি। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট সেটা করছে না। এই অবস্থায় আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। তাকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমি শামিকে ডিভোর্স দেব না

হাসিন জাহানকে প্রতিদিন নতুন নতুন হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শামির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তার সাক্ষীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি রয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। এদিন হাসিনের দাবি, শামির আত্মীয়দের থেকেও পরোক্ষ হুমকি আসছে। শামির মামা মুবির এদিন হাসিনকে জানান, শামি বলেছে উত্তরপ্রদেশে না থেকে কলকাতায় ফিরে যাও। তা না হলে আমরোহায় হাসিনের শ্বশুরবাড়িতে যেমন তালা পড়ে গেছে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে কলকাতার বাড়িতেও তালা পড়ে যাবে।

হাসিন আরও বলেন পুলিশ-প্রশাসন এবং হাসিবের (শামির দাদা) গুন্ডারা আমাকে প্রতি মুহূর্তে চাপের মধ্যে রেখে দিয়েছে।

কলকাতা পুলিশের তরফে দেয়া নিরপত্তারক্ষী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় একাই হাসিন উত্তরপ্রদেশ পৌঁছেন। পরিবর্ত হিসেবে যিনি হাসিনের সঙ্গে যোগ দিতে উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছিলেন, রাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় তিনি এলাহাবাদেই আটকে রয়েছেন। ফলে হাসিনের গাড়ির চালক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এখনও উত্তরপ্রদেশ পৌঁছতে পারেননি।

উত্তরপ্রদেশে থাকাকালীন প্রতিটি মুহূর্তেই তাকে অসহযোগিতার শিকার হতে হচ্ছে বলে এদিনও দাবি করেন হাসিন। আমরোহা জেলা-শাসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও তাকে চূড়ান্ত অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান।

জেলাশাসক তার সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন হাসিন। এদিকে এখনও শামির বাড়িতে তালা। এ পরিস্থিতিতে কেন বারবার উত্তরপ্রদেশের শামির বাড়িতে যেতে চাইছেন এমন প্রশ্নে হাসিনের জবাব, এখনও ওটা আমার শ্বশুরবাড়ি। আমি শামিকে ডিভোর্স দেব না। আমার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই বাড়িতে রয়েছে। যেগুলো আমার মামলার জন্য ভীষণ জরুরি।

‘সেই কাগজগুলো নেওয়ার জন্যই শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এখানে এমনভাবে তালা দেয়া এবং বাইরে পুলিশ প্রহরা, ফলে আমার একার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীর নির্দেশে দ্বিতীয় দফার গোয়েন্দাদের একটি দল রোববারই পৌঁছেছে শামির গ্রামে। তাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে খোলাসা না করলেও হাসিন বলেন, এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে ওদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথা হয়েছে।

হাসিন জানান, আমি আরও কয়েকটা দিন এখানে থাকতে চাই। এখানে এখনও অনেক মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। দেখছি গ্রামের বহু মানুষ শামির পরিবারের প্রতি বিক্ষুব্ধ। ওরা আমার পাশে আছে। কিন্তু এমনভাবে তাদের আমার থেকে দূরে রাখা হয়েছে, যেটা অবাক করা মতো।

হাসিনের জেদ, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। জানি, এখানে যতদিন থাকব ততদিন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। প্রাণ সংশয় রয়েছে। আমি এ মুহূর্তে নিরাপত্তাহীন।

তবে চূড়ান্ত অসহযোগিতার মধ্যেও হাসিন কৃতজ্ঞ শামির এক তুতো ভাইয়ের কাছে। সে কথা স্বীকার করে বলেন, আমি কৃতজ্ঞ শামির এক খুড়তুতো দাদার কাছে। ভয়ের কারণে কেউ আমাকে এখানে আশ্রয় দেয়নি। উনি আমাকে পাশের গ্রামে নিয়ে এসেছেন। নিশ্চয়তা দিয়েছেন, আমার এবং বেবোর কিছু হবে না। এখান থেকেই আমি লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। নিশ্চয়ই কলকাতা ফিরব। তবে সেটা কবে জানি না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিডনি ভালো রাখতে যা করা উচিত!

আপনার শরীরে কি ভিটামিন ডি-র ঘাটতি আছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে যে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ যাদের ঘুমের সমস্যা আছে বা রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর সময় থাকে না, তারাও সাবধান হোন৷ ঘুমের অভাব কিডনির স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে৷

কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যা যা করা উচিত-

* গ্রিন টি পান করলে নাকি কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সিট্রাস ফল বা নানা ধরনের লেবু খাদ্য তালিকায় থাকলে কিডনিতে স্টোন হয় না৷ আরো বলা হয় যে গর্ভাবস্থা থেকেই মায়ের নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন৷ তাহলেই শিশুর কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷

* প্রচুর পানি পান করুন। তিন লিটারের কমে চলবে না, ৬০ কেজি ওজনের প্রাপ্তবয়স্করা সাড়ে ৪ লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে পারেন। ওজন বেশি হলে বা খুব ঘামলে পানি পান করার পরিমাণ আরো একটু বাড়ান। পানি আপনার শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখবে। যাদের হার্টের অসুখ বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে পানি পানের উপর বিধি নিষেধ আছে, তারা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

* কিডনি আপনার শরীরের ওয়াশরুম হিসেবে কাজ করে। সেটা পরিষ্কার রাখার চেষ্টাটা আপনাকেই করতে হবে। যাদের ইউরিক অ্যাসিড, হাইপারটেনশন বা ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ মেনে চলুন, রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিডনিও সুস্থ থাকবে। এই দু’টি রোগই কিন্তু কিডনির উপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে৷

* ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বন্ধ করতে হবে। এর সুদূরপ্রসারী ফল ভোগ করতে বাধ্য হয় আপনার শরীর৷ কিডনি সারা শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। আপনি যত ওষুধ খাবেন, তার রেসিডিউ এসে জমা হবে কিডনিতে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পেন কিলার বা অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা হাইস্কুল সরকারি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র‌্যালি

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলার বহু পুরাতন স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ দেবহাটা বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশান মডেল হাইস্কুল সরকারীকরন হয়েছে। সরকারী হওয়ার আনন্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় স্কুল মিলনায়তন থেকে একটি আনন্দ র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। সোমবার এই ঘোষনা হওয়ায় এলাকাবাসী, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা দেখা দিয়েছে। আর এজন্য সকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সূত্র মতে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন যেসব জেলা ও উপজেলায় সরকারী স্কুল ও কলেজ নেই, সেইসব জেলা ও উপজেলার একটি করে বেসরকারী স্কুল কলেজকে সরকারীকরন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৩৭.০০.০০০০.০৭১.১৮.০০২.১৭-৫৪৮ নং স্মারকে গত ০৭-০৫-২০১৮ তারিখে দেবহাটা উপজেলা সদরের দেবহাটা বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশান মডেল হাইস্কুলকে সরকারীকরন করে গেজেট ঘোষনা করে। এই গেজেটে দেবহাটা হাইস্কুলের পাশাপাশি দেশের আরো ১১টি হাইস্কুল সহ মোট ১২ টি হাইস্কুলকে সরকারী তালিকাভুক্ত করে গেজেট ঘোষনা করে। সকল কার্য সম্পন্ন করে সোমবার মন্ত্রনালয় থেকে এই ঘোষনা দিয়ে গেজেট প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, দেবহাটার স্বনামধন্য জমিদার দেবহাটার ১৮ জন জমিদারদের প্রধান ১৮৬৮ সালে প্রতিষ্টিত দেবহাটার টাউনশ্রীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ফনীভূষন মন্ডল ১৯১৯ সালে সম্পূন্ন নিজের টাকায় উপজেলা সদরের এই স্কুলটি প্রতিষ্টা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest