নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্তকে স্টান্ড রিলিজ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) রাজীব হোসেনের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন সুবীর দত্ত।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় বি এন পি কিংবা জামাত শিবির নয়, পুলিশ আতংকে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন একালাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিন মুজুরও। চাহিদা মত চাঁদার টাকা না দিতে পেরে দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া রয়েছের অনেকে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতিসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ- অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা আর চাঁদাবাজ অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত। যার কারণে উপজেলা এলাকায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্দ ছিলেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিআইজি বরাবর দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, থানা অফিসার ইনচার্জ কালিগঞ্জ থানায় (১১/১১/২০১৭) যোগদানের পর থেকে এলাকার নিরীহ মানুষদের তুলে নিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া, মাদক ব্যবসায়ীর প্রাধান্য দেওয়া, সন্ত্রাসীদের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ধরে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো ও জনগণের প্রয়োজনে কাজে না আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
অভিযোগ আছে, ওসি সুবীর অবৈধ ও অনৈতিকভাবে থানা এলাকার প্রায় তিন শতাধিক ধনি ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওসির বাসায় রেখে চাপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। অভিযোগের সাথে ভুক্তভোগীদের নামের তালিকাও গণমাধ্যমের কাছে এসেছে।
এমনিভাবে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ইউপি সদস্য ডালিম স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডি আই জিসহ বিভিন্ন দপ্তরে সুবীর দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে একাধিক তদন্ত সম্পন্ন হয়। একপর্যায়ে থানার উপ-পরিদর্শক প্রকাশ ও ইস্রাফিলকে ক্লোজড করা হয়ে। কিন্তু বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্তসহ জড়িতদের অপসারণে দাবি অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার তাকে স্টান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে লুকাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারী নির্যাতনের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশের তদন্ত কমিটি। তাঁকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। কিন্তু থামানো যায়নি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।
ওই সংবাদ পাঠিকা প্রথমে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রত্যাহার হওয়া অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান মুঠেফোনে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বাড়ির বাইরে বের হলে তাঁকে হেনস্থা করবেন ও অশ্লীল ছবি তৈরি করে প্রচার করবেন। ১০ এপ্রিল তিনি তাঁর নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজের কথা জানতে পারেন। তিনি দেখতে পান, ওই পেজটি তাঁর নামে খোলা এবং সেখানে তাঁর ছবির সঙ্গে অশ্লীল ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে সংবাদ পাঠিকা অভিযোগ জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।
জানতে চাইলে, বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মঙ্গলবার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগও তদন্তে যুক্ত হয়েছে। তাঁরা মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে।
ঘটনার শিকার ওই গণমাধ্যমকর্মী বলেন, এর আগেও প্রত্যাহার হওয়া অতিরিক্ত কমিশনার তাঁকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, মিজানুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে তাঁর ও তাঁর স্বামীর মুঠোফোন নম্বর অনুসরণ করেন। তাঁর স্বামীও এর আগে সাভার থানায় জিডি করেছেন। কথা বলার সময় ওই গণমাধ্যমকর্মী অনবরত কাঁদছিলেন। তিনি বলছিলেন, মিজানুর রহমানের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ওঠা-বসা রয়েছে। এর আগে টিভি চ্যানেলের গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার সময় হাতিরঝিলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। মিজানুর রহমান তাঁকে ফোন করে ৬৪ টুকরো করে ফেলার হুমকি দিয়েছেন, বলেছেন তাঁর মাথা জিরো পয়েন্টে ঝুলিয়ে রাখবেন। প্রাণভয়ে তিনি ও তাঁর স্বামী গত চার মাস ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। একমাত্র সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না।
মিজানুর রহমান ওই সংবাদ পাঠিকার কাছ থেকে কী চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিজানুর একজন বিকৃত রুচির মানুষ। তিনি নানা ছলছুতোয় নারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়েন ও তাঁর ইচ্ছামতো চলতে বাধ্য করেন। মিজানুর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ওই নারী।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এর আগে মরিয়ম আক্তার ইকো নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ের অভিযোগ করেন। গত ৮ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন। কমিটি মিজানুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পায় বলে জানা গেছে।
ধর্মগ্রন্থ বলছে, মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহস্ত। কিন্তু অনেক সন্তানই আছেন যারা মাকে একটা সময়ে যথাযথ সম্মান দেওয়া তো দূরের কথা, রীতিমত অবজ্ঞা করেন। আর এর জন্য দায়ী ধর্মীয় ও মানবিক শিক্ষার অভাব। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালাবাসার শিক্ষাটা শৈশবেই শিশুর মগজে-মননে-অভ্যাসে গেঁথে দেওয়া উচিত।
মায়ের প্রতি সম্মান জানাতে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুলে পালন করা হয় অসাধারণ এক রীতি। ওই স্কুলে প্রতিবছর বাধ্যতামূলকভাবে একটি অন্যরকম দিন পালন করা হয়। ওইদিন সব ছাত্র-ছাত্রীর মা-কে স্কুলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্কুলের মাঠে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সব ছাত্রকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের মায়ের দুই পা পানি দিয়ে পরিস্কার করে মুছে দিতে। ছাত্ররা যত্নের সঙ্গে সেই নির্দেশ পালন করে।
কিন্তু কেন এই কর্মসূচি? কারণ, ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রদের জীবনের প্রথম পর্ব থেকেই শেখানো হয়-ভবিষ্যত জীবনে তারা যেন বাবা-মায়ের যত্ন নিতে ভুল না করে। এর মাধ্যমে দেশটির শিশুদের বার্তা দেওয়া হয়-‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহস্ত।’ এটা ইসলাম ধর্মের বাণী।
ওই রীতির মাধ্যমে শুধু মায়ের প্রতি নয় একজন নারীর প্রতিও বাল্যকাল থেকে শ্রদ্ধাবোধ তৈরী হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।
ইন্দোনেশিয়ার স্কুলের এই রীতি হায়দরাবাদ মিশন স্কুলেও পালন হয় বলে জানা গেছে।
ইসলামের খলিফা হযরত আলী বলেছেন, ‘যে মা তোমাকে কথা বলা শিখিয়েছেন তাঁর সাথে তীক্ষ্ণ ভাষায় কথা বলো না।’
আসুন, সুন্দর মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলি, মাকে ভালোবাসি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল অল্প। তবে অতিথি বোলারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে সেটাই স্বাগতিক মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ব্যাটসম্যানদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাহাড় সমান। সে পাহাড় আর টপকাতে পারেনি মুস্তাফিজুর রহমানরা। লো-স্কোরিং ম্যাচটা ৩১ রানে জিতে নিয়ে আসরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিল সাকিব আল হাসানের দল।
প্রথম ব্যাটিং করে সাকিবদের সংগ্রহ ছিল সব উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান। ১১৯ রানের মামুলি লক্ষ্যটাও তাড়া করতে পারেনি মুস্তাফিজের দল। জবাব দিতে নেমে মুম্বাই গুটিয়েছে একশোর আগেই। তারাও অলআউট হয়েছে ৮৭ রানে।
ওয়াংখেড়েতে স্বাগতিকদের দারুণ চাপে রেখেই নিজেদের বোলিং শুরু করে হায়দরাবাদ। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন পঞ্চম ওভারেই নিয়ে আসেন সাকিবকে।
অধিনায়ককে নিরাশ করেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। প্রথম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে তুলে নেন সাকিব। আর এই উইকেট নিয়েই প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০তম উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব। সাথে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চার হাজারের বেশি রান আর তিনশো উইকেট নেওয়ার ক্লাবেও ঢুকে গেলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাকিব দিয়েছিলেন মাত্র তিন রান। তৃতীয় ওভারটায় একটু খরুচে ছিলেন বটে বাঁহাতি স্পিনার। এক ছয় সহ দিয়েছিলেন ১১ রান। অবশ্য এক ওভার আগেই অলআউট হয়ে যাওয়ায় আর বোলিংয়েরই সুযোগ পাননি সাকিব। সব মিলিয়ে বল করেছেন তিন ওভার। ১৬ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন এক উইকেট, ওভার প্রতি রান গুনেছেন ৫.৩৩ গড়ে।
হায়দরাবাদের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে চার ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় রশিদ খান তুলে নিয়েছেন জোড়া উইকেট। সাথে সিদ্ধার্থ কাউল তিনটি ও বাসিল থাম্পি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
মিস আমেরিকা হিসেবে মুকুট জয়ী দেইদ্রে ডাউনস গুন সমকামী তরুণীকে বিয়ে করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা প্রদেশে এ দুই নারী সমকামী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।
পেশায় চিকিৎসক দেইদ্রে ডাউনস গুন ২০০৫ সালে মিস আমেরিকার মুকুট বিজয়ী। তিনি অপর নারী অ্যাটর্নি অ্যাবোট জোনসকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বিয়ের আনুষ্ঠাকিতা সারার পর বার্মিংহামের শিল্প যাদুঘরে যান তারা। গুন বলেন, আমাদের পরিবার ও বন্ধুদের সামনে আমাদের দু’জনের ভালোবাসার সবচেয়ে অর্থপূর্ণ অঙ্গীকারের অংশ আজকের এই দিনটি।
ডাউনস গুন এর আগে অ্যান্ড্রু গুনের সঙ্গে ২০০৮ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তাদের সেই সংসারে জ্যাক নামে আট বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
সংসার ভেঙে গেলে সমকামী তরুণী অ্যাবোট জোনসকে বিয়ে করেন তিনি। তার সঙ্গে গুনের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল তার ছেলে জ্যাক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কলারোয়া উপজেলা জাসদ- এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল কলারোয়া উপজেলার সম্মেলন শেষে কলারোয়া পৌরসভা, চন্দনপুর, দেয়াড়া, হেলাতলা, জালালাবাদ, জয়নগর, কেরালকাতা, কয়লা, কুশোডাঙ্গা, লাঙ্গলঝাড়া, সোনাবাড়িয়া, যুগিখালী, কেড়াগাছী ইউনিয়ন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ও কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি, সহ-সভাপতি মুনসুর আলী, আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক, রেজাউল ইসলাম কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মিজানুর রহমানকে সাংগঠনিক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠিত হয়।
বাংলাদেশের ২১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন মো. আবদুল হামিদ। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পদে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন তিনি।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানান।
বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পর থেকে ১৭ জন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে মো. আবদুল হামিদই হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি পরপর দুইবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি এবং নির্বাচনের তারিখ ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নাম দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়। এ নির্বাচনে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি।
২০১৩-এর ২৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।
তিনি ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ-১৮ থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য, ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে, ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচন হন।
তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ১৩ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১০ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ১২ জুলাই ২০০১ থেকে ২৮ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি ২০০১ সালের ১ নভেম্বর থেকে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৩’ প্রদান করা হয়।
জনাব মো.আবদুল হামিদ বিবাহিত। তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যার জনক।
বিভিন্ন দেশের সংবিধান ও ইতিহাস গ্রন্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্বলিত পুস্তক পাঠ করা তাঁর প্রিয় শখ।
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে উপজেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শঃ স্থানীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনা (এলএপিএ) প্রণয়ন সমস্যা ও সমাধান কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।…
অনলাইন ডেস্ক : “আমরা আর কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না—এটাই আমাদের অঙ্গীকার,”—ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন…
অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৭২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত হয়েছে ২৭৮ জন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।…