সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

দণ্ডিত ধর্ষক ধর্মগুরুর ১০ হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল গুজরাটের সবরমতী নদীর তীরে ছোট্ট একটা কুটির থেকে। ৭০-এর দশকের কথা। তারপর সবরমতী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারামের প্রতিপত্তিও এগিয়েছে নদীর স্রোতের মতোই।
পরের চার দশকে গড়ে উঠেছিল সারা দেশজুড়ে ৪০০টির বেশি আশ্রম। সম্পদের মাপকাঠিতে শিল্পপতিদেরও টেক্কা দিতে পারেন আসারাম। তার সম্পদের পরিমাণ চোখ কপালে তোলার মতো। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন আসারাম। ভক্ত সংখ্যা কয়েক হাজার।
স্বঘোষিত গুরু আশারাম বাপুকে কিশোরী ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। বুধবার রাজস্থানের যোধপুরের আদালত ৭৭ বছর বয়সী আশারামকে এ দণ্ড দেন।
সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ আসার পর আসন টলে গেলো আসারামের। ২০১৩ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর মোতেরা এলাকার আশ্রম থেকে বাজেয়াপ্ত নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর একটু অবাকই হন পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আসারামের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে রয়েছে বিপুল পরিমাণ জমি-জমা। ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারের পরও কিছু ভক্ত রয়েছে তার। কিন্তু তারপর থেকে জমি জবরদখল ও আশ্রমে লুটপাটের মতো অভিযোগ উঠে এসেছে আসারামের বিরুদ্ধে।
তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে দেশভাগের আগে অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বেরানি গ্রামে আসারামের জন্ম। নাম ছিল আসুমল সিরুমালানি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাবা-মার সঙ্গে আহমেদাবাদে চলে আসেন তিনি।
মণিনগরের স্কুলে যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তেন তখন তার বাবা-মারা যায়। ফলে ১০ বছর বয়সে স্কুল ছাড়তে হয় তাকে। তরুণ বয়সে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। তারপর ‘আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে হিমালয় যাত্রা’ করেন বলে ওয়েবসাইটের তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে।
সেখানে লীলাশাহ বাপু নামে ‘গুরু’র সন্ধান পান আসারাম। ওই গুরুই তার আসারাম নামকরণ করেন। গুরু তাকে ‘নিজের পথ বেছে নিতে এবং মানুষকে পথ দেখানো’র নির্দেশ দেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে।
৭০-এর দশকের গোড়ায় আহমেদাবাদে এসে মোতেরা এলাকায় সবরমতীর ধারে ‘তপস্যা’ শুরু করেন আসারাম। ওই নদীর ধারেই ‘মোক্ষ কুটির’ নামে আশ্রম তৈরি করেন তিনি। কয়েক বছরের মধ্যেই সন্ত হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। চার দশকের মধ্যে সারা দেশে ও বিদেশে তার ৪০০ আশ্রম গড়ে ওঠে।
আসারাম লক্ষ্মীদেবীকে বিয়ে করেন। তার এক পুত্র ও কন্যাসন্তান রয়েছে। ছেলে নারায়ণ সাঁইও এখন জেলেই রয়েছেন। মেয়ের নাম ভারতী দেবী। ২০০৮ সালে প্রথম সমস্যার সম্মুখীন হন আসারাম। দীপেশ ও অভিষেক বাঘেলা নামে দুই ভাইয়ের মোতেরায় আসারামের গুরুকুল আশ্রম সংলগ্ন নদীর তীরে পাওয়া যায়। তারা ওই আশ্রমেই থাকত।
২০০৯ সালে সিআইডি আশ্রমের নয়জন ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। নিহত দুই ভাইয়ের অভিভাবকরা দাবি করেন যে, আসারামের আশ্রমে তুকতাক করা হত। এই তুকতাক করতে গিয়েই দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।
তবে আসারামের প্রকৃত পতন শুরু হয় রাজস্থানে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর। এরপর সুরাতের দুই বোন আসারাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সুরাত পুলিশ আসারাম ও নারায়ণ সাঁইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলা এখনও চলছে গান্ধীনগর আদালতে।
সুরাত ও আহমেদাবাদে আশ্রম তৈরির জন্য জমি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে আসারামের বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের মামলায় সাক্ষীদের হুমকি ও নিগ্রহর জন্য আসারামের বেশ কয়েকজন ভক্তও গ্রেফতার হয়েছে। এবিপি আনন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিনহার একাউন্টে ৪ কোটি টাকা জমা, ২ ব্যবসায়ীকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ফাইল ছবিসুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ফাইল ছবিসাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুই ব্যবসায়ীকে তলব করেছে সংস্থাটি। কিন্তু সংস্থাটির কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদকের গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন সাহা নামের দুই ব্যবসায়ীকে তলব করে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। ৬ মে সকাল নয়টায় তাঁদের দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা। পরে ওই টাকা ‘রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৫ দিনে ওজন কমাবে জিরা পানি

গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়। এ ছাড়াও, হজমের গন্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। এছাড়াও জিরার আরও কয়েকটি গুণাগুণ হল-

১। জিরা পানির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এবং মিনারেল থাকে, যার ফলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব দূর হয়।

২। শরীরের থেকে টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করতে এই জিরা পানির জুড়ি মেলা ভার। সারা রাত পানি ভিজিয়ে রাখুন জিরা। সকালে খালি পেটে খান। এতে সারা দিন শরীর ঝরঝরে থাকে।

৩। অম্বলের সমস্যা থাকলে জিরা ভেজানো পানি খান। এতে লিভার সুস্থ থাকে।

৪। অনেকেই আছেন, যারা একটুতেই বিভিন্ন রোগের শিকার হন। তাদের জন্য জিরা পানি একদম যথাযথ টোটকা। কারণ, এতে ভিটামিন এ এবং সি থাকে।

৫। এই পানি নিয়মিত খেলে অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাবেন।

৬। নিয়মিত জিরা পানি খেলে অতিরিক্ত ওজন এবং মেদ কমবে।

কিন্তু কিভাবে খাবেন? আসুন জেনে নেয়া যাক-

এক: একটা গ্লাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।

দুই: যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।

তিন: কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।

চার: পাতিলেবু ও রসুনও ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশ্রমে কিশোরী ধর্ষণ; ভারতীয় ভণ্ড ধর্মগুরুর যাবজ্জীবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন স্বঘোষিত ভারতীয় ‘ধর্মগুরু’ আসারাম বাপু। ২০১৩ সালে যখন পুরো ভারতবাসী স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিল তখন আসারাম তার আখড়ায় নাবালিকা মেয়ে ধর্ষণে লিপ্ত ছিল।
৭৭ বছর বয়সী এই ‘গুরু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে উত্তরপ্রদেশের শাহাজাহানপুরের নিজ আশ্রমে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। বুধবার আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে তার সাজার মেয়াদ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ডাদশে হতে পারে তার। সাজার ক্ষেত্রে বয়সের বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পক্ষের আইনজীবীরা এই বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছিল।
নারী ভক্তদের আসারাম বলতেন- আমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মানব রূপ আর তোমরা সবাই মেয়েরা হলে আমার গোপীনি। ভক্তদের ভোগের সামগ্রী বা গোপীনি মনে করা এই ‘কলির কৃষ্ণ’ শুধু শাজাহানপুরের ওই কিশোরী নয়, আরও বেশ কয়েকজন ভক্তেরই সম্ভ্রমহানি করেছেন। একই অভিযোগে অভিযুক্ত তার গুণধর পুত্রও।
ধর্ষণপীড়িত কিশোরী গুরুকুলের ছাত্রী ছিল। সে মিডিয়াকে জানায়, যখন সে আশ্রমে প্রবেশ করে তখন তাকে প্রসাদের সঙ্গে এমন কিছু খাইয়ে দেওয়া হয় যে সে সম্মোহিত হয়ে পড়ে। এরপর সে আশ্রমে থাকার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সে আরও জানায়, আসারাম ও তা ছেলে দুজনই নিজেকে ভগবান দাবি করতো।
সে আরো জানায়, রাতের বেলা আসারাম টর্চ হাতে আশ্রমে ঘুরতো। যেসব মেয়েকে তার পছন্দ হতো তাদের ওপর টর্চের আলো ফেলতো। এরপর তার অনুসারীরা ওই মেয়েদের ডেকে আসারামের কাছে সমর্পন করা হতো।
আসারাম নারী নিগ্রহ আর শ্লীলতাহানির অপকর্ম অনেক করেছে। তবে ধরা খেয়ে যায় ওই কিশোরীর ক্ষেত্রে এসে। এই ঘটনার শুরু ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দবারা এলাকায় আসারামের অধীন গুরুকুল থেকে সেদিন একটি কল আসে ওই কিশোরীর বাবার সেলফোনে। বলা হয়, গুরুকুলের ছাত্রী তাদের কন্যা অসুস্থ। তার ওপর ভূত-প্রেত আসর করেছে। তবে তার চিকিৎসা গুরু আসারাম করতে পারবেন।
এমন খবরে বা-মা হন্তদন্ত হয়ে ছিন্দবারায় হাজির হন গুরুকুলে। সেখাকার তত্ত্বাবধায়করা তাদেরকে পরামর্শ দেয় কন্যাকে নিয়ে আসারামের দরবারে যেতে। তখন যোধপুরে অবস্থান করছিল আসারাম। ১৪ আগস্ট কন্যাকে নিয়ে তারা যোধপুরের মানাই আশ্রমে হাজির হন। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন আসারাম যে অনুষ্ঠান করেন তাতে বেশকিছু মেয়েকে নিয়ে আসা হয়।
এফআইআর এবং চার্জশিট মোতাবেক, মেয়েদের নিয়ে আসারামের খাস কামরা প্রবেশ করানো হয় আর তাদের অভিবাকদের বলা হয় বাইরে ধ্যানে বসে যেতে। এরপর নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মেয়েদের ওপর হামলে পড়তো সে। এসময় তাদের নানান ভয়ভীতিও দেখানো হতো।
ঘটনার শিকার মেয়েকে নিয়ে ‘গুরু’র দরবার থেকে ১৬ আগস্ট শাহজাহানপুরের বাড়িতে রওনা হয় বাবা-মা। বাড়ি এসে মেয়েটি তাদেরকে জানায় আগেরদিন তার ওপর কী জঘন্য ঘিনঘিনে ঘটনা ঘটে গেছে। ঘটনা শুনে তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। যাকে নিজেদের সবকিছু মনে করতেন- সেই লোকই তাদের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে এমন জঘন্য কাজ করেছে!
তারা আসারামের কাছে ঘটনা জানার জন্য ছুট লাগায়। কিন্তু ধর্ষক-গুরু তখন দিল্লির আশ্রমে। তারা দিল্লিতেই হাজির হন ১৯ আগস্ট। সেখানে আসারামের চেলারা তাদের বাধা দেয়ে। খবর পেয়ে আসারাম আত্মগোপনে যায়। পরদিন, ২০ আগস্ট তারা আসারামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত, তবে ভক্তরা তার মুক্তির আশায় প্রাথনায় রত ছিল -ফাইল ফটো
দিল্লির কমলা মার্কেট থানায় দায়ের করা নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় তার সঙ্গে আরো তিন সহযোগীও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আর খালাস পেয়েছে দুই জন। মামলাটি পরে যোধপুরে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সারের ৩১ আগস্ট আসারামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তারপর থেকে সে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিল।
আসারামের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর আর গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। দেশজুড়ে তার ভক্ত অনুসারীরা ‘গুরু’র বিচারের বিরেুদ্ধে ব্যাপক বিরোধীতায় অবতীর্ণ হয়। একইসঙ্গে চলে তার মুক্তির জন্য দলে দলে প্রার্থনা। প্রসঙ্গত, গুজরাতের সুরাতেও আসারাম এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই বোন। বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে এই দুই মামলার ৯ জন সাক্ষীর ওপর হামলা হয়েছে। মারা গেছেন ৩ জন।
রায় ঘোষণার পর ধর্ষণপীড়িত মেয়ের বাবা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই বলে যে শেষতক আসারাম দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিচার পেয়ে গেছি। একই সঙ্গে এই লড়াইয়ে যারা তার সঙ্গ দিয়েছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আলোচিত এই মামলার রায়ের দিন আদালত বসে জেলে। জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতরেই আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় রায় দেয় বিশেষ তফসিলি আদালত। এ বাবদে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয় জেলকে ঘিরে। বিচারক মধুসূদন শর্মাকেও বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
অপরদিকে, রায়কে ঘিরে আসারামের সমর্থকরা যাতে গোলযোগ সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকে কড়া নজর রাখছে পুলিশ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জোধপুর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। শহরে সব বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হোটেল ও ধর্মশালায় কারা আসা-যাওয়া করছেন, নজর রাখা হচ্ছে সে দিকেও। শহরের বাইরে পল রোডে আসারামের আশ্রম। দাঙ্গার আশঙ্কায় সেটিও ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।
দাঙ্গার আশঙ্কায় উত্তরপ্রদেশে ওই নিগৃহীতার বাড়ির বাইরেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
২০১৩ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ১২ বার জামিনের আবেদন করেছেন আসারাম। তবে এই ধর্ষক-গুরুর আবেদন খারিজ হয়েছে প্রতিবারই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই ডিআইজি মিজানকে এবার দুদকে তলব

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে আগামী ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে তলব করা হয়েছে।

বুধবার দুদক থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে মিজানুর রহমানকে আগামী ৩ মে সকাল সাড়ে ৯টায় দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

মিজানুরকে যথাসময়ে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আইজিপি বরাবর অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

জানা গেছে, নামেবেনামে ডিআইজি মিজানের শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে দুদকের কাছে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর স্বাক্ষরে বিভিন্ন সংস্থায় আয়ের বিষয়ে জানতে তথ্য এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ও বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার, বিআরটিএ, রাজউক, রিহ্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছিল।

এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য হাতে আসায় ডিইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে।

এর আগেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করেছিল দুদক। কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে এবার নতুন করে অনুসন্ধানে তার চাকরি জীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো বিষয়টি অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে।

ডিআইজি মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

সর্বশেষ ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ঢাবি ছাত্রীকে হত্যার দায়ে ঢাবি ছাত্র স্বামীর যাবজ্জীবন

আসাদুজ্জামান: স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী মাশহুদা সুলতানাকে হত্যার দায়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র স্বামী আবদুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। আসামি আব্দুল কুদ্দুস এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাজা প্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুস (২৫) খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার শ্রকিন্ঠপুর গ্রামের মৃত মহিউদ্দীন সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত শাহসূফী আহম্মদ মাও. মোঃ এলাহি বক্সের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী মাসহুদা সুলতানা ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র আব্দুল কুদ্দুস ২০১২ সালের প্রথম দিকে দুইজন দুজনকে ভালাবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী আব্দুল কুদ্দুস অন্য আর একটি মেয়ের সাথে প্রেম ঘটিত ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর এই অনৈতিক কর্মকান্ডে তার স্ত্রী প্রায়ই বাধা দিতেন। এক পর্যায়ে ২০১২ সালেরর ২২ জুন রাতে আব্দুল কুদ্দুস তার শ্বশুর বাড়ি সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের পীর বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী মাসহুদার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আব্দুল কুদ্দসের শ্বাশুড়ি তার মেয়েকে নিয়ে আলাদা রুমে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে আব্দুল কুদ্দুস তার স্ত্রীকে মোবাইলে তার রুমে ডেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় ওড়না ও গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ভোরে তিনি ফজরের নামাজ আদায়ের কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর সকালে ঘাতক কুদ্দুস সাতক্ষীরা সদর থানায় আত্মসমর্পণ করে পুলিশকে জানান তিনি তার স্ত্রী মাশহুদাকে হত্যা করেছেন। কুদ্দুস পরে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেন।
নিহত মাসহুদার চাচা আব্দুল্লাহিল গালিব বাদী হয়ে আসামী আব্দুল কুদ্দুসের নামে সদর থানায় ওই দিনই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান ওই বছরের ১৫ আগষ্ট দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীর নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার নথি ও ১২ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে বিচারক আজ বুধবার দুপুরে এ মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদ্বন্ড প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আবু বক্কর ছিদ্দিক। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাবেক পিপি এড. এসএম হায়দার আলী ও এপিপি এড. দাশ কার্ত্তিক চন্দ্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামিন পেলেন সাতক্ষীরা যুবলীগের আহবায়ক মান্নান

জামিন পেয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মান্নানের জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ পৌর আওয়ামীলীগের সভায় জেলা যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায়্এক পক্ষের দায়েরকৃত মামলায় মান্নান কে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি জেল হাজতে ছিলেন।
—বিস্তারিত আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা
আমাদের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানের মধ্যে একটি হলো ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস (হাড় বাঁকা), অস্টিও মেলাশিয়া, বয়স্কদের হাড় ক্ষয় ইত্যাদি হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি সূর্যের আলোক রশ্মির উপস্থিতিতে মানবদেহের চর্মে উৎপন্ন হয়। এছাড়া ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, চর্বি ও মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন করে।
অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়, রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ডি আগামী প্রজন্মের (শিশুদের) ভ্রূণ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায় ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
পায়ের হাড় ধনুকের মত বেঁকে যায়, হাত ও পায়ে অস্থিসন্ধি বা গিট ফুলে যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ বিঘ্ন ঘটে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের পরিবর্তন ঘটে, অস্থি দুর্বল ও কাঠিন্য কমে যায়। ফলে হালকা আঘাতে অস্থি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন ডি-এর অভাব প্রতিরোধ করতে শিশুকে প্রতিদিন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুকে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের নরম আলোয় বিশেষ করে সকাল ও বিকাল বেলা খেলাধুলা করতে দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের পাশাপাশি বড়দের সূর্যের আলোয় প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট থাকতে হবে ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। উপরোক্ত কোন লক্ষণ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest