সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

মামলার জট কমছে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার জট খুলতে শুরু করেছে। এই আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় বহু মামলা পড়ে থাকায় অস্বস্তিতে ছিল বাদি ও বিবাদি উভয় পক্ষ। এখন জট খুলতে শুরু করায় তারা রয়েছেন বেশ স্বস্তিতে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই এই আদালতের বিচারক মো. জিয়াউল হক অন্যত্র বদলি হন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই আদালতে বাড়তি দায়িত্ব পালন করেন জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দার মো. আমিরুল ইসলাম এবং জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু একই সাথে দুটি আদালতের কার্যক্রম সামলানো তাদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা যখন প্রায় তিন হাজার তখন বিচারক (জেলা জজ) হিসাবে নিয়োগ পান হোসনে আরা আক্তার। তিনি ২০১৭ এর নভেম্বরে যোগদান করলেও শুরু হয় এক মাসের ছুটি। ফলে ২০১৮ এর জানুয়ারি থেকেই তার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় মামলার সংখ্যা ছিল ২৮৪৫ টি।
আদালতের পিপি এড. জহুরুল হায়দার জানান নুতন বিচারক যোগদানের পর গত জানুয়ারি মাসে ১৩৬ টি, ফেব্রুয়ারিতে ২০২ টি এবং মার্চে ৯৯ টিসহ ৪৩৭ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ সময় সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে প্রায় চার শ’ জনের । তিনি বলেন মাত্র তিনমাসে মামলার সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৪০৮ টিতে । এই ধারা চলতে থাকলে দ্রুততার সাথে আরও বহু মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এতে সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তিও হ্রাস পাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে স্মারক লিপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার গণকবর, বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন খড়িবিলা বিল আবাদানীর ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা’র পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখার হোসেনের এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, নিত্যানন্দ সরকার, চারুশিল্পী এম এ জলিল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’র সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, এড. মুনির উদ্দিন, রওনক বাসার, লোকী ইকবাল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল খুলনা, বাগেরহাট, ৯৬ গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৬০০-৭০০ নির্যাতিত মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্তমানে ওই স্থানে বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। দীনেশ কর্মকার তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন। এই পুকুর ও ডোবার অংশটুকু চলে গেছে জনৈক ব্যক্তির দখলে। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে।
সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নিচে ফেলে দিত। এ অংশটুকু এখন এক প্রভাবশালীর দখলে চলে গেছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় বৃহৎ গণকবর হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও এখন এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে। পরে তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় ও রূপালী ব্যাংকের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। এসব গণকবরগুলোরও কোনো চিহ্ন নেই। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে।
গত ৯ বছর ধরে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এখানকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ অনেকে জানেনা মুক্তিযুদ্ধের ওই ইতিহাসের কথা। এসকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আজও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বর্তমানে ইতিহাস গাঁথা ওই সব গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চলে গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে। সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমির বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো। আর বধ্যভূমির বিষয়গুলো যেন নতুন প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পলাশপোল মৌজার খড়িবিলা বিল আবাদানির ১০০ একর সরকারি খাস সম্পত্তি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত খাস জমি সাতক্ষীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“তি প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ এখনো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য সুদুর রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই সাতক্ষীরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরের নুরনগরে চড়ক পড়তে গিয়ে নিহত-০১

পলাশ দেবনাথ নুরনগর : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের কাটাখালী গ্রামে চড়ক পড়তে গিয়ে রামপ্রসাদ বিশ্বাস (২৫) নামে এক জন নিহত হয়েছে। সে নুরনগর ইউনিয়নের কুলতলী গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের এক মাত্র পুত্র। শনিবার সন্ধ্যায় এঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কাটখালী গায়েন পাড়ায় বিগত তিন শত বছর ধরে হিন্দু ধর্মের বিশেষ পূজা ,মহাদেব পূজা হিন্দু রিতি অনুযায়ী চলে আসছে। আর এরই অংশ বিশেষ চড়ক পূজায় তাড়া থেকে ঝাপ দিতে গিয়ে (ব্লাক) নামক এক ধরনের লোহার পাত কপালে ঢুকে প্রচুর রক্ত ক্ষরনের কারনে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রথমে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা। উক্ত চড়ক পূজায় এবছর প্রায় ৫০জনের বেশি সন্ন্যাসি অংশ গ্রহন করে, এর মধ্যে রামপ্রসাদ বিশ্বাস ও অন্যান্য সন্ন্যাসিরা একের পর এক তাড়া থেকে ঝাপ দিতে থাকে একপর্যায় তার পালা আসলে সে সর্বোচ্চ স্থান থেকে ঝাপ দেওয়ার কথা বললে তাকে নিষেধ করা হয় এবং নিচের স্থান থেকে ঝাপ দিতে বলা হয় কিন্তু সে সকলকে অমান্য করে উপরে উঠে ঝাপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এসময় দর্শনার্থীদের ভাষ্যমতে সে কাপতে থাকে এবং বাতাসের প্রচন্ড বেগ থাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এখবর পেয়ে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট এবং পূজা উৎযাপন পরিষদের শ্যামনগর ও সাতক্ষীরাস্থ নেতৃবৃন্দ সেখানে যান এবং ধর্মীয় কাজে মৃত্যু বরন কারী রামপ্রসাদের মরদেহ তার পিতা মাতার কাছে প্রদান করার ব্যাবস্থা করতে সহযোগীতা করেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রামপ্রসাদের মরদেহ সাতক্ষীরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর কাজ চলছে বলে জানা গেছে। রামপ্রসাদের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হুমায়ূন আহমেদভক্তদের ‘দেবী’ আসছে শীতে

হুমায়ূনভক্তদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে এই শীতে। এই শীতেই বড় পর্দায় দেখা মিলবে হুমায়ূন আহমেদ-সৃষ্ট চরিত্র মিসির আলির সঙ্গে। এরই মধ্যে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘দেবী’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি।

অনম বিশ্বাস পরিচালিত সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অনিমেষ আইচ, শবনম ফারিয়াসহ অনেকে।

অভিনেত্রী জয়া আহসান এই ছবির প্রযোজক। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে এই অভিনেত্রী জানালেন, আসছে শীতে দেখা মিলবে দেবীর। তিনি বলেন, ‘এটি আমার প্রথম প্রযোজনা। তাই একটু ভয়ে আছি। তবে আমরা এরই মধ্যে সব কাজ গুছিয়ে এনেছি। ডিসেম্বরের আগেই মুক্তির পরিকল্পনা করছি। এমনও হতে পারে, শীতের শুরুতেই মুক্তি দিতে পারি দেবী।’ তিনি জানান, ছবি মুক্তির আগে দুই রকমভাবে এর প্রচারণা চালাতে চান। যাঁরা ‘মিসির আলি’কে চেনেন না, তাঁদের জন্য এক রকম প্রচারণা আর যাঁরা চেনেন, তাঁদের জন্য আরেক রকম। এই পরিকল্পনা অনুযায়ীই ধাপে ধাপে আসবে ছবির পোস্টার, টিজার, ট্রেলার এবং সবশেষে পুরো ছবি।

তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন মিসির আলির ভক্তরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিবিসি’র প্রতিবেদন; কাশ্মীরের ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে সরব হতে দেরি কেন?

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আট বছরের শিশু হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় পুরো রাজ্য ক্ষোভে ফেটে পড়লেও সেই বিক্ষোভের উত্তাপ পৌঁছায়নি দিল্লিতে।

২০১২ সালের দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনায় পুরো রাজ্য যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল, আসিফা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কেউ এতটা সরব হয়নি।

কাশ্মীর উপত্যকার গণমাধ্যমগুলো এই ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করলেও বেশিরভাগ জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোয় পায়নি কোনো কভারেজ।

কাশ্মীরের স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ তারা জানুয়ারি মাসেই এই খবরটি প্রচারে দিল্লি অফিসে যোগাযোগ করেছিল। তাদের কাছে এই রোমহর্ষক ঘটনার চাইতে কাশ্মীর উপত্যকায় টিউলিপ বাগান উদ্বোধনের খবরটিকে বেশি জরুরি মনে হয়েছে।

পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় নিউজ নেটওয়ার্কগুলো হঠাৎ করেই সংবাদটি প্রচারে উঠেপড়ে লাগে।

প্রশ্ন ওঠে, ঘটনার চার মাস পর হঠাৎ কেন নড়েচড়ে বসল দিল্লি মিডিয়া? হিন্দু ডানপন্থী দলগুলো তাদের কমিউনিটির এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানানোই কি তাদের নজর আকর্ষণের কারণ?

এ বিষয়ে ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদক শেখর গুপ্ত জানান, এ ধরনের আচরণ দিল্লির সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকৃত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। যেখানে তারা জাতীয় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত এবং প্রভাবিত। বিশেষত সেনা নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের খবর প্রচারে তারা বরাবরই পক্ষপাতদুষ্ট।

এর পেছনে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। বিশেষ করে হিন্দু ডানপন্থী সংগঠনগুলো এমনকি ক্ষমতাসীন বিজেপির দুজন মন্ত্রী গ্রেপ্তারদের প্রতি সমর্থন জানানোর পর এটি আলোচনায় উঠে আসে।

এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন কম ওঠেনি। তিনি তাঁর টুইট বার্তায় সুবিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েই চুপ করে যান।

এ বিষয়ে সমাজ বিশ্লেষক ড. বিশ্বনাথান বলেন, ‘দিল্লির সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিনিয়ত হত্যা , ধর্ষণ, সহিংসতা, নির্যাতন, লুটপাটের খবর প্রচার করতে করতে গা সওয়া হয়ে গেছে। প্রতিটি খবরেই তারা অতিরঞ্জন কিছু খুঁজতে চায়, যা তাদের নৈতিক বোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন

সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে আট দিনের সরকারি সফরে আজ বিকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটটি বিকালে সৌদি আরবের দাম্মাম-এর উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।

একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা পাঁচ মিনিটে ফ্লাইটটির দাম্মাম বাদশা ফাহদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।

শেখ হাসিনা ১৬ এপ্রিল সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল জুবাইল প্রদেশে অনুষ্ঠেয় ‘গাল্ফ শিল্ড-১ নামের একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি সৌদি বাদশাহ ও দু’টি পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো জোরদার করার লক্ষ্যে ২৩টি বন্ধুপ্রতীম দেশের অংশগ্রহণে মাসব্যাপী এই সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে।

গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া এই মহড়ায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।

গাল্ফ শিল্ড-১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) যোগদানের জন্য ১৬ এপ্রিল বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটযোগে লন্ডনের উদ্দেশে দাম্মাম ত্যাগ করবেন। ঐদিন রাতেই লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা।

এ বছর সিএইচওজিএম-এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অভিন্ন ভবিষ্যত অভিগামী।’ প্রধানমন্ত্রী ১৭ এপ্রিল সকালে ওয়েস্ট মিনিস্টারের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেকিং ইকুইটেবল এন্ড কোয়ালিটি প্রাইমারী এডুকেশন এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস এক্রোস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী বিকালে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

তিনি ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কীপ গ্রোইং?’ রাউন্ডটেবিলে অংশ নেবেন। বিকালে তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও পরে নৈশভোজে যোগ দেবেন।

১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের (সিএইচওজিএম) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসির দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি সরকার প্রধান ও তাদের স্বামী/স্ত্রীদের সম্মানে বাকিংহাম প্যালেসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেয়া সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করবেন।

২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন।

২১ এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের জন্য সংবর্ধনা এবং রাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

এ ছাড়া শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ২৩ এপ্রিল দেশে ফিরবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতাকে সাকিবের কাছেই হারতে হলো

বল হাতে দুই উইকেটের সঙ্গে কিপটে বোলিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে স্কোরকার্ডে তুলতে দেননি বড় সংগ্রহ। এবার ব্যাট হাতেও দারুণ নৈপুণ্য দেখালেন সাকিব আল হাসান। ইডেন গার্ডেনসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পাঁচ উইকেটের জয়ের রাতে তাই বলা চলে এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের কাছেই হারল নাইট রাইডার্সরা।

কলকাতাকে এবারই প্রথম ঘরের মাঠে পরাজিত করেছে হায়দরাবাদ। আর সানরাইজার্স সে জয় পেল কলকাতারই সাবেক খেলোয়াড় সাকিবের হাত ধরে। ম্যাচে বল হাতে ২১ রান খরচায় দুই উইকেটের সঙ্গে দুটি ক্যাচও নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দুই চার আর এক ছক্কায় সাকিবের সংগ্রহ ২১ বলে ২৭ রান।

ছোট লক্ষ্য হলেও মাত্র ৫৫ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অতিথিরা। অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৯ রান তুলে সাকিব ম্যাচে ফেরান হায়দরাবাদকে। মাঝে অ্যান্ড্রু রাসেলের করা ম্যাচের ১২তম ওভারে এক চার আর দুই ছয়ে ১৫ রান নিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ফিরেছেন পীযুষ চাওলার বলে বোল্ড হয়ে। সাকিব আউট হওয়ার একটু পরেই উইলিয়ামসন তুলে নেন অর্ধশতক। তবে ৪৪ বল খেলে ঠিক ৫০ রানেই ফিরতে হয়েছে কিউই অধিনায়ককে।

তাতে অবশ্য জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি সাকিবের দলের। ইউসুফ পাঠান আর দিপক হুদার ব্যাটে এক ওভার হাতে রেখেই হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে নিয়েছে পাঁচ উইকেটে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন বিলি স্ট্যানলেক।

এই নিয়ে মাঠে নামা তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রাখল হায়দরাবাদ। অন্যদিকে রাতের পরাজয়ে কলকাতা নেমে গেল টেবিলের চারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৮ হাজার জামাইকে নাচালেন অপু বিশ্বাস !
জয়পুরহাটের কালাইয়ে পহেলা বৈশাখে জমে ওঠে জামাই মেলা। নববর্ষ উপলক্ষে  ৬ মাস সময় নিয়ে এ মেলার আয়োজন করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক।

শনিবারে (১৪ এপ্রিল) মেলায় যোগ দেন এই এলাকারই মেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন আট হাজার জামাই ও ৮ হাজার মেয়ে। এই মেলায় মঞ্চে নাচে-গানে অপু বিশ্বাস মাতিয়ে তোলেন হাজার হাজার ভক্তসহ এলাকাবাসীদেরকে।

মেলার আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে সকল সম্প্রদায়ের লোকজনের সমন্বয়ে প্রায় ৫৮ হাজার লোকের বসবাস। এ ইউনিয়নের বসবাসরত সকল ধর্মের পরিবার থেকে প্রায় ৮ হাজার মেয়ের ইতোমধ্যে বিবাহ হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলাতে। তাদেরকে সাথে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গত ৬ মাস ধরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় মাত্রাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করেন এই জামাই-মেয়ের মেলা।

মেলাতে জামাইদের সাথে মেয়ে এবং তাদের নিকট আত্মীয়স্বজনদের অংশগ্রহণ করাতে চেয়ারম্যান ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে গত ২ মাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সকল জামাইদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাওয়াত করে আসেন। এমনকি যারা বিদেশে থাকেন তাদেরকেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দাওয়াত দেন তিনি।

দাওয়াত পেয়ে শনিবার সকালে জামাই-মেয়ে ও আত্মীয়রা মাত্রাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দেন।

তাদের আনন্দ দিতে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় গ্রামীন মেলার। বসানো হয়েছে লোক কাহিনী নির্ভর কেচ্ছার আসর, পুঁথিপাঠের আসর, বাউল গানের দল, সাপুরের সাপ খেলা, লাঠি খেলা, বায়োস্কোপ, বউচি খেলা, উপজাতীদের নাচ-গান। এছাড়া জামাইদের বসার স্থানের জন্য আলাদাভাবে  ইউনিয়নটির ৯টি ওয়ার্ডের নামে বিভিন্ন ভেন্যু তৈরি করাও হয়েছিলো।

এলাকার প্রথা অনুযায়ী প্রত্যেক জামাইয়ের জন্য একটি করে লুঙ্গি, গেঞ্জি ও গামছা উপহার দেওয়া হয়। তাদের খাবারের জন্য কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজসহ ২৫ মণ চালের পান্তা, ২০ মণ ইলিশ মাছ এবং ৪০ মণ আলুর ভর্তা করা হয়।

মেলার আয়োজক মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শওকত হাবিব তালুকদার বলেন, আমি ধর্ম, বর্ণ বুঝি না। সকল মানুষের সমন্বয়ে আজকের এই আয়োজন। আমার ইউনিয়নের ৮ হাজার জামাইয়ের সাথে মেয়েরাও উপস্থিত হওয়ায় আমি খুশি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে এলাকার সকলের সহযোগিতার চাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest