সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

শ্যামনগরে আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

গতকাল বুধবার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা সুন্দরবন আদিবাসী মূন্ডা সংস্থা (সামস্) এর আয়োজনে শ্যামনগর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সীগঞ্জ, আটুলিয়া, ঈশ্বরীপুর, শ্যামনগর সদর, রমজান নগর, কৈখালী ইউনিয়নে বসবাসকারী আদিবাসী মুন্ডা, রাজবংশী, মাহাতু জনগোষ্ঠর অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় পর্যায়ে আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা, জীবিকা/পেশা, উপসনালয় সুরক্ষা, কবর স্থানের জন্য জায়গা বরাদ্দ, মৌলিক-মানবিক সমস্যা, আদিবাসী প্রত্যয়নপত্র, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী, সুপেয় পানি, সরকার প্রদত্ত কৃষি ও মৎস ভিত্তিক প্রণোদনা, ভূমি, চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো উপজেলা প্রশাসনের নিকট উপস্থাপন করা হয়।

এ ছাড়াও আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ৭ দফা দাবী- সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কোটা ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা; আদিবাসীদের ভূমি বিষয়ক রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯৭ ধারা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য গৃহিত নীতি নির্ধারণ কর্মসূচীতে আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; আাদিবাসীদের জীবনধারাকে সরাসরি প্রভাবিত করে এমন সকল ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আদিবাসী জনগোষ্ঠির মতামত গ্রহণ করা; আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রতার সাথে যথাযথসঙ্গতি বিধানের জন্য উন্নয়ণ নীতি গ্রহণ করা, আদিবাসী নারী, শিশু ও তরুণদের গুরুত্ব প্রদান করে আদিবাসীদের উন্নয়নে বাস্তবধর্মী কার্যক্রম গ্রহণ করা; সরকার কর্র্তৃক প্রদত্ত স্থানীয় সরকারের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা; আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে উপজেলা ভিত্তিক আদিবাসী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা; উত্থাপন করা হয়।

সনাক সভাপতি কিশোরী মোহন সরকার এর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্যে আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক পরামর্শ সভা আয়োজনের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সনাক সদস্য কল্যাণ ব্যানাজি বলেন, আদিবাসিরা প্রথম এই সুন্দরবন অঞ্চলে কৃষি ভিত্তিক চাষাবাদ শুরু করে। কিন্তু এখন তারা আজ নানা মস্যায় জর্জরিত।’ তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ অঞ্চলের আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নে ভূমিসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে উপজেলা প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্যে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্)’র সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ মুন্ডা আদিবাসি ভায়া ও সংস্কৃতি রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কামরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার,শ্যামনগর। প্রধান অতিথি বলেন,“বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। আদিবাসীরাও এর বাইরে নয়। তারা যেসব খাস জমিতে আছেন অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো নিয়ে বিভিন্ন আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও আশার কথা হচ্ছে আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।” তিনি আদিবাসীদের ভূমি, সুপেয় পানি, কবর স্থান, আদিবাসী প্রত্যায়নপত্র প্রদান এবং আদিবাসীদের উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত করতে জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি, মৎস, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন প্রশিক্ষণ, ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করার বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সামস্ এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণ পদ মুন্ড। অন্যান্যে মাঝে বক্তব্য রাখেন সনাক সহ-সভাপতি মো. তৈয়েব হাসান, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ। এসময় সনাক সদস্য ড. দিলারা বেগম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সামস্ সহ-সভাপতি রাম প্রসাদ মুন্ডা, সামস্ এর প্রোগ্রাম অফিসার দিপংকর বিশ^াস এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চলনা করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোলে বাংলাদেশি ১৮ তরুণী ও ১ শিশুকে ফেরত দিল ভারত

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশী ১৮ তরুনী ও ১ শিশুকে পাচারের দুই থেকে তিন বছর পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছেন ভারত সরকার। বুধবার ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত বাংলাদেশিরা হলেন, আয়েশা (২৭) স্বপ্না (২৪) সুলতানা (২২) রিনা (২৩) রুমা (২০) শান্তা (১৬) রুপা (১৫) হালিমা (২০) নাজমা (২৪) মারিয়া (১৭) হালিমা বেগম (১৬) ইতি (১৫) রিক্তা (১৭) আশা (২২) নাছিমা (১৭) আদুরী (২৩) ডলি (২৮) রিনা (২৫) ও শিশু আব্দুল্লাহ (২)

ফেরত আসাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, যশোর , সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এরা সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে গত ২ থেকে ৩ বছর আগে ভারতে পাচার হয়। ভারতের মোম্বাই শহরে এরা বাসাবাড়ির কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি শেল্টার হোমে আশ্রয় নেয়। এরপর দুদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায় তাদের বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারত সরকার।

রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিদ আহম্মেদ জানান, দুই থেকে তিন বছর আগে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে অদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের কাছে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ক্রমে ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ একমত

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একমত। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে। এরই প্রতিফলন হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের একটি দল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ একমত। আগে তো এটি নিয়ে কথাই বলা যেতো না। এখন তারা সবাই মিলে আসছে। এটি একটি বিরাট ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট।’
প্রসঙ্গত, ১৫-সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন স্থায়ী প্রতিনিধি ও পাঁচ জন উপস্থায়ী প্রতিনিধিসহ ৩০ জনের একটি দল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করবে।
এই প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অস্থায়ী নয় সদস্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসবেন।’
নিরাপত্তা পরিষদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে, এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রথম অবস্থা থেকে পরিবর্তন কিছুটা এসেছে। আগে যেমন মনে হয়েছে, তারা আরও বেশি গঠনমূলক হতে পারতো বা কিছুটা দূরত্ব রেখে বক্তব্য দিচ্ছে কিন্তু এখন তারা অনেক বেশি গঠনমূলক। বিষয়টি কাছ থেকে দেখছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে চীন এখন অনেক বেশি গঠনমূলক। চীনের প্রথম দিকের বক্তব্য যে রকম ছিল, সেই অবস্থান থেকে তারা সরে এসেছে।’
নিরাপত্তা পরিষদের এই সফরের জন্য মিয়ানমার যে রাজি হয়েছে, এখানে বেইজিংয়ের প্রভাবের প্রতিফলন দেখা যায় বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে কী আশা করে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা হচ্ছে, তারা সরেজমিনে দেখবে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলবে, তারা কিভাবে ফেরত যেতে চায়, সেটি বুঝে নিয়ে তারপর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে তাদের সুবিধা হবে, এ বিষয়গুলো মিয়ানমারের অবস্থান জানার জন্য। এরপর নিরাপত্তা পরিষদ কোনও সিদ্ধান্ত নিলে এর আলোকে তারা নেবে।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে কী জানাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কিভাবে নিরাপদে ফেরত যেতে পারে, তাদের টেকসই জীবনযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, এই বিষয়টির ওপর জোর দেব। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বা অন্য বিষয়গুলো মিয়ানমার সরকারের বিষয়। আমরা চাইবো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন সুন্দরভাবে শুরু হয়, টেকসইভাবে হয়। এই লোকগুলো যেন বারবার ফেরত না আসে।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের দিকনির্দেশনার দরকার আছে। মূল কাজটি মাঠপর্যায়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ অন্যরা করবে কিন্তু দিকনির্দেশনা, সুপারভিশন ও কাস্টডিয়াশিপ এগুলো যদি মিয়ানমারের কাছ থেকে আসে, তবে মিয়ানমারের পক্ষে গড়িমসি করা অসুবিধা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শার্শায় সড়ক গুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি : শার্শার মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মরন যান ট্রাক্টর, আলমসাধু, নছিমন, ইঞ্জিন ভ্যান। মরছে নিরহ মানুষ। পকেট ভারি করছে প্রভাবশালী ও প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিরা। প্রতিবাদ করলেই জীবন নাশের হুমকি।
শার্শার গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে শহর বাজারের সকল স্থানে এখন যন্ত্রদানব ট্রাক্টর, নম্বর বিহীন হুইলার, মান্ধ্যাত্মা আমলের ট্রাক, ট্রলি, আলম সাধু ও নছিমন। যা রয়েছে প্রভাবশালীদের কব্জায়। চালকের লাইসেন্স তো দুরের কথা চালানোর নেই কোন অভিজ্ঞতা। ট্রাকের ফিটনেস না থাকলেও চলছে হুড়মুড়িয়ে।
গ্রামের রাস্তা গুলি চিকন তাই কি হয়েছে ? দানবের মত চলছেই ও চালাচ্ছে। কাচা রাস্তুা গুলি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে দেদার্ছে করছে মাটি-বালু বহন। যার ফলে কাচা রাস্তা গুলি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এ সকল সড়ক গুলিতে চললেও তাদের থামানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেই না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবার অনেকে অভিযোগ করে বলছে, প্রশাসনের দারে ঘুরেও কোন ফল হয়নি। বরং প্রভাবশালীদের হুমকিতে চুপসে যেতে হয়েছে। তবে কোন কোন স্থানে প্রশাসন কতৃক জরিমানার কথা শোনা গেলেও মাটি বালি উত্তোলন বন্ধ হয়নি। বরং প্রভাবশালীরা বীর দর্পে আগের চেয়ে বহু গুনে এ সব মরন যান সড়কে নামিয়ে মাটি বালি তুলে ভূমীর শ্রেণী পরিবর্তন করে চলেছে। ফলে ভুমীর নব্যতা বৃদ্ধি পেয়ে ফসল ফলানোর ক্ষমতা হারাচ্ছে চাষী জমি। চাষী জমির পাশ দিয়ে বালি মাটি বহনের ফলে ধুলা মাটি উড়ে পড়ছে ফসলের উপর। যার ফলে জমির ফলন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভূমীর শ্রেণী পরিবর্তনে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কে শোনে কার কথা। আর কেই বা করে তদারকি। এ যেন মঘের মুলুকে পরিনত হয়েছে।
ট্রাক্টর-ট্রলি, হুইলার, আলমসাধু মহাসড়কে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ যন্ত্রদানব গুলির চালকরা তা মানছেই না। বরং নতুন করে বিষ ফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে ইঞ্জিন চালিত ভ্যান। তিন চাকার এ ইঞ্জিন চালিত ভ্যান গুলির দ্রুত গতির ফলে মহা সড়ক গুলিতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
এ দিকে মহা সড়কের পার্শবর্তী এলাকা গুলিতে গড়ে উঠছে ইটের ভাটা সহ মিল কারখানা। সড়কের পাশে গর্ত খানা বুজিয়ে করা হচ্ছে রাস্তা নির্মান। মাটি বালি বহনের ফলে সড়কে পড়ছে তা। যার ফলে সড়কের প্রতিদিন রাস্তায় ধুলার স্তর জমছে। যান চলাচলের সময় ধুলা ওড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই দুর্ঘটনা বেড়ে যায় বহুগুনে। তখন মৃত্যুর মিছিলে পরিনত হয় সড়ক গুলো। যার ইতিহাস জন্ম দিয়েছিল ২০১৭ সালের গ্রীস্ম মৌসুমে। এক রাতে গুটি গুটি বৃষ্টির ফলে নাভারন-সাতক্ষিরা সড়কের কুচেমুড়া নামক স্থানে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। সে রাতে ৬জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল কর্দময় পিচ্ছিল এ সড়ক।
নাভারন-বেনাপোল ও নাভারন-বাগআঁচড়া মহা সড়কে প্রতিদিন ২শতাধিক ট্রাক্টর, হুইলার, পুরাতন ট্রাক চলছে। যাদের চালক গুলির নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ সব যন্ত্রদানবের নেই কোন রেজিট্রেশন। ফলে আনাড়ী চালকারা প্রতিদিনই ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা। মরছে নিরীহ মানুষ, হচ্ছে পঙ্গু।
গত ১০ মার্চ এ বালি বহনকারী ট্রাকের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জীবন দিতে হল বাগআঁচড়ার দুই স্কুল ছাত্রীকে। প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ। কারন ট্রাকটি ছিল প্রভাবশালীদের এবং আর তাদের সাথেই মাসিক চুক্তিতেই এ ট্রাক গুলিকে সড়কে দাপিয়ে বেড়ানোর ইজারা দিয়েছে বলে প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এখনই যদি এ যন্ত্রদানবকে থামানো না যায় তাহলে মৃত্যুর মিছিলে পরিনত হবে এ দুটি মহাসড়ক। সন্তান হারাবে পিতা-মাতা। মেধাবী শিক্ষার্থী হারা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। শোকের মিছিলে পরিনত হবে সড়ক গুলি। চাষী তার ভূমীতে ফসল ফলানোর ক্ষমতা হারাবে। ভূমীতে ঘটবে শ্রেণী পরিবর্তন।
অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের সাথে বিশেষ চুক্তির ফলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ট্রাক্টর সমিতির কাছ থেকে মাসিক ১২শ’ টাকার বিনিময়ে মাসোহারা নিয়ে প্রভাবশালীরা প্রশাসনের মুখে কুলুপ এটে দিচ্ছে। যার ফলে সড়ক গুলিতে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে আছেই।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নারী পুলিশ কর্মকর্তা পপির মানবিকতার ছবি ভাইরাল

পুলিশ কর্মকর্তা পপির মানবিক কর্মকাণ্ড দেখে উপস্থিত যাত্রীরা মুগ্ধ। অনেকের মতে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের নিজ হাতে সেবা দিয়ে তিনি পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।

মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে আজিমপুর-গাজীপুর রুটে চলাচলকার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা কয়েকটি গাড়িকে প্রচণ্ডবেগে ধাক্কা দেয়, এতে অন্তত ৮-১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা পুলিশের নারী কর্মকর্তা পপি এগিয়ে আসেন, তিনি নিজে ড্রাইভ করে বাসটিকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। আহতদের নিজ হাতে সেবা দিতে থাকেন। পুলিশ কর্মকর্তা পপির এই কর্মকাণ্ড সেখানে উপস্থিত থাকা কয়েকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার এই কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি রবির বিরুদ্ধে কারামুক্ত মান্নানের জ্বালাময়ী বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামিন পেয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মান্নানের জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে জেলা যুবলীগের আহবায়কের মুক্তির খবরে নেতাকর্মীরা ছুটে যান সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের সামনে। বিকেল ৫টা দিকে কারাগার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন।
সেখান থেকে মটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে শহরের নিউ মার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে পৌছে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদ্য কারামুক্ত জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। এসময় তিনি বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের জনসভায় এমপি রবির নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছিলো। এমপি রবি সাতক্ষীরায় যুবলীগকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমপি রবি কখনো আওয়ামীলীগের লোক হতে পারে না। সে আওয়ামীলীগের লোক হলে যুবলীগের ছেলেদের বুকে কোপ মারতে পারতো না। আমাকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এমপি রবি। আমার পরিবারের একটি ব্যক্তিও আওয়ামীলীগের বাইরে অন্য কোন দলের রাজনীতি করে না। আমার বড় ভাই একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। তিনি শ্রমিকলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক। আমি ১৯৮২ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতি করে আসছি। ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় এমপি রবি’র ভাই মহি আলম স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে ছাত্রসমাজের হয়ে আমাদের ছাত্রলীগ যুবলীগের মিছিলে হামলা চালিয়েছিলো। ১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৭-০৮ সালের আন্দোলনের সময় কোথায় ছিলো এমপি রবি ও তার ভাইয়েরা? আমরা রাজপথে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছি। আর আজ এমপি রবি আমাকে যুবলীগ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাকে দুইশত বছর সময় দিলাম পারলে আমাকে যুবলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখাক। আপনারা সবাই জানেন, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের জনসভায় আমি যখন বক্তব্য রাখছিলাম তখন এমপি রবির হুকুমে আমর উপর আক্রমণ করা হয়। অথচ কি নির্লজ্জ্ব, কি বেহায়া আমার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মিথ্যা মামলা করেছে। আমার সাতক্ষীরা জেলার যুবলীগের সকল নেতাকর্মী যারা আমাকে মুক্ত করার জন্য মিছিল করেছেন, মিটিং করেছেন তাদের সকলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় যুবলীগকে আরো সংগঠিত করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করার জন্য যুবলীগকে কাজ করতে হবে। সাতক্ষীরায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী তাকেই মনোনয়ন দেবেন যিনি নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন, জনগণের পাশে আছেন। জনবিচ্ছিন্ন কাউকে নেত্রী আর মনোনয়ন দেবেন না।”
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ময়নুল হাসান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, আশাশুনি উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়াম্যান সেলিম রেজা মিলনসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ পৌর আওয়ামীলীগের সভায় জেলা যুবলীগের দু’পক্ষের সংষর্ঘের ঘটনায় এক পক্ষের দায়ের করা মামলায় মান্নানকে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি জেল হাজতে ছিলেন।

https://www.facebook.com/md.jahid.1088/videos/2052432071696039/UzpfSTEwMDAwNDk1NDAyNjM3MDo2OTAzNDI1OTc4MDc1MzU/?id=100004954026370

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকায় যাচ্ছে সাতক্ষীরার ২১ শ্যুটার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তঃ ক্লাব জাতীয় শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকায় যাচ্ছেন সাতক্ষীরার ২১ শ্যুটার। বুধবার সকালে আন্তঃ ক্লাব জাতীয় শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ২১ জন শ্যুটারকে শুভ কামনা ও বিদায় জানান সাতক্ষীরা রাইফেল ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান। ২৬-২৯ এপ্রিল ঢাকার গুলশান শ্যুটিং কমপ্লেক্স এ অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরা রাইফেল ক্লাবের ২১ জন প্রতিযোগি অংশ গ্রহণের জন্য বুধবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। ২২ রাইফেল, ১৭৭ এয়ার রাইফেল, ১৭৭ ম্যাচ এয়ার রাইফেল, ১৭৭ এয়ার পিস্তল ইভেন্টে তারা অংশ নেবে। টিম ম্যানেজার ও কোর্চ হিসেবে প্রতিনিধি দলে যাবেন ইসা গাজী ও মার্দিয়া সুলতানা রাখি। প্রতিযোগিদের বিদায়ী মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনছান বাহার বুলবুল, ট্রেজারার সৈয়দ মাহমুদ হক মুন্না, অফিস সেক্রেটারী ডি. এম শহিদুল ইসলাম। আন্ত ক্লাব জাতীয় শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা হলেন, আমীর, সাইফুল্লাহ, সৌরভ, মুশফিক, মোস্তফা, নাফি, শিশির, রনক, আব্দুল্লাহ, মায়িশা, ইসরাত, আয়েশা, সিনথিয়া, মালিহা, সেজুতি, রাইনা, সাদিয়া, রাখি, সিলভিলা, কাব্য ও হিরক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারের সাফল্য তুলে ধরা কাইফুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে চাঁদাবাজ ফায়জুর- সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপির অ্যাম্বাসেডর আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালি গ্রামের তৌষিকে কাইফু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাকালউন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শরিফ-সিরাজ কমিটির উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ডা. রুহুল হক এমপির কাছাকাছি থেকে সরকারের উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরছেন। অথচ আশাশুনির কুচক্রীদের হোতা চাঁদাবাজ ফায়জুর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।
বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমির হোসেন। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুস সামাদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম, সাবেক ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিল্টু, আশাশুনি উপজেলা মহিলা যুবলীগ সভানেত্রী সীমা সিদ্দিকী, ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানগণ।
সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন বলেন, শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালি গ্রামের লাঙ্গলদাঁড়িয়া মৌজায় কাইফুসহ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছেন। ঘেরে পানি উঠা নামার জন্য একটি আউট ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। এই ড্রেনের একটি অংশ বাবর আলির স্ত্রী স্বরুপজান বিবির মাছের ঘেরের পাশ দিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ১৬ বছর যাবত কাইফুর জমির ওপর দিয়ে পানি উঠা নামার আউট ড্রেন রয়েছে। এতে ঈর্ষাণি¦ত হয়ে ফায়জুর রহমান স্বরুপজানকে তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করে আউট ড্রেনে বাধার সৃষ্টি করে। এর পর শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত থেকে আউট ড্রেন সমস্যার সমাধান করেন। সেই থেকে ঘের মালিকরা ওই আউট ড্রেন ব্যবহার করে পানি উঠানামা করাচ্ছেন শান্তিপূর্নভাবে। এতেও গায়ে জ্বলা ধরেছে ফায়জুলের।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন আরও বলেন সম্প্রতি শ্রীউলায় জুয়া ও ফড়ের আসর বসানোর প্রতিবাদ করেন তৌষিকে কাইফু। এর জের হিসাবে ফায়জুর স্বরুপজানকে ব্যবহার করে আবারও আউট ড্রেন নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করতে থাকে। সরকারের উন্নয়ন কাজ প্রচার করায় ফায়জুর কাইফুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন এর প্রতিকার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন স্বরুপজানের ছেলে ইজ্জত আলি চিহ্নিত মাছ চোর। এতে বাধা দিলে সে তার মা ও প্রতিবন্ধী বোনকে ব্যবহার করে এলাকার মানুষকে বিপদে ফেলে। স্বরুপজানের বড় ছেলে ইলিয়াস মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটে। ফায়জুর রহমানও একজন চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তারা ফায়দা লোটে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ফায়জুরসহ কুচক্রীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest