সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

জি-মেইল ইয়াহু ব্যবহার করতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা

সরকারি কাজে আর জি-মেইল, ইয়াহুসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ‘গভ ডট বিডি (gov.bd)’ ঠিকানা যুক্ত ই-মেইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে ‘সরকারি ই-মেইল নীতিমালা-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকারি অফিসগুলোতে আমরা ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে বিভিন্ন করেসপন্ডেন্টস (চিঠিপত্র পাঠানো) করি। সেটা করা যাবে না। সরকারি ডোমেইনের নিজস্ব ই-মেইল অ্যাড্রেস নিয়ে করেসপন্ডেন্টস করতে হবে, যেটা গভ ডট বিডি (gov.bd)। গভ ডট বিডি অ্যাকাউন্ট অনেকেরই আছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই করেসপন্ডেন্টগুলো করতে হবে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপস্থাপন করা নীতিমালাটি অনুমোদন হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাফতরিক কাজে জি-মেইল, ইয়াহু, আউটলুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না।

সরকারি কাজেন গোপনীয়তা রক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই এই নীতিমালা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যেকেই মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার নামসহ ‘ডট বিডি’ ডোমেইনে একটি ই-মেইল আইডি তৈরি করে সেটা দিয়ে সরকারি কাজে মেইল আদান- প্রদান করতে হবে। এ ই-মেইল আইডি দিয়ে তারা শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যক্তিগত বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না।

এই ই-মেইল সেবা দেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।

জাতীয় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সংস্থা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য নয়। তারা ইলেকট্রনিক যোগাযোগের জন্য তাদের কর্তৃপক্ষের নিয়মে ই-মেইল ব্যবহার করবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দুটি করে ই-মেইল আইডি খুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি হবে তার পদবি দিয়ে এবং অন্যটি নাম দিয়ে। তবে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আইডি দুটি দুই ধরনের কাজে ব্যবহার করতে হবে তাদের।

যেসব কর্মকর্তা অবসরে যাবেন বা চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হবে, তারা পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত ওই নামের মেইল সরকারি যোগাযোগে ব্যবহার করতে পারবেন। এক বছর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ওই আইডি ও পাসওয়ার্ড বাজেয়াপ্ত করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নবান্ন উৎসব ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন পায়নি

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অগ্রহায়ণ মাসের ১ তারিখকে জাতীয় নবান্ন উৎসব ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এছাড়া ‘কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর খসড়া নীতিগত, ‘স্ট্যান্ডার্ড ওজন ও পরিমাপ আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তবে ‘আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এই আইনের খসড়াটি পুনঃপরীক্ষা করে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাল ঢাকায় আসছেন ঋতুপর্ণা

চিত্রনায়ক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির প্রচারণার উদ্দেশ্যে আগামীকাল ঢাকা আসছেন কলকাতার চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

এ ছবিতে কবিতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার বিপরীতে রয়েছেন আরেফিন শুভ। ছবিটি মুক্তি পাবে ১৩ এপ্রিল। এরই মধ্যে ইউটিউবে ঋতুপর্ণার লিপে গাওয়া ‘গল্প কথার ঐ কল্পলোকে জানি একদিন চলে যাব’ নামে একটি গান প্রকাশ হয়েছে।

গানটির কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও সুর-সঙ্গীত করেছেন রুনা লায়লা। কণ্ঠ দিয়েছেন আঁখি আলমগীর। গানটি এরই মধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

ছবির প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে মুঠোফোনে কলকাতা থেকে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এবার পাঁচ দিনের জন্য ঢাকায় আসছি ছবির প্রচারণার জন্য।

ইচ্ছে আছে হলে হলে গিয়ে ছবিটি উপভোগ করার। দর্শকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলারও ইচ্ছে। আলমগীর ভাই নিঃসন্দেহে একজন গুণী অভিনেতা এবং নির্মাতা। তার নির্দেশনা আমি দারুণ উপভোগ করেছি।’

এদিকে ঋতুপর্ণা বর্তমানে কলকাতায় নেহাল দত্তের পরিচালনায় ‘অপরাজেয়’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এ ছবিতে তার সঙ্গে বাংলাদেশের অরিনও কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর এক মাস বাঁচবেন ইরফান!

‘মেরে কেটে আর হাতে মাত্র এক মাসের সময় রয়েছে ইরফান খানের কাছে’, এমনই এক টুইটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউড সিনেমহলে।

স্থানীয় চলচ্চিত্র সাংবাদিক উমের সিন্ধু সম্প্রতি তার টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভালো নেই ইরফান। নায়কের পরিবার সূত্রের খবর, ক্যানসারের লাস্ট স্টেজে রয়েছেন অভিনেতা। ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন, ইরফান হয়তো আর এক মাস বাঁচবেন।

কিছুদিন আগে নায়কের অসুস্থ হওয়ার খবর নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। পরে জানা গিয়েছিল তার জন্ডিস হয়েছে।

পরে অবশ্য সে তথ্য ভুল বলে নিজের পোস্টের মাধ্যমেই জানিয়েছিলেন ইরফান খান। বলেছিলেন বিরল রোগে আক্রান্ত তিনি। সময় হলে নিজেই জানাবেন রোগের নাম।

কিন্তু নায়কের কিছু জানানোর আগেই উমের সিন্ধু জানিয়েছেন, ক্যানসার হয়েছে ইরফানের। হয়তো আর এক মাস বাঁচবেন তিনি।

এর আগেও ইরফানের ক্যানসারের খবর জানা গিয়েছিলে। সেই সময় মুখ খুলেছিলেন ইরফানপত্মী সুতপা শিকদার ।

তিনি বলেন, তার সবচেয়ে ভালো বন্ধুটি নিজের রোগের সঙ্গে সাহসের সঙ্গে লড়াই করছেন। এই লড়াই তাদের জিততে হবেই। তবে এই সময় যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তারা নিজের কাজে মন দিন।

তিনি বলেন, লড়াই কঠিন হলেও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। তার বিশ্বাস, শিগগিরই জীবনের মূল স্রোতে ফিরবেন তারা।

কিন্তু উমের সিন্ধুর টুইটের পর এখনও অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। ফলে সময় যত এগোচ্ছে মন খারাপের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে ইরফান অনুরাগীদের মধ্যে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় ৭১ এর বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭১ এর বর্ধ্যভুমি/গণকবর চিহ্নিত করে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ/স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাক হানাদার বাহিনী স্কুলে আশ্রয় নেয়া ভারতগামী শরনার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে শত শত নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাছাড়া অসংখ্য মানুষ এই হত্যাযজ্ঞে আহত হয়। পরবর্তীতে উদ্যোগের অভাবে উক্ত বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। শহর থেকে ১৫ কিঃ মিটার যশোর সংলগ্ন সাতক্ষীরার অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ঝাউডাঙ্গা বাজার ৭১ এর এপ্রিলের শেষে খুলনা অঞ্চল থেকে প্রাণভয়ে পালানো কয়েক শত শনণার্থী পরিবার ভারতে যাওয়ার পথে ঝাউডাঙ্গায় পৌছালে পাক-বাহিনী অতর্কিতভাবে নির্বিচারে গুলি করে শতাধিক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। গণ হত্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই এ মুহুর্তে দু’টি বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য সাতক্ষীরাবাসী গতকয়েক বছর ধরে এবং এ বছরে উক্ত বর্ধ্যভুমিতে নানাবিধ কর্মসুচি ও গণহত্যা দিবস পালন করেছে। ৭১ এর বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদস্য আব্দুর রহিম ও সদর উপজেলার সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় পড়ে থাকা ইটভাটার কাদা-মাটি অপসারণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে কোদাল হাতে নিয়ে রাস্তা থেকে ইটভাটার কাদা-মাটি অপসারণ করলো।
কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটার দৌরাত্মে নাকাল পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা। ইটভাটায় মাটি আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের ট্রলি আর ইঞ্জিন ট্রলির রাস্তায় চলাচল এতটাই দ্রুতগতির যে পথচারীরা আতংকে থাকেন স্বাভাবিক চলাফেরায়। শুধু তাই নয়, চলন্ত ট্রলি থেকে মাটি পড়ে পিচঢালা রাস্তা যেমন মাটি-কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে তেমনি ইটের সোলিং রাস্তা ও মাটির রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মারাত্মক ভাবে।
এসকল যানবাহন চলাচলে সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা কিংবা নিয়মনীতি না থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও পড়ছেন বিপাকে। আবার কতিপয় প্রভাবশালীদের সন্তুষ্ট করে দেদারছে চলছে ইটভাটা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মযজ্ঞতা। যেন দেখার কেউ নেই।
তবে ট্রাক্টরের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র রেজিস্ট্রেশনসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ইটভাটায় নিয়োজিত ট্রাক্টরগুলোর নূন্যতম কোন বৈধতা নেই। আর স্থানীয় পর্যায়ে তৈরিকৃত শ্যালো-ইঞ্জিনের ট্রলির ক্ষেত্রে তো কথা-ই নেই, তারা যেনো মগের মুল্লুকের বাদশা। পথচলার ক্ষেত্রে রাস্তাটা শুধু নিজেদেরই মনে করে এমন ভাবে চলে যে অন্য যানবাহন বা পথচারীরা প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছেন। ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীরা থাকে সবসময় আতংকে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে পড়ে যাওয়া মাটির কারণে রোদ্রের সময় রাস্তা যেমন ধুলাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি সামান্য বৃষ্টিতেই সেই রাস্তা হয়ে ওঠে কর্দমক্ত। মাটি-কাদার জেরে পিচের পাকা রাস্তা স্লিপিং হয়ে শুধু যানবাহন নয় হেটে গেলেও পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এমনই একটি চিত্র দেখা গেছে উপজেলার সোনাবাড়িয়া বাজারের পার্শ্ববর্তী সোনাবাড়িয়া হাইস্কুল সংলগ্ন পিচের পাকা রাস্তায়। গত দু’দিন আগের সন্ধ্যায় সামান্য বৃষ্টিতে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তার উপর পড়ে থাকা ইটভাটার মাটিতে কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়ে চলাচলকারীরা। বিপদজনক হয়ে ওঠে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারিদের জন্য। মুনাফাখোর ইটভাটার মালিকদের চরম দায়িত্বহীনতা আর উদাসীনতায় ওই পরিস্থিতির সৃষ্টিতে স্থানীয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে না আসলেও মহতি উদ্যোগের হাত বাড়ায় স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা নিজেরা হাতে কোদাল নিয়ে রীতিমত রাস্তা থেকে কাদা-মাটি অপসারণ করে। উপযোগি করে তোলে যাতায়াতের। কতিপয় জনপ্রতিনিধিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা যখন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে তখন বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষার্থীরা শুরু করে রাস্তা থেকে ইটভাটার মাটি-কাদা অপসারণে তাদের ও অন্যদের যাতায়াতের সুবিধার্থে। ওই দৃশ্য হঠাৎ দেখলে মনে হলো- শিক্ষার্থীরা যেন কোন ফসলি মাঠে কাজ করছে।
ক্লাস শুরুর আগে ও পরে সোনাবাড়িয়া হাইস্কুলের অর্ধশতাধিক ছাত্রের জনকল্যাণ ওই কাজ দেখে স্থানীয় অনেকে তাদের স্যালুট জানিয়েছে, করেছেন প্রশংসাও। কিন্তু হয়তো সামান্যতম লজ্জাবোধ হয়নি দায়ীদের।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান- ‘ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া গাড়ি থেকে মাটি পড়ে পাকা রাস্তায় কাদা হয়ে গিয়েছে। এখানে চলাচলও করা যাচ্ছে না। কেউ এগিয়ে না আসায় আমরা বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে এসে কাদা ও মাটি সরিয়ে দিচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার বহেরা টু কুলিয়া ব্রীজ রাস্তাটির এখন বেহাল দশা

কুলিয়া প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা বাজার থেকে কুলিয়া ব্রীজ পর্য়ন্ত রাস্তাটি খানা-খন্দক, গর্ত, ভাঙ্গল এত বেশী পরিমান যে, যান চলাচল তো দুরের কথা হেঁটে চলাচলও ভীষন ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরায় ওবায়দুল কাদেরের আগমনের ফলে পুষ্পকাটি ভাটা থেকে বহেরা বাজার পর্যন্ত ১কি:মি রাস্তা ও কুলিয়া ব্রীজ থেকে কুলিয়া বাজার পর্যন্ত কোনভাবেই নেপে মুছে কাজ হয়েছিল এই ঢেউ খেলা রাস্তাটি। কিন্তু মাঝখানের ১কি:মি রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সড়কটির অবস্থা দীর্ঘ দিন থেকে খারাপ হলেও কোন সংস্কার হয়নি। আর এ সড়কে ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রায়ই দুই একটি ঢাকা পরিবহন, যাত্রীবাহি বাস, মালবাহি ট্রাক, নছিমন, ইজিবাইক ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেল ভেঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখনই সংস্কার করা না হলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে বর্ষায় রাস্তার দুরবস্থার শেষ নেই। আর আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্তগুলো একাকার হয়ে যায়। কোথাও কোথাও গর্তের পরিমাণ আরো বেশি। সড়ক ও জনপদ বিভাগ পিচ রাস্তার উপর শুকনো ইট দিয়ে দায়সারা সংস্কার করেছে মাঝে মধ্যে। বৃষ্টি না হলে ধুলা আর বৃষ্টি হলে কাদা। এভাবেই যাচ্ছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। কিন্তু কারো কোন পদক্ষেপ নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের অর্থ যাচ্ছে কোথায়? সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথের অধীনে এ রাস্তাটি কাপেটিং-এর পাঁকা রাস্তা হলেও কোথাও কোথাও দেখা মেলেনা পিচের নমুনা। এমনকি এই ৩ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে কলেজ, কয়েকটি হাইস্কুল, মাদ্রাসা ও প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কয়েক’শ শিক্ষকসহ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী চলাচলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমনকি বর্ষার সময় রাস্তায় জমে থাকা পানির ছিটকে অনেকের জামা-কাপড় নষ্ট হচ্ছে। আবার বর্ষা যদি না হয় তাহলে রাস্তার দুই ধারে বসবাসকারী লোকজন ধুলাই রোগগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে যান চলাচল হুমকির মুখে। একান্ত বাধ্য হয়ে জনগন যাতায়াত করলেও তাদের ভোগান্তি যেন শেষ নেই। রাস্তাটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরী ও সময়ের দাবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় সেফটি প্রকল্পের অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার দুপুর ১২ টায় USDA এর অর্থায়নে উইনরক এর সহযোগীতায় TMSS কর্তৃক বাস্তবায়িত সেফটি প্রকল্পের এক অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রকল্পের বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন TMSS এর প্রজেক্ট ম্যানেজার শহিদুল আলম খাঁন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের এডিও এবিএম শাহিদুল হক, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম, TMSS এর এইও মাহফুজুল হক, সাদিকুর রহমান টফি সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ। কর্মশালায় জানানো হয়, উক্ত প্রকল্পটি ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদে এই প্রকল্পে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৩৮ টি গ্রুপের মাধ্যমে ৯৫০ জন চাষীকে নির্বাচন করে কার্য্যক্রম চলমান আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা সেমাবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। এসময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, বিজিবির জিন্নাত আলী সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest