সর্বশেষ সংবাদ-
আটুলিয়া ও কাশিমাড়িতে তরমুজের বাম্পার ফলন।প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরার এক যুবকসাতক্ষীরায় সময় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনাশ্যামনগরে প্রেমিকাকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যাসাতক্ষীরায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৩: পাঁচজনই এক পরিবারের সদস্যনিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন ডা: রাজুজরিমানা ব্যাতীত মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধিউপজেলা নির্বাচনে লড়তে পদত্যাগ করলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমপুরাতন সাতক্ষীরায় ঈদ পুনর্মিলনী ও প্রীতি ফুটবল খেলা

অবৈধ লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে কালিগঞ্জে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে অবাধ লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে ধলবাড়িয়া ইউনিয়নবাসীর আয়োজেনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা আফসার আলী, রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ঢালি, কেরামত ঢালি, আব্দুস সালাম, মোমিন মাস্টার প্রমুখ। মানববন্ধনে এ সময় ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের সহ¯্রাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, একটি কূচক্রি মহল বাঁশঝাড়িয়া স্লুইচ গেট দিয়ে অবৈধ ভাবে লোনা পানি তুলে মৎস্য ঘের করার কারনে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া, পিরোজপুর, মহেশ্বর কাঠি, গান্ধুলুয়া, হরিখালি, বাহাদুর পুর, নোইহাটিসহ কয়েকটি গ্রামের শত শত বিঘা ফসলি জমি ও ঘর বাড়ি নষ্ট হচ্ছে। তাই উক্ত মানববন্ধন থেকে বক্তারা এই লোনা পানি উত্তোলন বন্ধসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনলাইন নিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় প্রথম যখন অনলাইন নিউজ পোর্টালের যাত্রা শুরু হলো সবাই আশান্বিত হয়ে উঠলো ‘যাক অনলাইনে সাতক্ষীরার সব খবরগুলো অন্য সব মাধ্যমের চেয়ে দ্রত পাওয়া যাবে।’ কিন্তু হায়! তখন কে ভেবে ছিলো মানসন্মত পোর্টালের ভিতর ঢুকে পড়বে কিছু মানহীন, নিম্ন শ্রেণির পোর্টাল, যাদের কাজ হলো হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে, ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করা। এদিকে টাকা দিলেই অনলাইনের সম্পাদক সায়েব দিয়ে দিচ্ছেন আইডি কার্ড। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে মটর সাইকেলের সামনে বড় করে প্রেস ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্টিকার মেরে শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নব্য সাংবাদিকরা। এছাড়া বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মানুষ নিজেদের মটর সাইকেলে অনলাইনের স্টিকার মেরে নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
এই টাইপের নিম্ন শ্রেণির পোটাঁল গুলো মূলতো যৌন সুড়সুড়ি মার্কা খবর আর ভুয়া খবর প্রকাশ করে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য।
কারণ এরা জানে যৌনতা নির্ভর খবর প্রকাশ করলে পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়বে, আর এদের পাঠক সংখ্যাও বাড়বে। এজন্যই দেখবেন ধর্ষণ খবর, অবৈধ সম্পর্কের খবরগুলো এরা রসিয়ে রসিয়ে এবং গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে অথচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ রয়ে যায় আড়ালেই।
সাতক্ষীরায় মানসন্মত পোর্টাল যে নেই ব্যাপারটা এমন নয়। কিছু আছে খুবই মানসন্মত। এরা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু মানহীন-তৃতীয় শ্রেণির পোর্টালগুলোর কারণে অন্যদেরও দুর্নাম হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো: আবুল কাশেম মুহিউদ্দিন বলেন অনুমোদনবিহীন অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাতক্ষীরায় রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার একটি নীতিমালা তৈরি করছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব অনঅনুমোদিত অনলাইন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আর যদি কোন অনলাইন রাষ্ট্রবিরোধী কর্যকালাপ এর খবর এবং মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তহালে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি: আশাশুনির বুধহাটায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এস এস সি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুন্দুড়িয়া পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: বেলা ১২টায় বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে কুন্দুড়িয়া হাইস্কুল চত্বরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য গনেশ চন্দ্র গাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফুল ইসলাম। সিনিয়র শিক্ষক জিএম গাওছুল আলমের পরিচালনায় সহকারী শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী সহ এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এবছর বিদ্যালয়টি থেকে ১০৪জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণন করবে।
কওছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা: বুধবার সকালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব গয়জুদ্দীন গাজীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওঃ আবুল আলা মওদুদী। শিক্ষক মাওঃ কুতুবউদ্দীন ও মাওঃ আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সহ সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা, ইউনিয়ন আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মইজুদ্দীন গাজী, রজব আলী ও মাস্টার শফিকুল ইসলাম, খরিয়াটি দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার জুম্মান আলী, শিক্ষক মাওঃ রহমতউল্লাহ, হাফেজ মাওঃ রুহুল আমীন, মাওঃ আব্দুল ওহাব প্রমুখ। এবছর মাদ্রাসাটি থেকে ৫২জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল: সকাল ১১টায় স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত বিদায়ানুষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষক তাপস বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক এস এম সিরাজুল ইসলাম। প্রভাষক মহিনুর ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক খান সালামত হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবিনা ইসলাম, জোৎনা ঘোষ, বিজলী ঘোষ, শিরিন সুলতানা প্রমুখ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবছর ১২৯জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়: কুল্যা ইউনিয়নের গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এস এম দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিদায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার দাশ। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক রাম প্রসাদ, নিমাই চন্দ্র রায়, রঘুনাথ দাশ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক মেম্বর আশুতোষ দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এবছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫২জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ জাফরুল আলম, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করেছেন কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাছাড়। মাদ্রাসার শ্রেষ্ঠ প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা সদরে অবস্থিত হাজী তফিল উদ্দীন মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রমিজ উদ্দীন। উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়েছে নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে শ্রীকলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা নির্বাচিত হয়েছে উপজেলা সদরে অবস্থিত নাসরুল উলুম সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা। কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রভাষক ফিরোজ হায়দার, মাধ্যমিক পর্যায়ে কালিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গোপাল চন্দ্র গাইন এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক তারালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আকরাম হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন; শিশু সন্তানকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গৃহবধু শ্যামলী

তালা প্রতিনিধি: বিয়ের সময় দাবী মোতাবেক বরপক্ষকে সব মিলিয়ে দিতে হয়েছিল ২ লক্ষাধিক টাকার যৌতুক। বিয়ের পর আবারও দাবী মটরসাইকেল কেনার জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা! কিন্তু যৌতুকের দাবীর সেই দেড় লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তালার দরিদ্র পরিবারের মেয়ে শ্যামলী সরকারের জীবনে নেমে এসেছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার! এক দিকে কোলে শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছাড়া, অপরদিকে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির হুমকির মূখে অসহায় হয়ে পড়েছে গৃহবধু শ্যামলী সরকার। বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন’র মধ্যে থাকা গৃহবধু শ্যামলী সরকার- স্বামী-সংসারের অধিকার ও কোলের শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শ্যামলী সরকার উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের বিনয় সরকারের মেয়ে।
শ্যামলী সরকার জানান, প্রেমজ সম্পর্ক সূত্রে একই গ্রামের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে তিশান সরকারের সাথে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক আদালত’র মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৫ আগষ্ট বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদির পর উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে তিশান ও শ্যামলী খ্রীষ্টান ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী আবারও বিয়ে করেন। এসময় স্বামী তিশানের দাবী অনুযায়ী শ্যামলীর পিতা স্বর্নালংকার ও আসবাবপত্র সহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল যৌতুক প্রদান করে। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পার হতেই মটরসাইকেল কেনার জন্য তিশান আরো দেড় লক্ষ টাকা দাবী করলে শ্যামলীর দরিদ্র পিতা তা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে তিশান তার স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
শ্যামলী জানান, গত বছরের ৪ জুলাই তিশান যৌতুকের দাবীতে তার (স্ত্রী শ্যমালীর) পিতার বাড়িতে যায়। এসময় সে আবারও মটরসাইকেল কেনার জন্য দেড় লক্ষ টাকা দাবী করলে শ্যামলী ও তার পিতা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিশান তার স্ত্রী শ্যামলীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় শ্যামলীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঘটনার বিচার চেয়ে শ্যামলী সরকার তার স্বামীর বিরুদ্ধে তালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস.আঅই মিজানুর রহমান প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে ইতোমধ্যে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট (১২৮/১৭) প্রদান করেছেন। বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধিন রয়েছে।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর থেকে অদ্যবদী পুলিশ যৌতুকলোভী তিশান সরকারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যে কারনে তিশান ও তার পিতা মনোরঞ্জন এবং মা’ পারুল সরকার প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেবার জন্য প্রকাশ্যে শ্যামলীকে হুমকি প্রদান করছে। এতে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে অসহায় শ্যামলী সরকার। শ্যামলী সরকার অভিযোগ করে বলেন, তিশান ইতোমধ্যে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাছাড়া,
যৌতুক হিসেবে মটরসাইকেল না দেওয়ার জেরে তিশান তার স্ত্রী শ্যামলী ও ১৭ মাস বয়সী শিশু সন্তান জিসান সরকারের কোনও দেখভাল করে না। এতেকরে বর্তমানে অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে গৃহবধু শ্যামলী সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

ত্রিদেশীয় সিরিজে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ। ফলে ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও জয়ের প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। অন্যদিকে, এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই লঙ্কানদের সামনে। কারণ বড় ব্যবধানে হারলেই বিদায় নিতে হবে হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১২টায়।

এদিকে, টানা জয় অব্যাহত থাকায় আজ আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। আবার আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’একটি পরিবর্তন হতে পারে। অলরাউন্ডার নাসিরের পরবর্তে দলে ঢুকতে পারেন মোহাম্মদ মিঠুন। একই জায়গায় দেখা যেতে পারে মেহেদি হাসান মিরাজকেও। স্পিনার সানজামুল ইসলাম আগের ম্যাচে ভালো বল করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে সাইফউদ্দিনকে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে নাসিরের জায়গায় আসার সম্ভাবনা বেশি মিরাজের। তবে ব্যর্থ হলেও দীর্ঘদিন পর দলে ফেলা এনামুল হক বিজয়কে আজও একাদশে দেখা যেতে পারে।

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য):
১. তামিম ইকবাল
২. এনামুল হক বিজয়
৩. সাকিব আল হাসান
৪. মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক)
৫. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
৬. সাব্বির রহমান
৭. নাসির হোসেন/মোহাম্মদ মিঠুন/মেহেদি হাসান মিরাজ
৮. মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক)
৯. সানজামুল ইসলাম/মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
১০. মুস্তাফিজুর রহমান
১১. রুবেল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যাডারভুক্তির সুযোগ পাবেন বঞ্চিত ৩ শতাধিক কলেজ শিক্ষক

২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারি হওয়া ৪২ কলেজের তিন শতাধিক কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তারা ক্যাডারভুক্তির সুযোগ পাবেন। ২০১২ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদ সৃজনের শর্ত, ২০১৪ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) একটি সুপারিশ, ২০১৩ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্ত এবং চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের দেওয়া আদেশের পর ওই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আত্তীকরণের পর তিন বছরের মধ্যে কাম্য যোগ্যতা অর্জনের শর্তেই তারা এ সুযোগ নিতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সাল থেকে দেশের বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৩২৫টি কলেজ সরকারি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে ৩২৫টি কলেজের মধ্যে ১৭টি কলেজের সব শিক্ষকসহ ৪২টি কলেজের প্রায় তিনশ’ শিক্ষক, প্রদর্শক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক আত্তীকরণ থেকে বঞ্চিত হন।
বঞ্চিত শিক্ষকদের মধ্যে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারা চৌধুরী ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী আমিনুল ইসলামসহ ছয় জন রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজ সরকারি হওয়ার পর একই বছর ১৯ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪৭ জনের পদ সৃজন করে। পদ সৃজনের শর্তে বলা হয়, উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি কোনও শিক্ষকের না থাকে, তাহলে সরকারি চাকরিতে আত্তীকরণের তিন বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজের প্রভাষক কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বঞ্চিত এসব শিক্ষকদের মধ্যে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারা চৌধুরীসহ আমরা ছয় জন শিক্ষক পদ সৃজনের পরও আত্তীকরণ বঞ্চিত হই। এর প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১১ মার্চ দুই মাসের মধ্যে স্বপদে আত্তীকরণের আদেশ দেন আদালত। আদেশে বলা হয়, আত্তীকরণের তিন বছরের মধ্যে কাম্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় আত্তীকরণ না করে প্রায় একবছর পর উচ্চ আদালতে আপিল করে। সরকার পক্ষের এই আপিল খারিজ হয়ে যায় ২০১৫ সালের ৮ মার্চ।’
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের যুগ্ম-সচিব ড. মো. ফারুক হোসেন ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি শিক্ষকদের নিয়োগের পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পিটিশনারকে আত্তীকরণ করা যেতে পারে।’ আইনি ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আপিল দায়েরের কোনও মেরিট না থাকায় তা খারিজ হয়ে যায়। বর্তমান স্তরে আপিল রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করলে আইনত ফল লাভের বা সরকারের জয় লাভের সম্ভাবনা খুবই কম। উপরন্তু রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হলে রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সময় অপচয়ের আশঙ্কা রয়েছে।’
এরপরও মাউশি-এর মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান (বিদায়ী সদস্য) আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটরকে (রিট) ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল চিঠি দিয়ে রিভিউ করার অনুরোধ জানান। ওই রিভিউ আবেদন চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। রিভিউ খারিজের কারণে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। ফলে বঞ্চিত ওই ছয় শিক্ষককে ক্যাডারভুক্ত করে তিন বছরের মধ্যে কাম্য যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘রায়ের পর বঞ্চিত ছয় শিক্ষককে আত্তীকরণ করতে হবে।’ এই রায়ের প্রেক্ষিতে একই রকম বঞ্চিত অন্য শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় সুযোগ দিতে বাধ্য কিনা, জানতে চাইলে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘এই রায়ের মধ্যদিয়ে একই রকম বঞ্চিত দেশের অন্যান্য শিক্ষকদেরও সরকারের কাছে আত্তীকরণের দাবি তোলার সুযোগ তৈরি হলো। মন্ত্রণালয় চাইলে আত্তীকরণ করতে পারবে। এছাড়া ভিন্ন রিট করে এই রায়কে রেফারেন্স হিসেবেও কাজে লাগাতে পারবেন অন্য শিক্ষকরা।’
এদিকে, মাউশি-এর একটি সুপারিশেও পদ সৃজনের মাধ্যমে বঞ্চিত বাকি শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত হওয়ার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘আত্তীকরণ বঞ্চিত শিক্ষক ও অশিক্ষক জাতীয় ঐক্যে’র সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ সাপলু।
এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘২০১৪ সালের ২৪ মার্চ মাউশি-এর তৎকালীন মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন পদ সৃজন থেকে বাদ পড়া শিক্ষকদের আত্তীকরণের সুপারিশ করেন।
ফাহিমা খাতুন স্বাক্ষরিত সুপারিশ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৪ মে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর নতুন শিক্ষকদের বাদ দিয়ে তালিকা পাঠানো হয় কলেজ থেকে। পরিদর্শনের সময় কাম্য যোগ্যতা না থাকায় ওইসব শিক্ষেকদের তালিকা পাঠানো হয়নি। কাম্য যোগ্যতা অর্জনের পর আবার নতুন করে পাঠানো তালিকা ধরে আরও সাত জন শিক্ষককে নতুন করে ক্যাডারভক্ত করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় (অধিশাখা- ৮) থেকে শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ১১ জন শিক্ষককে আত্তীকরণের জন্য তিন বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়। উপ-সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, তিন বছরের মধ্যে সরকার অনুমোদিত যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগবিধি অনুসারে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করা সাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে আত্তীকরণ করা হবে। এসব শিক্ষকদের পরে ক্যাডার হিসেবে আত্তীকরণ করা হয়েছে।
এভাবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারি হওয়া ৩২৫টি কলেজের অনেক শিক্ষক আত্তীকরণের সুযোগ পান। তবে গত বছর নতুন করে ২৮৩টি কলেজ সরকারিকরণের আওতায় নেয় সরকার। এরপর শুরু হয় ‘নো বিসিএস, নো ক্যাডার’ আন্দোলন। পিছিয়ে পড়ে সরকারি হওয়া কলেজের আত্তীকরণ প্রক্রিয়া। আগের সরকারি হওয়া কলেজের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক ক্যাডারভুক্তি থেকে বঞ্চিত হন।
বঞ্চিত শিক্ষকদের আত্তীকরণ করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ‘কাম্য যোগ্যতা থাকলে সব শিক্ষকদের আত্তীকরণ করা হবে পর্যায়ক্রমে।’ কাম্য যোগ্যতা না থাকলে সেসব শিক্ষকদের আত্তীকরণ করা হবে না।’
সরকার পক্ষের এই বক্তব্যের পর গত ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে বহাল থাকে হাইকোর্টের রায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশি-এর আইন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। মাউশি-এর আইন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যারা রিট করেছেন, তারাই বেনিফিট পাবেন। অন্যরা একই রকম হলেও মামলা করেই তাদের বেনিফিট নিতে হবে।’
‘আত্তীকরণ বঞ্চিত শিক্ষক ও অশিক্ষক জাতীয় ঐক্যে’র সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ সাপলুসহ অন্য শিক্ষক নেতারা বলেন, এই রায়ের সুফল পাবেন বঞ্চিত সব শিক্ষকরাই। যদি এক্ষেত্রেও মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তাহলে অন্যান্য শিক্ষকরাও তাদের দাবি আদায়ে উচ্চ আদালতে যাবেন।
তারা আরও বলেন, ২০১৭ সালে সরকারি হওয়া ২৮৩টি কলেজের আত্তীকরণও আটকে রয়েছে। যদি নতুন বিধিমালা তৈরির আগে এসব শিক্ষকদের নিয়োগে পদ সৃজন করা হয়, তাহলে যাদের কাম্য যোগ্যতা নেই, তাদেরও শর্তসাপেক্ষে ক্যাডারভুক্ত হওয়ার পথ সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে।
শিক্ষক আত্তীকরণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় দীর্ঘদিন থেকেই সরকার প্রস্তাবিত বিধিমালা চূড়ান্ত করতে পারছে না বলেও জানান শিক্ষক নেতারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোপা দেল’রে থেকে রিয়ালের বিদায়

লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও শেষ ষোলোতে মাঠে নামতে হবে শক্তিশালী পিএসজির বিপক্ষে। এরই মধ্যে ঘরের মাঠে দুর্বল লেগানেসের কাছে ২-১ গোলে হেরে কোপা দেল’রে থেকে বিদায় নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতলেও দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ২-২ হলে অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিল জিদানের শিষ্যরা।

লা লিগায় আগের ম্যাচে লা করুণার বিপক্ষে বড় জয়ের দুই নায়ক রোনালদো ও বেলকে ছাড়াই মাঠে নামে রিয়াল। দুই তারকাকে ছাড়া মাঠে নামা রিয়ালের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ করে খেলতে থাকে দলটি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোলেরও সুযোগ পান ইসকো। তবে ডি-বক্সে বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন স্প্যানিশ এই তারকা।

পরের মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল রিয়াল। তবে ফরোয়ার্ড ক্লাওদির ফ্রি-কিক পোস্টে লাগলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় দলটি। এরপর থেকে রিয়াল শিবিরে একের পর এক আক্রমণ করে খেলতে থাকে লেগানেস। ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোলের দেখাও পায় দলটি। রিয়াল ডিফেন্ডারের ভুলে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে চমৎকার বাঁকানো শটে দলকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হাভিয়ের এরাসো।

সাত মিনিট পর সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বেনজামা। ইসকোর ক্রস গোল করার মতো পজিশনে পেয়ে বলে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন ফরাসি এই তারকা। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

বিরতি থেকে ফিরেই সমতায় ফিরে রিয়াল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে লুকাস ভাসকেসের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দুরূহ কোণ থেকে গোলরক্ষকের উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজেমা।

সমতায় ফিরে খুব বেশিক্ষন স্বস্তিতে থাকা হয়নি রিয়ালের। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে স্বাগতিক শিবিরকে স্বব্ধ করে লেগানেসকে আবারও এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার গাব্রিয়েল। পিছিয়ে পরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় রিয়াল। লুকা মদ্রিচ ও দানি কারভাহালকে মাঠে নামান জিদান। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা আর পায়নি দলটি। ফলে গত আসরের মত স্প্যানিশ ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা এই প্রতিযোগিতার থেকে বিদায় নিল ১৯ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest