সর্বশেষ সংবাদ-
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধনপিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মানববন্ধন

সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সভা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির পাঠ কক্ষে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি বই পড়–য়াদের মনের খোরাক জোগায়। বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে হিংসা বিদ্বেশ সমাজ থেকে দুর হবে। সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সকল সাদা মনের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাইব্রেরির আজীবন সদস্য সাবেক মন্ত্রী ডা. আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লিয়াকত পারভেজ, উপভাষা গবেষক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ প্রমুখ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, গাজী আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৃপ্তি মোহন মল্লিক, নির্বাহী সদস্য মো. আমিনুল হক, প্রভাষক মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বরুণ ব্যাণার্জী ও শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের সম্মতিক্রমে আগামী তিন বছরের জন্য বর্তমান কমিটি বহাল রাখার সিদ্ধার্ন্ত গ্রহণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মহিউদ্দিন হাশেমী তপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজধানীতে ডিজিটাল প্রতারক ‘টেরট বাবা’গ্রেফতার

ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কোটি টাকা হাতিয়ে  নেয়ার অভিযোগে এম এম জাহাঙ্গীর রেজা ওরফে রাদবি রেজা ওরফে ‘টেরট বাবা’কে গ্রেফতার হয়েছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর যাত্রবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি আইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে জাদু দেখাতেন। জাদু দেখিয়ে বলতেন, তিনি হাত দিয়ে জিন ধরতে পারেন। জিনকে বোতলে ভরতে পারেন। শুধু তাই নয়, মাথায় বাতি জ্বালানো, খালি হাতে মোমবাতি জ্বালানো দেখিয়ে দাবি করতেন, অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী তিনি। এই ক্ষমতা দিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান করতেন তিনি। লটারি জেতাতে পারেন, খেলার আগাম ফলাফলও বলতে পারেন তিনি। তার পরিচিতি ছিল ‘টেরট বাবা’। এই টেরট বাবা সমস্যার সমাধানের কথা বলে ‘চিকিৎসা’করতেন। ক্যানসার, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের ভালো করার কথাও বলতেন তিনি। এসব চিকিৎসা করার নামে ‘টেরট বাবা’ হাতিয়ে নিতেন অর্থ।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম আরও জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এবিসি রেডিওতে প্যারানরমাল রিসার্চার হিসেবে যুক্ত হন রাদবি রেজা। রেডিও চ্যানেলটিতে ভৌতিক পর্ব নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ডর’প্রচারিত হতো। কিন্তু রাদবি রেজা যোগ দেয়ার পর অনুষ্ঠানটিতে মানুষের নানা সমস্যা সমাধান পর্ব ‘টেরট কার্ড সেগমেন্ট’প্রচার শুরু হয়। নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে সাধারণ মানুষকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হতো। এই নাম-পরিচয় অনুযায়ী ফেসবুকে সার্চ করে আগেই আগ্রহী শ্রোতার ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতেন রাদবি রেজা। পরে যখন তার সঙ্গে দেখা হতো তখন আগ্রহী মানুষ সম্পর্কে আগেভাগে অনেক তথ্য বলে ফেলতেন তিনি।
এবিসি রেডিওতে অনুষ্ঠান প্রচার হওয়ায় অনেক সরল মানুষ রাদবি রেজার ভক্ত হয়ে যান। অনেকে তাকে অতিমানবীয় ব্যক্তি ভাবতে লাগলেন। এভাবে এক নারী রাদবি রেজার ভক্ত হন। ওই নারীর সাংসারিক সমস্যা সমাধানের জন্য স্বপ্নে পাওয়া মুক্তাসহ আঁতর, আংটির প্রয়োজন হবে বলে জানান ‘টেরট বাবা’রেজা। এসব জিনিস দেয়া কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রাদবি রেজা। তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন এবিসি রেডিওর সাবেক আরজে কিবরিয়া সরকার।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সীমান্তে ভারী অস্ত্র নিয়ে মিয়ানমার বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা ভারী অস্ত্র হাতে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা বসিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সেনাসমাবেশ বাড়িয়ে চলেছে মিয়ানমার। এপারে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এপার-ওপারের মাঝখানে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে আতঙ্কে সময় পার করছে হাজারো রোহিঙ্গা। ওপার থেকে ক্ষণে ক্ষণে মাইকে ঘোষণা আসছিল, আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত সরে যেতে হবে।

আজ সকাল সাড়ে আটটায় শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের একেবারে কাছে (তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায়) গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাকে করে সীমান্তে সেনাসমাবেশ ঘটাচ্ছে মিয়ানমার। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্তে ১৪-১৫টি ট্রাকে আনা হয়েছে তিন শতাধিক সেনা। আগের দিন বৃহস্পতিবার সেখানে আনা হয়েছিল সাত-আটটি ট্রাকে করে আরও ২০০ সেনাসদস্য।

পাথরকাটা নামের ছোট একটি খালের ওপারে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরটি দাঁড়িয়ে আছে। শিবিরের পেছন লাগোয়া মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া। বেড়ার পাশে যানবাহন চলাচলের রাস্তা। তারপরে উঁচু-নিচু পাহাড়। কাঁটাতারের বাইরে ১০ গজ অন্তর দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছেন সে দেশের ভারী অস্ত্রধারী সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পাহাড়ে চূড়ায়, ঢালুতে এবং খেজুর ও আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সেখানকার শতাধিক সেনাসদস্যকে। তাঁদের অনেকে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে এপারের ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন।

পাথরকাটা খালের এপারে কথা হয়, তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্প প্লাটুন কমান্ডার বদিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ছয়টার পর থেকে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনাসমাবেশ ঘটাতে থাকে মিয়ানমার। বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৫টি ট্রাকে আনা হয়েছে তিন শতাধিক সেনা। সেনাদের পাশাপাশি সে দেশের সীমান্ত পুলিশ বিজিপিও টহল দিচ্ছেন। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সরে যেতে তাঁরা অনবরত মাইকিং করে চলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সেনারা একটি গুলি ছোড়ে। তারপর গভীর রাত পৌনে তিনটার দিকে আরেকটি গুলি ছোড়ে। উদ্দেশ্য শূন্যরেখায় আশ্রয়শিবিরে থাকা প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গার ফিরে যাওয়া থামিয়ে দেওয়া। গুলিবর্ষণের ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত বিজিবির কয়েকজন সদস্য বলেন, সেখানকার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কে কী করছেন, তা তাঁরা নিকটতম দূরত্বে দাঁড়িয়ে থেকে প্রত্যক্ষ করছেন। এপারে দাঁড়িয়ে সবকিছু খালি চোখে দেখা যায়।

মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা জি-থ্রি, একে-৪৭, চায়নিজ রাইফেল, মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়েছেন। ট্রাক থেকে আনা হয়েছে রকেটলঞ্চার, মর্টার। এসব মর্টার থেকে ৬০-৭০ মিটার দূরত্বে শেল নিক্ষেপ করা যাবে। পাহাড়ের চূড়ায় পলিথিনের বেড়া দিয়ে তৈরি হয় একাধিক ছাউনি। পাহাড় খনন করে তৈরি হচ্ছে করা অসংখ্য বাংকার। সেখানে ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়েছেন সেনাসদস্যরা। এসব পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত।

বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে গুলিটি ছুড়েছিল, সেটি এসে পড়ে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আমির হোসেনের ঘরে। তিনি বলেন, গুলিটি প্রথমে ঘরে রাখা দুই লিটার পরিমাণ সয়াবিন তেলের একটি প্লাস্টিক বোতল ভেদ করে একটি ব্রিফকেসে লাগে। তখন ব্রিফকেসে থাকা তিন জোড়া কাপড় পুড়ে যায়। এরপর বিজিবি সদস্যরা গুলিটি নিয়ে গেছে। তখন ঘরে কেউ ছিল না বলে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা।

আমির হোসেনের বাড়ির ৩০ গজ পেছনে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া। সেখানে দাঁড়িয়ে এদিকে অস্ত্র তাক করে আছেন সেখানকার ১০-১২ জন সেনাসদস্য। রোহিঙ্গাদের ছবি তোলা দৃশ্য দেখে সেনাসদস্যরা ওপারে হইচই শুরু করেন। সেনাসদস্যদের পাশের একটি তল্লাশিচৌকি থেকে তখন মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল, প্রথমে বার্মিজ ভাষায় এবং পরে রোহিঙ্গাদের আঞ্চলিক ভাষায়। ঘোষণায় বলা হচ্ছিল, ‘রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলাজুড়ে এখন ১৪৪ ধারা চলছে। শূন্যরেখার যে স্থানে ধাওয়া বাঙালিরা (পলাতক বাঙালি) অবস্থান করছ, সেটি মিয়ানমারের ভূখণ্ড। সুতরাং এই ভূখণ্ডে বাঙালিদের (রোহিঙ্গা) থাকা বেআইনি। তাই দ্রুত এই ভূখণ্ড ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কোনো কিছুর জন্য মিয়ানমার দায়ী থাকবে না।’

এখানে উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা বলেন, প্রতিদিন এ রকম ১৫-১৬ বার ঘোষণা দেয় তারা। কিন্তু রোহিঙ্গারা তা কানে নিচ্ছে না।

বেলা ১১টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে কথা হয়, বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, মিয়ানমার তাঁদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে পারে, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু তাঁরা গুলি করছে কেন? এ নিয়ে মিয়ানমারের কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি বিজিবিও সতর্ক রয়েছে। ওপারের ঘটনায় এপারের লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির থেকে গত দুই দিনে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ ঢোকেনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সরওয়ার কামাল বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তের শূন্যরেখায় সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে মিয়ানমার। উদ্দেশ্য—রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ ও সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা।

গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে ইতিমধ্যে ১০ লাখ ৭৬ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি বড়দলে জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৬০টি গাছ কর্তন

মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদে (বুড়িয়া) বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কর্তৃক জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে জেলা পরিষদের পুকুরের পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬০টি গাছ কর্তন করা হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ফকরাবাদ (বুড়িয়া) গ্রামের সর্বসাধারণের ব্যবহারের জেলা পরিষদের পুকুরের খনন ও সংস্কার কাজ চলছে। বৃহৎ এই পুকুরের চারিদিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছে আচ্ছন্ন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে পুকুরের পাড়ের প্রায় অর্ধেকের বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছের গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেঁকে দেওয়া হয়েছে। আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও প্রেসক্লাবের প্রায় ১০ জন সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা তাদেরকে জানান, এলাকার কাঁঠ ব্যবসায়ী নওশের গাজীর পুত্র মান্নান গাজী এসকল গাছ ক্রয় করছেন। দু’দিনে প্রায় ৬০টির মত খেজুর গাছ, কিছু জাম গাছ ও পাঁপড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

কাঁঠ ব্যবসায়ী মান্নান গাজী জানান, পুকুরের পাড়ের জাম, পাপড়া ও খেজুর গাছগুলি তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা ও ইউপি সদস্য হাফেজ রুহল আমিন থেকে ক্রয় করেছেন। ক্রয়কৃত সব গাছ কেটে এখনও শেষ করতে পারেননি তারপরও ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছেন। তবে জেলা পরিষদের অনুমোদন আছে কি না, সেটা উনারা তাকে বলেননি বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী জানায়, গাছগুলো না কেটে পুকুর সংস্কার ও পাড় মেরামত করলে সেটা আরও মজবুত হতো। এ বিষয়ে জানার জন্য ইউপি সদস্য হাফেজ রুহল আমিনের সাথে বহুবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং ০১৭১৪-৫১৫০১৫ তে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অবশেষে তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিনি সাতক্ষীরাতে গেছেন। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ১৩ নং ওয়ার্ড সদস্য এস এম দেলোয়ার হুসাইনের সাথে অনুমোদন ছাড়া জেলা পরিষদের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, “মামার সাথে সকালে আমার কথা হয়েছে। আমি পরে আপনাকে ফোন দেব।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে আওয়ামীলীগের উদ্দ্যেগে মটর শোভাযাত্রা

আব্দুল আলিম: খুলনায় ৩ মার্চ প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষে শ্যামনগরে ২ মার্চ বিকাল ৪টায় এক বিশাল মটরসাইকেল শোভাযাত্রা,র্যালি, আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর-কালিগঞ্জ উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রা।
সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি ও শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম,জগলুল হায়দার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস,এম,আতাউল হক দোলন,বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও তার সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের সভাপতি,সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সহস্ররাধিক মটরসাইকেল ও কয়েকটি পিকআপে ব্যান্ডবাদ্য বাজিয়ে জনসভাকে সফল করতে ব্যাপক জনসচেতনতার লক্ষ্যে এই নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বিষপানে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে অনন্ত বৈরাগী নামে এক বৃদ্ধা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। অনন্ত বৈরাগী(৭০) কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া (হামকুড়া) গ্রামের মৃতঃ নবীন বৈরাগীর পুত্র। তার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, বুধবার বিকালে সবার অজান্তে সে বিষপান করেন। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে প্রথমে বুধহাটার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ দিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি সাতক্ষীরা সদর থানাকে অবহিত করলে সদর থানা পুলিশ লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুর সময় তিনি পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তবে তার আত্মহত্যার সঠিক কারন জানা জায়নি। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে স্বাধীনতা দিবস টি-২০ ম্যাচে গ্লোরিয়াস ক্রিকেট ক্লাব জয়ী

আব্দুল আলিম: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ী মিতালী সংঘের আয়োজনে গতকাল ০১ লা মার্চ স্থানীয় কলবাড়ী নেকজানিয়া মাধ্যঃ বিদ্যালয় মাঠে এক প্রীতি টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত খেলায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী “গ্লোরিয়াস ক্রিকেট ক্লাব” ও “রয়েল ক্রিকেটারস” এর মধ্যকার জাঁকজমকপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে গ্লোরিয়াস ক্রিকেট ক্লাব ৬০ রানে জয়লাভ করেন।
বেলা ১১ ঘটিকায় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচ শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন গ্লোরিয়াস ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক স.ম ওসমান গনী সোহাগ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারের খেলায় ১৯ তম ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রয়েল ক্রিকেটারস এর খেলোয়াড়েরা প্রথমে বিপর্যের সম্মুখীন হয়। ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করতে সক্ষম হন। উক্ত ম্যাচে সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে রাকেশ মন্ডল ব্যক্তিগত ৮৪ রান এবং সেরা বোলার হিসেবে তানভীর সোহেল ৫ টি উইকেট শিকার করেন।

বিজয়ী দল, সেরা খেলোয়াড়, আম্পায়ার, স্কোরার ও কমেন্টেটরের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ১০ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান, পরিচ্ছন্ন তরুণ জননেতা বাবু ডালিম কুমার ঘরামী।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক গৌতম মন্ডল, ইউপি সদস্য কামরুজজামান, শ্যামল কুমার, সমাজসেবক সাবুত আলী, রেজাউল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

স্কোরারের দায়িত্বে ছিল আল-মামুন ও কমেন্টেটরের দায়িত্বে ছিল গৌতম। সমগ্র খেলাটি পরিচালনা করেন আম্পায়ার দেবদাস বর্ম্মন ও মো. ফারুক হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রীর খুলনা আগমন উপলক্ষ্যে খলিষখালী আ. লীগের স্বাগত মিছিল ও প্রস্তুতি সভা

সমীর দাশ,পাটকেলঘাটা: রাত পোয়ালেই খুলনা বাসির কয়েকটি স্বপ্ন পূরাণে আসছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব সমগ্র বিভাগ জুড়ে, তারই অংশ হিসাবে খলিষখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ প্রস্তুতি সভা ও স্বাগত মিছিল করে।
১ লা মার্চ বিকাল ৫ ঘটিকায় বাংলা দেশ আওয়ামীলীগ ৯ নং খলিষখালী ইউনিয়ন শাখা খলিষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে শেখ হাসিনার খুলনায় আগমনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি সভা করে। সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি বাবু সুনিলদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক বাবু সমীর কুমার দাশ, সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাফ্ফার রহমান, সহ-সভাপতি আফতাব মোড়ল, যুগ্ম- সম্পদক শরিফুল সরদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পদক নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কমিটি গুলোর সভাপতি/সম্পদক দুলাল দাশ, ভৈরব চন্দ্র সরকার, মোকাম গাজী, সত্যেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টুটুল খাঁ, সন্তোষ চক্রবর্তী, নীলকোমল দাস, তোতা সরদার, শফিকুল মোল্ল্যা, কার্ত্তিক মণ্ডল, শফিকুল সরদার, শেখর কুণ্ড, সুলতান সরদার, ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহব্বায়ক বিধান দাশ, যুবলীগনেতা বিপ্লব মুখার্জী (চাঁদু),সুজাত সানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন (রনি),ফজলু সরদার, ছাত্রলীগের সভাপতি ফারদ্বীন এহসান দ্বীপ প্রমুখ। সভাশেষে স্বাগত মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest