সর্বশেষ সংবাদ-
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধনপিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মানববন্ধন

আইনের শাসনে অবনতি বাংলাদেশের

আইনের শাসনে বিশ্বের ১১৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একেবারে নিচের দিকে অবস্থান করছে। সাধারণ মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডাটালিডস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইনফোগ্রাফ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনের শাসনে বিশ্বের ১১৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২তম।

তবে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া।

ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল সূচকের ভিত্তিতে ডাটালিডসের এ প্রতিবেদনে এশিয়ায় আইনের শাসনের দিক দিয়ে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে সিঙ্গাপুর। দেশটির অবস্থান ১৩তম। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে জাপান। আইনের শাসনে ১১৩টি দেশের মধ্যে জাপান ১৪তম অবস্থানে আছে।

এছাড়া বৈশ্বিক আইনের শাসনে দক্ষিণ কোরিয়া ২০তম। মানুষের আইনি সুরক্ষার ভিত্তিতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া।

গত দুই দশকে পূর্ব এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়া শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করেছে। দেশটির অবস্থান ৫১তম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এশিয়ার অনেক দেশের ওপরে অবস্থান করছে এ দেশটি।

সূচকে মালয়েশিয়া এবং নেপাল যথাক্রমে ৫৩ এবং ৫৮তম স্থানে রয়েছে। নেপালের পরই আছে শ্রীলঙ্কা। তবে আইনের শাসনে শ্রীলঙ্কার অগ্রগতি বেশ চোখে পড়ার মতো। দেশটি ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল’র গত সূচকের চেয়ে ৯ ধাপ এগিয়েছে।

ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার জেরে দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব আইনের শাসন সূচকে ভারতের অবস্থান ৬২তম। এরপরই আছে ইন্দোনেশিয়া (৬৩তম)। ইন্দোনেশিয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির পাশাপাশি ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেনাশাসনের অধীনে থাকা থাইল্যান্ড ১১৩ দেশের মধ্যে ৭১তম। থ্যাইল্যান্ডের পরই আছে ভিয়েতনাম (৭৪তম) এবং চীন (৭৫তম)।

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের অবস্থান ৮৮তম। মিয়ানমার আছে ১০০তম স্থানে। তবে ১১৩ দেশের এ তালিকার একেবারে নিচের দিকে অবস্থান কম্বোডিয়া। দেশটির অবস্থান ১১২তম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাউডাঙ্গায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ২লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন প্রবাসীর স্ত্রী

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে অভিনব কায়দায় ২লক্ষাধিক টাকা খোয়ালো প্রবাসীর স্ত্রী। ঝাউডাঙ্গা বাজারের সালাম টেলিকম থেকে প্রতারক চক্রের ১৭টি বিকাশ ও রকেট এ্যাকাউন্ট নম্বরে মোট ২লক্ষ ৩৫ হাজার ৪শত নব্বই টাকা বিকাশ করেছে ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলায় ঝাউডাঙ্গা মাদ্রাসার মসজিদ পাড়া এলাকায়। সরেজমিন জহুরুল ইসলামের নিকট থেকে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঝাউডাঙ্গা বাজারের সালাম টেলিকম থেকে প্রতারক চক্রের রকেট ও বিকাশের একাধিক নম্বরে পর্যায়ক্রমে টাকা ট্রান্সফার করা হয়। সালাম টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরুল ইসলামের নিকট টাকা পাঠানোর কথা বলে তার স্ত্রী রকেট ও বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলে। কিছু টাকা পাঠানোর পরে সন্দেহ হলে, তিনি রকেট ও বিকাশকৃত টাকা গুলো দিতে বলেন। কিন্তু তিনি তা না দিয়ে সবগুলো টাকা পাঠাতে বলেন। তিনি তার কাছে থাকা ব্যাগ দেখিয়ে বলেন, সব টাকা আমার কাছে আছে। পাঠানো শেষ হলে টাকা পেয়েছে কি না জেনে তারপর দেব। একে একে মোট ২লক্ষ ৩৫ হাজার ৪শত নব্বই টাকা বিকাশ ও রকেট করা হলেও একটি টাকাও জেসমিন আমাদের দেয়নি। কিছুক্ষণ পরে সে জানায় তার নম্বরে ২০লক্ষ টাকা আসার কথা, কিন্তু সময় যত বাড়তে থাকে ততই বাড়তে থাকে তার প্রতিক্ষার প্রহর, নরক যন্ত্রনা। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে হারাতে হয়েছে স্বামীর কষ্টে অর্জিত ২লক্ষাধিক টাকা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে কাঁকড়া চাষ ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত

শ্যামনগর ব্যুরোঃশ্যামনগরে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে নওয়াঁবেকি গনমূখী ফাউন্ডেশনের (এনজিএফ) বাস্তবায়নে কাঁকড়া চাষ ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় PACE এর আওতায় “কাঁকড়া চাষ” শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে উক্ত মেলাটি শুরু হয় এবং শেষ হয় বিকাল ৫ টায়। মেলায় কাঁকড়া চাষ” শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্পের নানা বিষয তুলে ধরে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্রদর্শন করা হয় এবং বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে কাঁকড়া চাষের উপরে কাঁকড়া চাষ, হিজড়া কাঁকড়া চাষ, মাছের সাথে কাঁকড়ার মিশ্র চাষ, কাঁকড়ার পোনা নার্সিং এবং কাঁকড়ার মোটাতাজাকরন নামক ৫ টি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। মেলায় আগত সকলকে প্রকল্পের বিষয়ে অবিহিত করতে বিভিন্ন প্রকার লিপলেট এবং বই দেওয়া হয়। মেলায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারূক হুসাইন সাগর, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি জাহিদ হোসেন, সভাপতিত্ব করেন প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আশুতোষ বিশ্বাস, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত প্রকল্পের সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর আব্দুল আলিম সহ সাংবাদিক বৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, সেনা-অস্ত্র মোতায়েন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছ‌ড়ির তামরু সীমা‌ন্তে অ‌তি‌রিক্ত সেনা মোতা‌য়েনসহ ভারী অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নি‌য়ে অবস্থান নি‌য়ে‌ছে মিয়ানমার। এর প‌রি‌প্রে‌ক্ষি‌তে সীমা‌ন্তে শক্ত অবস্থানে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি‌জি‌বি)। এছাড়া অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মিয়ানমারকে পতাকা বৈঠ‌কের জন্য আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছে বি‌জি‌বি।

বৃহস্প‌তিবার বি‌কেলে রাজধানীর পিলখানার বি‌জি‌বি সদর দপ্তরে এক তাৎক্ষ‌নিক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এসব তথ্য জানান বিজিবির অ‌তি‌রিক্ত মহাপ‌রিচালক (অপা‌রেশন্স) ব্রি‌গে‌ডিয়ার জেনা‌রেল মুজিবুর রহমান।

‌তি‌নি ব‌লেন, বেশ ক‌য়েক‌দিন ধ‌রেই সীমান্তে মিয়ানমারের সেনারা জি‌রো প‌য়ে‌ন্টে থাকা রো‌হিঙ্গা‌দের ফেরত আস‌তে মানা কর‌ছে। এ‌টি এক ধর‌নের পু‌শিং। মিয়ানমার ওই সীমা‌ন্তে সেনা মোতা‌য়েন বৃ‌দ্ধি ক‌রে‌ছে; পাশাপা‌শি ভারী অস্ত্র, গোলা বারুদের সংখ্যাও বা‌ড়ি‌য়েছে। তাই সীমা‌ন্তে বি‌জি‌বিও তা‌দের জনবল বৃ‌দ্ধি ক‌রে‌ছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় র‌য়ে‌ছি, পর্য‌বেক্ষণ কর‌ছি। যে কোন ধর‌নের প‌রি‌স্থি‌তির সৃষ্টি হ‌লে বি‌জি‌বি সব সময়ই দেশ মাতৃকার ত‌রে নি‌বে‌দিত প্রাণ থে‌কে তা‌দের যে দা‌য়িত্ব ও কর্তব্য তা পালন কর‌বে। সীমা‌ন্তে ভারী অস্ত্র মোতা‌য়েন ও সেনা সমা‌বেশ বর্ডার নর্মস (নিয়ম) এর বাইরে।

মুজিবুর রহমান ব‌লেন, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পো‌স্টের মাঝামা‌ঝি এলাকায় মিয়ানমার সীমা‌ন্তের দেড়শ’ গজ ভিত‌রে সেনা সমা‌বেশ ক‌রে‌ছে। ভারী পিকআপ, ট্রা‌ক ও ল‌রিতে ক‌রে এ‌সে‌ছে মিয়ানমারের সেনারা। তারা ভারী অস্ত্রও মোতা‌য়েন ক‌রে‌ছে।

‘পারস্প‌রিক আ‌লোচনা ও গভীরভা‌বে পর্য‌বেক্ষণ ক‌রে আমরা পতাকা বৈঠ‌কের আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছি মিয়ানমার‌কে। অবশ্যই তারা পতাকা বৈঠ‌কের জবাব দে‌বে এবং এ প‌রি‌স্থি‌তির সমাধান পতাকা বৈঠ‌কের মাধ্যমেই হ‌বে’, বলেন মুজিবুর রহমান।

এক প্রশ্নের জবা‌বে তি‌নি ব‌লেন, কিছুদিন আ‌গে দুই দে‌শের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যা‌য়ে বৈঠকে সম‌ঝোতা স্মারক সাক্ষর হ‌য়ে‌ছে। তাই এমন কোন পদ‌ক্ষেপ তা‌দের নেওয়ার কথা নয়। এ‌টি‌ কোন উস্কা‌নির পর্যা‌য়ে প‌ড়ে না। তাদের নিশ্চয়ই কোন প‌রিকল্পনা র‌য়ে‌ছে। তা‌দের স্ট্রা‌টি‌জিক প্ল্যান কী সেটা জানার জন্যই পতাকা বৈঠ‌কের আহ্বান জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

সাংবা‌দিক‌দের অন্য এক প্র‌শ্নের জবা‌বে বি‌জি‌বির অ‌তি‌রিক্ত মহাপ‌রিচালক ব‌লেন, এখনও এমন কোন প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হয়‌নি যে অন্য কোন বা‌হিনীর সদস্য‌দের জানা‌তে হ‌বে। ত‌বে মিয়ানমার স্বাভা‌বি‌কের চে‌য়ে অ‌তি‌রিক্ত সেনা সদস্য মোতা‌য়েন ক‌রে‌ছে ব‌লেই আমরা বি‌জি‌বির জনবল বৃ‌দ্ধি ক‌রে‌ছি। কিন্তু প‌রি‌স্থি‌তি আমা‌দের নিয়ন্ত্র‌ণে র‌য়ে‌ছে। পতাকা বৈঠ‌কের প্র‌ক্রিয়া চলমান র‌য়ে‌ছে। মিয়ানমার কেন অ‌তি‌রিক্ত সেনা মোতা‌য়েন কর‌লো সেটা বৈঠ‌কের পরই বিস্তা‌রিত জানা‌তে পারব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে দারিদ্রের ঘরের অবকাঠামো মেরামতের ব্যবস্থা করলেন- এমপি জগলুল হায়দার

আব্দুল আলিম, শ্যামনগর: শ্যামনগরে এক হত দরিদ্রের বাড়িতে গিয়ে তার ভগ্ন কুঠীরের অবকাঠামো মেরামত ও নতুন চাল স্থাপনের ব্যবস্থা করলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এমপি।

বুধবার হঠাৎ করেই শ্যামনগর উপজেলার দেবালয় গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর গনির মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বেগমের বাড়িতে মানসম্মত খাবার নিয়ে হাজির হন সংসদ সদস্য। একজন এমপিকে এভাবে নিজের ভগ্ন কুঠিরে পেয়ে মহাখুশি জনমজুর নাজমা সবাইকে সাংসদের আনা খাবার একসাথে খাবার আর্জি জানায়। নাজমার আর্জিতে তার বাড়ির ভগ্ন কুঠিরের মেঝেতে পাটিতে বসে একসাথে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন সংসদ সদস্য। এসময় নাজমার বাড়ির ভগ্ন অবস্থা দেখে এমপি জগলুল হায়দার দ্রুত নাজমা বেগমের ঘরের অবকাঠামো মেরামত ও নতুন চাল স্থাপনের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। যে কথা সেই কাজ ,অসহায় গরিবকে দেওয়া আশ্বাসের বাস্তবায়ন করলেন এক দিনের ব্যাবধানে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায়। এসময় ঘর মেরামতের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও চাল ছাউনির সামগ্রি নিয়ে নাজমা বেগমের বাড়িতে হাজির হন সংসদ সদস্য। এসময় উপস্থিত ছিলেন এমপি পত্নী ফাতেমা হায়দার রওজা, শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম খান, প্রেসক্লাবের আহবায়ক গাজী সালাউদ্দীন বাপ্পী, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আমজাদ হোসেন মিঠু, সমাজসেবক মোহাম্মদ আলি সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। সংসদ সদস্যের এমন কাজে সকল এলাকাবাসি তার জন্য প্রানভরে দোয়া করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাউডাঙ্গায় গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় পুলিশের পৃথক দু’টি অভিযানে ১শত গ্রাম গাঁজা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের লুতফর রহমানের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম (২৯)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঝাউডাঙ্গা বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঝাউডাঙ্গা থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টায় ১শত গ্রাম গাঁজা সহ আনারুল ইসলাম আটক করে।

অপরদিকে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রাম থেকে রওশন আলীর ছেলে মাদক সম্রাট আছাদ (৩০) কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান জানান, আছাদ ওয়ারেন্টভুক্ত মাদক মামলার অাসামি। আনারুল পোল্ট্রি ব্যবসার আড়ালে একজন গাঁজা ব্যবসায়ী। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় এলজিইডির মহিলা কর্মীদের চেক বিতরণ করলেন এমপি রুহুল হক

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা এলজিইডি অফিসের আয়োজনে রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোড মেইনটেনেন্স প্রোগ্রাম ২ শীর্ষক প্রকল্পের সদ্য সমাপ্তকৃত মহিলা কমীদের মাঝে সনদপত্র ও চেক বিতরন অনুষ্ঠান বৃহষ্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি, উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিঞ্চুপদ বিশ^াস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষকমন্ডলী ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোড মেইনটেনেন্স প্রোগ্রাম ২ শীর্ষক প্রকল্পের সদ্য সমাপ্তকৃত ৫০ জন মহিলা কমীদের মাঝে সনদপত্র ও চেক বিতরন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মশা তাড়ানোর কার্যকরি ১৮ উপায়

মশা। এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। এই মশা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি মারাত্মক রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে। স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল কোন কিছুতেই মশা তাড়ানো সহজ নয়। আবার এসব দিয়ে মশা তাড়ালেও আমাদের স্বাস্থ্য এতে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরী। আগেকার যুগে মশার কয়েল, স্প্রে তো কিছুই ছিল না। তখনকার মানুষ কিভাবে মশার হাত থেকে রক্ষা পেতেন? একনজরে জেনে নিন মশা তাড়ানোর কার্যকরি ১৮টি উপায়-

১. লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার লেবু খণ্ড করে কেটে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।

২. নিমের তেলের ব্যবহার নিমের মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না এবং সেই সাথে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।

৩. পুদিনার ব্যবহার ছোট গ্লাসে একটু পানি নিয়ে তাতে ৫ থেকে ৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর পানি বদলে দেবেন। জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয় পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।

৪. টবে লেমন গ্রাস লাগান থাই লেমন গ্রাসে আছে ‘সাইট্রোনেলা অয়েল’ যা থেকে বের হয় একধরনের শক্তিশালী সুগন্ধ। এই সুগন্ধ কিন্তু মশাদের যম। মশারা এর কাছেও ঘেঁষে না। ফলে আপনার আশেপাশে লেমন গ্রাসের ঝাঁড় থাকলে মশারা আপনাকে খুঁজে পাবে না। আর লেমন গ্রাস দেখতেও কিন্তু মন্দ নয়। এমনসব স্থানে এসব গাছের টব রাখুন যেখানে সকাল বিকাল কিংবা রাতে পরিবারের অন্যদের নিয়ে কিংবা বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা বা সময় কাটান। এভাবে থাকুন মশা মুক্ত।

৫. ধুনোর সঙ্গে নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৬. হলুদ বৈদ্যুতিক আলো ঘরের মধ্যে মশার উৎপাত কমাতে চাইলে, ঘরের বৈদ্যুতিক আলোটি হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন। ফলে হলুদ আলো হবে। দেখবেন মশা কমে গেছে, কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চায়। এছাড়া ঘরে এবং ঘরের বাইরে লাইট বাল্বগুলো পরিবর্তন করুন। মশারা সাধারণত সব লাইটের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। এলইডি লাইট, হলুদ ‘বাগ লাইট’, বা সোডিয়াম লাইট এক্ষেত্রে উপকারী। এগুলো জ্বালালে সন্ধ্যাবেলা ঘরে বাইরে মশাদের আক্রমন অনেকটাই কমে যাবে।

৭. চা-পাতা পোড়ান ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।

৮. নিমপাতা পোড়ান কয়লা বা কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পোড়ালে যে ধোঁয়া হবে তা মশা তাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর।

৯. ক্যাটনিপ অয়েল ক্যাটনিপ অয়েলের nepetalactone নামক পদার্থ মশা তাড়াতে DEET (Diethyle-Meta-toluamide) থেকে প্রায় ১০ গুন বেশি শক্তিশালী। ক্যাটনিপ অয়েল মাখালে মশারা ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।

১০. বারান্দায় চামচিকার বাক্স রাখুন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চামচিকারারা এক ঘন্টায় কয়েকশত পোকা-মাকড় খায়। তাই মশা তাড়াতে ব্যাট হাউস বানাতে পারেন। বারান্দায় কিংবা ভেন্টিলেটরের কাছে রাখুন আর চামচিকাদের কাজ করতে দিন।

১১. ফ্যান চালু রাখুন মশারা খুবই হালকা। অন্যদিকে একটি ফ্যানের স্পীড ঘন্টায় প্রায় দুই মাইল। মশাদের উড়বার গতিবেগের চাইতে ফ্যানের ঘুরবার গতি অনেক বেশি হওয়াতে সহজেই মশাদের ব্লেডের কাছে টেনে নেয়। আপনার বসার স্থান কিংবা ডেক বা যেসব স্থান থেকে মশারা খুব সহজে আপনার গৃহে প্রবেশ করতে পারে, এমনসব স্থানে মশাদের আগমন সময়ে আপনার টেবিল ফ্যান বা পেডাল ফ্যানটি চালু রাখুন। মশাদের হাত থেকেও যেমন নিস্কৃতি পাবেন তেমনি গরমেও পাবেন আরাম।

১২. কালো, নীল ও লাল কাপড় এড়িয়ে চলুন মশাদের পছন্দের রঙের পোষাক এড়িয়ে চলুন। কি অবাক হচ্ছেন! হ্যাঁ কিছু কিছু প্রজাতির মশারা কয়েকটি গাঢ় রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয় যেমন কালো, নীল আর লাল। আর তারা গরমের প্রতিও সংবেদনশীল। তাই ঠান্ডা রাখুন ঘর আর পোষাক পড়ুন হালকা রঙের।

১৩. কর্পূরের ব্যবহার মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোন ফার্মেসিতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন। আগের পানিটুকু ফেলে দিবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

১৪. সুগন্ধি ব্যবহার করুন মশারা সুগন্ধি থেকে দূরে থাকে। সুতরাং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরে আতর, সুগন্ধি, কিংবা লোসন মেখে শুতে পারেন। নিশ্চিত করে বলা যায় এতে মশা সাধারণ থেকে অনেক কম দেখা যাবে।

১৫. রসুনের স্প্রে করুন রসুনের স্প্রে মশা তাড়াতে খুবই কার্যকারী প্রাকৃতিক উপায়। ৫ ভাগ পানিতে ১ ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে শরীরের যেসব স্থানে মশারা কামড়াতে পারে সেসব স্থানে স্প্রে করুন। এতে করে যে কোন ধরণের রক্ত চোষারা আপনার ধারে কাছেও আসবে না।

১৬. জমানো জল থেকে দূরে থাকুন খেয়াল রাখুন যেন কোথাও জল জমে না থাকে। ঘরের আনাচে-কানাচে কিংবা উঠোনে জল জমে থাকলে সেখানে মশারা বংশবিস্তার করতে পারে। তাই যেখানেই জল জমুক না কেন, তা সরিয়ে ফেলুন। মশার বংশবিস্তার রোধ করুন।

১৭. নারিকেলের আঁশ পোড়ান নারিকেলের গায়ে থাকা আঁশের সাহায্য দূর করতে পারেন মশা। নারিকেলের আঁশ শুকিয়ে টুকরা করুন। একটি কাঠের পাত্রে রেখে জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ধরুন। ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই মশা দূর হবে।

১৮. কেরোসিন তেল স্প্রে কেরোসিন তেল স্প্রে বোতলে নিন। কয়েক টুকরা কর্পূর মেশান। ভালো করে ঝাঁকিয়ে স্প্রে করুন রুমে। মশা থাকবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest