সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

বাংলাদেশের নতুন কোচ রিচার্ড পাইবাস

ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা ভালোভাবেই বুঝেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য একজন কড়া হেডমাস্টারই দরকার। যিনি শক্তহাতে ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করবেন। যেমনটা করেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরপরই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ‘খুব দ্রুতই জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ করা হবে।’

বিসিবি প্রেসিডেন্টের সেই ঘোষণা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কোচ নির্ধারণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সাবেক কোচ রিচার্ড পাইবাসকেই আবার নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি। বোর্ডের একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে এ খবর। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে বোর্ডের তরফ থেকে। নিদাহাস ট্রফির পরই বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেয়ার সম্ভাবনা বেশি পাইবাসের।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করার পরই কোচের খোঁজে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শুরুতেই বিসিবির পছন্দের তালিাকয় ছিলেন রিচার্ড পাইবাস। সঙ্গে ক্যরিবীয় ক্রিকেট কোচ ফিল সিমন্সও আসেন সাক্ষাৎকার দিতে। বিসিবি রিচার্ড পাইবাসকেই প্রায় নির্দিষ্ট করে ফেলেছিল; কিন্তু ক্রিকেটারদের ঘোর আপত্তি ছিল তাকে নিয়ে। কারণ, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতই কঠোর প্রকৃতির মানুষ পাইবাস। কড়া হাতে শাসন করেন তিনি ক্রিকেটারদের।

এ কারণে বোর্ডের কাছে ক্রিকেটাররা পাইবাসের সম্পর্কে আপত্তি জানায়। তারা চেয়েছিল ফিল সিমন্সকে। যিনি কি না ক্রিকেটারদের বন্ধুতে পরিণত হন। মিশে যান ক্রিকেটারদের সঙ্গে। পাইবাস কিংবা হাথুরুসিংহের পুরোপুরি উল্টো চরিত্রের। একেবারে নরম প্রকৃতির। বিসিবিও হঠাৎ করে তাই এমন কোচ নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকে।

এরই মধ্যে চলে আসে ত্রিদেশীয় সিরিজ, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ক্রিকেটাররা বিসিবি সভাপতির কাছে আবেদন জানান, এই সিরিজ এবং টুর্নামেন্টগুলো তারা নিজেরাই নিজেদের পরিচালিত করতে চায়। তারা দেখিয়ে দিতে চায়, দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য আনা সম্ভব। যে কারণে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে দায়িত্ব দিয়ে কোচের ভুমিকা দিয়ে দেয়া হয় মাশরাফি এবং সাকিব আল হাসানকে।

ফলাফল, ঘরের মাঠে পুরোপুরি ভরাডুবি ঘটেছে বাংলাদেশের। ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতে কিছুটা দুর্বার থাকলেও শ্রীলঙ্কার কাছে এক ম্যাচে ৮২ রানে অলআউট হয়ে ১০ উইকেটে হারার পর পুরো এলোমেলো হয়ে যায় টিম বাংলাদেশ। যেখান থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ফাইনালে হার, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে  চূড়ান্ত ভরাডুবি ঘটেছে বাংলাদেশের।

বিসিবি সভাপতি এই সিরিজ দিয়েই বুঝেছেন, বাংলাদেশের জন্য কেমন কোচ দরকার। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, একজন কড়া কোচ না হলে দলকে ঠিক রাখা যাবে না। সে মতেই রিচার্ড পাইবাসকেই পরবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

পাইবাস এর আগেও ছিলেন বাংলাদেশের কোচ। তবে মাত্র ৫ মাসের জন্য। ২০১২ সালের ৩০ মে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পাইবাস। ৫ মাস কাজ করার পর চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তিনি সরে দাঁড়ান বাংলাদেশের কোচিংয়ের চাকরি থেকে। এবার নিশ্চয় তার চুক্তির বিষয়াধি কঠোরভাবে ঠিক করেই তিনি আসছেন বাংলাদেশে! সে সঙ্গে সাকিব-মাশরাফিরাও পেতে যাচ্ছেন আরেকজন কঠোর হেড মাস্টার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ বৈধ

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিটের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকতে বাধা নেই। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে রুল নিষ্পত্তির রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এদিন ঠিক করেন আদালত।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চে মামলাটি কার্যতালিকায় উঠে। পরবর্তীতে ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এই কয়েকদিন শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মন্ডল।

গত ৩০ জানুয়ারি রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সত্য রঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে নিজাম হাজারীর আইনজীবী শুনানি করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।

এরপর রিটের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর পর তিনি বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকীর বেঞ্চে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান সত্য রঞ্জন মন্ডল।

গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি ফরিদ আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন।

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের বিভক্ত রায় দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তার রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দেন। অর্থাৎ তার রায়ে নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ।

এরপর আইন অনুসারে রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি একক বেঞ্চের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে কয়েকটি একক বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন। ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’।

পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট এ রুলের শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

তবে বিচারিক আদালতের একটি নথি না আসায় রায়ের দিন পিছিয়ে ২৩ আগস্ট ধার্য করা হয়। পরে কয়েক দফা পিছিয়ে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।

সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জামায়াতের ২কর্মীসহ আটক ৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় নাশকতার পরিকল্পনাকালে জামায়াত ২ কর্মীসহ ৩৯জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১১ জন, কলারোয়া থানা ৪ জন, তালা থানা ২ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৫ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে, জামায়াতের ২ জন নেতাকর্মী রয়েছে। এসময় ১০০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ২০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান। আটককৃত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সমাপনী পরীক্ষায় চার পরিবর্তন

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে শতভাগ কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে (সৃজনশীল) প্রশ্ন প্রণয়ন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা বাতিল, নতুন সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে প্রশ্ন বিতরণ, আগের চেয়ে প্রশ্নসেট বেশি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার প্রায় প্রতিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে বির্তক। এ কারণে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আরও সর্তকতা অবলম্বন করছে মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাসিক সমন্বয় সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নপত্র থেকে এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) বাদ দিয়ে রচনামূলক কী কী প্রশ্ন যুক্ত করা যায় সে বিষয়েও কাজ শুরু হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন, প্রশ্ন বিতরণের সময় প্রশ্নপত্র যেন ফাঁস না হয় সে কারণে সফটওয়ারের মাধ্যমে ৮ দিনের মধ্যে প্রশ্ন বিতরণ (আগে ২৫ দিন সময় প্রয়োজন ছিল) করা হবে, ৬ সেট প্রশ্নপত্রের বদলে ৮ সেট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সভায় মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি সভায় মন্ত্রী মোস্তফিজুর রহমান ফিজার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নৈর্ব্যত্তিক বা বহু নির্বাচনী প্রশ্ন তুলে দেওয়া সমীচীন হবে উল্লেখ করে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রশ্নপত্র ছাপানোর ক্ষেত্রে বিজি প্রেসের বিকল্প আরেকটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চলতি বছরের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) থেকে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার এমসিকিউসহ (নৈর্ব্যতিক) প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজের রূপরেখা সারাদেশের স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এই আদেশ জারির মাত্র ৮ দিন পর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থেকে এমসিকিউ (নৈর্ব্যতিক) পদ্ধতি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, নানা পর্যবেক্ষণে নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নফাঁস হওয়ার ঘটনা জানা গেছে। এ কারণে আগামী নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এমসিকিউ (নৈর্ব্যত্তিক) অংশ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নৈর্ব্যত্তিক বাদ দিয়ে কোন ধরনের রচনামূলক প্রশ্ন যুক্ত হবে তা নির্ণয় করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুয়ায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নেপকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বৈঠকে পাবলিক পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ বাদ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পিইসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থেকে এমসিকিউ অংশ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এমসিকিউ অংশ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে না পেরে এমসিকিউ পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক হয়নি। সারা পৃথিবী যেখানে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয় সেখানে আমরা এটা পারছি না। কেন পারছি না?

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ রয়েছে এবং ভালো ফলাফলও দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি ভালো নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এ পদ্ধতি মুখস্থবিদ্যাকেও বাড়িয়ে তুলছে। এখন এ পদ্ধতি (নৈর্ব্যত্তিক) তুলে দেওয়ায় ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে।

তথ্যমতে, প্রাথমিকের ৬টি বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২৪, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৫০, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৫০ এবং ধর্ম বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র রয়েছে। কিন্তু নতুন নির্দেশনার আলোকে এমসিকিউ বাদ দিয়ে এসব জায়গায় রচনামূলক প্রশ্ন যুক্ত করা হবে।

এদিকে অন্যান্য সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও সমাপনী পরীক্ষায় নৈব্যত্তিক বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পড়ছেন বিপাকে। তারা বলছেন, বুঝে ওঠতে পারছি না, ৯ মাস পরে ঠিক কোন পদ্ধতিতে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

একাধিক শিক্ষক বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ভেবেচিন্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। আর ভুলের খেসারত দিতে হয় আমাদের মতো শিক্ষকদের। ৯ মাস আগে পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার হলে আমরা এই সময়ের মধ্যে বাচ্চাদের কিভাবে গড়ে তুলব?

রাজধানী মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষা হবে না। এই সিদ্ধান্ত জানানোর তিনদিন পরে মন্ত্রণালয় থেকে আবারও ঘোষণা দেয়া হয়, সমাপনী পরীক্ষা হবে। এবার বলছে এমসিকিউ থাকবে না। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে না ভালো কথা, কিন্তু এটি ৯ মাস আগে কেন বলবে? ভেবেচিন্তে আরও আগে বলা উচিত ছিল। এমসিকিউ বাদ দিলেই কি প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মন্ত্রীর টেবিলে ঘুষবাণিজ্যে চিহ্নিত ১১৭ কর্মকর্তা-শিক্ষকের নাম

অনলাইন ডেস্ক:  কতিপয় অসাধু শিক্ষক, জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দালালদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ঘুষ-বাণিজ্যে সিন্ডিকেট চিহ্নিত হয়েছে। এমপিওভুক্তিতে জড়িত এই সিন্ডিকেটভুক্ত ১১৭ জন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারির তালিকা তৈরি করেছে সরকারের একটি তদন্ত সংস্থা। যথাযথ ব্যবস্থার সুপারিশসহ ওই প্রতিবেদনটি এখন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের টেবিলে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি তালিকা করে ব্যবস্থা নিতে নামগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। একটি কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও দেয়া হয়েছে। তালিকা পেয়ে ইতিমধ্যে কয়েকজনকে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে বদলি করা হয়েছে। বাদবাকীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।

সংস্থার প্রতিবেদনে  উল্লেখ রয়েছে, এমপিওর কাজে এক একজন শিক্ষক বা কর্মচারীকে ন্যূনতম ৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেয়ার তথ্য। টাকা না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এমপিওভুক্তির কাজ মাঠ প্রশাসনে ছেড়ে দেয়ার পর এই ঘুষ বাণিজ্য রাতারাতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

শিক্ষকরা উৎকোচের শিকার হওয়ায় প্রকারান্তরে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা খাতে স্বচ্ছতা আনতে তদন্ত সংস্থাটি ৫ দফা সুপারিশ করেছে। চিহ্নিত ১১৭ জনের মধ্যে ৮৬ জন জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ৬ জন বিভাগীয় উপপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরের ১৬ জন কর্মচারীও আছে। সিন্ডিকেটে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধানরাও আছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার এক মাস পর এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে বদলি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তালিকা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি করার দায়ে কিছু কর্মকর্তার নামের একটি তালিকা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পেয়েছি। তালিকাটি পর্যালোচনা করছি। অপরাধী কেউ রেহাই পাবে না। অপরাধ অনুযায়ী অভিযুক্তদের ক্লোজড, বদলি, ওএসডি, শোকজসহ নানারকমের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংস্থাটির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী এমপিও প্রার্থীর নাম-পরিচয় এবং প্রমাণ হিসেবে মোবাইল নম্বরও দেয়া হয়েছে। উল্লেখ আছে ঘুষের পরিমাণ। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় কতদিন ঘোরানো হয় ইত্যাদি বিষয়ও এতে বলা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রমও আছে। কিছু জায়গায় কে অভিযুক্ত তা অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। সেসব ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট অফিস যে দুর্নীতিপ্রবণ সে বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, শিক্ষা খাতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ নানা মাধ্যমে শিক্ষা বিভাগের বড় কর্তাদের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু তারা কারও বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেন না। গত ৯ বছরে বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার তেমন নজির নেই। এক বছর আগে মাউশির কয়েকজন আঞ্চলিক পরিচালকের বিরুদ্ধে এমপিও-দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও ‘তিরস্কার’র মতো লঘুদণ্ড দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, কয়েক মাস পর সেই লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। শিক্ষা প্রশাসনে বদলিকে শাস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো বিষয়ে বড় ধরনের সমালোচনা উঠলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বদলি ছাড়া অন্য কোনো ‘শাস্তি’ না দেয়ার রেওয়াজই চলে আসছে শিক্ষা প্রশাসনে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমি এবারের (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকা ধরে) পদক্ষেপ নেয়ার আগে ঘোষণা করেছি, যে বা যারা তদবির করাবেন, তার বা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকায় ১৮ জন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নাম আছে। এদের মধ্যে দু’জন আছেন যারা বর্তমানে পিআরএলে আছেন। একজন আছেন সাবেক ডিইও। এই তালিকায় আরও ৬৮ জনের নাম আছে। যাদের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসের পরিদর্শক, একাডেমিক সুপারভাইজার, প্রোগ্রামারসহ বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নামও আছে। এ তালিকায় রংপুরের একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, গোপালগঞ্জের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বরিশালের একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নাম আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা অফিসের সিন্ডিকেটে বড় ভূমিকা পালন করেন সেখানের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, স্টেনো-টাইপিস্ট ও অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী পর্যায়ের কর্মচারীরা। কোথাও আবার একশ্রেণীর অসাধু অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এমনকি শিক্ষক নেতা এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দালালের ভূমিকা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এমন ১৬ কর্মচারীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা কোথায় কি করেছেন সে বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অগ্নিঝরা মার্চ শুরু আজ

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বাঙালির জীবনে অন্তর্নিহিত শক্তির উৎস এই মার্চ মাস। এ মাসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এর আগে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

১৯৭১-এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসর্কোস ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মূহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লাখো কণ্ঠে গর্জে ওঠা একই আওয়াজ উচ্চারতি হতে থাকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে পতপত করে উড়তে থাকে সবুজ জমিনে আঁকা লাল সূর্যের পতাকা।
গত বছরের (২০১৭) ৩০ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সেই ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা প্যারিসের ইউনেস্কোর সদর দফতরে এই স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকা সংরক্ষণ করে থাকে। মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারের অন্তর্ভুক্ত প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকা বিশ্ব প্রেক্ষাপটে গুরুত্ববহ। ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারের লক্ষ্য বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা এবং বিশ্ববাসী যেন ঐতিহ্য সম্পর্কে সহজে জানতে পারে, তা নিশ্চিত করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এবারের মার্চ মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনে যোগ হবে নতুন মাত্রা। আওয়ামী লীগ ৭ মার্চ উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, এ মাসেই জাতি এবার পালন করবে মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে সভা-সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত থাকবে গোটা দেশ।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠছেলি, মার্চে এসে সেই আগুন যেন ছড়িয়ে পরে বাংলার সর্বত্র। এর পরে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বার্তা। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর আগে, ২৫ মার্চ রাত ১টার দিকে পাকিস্তানি সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘অপারশেন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে নামে। ঢাকার রাস্তায় সৈন্যরা নির্বিচিারে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।
এরপরের ঘটনাপ্রবাহ প্রতিরোধের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবনিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বের বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা। বাসস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতি ১৬ পুরুষের মধ্যে একজন যৌন হয়রানির শিকার

অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি ১৬ পুরুষের মধ্যে একজন তাদের স্ত্রী বা সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের (এআইএইচডব্লিউ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণামূলক ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে, প্রতিদিন অস্ট্রেলীয় নারীরা পারিবারিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণামূলক ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে, প্রতিদিন অস্ট্রেলীয় নারীরা পারিবারিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতি ছয় নারীর একজনকে শারীরিক বা যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল।

অন্যদিকে, প্রতি ১৬ পুরুষের একজন তাদের স্ত্রী বা সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। পারিবারিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রতি চারজনের তিনজনই পুরুষের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে গড়ে প্রতি সপ্তাহে একজন মহিলা ও প্রতি মাসে একজন পুরুষ তাদের বর্তমান বা সাবেক সঙ্গীর হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন। যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ৯৬ শতাংশই বলেছেন, তারা পুরুষ সঙ্গীর দ্বারাই নির্যাতিত হয়েছেন।

এআইএইচডব্লিউ’র মুখপাত্র লুইস ইয়র্ক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নারীরা তাদের বাড়িতে ও আপনজনের হাতেই বেশি নির্যাতিত হয়। অপরদিকে পুরুষরা সাধারণত ঘরের বাইরে এবং অনাত্মীয়দের মাধ্যমেই নির্যাতিত হয়ে থাকে। ’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার ভায়াগ্রাসহ রিয়াদে গ্রেফতার বাংলাদেশ বিমানের দুই ক্রু

এবার যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রা নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদে গ্রেফতার হলেন বিমানের দুই কেবিন ক্রু ফেরদৌস আল মামুন শিশির ও আরিফ পাঠান রুহিত। মঙ্গলবার রিয়াদ নারকটিক্সের একটি দল সেখানকার একটি হোটেলে অভিযানে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি সূত্র জানায়, আটক দুজনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তাদের জানা নেই। বিমানের পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস) আলী আহসান বাবু জানিয়েছেন, তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কি কারণে তাদের আটক করা হয়েছে তা এখনো সৌদি বিমান অফিস থেকে জানানো হয়নি। তবে এ দুজনকে ছাড়াই রিয়াদ থেকে ওই ফ্লাইট এসে বুধবার ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিমানের আরেক পরিচালক জানিয়েছেন, সোমবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট নিয়ে অন্যান্যের সঙ্গে কেবিন ক্রু শিশির ও রুহিত  রিয়াদ যান। তারা সেখানকার রেডিসান ব্লু হোটেলে অন্যান্য ক্রুদের সঙ্গেই ছিলেন। মঙ্গলবার হঠাৎ সেখানে রিয়াদ নারকট্রিক্সের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিমানের রিয়াদ অফিসকে জানিয়ে  দেয়-এ দুজনকে ভায়াগ্রাসহ অন্যান্য ওষুধ রাখার অভিযোগে আটক করে নিয়ে যায়।

এতে বিমানের গতকালের ফ্লাইট ওই দুজনকে ফেলে রেখেই ঢাকায় আসে। এ ঘটনা জানাজানি হবার পর বিমানে তোলপাড় শুরু হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিমানের কোনো কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করতে পারেনি ঠিক কি কারণে তাদের আটক করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন একজন মহাব্যবস্থাপক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest