সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ধর্ষনের অভিযোগে রমজান আলী নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতারআশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধনপ্রথম আলো বন্ধুসভার ইফতার মাহফিলতালার আলোচিত দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ আবারো ভোক্তা অধিদপ্তরের জালেসাতক্ষীরায় ১৯৯ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ : ২০ হাজার টাকা জরিমানাসরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পেশকারের বিরুদ্ধেদেবহাটায় পানিতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যকর ফোরামের পক্ষ থেকে প্রান্তিকে সম্মাননাথানাঘাটায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বদরুজ্জামান বদুর গণসংযোগসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদু’র গণসংযোগ

জঙ্গি তামিমের ‘ডান হাত’ সামাদ গ্রেপ্তার: পুলিশ

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় নব্য জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা গ্রেপ্তার ও নিহত হলে এই সামাদের নেতৃত্বেই জঙ্গি সংগঠনটি সংগঠিত হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুস সামাদ ওরফে আরিফ মামু ওরফে আশিক, তার শ্বশুর জিয়াদুল ইসলাম এবং মো. আজিজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে শিশিরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দিনাজপুরের সামাদ ২০০২ সালে দাওয়া হাদিস এবং ২০১১ সালে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।  তার মধ্যেই ২০১০ সালে তিনি জেএমবিতে যোগ দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের বরাতে মুনিরুল বলেন, ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে মিলে ‘জুনদ আল তাওহীদ আল খিলাফাই’ নামে একটি সংগঠন গড়েন সামাদ। তামিম ছিলেন সংগঠনটির প্রধান, আর সামাদ ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’।

বোমা তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ‘পারদর্শী’ সামাদ সংগঠনের জন্য সদস্য ও অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতেন বলে মনিরুলের দাবি।

তিনি বলেন, “অস্ত্র চালনা ও গ্রেনেড ব্যবহারের বিষয়ে সংগঠনের নবীন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন আব্দুস সামাদ। নব্য জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার ও নিহত হওয়ার পর তার নেতৃত্বে সংগঠনটির কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হয়।”

এর আগে গত জুনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মনিরুল বলেছিলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু’ ছদ্মনাম নিয়ে এক ব্যক্তি জঙ্গি দল নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টায় আছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।

সাভার ও লক্ষ্মীপুর থেকে নব্য জেএমবির সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সে সময় এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছিলেন, “আইয়ুব বাচ্চু তার সাংগঠনিক নাম। তার একটি ছবি আমরা পেয়েছি। তার প্রকৃত নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে পুলিশ খুঁজছে।”

পরের মাসে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানা থেকে তিন নারীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই তিন নারীর মধ্যে আরশিদা ওরফে আশরাতি জাহান তিথি নব্য জেএমবির আমির আইয়ুব বাচ্চু ওরফে সাজিদ হাসান সজীবের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে মনিরুল বলেন, তামিম চৌধুরী ও সামাদ কল্যাণপুর ও মিরপুর এলাকায় প্রায় ডজন খানেক জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। হলি আর্টিজান হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাদই সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

গ্রেপ্তার বাকি দুজনের মধ্যে সামাদের শ্বশুর জিয়াদুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নব্য জেএমবির জন্য অস্ত্র-বিস্ফোরক ও ডেটোনেটর সংগ্রহের পাশাপাশি সংরক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করতেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

আর আজিজুল ইসলাম মেহেদী পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই বছর ধরে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত জানিয়ে মনিরুল বলেন, “জিহাদি প্রশিক্ষণও সে নিয়েছে।”

এই অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ২০০ ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী পালন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০১ তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. আবুবক্কর সিদ্দীক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আওয়ামীলীগ দেশের উন্নয়ন চায়- এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র ঐচ্ছিক তহবিলের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১ম ও ২য় কিস্তির আওতায় আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সহায়তার চেক বিতরণ করেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোন ভাবেই দেশের উন্নয়নের অব্যাহত গতি রোধ করা যাবেনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে নানামুখি কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এ জন্যই আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে দেশের উন্নয়ন চায়। দেশকে উন্নত করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারবে না।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা প্রমুখ। এসময় ঐচ্ছিক তহবিল সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকা সদর উপজেলার ৬৯ জনকে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য এস এম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা ওআইসির

বিশ্বের ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর সংগঠন দি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) এক বিশেষ অধিবেশন থেকে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য বিশ্বের অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর মুসলিম বিশ্বের তীব্র ক্ষোভ ও বিক্ষোভের মধ্যে এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন ওআইসির বর্তমান প্রেসিডেন্ট তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত ৫৭টি ইসলামী দেশের প্রতিনিধিরা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘একমাত্র দুই রাষ্ট্রের সমাধানই এখানে শান্তির ভিত্তি হতে পারে।’ নেতারা ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।

অধিবেশনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারে না। জেরুজালেম সব সময়ই ফিলিস্তিনের রাজধানী।

ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ-আল ওথাইমিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ওআইসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে এবং নিন্দা জানায়। এটা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন… এবং এর মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে।’

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ওআইসির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বদলে নতুন মধ্যস্থতাকারী খোঁজে বের করার জন্যও আহ্বান জানান।

অধিবেশনে অংশ নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানান। অধিকাংশ মুসলিম দেশ অধিবেশনে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে পাঠালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব ও মিসর সেখানে মন্ত্রীকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছে।

গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বকে আরো সংকটময় করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেরুজালেমের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ শঙ্কিত সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

জেরুজালেম পবিত্র ভূমি হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় দেশেই গুরুত্বপূর্ণ। এর দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো। ইসরায়েল সব সময়ই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। পাশাপাশি পূর্ব জেরুজালেম ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে বলে দেশটির নেতারা বলে আসছেন।

১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে ৬৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা

নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টির পর গত আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৪০০ রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছে বলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বার বার দাবি করলেও একটি বেসরকারি সংস্থার মতে, সংখ্যাটি ছয় হাজার ৭০০।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে সাড়ে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গারা ভয়াবহতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরুষ সদস্যদের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করছে, নারীরা প্রতিনিয়ত সেখানে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আর তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার এ ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যদিও মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং দেশটির নেত্রী নোবেলজয়ী অং সান সু চির পক্ষ থেকে তা বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে।

মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে নিহতের এই সংখ্যা বের করেছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ৬৯ শতাংশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, নয় শতাংশকে তাদের বাড়িঘরের মধ্যে পুড়িয়ে মারা হয়েছে আর পাঁচ শতাংশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শিশুদের মধ্যে ৫৯ শতাংশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, ১৫ শতাংশ আগুনে আর সাত শতাংশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারা গেছে আরো দুই শতাংশ।

প্রতিবেদনে এমএসএফ বলেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কী ভয়াবহ পরিমাণ সহিংসতা ঘটিয়েছে, নিহতের এই সংখ্যার মধ্য দিয়েই সেটি পরিষ্কার হয়ে যায়।

আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২৪ পর্যন্ত এক মাস সময়ের মধ্যে রাখাইন রাজ্যে নয় হাজার মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যার তথ্য পায় বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা।

সহিংসতার মধ্যে ‘কম করে হলেও’ ছয় হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে জীবন দিতে হয়েছে উল্লেখ করে এমএসএফ উল্লেখ করেছে, এর মধ্যে ৭০০ জনই শিশু, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে।

এমএসএফ মনে করে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সহিংসতার যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিসি) মামলা হতে পারে।

এমএসএফের মেডিকেল ডিরেক্টর সিডনি ওয়াং বলেন, যারা বেঁচে আছেন তাঁরাও সহিংতার ভয়াবহতা নিয়েই বেঁচে আছেন। বর্বরতার শিকার এদের অনেকেই এখনো গুরুতর আহত।

যদিও এর আগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, সহিংসতার মধ্যে ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মারা গেছে ‘মুসলিম সন্ত্রাসীদের’ হাতে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এমএসএফ ডিরেক্টর চুক্তিটিকে ‘অপরিপক্ব’ উল্লেখ করে বলেন, এখনো রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতেও সেখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে।

এই অবস্থায় এখনো রাখাইন রাজ্যে সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকার সীমিত বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে এমএসএফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর ৭ উপায়

বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে মোবাইলের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। দিন দিন আন্ড্রয়েড ফোনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। আমরা কখনো চাইনা আমাদের প্রিয় স্মার্টফোন স্লো কাজ করুক। কিন্তু, অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। এসব সমস্যার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এসব কারন এড়িয়ে চললে এ সমস্যা থেকে সমধান পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফোনের গতি বাড়ানোর কিছু উপায়

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস মুছে ফেলুন:
অনেকের মোবাইল প্রচুর পরিমানে আন্ড্রয়েড অ্যাপস ইন্সটল করতে দেখা যায়। অনেকেই আছেন এসব অ্যাপস অযথা ইন্সটল করে রেখেছেন। অর্থাৎ, অ্যাপস ব্যবহার না করলেও অ্যাপস ইন্সটল করে রাখেন। যদি আপনার আন্ড্রয়েড ফোন এ অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস থাকে তাহলে সেগুলো মুছে ফেলুন। যদি কখনো প্রয়োজন হয় পরে না হয় এসব অ্যাপস আবার ইন্সটল করে নিবেন।
কেননা, অতিরিক্ত অ্যাপস আপনার আন্ড্রয়েড ফোনের গতি কমিয়ে দিবে।

ডিভাইসের স্টোরেজ পরিষ্কার করুন:
অনেকের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ অপ্রয়োজনীয় ফাইল দিয়ে পূর্ণ করা থাকে, যা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলেট করে দিন। এতে, একদিকে যেমন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের গতি বাড়বে, অন্যদিকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ খালি হবে ।

ভাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা:
মোবাইল ফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করি । তবে, মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা সময় মেমোরি কার্ডটি মানসম্মত কি না তা যাচাই করে দেখি না । নিম্নমানের মেমোরি ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি কমে যায় অপরদিকে মেমোরি কার্ড ডেটা ট্র্যান্সফারের গতি কম থাকে । এক্ষেত্রে, আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল কম্পিউটার এ ব্যাকআপ রেখে মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করে আবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন । অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি ভাল রাখতে, আপনার উচিত হবে মান সম্মত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা ।

অপ্রয়োজনীয় ওইজেট মুছে ফেলুন:
অ্যান্ড্রয়েড প্রচুর ওইজেট রয়েছে। সাধারণত এসব ওইজেট অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এছাড়া নানা কাজে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এসব ওইজেট ব্যবহার করেন। অনেকের মোবাইল প্রচুর পরিমানে ওইজেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত ওইজেট আপনার ডিভাইস এর গতি কমিয়ে দিতে পারে। তাই, আপনার আন্ড্রয়েড ফোন এ অপ্রয়োজনীয় ওইজেট থাকে তাহলে সেগুলো মুছে ফেলুন। আর যথাসম্ভব কম ওইজেট ব্যবহার করুন। এতে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি বেড়ে যাবে।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর ক্যাশ মুছে ফেলা:
আন্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করার ফলে অ্যাপস এর ক্যাশ আপনার আন্ড্রয়েড ডিভাইস স্লো করে দিতে পারে। তাই, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি বাড়ানোর জন্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর ক্যাশ মুছে ফেলতে পারেন। এসব ক্যাশ মুছে ফেলার জন্য আপনি চাইলে অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। এতে, আপনার ফোনের গতি কিছুটা বাড়বে।

ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট:
যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড অবস্থা অতিরিক্ত খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করে নিতে পারেন। ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করার আগে অবশ্যই আপনার আন্ড্রয়েড এর সমস্ত ডাটা এর ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন। কেননা, ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করলে ফোনের সমস্ত ডাটা মুছে যায়। এরপর, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি সবকিছু নতুন ভাবে সেট-আপ করুন।

স্টার্ট-আপ অ্যাপস নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
আমরা অ্যান্ড্রয়েড বেশ কিছু অ্যাপস দেখি যেসব অ্যাপস অটো স্টার্ট আপ ফিচার সমৃদ্ধ। অর্থাৎ, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস চালু হওয়ার সাথে সাথে এসব অ্যাপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। যাদের র‌্যাম কম তাঁরা এ ধরনের অ্যাপস যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কেননা, এতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এর গতি কমে যেতে পারে। এছাড়া, আপনি চাইলে এসব অ্যাপস এর স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টার্ট আপ বন্ধ করতে পারেন।

এছাড়া, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপস সমূহ সব সময় আপডেট করার চেষ্টা করুন। যখনই আপনার ব্যবহৃত অ্যাপস এর আপডেট করার জন্য নোটিফিকেশন পাবেন, তখনই অ্যাপসটি আপডেট করার চেষ্টা করবেন। এতে, আপনি দুইটি সুবিধা পাবেন। প্রথমত, আপনার ফোনের গতি বাড়বে আর অ্যাপস আপডেট করার ফলে আপনি অ্যাপস থেকে হয়ত বাড়তি সুবিধা পাবেন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন এ অনেক সময় আমরা লাইভ ওয়াল পেপার ব্যবহার করি। এসব লাইভ ওয়াল পেপার ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি কমে যায় অপরদিকে আপনার ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় এক কৃষককে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করায় এক কৃষককে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে রক্ষা করতে যেয়ে আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন তার স্ত্রী। মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় আব্দুল হামিদ যশঅসভপন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুল হামিদ (৫২) কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের সাজ্জাদ আলী মোল্যাার ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কুয়েতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজউদ্দিনের ছেলে শামীমের কাছে ১০ কাঠা জমি ২৩ হাজার টাকায় তিনি বন্ধক রাখেন। সুবিধামত সময়ে ওই জমি ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা ছিল তার। দু’ সপ্তাহ আগে তিনি তার বোন মাহমুদা বেগমকে নিয়ে ২৩ হাজার টাকা দিয়ে জমি ফেরত দেওয়ার জন্য শামিমকে বলেন। শামিম ওই জমি ফেরত দেবেননা বলে জানান। উপরন্ত ওই জমি রেজিষ্ট্রি দলিল করে করে দেয়ার জন্য বলেন। আর তা না হলে জমির পরিবর্তে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি এক সপ্তাহ আগে ন্যয় বিচার চেয়ে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবু উভয়পক্ষকে ডেকে বন্দকী জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শামীমকে এক সপ্তাহ সময় দেন।
আব্দুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, জমি ফিরে না পাওয়ায় পরিষদে অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন শামীম, তার ভাই সেলিম ও একই গ্রামের কাশেম সরদারের ছেলে ইউপি সদস্য চারটি নাশকতার মামলার আসামী বজলুর রহমান। তারা তাকে (হামিদ) জমি লিখে না দিলে খুন জখম করার হুমকিও দিয়ে আসছিলো।
এরই জের ধরে বুধবার ভোর রাত তিনটার দিকে মশারির উপর দিয়ে পেট্রোল ছড়িয়ে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় শামীম, সেলিম ও বজলুসহ কয়েকজন। এ সময় তার আতœচিৎকারে স্ত্রী জাহানারা তাকে রক্ষা করতে গেলে সেও দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফরহাদ জামিল জানান, আব্দুল হামিদের দু’ হাত, কপাল ও মাথার কিছু অংশ দাহ্য পদার্থে পুঁড়ে গেছে।
আব্দুল হামিদের স্ত্রী জাহানারা খাতুনের অভিযোগ, বুধবার তার স্বামীকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় শামীম, সেলিম ও বজলুর বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্ললব কুমার নাথ জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলো শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলো শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের বধ্যভূমিতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার কামরুজ্জামান বাবু শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের গণহত্যা ও নির্যাতনের গল্প শোনান।
‘বিজয়ের মাসে এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্পশুনি’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করে সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
এ সময় স্বাধীনতা যুদ্ধে সাতক্ষীরা পাওয়ার হাউজ অপারেশন টিমের অন্যতম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান বাবু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বর্তমান সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সেসময় ছিল বাঙালিদের আশ্রয়স্থল। বাঙালিরা এখানে আশ্রয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বর্ডার ক্রস করতো। কিন্তু একদিন খান সেনারা শহরে প্রবেশ করার সময় জানতে পারে এই স্কুলে সাত-আটশ লোক আশ্রয় নিয়েছে। তারপর খান সেনারা এসে তাদের আটক করে। আশপাশের বাড়ি থেকে দা, কোদাল, শাবল সংগ্রহ করে আটককৃতদের দিয়েই স্কুলের পেছনের এই জায়গাটিতে গর্ত খুড়ে নেয়। পরে নিরীহ বাঙালিদের নির্যাতন ও কুপিয়ে হত্যার পর এই গর্তেই মাটা চাপা দেওয়া হয়। দুই-তিন দিন ধরে এই গণকবর থেকে করুণ আত্মচিৎকার ভেসে আসতে থাকে, মৃত্যু বরণ করে সবাই। পরে এই স্কুলেই পাকি সেনারা টর্চার সেল স্থাপন করে।
অথচ এই গণকবর সংরক্ষণে আজও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং দখল হয়ে গেছে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা হাসানুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা হাসানুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লাইলা পারভিন সেজুতি, জোসনা আরা, সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, বাহলুল করিম, নূরুল হুদা, আব্দুর রহিম, মাহিদা মিজান, ফজলুল হক প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার এই কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সিটি কলেজ, ডে-নাইট কলেজ, পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এই বধ্যভূমিটিসহ সব বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি জানান।
পরে তরুণ প্রজন্মসহ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা এই গণকবরে বধ্যভূমির সাইন বোর্ড স্থাপন করেন এবং তরুণ প্রজন্মের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest