সর্বশেষ সংবাদ-
বর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধনপিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মানববন্ধনআমরা গদির দখলের রাজনীতি করি না-দুর্নীতির ধার ধারি না- মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকদেবহাটায় তারুণ্য মেলা ও তারুন্য ভাবনা বিষয়ক কর্মশালাশ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তন ও লোকায়ত অভিযোজন চর্চা বিষয়ক কর্মশালাসাতক্ষীরায় ১০৮টি হারানো মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার পূর্বক মালিকের কাছে হস্তান্তর 

হোটেলে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করল ভাই, ভিডিও করল বোন!

হোটেলে ডেকে নিয়ে ১৬ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করল এক যুবক। বিস্ময়ের বিষয় হলো সেই ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করেছে ধর্ষকেরই এক বোন।

শুধু তাই নয়, হোটেলে ডেকে আনার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ভূমিকা ছিল তার। সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুজফফরনগরে।

নির্যাতিতার দাবি, তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল ধর্ষণকারীর সেই বোন। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি ঘটনাটি কাউকে জানালে পরিণতি খারাপ হবে বলেও যুবকটি তাকে হুঁশিয়ারি দেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই তরুণী।

এবিপি আনন্দের খবর, মেহতাব নামের এক যুবক বিয়ের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই মেয়েটিকে চাপ দিচ্ছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মেহতাব ও তার বোনসহ আরও দুইজন তাকে এলাকার একটি হোটেলে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর মেয়েটিকে ঘুমের ওষুধ মেশানো ঠাণ্ডা পানীয় খেতে দেওয়া হয়। মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর তাকে মেহতাব ধর্ষণ করে, আর বাকিরা ছবি তুলে রাখে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে ধর্ম বদলে মেহতাবের জন্য বিয়েতে রাজি হওয়ার কথা বলেছে। অন্যথায় তার ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় মেয়েটিকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০১৯ এর মার্চে ডাকসু নির্বাচন, প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাবি

আগামী বছরের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দেয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নতুন করে ডাটা হালনাগাদ করতে স্ব স্ব হল প্রাধ্যক্ষদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক কাজও শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে আমরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করছি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য প্রাধ্যক্ষদের বলা হয়েছে। এ বিষয়টি প্রভোস্ট কমিটিকে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেটকেও আজকে বলা হয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে। হল ছাত্র সংসদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ করবো আমরা। এগুলো কতগুলো নিয়মনীতির মাধ্যমে হবে। সেগুলো সুশৃঙ্খলভাবে করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সিন্ডিকেটও সম্মতি দিয়েছে। আমরাও এ বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করছি।’

এদিকে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরপরই হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ডাকসু নির্বাচন। বছর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির নির্বাচন হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই দীর্ঘ ২৭ বছরের বেশি সময়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল ও এরশাদের আমলেও ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। তবে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অচল রাখা হয়েছে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত ডাকসু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মা হলো ধর্ষণের শিকার ঢাকার ১১ বছরের শিশুটি

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীতে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর (১১) ছেলেসন্তান হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটি একটি সন্তান প্রসব করে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩০ বছরের ওই যুবককে গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট ও পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ওই যুবককে শিশুটি মামা বলে ডাকত। শিশুটির পরিবার আর গ্রেপ্তার যুবক পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করত। শিশুটির মায়ের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে যুবক তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। শিশুটির মা চাকরিজীবী। মায়ের অনুপস্থিতিতে তখন ওই যুবক শিশুটির বাসায় আসত।

শিশুটি ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালতকে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আদালতকে শিশুটি বলেছে, তার মা যখন বাসায় থাকতেন না, তখন ওই যুবক তাদের বাসায় আসতেন। একাধিকবার যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু ভয়ে সে তার মাকে কিছুই জানায়নি।

শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অনেক পরে তার মা ঘটনা জানতে পারে। শিশুটির কাছ থেকে ঘটনা জানার পর তিনি বাদী হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এর পরদিন পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

শিশুটির বাবা বিদেশে থাকেন। মায়ের সঙ্গে থাকত শিশুটি। মায়ের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে শিশুটি তাকে মামা বলে ডাকত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিশুটির একজন আত্মীয় বলেন, যুবকের সঙ্গে অন্তত দশ বছর আগে থেকে তাদের পরিচয়। তাদের বাসায় আসত, খাওয়াদাওয়া করত। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি যে এগারো বছরের এক ছোট্ট শিশুর সঙ্গে এমন অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ করবে।

শিশুটির আত্মীয় আরও বলেন, এ বছর শিশুটি পিএসসি পরীক্ষা দেয়। শিশুটি তখন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। তখনো বুঝতে পারেননি শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটির মা এজাহারে বলেছেন, গত বছরের মে প্রথম ওই যুবক তাদের বাসায় এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথম ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে তিনি যখন বাসায় থাকতেন না, তখন একাধিকবার শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে ওই যুবক। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে শিশুটির আলট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। শিশুটির কিছু পরিবর্তন হলেও ঘুণাক্ষরে তাঁর মাথায় আসেনি মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। পেটে টিউমার হয়েছে এমনটা ভেবেই তিনি ডাক্তারের কাছে যান, এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাম করান।

এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়। ওসিসির সমন্বয়ক চিকিৎসক বিলকিস বেগম বলেন, ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা শিশুটি তাঁদের তত্ত্বাবধানে ছিল। আর শিশুটিকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন ওসিসির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার। ১২ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে সে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর সেদিকে শিশুটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেন ঢাকার শিশু আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সালাউদ্দিন বলেন, আজ একটি ছেলেসন্তান জন্ম দিয়েছে শিশুটি। দুজনই ভালো আছে।

আর সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস ফকির বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবকের বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইএস জঙ্গিদের বিয়ে করায় ইরাকে ১৬ তরুণীর মৃত্যুদণ্ড

আইএস জঙ্গিদের স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছিল ১৬ জন তুর্কি তরুণী। এই অপরাধে ১৬ জনকেই ফাঁসির সাজা শোনাল ইরাকের আদালত। ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ। সাধারণত কোনো নারী যদি আইএস জঙ্গিদের বিয়ে করে, তাহলে সেই নারীর আজীবন কারাবাস অথবা ফাঁসির শাস্তি হবে। এমনটাই বলছে ইরাকি আইন।

ওই ১৬জন তরুণীকে কয়েকদিন আগেই গ্রেপ্তার করে ইরাকি সেনা। তখনই জানা যায়, ১৬ জনই আইএস জঙ্গি। তারা আইএস এর চরমপন্থী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায়। পাশাপাশি আইএস জঙ্গিদের বিয়েও করে। ধৃত ১৬ জনের কি সাজা হতে পারে, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল কয়েকদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত রবিবার ইরাকের কেন্দ্রীয় ফৌজদারী আদালত ওই মহিলা জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।

সাজা শুনানির সময় ১৬ জনই স্বীকার করে নিজেদের অপরাধ। জানিয়ে দেয়, কোনোরকম জোরাজুরি নয়। স্বেচ্ছায় আইসিস জঙ্গিদের বিয়ে করেছে তারা। জঙ্গি প্রশিক্ষণও হয়েছে তাদের। সুযোগ পেলে আত্মঘাতী হামলা চালাতেও বদ্ধ পরিকর। কিন্তু কোনও রকম নাশকতার ছক কষার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করে সেনা। এরপরেই ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৭-র ডিসেম্বরে সেনা ও সরকারের তরফে ইরাককে আইএস জঙ্গি মুক্ত ঘোষণা করা হয়। বলে হয়, ইরাকের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে থাকা আইএস জঙ্গিদের পুরোপুরি খতম করা হয়েছে। আইএস এর দখলে আর কোনো এলাকা নেই।

যুদ্ধের পর নানা দেশের নানা বর্ণের কয়েকশো মুসলিম মহিলা ইরাকি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এদের বেশিরভাগেরই বিচার চলছে। অনেককেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম একসঙ্গে এতজনকে ফাঁসির সাজা দিল ইরাকি আদালত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে নিয়ে জাপাকে বাঁচান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি রওশন এরশাদ

সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টিকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন সংসদে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম মন্ত্রিসভা থেকে আমাদের পার্টির সদস্যদের প্রত্যাহার করুন। কিন্তু সেটা হয়নি। এভাবে টানাটানি করে বিরোধী দল হওয়া যায় না। হয় আমাদের বিরোধী দল হতে দেন, নয় তো সবাইকে মন্ত্রী বানাইয়া দেন। আমি লজ্জায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে পারি না। জাতীয় পার্টির হয়ে কোথাও আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। তারা প্রথমেই জিজ্ঞাসা করে আপনারা সরকারেও আছেন আবার বিরোধী দলে। এ কেমন করে সম্ভব? তখন লজ্জা করে। বিশ্বের কোনো দেশে এমন নজির নেই। তাই আপনার কাছে অনুরোধ, আপনি আমাদের মন্ত্রীত্ব নিয়ে জাপাকে বাঁচান। আমরা পরিপূর্ণ বিরোধী দল হিসেবে কাজ করতে চাই।

জাতীয় সংসদের ১৯তম ও শীতকালীন অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হঠাৎ করেই বিরোধী দলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ আকুতি জানান।

এ সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সরকারের প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা তার পাশেই বসে ছিলেন। রওশন এরশাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের (সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের) মন্ত্রিত্ব নিয়ে নেন। সরকারে দু’একজন মন্ত্রী থাকায় আমরা না বিরোধী দল, না সরকারী দল। মন্ত্রিত্ব নিয়ে নিলে জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত।

রওশন এরশাদ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিও তো বলতে পারেন না জাতীয় পার্টি সরকারের শরীক না বিরোধী দল। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে বাইরে অনেক কথা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম আমাদের মন্ত্রীগুলো ‘উইথড্র’ করেন। আমাদেরকে বিরোধী দলের মতো বিরোধীতা করতে দেন। কিন্তু সেটা আর হয় নাই। সেজন্য বিরোধী দল হতে পারি নাই। এভাবে টানাটানি করে বিরোধী দল হওয়া যায় না। হয় বিরোধী দল, নয় সরকারি দল।

এসময় রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, হয় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দেন, নয়তো আমাদের ৪০ জনকে সরকারি দলে নিয়ে নেন। বিরোধী দল দরকার নেই। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমরা তো বলেছিলাম। তখন রওশন এরশাদ বলেন, আপনি নির্দেশ দিলে মানবে না কে? এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাইক ছাড়া হাসতে হাসতে বিরোধী দলীয় নেতার উদ্দেশ্যে কিছু একটা বলেন। জবাবে বিরোধী দলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলেন, আমরা বাদ দিব কেন? আপনিই তো দু’একজনকে মন্ত্রী বানিয়েছেন? কতবার বলেছি এসব নিয়ে নেন। আপনি বাদ দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমি তো বলেছিলাম। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আপনি নির্দেশ দিলে মানবে না কে? আপনি তো দিলেন না? এসময় প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, আপনারাই তো নিলেন.. আছেন…। রওশন এরশাদ বলেন, না দেন নাই, দেন নাই, না, না, না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলতে পারেন বিরোধী দল আছে? আমরা বলতে পারি না। সেজন্য কোথাও ইন্টারভিউ দেই না। আরো এক বছর আছে, দেখেন সেটা।

রওশন এরশাদ আরও বলেন, আমরা বাইরে গেলে নানা কথা হয়। বলে আপনারা কোথায় আছেন সরকারে, না বিরোধী দলে। আমরা বলতে পারি না। কাজেই এটা যদি করতেন তাহলে জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি আজ সন্মানের সাথে থাকতে পারতো। আমরা সন্মানের সাথে নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেল ববির ‘বিজলী’

বিনা কর্তনে সেন্সরবোর্ড পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার ছাড়পত্র পেল ববির ‘বিজলী’ ছবিটি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ববি নিজেই।

তিনি বলেন, আজ ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে সেন্সরবোর্ডে। দেখার পর ছবিটি ‘আনকাট সেন্সর’ পেয়েছে। ববি আরও বলেন, সেন্সর বোর্ডের সবাই ছবিটির বেশ প্রশংসা করেছে এবং বাংলা সিনেমার যে এখন উন্নতি ঘটেছে তা দেখে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।

‘বিজলী’ ছবিটি ববির হোম প্রোডাকশনের। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইফতেখার চৌধুরী। ইতোমধ্যে এই ছবির দুইটি গান ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ‘পার্টি পার্টি” গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এ ছবিতে একজন সুপারওম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ববি। বাংলাদেশসহ মোট চারটি দেশে ক্যামেরাবন্দী হয়েছে ছবিটির দৃশ্যায়ন। হলিউড-বলিউডে বিষয়টা পুরনো হলেও ঢালিউডের প্রেক্ষাপটে সুপারহিরো চরিত্রগুলো অনেকটাই নতুন।

দর্শকরা গ্রহণ করবে কি করবে না, তা নিয়ে ভয় আছে কী না জানতে চাইলে ববি বলেন, দেখুন আর কত পিছিয়ে থাকবো। এখনই সময় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। তবে ভয় নয়, বিশ্বাস আছে দর্শকরা সানন্দেই গ্রহণ করবেন ছবিটি। কারণ সুপারওম্যান চরিত্র হলেও এটি খুব সাবলীলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে সিনেমায়। হলিউডে ‘স্পাইডারম্যান’, ‘সুপারম্যান’, ‘ওয়ান্ডার ওমেন’ আছে। এছাড়া বলিউডে আছে ‘কৃশ’। অন্যদিকে আমাদের দেশে এমন ছবি একটিও নেই। বাংলাদেশের প্রথম সুপার হিরো সিনেমা ‘বিজলি’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুশখালিতে অভিযোগ গ্রহণ ও সাড়া প্রদান কমিটির মাসিক সভা

জি.এম আবুল হোসাইন: সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অভিযোগ গ্রহণ ও সাড়া প্রদান কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও সেভ দ্য চিলড্রেন’র টেকনিক্যাল সহযোগীতায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসম্মুখে অভিযোগ বক্সটি খোলার পর কমিটির সভাপতি মোছা. মনজুরা খানম ইতির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম শ্যামল, ইউপি সচিব মো. মতিউর রহমান, ইউপি সদস্যা মোছা. মনজুয়ারা খাতুন, কমিটির সদস্য মেহেরুন্নেছা রিনা, সাইফুজ্জামান শাহিন, শিশু প্রতিনিধি মোছা. মেহেনাজ পারভীন তনু, একরামুল হোসেন প্রমুখ। শিশুদের অভিযোগগুলি সমাধানের জন্য সভায় আলোচনা করা হয়। সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে ইউপি সচিবকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র জিসিসি প্রকল্পের কমিউনিটি মবিলাইজার মো. আবুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তদন্তে ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত

অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে লুকাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর গত জানুয়ারিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলো আগেই তদন্ত করে ফেলেছিল। কমিটির অনুসন্ধানেও একই জিনিস বেরিয়ে এসেছে। অপর একজন সদস্য বলেন, কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করেছে। তদন্তে কোনো কিছু বাড়িয়ে বলা হয়নি, কমিয়েও না।

গত ৮ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন।

মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তারকে গত বছরের জুলাই মাসে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিষয়টি গোপন রাখার শর্ত দিয়েছিলেন। মরিয়ম স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ পাঠিয়ে মরিয়মকে গ্রেপ্তার করান। তা ছাড়া মগবাজার কাজি অফিসের কাজিকে দিয়েও মামলা করান। প্রায় তিন সপ্তাহ পর জেল থেকে ছাড়া পান মরিয়ম।

মরিয়ম আক্তার বলেন, মিজানুর রহমানের অন্যায়ের কারণেই এত কিছু হয়েছে। মিজান তাঁকে কৌশলে বিয়ে করে নির্যাতন করেন। সবকিছু মেনে নিয়েই তিনি সংসার করতে চেয়েছিলেন। জামিনে মুক্তির পর মরিয়ম আক্তার বসিলায় মিজানুর রহমানের ভাড়া করে দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest