সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’কলারোয়ায় এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধারসাতক্ষীরায় দায়িত্বরত অবস্থায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুজিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনাসাতক্ষীরায় আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা : চলছে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস মৎস্য ঘেরে : আহত ১৪তালায় জুলাই আহত ও নিহতদের স্মরণে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টসাতক্ষীরার বারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণশ্যামনগরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণ

পিতা-মাতার উপর অভিমান করে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালভাবে লেখাপড়া করতে বলায় বাবা মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ১০ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। স্কুল ছাত্রের নাম অনুপম পাল সাম্য(১৫)। সে কেশবপুর সাগরদাঁড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের বরণ কুমার পালের ছেলে।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ছেলেটির বাবা বরণ কুমার পাল কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী কলেজের শিক্ষক ও মা শিখা রানী চৌধুরী রাঢ়ি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেই সুবাদে ছেলের লেখাপড়ার প্রতি তাদেরও আগ্রহ ছিল একটু বেশি। শুক্রবার ১০ টার দিকে ছেলেকে ভালভাবে লেখাপড়া করতে বলে। এটি নিয়ে ছেলের সাথে বাবা-মা কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে বাথরুমের লোহার দন্ডে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘক্ষণ বাথরুম হতে না বেরোনোয় বাবা মা ডাকা ডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য নবায়ন/সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন ও ১৪টি ইউনিয়নে সদস্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে বর্ধিত সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা পুরাতন আইনজীবী ভবনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ও সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান অছলে, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ, অথ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, এপিপি এড. মুস্তাফিজুর রহমান শাহ্ নওয়াজ, মো. রমজান আলী বিশ^াস, মো. বজলুর রহমান, মিজানুর রহমান, সামসুর রহমান। এসময় সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সভাপতিগণ বক্তব্য রাখেন। বর্ধিত সভায় খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণ, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সফলভাবে পালনের প্রস্তুতি, সাংগঠনিক বিষয় ও প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধার জমি জবর দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় শহরে এক বৃদ্ধার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমির গাছকেটে ও জবরদখল করে ঘিরে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করলে আদালত উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রভাবশালিরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জবর দখল অব্যাহত রেখেছে।
ইটাগাছা গ্রামের মৃত তমিজদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, পৈত্রিক সুত্রে পলাশপোল মৌজায় জেএল নং ৯৪ দাগ নং ১৩০৭৯, ১৩৮০. ১৩০৮৯, ১৩০৮৩, ১৩৮৪,১৩০৮২ দাগে তার জমি রয়েছে। তার ১৩০৮৪ দাগে কবরস্থান ও যাতাওয়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে তারা পাঁচিল দিচ্ছে। তার জমির সমস্ত গাছ গাছালি কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সাতক্ষীরা সদর থানাকে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে বলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও পরবর্তীতে তারা আবার কাজ শুরু করেছে।
রাবেয়া খাতুন আরও বলেন, ইটাগাছা গ্রামের মৃত সোহবান সরদারে পুত্র রফিউদ্দিন সরদার, কবির উদ্দিন সরদার, আলাউদ্দিন সরদার, মজনুউদ্দিন সরদার হাসিনা খাতুন ও মাফুরা খাতুন আজি সরদারে ছেলে জাকির জোর পূর্বক তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি জবরদখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইতোপূর্বে এ নিয়ে তারা তাকে গাছের সাথে বেধেঁ নির্যাতন করে। তারা শুধু জায়গা জমি দখল করার পায়তার করছে না তারা তার তিন ছেলে ও চার মেয়েকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। প্রভাবশালিরা এই বৃদ্ধ বয়সে তার ও তার ছেলে মেয়েদের নামে থানায় ও আদালতে ১০/১৫ টি মামলা দায়ের করেছে। এমনকি তারা জাল দলিল সৃষ্টি করে তার জমি দখল করার ষড়যন্ত্র করচে বলে রাবেয়া খাতুন অভিযোগ করেছেন।
উক্ত জালিয়াতি চক্রের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইতিহাস গড়েছেন কৃষ্ণা কুমারী

সবকিছু ঠিক থাকলে ৩৮ বছর বয়সী কৃষ্ণা কুমারী হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম হিন্দু নারী সাংসদ। উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচে পাকিস্তান পিপলস পার্টির মনোনয়ন পেয়ে কৃষ্ণা নিজেই অভিভূত। জানিয়েছেন, বিষয়টি তাতে ভীষণ আনন্দিত করেছে।

করাচিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে সম্প্রতি হাজির হন কৃষ্ণা। অন্যান্য সিনেটর ও মন্ত্রীদের মাঝে তাকে বেশ অচেনা লাগছিল। কৃষ্ণার বক্তব্য, ‘আমি কখনই কল্পনা করিনি যে পাকিস্তানের উচ্চকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো জায়গায় আমি আসতে পারবো।’
২০০৫ সাল থেকে সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। কৃষ্ণার জন্ম সীমান্তবর্তী সিন্ধুর নগরপারকরে। তার ভাইও পিপিপি-র সঙ্গে যুক্ত। ২০১৩ সালে সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন কৃষ্ণা।পাকিস্তানের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু হিসেবে কৃষ্ণার এ আগমন অস্বাভাবিক কিছু নয়। পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন রানা ভগবান দাস। আরও অনেকে এসেছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা কৃষ্ণাই প্রথমবারের মতো সিনেটে নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন। আর এটাই চমকে দিয়েছে সবাইকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চর্চিত বিষয়ের একটি হয়ে উঠেছে বিষয়টি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতারাও শুভকামনা জানিয়েছেন কৃষ্ণাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত অজ্ঞাত পরিচয় ভ্যান চালকের পরিচয় অবশেষে জানা সম্ভব হয়েছে। মৃতের নাম নামঃ মোহাম্মদ আলি সরদার (৬০) তিনি সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের কুচপুকুর গ্রামের মৃত মালেক সরদারের পুত্র।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা শহরতলির বিনেরপোতায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গরিব মমতার ভাইয়েরা সবাই কোটিপতি!

ভারতের গরিব মুখ্যমন্ত্রীদের সারিতে দুই নম্বরে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ধনী সংসদ সদস্যদের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন রাজ্যের দিদি খ্যাত মমতার দলের ‘দাদারা’।

সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ৫৭ সংসদ সদস্যের মধ্যে কোটিপতি ৩৫ জন। এর মধ্যে ২৯ জনই তৃণমূলের সংসদ সদস্য। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজারের।

বেসরকারি নজরদার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) সম্প্র্রতি দেশের সব মুখ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সম্পত্তি ও তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নিয়ে সমীক্ষা চালায়।

দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার মানিক সরকারের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের দ্বিতীয় গরিব মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা গরিব হলেও, লোকসভায় তার দলের অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্যই কোটিপতি। তালিকার সবচেয়ে উপরে অভিনেতা দেব, যার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম সম্পত্তি ঝাড়গ্রামের উমা সোরনের, ৪.৯৯ লাখ টাকা।

রাজ্যসভাতেও চিত্রটি কম-বেশি এক। তালিকায় এক নম্বরে তৃণমূল সংসদ সদস্য কে ডি সিংহ। তার ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ৮৩ কোটি টাকা। সবচেয়ে নিচে ৩.১৯ লাখ টাকার সম্পত্তির মালিক তৃণমূলের নাদিমুল হক।

গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগের প্রশ্নে অবশ্য এক নম্বরে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। ১৬টি মামলা রয়েছে তার নামে। এর পরে তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি, ৯টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। এ ছাড়া ৪টি মামলা রয়েছে তাপস পালের নামে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জেলে যাওয়ায় রাজনীতিতে নতুন হিসাব

অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচনের বছরে খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় দেশের রাজনীতিতে নতুন হিসাব যোগ হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে ওই হিসাব হবে একরকম। আবার শেষ পর্যন্ত জামিনে তাঁর মুক্তি না ঘটলে পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুক্ত খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে দরকষাকষি এবং নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়াসহ সব ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিএনপির জন্য খুব সহজ হবে। একইভাবে তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রতিটি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ দলটির জন্য অত্যন্ত কঠিন।

আইনি মারপ্যাঁচে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রাখা গেলে নির্বাচনী বৈতরণী সরকার অতি সহজে পার হতে পারবে—এমন ধারণা জন্মাচ্ছে জনমনে। অনেকের মতে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নির্বাচনী মাঠ থাকবে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। আর ওই ঘটনার প্রভাব অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও পড়বে। তারা তখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে না থেকে সরকারের দিকেই ঝুঁকবে, অর্থাৎ নির্বাচনে যাবে। কারণ খালেদা জিয়া নির্বাচনের মাঠে না থাকলে ওই সব দলের মধ্যে এক ধরনের আস্থার সংকট দেখা দেবে। তাদের কাছে তখন চাপ ও প্রলোভন আসবে। এমন পরিস্থিতিতে ৫ জানুয়ারির তুলনায় বেশিসংখ্যক দলের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এর ফলে বিএনপির নির্বাচন বর্জনও তখন কার্যকর ফল বয়ে আনবে না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মনে করেন, খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকা-না থাকার বিষয়ে কিছু হিসাব-নিকাশ থাকলেও বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যেতে পারে। কারণ না গেলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলে রাজনীতির মাঠের খেলা একতরফা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় প্রতিবাদী। সব সময় তারা নরম বা শান্ত থাকে না। মানুষের বিদ্রোহ অন্য জিনিস। ভোটের মধ্যেও বিদ্রোহ থাকতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি।’

শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতে, খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় কিছু হিসাব-নিকাশ সামনে এলেও চূড়ান্তভাবে কী ঘটবে তা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে এটুকু বলা যায়, তাঁকে আটকে রাখা হলে নির্বাচনপূর্ব রাজনীতিতে এ ঘটনা ভয়ংকর প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে সরকার ভয় পাচ্ছে। তাই বিএনপি চেয়ারপারসনকে আটকে রেখে তারা নির্বাচন করে ফেলতে চায়। কিন্তু এতে খুব ভালো ফল সরকার পাবে বলে মনে হয় না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জোর করে আটকে রাখা হলে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ কম। তখন পরিস্থিতি অন্যদিকে টার্ন নেবে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তিনি জামিনে বেরিয়ে আসবেন। ফলে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে যেসব সমীকরণ মেলানো হচ্ছে তা সফল হওয়ার নয়। তাঁর মতে, বড়জোর আর এক সপ্তাহ জামিন নিয়ে হয়রানি করা হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হলে নির্বাচনে বিএনপির আসন বেড়ে যাবে। এটি দেশের হাওয়া দেখে সরকার বুঝতে পেরেছে। ফলে সরকার তাঁকে আর আটকে রাখবে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা দুরূহ হবে। পাশাপাশি এ ঘটনা সরকারের জন্যও উভয় সংকটে পরিণত হবে। তাঁর মতে, জোর করে আটকে রাখতে চাইলে সে ক্ষেত্রে সরকারকে অযৌক্তিক পন্থা অবলম্বন করতে হবে এবং চক্ষুলজ্জা বিসর্জন দিতে হবে। আবার এর প্রতিক্রিয়া জনমনে ব্যাপকভাবে পড়বে। জনগণ আরো বেশি ক্ষুব্ধ হবে। সে ধরনের ঝুঁকি সরকার নেবে বলে মনে হয় না। খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার মতো নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্বই যদি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার সরকারের জন্য কঠিন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটি সরকার পারবে। ওই পরিস্থিতিতে একটি রাবার স্ট্যাম্প পদ্ধতির নির্বাচন করে তারা আবার ক্ষামতায় আসতে পারবে। কিন্তু এর পরিণতি শুভ হবে না।’

বিকল্প ধারার সভাপতি ও নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘কোনো কারণে বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সরকার একতরফা সবকিছু করবে এটিও যেমন বাঞ্ছনীয় নয়, তেমনি বিএনপি নির্বাচনে না গেলে মাঠ ছেড়ে দেব এটিও করা ঠিক নয়। বিএনপিকে অনুসরণ করব কি না জানি না। তবে মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিএনপি না গেলে সরকার ইচ্ছামতো সিল মারবে। ফাঁকা মাঠে তাদের গোল দেওয়ার সেই সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হবে।’ এভাবেই নির্বাচনে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন বি চৌধুরী।

৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিলেও বিএনপিসহ ২৮টি দল তা বর্জন করেছিল।

দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বহুলাংশে খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকা-না থাকার ওপর নির্ভরশীল বলে জানা গেছে। যদিও এ প্রশ্নে বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তবে ভেতরে ভেতরে সম্ভাব্য ওই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির বড় একটি অংশ ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি’কে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া উচিত বলে মনে করে। তাদের মতে, জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপির পক্ষেই ভোট দেবে। গণজোয়ার সরকার ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। দলের অপর একটি অংশ খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাওয়ার বিরোধী। তাদের মতে, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে সরকার সক্ষম হলে বুঝতে হবে প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিমত সরকারের পক্ষে। তাই ওই অবস্থায় নির্বাচনে গিয়ে কিছু আসন নিয়ে বিরোধী দলে বসা ছাড়া বিএনপি আর কিছুই অর্জন করতে পারবে না। ফলে খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে তারা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে।

অনেকের আশঙ্কা, পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য মামলা-হামলাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর চাপও সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি প্রলোভন আসাও অস্বাভাবিক নয়। ওই সব চাপ মোকাবেলা করে নেতাদের টিকে থাকার পাশাপাশি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা তাঁদের জন্য কঠিন হবে। আন্তর্জাতিক মহলও ওই সময় তৎপর হবে। তবে তা সরকারের অনুকূলে না প্রতিকূলে তা এখনো নিশ্চিত নয়। অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক মহলের অবস্থান অনুকূলে বুঝলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সর্বাত্মক আন্দোলনে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি ভেঙে যাবে বলে নানা মহল থেকে প্রচার আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না এমন অভিপ্রায় থেকে সাজা দিয়ে কারাগারে নেওয়া হবে—এটি যে সরকারের হিসাব-নিকাশ তা কেবল আমরা নই, দেশের জনগণও বোঝে। তবে তাদের ওই অভিপ্রায় বা ইচ্ছা পূরণ হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির হিসাব বিএনপিরও আছে। তাদের হিসাবে বা ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। বিএনপি তার হিসাবেই এগোবে; খালেদা জিয়ার পরামর্শেই সবকিছু হবে। চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা সহজ নয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকারি দলের নেতারা ঢেঁকুর তুলছেন। মনে হয় যেন তাঁরা জয় করে ফেলেছেন। এখন নির্বিঘ্নে নির্বাচন করে ফেলবেন। কিন্তু বিষয়টি অত সহজ নয়।’ তাঁর মতে, সরকারি দলের হিসাব জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয়ে গেছে। বিএনপি জনগণের পথেই থাকবে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবিশ্বাস্য ভারত, অবিশ্বাস্য কোহলি!

যত দিন যাচ্ছে, কোহলি যে একদিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড সব ভেঙে দেবেন এ নিয়ে সন্দেহ করার মানুষদের সংখ্যা কমছে। অন্তত সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি রেকর্ডটা ভাঙা তো এখন খুবই সম্ভব মনে হচ্ছে। সেঞ্চুরি করাটা কোহলি এত নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছেন, খবর হিসেবে এ এখন আর কৌতূহল জাগানিয়া নয়। ওহ, আরেকটি সেঞ্চুরি, আচ্ছা।

ওয়ানডেতে ৩৫ তম আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৫৬ তম সেঞ্চুরি আজ করে ফেললেন বিরাট কোহলি। এই সিরিজেই তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২৯ বছর বয়স। কোহলির ফর্ম, ফিটনেস আর ক্যারিয়ারের যে ধারাবাহিকতা; শচীন টেন্ডুলকারের ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড টিকে থাকবে কি না, এই সংশয় এখন পাঁড় টেন্ডুলকার ভক্তেরাও প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
কোহলির সেঞ্চুরির কাব্যগাথা লিখতে গিয়ে ম্যাচের ফলটাই বলা হয়নি। না বললেও চলত আসলে। কোহলির সেঞ্চুরির চেয়ে এই সিরিজে ভারতের জয় আরও নিয়মিত ঘটনা। ২৫ বছর যে মাটিতে কখনো সিরিজ জেতেনি ভারত, না ওয়ানডে না টেস্ট; সেখানে টেস্টে না-পারার কষ্টটা রঙিন পোশাকে কী উজ্জ্বলভাবেই না মিটিয়ে দিল কোহলির দল। জিতল ৫-১ ব্যবধানে।
মাঝখানে একটা ম্যাচ বৃষ্টির কারণে আয়তনে কমে না এলে এই সিরিজের ফল যে ৬-০ হতো না, এমনটা জোর দিয়ে কেউ বলতে পারবে না। বিশেষ করে ৫ ম্যাচে ভারতের দাপুটে জয়ের ধরন দেখে। যার শেষটা আজ তারা করল ৮ উইকেট আর ১০২ বল হাতে রেখে। নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এমন অসহায়, এমন বিপন্নবোধ খুব বেশিবার করেনি। ৫-১-এ সিরিজ হারও তাদের জন্য বিরলতম ঘটনা।
কোহলি-ধাওয়ানের দুর্দান্ত ফর্মের কারণে এই সিরিজে ভারতের বোলাররা আড়ালে চলে যাচ্ছে। ভারতে বোলার হিসেবে জন্ম নিলে যা মেনে নিতে হয় সবাইকে। তবুও চাহাল-যাদবের ঘূর্ণির কারণে আলোচনা হচ্ছিল। আজও ভারতের জয়ের ভিত্তি বোলারদের গড়ে দেওয়া। যদিও তাতে নায়ক শার্দুল ঠাকুর। ভারতের ওয়ানডে দলে এখন অশ্বিন-জাদেজাদেরই জায়গা পাওয়া কঠিন। শার্দুল তা জানেন বলেই ৫ মাস পর দলে ফিরে দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন।
১৩৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা যে প্রথম ৫ উইকেট হারিয়েছিল, এর তিনটিই শার্দুলের। তাঁর এই আঘাতে শেষ পর্যন্ত ২০৪ রানে অলআউট স্বাগতিকেরা। ৫২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে এই সফরে ওয়ানডেতে না হলেও টেস্টে ভারতীয় পেসারদের অবদানের কথাও আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ। ওয়ানডে সিরিজে যদিও প্রথমবার কোনো ভারতীয় ম্যাচে তিন বা এর বেশি উইকেট নিলেন, স্পিনাররা যেখানে নিয়েছেন ছয়বার।
লক্ষ্যটা ২০৫ দেখে কোহলি-ভক্তদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হয়তো ছিল, যাহ আরেকটা সেঞ্চুরির সুযোগ নষ্ট হয়ে গেল। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা আজ ১৫ রান করে ফেরাতে ভারতের কেউ কেউ খুশি হয়েছিলেন কি না, তাও সরাসরি নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না। এরপরই কোহলি নামলেন। আর ১৯টি চার ও ২ ছক্কায় করলেন ১২৯! দুই শর মতো লক্ষ্য যে ম্যাচে, তাতেও কোহলির সেঞ্চুরি! কোহলির সেঞ্চুরি থামানোর একটা উপায় হতে পারে ভারতকে ৯৯ কিংবা এরও কম লক্ষ্য দেওয়া!
কোহলিও আজ তিনবার পুরস্কৃত হলেন। ম্যাচ সেরা, সিরিজ সেরা এবং দলীয় ট্রফি! একটাও তার হাতে বেমানান লাগল না। ভারতকেও যোগ্যতম দল হিসেবে উদ্যাপন করতে দেখা গেল। এই ভারত অবিশ্বাস্য, তার চেয়েও অবিশ্বাস্য এই কোহলি!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest