সর্বশেষ সংবাদ-
বর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধনপিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মানববন্ধনআমরা গদির দখলের রাজনীতি করি না-দুর্নীতির ধার ধারি না- মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকদেবহাটায় তারুণ্য মেলা ও তারুন্য ভাবনা বিষয়ক কর্মশালাশ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তন ও লোকায়ত অভিযোজন চর্চা বিষয়ক কর্মশালাসাতক্ষীরায় ১০৮টি হারানো মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার পূর্বক মালিকের কাছে হস্তান্তর 

ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দক্ষিণ সুলতানপুরে ওয়াজ মাহফিল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দক্ষিণ সুলতানপুর ঈদগাহ ময়দানে ৩৫তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল রবিবার বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ সুলতানপুর ঈদগাহ ও মাহফিল কমিটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ সুলতানপুর বায়তুল্লাহ জামে মসজিদের সভাপতি ডা: আলহাজ্ব মোঃ মতিয়ার রহমান। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব কাজী ফিরোজ হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সাবুদ আলী সরদার, দক্ষিণ সুলতানপুর বায়তুল্লাহ জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন, চ্যানেল ৯ এর ইসলামী আলোচক মাও. আশরাফুল ইসলাম বিপ্লবী, বিশেষ বক্তা ছিলেন মুহাদ্দিস মাও: সাইফুল্লাহ আনোয়ারসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ। মাহফিল পরিচালনা করেন দক্ষিণ সুলতানপুর বায়তুল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম কাজী সাইদুর রহমান। মাহফিলে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন সুহাইল একাডেমির শিল্পীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারে পিঠা উৎসব

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের উদ্দোগে পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পুরাতন সাতক্ষীরা শিশু পরিবারের ভবনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবে উপস্থিত থেকে শিশু পরিবারে বালকদের মাঝে পিঠা তুলে দেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবার সহকারী পরচিালক মো: হারন-অর-রশীদ, জেলা সমাজ সেবা প্রবেশ অফিসার মিজানুর রহমান, সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্তাবধায়ক মানব রজ্ঞন বাছাড়, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো: রোকনুজ্জামান, একরামুল কবির খান। সহ শিশু পরিবারের সকল কর্মচারি বৃন্দ। অনুষ্ঠানে ৫৮ জন বালক শিশুদেরকে ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, কুলে পিঠা সহ বিভিন্ন পিঠা খাওয়ানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি(কালিগঞ্জ): কালিগঞ্জে পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে দুইশত গ্রাম গাঁজা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জহুরুল গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মনি (৪০), ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের শুইলপুর গ্রামের মৃত জোবেদ আলী গাজীর ছেলে সফিকুল ইসলাম নুনু (৩০)। থানা সুত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ রবিবার রাত ১১ টার দিকে মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অভিযান চালায় এসময় একশত গ্রাম গাঁজা সহ জাহাঙ্গীরকে আটক করে। পুলিশের অপর এক অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আবুজাফর ও মুরাদ শেখের নেতৃত্বে রবিবার রাত ১০ টার দিকে পুলিশ শফিকুলের বসত বাড়ীর সামনে অভিযান চালায়। এসময় রোডের উপর থেকে মাদক বিক্রয়রত অবস্থায় একশত গ্রাম গাঁজা সহ শফিকুলকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালিগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুরাদ শেখ জানান জাহাঙ্গীরের নামে থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে( মামলা নং-১১)। এছাড়া সফিকুলের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ডা: মনোজিৎ এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আরাফাত আলী, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডলের অবহেলার কারনে মারা যাচ্ছে একাধিক গবাদী পশু ও পাখি এমনি অভিযোগ ভুক্তভোক্তগীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার বাজার গ্রামের মৃত শেখ ময়নুদ্দিন এর ছেলে পত্রিকার হর্কার শেখ নুর আজম পারিবারিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য বাড়িতে ১৫ টি ছাগল পালন করেন। কিন্তু গত মাস থেকে হঠাৎ বিভিন্ন কারনে তার ছাগল গুলো বিভিন্ন রোগে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনি স্থানীয় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের প্রধান ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডলের সরণাপর্ণ হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই তার ৯ টি ছাগল মারা যায়। ভুক্তভোগী অসহায় আজম তার অসুস্থ্য ছাগলের চিকিসৎসা না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ছাগলের চিকিৎসা করি না তুমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে আরম্ভ করে জেলা প্রশাসককে জানাও তাতে আমার কোন যায় আসে না। এছাড়াও কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রামের মধু মিস্ত্রির ছেলে আলী হোসেন ও অভিযোগ করে বলেন পশু হাসপাতালে গেলে তারা কোন পরামর্শ দিতে চায় না। গত মাসে তার ছাগলের খামারে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডলের সরনাপর্ণ হলে তিনি কোন রকম সহযোগীতা না করায় তার খামার থেকে ৭ টি ছাগল মারা যায়। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন অনেক কষ্ট করে আমার ছাগলের খামার টি দাড় করেছি কিন্তু ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডল আমার অসুস্থ্য ছাগলের কোন চিকিৎসা না করায় আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়টি আমার স্বরণে নেই। আমি ব্যাপারে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডলের অপসরণের জোর দাবি করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কথিত গুমের শিকার কালিগঞ্জের মন্টুলাল পাইকগাছায় উদ্ধার !

আরাফাত আলী, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জের কথিত গুমের শিকার যুবক মন্টুলাল কর্মকারকে (৩২) পাইকগাছা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৮ টার দিকে পাইকগাছা থানার সামনে থেকে পাইকগাছা থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করার পর কালিগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের লক্ষ্মীপদ কর্মকারের ছেলে মন্টুলাল কর্মকারের সাথে পাইকগাছা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের বিষ্ণুপদ কর্মকারের মেয়ে সীমা রানী কর্মকারের ২০১৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রায় দু’বছর যাবত শ^শুর লক্ষ্মীপদ কর্মকার ও শাশুড়ি খুকুমনি কর্মকারের সাথে পারিবারিক বিরোধের সূত্র ধরে সীমা রানী কর্মকার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের মধ্যস্থতায় মামলা প্রত্যাহার করে তারা। বছরখানেক আগে বিরোধ মিমাংসা হওয়ার পর সীমা রানী স্বামীর বাড়ি আসতে চাইলেও তার শ^শুরবাড়ির লোকজনের অনিচ্ছার কারণে তিনি পিতার বাড়িতে থাকতে বাধ্য হন। এক পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারী কাউকে না জনিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় মন্টুলাল কর্মকার। এঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারী কালিগঞ্জ থানায় তার বড় ভাই রামপ্রসাদ কর্মকার একটি মিসিং জিডি করেন (জিডি নং-৩৮৩)।
এদিকে মন্টু লালের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ঘটনায় বড় ভাই রামপ্রসাদ কর্মকার, ভাগ্নে তাপস মজুমদারসহ আরও কয়েকজনের উপস্থিতিতে শ^শুর বিষ্ণুপদ কর্মকার ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাঁসাতে তাদের বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন পিতা লক্ষ্মীপদ কর্মকার। একদিন পর (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮ টার দিকে পাইকগাছা থানার সামনে ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ মন্টু লালকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ওই রাতেই পাইকগাছা থানা থেকে মন্টুলালকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন পাইকগাছা থেকে মন্টু লালকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে পিতা লক্ষ্মীপদ কর্মকার ও বড় ভাই রামপ্রসাদ কর্মকারের সাথে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এজন্য মন্টু নিজেই বাড়ি থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। মোবাইল বন্ধ রাখায় তার সাথে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বলে মন্টু লাল পুলিশকে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার রাতে মন্টু লালকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার বড় ভাই রামপ্রসাদ কর্মকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাতের আঁধারে সৌদি সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বরখাস্ত

মধ্যরাতেই রাজকীয় ডিক্রি জারি করে সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সউদ।

ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের লড়াইয়ের তিনবছর পূর্তির আগে আগে এই রদবদলের ঘটনা ঘটলো। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌদি আরবের সেনাপ্রধানসহ রয়েছেন বিমান বাহিনী, পদাতিক বাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানরাও।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার গভীর রাতে কয়েকটি আদেশ জারির মাধ্যমে সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন বাদশাহ সালমান।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি নিউজ এজেন্সিতে এসব খবর জানানো হলেও সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজকীয় এসব সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছেন যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান। দেশটিতে বেশ কয়েকজন নতুন উপ মন্ত্রীও নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নারী মন্ত্রীও রয়েছেন।
গত বছর যুবরাজ সালমানের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানেই বেশ কয়েকজন পরিচিত সৌদি নাগরিক, প্রিন্স, মন্ত্রী আর কোটিপতিদের রিয়াদের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বন্দী করা হয়েছিল।
বিবিসি বলছে, বাদশাহের ক্ষমতার প্রতীক হিসাবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় এটি আরেক দফা সংস্কার চালানো হল, যদিও এসব পদক্ষেপের পেছনে তার পুত্র এবং উত্তরাধিকারী যুবরাজ সালমান রয়েছেন। ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানও যুবরাজের সিদ্ধান্তে হয়েছিল, যা দৃশ্যত ব্যর্থ হয়েছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তরাঞ্চলে শতাধিক নদী পানিশূন্য

খরস্রোতা তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের শতাধিক  নদ-নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। পানির অভাবে বিলীনের পথে অনেক নদ-নদীর অস্তিত্ব। ফলে এসব নদীতে নেই মাছ, চলছে না নৌকা। এ অবস্থায় নদী অববাহিকার লাখ লাখ মানুষ নিজেদের পেশা হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসেছে। পাশাপাশি পানি সংকটের কারণে আবাদি জমির পরিমাণ কমে গিয়ে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। অথচ এসব নদীতে এক সময় পানি প্রবাহের গতি এতোটাই প্রবল ছিল যে, নদী পার্শ্ববর্তী হাজার হাজার হেক্টর জমি বছরের ৬ মাসই পানির নিচে তলিয়ে থাকত। নদীতে নৌ-চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মাঝি-মাল্লাদের কণ্ঠে ভেসে উঠতো ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি ও ভাটিয়ালি গানের সুর। নদীর ওপর নির্ভরশীল মত্স্যজীবীরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতো। অথচ বর্তমানে এ অঞ্চলের নদ-নদীগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় পাল্টে গেছে সার্বিক পরিস্থিতি।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ঘাঘট, ধরলা, করতোয়া, দুধকুমার, স্বতী ঘাঘট, নীলকুমার, বাঙালি, বরাই, মানাস, কুমলাই, ধুম, বুড়িঘোড়া, সোনাভরা, হলহলিয়া, লহিতা, ঘরঘরিয়া, নলেয়া, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, কাঁটাখালি, সারমারা, রায়ঢাক, যমুনেশ্বরী, চিতনী, মরা করতোয়া, ইছামতি, আলাই, কুমারীসহ শতাধিক নদ-নদী আজ মৃতপ্রায়। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব নদ-নদী। শুকনা মৌসুমে নদ-নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় চারিদিকে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। ফলে কমে গেছে আবাদি জমির পরিমাণ। রংপুর মহানগরী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন তিস্তা বেষ্টিত। এ অঞ্চলের কৃষক, জেলে, মাঝি-মাল্লারা বেকার হয়ে পড়েছে। ডালিয়া থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল বিশাল বালুচর।   পানির অভাবে তিস্তা প্রকল্পে আধুনিক সেচ সুবিধা থাকলেও পানি প্রবাহ না থাকায় তিস্তা অববাহিকার লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। নদীর ওপর নির্ভরশীল এসব মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম হাহাকার। এক সময় তিস্তার শাখা ঘাঘট ও মানাস নদের পানি প্রবাহে এ অঞ্চলে সবুজের সমারহ বিরাজমান ছিল। এসব বহমান নদীর দু’পারে ছিল অসংখ্য খেয়াঘাট। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হতো খেয়াঘাট দিয়ে। সেই সব খেয়াঘাটের অনেক স্থানে এখন ব্রিজ নির্মাণ করে রাস্তাঘাট করা হয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর, সদর থেকে পীরগাছা উপজেলার প্রায় ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল মানাস নদ। বর্তমানে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। একই অবস্থা ঘাঘট নদের। ঘাঘট নদকে কেন্দ্র করে এক সময়ের গড়ে ওঠা বন্দর বিলীন হয়ে গেছে। ১৮২০ সালের পর থেকে এ অঞ্চলের প্রমত্তা করতোয়া নদ ক্ষীণ হয়ে আজ প্রায় মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পীরগাছা দিয়ে এক সময়কার প্রবাহিত আড়াইকুমারীর কোনো অস্তিত্বই আজ আর নেই। শুধু রংপুর বিভাগে প্রায় ৩৪টি নদ শুকিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে পড়েছে কৃষি ক্ষেত্র। প্রতিটি জেলায় দেখা দিয়েছে মত্স্য ঘাটতি। নদ-নদীগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় উত্তরাঞ্চলজুড়ে মরুকরণ সৃষ্টির লক্ষণ দেখা দেওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিদদের মতে, বাঁধ নির্মাণ করে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের  নদ-উপনদ, শাখা-প্রশাখা, ছড়ানদ এবং নদীখাতগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে পর্যাপ্ত পানির প্রবাহ বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি নদীগুলোর অবৈধ বাঁধ অপসারণ, তলদেশ খনন, ড্রেজিং মাধ্যমে উত্স মুখ খোলাশা করে কৃত্রিম ক্যানেলের মাধ্যমে ছোট নদীগুলোর সঙ্গে বড় নদীগুলোর সংযোগ করা প্রয়োজন। দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে না পারলে এক সময় উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা।

সূত্র: ইত্ত‌েফাক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই হাজার বছরের পুরনো সমাধির সন্ধান

মিসরের কায়রোতে প্রাচীন এক সমাধির সন্ধান পাওয়া গেছে। কায়রোর কাছাকাছি সিনইয়া প্রদেশে গত শনিবার ওই সমাধির সন্ধান পাওয়া গেছে।

পুরাতত্ত্ববিদদের মতে, এটি প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো।

সুবিশাল এ সমাধিস্থলটি টুনা-আল-গাবাল অঞ্চল থেকে আড়াই মাইল উত্তরে অবস্থিত। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ফ্যারাও পরবর্তী যুগ থেকে টলেমি যুগের মধ্যবর্তী সময়ের সমাধি।

মিসরের পুরাতত্ত্বমন্ত্রী খালেদ-আর-ইনানি বলেছেন, ২০০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন সমাধি থেকে একটি স্বর্ণের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। এছাড়া পাথরের গায়ে খোদাই করা ৪০টি অলঙ্কৃত কফিন। তৎকালীন সমাজে বিভিন্ন পেশাজীবীর ১০০০টি মূর্তি। যাদের মধ্যে প্রাচীন ধর্মযাজক, মৃৎশিল্পী, জহরত এবং হস্তশিল্পীও রয়েছেন।

এদিকে পুরাতত্ত্ববিদদের প্রধান মোস্তাফা ওয়াজিরি, বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, এখন পর্যন্ত আমরা সর্বমোট আটটি সমাধির সন্ধান পেয়েছি। অতিদ্রুত আরও বেশ কিছু সমাধি আবিষ্কার করতে পারব বলে আশা রাখি।

সমাধিস্থল থেকে ভাস্কর্যখচিত চারটি অমূল্য পানি খাওয়ার জগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এগুলো সরকারি নির্দেশে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রাচীন মিসরের চাঁদ ও সূর্যের দেবতা ‘থোথ’র মমিও পাওয়া গেছে। মমিটির শরীর ব্রোঞ্জের তৈরি সোনালি পোশাকে মোড়া ছিল।

মাথা, হাত ও গলা লাল ও নীল দামি পুঁতির মালা দিয়ে সুসজ্জিত ছিল। প্রত্মতাত্ত্বিকবিদদের দলটিতে মিসর ছাড়া জার্মানির মিউনিখ ও হিলাডসেইস শহরের গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিসরের কায়রো শহরের বাইরে ৪৪০০ বছরের পুরনো সমাধির সন্ধান পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest