সর্বশেষ সংবাদ-
সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দা

একঝাঁক উপহার নিয়ে কাল খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক: একঝাঁক উন্নয়ন প্রকল্প উপহার হিসেবে নিয়ে খুলনা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলনার খালিশপুরে শনিবার বেলা ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উন্নয়ন কর্মসূচি উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। শনিবার বিকেল ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন
গল্লামারী-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেষ্ট সড়ক, রূপসা-শ্রীফলতলা-তেরখাদা সড়ক, কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক-কাম-প্রশাসনিক ভবন, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন, চালনা মোবারক মেমোরিয়াল কলেজের একাডেমিক ভবন, খুলনা আইডিয়াল কলেজের একাডেমিক ভবন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাডেমিক ভবন, খুলনা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন, মহেশ্বরপাশা সরকারি শিশু পরিবার হোস্টেল ভবন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবন, মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়াম ভবন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ভবন, তেরখাদা থানা ভবন, রূপসা ফায়ার ষ্টেশন ভবন, রূপসা সেনহাটি নদী ফায়ার ষ্টেশন, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কৃষি বিভাগের অফিস-কাম-ট্রেনিং এন্ড প্রসেসিং সেন্টার ভবন, রূপসা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, দিঘলিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ডুমুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, পাইকগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, পাইকাগাছা আরএন্ডএইচ-বাঁকা জিসি সড়কের কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রিজ, খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের নতুন ভবন, হাতিয়ার ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবন, শিমলার আইট খেজুরডাঙ্গা আরএনজিপিএস কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবন, দেয়াড়া পশ্চিমপাড়া আরএন জিপিএস কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবন, তেরখাদা আব্দুলের মোড় আরএন্ডএইচ- মাঝিরগাথি জিসি ভায়া কোলা বাজার সড়ক, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সম্প্রসারণ, পাইকগাছা হাবিবনগর মাদরাসার মোড় হতে ডুমুরিয়া মাগুরখালি-কাঁঠালতলা বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়ক, শহীদ মিনার, খুলনা, রেলওয়ে স্টেশন এবং ইয়ার্ড রি-মডেলিং প্রকল্প, খুলনা জেলা স্টেডিয়াম, পাঁচতলা কয়রা আধুনিক ডাকবাংলো ভবন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেল ভবন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কয়রা থানা ভবন, ডুমুরিয়াতে শোভনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, জলমা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (বর্ধিতাংশ), জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ), শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবন (ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ), মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন (বর্ধিতাংশ), আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (বর্ধিতাংশ) ও ওয়াসা ভবন, খুলনা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা (খুলনা অংশ) সড়ক, পাইকগাছা কৃষি কলেজ, বটিয়াঘাটা ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমেজিং ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘এ’ ব্লকের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সেস ডরমেটরি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ষ্টাফ ডরমেটরি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাংকার, খুলনা সদর হাসপাতালকে ১৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, সিভিল সার্জনের অফিস ভবন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আবাসিক ভবন, দিঘলিয়া উপজেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, এএসপি ‘ক’ সার্কেল অফিস, দৌলতপুর থানা ভবন, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার ভবন, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ফায়ারিং বার্ট, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অস্ত্রাগার ভবন, জেলা রেজিষ্ট্রি অফিস ভবন, রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদ, আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদ, ডুমুরিয়া ভদ্রা নদীর উপর ৩১৫.৩০ মিটার লম্বা পিসিগার্ডার ব্রিজ, বটিয়াঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স ভবন, তেরখাদা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম, পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফুলতলা উপজেলায় উচ্চ জলাধার ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক হাজার আসনবিশিষ্ট অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, জেলা কারাগার, জেলা পুলিশ লাইন, ১০তলা বিশিষ্ট বিএসটিআই, আঞ্চলিক অফিস ভবন, আর আর এফ ব্যারাক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, পাইকগাছা উপজেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আর আর এফ এর অস্ত্রাগার ভবন, পাইকগাছা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, রূপসা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকীকরণ, ওজোপাডিকো লিমিটেডের ১৫তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়, জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ভদ্রা ও সালতা নদী পুনঃখনন, বিএনএস তিতুমীর সংলগ্ন ভৈরব নদীর তীর সংরক্ষণ, শেখ রাসেল ইকো পার্ক, এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার, জয় বাংলা ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী আবাসিক ভবন, লালন সাঁই মিলনায়তন ও টিএসসি ভবন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র, সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন, আইটি ইনকিউবেশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার ও রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপ লাইন স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : ঢাকা, দিল্লি ও মস্কোর সমঝোতা সই

পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত প্রথমবারের মতো রূপপুর প্রকল্প নির্মাণের সাথে যুক্ত হলো।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোয় এ চুক্তি সই হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বা রসাটম এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের পরামাণবিক শক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় রসাটমের পক্ষে নিকোলাই স্পাসকি, রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম সাইফুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নতুন এই সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরাপদভাবে পরিচালনা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রসহ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ত্রিপক্ষীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, পরামর্শক সেবা, কারিগরি সহায়তা, সম্পদ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ও স্থাপন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের নন-ক্রিটিক্যাল (কম গুরুত্বপূর্ণ) উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারে ভারত।

এ ছাড়া জনবল প্রশিক্ষণ, জ্ঞান বিনিময় ও পরামর্শক লেনদেন করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং ভারতের পারমাণবিক জ্বালানি বিভাগ।

সমঝোতার স্মারক সই হওয়ার ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞ এবং রাশিয়ার ঠিকাদারদের মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি কাঠামো তৈরি হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় চরমোনাই পীরের ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় হালকায়ে জিকির ও বিরাট ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি কলেজ মাঠে শিবানন্দকাটি-লক্ষèীখোলা ক্বেরাতুল কুরআন কওমী মাদরাসা ও কলারোয়া কওমী ওলামায়ে কেরামের উদ্দ্যোগে ওই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মহিলাদের বসার ব্যবস্থা করা হয় পাইলট হাইস্কুল চত্বরে।
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি’ সাতক্ষীরা জেলার শাখার, ছদর আলহাজ্জ্ব শেখ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ পেশ করেন চরমোনাই পীরে কামেল মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, কলারোয়া শাখার আয়োজনে ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার কুরআনী মাদ্রাসা চাই এই স্লোগানে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

পলাশ দেবনাথ, নুরনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১লা মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় নুরনগর নতুন মৎস্য সেট সংলগ্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অফিসে আগামী ৩রা মার্চ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর খুলনায় আগমন উপলক্ষে নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জি এম হাবিবুর রহমান হবি, সাধারন সম্পাদক এস এম সোহেল রানা বাবু, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান ও আলহাজ্ব আব্দুল কাদের, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ ঘোষ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডি এম খাজা মইজদ্দিন আহমেদ, যুব লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আব্দুল গফ্ফার,তাঁতী লীগের সভাপতি শিমুল দেবনাথ, সাধারন সম্পাদক জমাত আলী,সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান বাবু সহ ইউনিয়ন আ”লীগ ও এর ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষ এখনও পৃথিবীর সম্পদ নয়- স ম তুহিন

মানুষ এখনও পৃথিবীর সম্পদ নয়

স ম তুহিন

 

অসংখ্য দ্যুতিময় ছোটোগল্প আর উপন্যাসের লেখক অমর মিত্র। থাকেন ইন্দ্র বিশ্বাস রোডে, কলকাতায়। নদী, দেশভাগ, সীমান্ত আর ছিটমহলকে প্রধান বিষয় করে না-ফেনানো গদ্যে জীবন এঁকেছেন সাবলীল। যখন কেউ বলেন বিখ্যাত নাট্যকার মনোজ মিত্রের ছোটভাই কথাশিল্পী…, তখন হালকা অহংকারের সাথে নিজের অস্তিত্বের উপস্থাপনটাও উপভোগ করেন− আড়চোখে আমি তা দেখেছি কয়েকবার।

অমর মিত্রের সাথে কিভাবে কিভাবে কেমন একটা সম্পর্কের জালে জড়িয়ে গেছি−এটাকে ঠিক কী ধরনের সম্পর্কের খাপে আটকানো যাবে তা বলতে বললে বলতে পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারবো, অমর মিত্রের লেখনির ক্ষমতা অসাধারণ, অসাধারণ সম্মোহিত করার ক্ষমতাও।

‘কাহিনী শুরু করা খুব কঠিন কাজ, কোথায় মূল কাহিনী লুকিয়ে থাকে তা জানা আরও কঠিন…’
শুরু তবু করতেই হয়, শেষটা কোথায় কেমন হবে না জেনেও।

প্রিয় মানুষের সবকিছুই ভালো। অমরদা প্রিয় মানুষ। তার জন্মভিটে দেখতে আসার সময়টা, আমার-আমাদের সাথে প্রথম দেখার দিনটা আর কয়েকদিনের ঘুরে বেড়ানোর কথা ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখের কলকাতার ‘আজকাল’-এর রবিবাসর সংখ্যায় ছাপা হয়। শিরোনাম ‘সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে’। পত্রিকার ভাষায় মনউচাটন সে সফরের কথা বলতে একখানে লিখেছেন−‘স্থল সীমান্ত দিয়ে না পার হলে সীমান্তের মহিমা ধরা যায় না’। সীমানা-সীমান্ত নিয়ে কত-শত কথা যে আছে অমরদার লেখায় তার সব কথা বলাও খুব, খুব কঠিন। তবু আরও একটু প্রস্তুতি নিয়ে সে কথা বলবো বলেও স্থির করেছি। বাংলাদেশ থেকে বের হবে তার নির্বাচিত ছোটগল্পের একটা সংকলন। নির্বাচন আর ভূমিকা আমাকে করতে হবে, এমন কথার পর খানিকটা বিপাকে পড়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। লেখক অমর মিত্রের লেখালেখির বিষয়ে অন্য কোনো সময় অন্য লেখায় লম্বা করে বলবো। অমর দা নো-ম্যান্স ল্যা–কে ‘না-মানুষী ভূখ-’ বলেছেন। বাংলাতে এর আগে এমন নতুন শব্দ শুনিনি।

লেখক শিল্প-আলোচক শান্তি নাথ১-এর লেখায় আরও একটি নতুন শব্দ পেলাম ‘শূন্য রেখা’। লেখাটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে। সীমান্তে, সীমান্তের পাশঘেঁষে এতো এতো করূণ গল্প ! আমি খানিকটা অস্থির হচ্ছি, এ অস্থিরতার রোগ যেন কাউকে পেয়ে না বসে। শান্তি নাথ- এর সমীক্ষাধর্মী ‘সীমান্তের হাটখোলা জীবন’ শিরোনামের লেখাটা অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে না পারলে অস্থিরতা আমাকে পুরোপুরি আচ্ছন্ন করে ফেলবে, আমি তা থেকে বের হতে চাই −

“পাকিস্তানের এক বধু, সীমান্তের পারেই তাদের বাড়ি, স্বামী আছে, শাশুড়ী আছে, বাড়িতে মুরগি আছে তারা ডিম পাড়ে, আবার ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। কিন্তু সেই বউ কোনও বাচ্চা দিতে পারে না তার স্বামীকে, শাশুড়িকে−সেই বাচ্চাকে আদর করার জন্য। এই জন্য তার উপর চলে প্রতিনিয়ত অত্যাচার। স্বামীর মার তাকে খেতে হয়, এটা নিত্যদিনের ব্যাপার। শাশুড়ির গালাগালি আর মাঝে মাঝে গরম খুন্তির ছেঁকা খেতে হয়। রাগ হয় কিন্তু তার কোন প্রকাশ থাকতে নেই। দুঃখ হয়, নিঃশব্দে তার সারা শরীর কাঁদে। কিন্তু অন্তরের চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার কোনও পরিবেশই ছিল না তাদের বাড়িতে। সামান্য মুরগি বাচ্চা দিতে পারে আর একটা দামড়া মেয়ে বাচ্চা দিতে পারে না−স্বামী তাকে তালাক দেবে, আর একটা বিয়ে করবে। আর একটা বউ আসবে, আর সে হবে দু’নম্বরি বউ, এটা তার সহ্য হয়নি ; আঘাত পাওয়া সহ্য হয়েছিল, গরম খুন্তির ছেঁকা সহ্য হয়েছিল কিন্তু বাচ্চা না দিতে পারা দু’নম্বরি বউ, এটা হতে ইচ্ছে করেনি।

আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না। নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। ঝাঁপ দেওয়ার সময় তার জানা ছিল না−সীমান্ত বলে একটা জটিল ব্যাপার আছে, মানুষের জন্য আছে বিষাক্ত কাঁটাতারের বেড়া। তা তার স্বামীর চেয়ে নিষ্ঠুর এবং তা অসহ্য তার শাশুড়ির অকথ্য ভষণের চেয়েও। তার বিচার পদ্ধতি আরও অমানবিক।

কিন্তু নদীর তো কোনও দেশ নেই, সে পৃথিবীর সম্পদ, মানুষ এখনও পৃথিবীর সম্পদ নয়, সে শুধু একটা সীমাবদ্ধ দেশের সম্পদ। বউটা ডুবেও মরল না, হতভাগীদের তাই হয়। মৃত্যুও নেই আবার শান্ত জীবনযাপন করার কোনও প্রকরণ নেই। নদী তাকে বাঁচিয়ে নিয়ে এস তুলল ভারত সীমান্তে। নদীর কান্না দেখা যায় না, শুধু জোয়ার আসে তার বুকে, তাই নদী স্তম্ভিত হয়ে দেখেছিল− নদীর পারেই সেই ধর্ষিতা হওয়া− এক ভারতীয় সেপাই দ্বারা। সুন্দরী যুবতী, এ ছাড়া তার গতি কী আছে। কতবার ধর্ষিতা হয়েছিল এটা তার জানা ছিল না। এই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কিছু মানুষ যাদের কাছে সীমানা কিংবা ভিনদেশ ইত্যাদি শব্দগুলো থাকে না তারা সেবা করেছিল কিন্তু আরও গাঢ়তর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সেই কন্যা। হাসপাতালে ভর্তি হলে তার দরকার হল একটা পরিচয়। সে বলেছিল, তার বাড়ি পাকিস্তানে। পাকিস্তান, ভিন দেশের নাগরিক−এই শব্দে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার স্থান হয় কয়েদখানায়। সেখানেও সে আবার ধর্ষিতা হয়। তার নারীত্বের প্রতি এই বঞ্চনা তাকে বড়ো যন্ত্রণা দিয়েছিল। তাই বিচারকের কাছে সব খুলে বলেছিল। বিচারক খুঁজে বার করতে বলেছিলেন, সেই ধর্ষক কে ? ইতিমধ্যে ঘটেছিল সময়ের অনেক ব্যাবধান−ধরা এবং জেলে থাকা, বিচার পদ্ধতির ভিতরে আসা, তার ভিতর এসে যায় এই ডাক্তারি রিপোর্ট যে− সে গর্ভবতী। পরে ধরাও পড়েছিল সেই ধর্ষক। ‘গর্ভবতী’ এই শব্দ তাকে শতচ্ছিন্ন শরীরের ভিতর আনন্দ এনে দিয়েছিল, যেন শুনতে পেয়েছিল বহু আকাঙ্খিত শিশুর মৃদু হাস্য-কলরোল ধর্ষিতা হবার চেয়েও তাকে বড়ো আনন্দ দিয়েছিল। নারীত্বের জয় ঘোষিত হয়েছিল।

তার বার বার মনে হয়েছিল− আসলে তার স্বামীই ছিল শক্তিহীন, নপুংসক। স্বামীর মুখটা মনে পড়ছিল আর তার প্রতি ঘৃণাবোধ জাগছিল। ও দিকে তার সামনেই দাঁড়িয়েছিল সেই ধর্ষক সেপাই।

−বাবু, আমরা ঘর করতে পারি না ? এই সেপাইবাবু আমাকে বিয়ে করতে পারে না ?

−না, তা হয় না। বিচারকের উত্তর ছিল। তুমি এ দেশের নাগরিক নও, তোমার পাসপোর্ট নেই, ভিসা নেই। তুমি নিষিদ্ধ এ দেশে।

অবশেষে তার জেল হয়, ধর্ষকেরও জেল হয়। দেখা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। ধর্ষণ আছে কিন্তু ভ্রুণহত্যা নিষিদ্ধ, সেই নিয়মকে মানার জন্য অবশেষে জন্মায় তার কন্যা সন্তান। বাচ্চা সমেত তার জেল হয় সাত বছর। মুক্তির সময় আগত−তার বাচ্চার বয়স এখন সাত, এবার তাকে যেতে হবে ভিন্ন কয়েদখানায়, কারণ তার অভিভাবক নেই। কিংবা চলে যেতে হবে নিজের দেশে। সে তারপর আবেদন করেছিল−অন্য দেশে পাঠিয়ে দাও কিন্তু তার মেয়েকে তার সঙ্গে দিতে হবে। বাচ্চা এ দেশের নাগরিক, তার ধর্ষক এ দেশের কিন্তু গর্ভ ভিন দেশের, সে পাকিস্তানের। পাকিস্তানের গর্ভ থেকে ভারতীয় সন্তান। মা পাকিস্তানের, সন্তান ভারতীয়−মাঝে কাঁটাতারের বেড়া। এই কেস একনও ঝুলছে, সিদ্ধান্তহীন উত্তর। এর থেকে সংজ্ঞা টানা যেতে পারে, দুই দেশের বিভাজন রেখা অর্থাৎ কাঁটাতারের লৌকিক-অলৌকিক সংজ্ঞা।

কিন্তু সংজ্ঞা এত তাড়াতাড়ি বেড়া দিয়ে বেঁধে দিলে তা হবে আরও একটা শুষ্ক হৃদয়হীন অস্তিত্ব। সচল থাকবে না। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া চলমান জীবন্ত। একে ঘিরেই বহু জীবন নির্ধারিত হয়।

শান্তি নাথ : (১৯৫৪-) । রেলকর্মী। শিল্প-সমালোচক। জন্ম এবং অধ্যায়নপর্ব−কৃষ্ণনগর। কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে গণিতশাস্ত্রে স্নাতক। তাঁর উৎসাহের ক্ষেত্র শিল্প−বিশেষত চিত্রশিল্প। নিরন্তর মননে-অধ্যায়নে এবং কায়িক শ্রমেও পাঠ করেন শ্ল্পিগ্রাম আর শিল্পীদের কর্ম আর দর্শন। রেমব্রান্ট, বিপিন গোস্বামীর ভাস্কর্যভাবনা, নাস্তিকের লোকশিল্প, আত্মপ্রতিকৃতি : গোবর্ধন আশ− এক দিকে মনস্কতায় ধ্রুপদী এবং প্রকাশভঙ্গিমায় এক কথায় বলা যায়−প্রত্যয়ী।

 

. . .চলবে

1 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রস্তুতিসভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আগামী ০৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মারুফ হাসান মিঠু। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মীর মোস্তাক আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি এড. সাঈদুজ্জামান জিকো, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহেদুজ্জামান টিটু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক এড. ফারুক হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক সাহাদত হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক স্মপাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম উজ্জল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জীবন, জাহাঙ্গীর, ওলি, হযরত, নাহিদ, আনারুল ইসলাম প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ আগামী ৩মার্চ জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় সর্বউচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে যথা সময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান শফি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্যদের ফাঁকা গুলি

বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের শূন্যরেখায় ক্যাম্প করে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরে যেতে ভয়-ভীতি দেখানো মিয়ানমার সৈন্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের ওপারে অবস্থানরত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যরা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

মিয়ানমার সৈন্যদের ফাঁকা গুলিবর্ষণের পর এলাকায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা অন্তত ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বান্দরবান সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের মধ্যে প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায়। এই রোহিঙ্গাদের শূন্য রেখা থেকে সরে যেতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল বলে জানান বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান।

এরপর মধ্য ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ের ঢাকা সফর এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গঠিত দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মতৈক্য হয়। এরপর কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবারও শূন্যরেখায় অবস্থানরতদের সরে যেতে মিয়ানমার সৈন্যরা হুমকি দিতে থাকে বলে বিজিবি কর্মকর্তারা জানান।

‘সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পের কাছাকাছি এসে মিয়ানমারের বিজিপি রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে সরে যেতে হুমকি দেয়। কয়েক ঘণ্টা অন্তর মাইকিং করে সেখান থেকে তাদের চলে যেতে বলা হয়। পাশাপাশি সীমান্তের ক্যাম্পের পাশে মিয়ানমারের ভেতরে বিজিপি অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশ করে।

সকালে বিজিপির কয়েকটি গাড়িতে বেশ কিছু সৈন্য এখানে আসে। দুই শতাধিক সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। আগে থেকেও সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের আরও দুই শতাধিক সীমান্তরক্ষী মোতায়েন ছিল। ’

শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে বিজিপির সৈন্যরা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এসে অস্ত্র তাক করে রোহিঙ্গাদের সরে যেতে হুমকি দেয়। তারা কাঁটাতারের উপর মই দিয়ে ক্যাম্পে প্রবেশ করে হামলারও চেষ্টা চালায়। এ সময় মিয়ানমারের ভেতরে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পাহাড়ে ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বিজিপি সৈন্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। দুপুরের পর বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি অবস্থান জোরদার করলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা ভারী অস্ত্র-শস্ত্র সরিয়ে নেয়। ’

এদিকে বিকালে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লিউন উকে তলব করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পর ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলেন বিজিপি সদস্যরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তা প্রদান

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি,কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থ ব্যক্তিবর্গের মাঝে ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তা হিসেবে চেক প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীণ কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান উপস্থিত থেকে উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার আলী কারিকরের ছেলেকে ২ বান টিন ও ৬ হাজার টাকার চেক, পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের সুবোল সরকারের ছেলে তারক সরকারকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের মৃত আনার হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, কুশুলিয়া গ্রামের রাশেদ গাজীর স্ত্রী শিলা বেগমকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, কুশুলিয়া গ্রামের মীর সিরাজুর ইসলামের ছেলে মীর হাফিজুর রহমানকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা চেক, রাসেল স্মৃতিসংসদের ছাউনি নির্মাণের জন্য ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, গণপতি গ্রামের মৃত রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, মহৎপুর গ্রামের জেহের আলী মোড়লের ছেলে শাকের আলীকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, রতনপুরের মনসা মন্দিরের জন্য ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা, ঘুশুড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে মনিরুল মোল্লাকে ২ বান টিন ও ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গৌতম লস্কার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest