সর্বশেষ সংবাদ-
জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনাসাতক্ষীরায় আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা : চলছে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস মৎস্য ঘেরে : আহত ১৪তালায় জুলাই আহত ও নিহতদের স্মরণে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টসাতক্ষীরার বারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণশ্যামনগরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণসাতক্ষীরায় পানিবন্ধী পরিবারের মাঝে বিএনপি নেতা চিশতীর খাদ্য বিতরণশ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে আটকে এক নারীর মৃত্যুসাতক্ষীরায় জাতীয় ঐক্যমত গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশীজনের মতামত শীর্ষক মতবিনিময়

সরকারি চাকরি করতে দিতে হবে মাদক পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ ও জনপ্রশাসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ মাদকসেবী শনাক্ত হচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। দেশে বর্তমানে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। পেশাজীবীদের মধ্যেও মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন থেকে সরকারি চাকরিতে ঢোকার আগে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা করতে হবে। যাঁর পরীক্ষার ফলাফল নেতিবাচক হবে, তিনি চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কমচারীদের কেউ মাদক সেবন করেন—এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাদক পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দেশে বর্তমানে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যেও মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চিঠিতে বলা হয়, ডোপ টেস্টের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করলে যুবসমাজের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কিছুদিন আগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগের সময় সন্দেহ হওয়ায় ডোপ টেস্ট করার পর ১৮ জনকে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আরও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি ভয়ংকর। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। নিয়োগের সময় এ পরীক্ষা করলে শিক্ষার্থীরা সচেতন হবে, ভীতি তৈরি হবে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মাঠপর্যায় থেকে প্রায়ই পাওয়া যায়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে, তাঁদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবছর এসিআরের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ডোপ টেস্টও বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উপসচিব, যুগ্ম সচিব পর্যায়ে এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে, যদিও সংখ্যাটা খুব কম। সাধারণত তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হয় না, কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাঁদের নিয়োজিত করা হয়। নতুন যাঁরা চাকরিতে আসবেন, তাঁদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলে এ সমস্যা অনেক কমে আসবে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তাঁর অধীন পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করালে বেশ কয়েকজনের মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘পুলিশ যদি মাদক সেবন করে, তবে তিনি মাদক বিক্রেতাকে সুযোগ-সুবিধা দেবেন—এই বিবেচনায় গত নভেম্বর প্রথম আমরা নিজেদের বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরীক্ষা করি। প্রথম দিনে পাঁচজনকে পাই। পরে তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

সন্দেহ হওয়ায় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলমও পুলিশসহ মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের ডোপ টেস্ট করান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সময় প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার নিয়ম জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় ক্লিনিক ইউরিন (মূত্র) সংগ্রহ করেছে প্রথমে। এরপর ডোপ টেস্টের ‘কিট’ (উপকরণ) দিয়ে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা কোকেন আছে কি না টেস্ট করা হয়। এর মধ্য অনেকেই মাদকাসক্ত বলে চিহ্নিত হয়েছিলেন।

পুলিশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায় ও মাদক সেবনের অভিযোগে গত এক বছরে পুলিশের শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ছয় মাসেই কেবল ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশ পরিদর্শক পদের সদস্যরাই মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া এএসপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পর্যায়েও কিছু কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন, মাদক ব্যবসায় সহায়তা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশের বেশ কয়েকটি নিয়োগের সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রির বিষয়টি উঠে এসেছে।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক চিকিৎসক নিয়মিত মাদক গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে চিকিত্সকদের মাদকাসক্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে।

সার্বিক বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘পুলিশের অনেকেই মাদকাসক্ত বলে আগে থেকেই তারা এ প্রস্তাব করে আসছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি পেলে আমরা বলে দেব যেন ডোপ টেস্ট না করে কাউকে সরকারি চাকরিতে না নেওয়া হয়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই আনুশকাই এখন কোহলির প্রেরণা

এই কদিন আগের ঘটনা, বিয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ক মাত্র পাঁচ রানে সাজঘরে ফিরে গেলে এর জন্য কড়া সমালোচনা শুনতে হয়েছিল তাঁর স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোহলির রান না পাওয়ার জন্য সমর্থকরা আনুশকাকে দায়ী করেছিলেন।

সেই কোহিলিই কি না, ওয়ানডে সিরিজে দারুণ উজ্জ্বল। ছয় ম্যাচের এই সিরিজের তিনটিতেই শতক হাকান ভারতীয় অধিনায়ক। করেছেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম শতক। তা ছাড়া পুরো সিরিজে ৫৫৮ রান করে সিরিজ সেরাও তিনি। আর তাঁর দল সিরিজ জিতেছে ৫-১ ব্যবধানে।

কোহলির এই সাফল্যে পেছনে থেকে নাকি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আনুশকা শর্মা। গতকাল রোববার ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক তাই বলেন, ‘আমার এই সাফল্যের নেপথ্যে কিছু কাছের মানুষ রয়েছেন। বিশেষ করে, আমার স্ত্রী। পুরো সিরিজে সে প্রেরণা জুগিয়েছে আমাকে। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। অতীতে এর জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছে আমার স্ত্রীকে। এই প্রেরণা থেকে প্রাপ্তি একটা দুর্দান্ত অনুভূতি।’

আসলেও তাই আনুশকাকে অনেকবাই সমালোচনা সইতে হয়েছে। মাঝখানে কোহলির ব্যর্থতার জন্য সমর্থকরা আনুশকাকে দায়ী করেছিলেন। বিশেষ করে গত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় তাঁদের নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়েছিল। সে সময় কোহলিও এর জবাব দিয়েছিলেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে বলতে চাই, আমি ভীষণ আহত হয়েছি। যারা আমাদের নিয়ে আজেবাজে কথা বলেছে এবং যে ভঙ্গিতে বলেছে, তাদের নিজেদের নিয়েই লজ্জিত হওয়া উচিত। এ ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব হতাশ।’

গত বছর ১১ ডিসেম্বর ইতালির মিলানে কোহলি-আনুশকা জুটি গাঁটছড়া বাঁধেন। ২০১৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার সুবাদে আনুশকার সঙ্গে কোহলির ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন অর্থমন্ত্রী

এ বছরের ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অগ্রণী ব্যাংকের বাৎসরিক ব্যবসা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় তিনি নিজেই জানিয়েছেন এ তথ্য।  সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর শুক্রবার করা এক মন্তব্যের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বি.চৌধুরী) করা মন্তব্যের বিষয়টি নিজেই ওঠান অর্থমন্ত্রী। শুক্রবার এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ঠাণ্ডা ধরনের মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বি.চৌধুরী।

পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই রিপোর্টটি পড়েছি। হ্যাঁ আমি জানাচ্ছি এ বছরের ডিসেম্বরেই আমি অবসরে যাবো। সে হিসেবে আর মাত্র ১১ মাসের (প্রকৃত হিসেবে সাড়ে ১০ মাস) মতো আছি ।’

এসময় তার মতো বদরুদ্দোজা চৌধুরীকেও (বি.চৌধুরী) অবসরে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকগুলোতে তুলনামূলকভাবে খেলাপি ঋণ বেশি। এটা কমানোর জন্য গ্রাহককে চিনতে হবে। তার ব্যবসা সম্পর্কে আগে জানতে হবে। যারা ব্যাংকের কর্মকর্তা আছেন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন কিনা। ’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত। উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, ব্যাংকের এমডি শাসমুল ইসলামসহ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অন্য কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরে অবসরে যাবেন নাকি আবারও আরেক দফা দল থেকে নির্বাচন করবেন তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কিনা এমন পশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর জবাব দেবেন। তার আগে বলেছিলেন, তার আর প্রার্থী হওয়ার বা রাজনীতিতে থাকার আগ্রহ নেই। তবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যদি নির্বাচন করতে বলেন সেক্ষেত্রে তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাববেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৫৫

আসাদুজ্জামান: নাশকতার মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশসহ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশকে শহরের আমতলাস্থ নিজ বাড়ি থেকে নাশকতার চেষ্টাকালে আটক করা হয় বলে জানান পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২১ জন, কলারোয়া থানা ৭ জন, তালা থানা ২ জন, কালিগঞ্জ থানা ৪ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৬ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে, বিএনপির ৫ জন ও জামায়াতের ৪ জন নেতাকর্মী রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাশকতার চেষ্টাকালে জেলা বিএনপির সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশকে শহরের আমতলাস্থ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পিতা-মাতার উপর অভিমান করে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালভাবে লেখাপড়া করতে বলায় বাবা মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ১০ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। স্কুল ছাত্রের নাম অনুপম পাল সাম্য(১৫)। সে কেশবপুর সাগরদাঁড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের বরণ কুমার পালের ছেলে।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ছেলেটির বাবা বরণ কুমার পাল কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী কলেজের শিক্ষক ও মা শিখা রানী চৌধুরী রাঢ়ি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেই সুবাদে ছেলের লেখাপড়ার প্রতি তাদেরও আগ্রহ ছিল একটু বেশি। শুক্রবার ১০ টার দিকে ছেলেকে ভালভাবে লেখাপড়া করতে বলে। এটি নিয়ে ছেলের সাথে বাবা-মা কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে বাথরুমের লোহার দন্ডে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘক্ষণ বাথরুম হতে না বেরোনোয় বাবা মা ডাকা ডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য নবায়ন/সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন ও ১৪টি ইউনিয়নে সদস্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে বর্ধিত সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা পুরাতন আইনজীবী ভবনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ও সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান অছলে, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ, অথ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, এপিপি এড. মুস্তাফিজুর রহমান শাহ্ নওয়াজ, মো. রমজান আলী বিশ^াস, মো. বজলুর রহমান, মিজানুর রহমান, সামসুর রহমান। এসময় সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সভাপতিগণ বক্তব্য রাখেন। বর্ধিত সভায় খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণ, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সফলভাবে পালনের প্রস্তুতি, সাংগঠনিক বিষয় ও প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধার জমি জবর দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় শহরে এক বৃদ্ধার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমির গাছকেটে ও জবরদখল করে ঘিরে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করলে আদালত উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রভাবশালিরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জবর দখল অব্যাহত রেখেছে।
ইটাগাছা গ্রামের মৃত তমিজদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, পৈত্রিক সুত্রে পলাশপোল মৌজায় জেএল নং ৯৪ দাগ নং ১৩০৭৯, ১৩৮০. ১৩০৮৯, ১৩০৮৩, ১৩৮৪,১৩০৮২ দাগে তার জমি রয়েছে। তার ১৩০৮৪ দাগে কবরস্থান ও যাতাওয়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে তারা পাঁচিল দিচ্ছে। তার জমির সমস্ত গাছ গাছালি কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সাতক্ষীরা সদর থানাকে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে বলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও পরবর্তীতে তারা আবার কাজ শুরু করেছে।
রাবেয়া খাতুন আরও বলেন, ইটাগাছা গ্রামের মৃত সোহবান সরদারে পুত্র রফিউদ্দিন সরদার, কবির উদ্দিন সরদার, আলাউদ্দিন সরদার, মজনুউদ্দিন সরদার হাসিনা খাতুন ও মাফুরা খাতুন আজি সরদারে ছেলে জাকির জোর পূর্বক তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি জবরদখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইতোপূর্বে এ নিয়ে তারা তাকে গাছের সাথে বেধেঁ নির্যাতন করে। তারা শুধু জায়গা জমি দখল করার পায়তার করছে না তারা তার তিন ছেলে ও চার মেয়েকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। প্রভাবশালিরা এই বৃদ্ধ বয়সে তার ও তার ছেলে মেয়েদের নামে থানায় ও আদালতে ১০/১৫ টি মামলা দায়ের করেছে। এমনকি তারা জাল দলিল সৃষ্টি করে তার জমি দখল করার ষড়যন্ত্র করচে বলে রাবেয়া খাতুন অভিযোগ করেছেন।
উক্ত জালিয়াতি চক্রের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইতিহাস গড়েছেন কৃষ্ণা কুমারী

সবকিছু ঠিক থাকলে ৩৮ বছর বয়সী কৃষ্ণা কুমারী হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম হিন্দু নারী সাংসদ। উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচে পাকিস্তান পিপলস পার্টির মনোনয়ন পেয়ে কৃষ্ণা নিজেই অভিভূত। জানিয়েছেন, বিষয়টি তাতে ভীষণ আনন্দিত করেছে।

করাচিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে সম্প্রতি হাজির হন কৃষ্ণা। অন্যান্য সিনেটর ও মন্ত্রীদের মাঝে তাকে বেশ অচেনা লাগছিল। কৃষ্ণার বক্তব্য, ‘আমি কখনই কল্পনা করিনি যে পাকিস্তানের উচ্চকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো জায়গায় আমি আসতে পারবো।’
২০০৫ সাল থেকে সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। কৃষ্ণার জন্ম সীমান্তবর্তী সিন্ধুর নগরপারকরে। তার ভাইও পিপিপি-র সঙ্গে যুক্ত। ২০১৩ সালে সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন কৃষ্ণা।পাকিস্তানের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু হিসেবে কৃষ্ণার এ আগমন অস্বাভাবিক কিছু নয়। পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন রানা ভগবান দাস। আরও অনেকে এসেছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা কৃষ্ণাই প্রথমবারের মতো সিনেটে নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন। আর এটাই চমকে দিয়েছে সবাইকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চর্চিত বিষয়ের একটি হয়ে উঠেছে বিষয়টি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতারাও শুভকামনা জানিয়েছেন কৃষ্ণাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest