সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি’র পক্ষে সদর উপজেলা লাবসা ইউনিয়নের দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে দেবনগর এলাকায় দুস্থদের মাঝে ২০০ শত কম্বল বিতরণ করা হয়। সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র পক্ষে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লাবসা ইউনিয়ন পুলিশিং কমিউনিটি ফোরামের সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংকৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও লাবসা ইউপি সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আঃ রব,বিশ^নাথ মন্ডল,জিয়াউর রহমান জিয়া, আঃ হামিদ, মনিরুল ইসলাম,আরশাদ আলি, শেখ আঃ আলিম প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ১৯ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের শিরেপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। শিরোপা জয়ের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত ভার্সনে এই প্রথমবার র‌্যাকিংয়ের শীর্ষ স্থানটিও দখলে নিয়েছে অসিরা।

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করতে সক্ষম হয়নিউজিল্যান্ড। আগের ম্যাচে ২৪৩ রান করা কিউইরা আজ যেন অসি বোলারদের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন রস টেইলর। অস্ট্রেলিয়া স্পিনার এ্যাস্টন আগার সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ক্যারিয়ার সেরা ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য ১৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান সংগ্রহ করার পর বৃষ্টি নামে। পরবর্তীতে আর খেলা মাঠে না গড়ালে শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে জয় পায় অসিরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করে আউট হন ডি অর্চি। এছাড়া ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার করেন ২৫।
এ ম্যাচে জয়ের ফলে অপরাজিত থেকেই সিরিজ জিতল ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন দলটি। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সব ক’টিতেই জিতল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে হটিয়ে শীর্ষ স্থানও দখলে নিলো তারা। সেই সঙ্গে ২০১১ সালে র‌্যাংকিং প্রথা চালু হওয়ার পর প্রথমবার সংক্ষিপ্ত ভার্সনের শীর্ষ স্থান দখল করলো অস্ট্রেলিয়া। বাসস।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভুলে ভরা বাংলা- মিল্টন বিশ্বাস

বাঙালি জাতি হিসেবে আজ আমরা গর্বিত এবং মহিমান্বিত। ভাষার মাসে আমরা দেখতে পাই একদিকে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যদিকে আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর আমলেই ১৯৯৯ সালে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত হয়ে ১৯৩টি দেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রভাষার দাবি আদায়ের আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি। কিন্তু ভাষা শহীদদের রক্তে স্নাত হওয়া সত্ত্বেও ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বর্তমান সময়েও আমাদের লড়াই থেমে নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে ভাষা আন্দোলনের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। এই গ্রন্থে তিনি তুলে ধরেছেন পাকিস্তানি শাসক ও এদেশীয় দোসরদের বাংলা ভাষার প্রতি বিরূপ মনোভঙ্গি। আর রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করার কঠিন সময়ের কথা লেখকের নিজের জবানিতে ব্যক্ত হয়েছে। তবে সেদিন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের যে অভিপ্রায় ছিল ভাষাসৈনিকদের তার অনেক কিছুই আজ অপূর্ণ রয়ে গেছে। ৬৬ বছর পর আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলার মান ও মর্যাদা নিয়ে কথা বলি, নির্ভুল বানানে বাংলা লেখার জন্য তর্কবিতর্কে লিপ্ত হই আর হরহামেশায় ভুলে ভরা বাংলা লেখা নিয়ে খেদোক্তি করি।

২.

কিছুদিন আগে বিচারপতির পদত্যাগপত্রে বাংলা বানান ভুল নিয়ে হৈচৈ হয়ে গেল। আবার সরকারি সাইনবোর্ড, রাস্তার প্লাকার্ড, পোস্টার, ব্যানারে বানান ভুল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বাংলা একাডেমি কর্তৃক সঠিক বানানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকলেও মানতে নারাজ অনেকেই। এজন্য ঢাকার প্রধান সড়কের পাশে ফার্মেসি ও ফটোস্ট্যাটের দোকানের প্রত্যেকটির সাইনবোর্ডে লেখা ‘ফার্মেসী’, ‘ফটোষ্ট্যাট’ ইত্যাদি। কয়েকটি দোকানে স্টোর-এর জায়গায় ‘ষ্টোর’ লিখে রাখা হয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট চোখে পড়ে যেগুলোতে লেখা ‘রেষ্টুরেন্ট’। একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নামের বানানে ভুল করে মর্ডান না লিখে ‘ণ’ ‘মর্ডাণ’ লেখা রয়েছে। অথচ আমরা জানি, কোন বিদেশি শব্দে ণ, ষ এবং ঈ কার হবে না।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুণ্যস্থান ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ। কিন্তু সেখানেও বানান ভুল দেখতে পাবেন। মেডিকেলে ঢুকেই নজরে আসে ‘‘বার্ণ এবং সার্জারী’’ (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট) বানান ভুল। একটু পিছন ফিরলেই চোখে মিলবে ইমারজেন্সি কমপ্লেক্স-এর ‘‘ইমারজেন্সী’’ ভুল বানান। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের বানান ভুল করে ‘সুপ্রীম’ লেখা। জাতীয় প্রেসক্লাবের কর্মচারী ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন বানানটাই ‘ষ’ দিয়ে লেখা।

আবার একই শব্দ একেক সাইনবোর্ড বা দেয়ালে লেখা হচ্ছে একেকরকম। এতে একদিকে যেমন বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটছে তেমনি শিশুর ভাষা বিকাশে ত্রুটি ঘটছে বলে ভাষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত। শিশুরা আগ্রহ নিয়ে সাইনবোর্ডগুলো পড়ে। আর সেখানে যদি ভুল থাকে তবে সেটি তাদের মনে গেঁথে যায়। অশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত আর্টিস্ট দ্বারা যখন কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কিংবা বাসা বাড়ির কাজ করা হয় তখন সেসব সাইনবোর্ড, ব্যানার ও দেয়াল লিখন বাংলা বানানে ভুলে ভরা থাকছে। সাইনবোর্ড হচ্ছে চোখের ঝিলিক; প্রতিষ্ঠানের আয়না। প্রতিষ্ঠানের পরিচয় যদি ভুল বানানে থাকে তাহলে প্রথমেই একটা বিরূপ ধারণা চলে আসে। যেমন, ফার্নিচারের দোকানগুলোতে দেখা যায় ফার্নিচার শব্দটিই একেক দোকানে লেখা আছে একেকরকম। ‘মদিনা ফার্নিসারস’, ‘প্যারামাইন্ট ফার্নিশার্স’, ‘হোম ফার্নিষার্স’ বানানে লেখা হয়েছে শব্দটি।

অটোমোবাইলসের সাইনবোর্ডে লেখা আছে ‘এহানে মুবিল, গিরিজ, পিট্রোল’ (এখানে মবিল, গ্রিজ, পেট্রোল) পাওয়া যায়। ‘রহমান অটোমোবাইলসের’ জায়গায় লেখা আছে রয়মান অটোমোবাইল, গ্রিজকে লেখা আছে গিরিজ, অকটেনকে লেখা আছে অটেন। মোবাইলের দোকানের সাইনবোর্ডে দেখা যায়, ‘কলিম ইন্টারপ্রাইজ’- তাতে আরো লেখা ‘এখান থেকে ফিলিক্স লোড, এজি লোড করা হয়। মোবাইল টু মবেল ২ টাকা। বিকাষ করা হয়।’ বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপনেও ভুল লেখা চোখে পড়ে। যেমন, ‘এখানে ঘোর ভারা দেয়া হবে। পানি, গস সুবিধাসহ।’ ছাত্রাবাসগুলোর সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ‘মেছ ভাড়া দেয়া হবে।’ যারা এসব বাংলা লেখে তাদের কেবল বর্ণমালা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে কাজ করতে হয়। বানান নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। তবে যারা লিখে নিচ্ছেন তাদেরও রয়েছে বানানে অদক্ষতা। এজন্য অসচেতন মানুষের কারণে বাংলা ভাষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার যুগে ভুলে ভরা বাংলা স্ট্যাটাস সবসময়ই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। যেমন একটি স্ট্যাটাসে ভুলসমূহ এরকম- ‘আত্মপ্রচার করতে চাইনি, কিন্ত (কিন্তু) যে মিথ্যাচার করা হচ্ছ (হচ্ছে) তাতে কিছু কথা বলা জরুরী (জরুরি) হয়ে পড়েছে। তা নাহলে (না হলে) ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে তরুনদের (তরুণদের) কাছে। এখনকার তরুনরা (তরুণরা) এসব ইতিহাস জানেনা (জানে না)। তরুন (তরুণ) সাংবাদিকরাও তাই। তাই তারা চতুর ফন্দীবাজ (ফন্দিবাজ) ও যেকোনও (যেকোনো) ভাবে সংবাদপত্রের পাতায় থাকার কৌশল করছে, …এখন মুক্তবুদ্ধিচর্চার নতুন ধান্দাবাজদের এই কুমভিরাশ্রারু (কুম্ভিরাশ্রু) দেখে মনে হয় ধরণী দ্বিধা হও।’

কেবল সোশ্যাল মিডিয়া নয় খ্রিষ্টীয় বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া বিনামূল্যের বই নিয়ে ২০১৭ সালে চলেছে তুমুল বিতর্ক। ছিল কবিতার বিকৃতি আর বানান ভুলের ছড়াছড়ি। এমনকি মুদ্রণের মান ও অলংকরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে তখন। প্রথম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে অক্ষরজ্ঞান সূচিতে পাঠ ১২-তে ‘ও’ অক্ষর চেনানোর উপকরণ হিসেবে ‘ওড়না’কে ব্যবহার করা হয়েছিল। ‘শুনি ও বলি’ পাঠে ‘ও’ অক্ষর চেনাতে ওড়না পরা এক কন্যাশিশুর ছবি দিয়ে লেখা হয়েছিল- ‘ওড়না চাই’। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ের লেখা ও ছবিতে ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’ বোঝাতে চেয়েছিলেন লেখক। বাংলা পাঠ্যবইটির ১১ পাতায় অ’তে অজ (ছাগল) বোঝাতে গিয়ে ছাগলের ছবি জুড়ে দেয়া হয়। সংশোধন করা না হলে ছাগলের গাছে উঠে আম খাওয়ার মতো অসম্ভব বিষয় শিখতে হতো শিশুদের।

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতাটি বিকৃত করা হয়। ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’ না লিখে লেখা হয়েছিল ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে?’ এছাড়া ‘মানুষ হইতে হবে- এই তার পণ’ না লিখে ‘মানুষ হতেই হবে- এই তার পণ’ লেখা হয়। ‘হাতে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান’ এই লাইনে ‘খাট’ শব্দটির বানান বদলে দিয়ে লেখা হয়েছিল ‘খাটো’। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বইয়ের ৭৮ পাতায় ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ’ লেখায় মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি কখনো ‘মুক্তিযুদ্ধ’ আবার কখনো ‘মুকতিযুদ্ধ’। ‘বঙ্গবন্ধু’ বানানটি ভেঙে ঙ-গ আলাদা আলাদা করে লেখা হয়। যা হোক এসব সমস্যা সমাধান করা হয় অতি দ্রুত। কিন্তু ভুলে ভরা বাংলা ভাষার  দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়। আমরা মনে করি পাঠ্যপুস্তকে কেনো ধরনের ভুল গ্রহণযোগ্য নয়। শিশুদের কাছে উপস্থাপিত কবিতা বা লেখার কোনো ভুল বা বিকৃতি চলবে না।

৩.

আসলে বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটছে সর্বত্রই। এফএম রেডিও’তে বাংলা ভাষাকে ইংরেজি স্টাইলে উচ্চারণ করা হচ্ছে। ভুলে ভরা বানানে প্রতিবাদলিপি প্রেরিত হয়েছে দৈনিক পত্রিকায়; প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল দেখা গেছে। গত বছর বিজ্ঞান পরীক্ষায় ছিল ব্যাকরণগত ভুল। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের এক ফেস্টুনের ছবিতে দেখা গেছে বানান ভুলের ছড়াছড়ি। শিক্ষা, মেরুদণ্ড এমন সাধারণ বানানেও ভুল হতে দেখা গেছে সেখানে। পাওয়া গেছে ভুলে ভরা উত্তরপত্র মূল্যায়ন নির্দেশিকাও। যেমন, ‘ঊর্মি’র সমার্থক শব্দ ‘ঢেউ’, ‘ঈশ্বর’-এর ‘স্রষ্টা’। কিন্তু সমাধানপত্রে লেখা হয়েছে ‘ঢেউ’-এর স্থলে ‘ডেউ’, ‘স্রষ্টা’র স্থলে ‘শ্রষ্টা’। ‘আগমনী’ শব্দের শুদ্ধ লেখা হয়েছে ‘আগমণী’। ‘তিমির বিদারী’র ব্যাসবাক্য লেখা হয়েছে ‘তিমিরের বিদারী’। সমাসের নাম লেখা রয়েছে ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ। ‘নিত্য সমাস’-এর স্থলে লেখা হয়েছে ‘নিত্র সমাস’। একটি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের উত্তরপত্র মূল্যায়ন-নির্দেশিকায় এসব ভুল লেখা ছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে নির্দেশনা মোতাবেক অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে নিজস্ব ওয়েবসাইট। কিন্তু এসব ওয়েবসাইটে রয়েছে অনেক ভুল। ওয়েবসাইটগুলো মানছে না বাংলা একাডেমির প্রমিত ‘বাংলা বানান রীতি’। জাতীয় সংসদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণে ইংরেজি শব্দের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার দেখা গেছে। অথচ এসব শব্দের বাংলা অর্থ রয়েছে। আবার এসব শব্দের ব্যবহারের রয়েছে ভুল। ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ট্যাবগুলোর মধ্যে রয়েছে হোম, লাইব্রেরি। অথচ চাইলেই হোম-এর পরিবর্তে ‘প্রচ্ছদ’ আর লাইব্রেরির পরিবর্তে ‘গ্রন্থাগার’ শব্দটি ব্যবহার করা যেত। এসব প্রমাণ করে বাংলা শব্দ ব্যবহারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। তাছাড়া পুরো ওয়েবসাইটজুড়ে রয়েছে ভুল বানানে বিদেশি শব্দের ব্যবহার। ভুল বানানে যেসব ইংরেজি শব্দগুলো লেখা হয়েছে সেগুলো হলো- চীফ, সেসন, ইংরেজী, স্পীকার, পার্লামেন্টরী, লাইব্রেরী, গ্যালারী। বাংলা একাডেমি প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী বিদেশি ভাষার শব্দ সরাসরি ব্যবহার করতে হলে তার বানানে ই-কার (ি) এবং উ-কার (ু) ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্পীকার এর পরিবর্তে লিখতে হবে স্পিকার। একইভাবে চিফ, ইংরেজি, পার্লামেন্টরি, লাইব্রেরি, গ্যালারি লিখতে হবে। আর ‘সেসন’ বানানটি হবে ‘সেশন’। যার পরিবর্তে লেখা যেত অধিবেশন বা মাত্রাকাল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য, বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসরণের মাধ্যমে সরকারি কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহারে সামঞ্জস্য বিধান করা প্রয়োজন।

৪.

চলতি বছর(২০১৮) সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর পদত্যাগ করেছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। তবে তাঁর পদত্যাগপত্রটি ভুলে ভরা। বানানে ভুল থাকার পাশাপাশি শব্দেও ভুল দেখা গেছে। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী শব্দটি লিখেছেন ‘গনপ্রজাতন্ত্রী’। বঙ্গভবনকে এক শব্দ না লিখে আলাদা লেখা হয়েছে ‘বঙ্গ ভবন’। মহাত্মন লিখতে লিখেছেন ‘মহাত্নন’। আর কারণবশত লিখতে দুটি শব্দ লিখে বশতঃ লিখেছেন ‘স’ ব্যবহার করে। কারণেও ব্যবহার করেছেন ‘ন’। অনুগ্রহপূর্বক লিখতে দুটি শব্দ লিখেছেন। গ্রহণ বানানে ‘ন’ ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও তিনি সুপ্রীম ও আপীল লিখেছেন। যে শব্দ দুটি হবে যথাক্রমে সুপ্রিম ও আপিল। একইভাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার এক মাসের ছুটির আবেদনে ছিল অসংখ্য ভুল। লেখা হয় অমি (হবে আমি)। আবার লেখা ছিল ‘অক্রান্ত। হবে আক্রান্ত। আমরা প্রতিনিয়ত উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলনের পক্ষে কথা বলে থাকি এবং আদালত কর্তৃক বাংলায় সাইনবোর্ড লেখার নির্দেশনাও বহাল রয়েছে। সেখানে বিচারপতিদের ভুলে ভরা বাংলা দুঃখজনক।

ভুলে ভরা বাংলা ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার জন্য প্রথমে দরকার সচেতনতা; প্রমিত বানানরীতি অনুসরণ করা এবং ইংরেজি শব্দের গ্রহণযোগ্য বাংলা পরিভাষা ব্যবহার। এজন্য বিদেশি শব্দের যথার্থ পরিভাষা তৈরি এবং সেগুলোর বানানরীতিও স্পষ্ট থাকতে হবে। তাছাড়া প্রযুক্তির প্রসারের যুগে বাংলাকে ইন্টারনেটের এক্সপ্রেসওয়েতে আরোহণ করতে হবে। এজন্য সরকারি উদ্যোগ ও জনগণের উদ্যম দুটোই প্রয়োজন।

লেখক : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ  এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি, প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামীকাল ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল বিএনপি। এজন্য ডিএমপিতে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

বুধবার বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির কথা জানান।

একই সঙ্গে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

এর আগে, গত শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ারি মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা জানান রিজভী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিয়ের হ্যাটট্রিক করা ইমরানের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ!

খেলোয়াড়ি জীবনে হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও বিবাহিত জীবনে সম্প্রতি হ্যাটট্রিক করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকট লিজেন্ড ইমরান খান। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির এই নেতা কয়েকদিন আগে বুশরা মানেকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৪২ বছর বয়সী বুশরার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ৬৫ বছর বয়সী ইমরানের বিরুদ্ধে এবার ‘অনৈতিক সম্পর্কের’ অভিযোগ আনলেন তার সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খান।

রেহাম খানের অভিযোগ বেশ গুরুতর। তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকার সময় থেকেই নাকি বুশরার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিলেন ইমরান খান। দ্য টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে রেহাম খান ইমরানকে ‘মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বুশরার সঙ্গে কমপক্ষে ৩ বছর ধরে ইমরানের মন দেওয়া নেওয়া চলছে। এমনকী তিনি এটাও বলেছেন, ইমরান-বুশরার বিয়ে নাকি চলতি বছরের ১ জানুয়ারিতেই হয়ে গেছে!

রেহাম খানের ভাষ্য, ‘আমি যতদূর জানি, বুশরার সঙ্গে ইমরানের সম্পর্ক ৩ বছর ধরে। এমনকি আমাদের দাম্পত্য জীবনের মাঝেও ইমরান প্রায়ই বুশরার সঙ্গে দেখা করত। সে আগাগোড়া একজন মিথ্যেবাদী।ইমরান বুশরাকে গত ১ জানুয়ারি বিয়ে করেছে। কিন্তু সে এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করল এখন। একই ব্যাপার সে করেছিল আমাকে বিয়ে করার পর।’

খেলোয়াড়ি জীবনে ইমরানের বদনাম ছিল ‘লেডি কিলার’ হিসেবে। অসংখ্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে অবসর নেওয়ার ৩ বছর পর ব্রিটিশ ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের মেয়ে জেমাইমাকে বিয়ে করেন তিনি। ২০০৪ সালে ডিভোর্স হয় দুজনের। এরপর ২০১৫ সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা রেহাম খানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ১০ মাস টিকেছিল সেই বিয়ে। এবার রেহাম খানের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ইমরানের দাম্পত্য জীবনে না হলেও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় মহান শহিদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

কে. এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিস্তারিত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন। পুষ্পমাল্য অর্পন করেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দেবহাটা থানা, দেবহাটা প্রেসক্লাব, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পাটি, দেবহাটা কলেজ, দেবহাটা বিবিএমপি (মডেল) হাইস্কুল, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজসেবী সংগঠন। পরে সকাল ৯ টায় একটি র‌্যালী উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান উপজেলা মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন। এসময় উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাংবাদিক সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, বাঙালীর ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরুপ জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারীকে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনা করে। সেখান থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ^ একযোগে এইদিনটি পালন করে আসছে আর আমাদের ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামের কথা ও অমর একুশের চেতনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশে^র বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেজন্য এইদিনটির মর্যাদা রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে দিবসটি যথাযথভাবে পালন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রাজস্থানের জয়পুরে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পাপড় বিক্রি করছেন বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশন। ‘সুপার-৩০’ ছবির শুটিং চলছে। সেই শুটিংয়ের অংশ হিসেবেই পাপড় বিক্রি করছেন হৃত্বিক। চরিত্রের মধ্যে এতোটাই ঢুকে গিয়েছিলেন হৃত্বিক এবং মেকআপ ছিল এতোটাই সাধারণ যে, পথচলতি মানুষ কেউ তাকে চিনতেই পারেনি।

তবে এর আগেও নিজের ছবির চরিত্রের সঙ্গে একেবারে একান্তভাবে মিশে যেতে দেখা গেছে হৃত্বিককে। ‘কই মিল গয়া’ ছবিতে এক অটিজমে আক্রান্ত বাচ্চার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হৃত্বিক। ‘কাবিল’-এ তাকে অন্ধ মানুষের চরিত্রে দেখা গেছে।
মাত্র দিন কয়েক আগেই ‘সুপার-৩০’ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসে। ছবিতে গণিতবিদ আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করছেন হৃত্বিক। সেখানে হৃত্বিকের চেহারা দেখে, সকল দর্শকই চমকে গিয়েছিলেন।
বর্তমানে যে ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, সেখানে ৪৪ বছর বয়সি অভিনেতা একটি পুরনো, নোঙরা জামা পরে পাপড় বিক্রি করছেন। গায়ে গামছা দেয়া এবং গালে দাড়িও রয়েছে হৃত্বিকের। গত ২২ জানুয়ারি, এই ছবির শুটিং মুম্বাইয়ে শুরু হয়। তারপর বারানসীতে ছবির একপ্রস্থ শুট হয়ে যায়। ছবিটি আগামী বছর জানুয়ারির ২৬ তারিখ পর্দায় মুক্তি পাবে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আইভোরিয়ান এক ব্যক্তির আট বছর বয়সী এক ছেলেকে সুটকেসের ভেতরে ভরে পাচার করা হয়েছিলো। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো মরক্কো থেকে স্পেনে। সরকারি আইনজীবীরা এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে পিতা আলী ওয়াত্তারার কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই কড়া শাস্তি হয়নি। সন্তানকে যে সুটকেসে করে পাচার করা হচ্ছে সেটা পিতা জানতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর এ কারণে তার শুধু সামান্য জরিমানা হয়েছে।

ঘটনাটি ছিলো ২০১৫ সালের মে মাসের। অল্প বয়সী একটি মেয়েকে ভারী একটি ব্যাগ টেনে নিতে দেখে মরক্কো ও স্পেনের সুতা দ্বীপের সীমান্তের কর্মকর্তারা তাকে থামান। ১৯ বছর বয়সী এক নারী ওই ব্যাগটি টানছিলো। তারপর তারা যখন ওই ব্যাগটি স্ক্যান করে দেখেন তখন তারা স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। দেখেন যে ব্যাগের ভেতরে ছোট্ট একটি শিশু। মায়ের গর্ভের ভেতরে একটি শিশু যেমন ভঙ্গিতে অবস্থান করে শিশুটিও ব্যাগের ভেতরে ওভাবে বসেছিলো। পরে ব্যাগটি খুলে কর্মকর্তারা শিশুটিকে উদ্ধার করেন।

বাচ্চাটি এখন তার মায়ের সাথে পারিসিয়ানে থাকে। তবে সাক্ষ্য দিতে সে এসেছিলো স্পেনের সুতা দ্বীপের একটি আদালতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest