সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

যখন তখন শিরায় টান! হাঁটতে কষ্ট হয়?

যখন তখন শিরায় টান লেগে হাঁটতে কষ্ট হয় আপনার? রক্ত জমে শিরা ফুলে বীভৎস হচ্ছে পা? টেনশনের কারণ নেই। হার্টের অসুখের চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এই সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়। যেটা করছেন পশ্চিমবঙ্গের ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. প্রকাশ হাজরা। কলকাতার গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন থেকে সেই নতুন চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

কাকে বলে?
রক্তবাহ শিরা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা, বড় হয় ও মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় ভেরিকোজ ভেন। পা ও থাইয়ের শিরাতেই এই সমস্যা বেশি হয়। পায়ের ডিপ ভেন দিয়ে অশুদ্ধ রক্ত নিচ থেকে উপরে উঠে হার্টে পৌঁছায়। কিন্তু ভেরিকোজ ভেন হলে তা ঠিকমতো উপরের দিকে উঠতে পারে না। পুনরায় নিচে চলে আসে। তখনই শিরা ফুলে ওঠে বা জালিকার মতো অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।

কীভাবে চিনবেন?
হাঁটতে কষ্ট
পায়ে শিরায় টান ধরে ব্যথা
গোড়ালি থেকে পায়ের উপরের অংশ ফুলে যাওয়া
শিরা ফোলা ও মোটা হয়ে যাওয়া
নীলচে শিরা মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে প্রকট হলে
শিরা ফেটে রক্তক্ষরণ
পায়ের নিচের অংশ রক্ত জমে কালো দেখতে লাগলে ও পায়ে ঘা হলে সাবধান। লক্ষণ না চিনতে পারার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুখের প্রথম ধাপে চিকিৎসা শুরু করেন না অনেকে। বেশ কয়েক বছর বিনা চিকিৎসায় থাকলে পায়ে ঘা হয়ে রক্তপাত হতে পারে।

কাদের হয়?
দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজের সঙ্গে যুক্তরা (পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী, শিক্ষক-শিক্ষিকা) বেশি আক্রান্ত হন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের শিরায় চাপ বেশি পড়ায় ভেরিকোজ ভেন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পায়ের ডিপ ভেনে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা থাকলেও হতে পারে। এছাড়া লম্বা ও মোটা ব্যক্তিদেরও সম্ভাবনা বেশি। ছেলেদের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়। এর কারণ ইস্ট্রোজেন হরমোন। যে সব মহিলার ইস্ট্রোজেন হরমোন ভারসাম্যহীনতার প্রবণতা থাকে তাঁদের ৩০-৩৫ বছর বয়স থেকেই এই অসুখ হতে পারে। আবার কোনও কারণ ছাড়াও ভেরিকোজ ভেন হতে পারে।

বেশিরভাগেরই ২০ বছরের পর থেকে ভেরিকোজ ভেনের সমস্যা শুরু হয়। বয়স যত বাড়ে তত লক্ষণগুলি প্রকট হতে থাকে। এছাড়া পরিবারে কারও এই সমস্যা থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরও হতে পারে।

ডপলার টেস্ট
এই পদ্ধতিতে আলট্রাসাউন্ড করে শিরার ভিতরে রক্তের প্রবাহ, শিরা সরু না মোটা তা দেখা হয়।

আধুনিক সার্জারি
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন- এই মুহূর্তে সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি। এক্ষেত্রে অপারেশন করে শিরা ঠিক করার মতো কোনও কাটাছেঁড়া, রক্তপাত হয় না। লেজার রে দিয়ে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়। রক্ত জমাট বেঁধে ফুলে যাওয়া শিরায় সরু সুচের মতো রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ক্যাথিটার ঢোকানো হয়। তারপর রেডিও এনার্জি রে দিয়ে জালিকার মতো ছড়িয়ে পড়া অংশগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ফুলে ওঠা, মোটা শিরা আগের অবস্থানে চলে আসে।

যে সব রোগীর পায়ের শিরা খুব বড়, হাঁটার সময় ব্যথা হয় বা ঘা হয়ে যাচ্ছে তাঁদের এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাই ভাল। ট্রিটমেন্টের পর নিয়মিত ব্যায়াম, ম্যাসাজ করলে এই রোগ আর ফিরে আসে না। শিরা ফুলে বীভৎস্য দেখতে লাগার জন্য যাঁরা সামাজিক ও মানসিক কষ্ট হয় তাঁদেরও উচিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন করিয়ে নেওয়া। আগে শুধু লেজার রে করা হত। কিন্তু তাতে লাল বা কালো দাগ থেকে যেত। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশনে এই সমস্যা নেই।

স্কেলেরোথেরাপি
এই পদ্ধতি অবলম্বন না করাই ভালো। ভেরিকোজ ভেন মাকড়সার জালের মতো দেখতে হলে লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করে ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় কিছু কেমিক্যাল প্রবেশ করানো হয়। এই কেমিক্যাল রক্ত জমাট অংশকে পুড়িয়ে ভেনকে পুনরায় সচল করে দেয়। কিন্তু হার্টে কোনও ফুটো থাকলে ওই কেমিক্যাল ব্রেনেও পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়া থেরাপির পাঁচ-ছ’বছর পর পুনরায় সমস্যা ফিরে আসতে পারে।

বাড়িতে সুস্থ থাকতে
গরমের জন্য বা আটসাঁট হওয়ার জন্য অস্বস্তি হলেও দিনের বেশির ভাগ সময় এই মোজা পরে থাকা উচিত।
এক জায়গায় এক টানা দাঁড়িয়ে থাকা চলবে না।
রোজ হাঁটাহাঁটি, জগিং, হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
কোনও কারণে পা ফেটে রক্ত বেরলে তৎক্ষণাৎ শুয়ে পড়ে পা উঁচু করতে হবে। তারপর ব্যান্ডেজের মতো কোনও কম্প্রেশন বেঁধে দিতে হবে।
নিয়মিত পায়ে ম্যাসাজ করে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে হবে।
বিশ্রাম নিলেই ভেরিকোজ ভেনের সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। তবে বিছানায় শুয়ে থাকার সময় পায়ের রক্ত যাতে শরীরের নিচ থেকে উপরের অংশে যায় তাই পা উঁচুতে তুলে রাখা জরুরি। তাই পায়ের নিচে বালিশ রেখে শুতে হবে।
সিগারেট, মদ একেবারেই নয়।

জরুরি মোজা ও ম্যাসাজ
ভেরিকোজ ভেনের রোগীদের থাই পর্যন্ত বিশেষ লম্বা মোজা পরতে হবে। এই অসুখে সুপারফিসিয়াল ভেনেও রক্ত জমাট হয়। এই শিরা পেশির কাছেই থাকে। তাই আঁটসাঁট মোজার চাপে শিরা না ফুলে সাধারণ আকারে থাকতে পারে। তাই সার্জারি না করালে সমস্যার শুরু থেকে মোজা পরে থাকতে হবে।

সার্জারি বা অত্যাধুনিক থেরাপি করাতে না চাইলে ওষুধ, বিশেষ মোজা ও ম্যাসাজের মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়। ম্যাসাজের জন্য প্রথমে দু’হাত দিয়ে পায়ের একদম নিচের অংশ ধরতে হবে। তারপর চেপে ধরে নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসাজ করতে হবে। যাতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। রোগী যত বেশি এই পদ্ধতি অভ্যাস করবে সমস্যা তত কম হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তরিকুল ইসলাম লাভলু : একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষের গৌরবোজ্জল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগনের ভাষা আন্দোলনের মর্মান্তুদ ও গৌরবোজ্জল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে বাঙালী জাতীর কাছে স্বরণীয় হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশের নির্মম গুলিবর্ষনে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। আর সেই সকল ভাষা শহীদদের স্বরণে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শহীদ দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রথম প্রহর থেকে নলতায় নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সকালে সকল ধরণের প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে নলতার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ ও হাসপাতাল বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্টাফবৃন্দের উপস্থিতিতে নলতার প্রধান প্রধান সড়কে র‌্যালী শেষে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন শহীদ মিনার চত্বরে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন, শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ, স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা, ক্ষেত্রবিশেষ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ শরীফ ও দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের প্রায় একই সময়ে স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতিতে নলতা হাইস্কুল মাঠ মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন শহীদ মিনারে পুস্পস্তাবক অর্পণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল- স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের পক্ষে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব, নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল ডিগ্রী কলেজ, নলতা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নলতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলতার কে বি আহ্ছানউল্লা জুনিয়র হাইস্কুল, আহ্ছানিয়া দরবেশ আলী মেমো: ক্যাডেট স্কুল, কে বি মোবারক আলী প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল, নলতা হাসপাতাল এন্ড কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশন, নলতা ইউনিয় যুবলীগ, নলতা ইউনিয় ছাত্রলীগ এবং নলতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকস্থলির আলসার ভালো হয় ১৬টি খাবারে

যে কোনো বয়সী মানুষই আলসার বা পেটের ঘা-তে আক্রান্ত হতে পারেন। পাকস্থলির আবরণে এই খোলা লোমকুপের মতো ঘা হয়। হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এই আলসার হয়।

কেউ যদি টানা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসপিরিন এবং ইবুপ্রোফেন বা অ্যাস্টেরয়েড ভিন্ন কোনো প্রদাহজনিত ওষুধ ব্যবহার করেন তাহলেও পাকস্থলিতে আলসার হয়।

আলসার হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয় এবং বিশেষ কিছু খাবার নিয়মিতভাবে খেতে হয়।

কিছু খাবার আছে আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির বিরুদ্ধে লড়াই করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন ১৬টি খাবারের কথা।

১. ফুলকপি 
এতে আছে সালফোরাফেন নামের একটি উপাদান যা হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ওই ব্যাকটিরয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি প্রতিদিন দুবার করে ৭দিন ফুলকপি খান তাহলে তার পাকস্থলিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি ৭৮% কমে আসে।

২. বাধাকপি
এতে আছে ভিটামিন ইউ নামের পরিচিত এস-মিথাইল মিথিওনাইন নামের একটি উপাদান যা আলসারের ক্ষতা সারিয়ে তুলতে পারে। পাকস্থলিতে পিএইচ এর মাত্রায় হেরফের হলে আলসার হয়। আর এই ভিটামিন দেহে ক্ষারক বাড়ায়। এছাড়া এতে আরো আছে অ্যামাইনো এসিড গ্লুটামিন যা আলসার সারতে সহায়ক।

৩. মুলা
এতে আছে আঁশ যা হজমে সহায়ক। এছাড়া জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান শুষে নেয় মুলা। মুলা পাকস্থলির প্রদাহরোধ করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যাও দূর করে।

৪. আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আলসার দূর হয়ে যাবে। এতে আছে এমন সব ফ্ল্যাভোনয়েড যা আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্ম প্রতিরোধ করে।

৫. ব্লুবেরি
সকালে ব্লুবের খেলে পাকস্থলির আলসার দূর হয়। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে এবং আলসারের ঘা দ্রুত সারিয়ে তুলবে।

৬.  র‌্যাস্পবেরি
এতে আছে উচ্চ মাত্রার ফেনোলিক উপাদান। এছাড়া খাদ্য আঁশেরও বড় উৎস এটি। যা খাবার হজম এবং পাকস্থলির প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. স্ট্রবেরি
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, পাকস্থলির আলসারের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করতে পারে স্ট্রবেরি। এতে আছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে আলসার থেকে প্রতিরক্ষা দেয়। প্রতিদিন এক কাপ করে স্ট্রবেরি খেলে আলসারের ঘা সেরে যায় দ্রুত।

৮. বেল পিপার বা ক্যাপসিকাম
মিষ্টি ক্যাপসিকাম পেপটিক আলসার দূর করতে কার্যকর।

৯. গাজর
পাকস্থলির আবরণ শক্তিশালী করতে বেশ কার্যকর গাজর। এতে আছে ভিটামিন এ যা আলসার, প্রদাহ বা বদহজম দূর করে।

১০. ব্রোকোলি
এতে সালফোরাফেন নামের এমন এক ধরনের রাসায়নিক আছে যা আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।

১১. দই
এতে আছে প্রোবায়োটিকস, ল্যাকটোবেসিলাস এবং এসিডোফিলাস যা আলসার সারায়। এছাড়া এটি হজম প্রক্রিয়ায় ভালো এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।

১২. অলিভ অয়েল এবং অন্যান্য উদ্ভিদভিত্তিক তেল
অলিভ অয়েলে আছে ফেনল যা ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। যা হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়াকে আরো ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।

১৩. মধু
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানো এবং ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মধু পাকস্থলির আলসারও সারায়। আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির উৎপাদন প্রতিরোধ করে মধু। প্রতিদিনি সকালে এক টেবিল চামচ মধু খান।

১৪. রসুন
এক কোষ রসুনই হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধে যথেষ্ট। এতে আছে জীবাণু নাশক উপাদান যা আলসার সারিয়ে তুলতে সহায়ক। ভলো ফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন ২-৩ কোষ রসুন খান।

১৫. ক্যাফেইনমুক্ত গ্রিন টি
এতে আছে ইসিজিসি নামে ক্যাটেচিন এর উচ্চ মাত্রা যা আলসার সারায়। এর প্রদাহরোধী এবং পঁচনরোধী উপাদান আলসারের সারাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক কাপ করে গ্রিন টি পান করুন।

১৬. যষ্টিমধু
প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি। আলসার এবং গ্যাস্ট্রিটিস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে যষ্টিমধু। এর প্রদাহরোধী উপাদান পাকস্থলিতে প্রদাহ কমায়।

এছাড়া নিয়মিত শাক-সবজি খেলেও আলসার দ্রুত ভালো হয়। আপনি যদি আলসারের জন্যা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান তাহলে পাশাপাশি প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবারও থেকে হবে নিয়মিত। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বাড়বে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমবে।

বিফিডোব্যাকটেরিয়াম, স্যাক্কারোমাইসেস এবং ল্যাকটোবেসিলাস নামের প্রোবায়োটিক ওষুধগুলো এ ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারত মহাসাগরে চীনের যুদ্ধজাহাজ
মালদ্বীপে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই পূর্ব ভারত মহাসাগরে যুদ্ধজাহাজ নামিয়েছে চীন। চলতি মাসেই চীনের নৌবাহিনীর যুদ্ধাজাহাজগুলো ভারত মহাসাগরে আসে বলে চীনের একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
অন্তত একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট এবং তিনটি ট্যাংকার আছে সাগরে। তবে কখন এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে সেই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছে ভারত। গতকালই মালদ্বীপের পার্লামেন্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ৩০ দিন বাড়িয়েছে। ৫ ফ্রেব্রুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। মঙ্গলবার ছিল মেয়াদের শেষ দিন।
এদিনই পার্লামেন্টে এমপিরা মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন। রবিবার রাতে ১২ বিরোধী এমপিকে বহিষ্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ইয়ামিনের দল। অন্যদিকে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ বর্তমান প্রেসিডেন্টকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পেপ গার্ডিওলা বায়ার্ন মিউনিখে যাওয়ার পর বার্সেলোনার কী অবস্থা হয়েছিল? লিওনেল মেসি, আন্দেজ ইনিয়েস্তা, জাভি আলনসো, জেরার্ড পিকের মতো মহাতারকারা থাকার পরও খাদে পড়েছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি! চন্ডিকা হাতুরাসিংহে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পর কী বাংলাদেশ দলেরও একই অবস্থা হয়ে গেল নাকি? তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফিরা থাকার পরও কেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের এই ভরাডুবি!

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো ‘টেস্ট সম্রাট’দের হারিয়েছে বাংলাদেশ। যে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সদ্য নাস্তানাবুদ হয়ে গেল সেই শ্রীলঙ্কাকেই কিন্তু তাদের মাটিতে নাজেহাল করেছিল এই বাংলাদেশ! ঐতিহাসিক শততম টেস্টে কী অসাধারণ জয়। সেবার লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজেও হারেনি বাংলাদেশ।

টাইগারদের জয়রথটা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে। তার আগে টাইগাররা জয় পেত কালেভদ্রে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন মাশরাফিরা। তারপর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়।

ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত সব শেষ আইসিসির টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। যেখানে একই গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দল ছিল। ক্রিকেটে সাফল্যের গ্রাফটা যখন ঊর্ধ্বমুখী তখনই হঠাৎ ছন্দপতন। কেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের এই ভরাডুবি?

‘এক্স-ফ্যাক্টর’ অবশ্যই চন্ডিকা হাতুরাসিংহে! বাংলাদেশের ক্রিকেটে লঙ্কান এই কোচের অবদানের কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে এই ভরাডুবির পেছনের রহস্য নিয়ে ‘ব্যবচ্ছেদ’ করতে গেলেও সামনে চলে আসবে হাতুরার নাম!

বাংলাদেশের ক্রিকেটের ছন্দপতন শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রোটিয়াদের দেশে খেলতে গিয়েছিল টাইগাররা। যাওয়ার আগে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, ‘এবার আমরা এমন কিছু করতে চাই, যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

দলের প্রতি কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে একজন অধিনায়ক দেশ ছাড়ার আগে এমন কথা বলার সাহস রাখেন! কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার পর মুশফিকই প্রথমে সংবাদ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তাকে নির্দিষ্ট জায়গায় ফিল্ডিং করতে বাধ্য করেন কোচ! তারপর থেকেই দলের ভিতরের চিত্রটা বাইরে চলে আসে!

হয়তো দলের ভিতরের কথা মিডিয়াকে বলা ঠিক হয়নি মুশফিকের। কিন্তু তাই বলে একজন অধিনায়ককে এমনভাবে নির্দেশ দিতে পারেন কোনো কোচ? একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হাতুরা ইচ্ছাকৃতভাবেই কাজটি করেছিলেন। কেন না দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেই শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছিলেন তিনি। তাই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার এক অজুহাত খুঁজছিলেন। কেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড হাতুরাকে যে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিলেন, বিশ্বের কোনো বোর্ড তাদের কোচকে এমন ‘সুপার পাওয়ার’ দিয়ে রাখে কিনা তাতে সংশয় রয়েছে!

হাতুরার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি ছিল ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু লঙ্কান কোচের মননে মগজে ছিল প্রিয় দেশ ‘শ্রীলঙ্কা’। তাই বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার জন্য তার সামনে তো একটা অজুুহাত চাই। সে কারণেই হয়তো মুশফিককে খোঁচা দিয়েছেন প্রথমে।

হাতুরাসিংহে কেবল অসাধারণ মেধাবীই নন, ভয়ঙ্কর রকম চতুরও বটে! তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন। কিন্তু আমাদের বোর্ডে অদূরদর্শিতার কারণে মেরেছেন তিন পাখি! মুশফিকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে তিনি একদিকে যেমন বোর্ডের সঙ্গে মুশফিকের দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছেন, অন্যদিকে দলের ঐক্যে ভাঙন সৃষ্টি করে দিয়ে সটকে পড়েছেন। তৃতীয়ত, হাতুরা জানতেন শ্রীলঙ্কার হয়ে তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশেই। তাই এই সফরে সফল হতে হলে বাংলাদেশ দলের মধ্যে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে হবে। তাই করেছেন।

হাতুরার ফাঁদে পা দিয়ে বিসিবিও বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি বিরাগভাজন হয়েছে। মুশফিককে টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তাকে উইকেটকিপিং থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এক কথায় বোর্ড মুশফিককে আন্ডার প্রেসারে রেখেছে। এমন অবস্থা মুশফিকের কাছে কি আর ভালো পারফরম্যান্স আশা করা যায়! হাতুরার ভাগ্য খুবই ভালো! তাই তো এমন সময়ই কিনা দলের সেরা পারফর্মার সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে পড়লেন। তা না হলে হয়তো বাংলাদেশ দলের এমন শোচনীয় অবস্থা হতো না।

বাংলাদেশে এসে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের উড়ন্ত জয় দেখে যেন খানিকটা ভড়কেই গিয়েছিলেন হাতুরা! কোচ না থাকার পরও এত চমৎকার খেলতে পারে একটি দল। কিন্তু এরপরই পরিকল্পনার অভাবে খাদে পড়ে গেল বাংলাদেশ। ত্রি-দেশীয় সিরিজের ফাইনালে হার। অতঃপর টেস্ট সিরিজে পরাজয়। টি-২০তে আত্মবিশ্বাসের অভাবেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।

সব কিছুর পরও এমন শোচনীয় অবস্থার দায়টা ক্রিকেটারদের কাঁধেই বর্তায়। কেন না বাংলাদেশ এখন পেশাদার দল। ক্রিকেটাররাও পেশাদার। তাই ভিতরের দুর্বলতা কেন বাইরে প্রকাশ পেল! কেন সব কিছু বুকে চাপা রেখে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য তারা সেরা পারফর্ম করে লঙ্কানদের উড়িয়ে দিতে পারলেন না?

তবে এটা ভাবার উপায় নেই যে, এই একটা দুইটা সিরিজেই এদেশের ক্রিকেট শেষ হয়ে গেছে! বাংলাদেশ দলে এখন এক একজন ক্রিকেটার এক একটি রত্ন! হিরা, চুনি, পান্না, মণি, মুক্তা, জহরতদের নিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখন এই রত্নগুলো একত্রে করার জন্য একজন ভালো কোচ দরকার। প্রভাবশালী কোচ। যিনি বাংলাদেশের দলের গ্রাফটাকে আবার ঊর্ধ্বমুখী করে দেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আন্দ্রেয়াজ ক্রিশ্চেনসেনের ভুলের সুযোগ নিয়ে শেষমেশ দ্য ব্লুজ-দের বিরুদ্ধে গোল খরা কাটালেন লিওনেল মেসি। একই সাথে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে উইলিয়ান শো মাটি করলেন এলএম টেন।

প্রকৃত অর্থে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বাছতে বসলে মেসির থেকেও এগিয়ে রাখতে হয় উইলিয়ানকে। তবে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেন এলএম টেনই। একটা সুযোগ এবং একটা গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগের প্রি-কোয়ার্টারে বার্সেলোনাকে অ্যাডভান্টেজ এনে দেয় সুযোগ সন্ধানী আর্জেন্টাইন তারকাই।

উইলিয়ানের গোলে পিছিয়ে পড়লেও কাতালান ক্লাবকে সমতায় ফিরিয়ে মেসিই ফিরতি ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে স্বাগত জানিয়ে রাখেন চেলসিকে। বলাবাহুল্য, মেসির অ্যাওয়ে গোলের সুবাদেই ফিরতি লেগে বার্সেলোনা ফেভারিট নিজেদের ডেরায়। যদিও মেসি আতঙ্ক নীল বাহিনীকে স্বস্তিতে থাকতে দেবে না পাল্টা লড়াইয়েও।

প্রথমার্ধে দু-দু’বার উইলিয়ানের দূরপাল্লার শট পোস্টে প্রতিহত হয়। শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বারের চেষ্টায় বার্সার জাল খুঁজে পায় উইলিয়ানের শট। ৬২ মিনিটে হ্যাজার্ডের পাস থেকে গোল করেন তিনি। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখলেও ক্রিশ্চেনসেনের একটা ভুলই জয়ের সম্ভাবনা দূর করে দেয় চেলসির।

নিজেদের বক্সে ক্রিশ্চেনসেনের ভুল পাস ইনিয়েস্তাকে মেসির জন্য গোলের রাস্তা তৈরি করে দিতে প্রলোভিত করে। ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বল ধরে চেলসির বিরুদ্ধে প্রথমবার গোল করার নজির গড়েন লিও। ৯ ম্যাচে চেলসির গোল পোস্ট লক্ষ্য করে ৩০টি শট নেওয়ার পর অবশেষে সাফল্য পান তিনি। ৭৩০ মিনিট মাঠে থাকার পর শেষমেশ চেলসির গোলমুখ খুলতে সক্ষম হন মেসি। আর কোনও দলই মেসিকে এত দীর্ঘ সময় গোল করা থেকে আটকাতে পারেনি।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনও গোল না হওয়ায় ১-১ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ হয়। সুতরাং আগামী ১৪ মার্চ ন্যু ক্যাম্পে মেসিরা মানসিকভাবে এগিয়ে থেকে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারতে বড় অঙ্কের ব্যাংকিং প্রতারণার ঘটনায় দরপতন ঘটেছে মুদ্রাবাজারে। গতকাল মঙ্গলবার রুপির দাম কমে তিন মাসে সর্বনিম্নে নেমেছে। দ্বিতীয় বৃহৎ রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় রুপির এ দরপতন ঘটল বলে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।

গতকাল ডলারের বিপরীতে রুপির দর পড়েছে ০.৯ শতাংশ, যা মধ্য নভেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বড় দরপতন। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (পিআইবি) ১.৭৭ বিলিয়ন ডলার আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে রুপির দরপতনের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

এ ছাড়া গত জানুয়ারি মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে সাড়ে চার বছরে সর্বোচ্চ হয়েছে। এ নিয়েও বিনিয়োগকারীরা কিছুটা উদ্বেগে আছেন। গতকালও টানা পঞ্চম দিনের মতো পিআইবির শেয়ারের দর পড়েছে ১.২ শতাংশ। লেনদেন কমে দেড় বছরে সর্বনিম্নে নেমেছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি পিআইবির আর্থিক কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটনের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর এক-তৃতীয়াংশ পড়ে গেছে। এ ছাড়া রেটিং সংস্থা মুডিস ব্যাংকটির রেটিং মান কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে।

বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, ঋণের কারণে ভারতের বৃহৎ ব্যাংকিং খাত ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে গত সোমবার শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতের দর কমে চার মাসে সর্বনিম্নে নামলেও গতকাল আবারও তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং শেয়ারের দর বেড়েছে ০.৭ শতাংশ।

লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের বাজার বিশ্লেষক সিমন কুইজানো-ইভান্স বলেন, ব্যাংক খাতের এ প্রতারণা সবাইকে হতবাক করেছে। ফলে ভারতের ব্যাংকিং খাতে এর কী প্রভাব পড়ে বিনিয়োগকারীরা তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আমার কামব্যাকটা বলবো রিয়েলি ওয়েলকাম ছিল, ছিল বললেও ভুল হয়ে যায় সেটা কন্টিনিউয়াস টেন্সের ওপরে আছে। আমার এই ফিরে আসায় কিছু মানুষ এতো উচ্ছ্বসিত হবে ভাবতে পারিনি। এই ক’দিন আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রোগ্রামে গিয়েছি, সেখানে আমার পরিচিতরা এতো উচ্ছ্বাস দেখাল; পিকনিকে গেলাম সেখানেও আমি সাদর সম্ভাষণ পেলাম। কী বলবো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

কথাগুলো বলছিলেন, দীর্ঘ দশ বছর পর অভিনয়ে ফেরা ঐন্দ্রিলা আহমেদ। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত বিলাভড নাটকটি প্রচারিত হয়েছে। আর এই নাটকের সাথে আলোচিতও হচ্ছেন তিনি। অপূর্বের বিপরীতে এই নাটকে ঐন্দ্রিলার অভিনয় ছিল মোহনীয়। তাকে নতুনভাবে পেয়েছে দর্শক। নতুন এই ফেরাটাও দারুণ উপভোগ করছেন তিনি।

তবে এর মাঝে স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়েও বেশ সময় দিচ্ছেন। যদিও ঐন্দ্রিলা বলছেন এই দীর্ঘ বিরতিতে তিনি অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট লিখেছেন, যেগুলো নিয়ে অনেক নির্মাতাই কাজ করে যাচ্ছেন। আরও লিখছেন। এর মধ্যেই চলছে অভিনয়। নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ’র সাংসারিক ভালোবাসা, কাজী সাইফের আতঙ্ক, পৃথু রাজের জল পুকুরে ডুব ও দীপু হাজরার ফেক ফেক লাভ।

এছাড়াও এই মুহূর্তে হাতে কাজ রয়েছে পৃথু রাজের ছোট ছোট আশা, দীপু হাজরার, রিদম ও পনির খান এর নিঃশব্দ তুমি আর নিঃশব্দ আমি। এছাড়াও বেশকিছু কাজ রয়েছে বলে জানান ঐন্দ্রিলা।

দীর্ঘ ১০ বছর পর ফিরেই গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন ঐন্দ্রিলা। অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় বিজ্ঞাপন চিত্রটি এখন টেলিভিশন খুললেই দেখা যায়। এছাড়াও বিলাভড কন্যা হিসেবেও ঐন্দ্রিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের দৃষ্টি কেড়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest