সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে পদযাত্রা : উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবিসাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারও সাতক্ষীরা বাসটার্মিনালে হামলা করে মারপিট ও অফিস ভাংচুর করেছে একদল শ্রমিক। তারা বাস মালিক সমিতির এক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হারুন জানান, একদল শ্রমিক কোনো কারণ ছাড়াই বাস টার্মিনালের একটি কক্ষ ভাংচুর করে। তারা বাসমালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের কক্ষও ভাংচুর করে। তিনি জানান, এ সময় শ্রমিকরা বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান আসাদুল হককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারা তার ওপর চড়াও হবার চেষ্টা করে। এতে দুই পক্ষে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এ সময় আসাদুলকে উদ্ধার করে। এসআই হারুন আরও জানান শ্রমিকদের হামলায় জিয়া নামের একজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার বাসটার্মিনালে একই ভাবে হামলা করে তারা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে জেলার সব রুটে এক ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষায় পদে পদে ঘুষ বাণিজ্য

অনলাইন ডেস্ক: দেশের শিক্ষা সেক্টরে পদে পদে ঘুষ বাণিজ্য সব দফতরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। থানা শিক্ষা অফিস থেকে শুরু করে শিক্ষা অধিদফতর পর্যন্ত সব বিভাগ, শাখা ও ইউনিটেই ‘ঘুষ’ একচ্ছত্র প্রভাব নিয়ে আছে। স্কুলে ছাত্র ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, শিক্ষকের এমপিওভুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, জাতীয়করণ এমনকি অবসরের পর পেনশনের টাকা তুলতেও ঘুষ চলছে অবাধে। বিভিন্ন খাতে ডিজিটালাইজেশনে দুর্নীতি কমলেও শিক্ষা খাতে তার ছোঁয়া লাগেনি। ঘুষ-দুর্নীতি নিশ্চিত করতে এমন সব কৌশল আবিষ্কার হয়েছে যা রীতিমতো বিস্ময়কর। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে কথা বলতে গেলেও ঘুষ লাগে বলে প্রচার আছে। সেখানে কোনো শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তা আমলে নিতে হলেও চাহিদামাফিক টাকা খরচ করতে হয়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করাতে যেমন টাকা লাগে, আবার তদন্ত টিমের কার্যক্রম থামিয়ে দিতেও ঘুষের প্রচলন রয়েছে। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রুটিন পরিদর্শনে গেলেও তাদের খুশি না করে উপায় থাকে না। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তিতে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত অন্তত ছয়টি ধাপে ২০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণে ঘুষ দিতে হয় কমবেশি ২০টি ধাপে। এ নিয়ে তহবিল সংগ্রহের তথ্যও আছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, আগে তাদের এমপিও প্রতি ঘুষ দিতে হতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এখন সেই ঘুষের পরিমাণ দুই থেকে তিনগুণ বেড়েছে। এ ছাড়াও নাম, বয়সসহ নানা বিষয় সংশোধন, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ফাইল পাঠাতে ঘুষ দিতে হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, জেলা শিক্ষা অফিসারকে দিতে হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এসব ক্ষেত্রে মোট ঘুষ দিতে হয় ২৫/৩০ হাজার টাকা। ২০১৫ সালে সারা দেশের এমপিও নয়টি আঞ্চলিক অফিসে বিকেন্দ্রীকরণ করার পর শিক্ষক হয়রানি, ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। অভিযোগ উঠেছে, এমপিও দেওয়ার আগ মুহূর্তে প্রতিটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়।

ঘুষ-দুর্নীতির মচ্ছব : ঘুষ ছাড়া শিক্ষা ভবনে কিছুই হয় না। নানা নামে ঘুষ নেন কর্মকর্তারা। রয়েছে বিভিন্ন অঙ্কের রেট। এমপিওভুক্তি, পদোন্নতি, টাইম স্কেল সব এখান থেকেই হয়। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কিংবা কিন্ডারগার্টেনের অনুমতি নিতে বিশাল অঙ্কের টাকা ঘুষ দিতে হয়। একই অবস্থা হাইস্কুল ও কলেজের ক্ষেত্রেও। এই ঘুষের পরিমাণ সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা। কোনো কারণে প্রতিষ্ঠান বা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনুদান বা বেতন বন্ধ হয়ে গেলে তা পুনরায় চালু করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। পেনশনের কাগজপত্র প্রসেসিংয়ে ঘুষ দিতে হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের আগে পরিদর্শককে ঘুষ দিতে হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এই ঘুষের পরিমাণ ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

ঘুষ লেনদেন বাণিজ্য সফল করতে শিক্ষা ভবনেই গড়ে উঠেছে আলাদা সিন্ডিকেট। একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দুই নেতা। অন্যদিকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির জাঁদরেল এক নেতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা আরেকটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সিন্ডিকেট সদস্যরা সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনেকে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে বেপরোয়াভাবে। শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্তি, উপবৃত্তি, বই বিতরণ ও বিভিন্ন শিক্ষকের অনিয়ম তদন্ত সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা অনিয়ম করছে। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে। এ ছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এমনকি বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের হাতে শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মাউশির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অধিদফতরের সিনিয়র কিছু কর্মকর্তার কারণে এসব অনিয়মের তদন্তও হয় না। অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, রাজধানীর মিরপুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম রনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের মার্চে ওই পদে এমপিওভুক্তির জন্য তাকেও ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আ. মোতালেব তারই অঞ্চলের উপ-পরিচালক এ এস এম আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফকে দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাউশি। ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যশোর জেলার ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান। ওই শিক্ষকরা বলেছেন, ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিয়েই এমপিও পাওয়া যায়। উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয় এই তিন জায়গায় ঘুষ না দিলে এমপিও পাওয়া যায় না।

চিঠিপত্রেও ঘুষ-হয়রানির ফাঁদ : প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা বলছেন, মাঝে-মধ্যেই ভুল পরিপত্র ও অসঙ্গতিপূর্ণ নানা ধরনের সরকারি চিঠি জারি করা হয়। এরকম একাধিক পরিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে হাজার হাজার শিক্ষকের বেতন-পেনশন বন্ধ হয়ে আছে। চাকরি হারিয়ে জাতীয়করণকৃত বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষক এখন ধরনা দিচ্ছেন জেলা-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। একই কারণে উন্নীত স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। আর তিন ধাপে দেড় বছরের মধ্যে জাতীয়করণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ থাকলেও তা শেষ হচ্ছে না তিন অর্থবছরেও। এ নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে।

সব স্তরে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে না পেরে সহনীয় মাত্রায় ঘুষ নিতে শিক্ষামন্ত্রী যে আকুতি জানিয়েছেন তাতে শিক্ষা খাতে দুর্নীতির করুণ চিত্রই ফুটে উঠে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনানুষ্ঠানিক একটি নোটও দেন। ওই নোটে তিনি নিজের মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতা, ভুলত্রুটি, ব্যর্থতা স্বীকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। এ ছাড়া দুর্নীতি, অনিয়ম, শিক্ষক হয়রানির কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যে কোনো স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, শিক্ষামন্ত্রীর এই নোটের পর নড়েচড়ে ওঠেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। শিক্ষা সেক্টরের এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের ৩৯টি সুপারিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব সুপারিশে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নোট বা গাইড বই বন্ধ, কোচিং বাণিজ্য রোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, এমপিওভুক্তি, নিয়োগ ও বদলিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস এবং তা বন্ধের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত ‘শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিম’-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

শ্যামনগর ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগর উপজেলা উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার শ্যামনগর ব্যুরো গাজী আল ইমরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি এবং উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নওয়াঁেবকী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জুলফিকার আল মেহেদী লিটন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আবু সাইদ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ এম কামরুজ্জামান প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করতে হবে। সত্যের পথে কলম চালাতে হবে অবিরল। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন ,রিপোর্টার্স ক্লাব সুনামের সাথে এ জনপদের মা মাটি ও মানষের সেবায় কাজ করে যাবে এটা আমার বিশ্বাস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমজাদ হোসেন মিঠু। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ওসমান গনি সোহাগ জাতীয় সংসদ এর আমার এমপি এ্যাওয়ার্ড ২০১৮ ভূষিত হওযায় ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং এরপর দোআ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আব্দুল আলিম। অনুষ্ঠানটিতে ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেন শ্যামনগর উপজেলা সোনালী ব্যাংকের সামনে অবস্থিত অত্যাধুনিক কফি সপ ও রেস্টুরেন্ট “কুটুম বাড়ি”।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পক্ষ থেকে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় পলাশপোল সুন্দরবন কলেজ এন্ড টেকনোলজি সংলগ্ন সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী সুমনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. একেএম তৌহিদুর রহমান শাইন (এপিপি)’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাহীনুল ইসলাম (শাহীন), অর্থ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম, কার্যকারী সদস্য জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, রুবেল ইসলাম মল্লিক, ফিরোজ হোসেন স¤্রাট, মোঃ আবু সাঈদ, শেখ মনিরুজ্জামান, মোঃ আরিফুজ্জামান রাসেল, শেখ শাহাদাত আলম রিপন প্রমুখ। সভায় সংগঠনের পূর্ববর্তী সভার কার্যক্রম গঠন ও অনুমোদন সহ। সাতক্ষীরা সদর, পৌর ও তালা উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন প্রসঙ্গে এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কমিটি বিলুপ্ত প্রসঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রাখাইনে ৫ গণকবরে ৪০০ লাশ’

মিয়ানমারের রাখাইনের একটি গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আর এসব গণকবরে অন্তত ৪০০ মৃতদেহ তারা দেখেছে।

বৃহস্পতিবার প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এসংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে। জানা যায়, এসব মানুষকে হত্যার পর মাটি চাপা দেয় মিয়ানমারের সেনারা। এরপর চেহারাও বিকৃত করা হয় এসিড দিয়ে, যাতে চেনা না যায়।

এপি জানায়, স্যাটেলাইট চিত্র এবং রোহিঙ্গাদের ভাষ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের রাখাইনের গু দার পাইন গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গ্রামটির উত্তর দিকে তিনটি বড় গণকবর, আর গ্রামের কাছে পাহাড়ের পাশে আরো দুটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেনারা অনেককে নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়, অনেককে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। এসিডে দগ্ধ করা হয় অনেকের শরীর। কমপক্ষে ৪০০ মানুষকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়, যাদের ২০ জন শিশু ছিল।

বার্তা সংস্থাটি আরো জানায়, গু দার পাইন গ্রামের একটি স্কুলে মিয়ানমারের ২০০ সেনা ঘাঁটি গেড়েছিল। হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য তারা শুধুই রাইফেল, ছুরি, গ্রেনেড ও রকেট লঞ্চারই সঙ্গে আনেনি; এসিডও নিয়ে এসেছিল।

এক প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গা বর্ণনা দেন, ফুটবল মাঠে বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছিল মিয়ানমারের সেনারা। নিহতদের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, মুখের একটি অংশ ছিল এসিডে দগ্ধ এবং বুলেটবিদ্ধ।

এপি জানায়, মিয়ানমার সরকার ওই গ্রামে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। কতজন মারা গেছে তার জানা যায়নি। তবে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ভিডিও তারা পেয়েছে।

এদিকে, গণকবরের খবরের জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি জানান, এটি গণহত্যার আলামত। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান তিনি।

গত বছর ২৫ আগস্ট রাখাইনে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনারা। এরপর গণহত্যা, গণধর্ষণের মুখে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বিভিন্ন দেশের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার চুক্তি করে ঢাকার সঙ্গে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বলছেন, মিয়ানমারে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাষ্ট্রপতির কাছে ‘সিদ্ধান্তপত্র’ দিলেন শেখ হাসিনা

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে গিয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন বঙ্গভবনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তারা।

বঙ্গভবন জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্তপত্র জমা দেন শেখ হাসিনা। এতে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি পদে মো. আবদুল হামিদকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৭ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ের পর ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদা বলেছিলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।

গতকাল রাতেই আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী মনোনীত করা হয়। বৈঠকের পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভাতের অভাবে কাঁদতে হচ্ছে সাতক্ষীরার বরেণ্য অভিনেত্রী রাণী সরকারকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাণী সরকার, সাতক্ষীরার এক কৃুত সন্তান, চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন ১৯৫৮ সাল থেকে। এরই মধ্যে তিনি এক হাজারের ও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো কাজের ডাক পাচ্ছেন না তিনি। বলতে গেলে অর্থকষ্ট ও অর্ধাহারেই দিন কাটছে তাঁর।
রাণী সরকার বলেন, ‘এভাবে ভাতের অভাবে কাঁদতে হবে ভাবিনি। দিনটা শুরু হয় ভাতের অভাব দিয়ে। চাল থাকে তো নুন থাকে না অবস্থা। এভাবে জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি দিনগুলো কীভাবে কাটবে বুঝতে পারছি না। কারো বাসায় গেলে চা বিস্কুট খাওয়ায়, কিন্তু ভাত দেয় না কেউ। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, সবাই আমাকে চেনে, যে কারণে ভিক্ষা করার কথা চিন্তাও করতে পারি না।’
সংসারে কে কে আছেন, কীভাবে চলে সংসার জানতে চাইলে রাণী সরকার বলেন, ‘আমরা তিন ভাইবোন ছিলাম, বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই পঙ্গু, এখনো প্রতি সপ্তাহে চিকিৎসা করাতে হয়। তার বউ-বাচ্চাসহ মোট ছয়জনের সংসার। ছোট ভাই কোনো কাজ করতে পারে না। আমার সংসার চলে প্রধানমন্ত্রীর টাকায়। তিনি আমাকে ২০ লাখ টাকার একটা চেক দিয়েছিলেন, সেখানে থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা পাই। আমরা যে বাড়িতে থাকি, ছোট দুই রুমের একটা বাসা, তাও সব মিলিয়ে ১৩-১৪ হাজার টাকা চলে যায়। বাকি ছয়-সাত হাজার টাকা দিয়ে কোনো ভাবে চাল ডাল কিনি, কিন্তু তা দিয়ে চলা সম্ভব নয়, যে কারণে আমার সংসার আর চলে না।’
কাজ করতে চান জানিয়ে রাণী সরকার বলেন, ‘আমি কারো কাছে ভিক্ষা চাইছি না, আমি কাজ করে ভাত খেতে চাই। আমাকে আপনারা কাজ দেন, কাজের বিনিময়ে যত ইচ্ছে টাকা দেন। আপনাদের শুটিংয়ে গেলে অন্তত সেই সময়টা ভালো খেতে পারব, কিছু টাকা পেলে বাড়িতেও দুদিন খাবার হবে।’
চার দশকের মতো কাজ করলেও কেন কোনো সঞ্চয় করেননি জানতে চাইলে রাণী সরকার বলেন, ‘আমরা কি আর টাকার জন্য কাজ করেছি? নেশা থেকেই কাজ করতাম। যেদিন শুটিং থাকত না, সেদিনও এফডিসিতে গিয়ে আড্ডা দিয়ে আসতাম। তা ছাড়া একজন সহশিল্পী কত টাকা পায়? টাকা তো পায় হিরো হিরোইনরা। তাঁরা দুই লাখ টাকা পেলে আমরা পেতাম দুই হাজার, ছবির পরিচালকও ঠিক মতো টাকা পায় না। শুধু আমাদের সময়ই না, এখন যারা সহশিল্পী হিসেবে কাজ করছে তাদের কতজন স্বচ্ছল? এটা আসলে বলে লাভ নেই। টাকা যা পেয়েছি, তখন পোলাও কোরমা খেয়েছি, কিন্তু জমানোর মতো টাকা কখনোই পাইনি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এসএসসি’র ১ম দিনে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার, অনুপস্থিত ১৩২ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালায় এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে কেন্দ্রে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে চার শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তালা তালা উপজেলার বি দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন, খলিলনগর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুমারেশ চন্দ্র সাধু, শতদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেসমিন খাতুন, সুভাষিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রণব কুমার ঘোষ এবং রথখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুব্রত কুমার রায়।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরিদ হোসেন জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে অসাদুপায় অবলম্বনে সহায়তা করার অভিযোগে চার শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে, জেলার ৪১ টি পরিক্ষা কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৩১৩ পরিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ১৩২ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest