সর্বশেষ সংবাদ-
কলারোয়ায় প্রতারক তফুরার হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীর মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ধর্ষনের অভিযোগে রমজান আলী নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতারআশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধনপ্রথম আলো বন্ধুসভার ইফতার মাহফিলতালার আলোচিত দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ আবারো ভোক্তা অধিদপ্তরের জালেসাতক্ষীরায় ১৯৯ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ : ২০ হাজার টাকা জরিমানাসরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পেশকারের বিরুদ্ধেদেবহাটায় পানিতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যকর ফোরামের পক্ষ থেকে প্রান্তিকে সম্মাননাথানাঘাটায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বদরুজ্জামান বদুর গণসংযোগ

৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে কলারোয়ায় যুবলীগের আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা যুবলীগ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দেয়া (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করায় যুবলীগ এ মিছিলের আয়োজন করে।
বুধবার বিকেলে মিছিলটি পৌরসদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাছারি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ করে।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা, যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, পৌর যুবলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক নয়ন, আ.লীগ নেতা সাংবাদিক সরদার জিল্লুর রহমান, যুবলীগ নেতা এসএম আলমগীর হোসেন, ডালিম হোসেন প্রমুখ।
মিছিল-সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের শোভাযাত্রা

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করায় আনন্দঘন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কলেজ চত্বরে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুস আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডা.আনিছুর রহমান, কলারোয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ ফারুক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তরা কলেজটির ২য় তলা ভবন নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সর্বাধিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল বারিক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলেজের প্রভাষক ডা.হাবিবুর রহমান। এর আগে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের অর্থ অপচয়সহ অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ৮ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহরে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমাখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের সরকারি অর্থ অপচয়, জমি হস্তান্তর, শিক্ষক-কর্মচারিদের নিয়োগ,বেতন ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক হোসেন আলী খোন্দকার আগামি ৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ তদন্ত শুরু করবেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ষাটলিপিকার থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে এসএম মাহাবুবর রহমান একই স্থানে ২৭ বছর কাজ করার সুবাদে পেশী শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি তার বাবার নামে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা তৈরি করে সভাপতি হয়ে জেলা পরিষদ থেকে নেওয়া ও প্রকল্প বরাদ্দ বাবদ কয়েক কোটি টাকা শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন, শিক্ষার্থীদের বোর্ডিং খরচ ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বেআইনিভাবে অপচয় করছেন মর্মে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে লিগ্যাল নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-ল। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর গত ২৪ অক্টোবর ওই প্রতিষ্ঠান ও জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ওই দপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালককে নির্দেশ দেন। এ চিঠি পাওয়ার পর খুলনা বিভাগীয় পরিচালক হোসেন আলী খোন্দকার গত ২৪ অক্টোবর এক চিঠিতে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমাখানার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অনিয়মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলিলপত্রাদিসহ আগামি ৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-ল, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচীবকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর ২৭(৩) ধারা মোতাবেক প্রথম তফশীলের দ্বিতীয় অংশ ঐচ্ছিক কার্যাবলীর (গ) ২৬ মোতাবেক ২০১৩ সালের ৮ মে ও ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ৪৮(২) গ ধারার বিধান রেজিস্ট্রি দলিল মূলে ধুলিহরে চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে ও এতিমাখানার স্থাবর সম্পত্তি জেলা পরিষদে দান সূত্রে নিয়ে জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রেজিস্ট্রেশন পরবর্তী উক্ত প্রতিষ্ঠানের অস্থাবর সম্পত্তি সমূহ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়। সেই থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নিজস্ব মালিকানায় ও অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
অপরদিকে জেলা পরিষদ থেকে সংগৃহীত আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা সম্পর্কিত কাগজপত্র ও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ সদস্য মীর জাকির হোসেন, শিল্পী রানী মহালদার ও সৈয়দ আমিনুর রহমানের পরিদর্শন প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশে ভিন্নতা থাকায় জেলা পরিষদের টাকা তছরূপের বিষয়টি জেলাব্যাপী আলোড়ন তোলে। সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে প্রাথমিকভাবে স্থাপিত হয় ও ২০১৩ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন(সাত- ১১৭৭/২০১৩) লাভ করে। ওই প্রতিষ্ঠানে দানপত্রের মাধ্যমে এক একর ২৩ শতক জমি দেখানো হয়।
এদিকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বার্হী এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কাগজপত্র থেকে জানা গেছে ২০১২ সালে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর দানপত্র দলিলমুলে সাড়ে ২০ শতক জমি জেলা পরিষদে দান করেন আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এসএম মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া আরো ছয়জন দাতা মিলে এক একর আড়াই শতক জমি দান করেছেন উল্লেখ করলেও তার কোন দলিল পত্র হদিস মেলেনি। এমনকি ৪৮৮০ নং দলিলমুলে যে সাড়ে ২০ শতক জমি হস্তান্তর দেখিয়ে ২৮৩৬/৪ যে নামপত্তন জারি করা হয়েছে তাতে এসএ দাগ ৭৪৩০ দেড় শতক ও ৭৪৩০ এবং ৭৪৩২ দু’টি দাগে সাড়ে ছয় শতক মিলে মোট আট শতক জমি মাহাবুবর রহমানের নামে নামপত্তন দেখানো হয়েছে। এসএ ৭৪৩০ দাগটি বর্তমান জরিপে ১০৮৬৪ দাগের মোট ৬৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে দানকৃত সম্পত্তি সাড়ে ১৬শতক কবরস্থান। বর্তমান জরিপে এসএ ৭৫২৩ দাগটি বর্তমান জরিপে ১০৮৫৯ দাগের মোট ৯৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে দানকৃত সম্পত্তি সাড়ে চার শতক ডাঙা। কিন্তু উক্ত চার শতক সম্পত্তির মালিক ধুলিহরের জনৈক আবুল কাশেম ও রাশিদা খাতুনের। ফলে ওই জমি জেলা পরিষদের নামে দান দেখানো হলেও তার কোন বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় না।
অপরদিকে পরিদর্শন প্রতিবেদনে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার নামে মোট জমির পরিমান এক একর ২৩ শতাংশ দেখানো হলেও জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের জমির পরিমান দু’ একর ১৯ শতাংশ। যার কাগজপত্রের কোন বাস্তবতা মেলেনি। অথচ তৎকালীন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার চালানোর লক্ষ্যে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে দু’কেটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যদিকে পরিদর্শন প্রতিবেদনে অবকাঠামো ব্যয় দু’কোটি ৩৮ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী মতামত কলামে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত সকল ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে অন্যান্য সকল আয় জেলা পরিষদ তহবিলে জমা দেওয়ার ব্যবস্থার জন্য আলাদা একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২২ ফেব্রুয়ারি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ জমা রাখার জন্য’ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ’ সাতক্ষীরা শাখায় হিসাব নং- ০১৪৬১২২০০০২০১৯৪ খোলা হয়েছে। যা জেলা পরিষদের নামে নয়। এ ছাড়া আব্দুর রউফ কমপ্লেক্ষ ও এতিমখানার আয়-ব্যয় জেলা পরিষদকে দেওয়া হয় না।
ওই প্রতিষ্ঠানটি জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও শিক্ষক -কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। আবার জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন নো ওয়ার্ক নো পে অনুযায়ী প্রদান করা হচ্ছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাটিয়াডাঙা ও ধুলিহর গ্রাম থেকে ২০ জন করে ছাত্র ভর্তি দেখানো হয়েছে। এবং মোট ছাত্র ২২০ জন দেখানো হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক কম।
২০১৩ সালে শুরু থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন ও ছাত্রদের বোর্ডিং খরচ বাবদ এক কোটি দু’ লাখ সাত হাজার ১৪৬ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী তার পরিমান এক কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭৬ টাকা। অর্থাৎ তিন মাস ১২ দিনে শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের বোডিং খরচ তো লাগেই নি বরং জেলা পরিষদের দেওয়া পরিসংখ্যান পরিদর্শণ প্রতিবেদনের চেয়ে ৫৫ লাখ টাকা কম দেখানো হয়েছে যা ’ পুকুর চুরির সামিল। সেকারণে জেলা পরিষদ থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বরাদ্দকৃত ও প্রকল্প অনুমোদন বাবদ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বরাদ্দকৃত সকল সরকারি অর্থ অবলিম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে জানান অনেকেই।
যদিও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএনএম মঈনুল ইসলাম গত ৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানাটি আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। কবরস্থানের জমি হস্তান্তরযোগ্য দাবি করে তিনি বলেছিলেন আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার পক্ষে ‘ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে’ যে হিসাব খোলা হয়েছে তা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর নামে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : যুবদের জাগরণ,বাংলাদেশের উন্নয়ন”এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে কালিগঞ্জে যুব বর্ণাঢ্য র‌্যালি,সমাবেশ ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। জাতীয় যুব উন্নয়ন দিবস ২০১৭ উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০ টায় একটি বর্ণ্যঢ্য র‌্যালি উপজেলা থেকে বাহির হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১১ টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্দুজামান,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার কামরুল ইসলাম, উপজেলা লাইফ সেন্টার যুব সংগঠনের সমন্নয়কারী রুহুল আমিন, যুব প্রশিক্ষানার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আরিজুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার,উপজেলা ক্রেডিট এন্ড মার্কেটিং অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন, উপজেলা ওয়ার্ল্ড ভিশন নবযাত্রা প্রকল্পের অফিস কো অডিনেটর আশিষ কুমার হালদার প্রমুখ। এসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৩০ জন যুবক যুবতীদের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ঝণ বিতরণ করা হয় ও ৫০ জন বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ এবং ৪০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুবক-যুবতীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা প্রশাসকের কেন্দ্র পরিদর্শন: জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ১ম দিনে অনুপস্থিত ১১৭৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে জেএসসি ও জেডিসি প্রথম দিনের পরীক্ষা। গতকাল বুধবার থেকে শুরু জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। প্রথম দিনের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সর্বমোট অনুপস্থিত ১ হাজার ১শত ৭৪জন। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৬শত ১৭ জন যা ২৩ টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৪জন। এবং ১৩টি কেন্দ্রে জেডিসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪শত ৩৯জন। এর মধ্যে প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিল ৫শত ৫৭জন। পরীক্ষা নকলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল ম্যাজিসস্ট্রেট ও পুলিশ। জনসাধারণের প্রবেশ ছিল সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে জেলা ম্যাজিসস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, টাউন গার্লস হাইস্কুল, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবুসহ বিদ্যালয়ের প্রধানগণ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাস্তা সংস্কার কাজ পরিদর্শন করলেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি এলাকার জরাজীর্ণ রাস্তাটি ইট বালু স্ক্যাবেটর দিয়ে চলাচলের উপযোগি করার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সাতক্ষীরা পৌরসভা। বুধবার বেলা ১২টায় পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী উক্ত কাজের তদারকি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুল আখতারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছায় কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য সংগঠন শিবসা সাহিত্য অঙ্গনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে রোজ বার্ড কিন্ডার গার্টেন স্কুল মিলনায়তনে সংগঠনের সহ-সভাপতি সরদার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক লুৎফা ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক প্রভাষক বজলুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক নাজমিন নাহার, সহ-কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক লিলিমা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক বিকাশেন্দু সরকার, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, সাহিত্য সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, সদস্য প্রভাষক সোমা রায়, শিক্ষক সাধনা সরকার, জিন্নাতুন্নেছা পান্না, মমতাজ পারভীন মিনু, গাজী শহিদুল ইসলাম খোকন ও আলতাফ হোসেন। সভায় আগামী ৪ নভেম্বর শনিবার বিকাল ৪ টায় সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক এর ১৩৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আসরের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪০ দলকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল ইসি

নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দল আইন অনুযায়ী চলছে কি না খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে এসব দল নিবন্ধনের শর্ত মানছে কি না তা জানাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) দলগুলোর সাধারণ সম্পদক বা মহাসচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিবন্ধনের শর্তগুলো ঠিকমত মানছে কি না তা জানতে দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে দেখবো। যাচাই-বাছাইয়ের পর কোন দলের শর্ত প্রতিপালনে ব্যত্যয় পাওয়া গেলে ওই দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, নতুন দল নিবন্ধনে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিবন্ধিত দলগুলোর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার অংশ হিসেবে এ চিঠি দেয়া হলো।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯০বি এর শর্তাদি প্রতিপালনের শর্তে নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০এইচ(ডি) অনুযায়ী ৯০(বি) এর দফা(১)(বি) এর কোন বিধান লংঘিত হলে উক্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হবে। উক্ত বিধানের প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নীতিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৯ অনুসারে নিবন্ধনের শর্তাদি প্রতিপালন সম্পর্কে কমিশনের অবহিত থাকা প্রয়োজন। চিঠিতে কমিশন সচিবের কাছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের শর্তাদি প্রতিপালনের বিষয়টি অবহিত করতে বলা হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা আরও জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদে দলের নিবন্ধন বাতিলের শর্তাদি রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে কোন রাজনৈতিক দল যদি নিজেরাই বিলুপ্ত ঘোষণা করে, সরকার যদি কোন দলকে নিষিদ্ধ করে, দলগুলো যদি কমিশনকে তাদের চাহিদামাফিক তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয় এবং পর পর দুই টার্ম যদি কোন দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে। এ আইন অনুযায়ি, রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসিকে তথ্য জানাতে বাধ্য।

প্রসঙ্গত: নির্বাচন কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই ঘোষিত রোডম্যাপে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করছে কী না তার তথ্য অক্টোবর মাসের মধ্যে সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল। এসব তথ্যাদি পর্যালোচনা করে ফেব্রুয়ারি মাসে দলগুলোর নিবন্ধন বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রোডম্যাপে উল্লেখ রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest