রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ পদে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণের লক্ষ্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে আগামীকাল বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বৈঠকের ব্যবস্থা করতে সংসদ সচিবালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই প্রস্তুতির মধ্যে আগামী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে চলছে নানা আলোচনা। এ আলোচনায় দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম বিশেষভাবে উঠে আসছে। পাশাপাশি এটাও শোনা যাচ্ছে, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকেই দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামও আলোচনায় আছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, গত মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন শেখ রেহানা ও সৈয়দ আশরাফ কেউই প্রস্তাবে সায় দেননি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সৈয়দ আশরাফ তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে কারণে তিনি দল ছেড়ে রাষ্ট্রপতি হতে চাননি। এখন সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডেও আগের মতো সক্রিয় নেই। ফলে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রস্তাব পেলে তা প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা কম। আর রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে সৈয়দ আশরাফদের পরিবারের কিছু নস্টালজিয়া আছে। সৈয়দ আশরাফের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির গুরুদায়িত্ব সামলেছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওই নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারা এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন অনেক ভেবেচিন্তে। কারণ এবার যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন তাঁর মেয়াদেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সৎ, পরীক্ষিত এবং দৃঢ়চেতা একজনকে রাষ্ট্রপতি করাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ। সৈয়দ আশরাফ আলোচিত এক-এগারোর দুঃসময়ে দলকে সামলেছেন আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আর বিভিন্ন দল-মতের মানুষের কাছে আশরাফের অন্য রকম গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিবেচনায় তিনিই এগিয়ে থাকবেন বলে অনেক নেতা মনে করছেন।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, রাষ্ট্রপতি পদে আবদুল হামিদকে আরেক মেয়াদে নির্বাচিত করার বিষয়েও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আলোচনা আছে। আবদুল হামিদকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিতর্ক হয়নি। মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। ফলে তাঁকে আরেক মেয়াদে নির্বাচিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাকেও রাষ্ট্রপতি পদে দেখা যেতে পারে—এমন আলোচনাও আছে। রেহানা রাজি থাকলে তাঁকে এ পদে দেখা যাবে—এ মতেও বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকেও রাষ্ট্রপতি পদে দেখা যেতে পারে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের মতে উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী শিরীন শারমিন চৌধুরীর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে শিরীন শারমিনই হবেন দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে দলের মধ্যে নানামুখী আলোচনা আছে। দলীয় নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ অনেকেই আগ্রহী আছেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি কারো বিষয়েই এখনো দলীয় নেতাদের কাছে কোনো ইঙ্গিত দেননি। সৈয়দ আশরাফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আশরাফের মতো নির্লোভ ও পরীক্ষিত নেতা রাষ্ট্রপতি হলে সেটি আমাদের জন্য ভালোই হবে। কিন্তু এখানে শেখ হাসিনার চাওয়া ও সৈয়দ আশরাফের সম্মতির ব্যাপার আছে। দেশে-বিদেশে সৈয়দ আশরাফের গ্রহণযোগ্যতার কমতি নেই। তবে এ দেশের ওপর প্রভাবশালী একটি বিদেশি রাষ্ট্র আশরাফকে খুব বেশি পছন্দ করে বলে মনে হয় না।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণের জন্য আগামীকাল বিকেলে সংসদ সচিবালয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বৈঠক হতে পারে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হবে। স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকের সময় চাওয়া ছাড়াও দলভিত্তিক সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা চেয়েও একটি চিঠি পাঠানো হবে। এর আগে ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ২০ দিন আগে ওই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৯ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই ২৪ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সংবিধানে রাষ্ট্রপতির চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। আইনজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ পূরণের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বলতে প্রথম ৩০ দিনকে বোঝাবে। নির্বাচন কমিশনও তা-ই মনে করে। গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, সংবিধান অনুসারে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
তবে নির্বাচনের সময় আসন্ন হলেও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এত দিন তেমন আলোচনা ছিল না। গতকাল সকালে বিষয়টি নিয়ে সিইসি সব নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকের জন্য নির্বাচন আইন সংস্কার বিষয়ক কমিটির একটি পূর্বনির্ধারিত সভাও বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারো বয়স ৩৫ বছরের নিচে হলে, সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য না হলে এবং সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী আইন অনুসারে সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবক ও সমর্থক না হলে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অন্য কোনো দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।
নুরনগর প্রতিনিধি: “সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যা কমললোচনে বিশ্বরুপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোহস্তুতে” মন্ত্র পাঠের মধ্যদিয়ে সোমবার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উৎযাপিত হয়েছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতীর চরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে সরস্বতী দেবী ন্যায় ও জ্ঞানালোকের দেবী হিসেবে পূজনীয়। নুরনগরের প্রধান প্রধান বিদ্যপিঠগুলোতে ছাড়া বাজার দূর্গা মন্দির, কর্মকার পাড়া সার্বজনীন মন্দির, নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার বিভিন্ন হিন্দু বাড়িতে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়েছে। অত্র এলাকায় মনোরম পরিবেশে কোন রকম সমস্যা ছাড়াই দেবী সরস্বতীর পূজা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নিজস্ব প্রতিবেদক: “ঝাউডাঙ্গার তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়কের সরকারি রাস্তা কেটে চলছে মৎস্য ঘের, পথচারীরা চরম দুর্ভোগে” শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরায় সংবাদ প্রকাশের পর তুজলপুর-রাজবাড়ি রাস্তায় তড়িঘড়ি করে নামমাত্র মাটি ভরাট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারিতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় টনক নড়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আল মামুন (রানা) বলেন, পত্রিকায় রাস্তার খবর প্রকাশিত হওয়ায় স্থানীয় উদ্যোগে প্রায় ৩০ ফুটের মত কাঁটা রাস্তায় মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশেষ করে রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর ও হাচিমপুর থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। স্থানীয় ঘের মালিকেরা যেন পুনরায় রাস্তাটি কেটে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার।
তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাখি ঘোষ বলেন, প্রতি বছর বর্ষার সময় রাস্তাটি কাটার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। রাস্তাটি পুনরায় যাতে না কাঁটা হয় তার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।
তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোহন লাল ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয় নি। সম্প্রতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় কোনরকমে মাটি ভরাট করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্তসহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তার একটি বড় অংশ ভেঙে পুকুর ও ঘেরের সাথে মিশে গেছে। রাস্তা কাটা বন্ধের পাশাপাশি দ্রুত সংস্কার করে পিচের ব্যবস্থা করলে জনদুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাবে স্থানীয় পথচারীরা।
ক্ষত-বিক্ষত রাস্তাটি আর কত দিন উপেক্ষায় থাকবে, নাকি অচিরেই রাস্তাটি সংস্কারের মাধ্যমে পাকা হবে এ প্রশ্ন আজ জনমনে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে উদযাদিত হল সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বাণী-অর্চনা ১৪২৪ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কাজী হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল ধর্মের মানুষকে শুভকামনা জানান।
এত সভাপতিত্ব করেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. হরষিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সরস্বতী দেবীর আশ্বিবাদে সবাই যেন মন ও মননশীলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিদ্যা মাজিত হতে পারে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. এ,এইচ,এস.এম কামরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক যা. রুহুল কুদ্দুস, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাকসুদুল আনাম সিদ্দিকী, বিএমএ সভাপতি ডা. মো: আজিজুর রহমান, সাধরণ সম্পাদক সাতক্ষীরা মেডিলে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. এস.জেড আতীক, স্বাচিপের সভাপতি ডা. এস.এম.মোখলেছুর রহমান, ডা. মো সামছুর রহমান. ডা. প্রবীর মুখার্জী, ডা. সুতপা চ্যাটার্জী. ইন্টার ডা. সব্যসাচী বিশ্বস। ছাত্রদের মধ্যে নিউটন হালদার, অসিথ মিস্ত্রী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ইন্টার ডা. মনাক কুমার বিশ্বস। অনুষ্ঠানে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। একইসাথে পূজা উপলক্ষে ম্যাগাজিন শ্বেতপদ্মাসনা-৪ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া আজ ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
কালিগঞ্জ ব্যুরো: দীর্ঘ ৪৬ বছর পর জবর দখলকৃত নিজেদের পত্রিক সম্পত্তিতে ঘর বাঁধার সুযোগ পেয়ে আনন্দ উৎসব পালন করছে কালিগঞ্জ উপজেলার নিজদেপুর ও বেলাপুর গ্রামের ঋষি পল্লীর সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। সোমবার বিকেলে নবনির্মিত মন্দিরে সরস্বতী পুজা উপলক্ষে ঋষি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা এই আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকাত আলীর সভাপতিত্বে আনন্দঘন পরিবেশে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জি, মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, নূরমোহাম্মদ, নিজদেবপুর ও বেলপুর গ্রামের কানাই ঋষি, লেবু ঋষি, নির্মল ঋষি, অভেলা ঋষি, মালতি ঋষি, যশোদা ঋষি, মায়া ঋষি প্রমুখ।
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রদান রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
সোমবার স্বরস্বতী পুজা উপলক্ষে বিভিন্ন পুজাম-প পরিদর্শণে যান সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু বিশ্বজিৎ সাধু। তিনি পাটকেলঘাটা আমিরুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্ছ বিদ্যালয়, কুমিরা বহুমুখী উচ্ছ বিদ্যালয়, কুমিরা মহিলা ডিগ্রী কলেজ সহ বিভিন্ন পুজা ম-প পরিদর্শন কালে কুমিরায় আলোচনা সভায় বলেন বিশ্বে অনেক দেশ আছে যেখানে সাম্প্রদায়িক জানাজানি লেগেই থাকে, এমনকি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ ভারতেও বিভিন্ন প্রদেশে অহরহ সাম্প্রদায়িক জানাজানি নিত্য ঘটনা, কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে তেমন কোন সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটনার উদাহরণ নেই, আমরা এখানে বিভিন্ন ধর্মালম্বি মানুষ একে অপারের ধর্মীয় অনুষ্টানে সহযোগিতা ও আনন্দ উপভোগ করি। এটাকে ধরে রাখতে সমাজের বিবেকবান লোকদের ভূমিকা পালন করতে হবে, সজাগ থাকতে হবে যেন কোন মৌলবাদী শক্তি এটাকে নষ্টকরতে না পারে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যথার্থ শ্লোগান সৃষ্টি করেছেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, তার লক্ষ্য এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ যেন সম অধিকার ভোগ করে, আমাদের তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার জাতকোপ শক্তিশালী করা সম্ভাব। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে তাই বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল জাতী হিসাবে আমরা প্রতিষ্টান পেয়েছি, সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জার উন্নন হচ্ছে। কৃষক তার জমিতে ফসল ফলানোর উপকরণ সহজ লভ্যে পাচ্ছে, সারেন জন্য আজ কৃষককে জীবন দিতে হয় না, কৃষকের ন্যার্যমূল্য পায়। সহজ শর্তে কৃষক কৃষিঝণ পায়,বণ্যা খরায় সাময়িক কষ্ট হলেও দ্রুত সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপের জন্য সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশী সময় লাগেনা। এটাকে ধারাকে চলমান রাখতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার এর আয়োজনে সোমবার সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী বাণী অর্চনা ২০১৮ উপলক্ষ্যে সরম্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো নজরুল ইসলাম। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন, সদর ইউ আর সি ইনস্ট্রাকটর আবু তাহের, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বাসুদেব কুমার সানা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিদ্যাদেবী মা সরস্বতী তাঁর সুমধুর বাণী এবং পুস্তক হাতে ধরনীতে যেমন এসে ছিলেন কু-শিক্ষার কালো অন্ধকার দূর করতে তেমনই আমাদেরকে অশিক্ষা দূর করে সন্ত্রাস, জঙ্গীমুক্ত অসাম্প্রদায়িক আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলামের সঞ্চলনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহঃ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সন্দীপ কুমার রায়, সন্তোষ কুমার মন্ডল, নাজমুল হাসান, গৌরঙ্গ গাইন ও প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী। পূজা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন শিক্ষক তরুন কুমার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, শিক্ষক পঙ্কজ কুমার বর্মণ, গোপাল আমিন, জিয়াউর রহমান ও সঞ্জীব ব্যানার্জী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, শিক্ষর্থী ও আগত ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।
আশাশুনি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আশাশুনিতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।…
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম সালাউদ্দিন শাকিল (এমএ,…
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রধান কিছু অংশে সম্মতি জানানোর পর…