সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

নিজ দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া কাল মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে না। এখনো মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন নিয়ে অনেক কাজই বাকি আছে।

নাফ নদের তীরে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো কোনো স্থান যেমন নির্ধারণ করা যায়নি তেমনি ট্রানজিট পয়েন্টগুলোতে এখন পর্যন্ত একটি তাঁবু পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ চালানো হচ্ছে দ্রুত। যেকোনো সময় প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কাজ সম্পাদনে গঠিত যাচাই-বাছাই কারিগরি (টেকনিক্যাল) কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। মিয়ানমারে এই চুক্তি সম্পাদনের পর থেকেই বাংলাদেশে সরকারি ভাবে তোড়জোড় শুরু হয়ে পড়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কারিগরি (টেকনিক্যাল) কমিটির আহ্বায়ক এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কোনোভাবেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।’

অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবেই। প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জরুরি কাজগুলো গুছিয়ে নেওয়ার পর যেকোনো সময়ই তা শুরু করা সম্ভব হবে।’ সচিব জানান, প্রত্যাবাসন কাজে সবার আগে যা প্রয়োজন সে কাজগুলোই আগেভাগে এখন করা হচ্ছে।

গত বছর আগস্টের শেষদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজার ও বান্দরবানের একাধিক এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৯ লাখের বেশি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুষম উন্নয়নে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর সুষম উন্নয়ন সূচকে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গত শুক্রবার ‘সুষম প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউইএফের প্রকাশিত বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির ৭৯টি দেশের তালিকায় ভারত ৬২তম ও পাকিস্তান ৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী এ দুই দেশকে পেছনে ফেলে ৩৮তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

জীবনযাত্রার মান, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও ঋণ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক এ সূচক প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপাল রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে। ডব্লিউইএফের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপরই আছে আয়ারল্যান্ড (দ্বিতীয়), লুক্সেমবার্গ (তৃতীয়), সুইজারল্যান্ড (চতুর্থ) ও ডেনমার্ক (পঞ্চম)।

এছাড়া শীর্ষ উদীয়মান অর্থনীতির দেশের শীর্ষে আছে লিথুনিয়া। এরপরই আছে হাঙ্গেরি (দ্বিতীয়) আজারবাইজান (তৃতীয়) লাটভিয়া (চতুর্থ) ও পোল্যান্ড (পঞ্চম)।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলন শুরু হবে মঙ্গলবার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ধরনের সুষম প্রবৃদ্ধি মডেলের দিকে মুখ ফেরাতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউইএফ।

এদিকে, সোমবার ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বার্ষিক বৈষম্য শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, গত বছর বিশ্বে যে পরিমাণ সম্পদ তৈরি হয়েছে তার কোনো ভাগই পায়নি বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ। তবে ওই সম্পদের প্রায় ৮২ শতাংশই গেছে বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ ধনীর হাতে।

সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ‘২০১৭ সালে বিশ্বে কোটিপতিদের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক চরম দারিদ্র্য দূর করার জন্য এ অর্থ যথেষ্ঠ।’ অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানইমা কোটিপতিদের সম্পদ বৃদ্ধির এ ঘটনাকে ‘অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার’ লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাউডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত, খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। বিদ্যালয়ের একটি ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষকেরা বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ নিচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিথী সার্ন্যাল বলেন, বিদ্যালয়ের ৪কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন বিগত বর্ষার মৌসূমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ভবনটির এক পাশের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছাদ ও দেওয়ালের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানালে ইউসিআরসি প্রশিক্ষক আবু তাহের, সদর উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মামুন হোসেন, জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন স্কুলটি পরিদর্শন এসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, গত বছর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২ শিফ্টের পরিবর্তে ৩ শিফ্টে শিক্ষকেরা ক্লাস পরিচালনা করেন। ২০১৭ সালের বার্ষিক পরীক্ষার সময় স্কুলের পার্শ্ববর্তী একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হয়। নতুন বছরের শুরুতে ক্লাশ করার কোন উপায়ান্তর না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যায়ন করছে। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা, গোবিন্দকাটি, ওয়ারিয়া, ঝাউডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোমলমতি শিশুরা এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতে আসে। প্রচন্ড শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। আম ও নারিকেল গাছের নিচে ক্লাস নেওয়ার সময় গাছ থেকে নারিকেলের মুছি ও শুকনো ডাল পড়ে মারাত্বক বিপদের আশংক্ষা রয়েছে। এছাড়া স্কুল মাঠের পাশেই বাথরুম অবস্থিত। বাথরুমের দূর্গন্ধে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। আগামী গীষ্ম ও বর্ষা মেীসুমে কিভাবে ক্লাস নেওয়া হবে সেটা নিয়ে মহা দুঃচিন্তায় আছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আসমত চৌধুরী জানান, ১৯৯৪ সালে ভবনটি নির্মান করা হয়। ভবনটিতে ৩টি ক্লাস রুম ও ১টি উপকরণ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গত বছরে প্রবল বর্ষণে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া শীত, ধুলোবালি ও যানবাহনের শব্দ সহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পড়াশুনা মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

বর্তমানে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে মেয়েদেরকে এই বিদ্যালয়ের পরিবর্তে অন্যান্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করার চিন্তা ভাবনা করছেন। অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটি সংস্কার করা না হলে স্কুলটি ছাত্র শূণ্য হয়ে পড়ার আশংক্ষা প্রকাশ করা হচ্ছে।

বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার দেবহাটার সীমান্ত নদী ইছামতি থেকে এক ব্যক্তির মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত নদী ইছামতির নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তার মরাদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আসমান আলী শেখ (৫০)। তিনি নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোহর আলী শেখের ছেলে।
সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে ফিরে আসার সময় ভোর রাতের কোন এক সময় সীমান্ত নদী ইছামতির পানিতে ডুবে আসমান আলী শেখ মারা গেছেন। পরে আজ দুপুরে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ইছামতি নদীর বাংলাদেশ পাড় থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংসদে সাতক্ষীরার আরো উন্নয়নের দাবি জানালেন এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরার আরো উন্নয়নের দাবি তুলে ধরলেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
রবিবার রাতে মহান জাতীয় সংসদে ১২ মিনিটের বক্তব্যে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাতক্ষীরার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করেন এবং বলেন, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। এ জেলা কৃষি ক্ষেত্রে ধান চাল খাদ্যশস্য ৬ লক্ষ মেঃ টন উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ৩ লক্ষ মেঃ টন দেশের বিভিন্ন জেলাসহ সরকারকে দিয়ে থাকে। এ জেলা থেকে মাছ, কুল, আম সাতক্ষীরা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশে রপ্তানী করা হয়। কিন্তু জানিনা কি কারণে এ জেলার মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত। এ জেলাকে অবমূল্যায়ণ করা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের জেলায় অনেক কিছু দিয়েছেন। ছোট একটি জেলা শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হকের প্রচেষ্টায় মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন। সাতক্ষীরাবাসীর স্বপ্ন, যা ৫০ বছরেও পেত না। সাতক্ষীরাবাসীর আরো একটি দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রেল লাইন স্থাপন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে সরকার বছরে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। এটাকে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাতক্ষীরাবাসীর দাবি এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে অনেক কিছু না চাইতে দিয়েছেন। আমার উজেলায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরে এ উজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়িতে একটি নতুন থানা স্থাপনের দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ সরকারের সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সাতক্ষীরায় গিয়েছিলেন তিনি দেখে এসেছেন সাতক্ষীরার রাস্তা-ঘাট অনেক খারাপ। এগুলোর পর্যায়ক্রমে কাজ হচ্ছে। এলজিইডিতে ঠিকাদাররা কাজ করছিল না। কারণ নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য ঠিকাদাররা কাজ করতে পারছিল না। আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের সাথে বসে আলোচনা করে সমাধান করেছি। টেন্ডার ও ওয়ার্ক ওয়ার্ডার হলে দ্রুত এসব রাস্তার কাজ শুরু হবে। এ জেলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে মূল সড়ক পথে যশোর থেকে নাভারণ হয়ে সাতক্ষীরা, যশোর মনিরামপুর হয়ে মাইকেল মধুসুধন দত্তের বাড়ির পাশ দিয়ে সাতক্ষীরা ও খুলনা চুকনগর হয়ে সাতক্ষীরায় প্রবেশের রাস্তাগুলো অনেকাংশে খারাপ। এসব রাস্তার দ্রুত কাজ হলে সাতক্ষীরার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে। সরকারের রাজস্ব খ্যাতে সাতক্ষীরা জেলা যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে তার ১৬ ভাগের ৪ ভাগ সাতক্ষীরার উন্নয়নে ব্যয় করলে ও এ জেলা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকবেনা। এমপি রবি মহান জাতীয় সংসদে জেলার উন্নয়নে যেসব দাবি তুলে ধরেছেন তা পুরণ হলে এ জেলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হবে মনে করেন সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবারের বিশ্বকাপে কারা ফেভারিট

ছয় মহাদেশের ২০৯ দলের ৮৬৪ ম্যাচের লড়াই শেষে চূড়ান্ত হয়েছে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের ৩২ প্রতিনিধি। ২০১৮ সালের ১৪ জুন স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরবের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে রাশিয়া বিশ্বকাপ। কিন্তু তার আগেই বিশ্বকাপজ্বরে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। গত বছর নভেম্বরে মস্কোয় জমকালো ড্রয়ে ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে ৩২ দলের কে কোন গ্রুপে খেলবে।

সাধারণত স্বাগতিক দলই থাকে ‘এ’ গ্রুপে। এবার রাশিয়া স্বাগতিক হওয়ায় তাদের জন্য গ্রুপ ‘এ’ আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। বাকি সব দলের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে লটারিতে। স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে ১১ বারের মতো রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে। স্বাগতিকের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা কতদূর নিজের দলকে টেনে নিতে পারে, সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে ফুটবলবিশ্ব। গত বছর অক্টোবরে ফিফা র‍্যাংকিংয়ের হিসাবে ড্রর জন্য চারটি পটে আট দলকে রাখা হয়। রাশিয়ার সঙ্গে শীর্ষ সাত দল রাখা হয় এক নম্বর পটে। পরের আট দল দুইয়ে, এভাবে সাজানো হয় পটগুলো।

ইউরোপ ছাড়া অন্য কোনো মহাদেশের একটির বেশি দল এক গ্রুপে পড়েনি। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বরাবরের মতো এবারও আলাদা গ্রুপে। ব্রাজিল আছে ‘ই’ গ্রুপে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড, কোস্টারিকা ও সার্বিয়া। ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গী ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ড ও নাইজেরিয়া।

তুলনামূলক কঠিন গ্রুপে পড়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। তাদের গ্রুপে আছে একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানির গ্রুপে শক্ত প্রতিপক্ষ সুইডেন। প্লে-অফের ফাঁড়া কাটিয়ে শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা পায় পেরু।

সবার বিচারেই ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের হট ফেভারিটের তকমা দখল করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে বাছাই পেরিয়ে সবার আগে টিকেট নিশ্চিত করেছিল দলটি। বর্তমান কোচ টিটে দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুত পাল্টে গেছে ব্রাজিল। সব দল যেখানে রাশিয়ার টিকেট পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল, সেখানে অনায়াসেই বাছাইপর্ব টপকে সবার আগে রাশিয়া টিকেট অর্জনের কৃতিত্ব দেখায় পেলের উত্তরসূরিরা। বিভিন্ন ইউরোপীয় ক্লাবে খেলা তারকা ফুটবলারদের নিয়ে দলটি পরিপূর্ণ এবং অনেকের মতে, এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট ব্রাজিল। দলটির প্রতিটি পজিশনেই উপস্থিতি রয়েছে পরীক্ষিত সব পারফরমারের, যাঁদের মধ্যে অন্যতম নেইমার।

ব্রাজিলের পরই রাশিয়া বিশ্বকাপে ফেভারিট জার্মানি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটিতে কিছুটা হলেও অভিজ্ঞ ফুটবলারদের ঘাটতি রয়েছে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে দলটি শিরোপা জিতলেও মূলত তারুণ্যনির্ভর জার্মান দলই অংশ নেবে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন ফুটবলের ধারক-বাহক স্পেন আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় ফেভারিট। অনেক তরুণ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্প্যানিশ দলটির টার্গেট গত বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন ভুলে শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করা।

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চরম হতাশার পর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের টিকেট পাবে কি না, সেটা নিয়েই সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা। ইকুয়েডরের সঙ্গে নাটকীয় জয়ে রাশিয়ার টিকেট নিশ্চিত হলেও অনেকেই আর্জেন্টিনার বর্তমান দলকে রাশিয়া বিশ্বকাপে ফেভারিট মানতে নারাজ। আর্জেন্টিনা দলে অনেক তারকা ফুটবলার আছেন, কিন্তু জাতীয় দলে তাঁরা নিজেদের সেরাটা দেখাতে ব্যর্থ হন। যার ফলে পুরো চাপটা এসে পড়ে মেসির কাঁধে। ইকুয়েডরের সঙ্গে ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিক না হলে রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইনদের দর্শক হয়েই হয়তো কাটিয়ে দিতে হতো। ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম এতটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা মূল পর্ব নিশ্চিত করে।

গত তিন বছরে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে প্রতিবারই আর্জেন্টিনাকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। পরের দুই বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর্জেন্টাইন কোচ সাম্পাওলির অধীনে দলটির উন্নতি তেমন চোখে পড়ার মতো নয়। তাই রাশিয়ায় শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে হলে দলের আরো দ্রুত উন্নতি করতে হবে দলটিকে। রাশিয়া বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনাকে লড়তে হবে আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে।

সদ্যসমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোল করার কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ২০ ম্যাচে তারা করেছে ৪৮ গোল। তবে ম্যাচপ্রতি গড়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছে ইউরোপের অন্যতম আলোচিত দল বেলজিয়াম। অ্যাটাকনির্ভর দলটির ম্যাচপ্রতি গোলের গড় ৪ দশমিক ৩। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির মতো স্ট্রাইকারকে টপকে বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলের মালিক পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেমনডস্কি। জার্মান জায়ান্ট বার্য়ান মিউনিখের স্ট্রাইকার ম্যাচে করেন সর্বোচ্চ ১৬ গোল।

উরুগুয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে দুবার। ১৯৬৬ সালে নিজেদের দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ইংল্যান্ড একবার এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠতে সক্ষম হয়েছিল। পর্তুগালের নেতৃত্বে থাকবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রতিটি দলই চাইবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে।

এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটন চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালির বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া। ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না ইতালির। অন্যদিকে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জেতায় ১২ বছর পর বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হলো সুইডেনের।

একদিনে কান্নার রোল, অন্যদিকে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। তবে নিজ মাঠে গ্যালারিভর্তি দর্শকদের হতাশার সাগরে ভাসিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়া মানতে পারছেন না মিলানবাসী। ইতালির ছিটকে পড়ার থেকেও মানুষের মনে দাগ কেটেছে কিংবদন্তি জিয়ুনলুইজি বুফনের চোখের জল। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারলে সান সিরোতে সুইডেনের বিপক্ষে প্লে-অফের ম্যাচটিই হবে ইতালির জার্সি গায়ে তার শেষ ম্যাচ। ম্যাচের আগে এমনটাই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও সুইডেনের বিপক্ষে গোলের দেখা পায়নি ইতালি। ব্যর্থতায় মোড়ানো এই ম্যাচ হয়ে থাকল বুফনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ৬০ বছর পর বিশ্বকাপ খেলা থেকে বঞ্চিত হতে হলো ইতালিকে।

বিশ্বকাপের আট গ্রুপ :

গ্রুপ-এ : রাশিয়া, উরুগুয়ে, মিসর, সৌদি আরব

গ্রুপ-বি : পর্তুগাল, স্পেন, ইরান, মরক্কো

গ্রুপ-সি : ফ্রান্স, পেরু, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া

গ্রুপ-ডি : আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া

গ্রুপ-ই : ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, কোস্টারিকা, সার্বিয়া

গ্রুপ-এফ : জার্মানি, মেক্সিকো, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া

গ্রুপ-জি : বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, তিউনিসিয়া, পানামা

গ্রুপ-এইচ : পোল্যান্ড, কলম্বিয়া, সেনেগাল, জাপান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টি-টোয়েন্টিতেও করুণ দশা পাকিস্তানের

নিউজিল্যান্ড সফরটা হতাশায় কাটছে পাকিস্তানের। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ব্যাকফুটে দলটি। টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে হতাশ করেছে তারা। ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় সরফরাজ বাহিনী।

আজ সোমবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাজঘরে আসা-যাওয়া করতে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। পেসার টিম সাউদির বোলিং তোপে এবং স্পিনার সেথ র‍্যান্সের ঘূর্ণিতে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে যে বিপর্যয়ের কবলে পড়ে, তা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

দলীয় মাত্র চার রানেই সাজঘরে ফিরেন ওপেনার ফখর জামান (৩) ও উমর আমিন (০)। বাবর আজম একাই বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করলেও অন্য পাশ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। ইনিংস থেমে যায় ১০৫ রানে।

পাকিস্তানের পক্ষে বাবর আজমই সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। কিউইদের পক্ষে তিনটি করে উইকেট পান টিম সাউথি ও সেথ র‍্যান্স। দুই উইকেট পান মিশেল স্ট্যান্টনার।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ৮ রানের মাথায় ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপসের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পাকিস্তানি পেসার রুম্মান রশিদ শুরুতেই ঝড় তুললেও পরে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে টম ব্রুসকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন কলিন মুনরো। দলীয় ৫৭ রানে ব্রুস সাজঘরে ফিরলে টেলরকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুনরো। মুনরো ৪৯ রানে ও টেলর ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে শাকিব-বুবলীর ‘সুপার হিরো’

শাকিব খান ও শবনম বুবলীর নতুন চলচ্চিত্র ‘সুপার হিরো’ ছবির শুটিং শুরু হবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অস্ট্রেলিয়ায়। টানা শুটিং শেষে আগামী মাসে ছবির কিছু অংশ বাংলাদেশে শুটিং হওয়ার কথা রয়েছে। শুটিংয়ে অংশ নিতে শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন শাকিব ও বুবলী।

হার্টবিট কথাচিত্রের প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করছেন আশিকুর রহমান। তিনি গতকাল রোববার শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন। আশিকুর রহমান গতকাল বলেন, “আগামী ২৩ তারিখ থেকে আমরা সেখানেই ‘সুপার হিরো’ ছবির শুটিং শুরু করব। এরই মধ্যে শাকিব ও বুবলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে তাঁরাও অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসবেন।”

শাকিব-বুবলী কবে থেকে শুটিংয়ে অংশ নেবেন—জানতে চাইলে আশিক বলেন, ‘আমরা ২৩ তারিখ থেকে ছবির শুটিং শুরু করব। ছবির গল্পে তো শুধু শাকিব-বুবলী নয়, আরো শিল্পী আছেন। আমি তাঁদের দিয়ে ছবির শুটিং শুরু করব। আর এরই মধ্যে শাকিব খান শুটিংয়ে চলে আসবেন।’

কলাকুশলী অস্ট্রেলিয়া থেকেই নেওয়া হবে জানিয়ে আশিক বলেন, ‘আমি ছবির শুটিং করব অস্ট্রেলিয়ান টেকনিক্যাল পারসনদের নিয়ে। আমি যেহেতু সেখানে থাকি, সে হিসেবে সেখানে আমার একটা সেটআপ তৈরি হয়েছে। তাঁদের নিয়েই কাজটি করব। তবে বাংলাদেশের অংশটা আমি বাংলাদেশের কলাকুশলীদের নিয়ে করব।’

থ্রিলারধর্মী এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল। শাকিব-বুবলী ছাড়া ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, শম্পা রেজা, তাসকিন রহমান, টাইগার রবি প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest