সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

রোহিঙ্গাদের ধান কেটে নিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের চাষাবাদ করে আসা ক্ষেতের ধান কাটা শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীও ধান কাটছে ক্ষেত থেকে।

টেকনাফ ও উখিয়ায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এই তথ্য জানিয়েছেন। এমনকি মিয়ানমারও ঘোষণা দিয়ে রোহিঙ্গাদের ধান কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) থেকে রাখাইনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আবাদি জমি থেকে ধান কাটা শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য সেনাবাহিনী দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাখাইনে শ্রমিক নিয়ে এসেছে।

গত আগস্টের শেষের দিকে শুরু হওয়া সহিংসতায় রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় ছয় লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই রাজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সহিংসতা শুরুর আগে রোহিঙ্গারা আবাদি জমিতে ধান চাষ করেছিল। সেই ধান এখন পেকেছে। আর তা কেটে নিচ্ছে মিয়ানমার সরকার।

শনিবার রাখাইনের মংডু এলাকা থেকে ধানকাটা শুরু হয়। মংডুর মরিকং এলাকার রোহিঙ্গা চেয়ারম্যান জাফর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাফর আলম বর্তমানে উখিয়ার থ্যাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার পরিবার নিয়ে রয়েছেন। তিনি খবর পেয়েছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও মগরা মিলে পাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, রাখাইনের মংডুতে ৭১ হাজার একর জমির ধান কাটতে শুরু করেছে মিয়ানমান।

একইভাবে তমব্রু, বুচিদং, রাছিদংসহ অন্যান্য এলাকার ধানও কাটার ইঙ্গিত দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের এক প্রতিবেদনে মংডু কৃষি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা থেইন ওয়েই’র উদ্বৃতি দিয়ে ধান কাটার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সরকার এই ধান কী করবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ধান কাটার খবর পেয়ে টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

চেয়ারম্যান জাফর আলম জানান, রোহিঙ্গাদের আয়ের উৎস চাষাবাদ। সবাই ক্ষেত খামারে কাজ করে। গবাদি পশু পালন করে। সেনাবাহিনী ঘরবাড়ি, সহায় সম্পত্তি,মানুষ,গবাদি পশু পুড়িয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করেছে। এখন আবার ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসব তাদের পূর্ব পরিকল্পিত।

রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ তোয়াক্কা করছে না দেশটি। এখনও রাখাইন রাজ্য থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন পাহাড়ে আশ্রয় হচ্ছে এসব নিঃস্ব রোহিঙ্গাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার পুতিনের বিপক্ষে লড়াইয়ের ঘোষণা রুশ পর্নোস্টারের

রাশিয়ার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন এলিনা বেরকোভা নামে দেশটির সাবেক এক পর্নোস্টার, যিনি এর আগে সোচির মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। উত্তর-পশ্চিম রাশিয়া মুরমানস্কের বাসিন্দা এলিনা ২ সন্তানের জননী।
সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে নিজের এই আগামী পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

৩২ বছরের এলিনার আগেও তিনজন নারী রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এলিনা জানিয়েছেন, এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক নারীই অংশ নেন। তাদের অনুপ্রেরণায় তিনি প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের (হলিউডে যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত) লোকেদের কীর্তি নিয়ে বীতশ্রদ্ধ এলিনা যৌন নিগ্রহের জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে চান। তিনি বলেছেন, পুরুষদের বিবাহবিচ্ছেদ তিনি প্রায় অসম্ভব করে তুলবেন এবং স্কুলে যৌনশিক্ষা চালু করবেন। শুধু তাই নয়, ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা স্কার্ট পরাটা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এর আগে, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন রাশিয়ার মডেল, অভিনেত্রী ও টিভি উপস্থাপক কেসেনিয়া। তিনি রুশ প্লেবয় সাময়িকীর প্রচ্ছদকন্যা ও একাধারে সাংবাদিকও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক ৭৪

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে ৭৪ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২৯ জন, কলারোয়া থানা ৮ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৮ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৩ জন, দেবহাটা থানা ৭ পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করেছে ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মনোনয়ন পেতে দল কেনেন হিলারি, অভিযোগ ডেমোক্রেট সভাপতির

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন কারচুপি করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন দলটির সাবেক সভাপতি ডোনা ব্রাজিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় অর্থের বিনিময়ে হিলারি দল কিনে নেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
খবর বিবিসির।

‘ইন এক্সপার্ট ফ্রম হ্যাকস : দ্য ইনসাইড স্টোরি অব দ্য ব্রেক-ইনস অ্যান্ড ব্রেক ডাউনস দ্যট পুট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন দ্য হোয়াইট হাউস’ শিরোনামে শুক্রবার মার্কিন ম্যাগাজিন পলিটিকোয় প্রকাশিত নতুন এক নিবন্ধে ডোনা ব্রাজিল লেখেন, দলের অর্থ সরবরাহ সচল রাখার বিষয়ে ডিএনসি ও হিলারি শিবিরের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর বিনিময়ে ডিএনসির অর্থ সংস্থান, কৌশল ও সব অর্থের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হিলারির প্রচারণা শিবির। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ চুক্তি ডেমোক্রেটিক দলের আরেক প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সকে হারাতে হিলারিকে সহায়তা করে।

তিনি আরো লেখেন, ‘হিলারির প্রচারণা শিবির প্রতি মাসে ডিএনসির মৌলিক ব্যয় পূরণের জন্য অর্থ প্রদান করেছে। অর্থায়নের এ ব্যবস্থাপনাটি অবৈধ ছিল না কিন্তু এটা ছিল অনৈতিক। এটি অপরাধমূলক কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না; কিন্তু ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে আপস করতে দেখেছি আমি। ’

উল্লেখ্য, গত বছরে ডিএনসির হ্যাক হওয়া ই-মেইল প্রকাশের পর বরখাস্ত হন ডোনা ব্রাজিল। ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে স্যান্ডার্স মনোনয়ন না পাওয়ায় তার বহু সমর্থক ডিএনসির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
তাদের সেই সন্দেহ এবার খোলাসা করলেন ব্রাজিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জটিল আবর্তে রাজনীতি; আগামী এক বছরে ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাবে গতিপ্রবাহ!

জটিল এক আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে সামগ্রিক রাজনীতি। কি হবে, কি ঘটতে যাচ্ছে, কি আছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভাগ্যে- সবই ঘোর অনিশ্চয়তায় ভরা। রাজনীতির অঙ্গণে আর অন্দর মহলে এসব নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। আছে নানা মেরুকরণের আভাস, আছে আশার গল্প। আবার শঙ্কা জাগানো সমীকরণের আলোচনাও কম নেই পর্দার আড়ালের এসব আড্ডার আলাপচারিতায়। তবে একটি বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই, তা হল- যা কিছুই হোক, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই এক বছর সময়টা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ অধ্যায়।

এই দোলাচলটা তুলনামূলকভাবে ক্ষমতাসীনদের চেয়ে বিএনপি ও তাদের মিত্রমহলে বেশি। বিএনপি ও এই ঘরানার চিন্তকদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় কান পাতলে শোনা যায়, ‘আর যা-ই হোক, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির ধাঁচের নির্বাচন আবার করা সম্ভব হবে না, নির্বাচন করতে হলে অংশীদারমূলক-ই করতে হবে’। নানা যুক্তি দেখিয়ে এই ভাবনায় এক ধরনের আশার আলো দেখছে মহলটি। তিন মাস লন্ডন সফর শেষে দেশে ফেরার পর রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উখিয়া যাওয়ার পথে ব্যাপক লোক সমাগমে অনেকটা উজ্জীবিত হতে দেখা গেছে এতদিন ধরে ছন্নছাড়া থাকা দলটির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। কিন্তু এই উজ্জীবিত ভাব আবার মিইয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সম্ভাব্য পরিণতির দুশ্চিন্তায়। যে দুশ্চিন্তার কথা খোদ বিএনপি প্রধান নিজেই বৃহস্পতিবার আদালতে বলেছেন।

বিএনপির আশা ও শঙ্কার দোলাচল নিয়ে আলাপ হয় বিএনপির এমন একজন ভাইস-চেয়ারম্যানের সাথে, যিনি দলটির অনেক নীতি-নির্ধারণেও নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন। তার মতে, ক্ষমতাসীনরা উভয় সংকটে আছে। দেশের ভেতরের ও বাইরের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে দশম সংসদের মতো আরেকটা নির্বাচন করা সরকারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। আবার মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ফল কি হতে পারে সেটিও অনুমেয়। এই অবস্থায় সরকারও হয়তো বিকল্প পথ খুঁজতে পারে।

একাদশ নির্বাচন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি মোটামুটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশও না পায় তাহলে জেনেশুনে বিরোধী দলের আসনে বসার জন্য বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে? যদি এটাই হতো তাহলে তো পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনেই বিএনপি অংশ নিতো। কাজেই জেনেশুনে তলোয়ারের নিচে বিএনপি গলা পেতে দেবে-এমনটা চিন্তা করা ঠিক নয়। নানা ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পর এই নেতার মন্তব্য, পাঁচ জানুয়ারির মতো নির্বাচন দেশে আর হচ্ছে না, নির্বাচন হতে হলে সবার অংশগ্রহণেই হতে হবে, সেজন্য ন্যূনতম পরিবেশও থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে।

বিএনপির এই নেতার কথার মিল পাওয়া যায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায়ও। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন মুখে যা-ই বলুক না কেন, সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সরকারকে শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় আসতেই হবে। কারণ এই বার্তাটি পরিষ্কার যে, দেশে আর পাঁচ জানুয়ারির মত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও আদালতে দেয়া বক্তব্যে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সমঝোতার কথা বলেছেন।

তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে সমঝোতায় সায় নেই ক্ষমতাসীনদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা সংঘাতের উস্কানি দেয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে না। ওবায়দুল কাদের এই প্রতিবেদকের সঙ্গেও আলাপকালে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে তো সমঝোতার কিছু নেই। নির্বাচন কখন, কীভাবে, কার অধীনে হবে-সেটা সংবিধানেই পরিষ্কার করে বলা আছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।

প্রায় অভিন্ন বক্তব্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমেরও। তিনিও বললেন, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা দূরে থাক, কোনো আলোচনাও হবে না। ভোটের আগে আলোচনা হবে জনগণের সঙ্গে। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন আগামী বছরের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর এবারের নির্বাচনে বিএনপি আসবে, না এলে রাজনীতির মাঠ থেকে দলটি বহুদূরে ছিটকে পড়বে।

সমঝোতায় এখন পর্যন্ত সায় না থাকলেও খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিপুল জনসমাগমের বিষয়টিও নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে আওয়ামী লীগকে। মুখে ভিন্ন কথা বললেও আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া মাঠে নামলে বিএনপির শক্তিমত্তা কি দাঁড়ায়- এই দুটি ইভেন্টে সেটি কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে ক্ষমতাসীনরা। এই ধারণা থেকে আসন্ন ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে আওয়ামী লীগ। তবে সংসদ নির্বাচনের কর্মকৌশল চূড়ান্ত হবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলাসমূহের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। অন্যদিকে, বিএনপিও খালেদা জিয়ার মামলার পরিণতি দেখে নির্বাচন ও আন্দোলনের ছক আঁকবে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা জানান, খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারলে এক ধরনের কর্মকৌশল নেবে বিএনপি। আর ভিন্ন কিছু হলে কর্মকৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। তবে খালেদা জিয়া মুক্ত না থাকলে দলের উপর বড় ধরনের ঝড় বইতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেও পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে জানিয়ে দলটির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া লন্ডনে পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনায় সম্ভাব্য সব ধরনের বিকল্প মাথায় রেখে আগামীর কর্মপরিকল্পনার খসড়া করে রেখেছেন।

এদিকে, দেশের প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটি শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে সহসাই দেশে ফিরতে পারেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে। তিনি দেশে ফিরলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, সেদিকেও রাজনীতির উত্সুক চোখ রয়েছে। খালেদা জিয়ার মামলার গতিপ্রকৃতিও ডিসেম্বর নাগাদ একটা কাঠামো পেতে পারে। এই দুটি বিষয়, সামগ্রিক রাজনীতি, আগামী নির্বাচন ও নানা মহলে আনুষঙ্গিক নানা কথাবার্তার সমন্বয় করে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিসেম্বর থেকে আগামী এক বছরের গতিপ্রবাহ ক্ষণে-ক্ষণে পাল্টে যেতে পারে।

এর সঙ্গে একমত পোষণ করে সরকারি জোটের শরিক ও ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন বুধবার ঢাকায় জেল হত্যা দিবসের এক আলোচনায় বলেছেন, ‘আগামী বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই বছরেই নির্ধারণ হবে-বাংলাদেশ কোনদিকে যাবে। উন্নয়ন ও মধ্য আয়ের দেশের দিকে যাবে, না-কি ধ্বংসযজ্ঞ ও অর্থনৈতিকভাবে নাজুক অবস্থার দিকে যাবে। অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে আগামী বছরটায় আমাদের (১৪ দলের) ঐক্য সংহত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চার বছরের শিশুকে বস্তায় ভরে নির্যাতন

ল্যাপটপ থেকে ভিডিও গেমস মুছে ফেলার দায়ে চার বছর বয়সী এক শিশুর ওপর পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়েছে। বস্তায় ভরে শিশুটিকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক জখমের পর ফেলে দেওয়া হয়েছে নির্জন বাগানে।

বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধারের পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় তরিকুল ইসলাম রিফাত (২৫) ও  রাকিব হোসেন (২৩) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট এলাকার।রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলায়মান বলেন, ‘নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর সঙ্গে কথা বলেছি। তার মুখে ঘটনার বিস্তারিত জেনেছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ’

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার শিকার শিশু ফায়েজ হোসেন পিয়াসের (৪) বাবা নির্মাণ শ্রমিক মোহাম্মদ সোহেল। তাদের বাড়ি বামনী গ্রামে। পূর্বপরিচিত যুবক রিফাত শিশুটিকে প্রায়ই নিজ ল্যাপটপে ভিডিও গেমস খেলতে দিত।

গত শনিবার রিফাতের ল্যাপটপ থেকে একটি গেমস ফোল্ডার মুছে যায়। তা শিশু পিয়াস করেছে বলে সন্দেহ করতে থাকে। বুধবার বিকেলে পিয়াসকে চকোলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে রিফাত নিয়ে যায় ভূঁইয়ারহাট এলাকার কচিকাঁচা কিন্ডারগার্টেনে। সেখানে একটি কক্ষে পিয়াসকে আটকে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে শিশুটিকে ভরা হয় পেঁয়াজ রাখার বস্তায়। মারধরের পর তাকে পাশের সুপারিবাগানে ফেলে রাখা হয়।সন্ধ্যায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনরা শিশুর কান্না শুনে  সুপারিবাগানের দিকে যায়। সেখানে হাত বাঁধা ও বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায় পিয়াসকে। তার বাঁ চোখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাত ১০টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পিয়াসকে। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশুটির চোখে ও মুখে বেশ কিছু জখম রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বাবা মো. সোহেল বলেন, ‘আমার অবুঝ শিশুকে বস্তায় ভরে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। সে বাঁ চোখ খুলতে পারছে না। যে পাষণ্ডরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের শাস্তি চাই। ’

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, শিশু নির্যাতনের এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে উপজেলার বাসাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তরিকুল ইসলাম রিফাত ও  রাকিব হোসেনকে। রিফাত চরবগা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। আর রাকিবের বাড়ি বামনী গ্রামে। তার বাবার নাম তৌহিদুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃত এ দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিয়াসকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপি যে কোনো পরিস্থিতিতে ভোটে যাবে : মওদুদ

যে কোনো পরিস্থিতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, যত অত্যাচার, নির্যাতন হোক না কেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হোক না কেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে।
এই সরকার বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে। বিএনপির নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিও হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচনই হবে না। তাই সরকারকে সমঝোতার মাধ্যমে বিএনপিকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এবার নির্বাচন আমরা করব, আপনারা প্রস্তুত হোন। এই নির্বাচনে গণজোয়ার হবে। যদি সমঝোতায় না আসে বাংলাদেশের মাটিতে গণবিস্ফোরণ ঘটবে। কারণ, দেশের মানুষের সহ্যসীমা এখন পেরিয়ে গেছে। মানুষের এখন অন্য কোনো পথ নেই। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এহসানুল হুদা, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বক্তব্য দেন। মওদুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতেই ক্ষমতাসীনরা তার গাড়িবহরে হামলা করেছে। কিন্তু এতে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। চেয়ারপারসন আবারও বের হবেন, কর্মসূচি পালন করবেন। সমঝোতার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, দেশের মানুষের ইজ্জত-সন্মান, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আবার ফিরিয়ে আনার জন্য ও দেশে একটি সুষ্ঠু রাজনীতি ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণের কাছে যাবেন। এলাকায় এলাকায় শহরে বন্দরে যাবেন। বিভাগে বিভাগে যাবেন। কী রকমের জোয়ার উঠে আপনারা তখন টের পাবেন। তখনই সংলাপ-সমঝোতা করতে আপনারা বাধ্য হবেন। কারণ, দেশে আগামী নির্বাচন হবে না যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে। আমরা এও বলতে চাই, আমরা আগামী নির্বাচনে যে কোনো প্রতিকূল অবস্থায় অংশগ্রহণ করব। জনগণের ভয়ে সরকার বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভিডিওসহ তিন লেয়ারের কফি তৈরির রেসিপি!

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টে গেছে কফি বানানোর পদ্ধতিও। মানুষজন নিজেদের চাহিদা মতো কফিকে করে নিচ্ছে আরও মজাদার। কফিশপগুলোতে সাধারণ তেতো স্বাদের এসপ্রেসোতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্বাদ। যেখানে কফি ছিল শুধুমাত্র সতেজকরণ ক্যাফেইনের উৎস, সেখানে বর্তমানে কফি তৈরি পরিপূর্ণ একটি শিল্পে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে এমন হয়েছে যে, কফিশপগুলোর মেন্যু দেখলেই বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতে হয়।

তবে তিন লেয়ারের কফির স্বাদ নিয়েছেন কখনও? যদি না নিয়ে থাকেন তাহলে আজই ঘরে বসে তা তৈরি করে নিতে পারেন। আবার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সামনে তিন লেয়ারের কফি তৈরি করে এনে দেখিয়ে দিতে পারেন চমক।

তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক সেই রেসিপি। তাহলে এখনি ক্লিক করুন এই লিংকে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest