সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

লাল শাক কেন খাবেন

লাল শাক আমাদের বেশ পরিচিত একটি সাজ। এর রঙ ও স্বাদের জন্য অন্যসব শাকের থেকে আলাদা। বাজারে এখন শীতকালীন ফসল লাল শাক দেখা যাচ্ছে। লাল শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় । তাই আজ জেনে নেয়া যাক লাল শাকের পুষ্টিগুণ।

লাল শাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লাল শাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

লাল শাকের বিটা-ক্যারোটিন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করা যায়।

এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং দন্ত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে। দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।

শিশুদের অপুষ্টি দূর করে।

ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক যথেষ্ট উপকারি। এছাড়াও এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।

আঁশ জাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিলাসিতায় সবাইকে ছাড়িয়ে কিম জং উন

বিশ্বে ধনীরাই বিলাসী জীবনযাপন করে থাকেন। তাদের ৩১ শতাংশই দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। ৪৫ শতাংশের বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত ঘরে। তাদের মধ্যে কেবল ২৪ শতাংশ পরিবার থেকে সম্পত্তি পেয়েছেন। ধনীদের বেশির ভাগই বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কেউ ব্যবহার করেন সোনার সিঁড়ি, আবার কেউ ব্যবহার করেন সুপার কার। যেখানে বিলাসিতার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। চলুন জেনে নিই তার বিলাসী জীবন সম্পর্কে-

কিম জং উন কোথায় থাকেন বা উনার বাসস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়াটাও কষ্টকর। কারণ দেশজুড়ে তার ১৭টি প্রাসাদ আছে। আছে তার সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি দ্বীপ। সেখানে তিনি প্রায়ই সময় কাটাতে যান। এক কথায় পৃথিবীর বুকেই তিনি বানিয়ে নিয়েছেন স্বর্গ।

তিনি প্রচুর মদ পান করেন। তিনি এবং তার অভিজাত নিকটজনদের জন্য শুধু মদ আমদানি করতেই বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেন। এই খরচ বহন করে সরকারি কোষাগার। হেনেসির মতো দামি ব্র্যান্ডের হুইস্কি ছাড়া তার চলে না। শুনলে অবাক হবেন, তার প্রতি রাতের প্রতি বোতল হুইস্কির দাম দুই হাজার ডলারেরও বেশি।

খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও তার রয়েছে ব্যাপক বাছ-বিচার! তার খাবার-দাবার আসে একেক দেশ থেকে। ডেনমার্ক থেকে আসে মানসম্মত পোর্ক, ইরান থেকে আসে ক্যাভিয়ার, চীন থেকে আসে তরমুজ, আর গোমাংস থেকে তৈরি জাপানের অত্যন্ত সুস্বাদু ‘কোবে’ পছন্দ কিমের।

কিম জং উন ধূমপায়ী। এ ক্ষেত্রে তার পছন্দ বাহারি ফ্রেঞ্চ সিগারেট। সিগারেটের পেছনে অনেক খরচ করেন তিনি। ফরাসি কোম্পানি দ্য ইয়েভস সেইন্ট লরেন্টের বানানো সিগারেট তার পছন্দ। প্রতি পিস সিগারেটের দাম শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। প্রতি পিসের দাম ৪৪ ডলার করে। আর এই সিগারেট বহনের জন্য যেই চামড়ায় তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা হয় তার দাম ১৪৪ ডলার।

সমুদ্রের বুকে উদ্দাম গতিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তার রয়েছে বিলাসবহুল ইয়ট। প্রায় আট মিলিয়ন ডলার মূল্যের নিজস্ব ইয়াট নিয়ে সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়ান কিম। ডিজনি বোট আর ফেরির একটি চমৎকার সমন্বয়ে এই ইয়ট।

উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রেও কিম জং উন বিলাসী। ২০০৯ সালে রি সোন-জুনকে বিয়ে করার পর থেকেই রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থে একের পর এক উপহার কিনে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের যে হাতব্যাগ মিসেস উন ব্যবহার করছেন, তার মূল্য এক হাজার ৪৫৭ ডলার। যেখানে একজন উত্তর কোরিয়ানের বার্ষিক গড় আয় ১৮০০ ডলার।

কিম জং উনের সিনেমা দেখার জন্য আছে এক হাজার আসন বিশিষ্ট আলাদা একটা বিলাসবহুল সিনেমা হল। আর এই হলের রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে বছরে ব্যয় হয় কয়েক হাজার ডলার।

কিমের প্রিয় খেলা স্কি। আর এজন্য ৩৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ক্রিয়ং স্কি রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ডেইলি মেইলের তথ্যমতে, কিম নিজেও এই স্কি রিসোর্টকে নিখুঁত বলে গর্ব করেন। এই স্কি রিসোর্ট খোলা রাখার জন্য উত্তর কোরিয়া নির্ভর করে নিষ্ঠুর শিশুশ্রমের ওপর। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাজ করে সেখানে অনেক শিশু। এই শিশুদের মধ্যে ১১ থেকে ১২ বছরের অনেকেই রয়েছে।

দামি দামি ঘড়ি সংগ্রহ করারবাতিক আছে কিম জং উনের। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের তথ্য অনুযায়ী, কিম জং উনের ব্যক্তিগত ঘড়ির সংগ্রহের যে মোট দাম, তা প্রায় ৮.২ মিলিয়ন ডলার। অথচ উত্তর কোরিয়ার সাধারণ জনগণের পরিস্থিতি কিন্তু পুরো উলটো। সরকারের পক্ষ থেকে আসা নামমাত্র রেশনের ওপর নির্ভরশীল বেশির ভাগ মানুষ। ২০১৫ সালের আগস্টের এক হিসাব অনুযায়ী, খাদ্য হিসাবে প্রতি সাধারণ উত্তর কোরীয় নাগরিকের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ২৫০ গ্রাম শস্যদানা। প্রোটিন এবং শুকনো মাছ বা স্কুইডের মতো খাবার অত্যন্ত দুর্লভ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মা’ হওয়ার পর জীবনই পাল্টে গেল সানি লিওনের!

বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সানি লিওন কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন- এমন খবর আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সেই সন্তানের জন্মদাত্রী নন তিনি। তারপরও মা হওয়ার পর জীবনই পাল্টে গেছে সানির। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন সাবেক এই পর্ন তারকা।

সানি লিওন বলেন, মা হওয়ার আগের জীবন এক রকম। আর মা হওয়ার পর জীবন অন্য রকম। মা হওয়ার পর সব সময় রুটিন মেনে চলতে হয়। রুটিন ছাড়া এক পা-ও এদিক ওদিক করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন সানি।

এসবের পাশাপাশি সাবেক পর্নস্টার আরও বলেন, দত্তক নেওয়ার বিষয়ে নিশাকে সব জানানো হবে। কোনো কিছুই গোপন রাখা হবে না। দত্তক নেওয়ার বিষয়ে সমস্ত কাগজপত্রও তৈরি রাখা হয়েছে বলেও জানান বলিউড অভিনেত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোনালদিনহোর বিদায়

রোনালদিনহোর বিদায়

কর্তৃক Daily Satkhira

ক্যারিয়ারের স্বর্ণ যুগ পাড় করেছেন আগেই। বিদায় জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকেও। এরপর ক্লাব ফুটবলে তার পারফরমেন্স দেখা গেছে। তবে এবার সব ধরণের ফুটবলকেই বিদায় বললেন ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ৩৭ বছর বয়সী রোনালদিনহো।

২০০৫ এ ব্যালন ডি’অর জয় করেছেন। এরপরা বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শিরোপা জয়ী দলেও ছিলেন।

রোনালদিনহোর ভাই ও এজেন্ট রবার্তো বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাজিলিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘সে থেমে গেছে। এখানেই শেষ। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর হয়তো তার (রোনালদিনহোর) বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আগামী আগস্টে এটা বড় ও সুন্দর কিছুই হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উড়ে গেলো ভারত!

উড়ে গেলো ভারত!

কর্তৃক Daily Satkhira

সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ১৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ভারত। যার ফলে সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে গেলো সফরকারীরা। পাশাপাশি তিন টেস্টের সিরিজে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৪ দিনে হেরেছিল ভারত, এর মাঝে বৃষ্টির কল্যাণে একদিন বল মাঠেই গড়ায় নি। এদিকে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম চার দিন লড়াই করলেও পঞ্চম দিনে পাত্তাই পেলো না বিরাট কোহলিরা। যদিও চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ৩ উইকেট হারানোর পাশাপাশি ম্যাচ থেকে ছিঁটকে গিয়েছিল ভারত। পঞ্চম দিনে এসে ম্যাচের গতি পাল্টাতে পারে নি ভারতীয়রা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রবি শাস্ত্রীর দল।

টেস্ট জয়ের জন্য ২৮৭ রানের টার্গেটে মাত্র ৮৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। পরাজয় যখন চোখের সামনে তখন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রোহিত শর্মা। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি সফরের আগের তিন ইনিংসে (১০, ১১, ১০) সর্বোচ্চ ১১ রান করা রোহিত চতুর্থ ইনিংসে ৭৪ বলে ৪৭ রান করেন। রোহিতের পর সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন পেসার মোহাম্মদ সামি। প্রথম ইনিংসে একাই ১৫৩ রান করা ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি গতকাল লুঙ্গির বলে আউট হয়েছিলেন মাত্র ৫ রানে।

ডেল স্টেইনের ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল পেসার লুঙ্গি এনগিডির। প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৬টি উইকেট। আর লুঙ্গির গতিতে ১৫১ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। পরাজয় ১৩৫ রানে। লুঙ্গির পাশাপাশি ৩ টি উইকেট দখল করেছেন আরেক পেসার কাগিসো রাবাদা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক লাখ ১৫ হাজার টাকা খেয়ে ফেললো ষাঁড়!

সামনে পেয়ে টাকা অবলীলায় খেয়ে ফেলেছে ষাঁড়টি। এরই মধ্যে তার পেটে লক্ষাধিক টাকা ঢুকেছে। টাকাখেকো এ ষাঁড় নিয়ে বিপদে পড়েছেন মালিক রমজান আলী। একটি সংস্থার মাধ্যমে কেনা ষাঁড়টি বিক্রি করার অনুমতিও পাচ্ছেন না তিনি।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) মালিকের জ্যাকেটে থাকা এক লাখ ১৫ হাজার টাকা খেয়ে ফেলে ষাঁড়টি।

রমজান আলী বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল সর্দারপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বাজারে পানের দোকান রয়েছে তাঁর। রমজানের চার সন্তানের মধ্যে তিন মেয়ে স্কুলে অধ্যয়নরত। ছেলেটির বয়স তিন বছর। অর্থকষ্টে থাকা রমজান তিন মাস আগে কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন থেকে কিস্তিতে ষাঁড়টি কেনেন। শাহিওয়াল ষাঁড়টির আচরণ এমনিতে স্বাভাবিক ছিলো।

গত ১০ জানুয়ারি রমজান নিজ দোকানে হালখাতা করেন বকেয়া টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে। দোকানে বকেয়া দুই লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা আদায় করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। টাকাসহ জ্যাকেটটি মাথার কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, জ্যাকেটটি ঘরের ভাঙা বেড়ার ফাঁকে ঝুলে আছে। কিন্তু পকেটে টাকা নেই।

ও পাশে অবস্থান করা ষাঁড়টির দিকে তাকাতেই দেখা যায়, এক হাজার টাকার একটি নোট মুখে ঢুকিয়ে চিবাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই নোট রমজান কোনোক্রমে মুখ থেকে বের করলেও বাকি টাকার সন্ধান মেলেনি। এ দৃশ্য দেখার পর রমজান মূর্ছা যান। পরে তাঁকে নিতে হয় হাসপাতালে। এ ঘটনা যাচাইয়ের জন্য ষাঁড়টির সামনে টাকা রেখে পরীক্ষা করা হয়েছিলো কিন্তু ষাঁড়টি তা খেয়ে নিচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা প্রথমে ঘটনা বিশ্বাস করিনি। পরে নিজেরা পরীক্ষা করে দেখেছি গরুটি টাকা খায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজার রহমান বলেন, আমি রমজানের বাড়ি গিয়ে দেখেছি ঘটনাটি সত্যি। বেচারার খুব কষ্টে উপার্জন করা টাকা ষাঁড়টি খেয়ে ফেলেছে। আমরা তাঁকে যথাসাধ্য সহযোগিতার চেষ্টা করব।

ক্ষতিগ্রস্ত রমজান আলী বলেন, চোরের ভয়ে টাকাসহ জ্যাকেটটি ঘুমের সময় কাছেই রেখেছিলাম। কিন্তু কী করে বুঝব, ষাঁড়টি টাকা খেয়ে নেবে। এখন ষাঁড় বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি, কিন্তু কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন থেকে অনুমতি দিচ্ছে না। এখন কিভাবে সংসার চালাব, কিভাবেই বা ঋণের টাকা শোধ করব?

কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। তাঁরা এ বিষয়ে কোনো ক্ষতিপূরণ দেবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারল হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কা

ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৯০ রান করে জিম্বাবুয়ে। জয়ের জন্য ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭৮ রানে অলআউট হয়েছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। তাতে চন্ড্রিকা হাথুরুসিংহের দলটিকে ১২ রানে হারের তিক্ত স্বাদ দেয় জিম্বাবুয়ে

শ্রীলঙ্কা: ২৭৮/১০ (৪৮.১ ওভার)। থিসারা পেরেরা (৬৪), ধনঞ্জয়া (৮), ডি সিলভা (১১), গুনারত্নে (৪), চান্দিমাল (৩৪), ম্যাথুস (৪২), কুশাল পেরেরা (৮০), কুশাল মেন্ডিস (০), থারাঙ্গা (১১) ।

জিম্বাবুয়ে: ২৯০/৬ (৫০ ওভার)। রাজা ৮১, মাসাকাদজা ৭৩, টেলর ৩৮ ও সলোমান মিরে ৩৪, সলোমান মিরে (৩৪), এরভিন (২), মাসাকাদজা (৭৩), টেলর (৩৮), ওয়ালার (২৯) ও মুর ১৯।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বছর পূর্ণ হলেও উদঘাটন হয়নি ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যার রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যার এক বছর পূর্ণ হলেও পুলিশ আজও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। যে কারণে মামলার বাদি ও হত্যার শিকার ইমনের মা-বাবা হতাশায় ভুগছেন। তারা অনতিবিলম্বে প্রকৃত হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার শেখ হাসিবুল হাসান ওরফে ইমন (২১) খুলনা আযম খান কমার্স কলেজে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিল। একই সাথে তিনি সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার তারিখ ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রাত অনুমান নয়টার দিকে ইমনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ইমন ফোন রিসিভ করেনি। এমনকি ওই রাতে ইমন বাড়িতেও ফেরেনি। এ বিষয়ে ইমনের মা-বাবাসহ সকলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরদিন সকাল (১৭ জানুয়ারি) নয়টার দিকে বাদীসহ পরিবারের লোকজন জানতে পারেন সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের মাটিয়াডাঙা গ্রামের একটি মাছের ঘেরের মধ্যে ইমনের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বাদীসহ অনেকেই ওই স্থানে যেয়ে ইমনের লাশ সনাক্ত করেন। পুলিশ সুরতাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য ইমনের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ইমনের চাচা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৭, তারিখ-১৭/০১/২০১৭ইং। ধারা-৩০২/৩৪। মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়। পুলিশ এ মামলায় ওই দিনই তিনজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনে। এরা হচ্ছে সুলতানপুর গ্রামের শেখ হাফিজুর রহমান ওরফে শাহ আলমের ছেলে শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মুরাদ, একই গ্রামের শেখ সেলিমুর রহমান সেলিমের ছেলে শেখ বখতিয়ার রহমান ওরফে বিপ্লব এবং রাজা মোল্লার ছেলে রেজাউল মোল্লা ওরফে রনি। পুলিশ তাদেরকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। এক পর্যায়ে আসামীরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। এর কিছুদিন পর এ মামলায় সন্দেহ ভাজন আর একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি হলেন সুলতানপুর গ্রামের কাজী ওহাব আলী সরদারের ছেলে কাজী শহিদুল ইসলাম। তাকে পুলিশ রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এ সময় আসামী শহিদুল মামলার বাদী আলমগীর হাসান ওরফে আলমের হত্যায় সম্পৃক্ততা আছে বলে পুলিশের কাছে জানায়। কিন্তু আদালতে বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় আসামী শহিদুল জানান, পুলিশ নির্যাতন করে তার মুখ থেকে জোর করে বাদী আলমগীর হাসানের নাম বের করে। এক পর্যায়ে এ আসামীও আদালত থেকে জামিনে বের হয়। বিষয়টি নিয়ে ইমনের বাবা-মা ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বাদী আলমগীরের সম্পর্কের ঘাটতি হয়।
এদিকে, সদর থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করে কোন কুল কিনারা না পাওয়ায় তদন্ত ভার সাতক্ষীরা সিআইডির ওপর ন্যস্ত হয়। যা আজও তদন্তাধীন রয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলেও আমি তদন্তভার পেয়েছি অনেক পরে। তিনি জানান, তদন্ত কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। তাড়াতাড়ি ঘটনার প্রকৃত রহস্য ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest