সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রি

গরিব কিশোরীরা আরব শেখদের ‘ছুটি কাটানোর বউ’

ভারতের হায়দ্রাবাদে কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করতে আসা আরব শেখদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিলো মাস খানেক আগে। মূলত অল্প কিছুদিনের জন্য ভারতে এসে তারা স্থানীয় একটি চক্রের সহায়তায় জাল কাগজপত্র তৈরি করে অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করে।

এ ধরনের একজন আরব শেখ বিয়ে করেছিলো ফরহীনকে, যে পড়াশোনায় বেশ ভালই ছিল আর স্বপ্ন ছিলো নার্স হওয়ার।

এক সকালে হঠাৎই ওর জীবনটা বদলে গেল যখন ওর বাবা একটা ঘরে তিনজন অচেনা লোকের সামনে ওকে হাজির করালেন। ওকে শুধু বলা হল ওই তিনজনের মধ্যে একজনের সঙ্গেই সেদিন বিকেলেই ওর বিয়ে হবে। ফরহীনের বয়স তখন ১৩। আর জর্ডনের অধিবাসী যে শেখের সঙ্গে সেই বিকেলে ওর বিয়ে হল, তার বয়স ৫৫।

“আমি চিৎকার করে কাঁদছিলাম। বাবা মায়ের পায়ে পড়ছিলাম বার বার। বলছিলাম যে আমি পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনে নি,” বলেছেন ফরহীন।

ওর মা-ই ওকে কনের সাজে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিয়ের বদলে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে ওই শেখ। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেবে সে। একজন কাজি ওদের নিকাহ পড়িয়েছিলেন।

“ওই লোকটাকে প্রথমে দেখেই মনে হয়েছিল আমার থেকে ৪০ বছরেরও বেশী বড় হবে নিশ্চয়ই। প্রথম রাতে আমি কান্নাকাটি করছিলাম, কিন্তু ওই লোকটা জবরদস্তি করেছিল আমার ওপরে, তারপরের তিন সপ্তাহ প্রতিদিন-প্রতিরাত সে আমাকে ধর্ষণ করেছে” বলছিলেন ফরহীন।

তার বউ-বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য ফরহীনকে সঙ্গে করে জর্ডনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ওই শেখ। তার আগে ফরহীনের জানা ছিল না যে ওই লোকটা বিবাহিত। ফরহীনের বাবা-মায়ের সাথে ওই শেখ একটা সমঝোতায় এল – সে জর্ডন ফিরে যাবে, পরে ভিসা পাঠালে ফরহীন যাবে সে দেশে।

সেই ভিসা আর কখনও আসে নি। ফরহীন নিয়ম মতো এখনও বিবাহিত, কিন্তু তিনি জানেন না যে তাঁর স্বামী কোথায়।

“ওই ঘটনার প্রায় একবছর পর অবধি আমি চুপচাপ ছিলাম। একটুও কাঁদি নি। একেক সময়ে মনে হত মরে যাই। নিজের পরিবার – বাবা, মা – আমাকে ধোঁকা দিল?” বলছিলেন ফরহীন।

ওই ঘটনার পরে আট বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও ফরহীন সেই শক কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। ওর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দপ্তরে, সেখানেই একজন শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করছেন তিনি।

ফরহীন বলছিলেন, “আমার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কেউ ঠাট্টা করে যে এক খারাপ লোকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল বলে। কেউ আবার বলে যে আমি নাকি স্বামীর ইচ্ছা পূরণ করতে পারি নি বলে সে ছেড়ে চলে গেছে।”

ফরহীনের ঘটনার মতো আরও ৪৮টা অভিযোগ গত তিনবছরে তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে জমা পড়েছে। যে কাজি ফরহীনের বিয়ে দিয়েছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হায়দ্রাবাদ শহরের দক্ষিণ জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভি সত্যনারায়ন বলছিলেন, “সাধারণ ভাবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসে না। আর এলেও অনেক সময়ে দেখা যায় অভিযুক্ত শেখ আগেই ভারত ছেড়ে পালিয়েছে। এটা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করি, কিন্তু ওই শেখদের ভারতে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করাটা খুব কঠিন।”

সিনিয়র পুলিশ অফিসারেরা বলছেন, এটা বেশ জটিল একটা অপরাধী নেটওয়ার্ক। অনেক দালাল থাকে এর মধ্যে – যারা বিয়ের ভুয়ো প্রমাণপত্র তৈরি করে দেয়।

সেপ্টেম্বর মাসে আটজন শেখকে তেলেঙ্গানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এদের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৮০। বাকিদের ৩৫-এর আশেপাশে। এই আটজন যাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল, তাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর।

১২ বছরের তাবাস্সুমের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৭০ বছরের এক ব্যক্তির সঙ্গে। একটা হোটেলে নিয়ে গিয়ে যৌন অত্যাচার করার পরে তাকে তার ‘স্বামী’ ভিসা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল।

তাবাস্সুম বছর খানেক পরে এক সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু সেই সন্তানকে বড় করা হয়েছে তাবাস্সুমের বোন হিসাবে।

তিনি বলছিলেন, “আমার মেয়ে যখন আমাকে দিদি বলে ডাকে, প্রত্যেকবার আমার বুকটা মুচড়ে ওঠে। আমি তো মা ডাকটা শুনতে চাই।” বেশীরভাগ শেখ ওমান, কাতার, সৌদি আরব বা ইয়েমেন থেকে আসে। কোনও কোনও বিয়েতে আবার পাত্র তো ভারতে আসেও না। ফোনেই বিয়ে হয়ে যায়।

যেমনটা হয়েছিল জেহরা-র। বছর ১৫-র জেহরা অনাথ। তার দাদির সঙ্গে থাকত সে। জেহরার একটা ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল তারই মামি।

“বাড়িতে কাজি এসেছিল এক রাত্রে। ফোনের মাধ্যমেই নিকাহ পড়িয়ে দিল। আমি জানতামও না কার সঙ্গে আমার বিয়ে হল,” বলছিলেন জেহরা।

কিছুদিন পরে ভিসা পেয়ে জেহরা ইয়েমেন যায়। এক ৬৫ বছরের লোক নিজেকে জেহরার স্বামী বলে পরিচয় দেয়। তাকে একটা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সেখানে অত্যাচার করার পরে তাকে হায়দ্রাবাদে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফরহীন বা জেহরার মতো মেয়েদের ব্যবহার করে তারপরে ছেড়ে দেয় ওই আরব শেখরা।

‘শাহিন’ নামের একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান জামিলা নিশাত। তিনি এরকম নারীদেরই সাহায্য করে থাকেন।

জামিলার কথায়, “আমি যে মুসলিম এলাকায় কাজ করি, সেখানে এক তৃতীয়াংশ পরিবারই অর্থের লোভে নিজেদের মেয়েদের এইভাবে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। খুবই গরীব পরিবার এগুলো। বাচ্চাদের খাবারের ব্যবস্থাও করতে পারে না এরা। স্কুল থেকে যে সরকারী মিড-ডে মিল দেওয়া হয়, শুধু সেই খাবার খেয়েই বড় হয় শিশুরা।”

কেউ অবশ্য স্বীকার করে না যে তারা অর্থের জন্য এইভাবে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, বরং তারা বলার চেষ্টা করে যে একটা সামাজিক নিয়ম পালন করছে এর মাধ্যমে। এরকমও ঘটনা আছে, যেখানে একই পুরুষের সঙ্গে দুটি মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রুবিয়া আর সুলতানা দুজনেই ছিল ছোটবেলার বন্ধু। তাদের দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল – শেখের সঙ্গে। পরে তারা বুঝতে পারে যে তাদের দুজনেরই স্বামী একই ব্যক্তি – ওমানের বাসিন্দা এক ৭৮ বছরের শেখ। কাঁদতে কাঁদতে রুবিয়া বলছিল যে বিয়ের সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।

“ওই লোকটা আমাকে আর আমার বন্ধুকে ছেড়ে চলে যায়। বেশ কয়েক সপ্তাহ তার কোনও খোঁজ পাই নি আমরা। সুলতানা শেষ অবধি আত্মহত্যা করে,” বলছিলেন রুবিয়া।

ইসলামিক পণ্ডিত মুফতি হাফিজ আবরার এই ধরণের বিয়েকে বেশ্যাবৃত্তি বলে মনে করেন।

“যে কাজি অর্থের বিনিময়ে এইভাবে অন্য দেশের পুরুষদের সঙ্গে এখানকার মেয়েদের বিয়ে দেয়, তারা ইসলাম ধর্মের আর মুসলমানদের নাম খারাপ করছে,” বলেও অভিমত মি. হাফিজের। কিন্তু তেলেঙ্গানার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক ইমতিয়াজ আলি খান মনে করেন এই ধরনের বিয়ে আটকাতে মসজিদগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।

“আমরা মসজিদগুলোকে বলতে শুরু করেছি যে এইরকম অনৈতিক বিয়ের ব্যাপারে নামাজিদের যেন তারা সতর্ক করতে শুরু করে,” বলছিলেন মি. খান।

ফরহীন, তাবাস্সুম, জেহরা, রুবিয়া আর সুলতানাদের মতো যুবতীরা অবশ্য এখনও আশা করে যে তাদের যে অবস্থায় পড়তে হয়েছে, সেই অবস্থায় অন্য শিশু বা নারীদের হয়তো আর পড়তে হবে না কিছুদিন পরে।

ফরহীন স্বপ্ন দেখেন সেই দিনের, যেদিন নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে সমাজ সচেতন হবে, তারা যে শুধুই যৌন লিপ্সা মেটানোর বস্তু নয়, সেটা বুঝতে শিখবে সবাই।

“আমার পরিবার এখন আমার কাছে ক্ষমা চায় তাদের কৃতকর্মের জন্য। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের ভুল। এভাবেই যদি বাকিরাও বুঝতে পারে যে অর্থের লোভে নিজের মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে বরং তাদের পড়াশোনা করানো দরকার,” বলছিলেন ফরহীন। সূত্র: বিবিসি নিউজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিশোরীর পুরুষাঙ্গ : লজ্জায় পরিবার!

কিশোরীর শরীরে পুরুষাঙ্গ বদলে তৈরি করা হল স্ত্রীঅঙ্গ! কঠিন এই কাজটিই করে দেখালেন ভারতের এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যার জন্য কার্যত নতুন জীবন পেল বছর এগারোর ওই কিশোরী।

না ছেলে না মেয়ে। এমন শারীরিক সমস্যা নিয়ে দিন কাটছিল মালদহের বছর এগারোর এক কিশোরীর। ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী যতই বড় হচ্ছিল, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছিল পরিবারের।

কারণ শারীরিক গঠন, এমনকী অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মেয়েদের মতো হলেও জন্ম থেকেই অদ্ভুতভাবে তৈরি হয়েছিল পুরুষাঙ্গ।

সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছিল কিশোরীর পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে। গত কয়েক বছরে চিকিৎসার জন্য যেখানেই গিয়েছে কিশোরীর পরিবার, সেখান থেকেই নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।

কারণ, অধিকাংশ চিকিৎসক দায়িত্ব নিতে চাননি। আবার যাঁরা চিকিৎসার কথা বলেছেন, তাঁরাও লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ব্যয়বহুল অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পেশায় শ্রমিক পরিবারের আর্থিক সামর্থ্যে তা কুলায়নি।

শেষ পর্যন্ত সুরাহা হল মালদহ মেডিক্যালে। তাও আবার সম্পূর্ণ নিখরচায়। দিন কয়েক আগে বর্হিবিভাগে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসেন আত্মীয়রা।

এ দিন জটিল অস্ত্রোপচার করেন এখানকার চিকিৎসকেরা। সরকারি হাসপাতালে এমন পরিষেবা পেয়ে আপ্লুত অসহায় পরিবার।

মালদহ মেডিক্যালে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে কিশোরীর। এই জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মলয় সরকারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের চিকিৎসক দল তৈরি করা হয়।

শুধু মালদহেই নয় গোটা উত্তরবঙ্গে এমন জটিল অস্ত্রোপচার এই প্রথম বলে জানিয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অমিত দাঁ। সূত্র: এবেলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিয়ে করলেন ক্রিকেটার তাসকিন

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাইয়েদা রায়েবা নাঈমা’র সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সূত্রে জানা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের ক্রিকেটারসহ তাসকিনের নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগেই ঘরোয়াভাবে তাসকিন-রাবেয়ার আংটি বদল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরের শেষ দিনে নতুন ইনিংসে পা দিলেন তাসকিন।

স্ত্রী নাঈমা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) অর্থনীতিতে স্নাতক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাসকিন নিজেও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

মাত্র শেষ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে মঙ্গলবার সকালেই দেশে ফিরেছেন তাসকিন ও তার দল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে আর দুইটি টি-টোয়েন্টি মাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে একটি টেস্ট ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই মূল একাদশে ছিলেন তাসকিন।

যদিও বল হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি টেস্টে সাত উইকেট, ওয়ানডেতে ৪৭ উইকেট ও টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকায় শুধুমাত্র সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে দুটি উইকেট নিতে পেরেছেন তাসকিন। বাকি সব ম্যাচেই ছিলেন উইকেটশূন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলায় পরীক্ষার্থী ৩২ হাজার ৪শত ৪৩ জন: আজ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের ন্যায় আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এবছর সাতক্ষীরা জেলা মোট ২৩ টি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৪জন এবং ১৩টি কেন্দ্রে জেডিসি পরীক্ষায় সর্বমোট ৭ হাজার ৪শত ৩৯জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে সর্বমোট ৩২ হাজার ৪শত ৪৩ জন পরীক্ষার্থী।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা: সাতক্ষীরা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় টাউন গার্লস হাইস্কুল ও তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১হাজার ৮শত ৪৮ জন। সাতক্ষীরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫শত ২জন এবং নবারুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শত ৮৫ জন। জেডিসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শত ৫০ জন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা:) ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শত ৮জন ও আঁগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শত ৯৩ জন।
কলারোয়া উপজেলা : জেএসসি পরীক্ষায় কলারোয়া জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪শত ৪৮ জন, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯শত ২১জন, খোর্দ্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শত ৩৩ জন, কলোরোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১ শত ৫৪জন, জেডিসি পরীক্ষায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শত ৬২ জন।
তালা উপজেলা : জেএসসি পরীক্ষায় তালা সরকারি বি দে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬শত ২৪জন, কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শত ৮৯ জন, খলীষখালি মাগুরা এস সি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শত ৩২ জন, আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শত ১৫জন, জেডিসি পরীক্ষায় তালা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শত ১০জন, পাটকেলঘাটা আল আমিন ফাযিল মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শত ৯৫জন।
আশাশুনি উপজেলা : জেএসসি পরীক্ষায় আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩শত ৩০ জন, দরগাহপুর এস কে আর এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শত ২৭ জন, বুধহাটা বি বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১শত ২৯জন, বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর ৭শত ৯২জন, জেডিসি পরীক্ষায় আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শত ৬০জন, গুনাকরকাটি আজিজিয়া খাইরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শত ১০ জন।
কালিগঞ্জ উপজেলা: জেএসসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৩শত ৭২জন, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শত ৬৫জন, চাম্পাফুল আ. প্র. চ. মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শত ১০ জন, জেডিসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ নাছরুল উলম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শত ৮৬ জন, নলতা মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শত ৮৩ জন।
দেবহাটা উপজেলা : জেএসসি পরীক্ষায় দেবহাটা বি বি এম পি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শত ৩৭ জন, পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮শত ৮৫ জন, জেডিসি পরীক্ষায় সখিপুর আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শত ৪৮জন।
শ্যামনগর উপজেলা: জেএসসি পরীক্ষায় নকিপুর এইচ, সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪শত ৫১জন, নওয়াবেকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১শত ৬৯ জন, নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯শত ৫৬জন, জেডিসি পরীক্ষায় শ্যামনগর কেন্দ্রিয় আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯শত ৮৭জন, নওয়াবেঁকী বিড়ালক্ষী কাদেরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শত ৪৭জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় অসুস্থ ২ ব্যক্তিকে জেলা পরিষদ’র অনুদান

তালা প্রতিনিধি : উপজেলার ফলেয়া গ্রামের অসুস্থ দরিদ্র কৃষক পবন বিশ্বাস এবং মাগুরার সাবেক ইউপি সদস্য অসুস্থ্য খান শওকত হোসেনকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৫ এর সদস্য মাহফুজা সুলতানা রুবি’র উদ্যোগে জেলা পরিষদ’র তহবিল থেকে অসুস্থ্য ওই ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য এই অনুদান প্রদান করা হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসা সহায়তার চেক প্রদান উপলক্ষ্যে সোমবার রাতে তালার মাগুরা বাজারে এক অনুষ্ঠান উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল হালিম টুটুল’র অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল হালিম টুটুল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদের সদস্যা মাহফুজা সুলতানা রুবি। এসময় শিক্ষক অজয় কুমার দাস, ইউপি সদস্য আনছার বিশ্বাস, আব্দার হোসেন, তালা রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য সচিব বি.এম. জুলফিকার রায়হান, আওয়ামীলীগ নেতা অলোক বসু, আব্দুল আলীম নিটোল, শেখ জিকো ও আছাদুল মোড়ল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে অসুস্থ পবন বিশ্বাসের হাতে ৫ হাজার টাকার চেক তুলেদেন ইউপি সদস্য আনছার আলী বিশ্বাস ও খান শওকাত হোসেন এর হাতে অনুরুপ ৫ হাজার টাকার চেক তুলেদেন আ ’লীগ নেতা অলোক বসু। অনুষ্ঠানে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের ভাইয়ের মৃত্যু

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হেসেন ও দপ্তর সম্পাদক এম এম নুর আলমের ভাই দ্বীন ইসলাম মালী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি …. রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫০বছর।
কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের মৃতঃ আঃ গফুর মালীর সেজো পুত্র দ্বীন ইসলাম দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা, খুলনা ও ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাদ আসর কাদাকাটি আরার ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মাওঃ জিয়াউল ইসলাম যুক্তিবাদী। এসময় বক্তব্য রাখেন কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম রফিকুল ইসলাম, মাওঃ ফরিদ আহমদ আরারী, মাওঃ সাইদুল ইসলাম, হাফেজ আঃ মালেক, এড. জিয়াউর রহমান প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাংগাঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য রুহুল আমীন সরদার, আবু হাসান বাবু, আশাশুনি প্রেস ক্লাব, আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ইমাম, আলেম, শিক্ষক, গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১পুত্র ও ১কন্যা সন্তানসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দ। বিবৃতি দাতারা হলেন রিপোটার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা, সহ সভাপতি আকাশ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাষ্টার সুব্রত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বাদশা, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক মোখলেছুর রহমান ময়না, ক্রীড়া সম্পাদক জি এম আজিজুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, মোঃ আবু ছালেক, বাহবুল হাসনাইন, অধ্যক্ষ আলমিন হোসেন ছট্টু, সাধারন সদস্য উত্তম কুমার দাশ, সত্যরঞ্জন সরকার, সদস্য বাপন মিত্র ও তপন রায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থী ৫১২৩

আশাশুনি ব্যুরো: সারাদেশের ন্যায় আশাশুনিতে আজ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। উপজেলায় মোট ৪৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি মাদরাসার ৫ হাজার ১ শত ২৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। যার মধ্যে জেএসসি ৩ হাজার ৯ শ’ ৫৩ জন এবং জেডিসি পরীক্ষার্থী ১১৭০ জন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ জানান, ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে আশাশুনি কেন্দ্রে ১৪টি স্কুলের ১৩২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এখানে মূল কেন্দ্রে ৪১০ জন ছাত্র ও ২৬৮ জন ছাত্রী এবং ভেন্যু কেন্দ্রে ৩১০ ছাত্র ও ৩৩২ ছাত্রী মোট ১৩২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। বুধহাটা কেন্দ্রে ১৪টি স্কুলের ১১২৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে মূল কেন্দ্রে ৩৬৫ ছাত্র ও ৪০৪ ছাত্রী এবং ভেন্যু কেন্দ্রে ১৮৮ ছাত্র ও ১৭০ ছাত্রী রয়েছে। দরগাহপুর কেন্দ্রে ৬টি স্কুলের ৭২৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে মূল কেন্দ্রে ১৬১ ছাত্র ও ২২৪ ছাত্রী এবং ভেন্যু কেন্দ্রে ১৬৮ ছাত্র ও ১৭৪ ছাত্রী রয়েছে। বড়দল কেন্দ্রে ১২ টি স্কুলের ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৩৫৩ ছাত্র ও ৪২৬ জন ছাত্রী। অপর দিকে জেডিসি পরীক্ষায় ২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আশাশুনি কেন্দ্রে ২১টি মাদরাসার ৮৬০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৩৯৬ ছাত্র ও ৪৬৪ ছাত্রী এবং গুনাকরকাটি কেন্দ্রে ৮টি মাদরাসার ৩১০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। যার মধ্যে ১৮৮ ছাত্র ও ১২২ জন ছাত্রী। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকল মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা স্থলবন্দরের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গণশুানি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোমরা স্থলবন্দরের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কাস্টসম চত্বরে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন ভোমরা শুল্কু স্টেশনের সহকারী কমিশনার রেজাউল হক। এনবিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় সহকারী কশিনার জুয়েল আহমেদ, বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত এডি খাদেমুল হক, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট’র সহ-সভাপতি শাহানুর ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, কোয়ারেইনটেন্ড এর সেকেন্ড অফিসার আসাদজ্জামান, রাজস্ব কমকর্তা শফিউর রহমানসহ সকল রাজস্ব কর্মকর্তা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন। ভোমরা কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোয়ারেইনটেন্ড ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের সমন্বয়ে উক্ত গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
গণশুনানীতে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করা জরুরি। ভারত- বাংলাদেশের মাধ্যবর্তী স্থানে একটি ব্রীজ রয়েছে। উক্ত ব্রীজটি সংষ্কারের নাম করেও সংস্কার করা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন এটির এক পাশ বিকল অবস্থা রয়েছে। যে কারণে এ বন্দরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি বন্দরে গাড়িও ঢুকছে কম। অবিলম্বে ওই ব্রীজটি সংস্কারের দাবি জানান। এছাড়া ভোমরা বন্দরের চেয়ে অন্যান্য বন্দরগুলোতে সুযোগ সুবিধা বেশী পাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে অন্যান্য বন্দরের দিকে ঝুঁকছে। এতে করে ভোমরাবন্দর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এবিষয়ে সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। এদিকে এ বন্দরে যে সব মালামালের অনুমতি রয়েছে বন্দরের সুুযোগ সুবিধা কম থাকার কারণে সে সব মালামাল ঢুকছে না। যেহেতু পেঁয়াজ শুল্কমুক্ত পণ্য সে কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের গাড়ি স্কেল না করে সরাসরি ওয়্যার হাউজে প্রবেশের দাবিসহ বন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় আগত কর্মকর্তারা তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest