সর্বশেষ সংবাদ-
খুলনায় ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি  মাদক বিক্রিকালে গ্রেফতার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আল আমিনআশাশুনিতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট নির্বাহী কমিটির নির্বাচন: ৭টি পদের বিপরীতে ২৬ টি মনোনয়নপত্র বিক্রিজুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভআশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

‘পরীক্ষার দিন সকালে শিক্ষকরাই খাম খুলে প্রশ্নফাঁস করেন’

ন্যাশনাল ডেস্ক: পরীক্ষার দিন সকালে শিক্ষকরাই খাম খুলে প্রশ্নফাঁস করে দেন বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রবিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রশ্নফাঁসসহ একাধিক কারণে সরকারকে চাপে থাকতে হয় মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস আমাদের দেশের দীর্ঘকালের সমস্যা। আমরা শুরু থেকে এই সমস্যা মোকাবিলা করছি। আগে বিজি প্রেস একটি সমস্যা ছিল। কিন্তু আমরা সেটাকে নিরাপদ করেছি। এখন সেখান থেকে প্রশ্নফাঁসের কোনও আশঙ্কা নেই। সেখান থেকে জেলা-উপজেলায় প্রশ্ন পাঠানো হয়, সেটাকেও নিরাপদ করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যাদের নিরাপদ ভাবা উচিত, সেই শিক্ষকরাই পরীক্ষার দিন সকালবেলায় প্রশ্নফাঁস করেন। কিছুসংখ্যক শিক্ষক যারা শিক্ষক সমাজের সম্মান নষ্ট করছে এবং সার্বিকভাবে সরকারকে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। তারা পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্রের খাম খুলে এটা প্রচার করে দেয়। এতে তারা অর্থও আয় করে, সরকারকেও বেকায়দায় ফেলতে চায়।’
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘তবে এবার আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনোভাবে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে, তার কঠোর শাস্তি হবে। শিক্ষকের চাকরি থাকবে না। পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবে না। স্কুলও আমরা কেটে দিতে পারি। কোনও ধরনের মোবাইল ফোন কেউ পরীক্ষার হলের পাশে নিতে পারবেন না। শেষ সময় প্রশ্নফাঁস হয় বলে আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে গিয়ে পরীক্ষার্থী সিটে বসতে হবে। তারপর প্রশ্নের খাম খোলা হবে। এটা পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা মোবাইল টিমও গঠন করেছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় বন্ধ করতে পারবো।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসকারীরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আমরা যখন এর পাল্টা ব্যবস্থা করি, তখন তারা আরেকটি প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়। এটা হচ্ছে উন্নয়নের সমস্য। প্রযুক্তির সমস্যা। তবে, এটা আমরা মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কনস্টেবল নিয়োগে টাকা ভাগাভাগি করা নেতা চাই না -ওবায়দুল কাদের

ন্যাশনাল ডেস্ক: নেতা-কর্মীদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পুলিশের কনস্টেবলের চাকরির ভাগাভাগিতে টাকার বিনিময়ে অংশ নেওয়া নেতা আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই। প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরীর চাকরির জন্য টাকা নেওয়া নেতা শেখ হাসিনার দরকার নেই।
রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত এক শোকসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে এই সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন রাজনীতিকের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি ঘটেছে। কারণ, তিনি মাটি ও মানুষের রাজনীতি করেছেন। মানুষের মনের ভাষা বুঝেছেন।
নেতা-কর্মীদের আচরণে শুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আচরণ ভালো না হলে শত উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। তাই নেতা-কর্মীদের আচরণ ভালো করতে হবে। মানুষের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে।
নেতা-কর্মীদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে নেতা জনতার না, ওই নেতার দরকার নেই। যে নেতা পুলিশের কনস্টেবলের চাকরির ভাগাভাগিতে টাকার বিনিময়ে অংশ নেয়, গরিব মানুষ থেকে টাকা আদায় করে, সেই নেতা আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই। যে নেতা প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরীর চাকরির জন্য গরিব মানুষ থেকে টাকা নেয়, সেই নেতা শেখ হাসিনার দরকার নেই।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতারা নেতা বানায়। কিন্তু আপনারা পকেট কমিটি করবেন না, পকেট ভারী করবেন না। আমি জানি, দুঃসময়ের অনেক কর্মী এখানে আছেন, যাঁরা কোণঠাসা। দুঃসময়ের কর্মীদের কমিটিতে জায়গা থাকলে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী থাকবে। যখন অন্ধকার, দুর্দিন, তখন ছিলেন মহিউদ্দিন। শীতের অতিথি পাখিরা আসে। আবার শীত চলে গেলে পাখিরা চলে যায়। ক্ষমতা যখন থাকবে না, তখন পাঁচ হাজার ওয়াটের বাতি দিয়ে এখানে উপস্থিত অনেককে পাওয়া যাবে না।’
আত্মসমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হয়। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। কিন্তু তাই বলে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয় না। আমরা ভুল সংশোধন করি। যারা অপরাধ করেছে, তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের এমপি কারাগারে, মন্ত্রীপুত্র কারাগারে। কিন্তু বিএনপির আমলে এসব কল্পনা করা যেত না।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বিগ বস’র শিরোপা জিতলেন শিল্পা শিন্ডে

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শিন্ডে দেশটির কালারস টিভি চ্যানেলের রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতলেন। ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শো’র ১১তম আসরে রবিবার রাতে এ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক বলিউড সুপারস্টার সালমান খান।

‘বিগ বস’র ফাইনালের প্রথম পর্ব গত ১৩ জানুয়ারি প্রচারিত হয়। এ সময় অতিথি ছিলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। জানা যায়, শিন্ডে ছাড়াও ফাইনালে ছিলেন, বিকাশ গুপ্ত, পুনীষ শর্মা ও হিনা খান। বিকাশ ও পুনীষ আগেই বাদ পড়েন। শেষ লড়াইয়ে হিনাকে হটিয়ে শিরোপা হাতে পেয়েছেন শিল্পা শিন্ডে। পুরস্কার হিসেবে নগদ ৪৪ লাখ রুপিও গেছে তার অ্যাকাউন্টে। ‘ভাবিজি ঘর পার হ্যায়!’ সিটকমে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান শিল্পা শিন্ডে। সেই সূত্র ধরে ‘বিগ বস ১১’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২ কোটির ক্লাবে ‘ডানা কাটা পরী’

‘রক্ত’ ছবির আলোচিত আইটেম গান ‘ডানা কাটা পরী’ ২ কোটি বার ইউটিউবে ভিউ (দেখা) হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী নায়িকা পরীমণি।

২০১৬ সালের ৬ আগস্ট অনলাইনে প্রকাশ করা হয় ছবিটির ‘ডানা কাটা পরী’ শিরোনামের গানটি। এটি গেয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী কনিকা কাপুর। গানটি প্রকাশের পর প্রায় এক বছর ৫ মাস কেটে গেছে। কিন্তু এই গানের রেশ রয়ে গেছে এখনো। গত বছরের এপ্রিলে কোটি ছাড়ানোর পর এবার দুই কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে গানটি। রবিবার পর্যন্ত ইউটিউবে গানটি দেখেছেন প্রায় ২ কোটি ৩ লাখ দর্শক।

এতে বেশ উচ্ছ্বসিত ছবির নায়িকা পরীমণি। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ”ডানা কাটা পরী; ২ কোটি ভিউ; লাভ ইউ অল।”

২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় ‘রক্ত’। এতে পরীমণি ছাড়া আরও অভিনয় করেন রোশন, আশিস বিদ্যার্থী, বিপ্লব চ্যাটার্জি, রাজা দত্ত, অমিত হাসান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জেসন রয়ের

টেস্টে ধরাশায়ী হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। অ্যাসেজের শুরুটা ভালো যায়নি মোটেও। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতেই ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। তাও আবার রেকর্ড রানের ব্যাটিং করে দলকে জেতালেন জেসন রয়। ওডিআই-এ দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেন এই ব্যাটসম্যান।

ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন জেসন। কিন্তু তিনি টিকে থাকলেও পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টো ১৪ ও হেলস ৪ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর জেসনের সাথে ইংল্যান্ড ইনিংসের হাল ধরে জো রুট। যোগ্য সঙ্গত করে যান জেসনের দুরন্ত ইনিংসেও। জেসন রয় যখন প্যাভলিয়নে ফেরেন তখন তার নামের পাশে ১৮০ রান। ছাপিয়ে গিয়েছেন দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংসকে।

তারই এক সময়ের ওপেনিং পার্টনারেরই হাতে ছিল এই রেকর্ড। অ্যালেক্স হেলসের ১৭১ রান এতদিন ছিল সর্বোচ্চ। রেকর্ড করতে জেসন খেলেন ১৫১ বল। তার মধ্যে ছিল ১৬টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার ভাউন্ডারি। প্রথমে ব্যাট করে এ দিন অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ভারিত ওভারে ৩০৫ রানের টার্গেট রেখেছিল ইংল্যান্ডের সামনে।

অস্ট্রেলিয়ার হয়েও সেঞ্চুরি করেন ওপেনার ফিঞ্চ। কিন্তু বিরাট রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পেড়িয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৮.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় টেস্ট সিরিজ হেরে ওয়ানডে খেলতে নামা ইংল্যান্ড। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন জেসন রয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল- এমপি রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের তুজুলপুর গ্রামে শহিদ মাস্টারের বাড়ির উঠানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য তুলে ধরে মহিলাদের সাথে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জঙ্গি দমন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। দেশে আবারো জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আবারো সারা দেশে বোমাবাজি হবে। তাই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি জনগণের সাথে থাকবে, না জঙ্গিবাদের সাথে থাকবে। ২০১৪ সালে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল বলেই আজকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের শেষে যে নির্বাচন হবে তাতে জয়লাভ করে আওয়ামীলীগ সরকার আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো শেষ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন এমপি রবি।
এসময় ব্ক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, নির্বাহী সদস্য জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলেখা দাস, রুখসানা পারভীন ও দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম প্রমুখ। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তুজুলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগামী সংসদ নির্বাচন; চার মানদণ্ডে মিলবে নৌকার টিকিট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চার মানদণ্ডে মিলবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং প্রতিপক্ষ দলের যে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়ে আসার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাই নৌকা পাবেন। এতে কপাল পুড়বে জনবিচ্ছিন্ন, দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে চলা বিতর্কিত এমপিদের। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রমতে, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন ক্ষমতাসীনরা। এলাকায় উন্নয়ন, জনপ্রিয়তা, কোন্দল, দুর্নীতিসহ বিগত কয়েক বছরের এমন নানা বিষয় তুলে ধরে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি-মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত আমলনামা তৈরি করা হয়েছে। একাধিক গোপন জরিপের মাধ্যমে প্রত্যেক আসনে ‘গুড ইমেজ’-এর প্রার্থী বাছাই করছে দলটি। জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগেই প্রার্থী বাছাই করে এগিয়ে থাকতে চান নীতিনির্ধারকরা। ক্লিন ইমেজ, জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নৌকা দিলে বিজয়ী হওয়া সহজ হবে এমনটাই মনে করছেন তারা। এ বিবেচনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে সবুজ সংকেত। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, এলাকায় অধিক জনপ্রিয়, ক্লিন ইমেজ এবং দলের পরীক্ষিত নেতাদের হাতেই নৌকা তুলে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘চারটি মানদণ্ড সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় জরিপ চলছে। ওই জরিপের রিপোর্ট এবং সর্বশেষ মনোনয়ন দেওয়ার সময় তৃণমূল নেতাদের মতামত নিয়েই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে দলের যতই বাঘা বাঘা নেতা-এমপি বা মন্ত্রীই হোক না কেন, নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা ও ইমেজ হারানো কাউকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ঝুঁকি নেবেন না তাঁরা। এ জন্য তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে দফায় দফায় গোপন জরিপের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের বিশেষ পরিকল্পনা হলো, নির্বাচনে বিজয়ী হতে কোথাও প্রার্থীর ইমেজ আবার কোথাও দলের ইমেজকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া হচ্ছে— নেতা-কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় কতটা পরিচিত, সংগঠক হিসেবে কতটা দক্ষ, ভোটার ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক, দলের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা কেমন। আগামীতে যাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাদের ডেকে মাঠ গোছাতে বলা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেছিলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিয়মিত জরিপ করা হচ্ছে। সেই জরিপের ভিত্তিতে এলাকায় অধিক জনপ্রিয় এবং যাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাদের সবুজ সংকেত দিয়ে এলাকায় কাজ করতে বলা হয়েছে। তারা নির্বাচনী এলাকায় সংগঠনকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তাদের সবুজ সংকেত দিচ্ছেন।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ও আস্থা তৈরি হয় এমন প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ সভায় সিটি নির্বাচনগুলোয় কোনো কোনো প্রার্থীকে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ তিনি মনে করেন, নির্বাচনের আরও যে সময় বাকি আছে তাতে চাইলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভাবমূর্তি গড়া সম্ভব। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, স্বচ্ছ ও জনপ্রিয় প্রার্থীকেই সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগে অসংখ্য জনপ্রিয় প্রার্থী আছেন, তাদের মধ্য থেকেই প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুধের সঙ্গে দারচিনি খেয়েই দেখুন!

প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধের সঙ্গে যখন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ দারচিনিকে মিশিয়ে খাওয়া হয়, তখন শরীরের নানাবিধ উপকার হয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দুধ এবং দারচিনি একসঙ্গে খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার।

শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়
দেহের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরকে নানাবিধ জটিল রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শরীরে যাতে এই উপাদানটির ঘাটতি কখনও না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিদিন দারচিনি মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে এই পানীয়টির ভেতরে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে এই উপাদানটি। তাই তো নিয়মিত এটি পান করা শুরু করলে রোগ ভোগের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি সার্বিকভাবে শরীরের সচলতাও বৃদ্ধি পায়।

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়
গত কয়েকদিনে যেভাবে কলকাতা সহ সারা রাজ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, তাতে এই পানীয়টি খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুধ এবং দারচিনি এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডাঘটিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধি দুধের সঙ্গে দারচিনি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে বোন ডেনসিটি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড় এতটা শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
এদিক-সেদিকে খাওয়ার কারণে কি গ্যাস-অম্বলে একেবারে কাবু হয়ে পরেছেন? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই দারচিনি মেশানো দুধ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। আসলে এই পানীয়টির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মেটাবলিজ রেট বাড়াতেও সাহায্য করে। ফলে বদ-হজমের সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
পরিবারে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে কি? তাহলে বন্ধু সময় থাকতে থাকতেই এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। আসলে দুধ এবং দারচিনি, উভয়ই শরীরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না।

দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি মিশ্রিত দুধ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে। সেই সঙ্গে দাঁতে পোকা লাগা বা ক্যাভিটির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, মুখ গহ্বরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা কমাতেও এই প্রানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে আজ থেকেই এই পানয়ীটি খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন ওজন কমাতে একেবারেই সময় লাগবে না। আসলে দারচিনি শরীরে প্রবেশ করার পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। আর এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে ক্যালরির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে কমে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও।

গলা ব্যথা কমায়
ঠান্ডার সময় তাপমাত্রা ওঠা নামা করার কারণে গলায় ব্যথা এবং সেই সঙ্গে জ্বর,সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো এই সময় দুধ এবং দারচিনিকে সঙ্গে রাখা মাস্ট! আসলে দুধের সঙ্গে দারাচিনি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে গলার ব্যথা এবং জ্বরের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।

অনিদ্রা দূর করে
দিনের পর দিন কি রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না? তাহলে তো বন্ধু এখনই সাবধান হতে হবে। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক মতো ঘুম না হলে ব্রেনের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেসের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো ইনসমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমাতে আজ থেকেই এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ দারচিনি এবং দধ একসঙ্গে যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন মস্তিষ্কের অন্দরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে ঘুম অসতে সময়ই লাগে না। এই কারণেই তো রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি খাওয়ার পরামর্স দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest