সর্বশেষ সংবাদ-

সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানউন্নয়নে ব্যতিক্রম উদ্যোগ

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানউন্নয়নে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুলটি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরিবর্তন হওয়াতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আর এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেতে রবিবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেকের মাঝে একটি ডায়েরি ও একটি ক্যালেন্ডার প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহিরুজ্জামান জানান, ডায়েরীতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিজেদের পড়া, বিদ্যালয়ের ও বাড়ির কাজ লিখে রাখবে। সাথে সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতি সপ্তাহের হাজিরা ও পড়ালেখার উপর মন্তব্য লিখবে যেটা পরবর্তী দিন অভিভাবকের স্বাক্ষর নিয়ে বিদ্যালয়ে দেখতে হবে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার বাহিরে কোন কিছু করলেই ধরা পড়ে যাবে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ভ্রাতিত্ব বোধ গড়ে উঠার পাশাপাশি সকল রকম সমস্যা সহজে চিহ্নত করে সমাধান করা যাবে। রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন আনন্দের সৃষ্টি হয়। এসময় বিদ্যালয়য়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে স্বাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক স্থানীয়রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়ক কেটে চলছে মৎস্য ঘের, পথচারীরা চরম দুর্ভোগ

মাস্টার মফিজুর রহমান : সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তুজুলপুর থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দেড় কিমি রাস্তা লোক ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের এই রাস্তার সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি রাস্তা কেটে চলছে মৎস্য ঘের। এর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। আনুমানিক প্রায় ৩০ফুটের মত রাস্তা কেটে তৈরি করা হয়েছে অবৈধ মৎস্য ঘের।
তুজলপুর, রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর, হাচিমপুর, ভাটপাড়া সহ আরো কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন এরাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর ও হাচিমপুর থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। তাদেরসহ স্থানীদের যাতায়াতের বিকল্প পথ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আল মামুন (রানা) বলেন, রাস্তাটির ব্যাপারে স্থানীদের সাথে আলোচনা হয়েছে। স্থানী ঘের মালিকেরা নিজস্ব অর্থায়নে পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্ট নির্মাণ করে। কিন্তু সেটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এরই মধ্যে তুজলপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার সেখানে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করায় কালভার্টটিতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই স্থানীয় ঘের মালিকেরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই রাস্তা কাটা হয়।
পথচারী ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাখি ঘোষ বলেন, প্রতি বছর বর্ষার সময় রাস্তাটি কাটার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। কখনো কখনো বাশের সাঁকো পার হতে যেয়ে বই খাতা নিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়তে হয়। তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোহন লাল ঘোষ বলেন, রাস্তা কাটার কারণে পায়ে হেঁটে স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মাঝে মাঝে দেরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল নিয়েও যেতে পারি না। বর্ষা মৌসুমে পানিতে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্ত সহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তার একটি বড় অংশ ভেঙে পুকুর ও ঘেরের সাথে মিশে গেছে।
ভ্যান, নছিমন,সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্নান্য যানবাহন নিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকার পথচারীরা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয় নি। ক্ষত বিক্ষত রাস্তাটি আর কত দিন উপেক্ষায় থাকবে, নাকি অচিরেই রাস্তাটি আবার মিলিত হবে এ প্রত্যাশা আজ জনমনে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ স্থগিত

পুলিশে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দফতর থেকে এক জরুরি বার্তায় ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে এ নিয়োগ স্থগিত করা হলো।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশে কনস্টেবল (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-টিআরসি) পদে সাড়ে আট হাজার পুরুষ ও দেড় হাজার নারী সদস্য নিয়োগে গত ২১ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

একটি সূত্র জানায়, এ বছরের পুলিশ সপ্তাহে এই ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করা যায় কিনা তা নিয়ে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই কনস্টেবল নিয়োগ পুলিশ সুপারদের মাধ্যমে হয়ে আসছে।

পুলিশ সদর দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কনস্টেবল পদে নিয়োগ কার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এটি চূড়ান্ত হলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের বৃহৎ ভাসমান সেতু; ইঞ্জিনিয়ার নন, তবুও তিনিই কারিগর

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনি ইঞ্জিনিয়ার নন, তবে তিনি ইঞ্জিনিয়ার-ই। দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতুর কারিগর তিনি। ইঞ্জিনিয়ার নন এই অর্থে যে- তিনি পুথিগত কিংবা একাডেমিক স্বীকৃতিতে ইঞ্জিনিয়ার নন। তবে তিনি অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার। কারণ তিনি বাস্তবে এমন কারুকার্য আর নৈপূণ্য দেখিয়েছেন যে তিনি অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার।
হ্যা এমনই একজন রবিউল ইসলাম। যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা বাওড়ে নির্মিত সুদীর্ঘ ভাসমান সেতু। এখন পর্যন্ত জানা গেছে- ওই সেতুটি-ই দেশের সর্ববৃহৎ বা দীর্ঘতম ভাসমান সেতু। শুধু দীর্ঘতম নয়, সেতুটির ডিজাইন নৈপূণ্যতেও রয়েছে নতুনত্ব ও ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ।
সরকারের অনুদান ও একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোন প্রকৌশলীর মতামত ছাড়াই সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার মধ্যবর্তী মনিরামপুর থানাধীন ঝাঁপা বাওড়ে স্থানীয় ৫৬জন যুবক এবং গ্রামবাসীর উদ্দোগে নির্মিত হয়েছে ভাসমান সেতুটি। ওই সেতুর অন্যতম আকর্ষণ হলো- প্লাস্টিকের ব্যারেলে উপর লোহার পাটাতন দিয়ে সম্পূর্ণ পানির উপর ভাসমান অবস্থায় সেতুটির নির্মাণ।
৮ ফুট চওড়া ও ১ হাজার ফুট লম্বা ভাসমান সেতুটি তৈরিতে ৮০০টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল ও ২৫০টি লোহার শিট ব্যবহার করা হয়েছে। আর ওই সেতুটির অন্যতম প্রধান কারিগর হলেন রবিউল ইসলাম।
‘একতাই বল’ প্রবাদের প্রমাণ রেখে রবিউল ইসলামের হাত ধরে মণিরামপুরের ঝাঁপা বাওড় বেষ্টিত ঝাঁপা গ্রামবাসী ‘দেশের প্রথম দীর্ঘতম ভাসমান সেতু’ নির্মাণের মধ্যে দিয়ে জয় করেছেন মানুষের মন।
জানা গেলো- ভাসমান সেতুটি তৈরির মূল কারিগর রবিউল ইসলাম অভাব-অনটনের কারণে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে পারেননি। পুঁথিগত বিদ্যার জোর তেমন নেই। তাতে কী মেধার জোর তো আছে-ই। এই মেধা আর চেষ্টার জোরেই তিনি তৈরি করে ফেললেন দেশের দীর্ঘতম ভাসমান সেতু।
স্বশিক্ষিত এই প্রকৌশলীর রবিউল ইসলাম যে কাজটি করেছেন, তার খবর অনেকের জানা আবার অনেকের অজানা।
ঝাপা বাওড়টি অনেকে বড় নদী বলেও মনে করেন। কেননা ওই বাওড়ের প্রশস্ততা (আড়) কপোতাক্ষ-বেত্রবতীর চেয়েও অনেক বড়। আর লম্বায় যেকোন নদীর চেয়েও কম নয়। ওই বাওড়ের কারণে দু’পারের বাসিন্দাদের যাতায়াতে পোহাতে হয় চরম হয়রাণী ও ভোগান্তি। বাওড়ের এপার-ওপার করতে হতো নৌকা দিয়ে অথবা ১০/১৫ কিলোমিটার ঘুরে।
বলছিলাম গ্রামবাসীর উদ্যোগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামে ভাসমান সেতুটির কথা। প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর লোহার অ্যাঙ্গেল ও পাত বসিয়ে তৈরি সেতুটি লম্বায় এক হাজার ফুট। যে সেতু গোটা জনপদের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। দুই পারের ৯ গ্রামের মানুষের পারাপারের দুর্ভোগ কমিয়েছে। ওই সেতুর কারিগর রবিউল ইসলাম। ভাসমান সেতুটির পাশে টাঙানো সাইনবোর্ডেও সেতু তৈরির কারিগর হিসেবে লেখা রয়েছে তাঁর নাম।
রবিউল ইসলামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার অজপাড়ায়। তিনি যখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, তখন আর্থিক সংকটের কারণে তাঁকে লেখাপড়ার পাট চুকাতে হয়। এরপর কাজ নেন লেদ মেশিনের দোকানে। সেখানেই দীর্ঘদিন কাজ শেখেন। শেখার পর বাবার দেয়া ৫০ হাজার টাকায় একটি লেদ মেশিন কিনে নিজেই দোকান করেন। ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান, ট্রলিসহ বিভিন্ন যানের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করতেন তিনি।
রবিউলের দোকানটি এখন রাজগঞ্জ বাজারে। প্রতিষ্ঠানের নাম বিশ্বাস ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ। হালকা প্রকৌশল শিল্পের ওই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১০জন শ্রমিক কাজ করেন। এই ১০ জনকে নিয়ে তিনি তৈরি করেছেন ভাসমান সেতুটি। সময় লেগেছে পাঁচ মাস।
রবিউল ইসলাম জানান- ‘সেতুটি তৈরির জন্য প্রথম এক মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয়েছে। এরপর আমার প্রতিষ্ঠানের ১০জন শ্রমিক নিয়ে চার মাস ধরে সেতু নির্মাণের কাজ করি। অর্থের জন্য নয়, সুনামের জন্যই কাজটি করেছি। এখানে লাভ-লোকসানের হিসাব নেই।’
সেতুটি নির্মাণের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি। তবে রবিউল ইসলাম যে শ্রম দিয়েছেন, তার মূল্য আরও অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন। শুধু গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবেই কাজটি করেছেন- যোগ করেন তিনি।
বাস্তবতার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম আরো জানান- ‘সেতুর মূল কাজ শুরুর আগে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর ২০ ফুটের মতো সেতু বানানো হয়। সেটার ওপর প্রায় ৩২ জন মানুষ উঠে দেখেছেন সেটি ডোবে কি না। পরীক্ষা সফল হলো। এরপরই শুরু হয় মূল কাজ।’
রবিউল ইসলাম সেতু নির্মাণের কাজ করলেও ভাসমান সেতুর মূল বিষয়টি প্রথম মাথায় আসে ঝাঁপা গ্রামের মো. আসাদুজ্জামানের।
আসাদুজ্জামানেরও প্রকৌশলগত কোনো শিক্ষা নেই। ঝাঁপার ওই বাঁওড়ের পানিতে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর দুটি ভারী শ্যালো মেশিন বসিয়ে কয়েকজন বালু উত্তোলন করছিলেন। সেটা দেখেই ভাসমান সেতুর চিন্তা আসে তাঁর মাথায়।
আসাদুজ্জামান জানান- ‘আমাদের কারোরই কারিগরি জ্ঞান নেই। “গাইতে গাইতে গায়েন”-এর মতো নিজেদের মাথা খাটিয়ে কাজটি করেছি। তবে মূল কাজটি করেছে রবিউল।’
নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভাসমান সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। ৮ ফুট চওড়া ও ১ হাজার ফুট লম্বা সেতুটি তৈরিতে ৮০০টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল ও ২৫০টি লোহার শিট ব্যবহার করা হয়েছে।
সেতুর দুই প্রান্তে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া ৩০০ ফুট অংশ কাটা বাঁশ দিয়ে সংযোগ সেতু তৈরি করা হয়েছে।
রবিউলের তৈরি সেতুর ওপর দিয়ে এখন ইজিবাইক, মহেন্দ্র, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট-খাটো যান ও মানুষ অনায়াসে পারাপার হচ্ছেন।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রবিউল ইসলাম ও তাঁর ১০কর্মচারী, প্রথম পরিকল্পনাকারী আসাদুজ্জামানসহ ঝাপা বাঁওড়বেষ্ঠিত ৫৬জন যুবক এবং গ্রামবাসীকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ভূমিহীনদের বাসায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নূরনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভূমিহীনদের বেশ কিছু বাসায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় বাঁধা দিলে তাদের হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। রোববার সন্ধ্যায় শ্যমনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের সৈয়দালীপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশের দাবি সেখানে ৫/৬ টি টোং ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব আবুল কাশেম জানান, সৈয়দালীপুর গ্রামের ১১৮ বিঘা জমি সরকার খাস করার পর এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল গফুর ওরফে গুলি গফুর তা জোর পূর্বক দখল করে চিংড়ি ঘের করে। এরপর শ্যামনগর উপজেলার ভূমি অফিস থেকে এলাকার ভূমিহীনরা ২৯ একর জমি ডিসিআর নেয়। তারা সেখানে বাসাবাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করে। একপর্যায়ে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি’র এক নেতার সহায়তায় আব্দুল গফুর তার বাহিনী নিয়ে ওই বাসা বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর ২০১৭ সালে স্থাণীয় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সহায়তায় ভূমিহীনরা আবারো সেখানে বাসা তৈরি করে। রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে আব্দুল গফুর ওরফে গুলি গফুরের ছেলে আলমগীরের নেতৃত্বে ৭০/৮০জন লোক দলবদ্ধ হয়ে আবারো ভূমিহীনদের ওপর চড়াও হয়। তাদের বাসায় আগুন দিয়ে মারপিট করে তাদের আহত করে। এ সময় সেখানে তিনটি মোটর সাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে দুর্বৃত্তারা পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, শ্যামনগরের এক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে গফুরের ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী জানান, দখল পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে সেখানে ৫/৬টি টোং ঘর দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে, পুলিশ যাওয়ার পর দু গ্রুপই সেখান থেকে চলে গেছে। তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওসি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা, সম্পাদক বেলাল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশন (এসএসএ)’র ২০১৮ সালের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের ২০১৮ সালের কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি’১৮ তারিখে সংগঠনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মেহেদীআলী সুজয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার আনিসুর রহমান, সদস্য আব্দুর রহিম ও জাকির হোসেন মিঠুসহ সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ। সভায় সংগঠনের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে মীর মোস্তফা আলীকে সভাপতি ও এম. বেলাল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য ৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করাহয়। কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন- সহ-সভাতি জাকির হোসেন মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মধু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অর্থ সম্পাদক সেলিম হোসেন, সদস্য আব্দুর রহিম, খন্দকার আনিসুর রহমান, মেহেদী আলী সুজয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫টি বোমা উদ্ধার

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পারিশামারী থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৫টি অবিস্ফোড়িত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে বোমাগুলো উদ্ধার করেছে আশাশুনি থানা পুলিশ।
আশাশুনি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকতারুজ্জামান জানান, শনিবার রাত ৯.৪৫ টার দিকে ফটিকখালী গ্রামের অমলকৃষ্ণ মন্ডলের পুত্র স্বপন ও খালিয়া গ্রামের ইবাদুল ইসলাম সানার পুত্র শামীম একটি ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে ফটিকখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। পারিশামারী গ্রামের মৃত যোতিন্দ্র রায়ের পুত্র শান্তিরঞ্জন রায়ের মৎস্য ঘেরের দক্ষিণ পাশের রাস্তার উপর পৌছলে ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দুবৃত্তদল তাদের পথ রোধ করে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে আক্রমনকারীরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কাছে থাকা ৫টি বোমা ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকতারুজ্জামান, এসআই প্রদীপ কুমার সানা ও এএসআই মাহবুব ঘটনাস্থল পৌছে বোমা ৫টি উদ্ধার করেন। এব্যাপারে স্বপন কুমার মন্ডল বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোড়ক দ্রব্য ও পেনালকোট আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩ তাং- ১৪/০১/১৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাভা কলেজে বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নে গাভা আইডিয়াল কলেজ বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে গাভা আইডিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে গাভা আইডিয়াল কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

এসময় তিনি বলেন, ‘উপকূলের মানুষের জীবনমান ও সহায় সম্পদ রক্ষায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সে সবুজ বেষ্টনী আজ মানুষের উপকারে আসছে। এ সবুজ বেষ্টনী যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেখানে আরো বেশি বেশি করে সবুজ ঝাউগাছ রোপন করতে হবে। তিনি বলেন, দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন থাকলে এবং পূর্বপ্রস্তুতি সঠিকভাবে গ্রহণ করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান কমানো যায়। ‘যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেছে। এসব সাইক্লোন সেল্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গবাদি পশু রক্ষার জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই দূর্যোগের সংবাদ পাওয়া মাত্রই কাছাকাছি অবস্থিত সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উপকূলের জনসাধারণকে আহ্বান জানান।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুর উর রশিদ, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, গাভা আইডিয়াল কলেজর অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা সুলেখা চন্দ্র দাস, রুখসানা পারভীন, দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমন এন্টারপ্রাইজের মো. বজলুর রহমান প্রমুখ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্র্তৃক নির্মিতব্য উপকূলীয় ও ঘূণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ২ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গাভা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest